User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#বই_রিভিউ বই: অন্তরিন লেখক: ফারজানা ইয়াসমিন প্রকাশনী: চলন্তিকা প্রচ্ছদ: মোঃ সাদিতউজজামান মলাট মূল্য: ২২০৳ পাঠ অনুভূতিঃ 'অন্তরিন' একটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসিকা। সম্পর্ক, মানসিক অবস্থা, সমাজ সবকিছুর মিলে এটি একটি দারুণ গল্প। লেখকের লেখা অনেক গভীর। সংলাপ, বর্ণনা, মানসিক টানাপোড়েন খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এই বইটা পড়লে পাঠক একদম ভিন্ন স্বাদ পাবে। অন্তরিন বইটি মানুষের মনোজগতের অভিযাত্রা। যারা মনস্তাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটি একটি চমৎকার বই। কাহিনীর গভীরতা এতো বেশি একবার পড়লে বুঝে ফেলা কঠিন মনে হবে। ভাষা ও বর্ণনা জটিল মনে হলেও লেখক চমৎকারভাবে সব তুলে ধরেছেন। মানুষের মানসিক অবস্থা নিয়ে লেখকের বিশ্লেষণ অনেক প্রশংসনীয়। গল্পের চরিত্ররাঃ গল্পের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হলো নাজলা ও রায়হান দম্পতি। নাজলা: একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত নারী। যার ভিতরে - বাহিরের দ্বন্দ্ব, সুখ-দুঃখের ভারসাম্যহীন। অন্তরের টানাপোড়েন বহিঃপ্রকাশ। বাস্তবতার সঙ্গে তার লড়াই পাঠকের মনে দাগ কাটবে। রায়হান: গল্পের অন্যতম জটিল চরিত্র। তাকে আদর্শ স্বামী ও পিতা মনে হলেও কাহিনির সাথে তার চরিত্রের বিভিন্ন রুপ উম্মোচিত হয়। রায়হানকে মানব মনের রহস্যময়তা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
◑বই পরিচিতি : ▪️নাম : অন্তরিন ▪️লেখক : ফারজানা ইয়াসমিন ▪️জনরা : মনস্তাত্ত্বিক ▪️প্রচ্ছদ : মো. সাদিতউজ্জামান ▪️প্রকাশনী : চলন্তিকা সম্প্রতি পড়ে শেষ করলাম ফারজানা ইয়াসমিনে লেখা "অন্তরিন" বইটি। মনস্তাত্ত্বিক ঘরনার ছোট্ট এই উপন্যাসিকাটি তথ্যবহুল লেখার পাশাপাশি পাঠকমনে কৌতূহলের সৃষ্টি করবে। মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসিকার স্বাদ : ফারজানা ইয়াসমিনের লেখা "অন্তরিন" এক অনন্যসাধারণ মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসিকা, যা পাঠকের মনে ধাঁধার সৃষ্টি করে। উপন্যাসটি পড়তে শুরু করার পর প্রথম দিকে গল্পের গতি ও প্রবাহ বোঝা কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু সামনের দিকে এগুলে লেখার প্রকৃতি স্পষ্ট হতে শুরু করে। গল্পের বিন্যাস এবং লেখকের উপস্থাপনার ভঙ্গি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, পাঠককে ধীরে ধীরে চরিত্রগুলোর জটিল মনস্তাত্ত্বিক স্তরে নিয়ে যায়। গল্প ও চরিত্র বিশ্লেষণ : প্রথমে মনে হতে পারে এটি কয়েকটি ছোটগল্পের সমাহার, কিন্তু পাঠক যখন এগিয়ে যান, তখন উপলব্ধি করেন গল্পটি আসলে একটি সুসংগঠিত ও গভীর মনস্তাত্ত্বিক কাহিনি। নাজলা চরিত্রটি শুরুতে কিছুটা রহস্যময় মনে হলেও, গল্পের পরতে পরতে তার ব্যক্তিত্ব ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন পাঠককে ভাবনায় ফেলে দেয়। রায়হান চরিত্রটি একইভাবে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যা কাহিনির গভীরতা বাড়িয়ে তোলে। লেখক তার চরিত্রগুলোর মানসিক জটিলতা খুবই দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন, যা বইটির অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। লেখনশৈলী ও ভাষার ব্যবহার : ফারজানা ইয়াসমিনের লেখা সাবলীল এবং বর্ণনাগুলো এতটাই বাস্তবসম্মত যে, পাঠক খুব সহজেই চরিত্র ও পরিস্থিতির সাথে সংযোগ অনুভব করতে পারেন। বইটিতে তথ্যবহুল কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা পাঠকদের চিন্তার খোরাক জোগায়। লেখকের দ্বিতীয় বই হয়েও তাঁর লেখনশৈলী যথেষ্ট পরিণত এবং পরিশীলিত। প্রকাশনা ও প্রচ্ছদ : "অন্তরিন" বইটি প্রকাশ করেছে চলন্তিকা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন জনপ্রিয় প্রচ্ছদশিল্পী মো. সাদিতউজজামান। প্রচ্ছদটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর, যা বইটির মূল ভাবনার সঙ্গে চমৎকারভাবে মানানসই। বইয়ের পৃষ্ঠা বিন্যাস, মুদ্রণ ও বাঁধাইও বেশ উন্নতমানের, যা পাঠকের জন্য আরামদায়ক পাঠপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। শেষ কথা : একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের উপন্যাসিকা হওয়া সত্ত্বেও "অন্তরিন" পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং মানুষের মানসিক অবস্থা, সম্পর্কের জটিলতা এবং বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। যারা মনস্তাত্ত্বিক জনরার বই পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো পাঠ্যসঙ্গী হবে। ফারজানা ইয়াসমিনের ভবিষ্যৎ লেখাগুলোর জন্যও পাঠকের কৌতূহল থাকবেই।
Was this review helpful to you?
or
★বই পরিচিতি : বই : ❝অন্তরিন❞ লেখক : ফারজানা ইয়াসমিন প্রকাশনী : চলন্তিকা প্রকাশক : রাশেদ রানা জনরা : মনস্তাত্ত্বিক ★পাঠ সংক্ষেপ : ❝অন্তরিন❞ এক ধরনের আবেগময় ও দার্শনিক গল্প, যা পাঠকের মনস্তাত্ত্বিক উপলব্ধিকে নাড়া দেয়। বইটি একটি সম্পর্কের গভীরতা, বিচ্ছেদ, অভিমান এবং আত্মপরিচয়ের সন্ধানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্রের ভেতরে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং তার জীবনের অনিশ্চয়তা গল্পটিকে গভীর ও হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, যেখানে তাকে ভালোবাসা, বিশ্বাস, স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। সম্পর্কের জটিলতা ও মানসিক সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি গল্পজুড়ে চমৎকারভাবে আঁকা হয়েছে। ★মূল থিম ও বিষয়বস্ত : ❝অন্তরিন❞ কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং এটি এক গভীর জীবনবোধের কাহিনি। লেখক সম্পর্কের সূক্ষ্ম অনুভূতি, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন এবং সময়ের প্রবাহে সম্পর্কের বিবর্তনকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ★উপন্যাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক : ?প্রেম ও বিচ্ছেদ : ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পায়, আবার কখনো তা অপূর্ণ রয়ে যায়। এই অপূর্ণতার মধ্যেও থাকে এক ধরনের সৌন্দর্য, যা গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। ?অন্তর্দ্বন্দ্ব ও আত্মসন্ধান : গল্পের মূল চরিত্র নিজের অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় এবং জীবনের লক্ষ্য নিয়ে গভীর এক অনুসন্ধানে নামে। ? স্মৃতি ও নস্টালজিয়া : অতীতের স্মৃতি, সম্পর্কের ওঠা নামা এবং অনুভূতির রেশ গল্পে বারবার ফিরে আসে। ?সমাজ ও বাস্তবতা : ব্যক্তিগত সম্পর্কের সঙ্গে সমাজের কাঠামো এবং বাস্তবতার টানাপোড়েন কীভাবে একে অপরকে প্রভাবিত করে, তাও উঠে এসেছে। ★চরিত্র বিশ্লেষণ : ◉ প্রধান চরিত্র : গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি এমন একজন, যার মানসিক জগৎ খুবই সংবেদনশীল। তার অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক ও স্বপ্নগুলো তাকে কখনো আনন্দ দেয়, কখনো যন্ত্রণা দেয়। সে জীবনের বিভিন্ন মোড়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয় এবং তার অতীতের স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়ায়। এই চরিত্রের গভীরতা ও বহুমাত্রিকতা গল্পের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। তার উপলব্ধি, দুঃখ, আকাঙ্ক্ষা ও অভিমান প্রতিটি অধ্যায়ে নতুন মাত্রা যোগ করে। (প্রধান চরিত্রের নাম উল্লেখ করবোনা, বই পড়লেই জানতে পারবেন!) ◉ পার্শ্বচরিত্রসমূহ : গল্পের অন্যান্য চরিত্রগুলোও বেশ শক্তিশালী। তারা কেবল কাহিনির গতি বাড়ানোর জন্য নয়, বরং মূল চরিত্রের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু চরিত্র ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি, কেউ বা বাস্তবতার নির্মমতা, আবার কেউ অভিমান ও বিচ্ছেদের রূপকে উপস্থাপন করে। ★ভাষাশৈলী ও লেখার ধরন : লেখক ❝ফারজানা ইয়াসমিনের❞ লেখার ধরন খুবই সংবেদনশীল, রোমান্টিক এবং গভীর ভাবনার প্রতিফলন ঘটায়। ভাষা সহজ হলেও সংলাপগুলো দার্শনিক ও আবেগময়, যা পাঠকের মনে দাগ কাটে। লেখকের বর্ণনার ধরণ চিত্রাত্মক এবং অনুভূতিনির্ভর, যা প্রতিটি দৃশ্যকে জীবন্ত করে তোলে। গল্পে ব্যবহৃত সংলাপগুলো স্বতঃস্ফূর্ত এবং সংবেদনশীল। মাঝে মাঝে সংলাপগুলো কাব্যিক হয়ে ওঠে, যা গল্পের আবেগকে বাড়িয়ে তোলে। লেখকের শব্দচয়ন এবং বাক্যগঠনও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ★বইয়ের ভালো দিক : ?গভীর আবেগময় কাহিনি : সম্পর্কের সূক্ষ্ম অনুভূতি ও জটিলতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ?শক্তিশালী চরিত্রায়ণ : প্রধান চরিত্র ও পার্শ্বচরিত্রদের মনস্তত্ত্ব খুব সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ?শৈল্পিক ভাষা ও কাব্যিক সংলাপ : গল্প বলার ধরন অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং আবেগঘন। ?দার্শনিক গভীরতা : শুধুমাত্র প্রেমের গল্প নয়, বরং আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও জীবনবোধ নিয়েও লেখক আলোচনা করেছেন। ?স্মৃতি ও বাস্তবতার টানাপোড়েন : অতীতের স্মৃতি কীভাবে বর্তমানকে প্রভাবিত করে, তা চমৎকারভাবে দেখানো হয়েছে। ★বইয়ের কিছু লাইন : ? সংসারই মাইয়া লোকের শেষ কথা, ভালো মাইয়া মানুষ কোনোদিন সংসার ছাড়ে না, মাটি কামড়াইয়া পইড়া থাকে'। ?আম্মা আস্তে আস্তে হেঁটে আসে কবর থেকে,বয়ান করে 'সংসারই মাইয়া লোকের শেষ কথা,বেশি বোঝা মাইয়া মাইনসের কোনদিন সংসার হয় না। ★পাঠপ্রতিক্রিয়া : ❝অন্তরিন❞ কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি স্মৃতি, বিচ্ছেদ, আত্মপরিচয় এবং জীবনের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা একটি আবেগঘন উপন্যাস। যারা সংবেদনশীল এবং দার্শনিক গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি অবশ্যই একটি ভালো বই। যদিও বইটির প্রথম দিকে গল্পের প্লট ধরতে পারা মুশকিল। শুরুতে একটু কঠিন মনে হবে কিন্তু পড়তে পড়তে যখন গল্পের ধারা বুঝে যাবেন তখন খুব ভালো লাগবে আশা রাখি। এছাড়াও বইয়ের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং অতি চমৎকার হয়েছে। তেমন কোনো বানান ভুল চোখে পড়েনি, পড়তে বেশ আরাম লেগেছে। আর সব মিলিয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে বইটি। যদি আপনি ভালোবাসা, সম্পর্কের গভীরতা এবং জীবনের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে চান, তাহলে ❝অন্তরিন❞ বইটি অবশ্যই আপনার পছন্দের তালিকায় থাকা উচিত এবং সংগ্রহ করে পড়া উচিত। ⭐ রেটিং: ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#অন্তরিন "দাঁড়িপাল্লায় তুলে দিলে নাজলার সুখ দুঃখের ওজন, সুখের দিকটাতেই কাত হয়ে পড়বে, আর এসবের কারণেই কিনা এক _আধটার বদলে শেষ পর্যন্ত নাজলা মুখে পুড়ে দেয় না মুঠো ভর্তি ঘুমের ওষুধ, সিলিং এ ওড়না বারবার ঝুলিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত ঝুলিয়ে দেয় না নিজেকে। " ? ফারজানা ইয়াসমিনের "অন্তরিন" একটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসিকা, যা পাঠকদের মনের গভীরে প্রবেশ করে মানব মনের জটিলতা ও সম্পর্কের দ্বন্দ্ব উন্মোচন করে। অন্তরিণ ইতিহাস ও সাহিত্যের সংযোগস্থলে এক মনস্তাত্ত্বিক উপাখ্যান। ? পরিচিতি ও জনরা: বইটিতে মানবিক সংকট, আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান ও ইতিহাসের ছায়া একসঙ্গে মিশে গেছে। উপন্যাসটি মূলত রহস্য, দুঃখ-বেদনা ও ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে রচিত। এতে মানবচরিত্রের জটিলতা এবং অতীতের ঘটনার বর্তমান জীবনে প্রভাবকে গভীরভাবে অনুধাবন করা হয়েছে। "পুঁজিবাদের পেটের মধ্যে বাস করে সে বলে সাম্যের কথা, শ্রেণীবৈষম্যের সব দেয়াল সে ধসিয়ে দিতে চায়, দাঁড় করাতে চায় সব মানুষকে এক কাতারে, হয়ে উঠতে চায় ধরিত্রীর যোগ্য সন্তান, মানবতার ফেরিওয়ালা। " ?কাহিনি অন্তরিনের : গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নাজলা ও রায়হান দম্পতি। নাজলা একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত নারী, আর রায়হান তার স্বামী, যিনি শুরুতে যত্নশীল ও দায়িত্বশীল হিসেবে উপস্থাপিত। কিন্তু শেষটায়? "রায়হান কী সেই হিসাব মেলাতে শোকেস থেকে রায়হানকে নামিয়ে অংক খাতায় তুলতে হয়, ডকের অংক ;ক্রমানুসারে তুলতে হবে : স্বামী রায়হান, বাবা রায়হান ভালো রায়হান, মন্দ রায়হান অচেনা রায়হান, ব্যাশ্যা রায়হান... " নাজলা ও রায়হানের বিবাহিত জীবন বাইরে থেকে সুখী মনে হলেও, নাজলার মানসিক অসুস্থতা ও রায়হানের রহস্যময় আচরণ তাদের সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। গল্পের অগ্রগতির সাথে সাথে রায়হানের চরিত্রের ভিন্ন দিক উন্মোচিত হয়, যা পাঠকদেরকে চমকপ্রদ করে। লেখক বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনার উল্লেখের মাধ্যমে কাহিনিকে সমৃদ্ধ করেছেন, যা গল্পের প্রেক্ষাপটকে আরও গভীরতা প্রদান করে। আর্নেস্তো চে গুয়েভারা, নূর হোসেন, সিদ্ধার্থ, বুদ্ধের গৃহত্যাগ, নেলসন ম্যান্ডেলার শাসনামল, জুলাইয়ে গনঅভ্যুত্থান এইসকল বিষয়ের কিছু ঝলকও ফুটে উঠেছে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে। যার ব্যাখ্যা পাঠকদের খুঁজে নিতে হবে। ? চরিত্র অন্তরিনের নাজলা: একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত নারী, যার মানসিক সংগ্রাম ও বাস্তবতার সাথে তার দ্বন্দ্ব পাঠকদের সহানুভূতি অর্জন করে। "মৃত মানুষের স্মৃতি নিয়ে কেউ যদি চায় গোটা এক জীবন কাটিয়ে দিতে পারে তবে একে মহত্ব না বলে, ইচ্ছা বলা চলে। " রায়হান: শুরুতে একজন আদর্শ স্বামী ও পিতা হিসেবে উপস্থাপিত হলেও, গল্পের শেষে তার চরিত্রের অন্য দিক প্রকাশ পায়, যা সম্পর্কের জটিলতা ও মানব মনের রহস্যময়তা তুলে ধরে। " নারীদের শুধু শরীরসর্বস্ব মানুষ মনে করার মানসিকতা তৈরিতে আমাদের নাটক- সিনেমা, গল্প -উপন্যাসের অবদান কম না। " ? পাঠ প্রতিক্রিয়া: "অন্তরিন" উপন্যাসিকাটি মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা ও সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে রচিত, যা পাঠকদের মনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে। লেখকের ভাষা সহজ বলব না তবে প্রাঞ্জল, যা পাঠকদেরকে গল্পের সাথে সংযুক্ত রাখে। নাজলা ও রায়হানের সম্পর্কের উত্থান-পতন, এবং ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ গল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও ভাবপ্রবণ করে তুলেছে। এটি একটি তথ্যবহুল ও কৌতূহলোদ্দীপক উপন্যাসিকা, যা মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। অন্তরিণ" শুধুমাত্র একটি কাহিনি নয়, এটি ইতিহাস ও মানুষের মনোজগতের এক আকর্ষণীয় অভিযাত্রা। যারা রহস্য, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত সাহিত্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য। ❌ কিছু ভুল : বইটিতে খুব বেশি চোখে পড়ার মতো ভুল ছিলো না। তবে তিনটি পৃষ্ঠায় ১০,২৮, এবং ৩৩ এগুলোতে ২ টো টাইপো ও একটি শব্দ জোড়া লেগে গেছে। তবে এতে গল্প পড়তে কোন অসুবিধা মনে হয়নি। তবে ভবিষ্যতে লেখাগতি ও কাহিনির সাথে আরও গভীর সংযোগ রাখতে পারলে ভালো হবে।