User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সার সংক্ষেপ : সুলতানপুরে হঠাৎ করেই মেয়েরা গায়েব হতে থাকে। প্রথম শাহেদ এর ক্লাসের লাবনী এরপর একই স্কুলের আরও দুটি মেয়ে। লাবনী হারিয়ে যাওয়ার পরেই রাশেদ এর সাথে ঘটে ভয়ংকর এক ঘটনা। এরপর থেকেই পালটে যেতে থাকে সবার জীবন। রাশেদ লাবনীর হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেনা। সে খুজতে থাকে এর পিছনের রহস্য। পাঠ -প্রতিক্রিয়া : হুমায়ুন আহমেদ যেমন গল্পের মাঝে প্রিয় বা কেবলই একটি চরিত্রকে ভালো লাগতে শুরু করেছে অই সময়ই টুপ করে তাকে মেরে ফেলবে। মানে কি বলবো! তেমনি শরীফুল হাসান। লেখকরা কেন যে আমাদের ইমোশন নিয়ে খেলা করে বুঝি না। যখনই সুন্দর কোনো মুহুর্ত আসে তখনই এমন কিছু ঘটে যার জন্য এত খারাপ লাগে। লেখকের আরেকটা সুন্দর, বিষাদময় উপন্যাস শেষ করে মন খারাপ করে বসে আছি। পুরো উপন্যাস জুড়েই ছিলো একটা বিষাদের আবহাওয়া। এক মুহুর্তের জন্যও সেখান থেকে বের হতে পারিনি। প্রত্যেক চরিত্র ছিলো যার যার জায়গায় অসাধারণ। এই বইয়ে কিন্ত প্রথম থেকেই একটা রহস্য আছে, যেই রহস্যের সমাধান মেলে একদম শেষে গিয়ে। যার জন্য আপনাকে বইটা পড়তে বাধ্য করবে। এইবার আসি চরিত্র নিয়ে। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষই তো থাকে, সবাইকে দেখে কি বোঝা যায় কে কেমন? কার মনে কি আছে। বাইরে থেকে মনে হয় মানুষটা কি ভালো কিন্ত যখনই তার ভিতরের খবর জানবেন তখন অবাক হয়ে যাবেন। বইটা ভালো মানুষের আড়ালে নোংরা উদ্দেশ্য পূর্ণ করার এক কাহিনী। শাহেদ: এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। খুবই সাধারণ একটা ছেলে। সবার সাথে সহজে মিশতে পারে না। তার আলাদা একটা জগত আছে। একদিন তার ক্লাসের এক মেয়ে হারিয়ে যাওয়ায়, সেই মেয়ের বাবা তাকে সন্দেহ করায় সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই তার জীবনে পরিবর্তন চলে আসে। কি ঘটেছিলো তার সাথে! অতীতের সেই ঘটনা সে ভুলতেই পারে না। রুনু: আরেকটি সুন্দর, মেধাবী এক মেয়ে। বাবা-মা মারা যাওয়ায় চলে আসে দাদু-দিদার কাছে। এখানে এসে পরিচয় হয় রাশেদ এর সাথে। তার সাথে শাহেদের ভালোই বন্ধুত্ব হয় কিন্ত একটি ঘটনা সব মোড় পালটে দেয়। বিশ্বজিত: ছোট থেকেই সে পছন্দ করে রুনুকে। তাই সবসময় তার পাশে থাকতে চায়। প্রথম দিকে এর জন্য মায়াই লেগেছে কিন্ত একটি ঘটনার পর রাগ উঠেছিলো । লাবনী : পুরো উপন্যাস জুড়েই এই মেয়েটার ছায়া ছিলো। হারিয়ে গিয়েও একজনের মাথার ভিতর সবসময় ছিলো। আরও ছিলো অনুপম,জয়ন্ত,সোমা এদের সাথে কার কি সম্পর্ক? কি এমন অতীত আছে এদের। সবশেষে শরীফুল হাসানের আরেকটি দুর্দান্ত উপন্যাস এটি। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। প্রতিটা চরিত্রকে নিয়ে আপনি ভাবতে বাধ্য হবেন। আর লেখকের লেখনী সম্পর্কে আর কি বলবো। তবে লেখকের কাছে অনুরোধ এরকম বই প্রত্যেক বছর না হোক,, এক বছর গ্যাপ করে হলেও এরকম বই আরও চাই। রেটিং: ৫/৫ বই: আশ্চর্যময়ী,তোমাকে লেখক: শরীফুল হাসান প্রকাশনী: অন্যধারা প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ২০২৫ পৃষ্ঠা : ৪১৬
Was this review helpful to you?
or
"আশ্চর্যময়ী, তোমাকে" – এক বিষণ্ণ বিস্ময়ের আখ্যান।' শরীফুল হাসান' এর এই উপন্যাস প্রেমের চিরচেনা কাঠামো ভেঙে নির্মাণ করেছে এক বিমূর্ত আবেগের বাস্তবতা। এখানে 'তোমাকে' কোনো চরিত্র নয়—একটি অনুভব, একটি অনির্বচনীয় অভিমান, কিংবা অস্তিত্বের গভীরতম স্তরে লুকিয়ে থাকা এক ‘অচেনা চেনা’। উপন্যাসটি যতটুকু বলা, তার চেয়ে বেশি না-বলা। সংলাপের শূন্যতা এখানে প্রতিধ্বনির ভারে পূর্ণ। 'আশ্চর্যময়ী' কেবল নাম নয়, এটি এক প্রতীকি রহস্য, যা বাধ্য করে নিজেকেই খুঁজে নিতে, হারাতে এবং আবার আবিষ্কার করতে। এই উপন্যাস পড়ে মনে হয়—কোনও কোনও ভালোবাসা আসলেই একরকম বিস্ময়, যাকে নাম দেয়া যায় না।
Was this review helpful to you?
or
সার সংক্ষেপ : সুলতানপুরে হঠাৎ করেই মেয়েরা গায়েব হতে থাকে। প্রথম শাহেদ এর ক্লাসের লাবনী এরপর একই স্কুলের আরও দুটি মেয়ে। লাবনী হারিয়ে যাওয়ার পরেই রাশেদ এর সাথে ঘটে ভয়ংকর এক ঘটনা। এরপর থেকেই পালটে যেতে থাকে সবার জীবন। রাশেদ লাবনীর হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেনা। সে খুজতে থাকে এর পিছনের রহস্য। পাঠ -প্রতিক্রিয়া : হুমায়ুন আহমেদ যেমন গল্পের মাঝে প্রিয় বা কেবলই একটি চরিত্রকে ভালো লাগতে শুরু করেছে অই সময়ই টুপ করে তাকে মেরে ফেলবে। মানে কি বলবো! তেমনি শরীফুল হাসান। লেখকরা কেন যে আমাদের ইমোশন নিয়ে খেলা করে বুঝি না। যখনই সুন্দর কোনো মুহুর্ত আসে তখনই এমন কিছু ঘটে যার জন্য এত খারাপ লাগে। লেখকের আরেকটা সুন্দর, বিষাদময় উপন্যাস শেষ করে মন খারাপ করে বসে আছি। পুরো উপন্যাস জুড়েই ছিলো একটা বিষাদের আবহাওয়া। এক মুহুর্তের জন্যও সেখান থেকে বের হতে পারিনি। প্রত্যেক চরিত্র ছিলো যার যার জায়গায় অসাধারণ। এই বইয়ে কিন্ত প্রথম থেকেই একটা রহস্য আছে, যেই রহস্যের সমাধান মেলে একদম শেষে গিয়ে। যার জন্য আপনাকে বইটা পড়তে বাধ্য করবে। এইবার আসি চরিত্র নিয়ে। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষই তো থাকে, সবাইকে দেখে কি বোঝা যায় কে কেমন? কার মনে কি আছে। বাইরে থেকে মনে হয় মানুষটা কি ভালো কিন্ত যখনই তার ভিতরের খবর জানবেন তখন অবাক হয়ে যাবেন। বইটা ভালো মানুষের আড়ালে নোংরা উদ্দেশ্য পূর্ণ করার এক কাহিনী। শাহেদ: এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। খুবই সাধারণ একটা ছেলে। সবার সাথে সহজে মিশতে পারে না। তার আলাদা একটা জগত আছে। একদিন তার ক্লাসের এক মেয়ে হারিয়ে যাওয়ায়, সেই মেয়ের বাবা তাকে সন্দেহ করায় সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই তার জীবনে পরিবর্তন চলে আসে। কি ঘটেছিলো তার সাথে! অতীতের সেই ঘটনা সে ভুলতেই পারে না। রুনু: আরেকটি সুন্দর, মেধাবী এক মেয়ে। বাবা-মা মারা যাওয়ায় চলে আসে দাদু-দিদার কাছে। এখানে এসে পরিচয় হয় রাশেদ এর সাথে। তার সাথে শাহেদের ভালোই বন্ধুত্ব হয় কিন্ত একটি ঘটনা সব মোড় পালটে দেয়। বিশ্বজিত: ছোট থেকেই সে পছন্দ করে রুনুকে। তাই সবসময় তার পাশে থাকতে চায়। প্রথম দিকে এর জন্য মায়াই লেগেছে কিন্ত একটি ঘটনার পর রাগ উঠেছিলো । লাবনী : পুরো উপন্যাস জুড়েই এই মেয়েটার ছায়া ছিলো। হারিয়ে গিয়েও একজনের মাথার ভিতর সবসময় ছিলো। আরও ছিলো অনুপম,জয়ন্ত,সোমা এদের সাথে কার কি সম্পর্ক? কি এমন অতীত আছে এদের। সবশেষে শরীফুল হাসানের আরেকটি দুর্দান্ত উপন্যাস এটি। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। প্রতিটা চরিত্রকে নিয়ে আপনি ভাবতে বাধ্য হবেন। আর লেখকের লেখনী সম্পর্কে আর কি বলবো। তবে লেখকের কাছে অনুরোধ এরকম বই প্রত্যেক বছর না হোক,, এক বছর গ্যাপ করে হলেও এরকম বই আরও চাই। রেটিং: ৫/৫ বই: আশ্চর্যময়ী,তোমাকে লেখক: শরীফুল হাসান প্রকাশনী: অন্যধারা প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ২০২৫ পৃষ্ঠা : ৪০৮
Was this review helpful to you?
or
◾বই : আশ্চর্যময়ী, তোমাকে ◾লেখক : শরীফুল হাসান ◾প্রকাশনী : অন্যধারা ◾পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪১৬ "আশ্চর্যময়ী—তুমি কোথায়?'' তুমি কি আছো সময়ের পারে, নাকি হারিয়ে গেছো আঁধারের দ্বারে? স্মৃতির সুরে বাজে তব নাম, অপেক্ষা জানে শুধু অবিরাম! ?কাহানি সংক্ষেপ: "আশ্চর্যময়ী, তোমাকে" শরীফুল হাসানের একটি সামাজিক থ্রিলার, যেখানে আলো, অন্ধকার, প্রেম, বিকৃতি এবং মানব মনের জটিলতার গল্প বলা হয়েছে। উপন্যাসের পটভূমি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৫ সালের মফস্বল শহর সুলতানপুর, যেখানে একের পর এক মেয়ে রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যেতে থাকে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রৌদ্রময়ী সেন (রুনু), যার বাবা নিরুদ্দেশ ও মা মৃত। সে তার দাদু-দিদার কাছে বেড়ে ওঠে এবং স্কুলে পরিচিত হয় শাহেদ নামের এক কিশোরের সঙ্গে, যে নিঃসঙ্গ কিন্তু অসাধারণ স্কেচ আঁকতে পারে। তাদের সহপাঠী লাবণী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়, এবং এরপর আরও কয়েকজন মেয়ে হারিয়ে যেতে থাকে। শাহেদ নিজেকে লাবণীর নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষারোপ করে এবং তাকে খুঁজে বের করার প্রতিজ্ঞা করে। গল্পে একের পর এক রহস্য উন্মোচিত হয়—শাহেদের মামা নিজাম, রুনুর মামা জয়ন্ত, তাদের বন্ধু অনুপম , শাহেদের পরিবারের সাহায্যকারী ফরিদ মামা, কনফেক্শনারি দোকানের বাদল দাস এবং অনুপম জয়ন্তর ছোটবেলার বান্ধবী সোমা চক্রবর্তী, শহরের হারিয়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের অতীত, এবং তাদের পরিবারের ইতিহাস। কখনও দেখা যায় এক হরিণের মুখোশ পড়া রহস্যময় এক ব্যক্তি কে,আবার কখনও কোন এক পাগল, কখনও বা খুঁড়িয়ে চলা কোন ব্যক্তি !! কারা এরা !! লাবণী হারিয়ে যায়, শাহেদ তাকে খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু যে সত্য সে খুঁজছে, তা কি আলো? নাকি এক ভয়ংকর শূন্যতা, নিকষ অন্ধকার ,যা তাকে গিলে খাবে? ?প্রতীক্ষার এক অনন্য চিত্র: গল্পে প্রতিটি চরিত্রের জীবনে অপেক্ষা এক অনিবার্য সত্য হয়ে উপস্থিত হয়েছে। কেউ না কেউ কারো জন্য অপেক্ষারত, সময়ের স্রোতে বাঁধা পড়ে আছে তাদের মন, তাদের জীবন। এই অপেক্ষা শুধু শারীরিক দূরত্বের কারণে নয়, মানসিক ও আবেগিক দ্বন্দ্বের ফলেও। রুনু অপেক্ষা করে শাহেদের জন্য, অথচ শাহেদ ডুবে থাকে লাবনীর স্মৃতিতে। বিশ্বজিৎ চেয়ে থাকে রুনুর দিকে, আর রাহেলা বয়ে বেড়ায় শাহেদের বাবার ফিরে আসার প্রতীক্ষা। অসিত সেনের হৃদয়ে জয়ন্তর ফিরে আসার আকুতি, অনুপমের মনে সোমাকে পাবার বাসনা— এইসব অপেক্ষার অনুভূতি গল্পের আবহকে গভীর করে তোলে। এই অপেক্ষার চক্রে ফরিদ মামার জন্য আসমা মামীও এক অনিশ্চিত প্রতীক্ষায় বন্দী। তার দিন কাটে একটি ফিরে আসার সম্ভাবনায়, যেটা হয়তো কখনোই সত্যি হবে না। প্রেম, ভালোবাসা, অভ্যাস— সবই যেন এক অদৃশ্য বাঁধনে আটকে রাখে মানুষকে অপেক্ষার মরীচিকায়। গল্পের সুরে বেজে উঠে এক অপেক্ষার দর্শন ,না পাওয়ার বেদনা । সময় এগিয়ে চলে, মানুষ বদলে যায়, তবু কিছু অপেক্ষা শেষ হয় না—সেই চিরন্তন সত্যকেই যেন লেখক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ?পাঠপ্রতিক্রিয়া: একটি ভালো গল্প শুধু বিনোদন দেয় না, বরং পাঠকের মনে এক গভীর ছাপ রেখে যায়, তাকে ভাবায় এবং তার চিন্তার জগতে নতুন মাত্রা যোগ করে। "আশ্চর্যময়ী, তোমাকে" ঠিক তেমনই একটি উপন্যাস, যা পাঠককে শুধুমাত্র কাহিনির মোহে আটকে রাখে না, বরং তাকে বাস্তবতা, প্রেম, সমাজ ও আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করায়। এই উপন্যাসের মূল কাহিনি—শাহেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লাবণীর অনুসন্ধান—শুধু একটি ব্যক্তিগত খোঁজ নয়, বরং এটি এক নিখোঁজ সত্যের প্রতীক, যেখানে একজন মানুষ তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে লড়াই করে লড়াই করে, লড়াই করে জানা অজানার সঙ্গে । গল্পের প্রতিটি স্তরে রহস্যের আবরণ ছড়িয়ে রয়েছে, যা পাঠককে কৌতূহলী করে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত এক গভীর প্রতীক্ষার অনুভূতি এনে দেয়। চরিত্রগুলোর গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। শাহেদের মানসিক দোলাচল, রুনুর নীরব প্রতীক্ষা,—সবকিছুই এত জীবন্ত লেগেছে , বিশেষ করে শাহেদ চরিত্রটি বেশ মনে দাগ কেটেছে। ভাষার ব্যবহারও ছিল অনবদ্য। লেখকের বর্ণনাভঙ্গি এতটাই কাব্যময় ও গভীর যে, প্রতিটি অনুচ্ছেদ যেন একটি চিত্রকর্মের মতো অনুভূত হয়। প্রকৃতির বর্ণনা, সময়ের প্রতীকী ব্যবহার, আর সংলাপের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ব্যঞ্জনাগুলো গল্পটিকে শুধু পাঠযোগ্য করে তুলেনি, বরং এক সাহিত্যিক সম্পদে পরিণত করেছে। গল্পে সমাজের এক অন্ধকার দিক ফুটে উঠেছে—বিকৃত মানসিকতার মানুষের উপস্থিতি। কেউ পুরুষ হয়ে পুরুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে, কেউ আবার নিষ্পাপ শিশুদের শরীরের প্রতি বিকৃত মোহ দেখায়। এই ধরনের মানসিকতা শুধু ব্যক্তির নয়, বরং সমাজের ব্যর্থতার প্রতিফলন, যেখানে অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যায়, আর ভুক্তভোগীরা নীরবে কষ্ট সয়ে যায়।গল্পে এসব চরিত্র শুধু আতঙ্ক তৈরি করে না, বরং পাঠককে ভাবায়—এই অসুস্থতা রুখতে আমাদের করণীয় কী? নিছক ভয়ের অনুভূতি নিয়েই থেমে যাব, নাকি পরিবর্তনের পথে এগোব? "আশ্চর্যময়ী, তোমাকে" শুধু একটি গল্প নয়, এটি এক অনুভূতি, এক অভিজ্ঞতা, যা পাঠকের হৃদয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অনুরণিত হয়। এই উপন্যাস আমার মনে একটি জায়গা করে নিয়েছে, যেমন লাবণী হারিয়েও শাহেদের মনে অমর হয়ে থাকে। শরীফুল হাসানের লেখা এই প্রথম পড়লাম এবং আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। তার লেখায় একটা নিজ্বসতা আছে যা খুব সহজেই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখে। ?অন্যান্য: বইয়ের প্রোডাকশন ভালো ছিল আর আমার পড়তেও কষ্ট হয়নি , যদি মেলার শুরুর দিকে অনেকের অভিযোগ দেখেছিলাম কিন্তু আমি ভালো প্রোডাকশন এর টা পেয়েছি। বানানে ভুল ছিল ,কিছু বিশেষণেও ভুল ছিল। বইয়ের প্রচ্ছদটা ছিল চমৎকার। দেখলে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে। গল্পটা একটু স্লো লেগেছে আর কেন জানি সেই সত্তর আশির দশক টা দৃশ্যায়ন করতে কষ্ট হয়েছে। কিছু কিছু বর্ণনায় তো মনে হচ্ছিলো আমি বর্তমান সময়েই আছি । এরকম কিছু ছোট ছোট অসঙ্গতি ছাড়া ভালো ছিল গল্পটা। ?উপসংহার: "আশ্চর্যময়ী তোমাকে" গল্পটি সমাজের নানা রঙের, নানা স্তরের বাস্তবতার এক জটিল চিত্র। এটি একাধারে ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, বিশ্বাসঘাতকতার ও বিকৃত সমাজব্যবস্থার আখ্যান। প্রতিটি চরিত্রই কোনো না কোনোভাবে অপেক্ষার প্রহর গুনেছে—কেউ প্রিয়জনের জন্য, কেউ হারানো সময়ের জন্য, কেউবা এক অসম্পূর্ণ স্বপ্নের জন্য। গল্পে প্রেম আছে, কিন্তু তা নিছক সুখকর নয়; প্রতিশোধ আছে, কিন্তু তা একপাক্ষিক নয়; সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উঠে এসেছে, কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তেমন জোরালো নয়। কিছু চরিত্র স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় বিদীর্ণ হয়, কেউ বা অতীতের অভিশাপ বয়ে চলে। আবার কেউ নিজের দুঃখ নিয়ে নীরব থেকে জীবনকে মেনে নেয়। এই উপন্যাস আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—জীবন কখনো একরেখা নয়, কখনোই সম্পূর্ণ সাদা-কালো নয়। মানুষের মন, তার আকাঙ্ক্ষা, তার সম্পর্কগুলো সবই জটিল, অস্পষ্ট এবং কখনো কখনো ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। গল্প শেষে পাঠক মন এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করে—একটা না-পাওয়ার, অপূর্ণতার অনুভূতি। তবে সেটাই বোধহয় এই উপন্যাসের সার্থকতা, কারণ '' জীবন নিজেই তো শেষ পর্যন্ত এক অসম্পূর্ণ গল্প! ''