User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Priyanka Ganapati

      17 May 2025 12:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #তুই_আর_একটু_আনমনে_থাক_বুকরিভিউ ভালোবাসা এমন এক অনুভূতির নাম, যার পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে সুখ-দুঃখের সংমিশ্রণ। কেউ ভালোবেসে সুখ পায় পায়, কেউ বা পায় প্রতারণা আর অবহেলার বিষাদ। কেউ ভালোবাসার তীব্র আঘাতে নতুন সম্পর্ক গড়তে ভয় পায়, আবার কেউ একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে ঘটায় চারিত্রিক অবক্ষয়। তবুও মানুষ ভালোবাসে! সেই ভালোবাসা ও তার সাথে জড়িত কিছু চরিত্রে জীবনের গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে লেখক সুস্মিতা জাফরের উপন্যাস “তুই আর একটু আনমনে থাক”। ▪️কাহিনী সংক্ষেপ▪️ বিখ্যাত অভিনেতা শ্রেয়াস সালমান একটি অপারেশনের পরবর্তী জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে তার সাথে পরিচয় ঘটে চিকিৎসক পিয়েতার। সুদর্শন ও জনপ্রিয় শ্রেয়াস বহু নারীর স্বপ্নের পুরুষ হলেও পিয়েতা তার প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ প্রকাশ করে না। এই উদাসীনতার কারণ কি শুধুই পিয়েতার কঠিন ব্যক্তিত্ব বা দাম্ভিকতা? না-কি অন্য কোনো গূঢ় রহস্য এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে? অপরদিকে, মেডিকেল কলেজের ছাত্রী লাবনী ও একটি মাল্টিন্যাশনাল সংস্থায় চাকুরীরত আবির একে অপরের সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের সম্পর্ক কি কখনো পূর্ণতা লাভ করবে? নাকি জীবনের জটিল পথচলায় হারিয়ে যাবে একে অপরের অস্তিত্ব? কেমন হবে তাদের ভবিষ্যত জীবনের গল্প? পিয়েতা ও লাবনীর জীবনের গল্প কি সম্পূর্ণ দুটি ভিন্নধারায় প্রবাহিত হয়? না-কি ভাগ্যের অলিখিত নিয়মে কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে তাদের গন্তব্য মিলে যাবে এক মোহনায়? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে হাতে তুলে নিতে হবে “তুই আর একটু আনমনে থাক” উপন্যাসটিকে। ▪️পাঠপ্রতিক্রিয়া▪️ মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন তার হৃদয় হয়ে পড়ে অন্ধ, ভালবাসার মানুষটির প্রতি আস্থার কারণে শত সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেও তারা বিশ্বাস করে। কিন্তু কখনো সে বিশ্বাস মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের জীবন তছনছ হয়ে যায়। “তুই আর একটু আনমনে থাক” উপন্যাসটি ঠিক সেই সমাজবাস্তবতার এক করুণ আয়না। উপন্যাসটিতে তুলে ধরা হয়েছে মেডিকেল কলেজের বাস্তবধর্মী পরিবেশ এবং হাসপাতালের ব্যস্ত দিনলিপির সাথে একজন চিকিৎসকের জটিল জীবনসংগ্রাম। মানুষকে সুস্থ করে তোলার পবিত্র ব্রত নিয়ে যে চিকিৎসক জীবন উৎসর্গ করেন তার চলার পথ কি শুধুই আলোয় ঘেরা? একজন রোগীর সুস্থতা চিকিৎসকের দক্ষতা ও সততার উপর নির্ভর করলেও জীবন-মৃত্যুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি তাদের হাতে থাকে? উপন্যাসের কাহিনি বিস্তারের সাথে সাথে এসব গভীর প্রশ্নের উত্তর লেখক নিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। নারী চিকিৎসকদের পথচলার কঠিন বাস্তবতাও উপন্যাসে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কর্মক্ষেত্রে নারী ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা, অসম্মান এবং সমাজের বদ্ধমূল ধ্যানধারণাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সম্পর্কের ভাঙন ও অবিশ্বাসের যন্ত্রণার সাথে বিশ্বস্ততা, আত্মত্যাগ ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক গল্প “তুই আর একটু আনমনে থাক”। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে মানবচরিত্রের বহুমাত্রিক রূপ। সন্তানের প্রতি পিতামাতার অন্ধ ভালোবাসা কিভাবে তাদের জীবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়, আবার দুঃসময়ে বাবা-মায়ের অটুট সাহচর্য কিভাবে আশার আলো হয়ে ওঠে এসব মানবিক দিক উপন্যাসটিকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে। লেখক অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন একটি গুরত্বপূর্ণ সামাজিক ব্যাধিকে। পর্ণোগ্রাফির প্রতি আসক্তি কিভাবে মানুষের চিন্তা, নৈতিকতা ও জীবনবোধকে গ্রাস করে তার পরিবারের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে তা উপস্থাপিত হয়েছে গল্পের মধ্য দিয়ে। উপন্যাসটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই বিষাক্ত আসক্তির ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রের বর্ণনায় রয়েছে বাস্তবতার ছোঁয়া, যা উপলব্ধি করায় এরা কেউ আমাদের আশেপাশের পরিচিত মুখ। কিছু চরিত্রের জীবনসংগ্রাম সাহস জোগায়, আবার কারও ভুল শেখায় সাবধান হতে। কারও দুঃখগাঁথা হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তোলে, আবার কিছু চরিত্রের প্রতারণা ও লোভ জাগিয়ে তোলে ঘৃণা। উপন্যাসের সূচনায় দুইটি ভিন্ন সময়ের গল্প সমান্তরালে বর্ণিত হওয়ায় গল্পের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন হতে পারে, তবে একবার সেই প্রবাহে প্রবেশ করলে কাহিনীর টান পাঠক মনকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আটকে রাখে। তবে সমাপ্তি কিছুটা ছোটগল্পের আবহ তৈরি করে, যেন শেষ হয়েও হইলো না শেষ। আরও কিছু অধ্যায় থাকলে হয়তো চরিত্রদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের গল্প আরেকটু উপভোগ করা যেত। ▪️লেখনশৈলী ও অন্যান্য▪️ উপন্যাসের ভাষাশৈলী সহজ ও সাবলীল হলেও বর্ণনায় আছে বাস্তবতার নির্মম স্পর্শ। উপন্যাসটিতে রোমান্টিক আবহের মাঝে সমাজের কঠিন সত্যগুলিকে দক্ষতার সাথে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় কাহিনির প্রয়োজনে সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আমার কাছে উপন্যাসটিকে প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের উপযুক্ত মনে হয়েছে। বইয়ের বাঁধাই ও মুদ্রণ মান চমৎকার। বানান ভুল চোখে পড়েনি। বইয়ের প্রচ্ছদটিও নজরকাড়া। “তুই আর একটু আনমনে থাক” উপন্যাসটি ভালোবাসার গল্পের মোড়কে সমাজের কঠিন বাস্তবতার রূঢ় চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এই উপন্যাসটি কেবল প্রেমের গল্প নয় বরং সম্পর্কের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা, জীবনসংগ্রাম ও অনুপ্রেরণার এক চমৎকার আখ্যান। ▪️বই পরিচিতি▪️ বইয়ের নাম : তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখক : সুষ্মিতা জাফর প্রকাশনী : নয়া উদ্যোগ প্রচ্ছদশিল্পী : মো: সাদিতউজজামান

      By 880****432

      17 May 2025 12:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #তুই_আর_একটু_আনমনে_থাক_বুকরিভিউ ◾বই পরিচিতি: বইয়ের নাম: তুই আর একটু আনমনে থাক লেখক: সুস্মিতা জাফর প্রকাশনী: নয়া উদ্যোগ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯২ ◾সূচনা: ❝জীবনে ‘হাসি’ ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক হাসি দিয়ে অনেক কিছু কুপোকাত করে ফেলা সম্ভব।❞— কথাগুলো সুন্দর না? উত্তর হচ্ছে কথাগুলো সুন্দর এবং বাস্তবসম্মত। সত্যিইতো হাসি দিয়ে অনেক কিছুই সমাধান করা যায়। আবার এই হাসি যেমন সবসময় উচ্ছ্বলতা দেখায় কখনো কখনো এই হাসির পেছনে বেদনাও প্রকট হয়ে ওঠে ধূসরভাবে। ◾কাহিনী সংক্ষেপ: ❝তুই আর একটু আনমনে থাক উড়ে যাক তোর কবিতা মাখা চুল, এ শহরের হাজারো বোকা প্রেমিকেরা তোর, ভাল চায়, বলে তাই উপন্যাসের বন্যা দিয়ে মিছিল করে যায়, আমি অলস তাই পিছে পড়ে রই।❞ গানের লাইন কখনো কখনো হয়ে উঠে আস্ত এক গল্প। এ কয়েক লাইন দিয়ে বোঝা যায় রোমান্টিকতার সাথে মিশে আছে আছে এক কপোত-কপোতীর গল্প। গল্পের পিয়েতার কবিতা মাখা চুল উড়ে যায় আর প্রেমিক শ্রেয়াস অলস বলে পিছেই পড়ে রয় গানের লাইনের মতোই। অমন সুদর্শন, পরিচিত মুখ, ভালো ক্যারিয়ার থাকা শ্রেয়াসের পেছনে মেয়েদের লাইন লেগে থাকলেও শ্রেয়াস ভালোবাসে একজনকেই পিয়েতা। বাস্তবতার ধুলোমাখা পথে ধুঁকে চলতে চলতে এই রমণীকে কিছুই আকর্ষণ করে না। তার সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কেবল বাবুনি। শ্রেয়াসকে সে ভালোবাসে মুখ ফুটেতো বলেই কিন্তু মন থেকে কখনো বাসবে কি? সদ্য মেডিকেলে ভর্তি হওয়া যৌবনে পা রাখা লাবনী। জীবনে ভালোবাসা নামক রঙিন প্রজাপতি এসেছে হাওয়ায় ভেসে। অতঃপর পূর্ণতা পেল ভালোবাসা৷ কিন্তু বিয়ের পরপরই লাবনী আবিষ্কার করলো এক ভয়ানক সত্য৷ কী সেটা? ◾পাঠ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা: “তুই আর একটু আনমনে থাক” উপন্যাসিকাটির বিশেষত্ব হচ্ছে সমান্তরাল গতিতে গল্প এগিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সূচনা পর্ব বেশ সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে। সাথে একটু রহস্য তৈরি করে পুরো গল্পকে এক সুতোর মাঝে নিয়ে আসা প্রশংসনীয় বটে। আর রহস্য ঘনীভূত করে অতঃপর এই চমকটাই বইয়ের বিশেষত্ব। ভালোবাসা সবসময় বসন্তের স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে না। ভালোবাসা কখনো কখনো কালবৈশাখীর মতো আসে সবকিছু তছনছ করে দিতে। একজন ভালোবাসে বলেই সে ঠকাবে না এমন কথা কোনো অভিধানে লেখা নেই। সামনে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’ করে পেছনে ভালোবাসার বিষমাখানো ছুরি বসাতে অনেকেই দ্বিধাবোধ করে না। এখানেও ঠিক তাই হয়েছে। কিন্তু কার সাথে হয়েছে সে রহস্য আপাতত তোলা থাক। উপন্যাসিকাটিতে দুইজনের গল্প দুই ভাগে চললেও দু'জনের মাঝে সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে তারা উভয়ই নিজের আত্মমর্যাদা নিয়ে বেশ সচেতন। আর যাই হোক কখনো নিজেকে অসম্মান করা যাবে না। প্রতিটা পরিস্থিতি সামলে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলা কঠিন কাজ হলেও কেউ কেউ অনায়াসে করে ফেলে সব ঝড়-ঝাপটা সামলে। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। লেখক এদিক ছাড়াও সমাজের আরেকটা ঘুনেধরা দিক তুলে ধরেছেন গল্পচ্ছলে। একাডেমিক লাইফে ভাব-সম্প্রসারণে পড়েছিলাম অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দু'জনই সমান অপরাধী। এখানেও সমান অপরাধী আছে যারা কি না নিজের কথা ভেবে অন্যের জীবন নষ্ট করতে দু'বারও ভাবেনি। কী নিকৃষ্ট মানসিকতা! আমাদের সমাজে আনাচে-কানাচেতে এমন অনেক মানসিকতার মানুষ জড়িয়ে আছে। আবার কিছু আছে যারা ভাবে নারী মানেই অবলা চরিত্র। সম্মান করতে তাদের আঁতে ঘা লাগে। কেউ কেউ বিপরীত আছে। আর এই বিপরীত মানসিকতার জন্যই পৃথিবীটা এখনো সুন্দর। ইন্টারনেটের যুগে সবকিছু সহজলভ্যতো বটেই কিন্তু এই সহজলভ্যতার কবলে ভালোর চাইতে খারাপটাই বেশি নেয়া হয়। নিষিদ্ধ জগতে যেহেতু আগ্রহ বেশি। আর এই অতিরিক্ত কৌতূহলতার দরুণ উঠতি বয়সের যুবক-যুবতী প্রবেশ করে ‘নীল ছবি’ নামক অন্ধকার জগতে। কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে থাকা এই আগ্রহ কখন যে আসক্তি হয়ে ওঠে টেরই পায় না তারা। ফলশ্রুতিতে নিজের যৌবন, শারিরীক-মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতিতো করেই দাম্পত্য জীবনেও তা বেশ প্রভাব ফেলে। এই নেতিবাচক দিকটা লেখক বেশ সাবলীলভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। লেখকের লেখনশৈলী বেশ সাবলীল। ছোট ছোট বাক্যে খুব সুন্দরভাবে অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন। চরিত্রায়ন নিয়েও বেশ ভালো কাজ করেছেন। সব চরিত্রই নিজের জায়গায় তারা সেরাটা দিয়েছে। বাস্তবতার মিশেলে তাদের মানসিক টানাপোড়েন, অন্তদ্বর্ন্দ্বগুলো খুব কাছ থেকে দেখিয়েছেন। তবে কিছু চরিত্র আছে যা গল্পের খাতিরে আসলেও পরবর্তীতে যেন হুট করেই মিলিয়ে গেল। বইটির প্রচ্ছদ চমৎকার। ভীষণ স্নিগ্ধ একটা প্রচ্ছদ! সাথে প্রোডাকশন কোয়ালিটিও দারুণ। ◾উপসংহার: ❝দীর্ঘ তেপান্তরে বাঁধ ভেঙে যায় কোনো এক আকাশ শুধু তোকে পেতে চায়❞ পাওয়া না পাওয়ার এ শহরে ভালোবাসা না থাকলেও অতঃপর বইয়ের পাতার মতো গল্পও ফুরোয় একসময়। গানের লাইনগুলো গল্পের সাথে কীভাবে যে মিলে গেল। কলমের কালির দৃশ্যপট মনে করিয়ে দিচ্ছিল গানের লাইনগুলোর অনুভূতি। কবিতামাখা চুল মনে করিয়ে দিচ্ছিল রিকশায় বসা পিয়েতাকে। শেষটা অস্পষ্ট থাকলেও এদিকটায় আমি বেশ উপভোগ করেছি। যে যার মতো শেষটুকু ভেবে নেবে। দারুণ না ব্যাপারটা? সবমিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে একটা কথা সামাজিক ও রোমান্টিক ঘরানার হলেও এখানে গল্পের প্রয়োজনে বেশ কিছু ১৮ কথাবার্তা আছে। যারা পড়বেন নিজ দায়িত্ব নিয়ে পড়বেন।

      By Farah

      12 May 2025 08:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মাত্র পড়ে শেষ করলাম সুস্মিতা জাফর আপুর “তুই আরেকটু আনমন থাক”। উপন্যাসের গল্পটা শ্রেয়াস, পিয়েতা, লাবনী আর আবিরের। উপন্যাসের কাহিনীটা সামাজিক, পারিবারিক আবার রোমান্টিকও, সেই সাথে আছে রহস্যের ছোঁয়া। শ্রেয়াস গল্পের মূল নায়ক। তার স্বপ্ন সে বড় অভিনেতা হবে। এই লক্ষ্যে দিনের পর দিন স্ট্রাগল করতে করতে সে একসময় তার স্বপ্ন পূরন করে ফেলে। কিন্তু তার জীবনে সব থাকলেও যে জিনিসটার সবচেয়ে বেশি অভাব তা হল ভালবাসার, যে অভাব অর্থ-প্রাচুর্য্য আর খ্যাতি দিয়ে কখনো পূরন হয় না। আরেকটি চরিত্র হচ্ছে পিয়েতার, পেশায় ডাক্তার। নানা সমস্যার সাথে দিনের পর দিন যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত মেয়েটি ঘটনাচক্রে নজরে পড়ে যায় শ্রেয়াসের যে তাকে ভালবেসে ফেলে। শ্রেয়াস পিয়েতাকে মনে-প্রানে ভালবাসে, কিন্তু পিয়েতা? সে-ও কি তাকে ভালবাসে? এ এক বিশাল প্রশ্ন শ্রেয়াসের মনে। লাবনী উপন্যাসটির আরেকটি চরিত্র। মেডিকেলে পড়ার সময়ই তার প্রেমিকের সাথে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর সামনে আসে একের পর এক কঠিন সব সত্য যা লাবনীকে পুরো নাড়িয়ে দেয় ভিতর থেকে। লাবনীর প্রেমিক এবং স্বামী আবির হল আপাতদৃষ্টিতে সহজ সরল পরিষ্কার মনের একজন মানুষ কিন্তু মাঝে মাঝে আবিরকে বুঝতে পারেনা লাবনী। কেন এমন মনে হয় লাবনীর, কেন আবিরকে সে বুঝতে পারেনা? পিয়েতা কি শ্রেয়াসকে সত্যিই ভালবাসে ? শ্রেয়াসের একাকীত্ব কি দূর হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে, যা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চাইতে বেশি ভাল লেগেছে আমার। প্রত্যাশার কথাটা বললাম কারন আমি ব্যক্তিগতভাবে রোমান্টিক জনরার ভক্ত নই, এটা নয় যে সুস্মিতা আপুর লেখায় কোন কমতি আছে। রোমান্টিক জনরার ভক্ত না হলেও সুস্মিতা আপুর লেখার উপর ভরসা ছিল তাই বইটি কিনেছিলাম। তার উপর এর জনরা - সামাজিক রোমান্টিক রহস্যোপন্যাস - এটিও আমাকে আগ্রহী করে তুলেছিল অনেক, কারন রোমান্টিকতার ভক্ত না হলেও রহস্য ভালবাসি আমি। সব মিলিয়ে অনেক ভাল লেগেছে বইটি, তবে কাহিনীর শেষটা হয়েছে সেই রবীন্দ্রনাথের - “শেষ হইয়াও হইল না শেষ” - এর মত। কেন যে শেষের অংশটা আরেকটু বড়, আরেকটু পরিপূর্ণ হল না!

      By F.N.A

      10 May 2025 11:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "তুই আর একটু আনমনে থাক" বইটা পড়েছিলাম সেই মার্চ মাসে। ভোর বেলায় একটানা পড়ে বই শেষ করেছিলাম। বইটায় একটা আলাদা ভাইব ছিল। সুস্মিতা আপুর এই টাইপ কাহিনি আমি আগে পড়িনি। যা ভেবেছিলাম পুরাই ভিন্ন। ব্যতিক্রমধর্মী গল্প যাকে বলে। কাহিনিটায় একইসাথে আছে রহস্য, প্রেম আর সামাজিকতা। সালমান, আবির, লাবনী, পিয়েতা প্রত্যেকের চরিত্রই খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আর উল্লেখযোগ্য কোনো ডায়লগ থাকলে সেটা হলো লাবনীর দাদী শাশুড়ির "কিডা যায়?" আর এই গল্পের শেষ দিকে আছে দারুণ চমক। ছোট গল্পের মত শেষ হয়েও যেন হলো না শেষ! আমি পড়ার সময় ভাবছিলাম "আহা এমন হলো কেন!! ইশ এখানেই শেষ!!" পারলে আমিই বাকিটা লিখে ফেলি এই অবস্থা! আসলে বইটা আপনাকে পড়তে হবে। তাহলেই আপনি বুঝবেন কী চমক আছে বইটায়। টানা বসে শেষ করার মত বই। ❤️

      By ifran islam

      10 May 2025 09:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পাঠপ্রতিক্রিয়া: "তুই আরেকটু অনমনে থাক" লেখিকা: ডা. সুস্মিতা জাফর পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি: একজন ছাত্রের চোখে তার শিক্ষকের লেখা “তুই আরেকটু অনমনে থাক” বইটি পাঠ করে আমি শুধু একজন লেখিকার গল্প পড়িনি, অনুভব করেছি একজন মানুষের নিঃশব্দ আর্তি, একজন নারীর সত্তার গভীরতম বেদনা। লেখিকার সংবেদনশীল কলম যেন শব্দে শব্দে এক অদৃশ্য চিঠি লিখেছে—যা ঠিক পাঠকের মনের ভেতর পৌঁছে যায়। চিঠির ভঙ্গিতে লেখা এই গ্রন্থটি যেন চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততার ভেতর গুমরে থাকা স্বপ্ন, টানাপোড়েন, ভালোবাসা ও আত্মসম্মানের একটি খোলা দিনলিপি। এখানে নেই অযথা নাটকীয়তা, নেই অতিরঞ্জন—আছে কেবল এক অনমনোযোগী হৃদয়ের সত্য কাহিনি, যা আমাদের সবারই কোথাও না কোথাও ছুঁয়ে যায়। একজন ছাত্র হিসেবে ডা. সুস্মিতা জাফরের লেখনী আমার কাছে এক অভিজ্ঞতা। তিনি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কিন্তু এই বইয়ের মাধ্যমে আমি তাঁকে আরও গভীরভাবে চিনতে পারি—একজন মানুষ হিসেবে, একজন নারীর চোখ দিয়ে দেখা এই সমাজ ও প্রেমের বাস্তব চিত্ররূপে। তাঁর ভাষা শান্ত, সংবেদনশীল এবং আশ্চর্যরকম গভীর। উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ: ভাষার সাবলীলতা: সরল এবং সংবেদনশীল আবেগের গভীরতা: প্রতিটি বাক্যে অনুভব আছে, মায়া আছে, কিন্তু বাড়াবাড়ি নেই। চরিত্র-নির্মাণ: যদিও এটি একক স্বরচিত লেখা, পাঠক অনায়াসেই গল্পকারের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে পারেন। পাঠ-অনুভব: শেষ করার পরও কিছু কথা, কিছু বাক্য দীর্ঘক্ষণ মনের মধ্যে গুঞ্জরিত হয়। শেষ কথা: এই বইটি কেবল একজন লেখিকার সৃষ্টি নয়, বরং একজন শিক্ষকের নিজের ভেতরটাকে সৎ সাহসে তুলে ধরার প্রমাণ। “তুই আরেকটু অনমনে থাক” পড়ে আমি গর্বিত—কারণ আমার শিক্ষক শুধু ভালো একজন ডাক্তার বা শিক্ষকই নন, একজন মননশীল ও হৃদয়বান মানুষও বটে। রেটিং: ★★★★★ (৫/৫)

      By Faharia Liza

      05 May 2025 11:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জীবনের সাথে একেকজনের একেকরকম যুদ্ধ করতে হয়। হাসিমুখে পরাজয় বরণ করতে করতে মাঝে মাঝে সেটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে৷ সবাই হাসিমুখটা দেখে। পরাজয়ের ক্ষতটা আড়ালেই থেকে যায়। বই: তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখক: সুস্মিতা জাফর প্রকাশনী: নয়া উদ্যোগ মূল্য: ২৭৫৳ রিভিউতে: ফাহারিয়া লিজা মানবজীবনে যেকোন কিছু অর্জন করতে হলে কষ্ট করতে হয়। নানা চড়াই-উতরাই পার করে সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছাতে হয়। কথায় আছে না, "কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে"। ভালোবাসা পৃথিবীর শুদ্ধতম এক অনুভূতি। এই অনুভূতিতে ডুবে কেউ নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে, কেউ বা ভয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়। ভালোবাসা পবিত্র অনুভূতি হলেও সবার জন্য সুখকর হয় না। কেউ ভালোবাসা পাওয়া জন্য মরিয়া হয়ে উঠে, কেউ বা ভালোবাসা পেয়েও অবজ্ঞা করে। চিত্রনায়ক শ্রেয়াস সালমান ভীষণ ভালোবাসে পিয়েতাকে। কিন্তু পিয়েতার এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। পিয়েতার পুরো জগৎ বাবুনিকে নিয়ে। কেন পিয়েতার এই নির্লিপ্ততা? লাবনী ও আবির একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের পরই লাবনী খেয়াল করে আবিরের অদ্ভুত আচরণ। ভালোবাসার মানুষের আচরণে হঠাৎ করে এই পরিবর্তন কেন? কেমন হবে আবির ও লাবনীর দাম্পত্য জীবন? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে "তুই আরেকটু আনমনে থাক" বইটি। দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার পরেও আমরা কিছু মানুষকে চিনতে ভুল করি। মানুষ নিজের কুকর্ম ঢেকে রাখার জন্য মিথ্যে বলে কিংবা নানারকমের চেষ্টা করে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আবির! বইটিতে একইসাথে ফুটে উঠেছে দুইজন মানুষের জীবনধারা। জীবন যে সরল সমীকরণের চলে না, তারাই এর উদাহরণ। গল্পটা সাদামাটা হলেও শেষের টুইস্ট আপনাকে চমকে দিবে। যদিও কাহিনী আমার আহামরি ভালো লাগেনি, তবে শেষটা ছিল অপ্রত্যাশিত। ছোট্ট এই উপন্যাসিকা অনায়াসেই পড়ে শেষ করা যায়। সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখক বইটি উপস্থাপন করেছেন। বইতে বেশ কিছু টাইপিং মিস্টেক চোখে পড়েছে। বইতে কিছু কিছু শব্দের ব্যবহার আমার কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে, যদিও গল্পের কারণে ব্যবহার হয়েছে। তবে কিছু কিছু উপস্থাপন আরও সুন্দর করে করা যেত। বইটা পড়ে আমাকে বিষণ্নতায় গ্রাস করেছে। শেষে আরও কিছু পড়তে চেয়েছিলাম। সবাই বলে, "মানুষ তার কর্মের ফল একসময় ঠিকই পায়।" সত্যিই কি তাই? শ্রেয়াসের চিঠিটা হৃদয়বিদারক! আহারে, ভালোবাসা!

      By Atiqur Rahman

      29 Apr 2025 09:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ #তুই_আরেকটু_আনমনে_থাক . জনপ্রিয় লেখক সুস্মিতা জাফরের সামাজিক রোমান্টিক জনরার বই “তুই আরেকটু আনমনে থাক” বের হয়েছে নয়া উদ্যোগ পাবলিকেশন্স থেকে। উপন্যাসটিতে দুইটি সময়ের গল্প পাশাপাশি বলা হয়েছে। একদিকে যেমন মেডিক্যালের ছাত্রী লাবনী ও তার প্রেমিক পুরুষ আবিরের কাহিনী চলছে, তেমনি অন্যদিকে ডাক্তার পিয়েতা ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শ্রেয়ান সালমানের কাহিনীও সমান তালে এগিয়েছে। অনেক কষ্ট, সংগ্রাম করে, নিজের পরিবারের মতের বাইরে গিয়ে সিনেমার জগতে প্রতিষ্ঠিত হয় সালমান আখন্দ, হয়ে উঠে আজকের শ্রেয়াস সালমান। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শ্রেয়াস সালমান যাকে ভালোবাসে; সেই মেয়েটি ছাড়া পুরো দুনিয়ার অসংখ্য সুন্দরী রমণী তার জন্য পাগল! কেন? কী সমস্যা পিয়েতার? মেডিক্যালে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয় লাবনী ও আবিরের। বিয়ের পর থেকেই আবির কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করে লাবনীর সাথে। শ্বশুরবাড়ির সবাই আন্তরিক হলেও, এখানে ঠিক স্বস্তি পায় না লাবনী। কিন্তু কেন এই অস্বস্তি? একটা মানুষের সাথে যতদিনের সম্পর্কই থাকুক না কেন, দুইজন এক ছাদের নিচে না থাকা পর্যন্ত একজন আরেকজনকে বুঝতে, চিনতে পারে না। “তুই আরেকটু আনমনে থাক”ও সেরকম দুইজন মানুষকে নিয়ে লেখা গল্প। একজন মানুষের মধ্যে কত বিচিত্র ধরণের চিন্তা-কুচিন্তা, কার্যকলাপ থাকতে পারে, আর তা চাপা দেওয়ার জন্যও কত কিছু করতে পারে, তা এই বই পড়লে জানা যাবে। এছাড়াও লাবনী-আবির ও পিয়েতা-শ্রেয়ানের মধ্যকার সম্পর্ক কি, সেটাও জানা যাবে “তুই আরেকটু আনমনে থাক” বইটি পড়লে। সুস্মিতা জাফরের লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। তার লেখা ছোট গল্প অতুলনীয়। উপন্যাসেও তার দক্ষতা কম নয়। এই উপন্যাসটি ভালো লেগেছে। আর সুস্মিতা জাফরের গল্পের ট্রেডমার্ক “আনএক্সপেক্টেড টুইস্ট”, সেটাও আছে এই গল্পে। গল্পটা বেশি বড় না। একবসায় পড়ে ফেলা যায়। আমার কাছে “তুই আরেকটু আনমনে থাক” ভালো লেগেছে। . বইঃ তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখকঃ সুস্মিতা জাফর প্রচ্ছদঃ সাদিত উজজামান প্রকাশনীঃ নয়া উদ্যোগ পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯২

      By tan****com

      28 Apr 2025 10:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম কি দোষ দিবে তাতে? মানুষ প্রেমে পড়লে বা কাউকে ভালোবাসলে তার প্রতি দূর্বল হয়ে যায়, এটাই স্বাভাবিক আমাদের জীবনে। নিজের ভালোবাসার মানুষের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করা আমাদের সমাজের মেয়েদের একটা দূবর্লতা। দুনিয়ার সবাই যদি তাঁর ভালোবাসার মানুষের বিপক্ষেও যায় মেয়েরা কখনো তা বিশ্বাস করে না, বরং অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে সে তার ভালেবাসার মানুষয়ের পাশে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এই অন্ধ বিশ্বাস ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করে। অন্ধ বিশ্বাসের পর্দা যখন তাঁদের চোখ থেকে সরে যায় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়, তখন আর কিছুই করার থাকে না। এমনই এক গল্পের কথা বলবো আজ। লাবনী নামের একটি মেয়ের প্রণয় থেকে পরিণয়ের গল্প এবং তার পর ধোঁকা! প্রেম করে অনেকে ধোঁকা খায় এটা স্বাভাবিক কিন্তু বিয়ের ধোঁকা, এই ব্যাপার টা ঠিক হজম হয় না তাই না? তাঁর পরেও প্রায়ই এমন ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে কিন্তু এইসব ঘটনার আসল কারণ আমরা জানি না কখনো জানতেও চেষ্টা করি না। আজকে এমন এক ঘটনার সাথে পরিচিত হই চলেন। লাবনীর ভালেবাসা এবং বিয়ের পর ভয়ং*কর সত্যির মুখোমুখি হয়ে লাবনীর জীবন কেমন হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত তার জীবনে কি বা ঘটেছিল? তা জেনে আসি চলেন, গল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা শুরু করার যাক তাহলে। কাহিনী সংক্ষেপ : প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল লাবনীর। বিয়ের পর পরই হোস্টেলে চলে আসতে হয় তাকে। হাসবেন্ডের সাথে দেখা হয় সপ্তাহান্তে বা দুই সপ্তাহ অন্তর। ক্লাস আর পরীক্ষার ভিড়ে কখনো কখনো সেটা হয়ে যায় মাসে, দুই মাসে একবার। লাবনীর শ্বশুরবাড়ি পুরোনো হলেও; বেশ বনেদি আর টিপটপ করে গোছানো। বিয়ের পর, কলেজের ছুটিতে বাসায় এলে অদ্ভুত সব ঘটনার মুখোমুখি হতে থাকে মেয়েটি। এক সকালে বাড়ি ফিরে এক অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখে আ*তংকে চোখ ঠিকরে বের হয়ে আসতে চায় তার অক্ষিগোলক। "তুমি এ অসময়ে এখানে কী করছো?" শাশুড়ির অস্তিত্ব টের পেতেই সাঁই করে পেছনে ঘাড় ঘোরালো লাবনী! তার মানে তিনি সবকিছু আগে থেকেই জানতেন? কিন্তু কী সেটা? বাসর রাত থেকেই লাবনী খেয়াল করেছিল, তার প্রতি তার হাসবেন্ড আবিরের আগ্রহ যেন বেশ অনেকটাই কম! নবদম্পতির সম্পর্ক যেমন উচ্ছ্বল প্রেমে ভেসে যাওয়ার কথা; সেরকমটা অনুভব করতে পারছিল না সে। নানান টালবাহানায় দিন কেটে যাচ্ছিল। অথচ বিয়ের আগে তো এমনকিছু টের পায়নি সে! শাশুড়ির আচরণও কেমন যেন রহস্যজনক। এর মাঝেই একদিন কনসিভ করে লাবনী। আর তার পর পরই বেরিয়ে আসে সত্য কাহিনি। ওদিকে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শ্রেয়াস সালমান যাকে ভালোবাসে; সেই মেয়েটি ছাড়া পুরো দুনিয়ার অসংখ্য সুন্দরী রমণী তার জন্য পাগল! কেন? কী সমস্যা পিয়েতার? সে কেন শ্রেয়াসকে বার বার ফিরিয়ে দিচ্ছে? পিয়েতার সাথে কি লাবনীর কোনো যোগসংযোগ আছে? থাকলেও কি সেই সংযোগ জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে "তুই আর একটু আনমনে থাক" বইটি। পাঠপ্রতিক্রিয়া : " তুই আর একটু আনমনে থাক" বইটি রোমান্টিক জনরার মনে হলেও বইটিতে ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজের লুকিয়ে থাকা সত্য। রোমান্টিকতার ছোঁয়ায় সামাজিক বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক বইটিতে। আমাদের এই প্রজন্মে প্রেম অনেক সস্তা হয়ে গেছে, সেই জন্য এখন মানুষের মধ্যে প্রেমের প্রতি তেমন শ্রদ্ধা দেখা যায় না। মানুষ অনায়াসে নিজের প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ঠকাতে পারে কোনো রকম অনুসূচনা বা আক্ষেপ ছাড়াই । "তুই আর একটু আনমনে থাক" বইটিতে লেখক আমাদের সমাজের এই করুণ বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, যেখানে বিয়ের পরও স্বামী তাঁর স্ত্রীকে দিনের পর দিন ঠকিয়ে চলেছে। লেখক সুস্মিতা জাফরের লেখার হাত ভালো,তাঁর গল্প বলার ধরণ আমার খুব ভালো লাগে। তাঁর বেশ করেকটি ছোট গল্প পড়া হয়েছে, তারঁ লেখা উপন্যাস এই প্রথম পড়লাম। ছোট গল্পের মতো উপন্যাসেও তিনি তাঁর সেরাটা দিয়েছেন। শব্দচয়ন, বচনভঙ্গি, লেখনশৈলী চমৎকার লেগেছে। বইটি পড়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছি সেই সাথে বিয়ের প্রতিটা চমক দারুণ ভাবে উপভোগ করেছি। সমাজের বাস্তবতা সম্পর্কে জানার জন্য চমৎকার একটি বই। রিকমেন্ড করবো বইটি পড়তে। প্রচ্ছদ : বইয়ের প্রচ্ছদটা খুব সুন্দর হয়েছে,প্রচ্ছদে বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে। নামের সাথে প্রচ্ছদের দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে মানিয়েছে। প্রচ্ছদের কালার কম্বিনেশন খুবই সুন্দর হয়েছে। এক কথা নজরকারা একটি প্রচ্ছদ। প্রোডাকশন কোয়ালিটি : বইয়ের বাঁধাই সুন্দর হয়েছে, কোথাও কোনো কমনি রাখেনি প্রোডাকশনে। পড়ার সময় প্রতিটি পৃষ্ঠা সুন্দর মতো খুলে পড়া গেছে, কোনো সমস্যা হয়নি। বইয়ের বানানে তেমন ভুল ছিলো না তবে নামের মধ্যে একটু গড়মিল চোখে পড়েছে। পিয়েতা লাবনী নাম দুটিতে একটু ভুল ছিলো। প্রোডাকশন কোয়ালিটি টপনচ লেগেছে। বই : তুই আর একটু আনমনে থাক লেখক : সুস্মিতা জাফর প্রকাশনী : নয়া উদ্যোগ পৃষ্টা : ৯২

      By Farhana Tabassum

      11 Apr 2025 04:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ #তুই_আর_একটু_আনমনে_থাক #সুস্মিতা_জাফর রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম ★পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গল্প টা তিনটি চরিত্রের জীবনে স্ট্রাগল করার গল্প । শ্রেয়াস, পিয়েতা আর লাবণীর। গল্প টা শ্রেয়াসের অভিনেতা হওয়ার পেছনের গল্প, পিয়েতার ডাক্তারি আর পারিবারিক জটিলতার, লাবণীর ভালোবাসার মানুষের থেকে প্রতারিত হওয়ার আর ডাক্তার হওয়ার গল্প। শ্রেয়াস একজন অভিনেতা। ছোট বেলায় মা কে হারিয়েছে। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল নায়ক হবে। কৈশোরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে নাটক করত। কিন্তু বাবা আর পরিবারে অন্যরা তার এই স্বপ্ন পূরণ হতে রাজি নয়। তবুও সে তার জিদে অটল। নায়ক সে হবেই। একজন সফল অভিনেতা হয়ে দেখাবে। একদিন নায়ক হবার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার জন্য সে বাড়ি ছাড়ে। সেখানে গিয়ে পড়ে আরেক বিপদে। তারপর একদিন সাফল্য তার হাতে ধরা দেয়। কেউ আর আটকাতে পারে না তাকে। সকলের প্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠে শ্রেয়াস সালমান। সবার প্রিয় শ্রেয়াস সালমান পিয়েতা নামের এক ডক্টরের প্রেমে পড়ে। পিয়েতা গল্পের প্রধান চরিত্রে রয়েছে। পেশায় একজন ডক্টর। একদিন পিয়েতার পেশেন্ট হিসেবে ভর্তি হয় শ্রেয়াস। প্রথম দেখাতেই পিয়েতার প্রতি মুগ্ধ হয়। আস্তে আস্তে ভালোবাসায় পরিণত হয় সেটা। যেভাবেই হোক পিয়েতাকে তার চাই৷ কিন্তু পিয়েতা তার জীবনে কাউকে জড়াতে চাই না। সে ভয় পাই তার অতীত কে। মানসিক অশান্তিতে ভোগে অতীত ভেবে। কি সেই অতীত? শ্রেয়াস কি পারবে পিয়েতাকে তার নিজের মনের রানী করে রাখতে নাকি পিয়েতা তার থেকে দূরে সরে যাবে? পিয়েতা কি শ্রেয়াসকে ভালোবাসতে পারবে তার অতীত কে ভুলে? লাবনী গল্পের আরেকটি চরিত্র। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় আবির নামের এক যুবকের সাথে প্রণয়ে জড়ায়। অতঃপর বিবাহ নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর মুখোমুখি হয় এক অজানা সত্যির। যেটা জানার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে মেয়েটা। হঠাৎ একদিন জানতে পারে সে মা হতে চলেছে। মেয়ে হওয়ার কিছুদিন পর সেই সত্যিটার পেছনের আরেক সত্য জানতে পারে। আবির তার ভালোবাসার মানুষ তাকে ঠকাচ্ছে। প্রতারণা করেছে তার সাথে। সত্য টা জানার পর মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আরেক জীবন সংগ্রাম। মেডিকেল লাইফ শেষ করে ডাক্তার হয়ে উঠে। আচ্ছা আবির কি এমন প্রতারণা করলো লাবনীর সাথে যার কারণে লাবনী দূরে সরে এলো। সত্যি টা কি অনেক ভয়ংকর যা মেনে না নেওয়ার মতোন! লাবনী আর পিয়েতার মাঝে এক অদ্ভুত যোগসূত্র রয়েছে। কি এমন সম্পর্ক রয়েছে তাদের মাঝে! গল্পের শেষের দিকে এসে একটা টুইস্ট। আমি তো চমকে গিয়েছিলাম। শেষের দিকে হালকা তথ্য জানার পর একটু অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু শেষে এসে এভাবে লেখিকা চমকে দেবে ভাবতে পারিনি। চমকটা কি জানতে চান? সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়ুন ❝তুই আর একটু আনমনে থাক❞ বইটি। ~ ★চরিত্রঃ ★শ্রেয়াসঃ গল্পের প্রধান চরিত্র। পুরো গল্পে এই চরিত্র টাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। জীবনে অনেক বাধা বিপত্তির পর সে তার স্বপ্ন পূরণে সাফল্য হয়েছে। শ্রেয়াস অনেক শক্ত প্রকৃতির ছেলে। শত বাধাও তাকে টলিয়ে রাখতে পারেনি। ★পিয়েতাঃ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা স্ট্রোক করার পর নিজের ডাক্তারি জীবনের অল্প আয় দিয়ে পুরো সংসার টাকে সামলানোর চেষ্টা করে। ★লাবনীঃ এই চরিত্র টাও ভালো লেগেছে। ভালোবাসার মানুষের থেকে প্রতারিত হওয়ার পরও নিজেকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে দেয়নি। খুব সুন্দর ভাবে নিজেকে সামলিয়ে নিজের সাফল্যে পৌঁছায়। এছাড়াও গল্পে ফারহানা আহমেদ, শাহেদ আহমেদ, শফিক সাহেব, আয়েশা আক্তার, (জেরিন, সিনথিয়া, মিতু - লাবনীর বান্ধবী ওরফে রুমমেট) আরও অন্যান্য চরিত্র রয়েছে। প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ~ ★মতামতঃ বইটি যত পড়েছি যত পৃষ্ঠা উল্টেছি তত বইটির গভীরে চলে গিয়েছি। খুবই চমৎকার লেগেছে বইটা। লেখিকার লেখনী খুবই সাবলীল ভাবে লেখা। তবে বইটা আরও একটু বড় হলে আরও তৃপ্তি পেতাম পড়ে।

      By Faiza Habib

      10 Mar 2025 11:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই:তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখিকা:সুষ্মিতা জাফর দারুণ মাথাব্যাথার মধ্যে মন ভালো করার জন্য বই পড়তে শুরু করলাম।বই পড়তে পড়তে গল্পের চরিত্রগুলোর মাঝে এতটাই বুধ হয়েছিলাম যে মাথা ব্যাথা কখন পালিয়ে গিয়েছে নিজেই জানতে পারি নি। গল্পের শুরুতে দেখা যায় দেশের একজন হার্ট থ্রুব নায়ক তার প্রেমিকার সাথে কিছুটা সময় কাটাতে মরিয়া যেন।প্রেমিকা একজন ডাক্তার যার পেশা হচ্ছে প্রচন্ড ব্যস্ততার। গল্পের আরেক অংশে দেখা যায় সদ্য দাক্তারিতে ভর্তি হওয়া একটি মেয়ে লাবণী।প্রতিদিনের আইটেম আর হোস্টেলের নানা কর্মচাঞ্চল্যের মাঝে একটু মুক্তির নি:শ্বাস প্রেমিক আবির।হোস্টেলের প্রেম থেকে চটজলদি বিয়ে আর বিয়ে পরবর্তী জটিলতায় ঘিরে থাকা তার জীবন।গল্পের দুই চরিত্রের মাঝে দারুণ এক মিল হলো দুজনকেই জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত,কষ্ট,বঞ্চনা,প্রতারণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে,কিন্তু দুজনই ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। নিজের মেধা দিয়ে সব বিপদকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে আপন পথে।দুই মেরুর দুটি মানুষকে প্রকৃতি এক সুঁতোয় কি বাধঁতে পারবে? গল্পটাতে একটা মারাত্মক বিষয় লেখিকা আলোচনা করেছেন তা হলো পর্ণোগ্রাফির প্রতি আসক্তি ও তার কুপ্রভাব।পর্ণগ্রাফিতে যা দেখায় তার অনেকটাই ক্যামেরার কারসাজি।কিন্তু তা দেখে অনেকেই নানা রকম ফ্যান্টাসিতে ভোগে আর তার দরুণ পা বাড়ায় পাপের পথে।কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণে যা হারাম ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।এই বিকৃত রুচির নেশা মানুষকে নিজের বিবেক বুদ্ধি থেকে দূরে ঠেলে দেয়।যার পরিণতি অনেক ক্ষেত্রেই বাবুনীর মতো সন্তানদের বয়ে বেড়াতে হয়। গল্পটি পড়তে গিয়ে একজন ডাক্তারের নিজের পেশার যে নেতিবাচক দিক আছে তাও দেখতে পাই।জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যে ডাক্তার হয় ভগবানতুল্য সে ডাক্তারকেই কসাই, চামার বলতে আমাদের মুখে আটকায় না।ডাক্তারি পেশা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক উচ্চমানের হলেও আর্থিক ও সামাজিক যে টানাপোড়েন তাদের দেখতে হয় তা সমাজের আর দশটা পেশার মানুষকে দেখতে হয় না।মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের সন্তানদের ডাক্তার বানানোর যে স্বপ্ন তা যে কতোটা কন্টকময় তা কি কেউ বুঝে? গল্পের প্রতিটা চরিত্র নিজের মধ্যে থাকা বিবেককেই যেন নাড়া দিয়ে যায়।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!