User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নামটা যতোটা আকর্ষনীয় বইটা ততোটা আকর্ষণীয় লাগেনি। মোটামুটি ধরনের একটা বই, তবে আমি বইটা পড়ার পড়ে চমৎকার শুটকী রেসিপি পেয়ে রান্না করতেও শিখেছি (জোকস এ পার্ট!) লাস্টের টুইস্ট এ কিছু আগ্রহ জন্মাবে পাঠকের মনে নেক্সট পার্ট পড়ার জন্য। ওভার অল মোটামুটি চলে টাইপ বই!
Was this review helpful to you?
or
সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার উপন্যাসের কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্র মিশু ও মালিহার সম্পর্ক এক বিশেষ আবেগ ও মানসিক টানাপোড়েনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। লেখক তাদের সম্পর্ককে বাস্তবিক ও প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের আবেগে নাড়া দেয়। মিশু ও মালিহার সম্পর্কের গভীরতা ধাপে ধাপে প্রকাশ পায়। শুরুতে তারা একে অপরকে বুঝতে ও অনুভব করতে সময় নেয়। তাদের কথোপকথন, মান-অভিমান, আবেগের প্রকাশ এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতা উপন্যাসটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। বিশেষ করে, মালিহার সরলতা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এবং মিশুর আবেগপ্রবণ ও আত্মসংকটের দোলাচল—এই বৈপরীত্য তাদের রসায়নকে অনন্য করে তোলে। উপন্যাসে দেখা যায়, মালিহা শুধু ভালোবাসার মানুষই নয়, বরং মিশুর মানসিক দৃঢ়তারও এক শক্ত ভরসাস্থল। অন্যদিকে, মিশু মাঝে মাঝে নিজের আবেগের সাথে লড়াই করে, যা তাদের সম্পর্কের মাঝে জটিলতা সৃষ্টি করে। কিন্তু এই মানসিক দ্বন্দ্বই তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর ও সংবেদনশীল করে তোলে। লেখক অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তাদের রোমান্সকে গড়েছেন—এটি কখনো সরল, কখনো জটিল, কখনো আবেগে ভরা, কখনো বাস্তবতায় আঘাতপ্রাপ্ত। উপন্যাসের বিভিন্ন অধ্যায়ে তাদের সম্পর্কের বিবর্তন, ছোট ছোট মুহূর্তের সংলাপ, একে অপরকে হারানোর ভয় এবং পুনরায় ফিরে আসার আকুলতা এক অনন্য প্রেমের অনুভূতি সৃষ্টি করে। মিশু ও মালিহার রসায়ন শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং এটি বিশ্বাস, আত্মপরিচয় ও পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন উপন্যাসটিকে পাঠকদের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে দেয়, যা এই উপন্যাসের অন্যতম সেরা দিক।
Was this review helpful to you?
or
সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার উপন্যাসটি নিছক গল্প নয়, বরং এটি এক গভীর মানসিক যাত্রার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু হলো একাকীত্ব, যা চরিত্রগুলোর অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শক্তিশালীভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমত, উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতা একাকীত্বের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ ঘটিয়েছে। লেখক খুব সূক্ষ্মভাবে একাকীত্বের ব্যথা, অতীতের স্মৃতি, এবং বর্তমানের নিরব নিঃসঙ্গতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি এমন এক বাস্তবতা যেখানে মানুষ শারীরিকভাবে সমাজের অংশ হলেও মানসিকভাবে চূড়ান্তভাবে বিচ্ছিন্ন থাকে। দ্বিতীয়ত, নস্টালজিয়া এবং স্মৃতির খেলা উপন্যাসে একাকীত্বের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। প্রধান চরিত্র নিজের জীবনের অতীত অভিজ্ঞতার মধ্যে আটকে থাকে, এবং বাস্তবতার সাথে তার সম্পর্ক ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যায়। এই নিঃসঙ্গতা কখনো আশাহীনতা তৈরি করে, কখনো স্মৃতির আবেগে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তৃতীয়ত, ভাষার সংযম ও গভীরতা উপন্যাসটিকে আরও মর্মস্পর্শী করেছে। লেখকের গদ্যে একধরনের শূন্যতার সুর বাজে, যা পাঠকদের মনে একাকীত্বের বাস্তব অনুভূতি সৃষ্টি করে। বর্ণনার মধ্যেও একধরনের নির্জনতা কাজ করে, যা চরিত্রগুলোর মানসিক অবস্থার সঙ্গে মিল রেখে চলে। চতুর্থত, চরিত্রগুলোর পরস্পরের থেকে দূরত্ব উপন্যাসের নিঃসঙ্গতাকে আরও প্রকট করেছে। সম্পর্কের ভাঙন, ভুল বোঝাবুঝি, এবং নিজেদের মধ্যে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিটি চরিত্র আলাদা এক জগতে বসবাস করে। সারসংক্ষেপে, সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার উপন্যাসটি নিঃসঙ্গতার একটি অনন্য সাহিত্যিক উপস্থাপনা। এটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং মানুষের মানসিক একাকীত্ব ও অস্তিত্বের সংকটের এক সংবেদনশীল চিত্র।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটির জনরা হরর হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে এই গল্পটিতে ড্রামার অবস্থান নেহাত কম ছিল না। স্লো বার্ন ট্রিটমেন্ট ❤️ স্মৃতি, সম্পর্ক এবং জীবনের গভীর অনুভূতির এক অনন্য সংকলন। বইটিতে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের স্মৃতির সংবেদনশীল দিকগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লেখক দক্ষতার সঙ্গে অতীত ও বর্তমানের টানাপোড়েনের গল্প টেনেছেন, যেখানে সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ এবং অতিপ্রাকৃত এক ভিন্ন স্বাদ একসঙ্গে মিশে রয়েছে। এখানে বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট, যা পাঠককে ভাবনায় ফেলে দিবে। চরিত্রগুলোর সংলাপ সহজ, প্রাণবন্ত ও আবেগপূর্ণ, যা তাদের অনুভূতির গভীরতা প্রকাশ করে। লেখকের ভাষাশৈলী আকর্ষণীয়, কাব্যিক ও কখনো কখনো দার্শনিক, যা পাঠকের মনের গভীরে ছোঁয়া দেয়। বইটি আমাদের ব্যক্তিগত স্মৃতি, প্রেম ও বিচ্ছেদের অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি কেবল গল্প নয়, বরং এক ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ, যা পাঠককে তার নিজস্ব জীবনের দিকে তাকাতে বাধ্য করে। এবার এই বইয়ের হরর বা অতিপ্রাকৃত দিক নিয়ে দু'টো কথা বলি। খুব সুক্ষ্ণভাবে চরিত্রায়ন করে শেষের দিকে এসে এমন ভাবে পুরো বিষয়টি পালটে দিয়েছে লেখক যা প্রথম দিকে ধরতে পারা বেশ কঠিন। শুরু থেকে চরিত্রগুলোর সাথে আবেগ মিশিয়ে লেখক পাঠকদের মাঝে এক গভীর মায়ার তৈরি করে দেয় যা শেষের দিকে এসে দক্ষতার সাথে হাড়েহাড়ে খোচা দিয়ে অতিপ্রাকৃত রূপের মাঝ দিয়ে পুশিয়ে আনে। এই বইয়ে হরর এর এক ভিন্ন রূপ অনুভব হয়েছে আমার। হরর মানেই যে গা ছমছমে ভূতেরা এসে ভয় দেখাবে আসলে বিষয়টা কিন্তু এমন না। বাদলা দিনে কালচে আকাশের নিচে লোডশেডিং এর অন্ধকারে বাতাসে জানালার কর্কশ শব্দও কিন্তু একপ্রকার গভীর হরর এর অনুভূতি জোগায় যা এই বইয়ে লেখকের লেখায় বেশ ফুটে উঠেছে। আরেকটা দিক নিয়ে কথা না বললেই নয়, করোনায় টিকা নেয়া মানুষদের অনিদ্রা রোগ নিয়ে লেখক এমন এক রোমাঞ্চকর অবস্থার তৈরি করেছেন যা গল্পে আগামীতে Zombie apocalypse এর মতো কঠিন vibe দিচ্ছে আমাকে, এক কথায় দারুণ..! এই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনায় এর থেকে বেশি কিছু বললে spoiler চলে আসতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসটির দার্শনিক চিন্তাধারা ও হরর উপাদানের ভিন্ন মিশ্রণ আমি বেশ উপভোগ করেছি। এটি কেবল ভয়ের গল্প নয়, বরং অস্তিত্ববাদ, স্মৃতি, এবং বাস্তবতার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান। লেখক আমাদের পরিচিত জগতকে ধীরে ধীরে বিকৃত করে এমন এক বাস্তবতা উপস্থাপন করেন, যেখানে চরিত্ররা নিজেদের অস্তিত্ব ও স্মৃতির সত্যতা নিয়ে সংশয়ে ভোগে। উপন্যাসটি মানুষের মনোজগতের রহস্য উন্মোচন করার পাশাপাশি স্মৃতির প্রভাব, আত্মপরিচয়ের সংকট, এবং অস্তিত্বের মূল প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরে। এটি দার্শনিকভাবে প্লেটোর গুহার রূপকের মতো, যেখানে বাস্তবতা ও বিভ্রমের পার্থক্য অনিশ্চিত হয়ে ওঠে। উপন্যাসটির হরর দিকটি প্রধানত মনস্তাত্ত্বিক আতঙ্কের উপর নির্ভরশীল। এখানে অতিপ্রাকৃতের উপস্থিতি সরাসরি দেখানো না হলেও, চরিত্রদের মানসিক সংকট, অবচেতনের দ্বন্দ্ব এবং বিকৃত বাস্তবতার মাধ্যমে ভয় সৃষ্টির এক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে। লেখক এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছেন, যেখানে পাঠকের মনে ধীরে ধীরে একটি অজানা আতঙ্ক বাসা বাঁধে। দৃশ্যপটের অস্পষ্টতা, চরিত্রদের অনিশ্চয়তা এবং স্মৃতির ধোঁয়াশা একসঙ্গে মিলিত হয়ে এক ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা উপন্যাসটি শেষ হওয়ার পরও পাঠকের মনে গেঁথে থাকে। আমার মতে 'সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার' শুধু একটি হরর গল্প নয়; এটি অস্তিত্বের গভীর প্রশ্ন, স্মৃতির গুরুত্ব এবং বাস্তবতার বিভ্রম নিয়ে রচিত এক দার্শনিক কাব্য। এটি পাঠকের চিন্তাভাবনায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, যা এক উৎকৃষ্ট সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
Was this review helpful to you?
or
সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার উপন্যাসটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং এটি অনুভূতি, স্মৃতি, এবং মানুষের জীবনের গভীর দিকগুলোর এক চমৎকার উপস্থাপনা। লেখকের অনন্য ভাষাশৈলী এবং চরিত্রগুলোর অন্তর্নিহিত মানসিক জগতের বিশ্লেষণ এই উপন্যাসকে একটি ব্যতিক্রমী সাহিত্যকর্ম হিসেবে গড়ে তুলেছে। প্রথমত, উপন্যাসের ভাষাশৈলী ও রচনাশৈলী অত্যন্ত আকর্ষণীয়। লেখক প্রতিটি বাক্যে এমন এক ধরণের সাহিত্যিক আবহ তৈরি করেছেন, যা পাঠকদের ভাবনার জগতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। সংলাপগুলো প্রাঞ্জল এবং জীবন্ত, যা চরিত্রগুলোর স্বাভাবিক আচরণকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে। দ্বিতীয়ত, উপন্যাসের গভীরতা ও থিম অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি শুধুমাত্র একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং মানব সম্পর্কের জটিলতা, আত্ম-অনুসন্ধান, এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের রূপান্তরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। লেখক অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে নস্টালজিয়া, বেদনা এবং আশা-নিরাশার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন। তৃতীয়ত, চরিত্রগুলোর বহুমাত্রিকতা উপন্যাসের অন্যতম সেরা দিক। প্রতিটি চরিত্র বাস্তবিক, মানবিক অনুভূতি ও ত্রুটিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। লেখক তাদের আবেগ, দ্বন্দ্ব এবং মানসিক জটিলতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, যা পাঠকদের সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। চতুর্থত, নেতিবাচক বাস্তবতার সংযোজন এটিকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে। জীবন সবসময় মসৃণ নয়, এবং উপন্যাসটি সে বাস্তবতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। প্রেম, বিচ্ছেদ, সুখ-দুঃখের দোলাচল, সবকিছুই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে,সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এর ভাষাশৈলী, চিন্তার গভীরতা এবং চরিত্রের বহুমাত্রিকতা এটিকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্মরণীয় গ্রন্থে পরিণত করেছে।
Was this review helpful to you?
or
ধীরে সুস্থে জাঁকিয়ে বসার যে ব্যাপার টা, সেটার সমস্ত ম্যাটেরিয়াল নিয়ে এই দার্শনিক কাব্য রচিত হয়ছে। শুরুতে মনে হলো থ্রিলার পড়ছি তার যা বুঝলাম তা হইলো আপাদমস্তক হরর জনরা। তার সাথে সাইকোলজিক্যাল আলাপ সালাপ! আমি খুব কমই বই রিপিট করি কিন্তু এই বই আমাr দুইবার পড়াই লাগছে। আসলে কি ঘটলো কই থেকে ঘটলো কেমনে ঘটলো বোঝার জন্য। এবং প্রথমবারের ন্যায় দ্বিতীয়বারেও আমাকে নিরাশ করে নি 'সুস্বাদু শুঁটকি ভর্তা ও একদল চাটুকার' সোডিয়াম ক্লোরাইড সাহেব নূন,তেল,ঝাল,রসুন,পেঁয়াজ প্রতিটার অত্যন্ত পরিমিত এবং যথাযথ ব্যবহার করেছেন। কোথাওও একটুও পোড়া লাগে নি মোটেই। এবারের বইমেলার প্রথম বই হিসেবে এটা দিয়েই বিসমিল্লাহ করেছিলাম এবং মোটেই নিরাশ করেনি আমাকে?