User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
? আয়নামহল – একটা থমথমে, নীরব আতঙ্কের গল্প। এই বইটা শেষ করেও কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে বসে ছিলাম। মোঃ মেহেদী রহমানের "আয়নামহল", যা ২০২৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত, সোজা কথায় বললে এমন একটা গল্প, যা আমরা সবাই একটু-আধটু শুনেছি, কিন্তু হয়তো ঠিক এভাবে অনুভব করিনি। গল্পটা সরাসরি “সত্য ঘটনা” না হলেও, পুরোটা জুড়ে একটা “বাস্তব” ঘ্রাণ আছে—গ্রামের অচেনা গলি, সামাজিক টানাপোড়েন, সম্পর্কের জটিলতা—সবকিছু মিলিয়ে একটা বিশ্বাসযোগ্য অথচ অস্বস্তিকর বাস্তবতা। এই বইটা পড়তে পড়তে মাঝেমধ্যে মনে হয়েছে, "এই ঘটনা তো পাশের গ্রামে হতেই পারত… কিংবা আমাদের বাড়ির সামনে।" এই রকম অনুভব খুব কম বই-ই দিতে পারে। লেখার স্টাইল একেবারে আটপৌরে, কৃত্রিম বুদ্ধিদীপ্ত গদ্যের ঝাঁঝ নেই—তবুও কোথাও একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি করে রাখে। দ্রুত টুইস্ট নেই, কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি গল্পের ভেতরে আটকে যান। ? যারা বাস্তবঘেঁষা ক্রাইম ফিকশন বা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পছন্দ করেন—যেখানে গল্পের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় পরিবেশ, পরিস্থিতি, আর মানুষজনের মনোজগৎ—তাদের জন্য “আয়নামহল” একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত। শেষে একটা কথাই বলব—এই বইটাকে গল্প হিসেবে না পড়ে “ঘটনা” হিসেবে পড়ুন। তাহলে ঠিকভাবে অনুভব করতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
boi ta onek valo legeche. kokhono ato valo triller boi pori nai. boi ta shesh na kora porjonto sharakhon boita kae niya vaba lage. mone hoe allah shamne ki hobe? ata kno holo?; jodi murder mystery poshondo koren obosshoi niben
Was this review helpful to you?
or
বই: আয়নামহল ✍️ লেখক: মোঃ মেহেদী রহমান ? ধরন: বাস্তবভিত্তিক ক্রাইম থ্রিলার ? প্রকাশনা: পেন্সিল পাবলিকেশনস ⭐ সারসংক্ষেপ: "আয়নামহল" একটি থ্রিলারধর্মী উপন্যাস যা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু নামক এলাকায় সংগঠিত একটি বাস্তব ও মর্মান্তিক অপরাধ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, এবং পরবর্তীতে তার মৃতদেহ উলঙ্গ অবস্থায় গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি উপন্যাসটির মূল উপজীব্য। ? রিভিউ ও বিশ্লেষণ: ✒️ লেখার স্টাইল: মেহেদী রহমানের লেখার ভঙ্গিমা সরল, কিন্তু তীক্ষ্ণ। তিনি চিত্রনাট্যধর্মী ভাষা ব্যবহার করে পাঠককে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। বর্ণনা এতটাই জীবন্ত যে পাঠক যেন কল্পনায় পুরো ঘটনাটিই অনুভব করতে পারে। ? বিষয়ের গভীরতা: উপন্যাসটি শুধু একটি অপরাধ কাহিনি নয়—এটি সমাজের এক ভয়াবহ চেহারার প্রতিফলন। লেখক কেবল হত্যা বা ধর্ষণের ভয়াবহতা দেখাননি, বরং দেখিয়েছেন কীভাবে বিচারহীনতা, রাজনৈতিক চাপ, এবং সামাজিক উদাসীনতা একত্রে একজন মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ? চরিত্রচিত্রণ: ভুক্তভোগী ছাত্রী: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র, যার জীবনের করুণ পরিণতি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা/সাংবাদিক/আইনজীবী: এসব চরিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক বিচারপ্রক্রিয়ার নানা স্তরকে উপস্থাপন করেছেন। দর্শক চরিত্ররাও (পাঠকের মত) একপ্রকার সক্রিয় ভূমিকা রাখে, কারণ তারা ঘটনাগুলোর নৈতিক ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়। ? সাহিত্যিক মূল্য: যদিও এটি একধরনের থ্রিলার, তবুও এর সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতা একে আরও গভীর করে তোলে। এটি শুধু "কে অপরাধী?" বা "কি ঘটলো?" এই প্রশ্নে সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রশ্ন তোলে—"আমরা কীভাবে এমন সমাজে বাস করছি?" ? বইয়ের ভালো দিক: বাস্তবঘটনার ভিত্তিতে লেখা, তাই পাঠকের সঙ্গে সহজেই সংযোগ ঘটে। টানটান উত্তেজনায় ভরা। সমাজ ও ন্যায়বিচার নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলে। সাংবাদিকতা ও তদন্তের প্রক্রিয়াও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ? দুর্বলতা (সম্ভাব্য): যারা হালকা ধাঁচের থ্রিলার খোঁজেন, তাদের জন্য কিছুটা ভারী হতে পারে। বাস্তব ঘটনা হওয়ায় কিছু পাঠক মানসিকভাবে অস্বস্তিকর অনুভব করতে পারেন। ? উপসংহার: “আয়নামহল” নিছক একটি থ্রিলার নয়—এটি একটি সামাজিক প্রতিবাদ। লেখক যেন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের সমাজের বিকৃত রূপটিই তুলে ধরেছেন। যে পাঠক সমাজ, ন্যায়বিচার, এবং মানবিকতা নিয়ে ভাবেন, তাদের জন্য এটি এক অনবদ্য পঠন।
Was this review helpful to you?
or
"কবরস্থান গেইটের সামনের একটা গাছে মেয়েটাকে খুন করে উলঙ্গ অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখছে। গাছের চারপাশে মোমবাতি, আগরবাতিসহ বিভিন্ন হাবিজাবি জিনিস পড়ে আছে। দেখে মনে হয় মেয়েটাকে বলি দেওয়া হয়েছে।..........." বাকিটা আর লিখার সাহস পেলাম না সোশ্যাল মিডিয়াতে। এটা কি ক্রাইম নাকি বীভৎসতার চরমাংশ। একজন অপরাধী অপরাধ করার সময় নিশ্চয়ই তার মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। শক্ত মনের মানুষ হলেও মনের উপর নিয়ন্ত্রণ হয়তো করা সবসময় সম্ভব হয় না। কিন্তু এ যেন নিখুঁতভাবে করে যাওয়া কোনো এক গর্হিত খারাপ কাজ, যার হদিস করতে গিয়ে পুলিশও গোলকধাঁধায় আটকে যায়। পাঠ প্রতিক্রিয়া: “আয়না মহল” বইটিকে এক কথায় বলা যায়, পারফেক্ট ক্রাইম-মিস্ট্রি থ্রিলার। এছাড়াও রোমান্টিক কিছু বিষয় ছিল যা বেশ ভালো লেগেছে আমার। উপন্যাসের নায়ক ওয়াসি, উফফ... এত দারুণ একটা ক্যারেক্টার আমিই ওর উপর ক্রাশ খেয়েছি। ইভেন এখনো যেন চোখের সামনে প্রতিচ্ছবি ভাসছে। সবকিছু যেন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। অনেকদিন পর তৃপ্তি নিয়ে কোনো থ্রিলার উপন্যাস শেষ করলাম। কে যে ভিলেন এটা Guess করতে করতে মাথাটা ৪৪০ ভোল্টের শক খেয়ে গিয়েছিল। তবে লেখক যে কাজটি করে সফল হয়েছেন, তা হচ্ছে পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে। নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া : কিছু Objectionable শব্দের ব্যবহার আমার একদম ভালো লাগেনি। উপন্যাসটাতে ১৮+ শব্দের ব্যবহার না করলেও সুন্দর হতো তাহলে সবার পড়ার উপযোগি হতো। শেষ হয়েও যেন হলো না শেষ, মনে হলো গল্পের মাঝেও গল্প থেকে গিয়েছে, সেই গল্পের রেশ ধরে লেখক চমকের পর চমক দিয়ে গিয়েছেন। আচ্ছা এটার কি ২য় পার্ট আসবে?