User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রবি ভাই ঠিক যেমন বলেছেন জুলাই আগস্টের গল্প যেনো মায়ের কাছে মামাবাড়ির গল্প। কিন্তু তারপর ও সব গল্প কি আমরা জানি? ট্রেন টু ঢাকা আমাদের গল্প, অস্তিত্বের গল্প আমাদের ঐক্যের গল্প। ট্রেন টু ঢাকা আগামী দিনের জন্য ইতিহাসে এক অন্যতম চিহ্ন হয়ে থাকবে। আমরা যারা জুলাই আগস্টের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোদ্ধা তাদের অবদানের কিছু কথা তুলে ধরেছেন লেখক আশীফ এন্তাজ রবি। তার এই প্রচেষ্টার জন্য তাকে অসং্খ্য অভিবাদন ও ভালোবাসা। নিজের গল্পের সাথে সবার গল্প জানতে আজই কিনে ফেলুন "ট্রেন টু ঢাকা"
Was this review helpful to you?
or
আমাদের যাদের বয়স ২০-২৫, একদম শহুরে মধ্যবিত্ত ছেলেপেলে, এই শতাব্দির একদম গোরার দিকে যাদের জন্ম, কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করিনাই, স্কুল-কলেজে থাকতে এই শহরের ধুলোয়, রাস্তায়, মাঠে দুঃখ-আনন্দ, প্রেম, বিরহ, বন্ধুত্বের দিন কাটিয়েছি, আমরা প্রতিদিন নিয়ম করে পত্রিকা পড়িনাই, দেশ নিয়ে আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তুলি নাই, দেশে নির্বাচন আসছে, নির্বাচন গেছে, দেশের ভবিতব্য বা গতিপথ আমাদের কখনোই ভাবায় নাই, আমরা বরং রাত জেগে এল ক্লাসিকো দেখেছি, গ্রুপ ট্যুরে গিয়েছি। আমাদের জীবনে সর্বোচ্চ প্রেমের ব্যর্থতা কাটায় ওঠা, বাবা-মায়ের কিঞ্চিৎ অর্থিক টানাপড়েন বা এলাকায় এর ওর সাথে ঝামেলার বাইরে বলার মত বড় কোনো সংগ্রাম বা লড়াইয়ের গল্প ছিলোনা। আমাদের জীবন এভাবেই যেতে পারত কিন্তু যায়নাই। আমাদের জীবনে গর্ব করার মত সংগ্রামের দুটো গল্প আছে। এক, আঠারোর নিরাপদ সড়ক আন্দোলন আর ২৪ এর ঐতিহাসিক জুলাই গণ অভ্যুত্থান। অনেকে ২৪শের পেছনে হয়তো আঠারোর অবদানকে স্বীকার করতে ভুলে যায়। অথচ বাংলাদেশের স্কুল কলেজের বাচ্চারা সংগ্রাম আর রাজপথের সাথে পরিচিতই হয়েছে আঠারোর হাত ধরে। সে রেশ ধরে চব্বিশেও দেশের সব প্রান্তে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা একযোগে নেমে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ মানুষের সাথে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত বিরল যে জাতীর ক্রান্তিকালে দেশকে ভালোবেসে কোনো দেশের স্কুল আর কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এভাবে একযোগে রাস্তায় নেমে আসে, জীবন দেয়। এই ইতিহাস কীভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানবে জানিনা, বা আদৌ জানবে কীনা ! তবে আশা জাগে যখন রবি ভাইয়ের “ট্রেন টু ঢাকার” মত উপন্যাসে জুলাইয়ের আমাদের যাপিত জীবনের সেই ঐতিহাসিক চিত্রগুলো হুবহু দেখতে পাই। মনে সান্ত্বনা হয়, কেউ তো আমাদের ইতিহাস, আমাদের গল্পটা লিখে রাখছে। রবি ভাই আমার স্কুল আর কলেজের সিনিয়র। তবে তিনি পাশ করে গেছেন বহু আগে। উনার সাথে খুব কাছ থেকে যোগাযোগ থাকার সূত্রে জানি, আমাদের এই প্রজন্মের প্রতি কী গভীর কৃতজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই উপন্যাস লিখেছেন। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ যত্নে গড়া, এই চরিত্রগুলো আমাদের আশাপাশেই ছিল, পুরো জুলাই মাসে এদের আমরা দেখেছি। কাউকে বুক ভরে ভালোবেসেছি, কারও জন্য উজার হয়ে কেঁদেছি কিংবা কারও কথা মনে হলে ঘৃণায় থুথু ফেলেছি। উপন্যাসের প্রতিটি পরতে পরতে এই চরিত্রগুলো এতটা জীবন্তভাবে ধরা দিয়েছে যে, মনে হয় সরাসরি জুলাই সংগ্রামের একজন অংশগ্রহনকারী হয়েও এতটা সুক্ষ্ণ ও নিখুঁতভাবে সেই চরিত্রগুলোকে পড়া হয়নি যতটা রবি ভাই হাজার মাইল দূরে বসে পড়েছেন এবং তাঁর লেখায় তুলে এনেছেন। এই দূরূহ কাজটি তিনি কীভাবে পারলেন তা আমার এখনও জানতে ইচ্ছা হয়, বা হয়তো এটাই একজন অসাধারণ লেখকের বৈশিষ্ট। “ট্রেন টু ঢাকা”- আমাদের লাখ লাখ সংগ্রামী তরুণের জীবনের শ্রেষ্টতম জার্নির গল্প। “ট্রেন টু ঢাকা”- আমাদের জাতীর শুধু নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটে যাওয়া যে অনন্যসাধারণ সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের একটি দলিল। আমাদের সন্তানদের যখন আমরা চব্বিশের জুলাইয়ের গল্প শোনাব মুখে কতটুকু সে রূপকথা তুলে আনতে পারব জানিনা, তবে ট্রুন টু ঢাকাকে নিঃসন্দেহে আমরা প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখব। জুলাইয়ে বেঁচে যাওয়া এবং নতুন করে জীবন পাওয়া আমাদের জুলাইয়ের প্রতি এটাই দায়বদ্ধতা।
Was this review helpful to you?
or
আশীফ এন্তাজ রবির "ট্রেন টু ঢাকা" উপন্যাসটি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি শক্তিশালী সাহিত্যকর্ম, যা ক্ষমতা, ভয় এবং নিয়তির এক জটিল চিত্র তুলে ধরে। উপন্যাসের ভাষা সহজ, সাবলীল, কিন্তু গভীর। লেখক সংলাপ এবং বর্ণনার মাধ্যমে চরিত্রগুলোর অনুভূতিকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। রাজুর চোখ দিয়ে আমরা দেখি কারাগারের অন্ধকার, কারারক্ষীদের আচরণ এবং এক অমোঘ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাওয়া গল্প। বইটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো এর বাস্তবতা ও অনুভূতির বহুমাত্রিকতা। কখনো এটি পাঠককে হতাশ করে, কখনো উদ্বিগ্ন করে তোলে, আবার কখনো হাসতেও বাধ্য করে। রাজনৈতিক পটভূমির সঙ্গে এক ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ গল্পটিকে আরও বেশি তীব্র করে তোলে। যারা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ব্যক্তির মানসিক দ্বন্দ্ব নিয়ে লেখা সাহিত্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য। গল্পটি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত নয়, বরং জীবনের এক কঠিন বাস্তবতাও তুলে ধরে।
Was this review helpful to you?
or
গল্প শোনার জন্য ট্রেনে চড়েছি, এই ট্রেন কোথায় থামবে তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। যতক্ষন ট্রেনে আছি গল্পতো চলবেই !! সেটাইতো লাভ। ট্রেন টু ঢাকা পাঠের পরও থেকে যায় পাঠের রেশ। যারা সেই না জানা গল্প শুনতে অগ্রহী এদিক-ওদিক না ঘুরে ট্রেনে উঠে পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
আমার মতে জুলাই আগস্ট বিপ্লবের উপর লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটা। কেউ যদি এই বইটা পড়ে তাহলে সেই সময়কার পরিস্থিতি ও মানুষের যে কথাগুলো রয়েছে খুবই সুন্দর ভাবে সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক আসিফ এন্তাজ রবি। এই বইটির একটি বিশেষ গুণ হল কেউ এটা পড়া শুরু করলে এক নিঃশ্বাসে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। যদিও খুব সিরিয়াস টপিকের উপর লেখা তাও হিউমার রয়েছে, থ্রিল রয়েছে, সাসপেন্স রয়েছে। বইটা পড়তে পড়তে হঠাৎ অট্টহাসি চলে আবার চলে আসে কান্না। সব মিলিয়ে একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। আমার ইচ্ছে করছে প্রতিটা বাঙালিকে এই বইটা উপহার দেই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
'ট্রেন টু ঢাকা' উপন্যাসটি পড়তে চাইলে প্রথম কাজ হলো স্রেফ ট্রেনে উঠে পরা। এরপর আর কাজ নেই, ট্রেনই আপনাকে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে। জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট লেখা আশীফ এন্তাজ রবির 'ট্রেন টু ঢাকা' বইটি লেখা। এই আন্দোলনের যারা ফ্রন্টলাইনার এবং যারা আন্দোলনের স্পিরিটকে ধারণ করেন তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য। বইটি পড়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে দুটো কথা বলি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্যবার আমার মনের গতিবিধি পথ পাল্টেছে। কখনো একদম গভীর মনোযোগ ডুবে গেছি, কখনো চোখ ছলছল করেছে, খানিকবাদেই আবার ফিক করে মুচকি হেসে দিয়েছি। যতক্ষণ বইয়ের পাতায় চোখএক মূহুর্তের জন্যেও মনোযোগে চিড় ধরেনি৷ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিটি চরিত্র আমাদের পরিচিত। পড়ার সময় তাই একটু চোখ কান খোলা রেখে পড়লে চরিত্রগুলো সহজেই কানেক্ট করা যায়।
Was this review helpful to you?
or
আশীফ এন্তাজ রবি- নামটা আমার ছোটবেলার সাথে জড়িয়ে থাকা একটা নাম। সেই এবিসি রেডিওর সময় থেকে উনার কথা শুনতাম। উনার বই কেনার সুযোগ হয়েছে আরো পরে। উনার প্রথম পড়া বই ছিল, "আমার আছে ফেসবুক।" এরপর আস্তে আস্তে উনার বাকি সব বই আমি পড়েছি। আমি কেবল "ট্রেন টু ঢাকা" পড়ে শেষ করলাম। লেখক এখন আমেরিকা থাকেন, এরপরেও লেখা পড়ে মনে হচ্ছিলো উনি দেশেই ছিলেন। এত সুন্দরভাবে প্রতিটি ঘটনার বর্ণনা সত্যিই অসাধারণ এবং বিস্ময়কর। সবথেকে ভালো লেগেছে গোড়ায় মানুষের অসহায়ত্বের কথা, একটা অজানা ভবিষ্যতের বার্তা। গল্পটা যেমন শুরু হয়েছে নিহিলিস্টিক স্টাইলে, তেমনি একইভাবে শেষ হয়েছে, এবং এটাই এখন বাংলাদেশের বাস্তবতা। আমি লেখককে অনুরোধ করবো লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য, উনার নামের সাথে আমার যেমন ছোটবেলার স্মৃতি আছে, সেভাবে আমার বয়স বাড়ার সাথে সাথেও থাকুক, এটাই কাম্য।
Was this review helpful to you?
or
জুলাই আগস্ট বিপ্লবের এক অনন্য দলিল এই বই।