User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দারুন চেষ্টা ?
Was this review helpful to you?
or
সাইন্স বলতে আসলে কিছুই সবই কমার্স, লাইনটা অনেক ভালো লেগেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কথাটির মিল রয়েছে, যেমন একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, সিজার করার বিষয়টা- এটা আসলে মানুষের ভালোর জন্যই করা হয়েছে, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে মা ও বাচ্চাকে বাচানোর জন্য যেটার উদ্ভাবন, কিন্তু এটাকেই বর্তমানে কিছু অসাধু ডাক্তার ও চিকিৎসকগন অরিরিক্ত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম বানিয়েছেন। যাদের সিজার প্রয়োজন তাদের তো করাবেন ঠিক আছে, কিন্ত যারা আসলে নরমাল ডেলিভারি দিতে পারবে তাদেরকেও বিভিন্ন আজগুবি সমস্যা দেখিয়ে সিজার করাচ্ছেন, এককথা বিজনেস করছেন। বইটি গুনে মানে অনেক ভালো। বইটিতে যে বিষয়ে বলা হয়েছে বাস্তবতার সাথে খুবই রিলেটেবল, এমনও মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে যদি এরকম কিছু হয়, অবাক হওয়ার মত কিছু হবে না। পৃথিবীটা যেরকমভাবে আগাচ্ছে, মনে হচ্ছে সেদিকেই যাচ্ছে। খুবই ভালো বই সতর্কতা হিসেবে। আমি রিভিউয়ার হিসেবে খুবই বাজে আরও অনেক কথা মনে আসতেছে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারছি না। তবে বইটা আরো বড় হতে পারতো আরো ডেটেইলিং সহ, স্যার হয়তোবা বিজি ছিলেন তাই সময় দিতে পারেন নি।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের লাস্ট লাইনটা পড়ার পর একটা শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে এলো- 'ওয়াও'! এটা জাস্ট ওয়াও! 'আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ' এই কথাটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা উন্নত প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রাকে একটা অন্য লেভেলে পৌঁছে দিচ্ছে। একটা সময় মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে মাস কিংবা বছর লেগে যেত৷ কিন্তু এখন মানুষ মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। একসময় মানুষ ভাবতো 'মানুষের প্রজনন' বিষয়ে হয়তো মানুষের করার কিচ্ছু নেই। কিন্তু না; মানুষের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে সেই মানুষ প্রজাতির কিছু মানুষই 'মানব প্রজনন' নিয়ে ঘটিয়ে যাচ্ছে একের পর এক আশ্চর্যজনক আবিষ্কার! মানুষ জেনে যাচ্ছে কীভাবে তার সন্তান মাতৃ জঠরে বেড়ে উঠছে, কীভাবে তার সন্তান জৈব-রাসায়নিক কাজ-কর্ম চালাচ্ছে কিংবা কীভাবে তার সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ হচ্ছে। প্রাকৃতিক সব নিয়ম মানুষের দৃষ্টিগোচরে চলে আসছে একে একে..... প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে দিয়ে যারা সন্তান লাভ করতে পারছেন না তাদের জন্যও বিজ্ঞান ভেবেছে অনেক। এমন অনেক আশ্চর্য আবিষ্কার বিজ্ঞান এনে দিয়েছে যাতে করে নিঃসন্তান মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে। কিন্তু এসব আবিষ্কার কি শুধু হাসি ফুটিয়েই থেমে গেছে নাকি এখানেও পুঁজিবাদের কালো থাবা এসে ভেঙেচুরে ছারখার করে দিয়েছে স্রষ্টা প্রদত্ত প্রাকৃতিক সব নিয়মকে? বিজ্ঞান কি শুধুই কল্যাণ করেছে, অকল্যাণ কিছুই করেনি? স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা করেনি? তাসরুজ্জামান বাবু'র লেখা সায়েন্স ফিকশন 'ইনকিউবেটর' পড়ে আমি জাস্ট স্পীচলেচ হয়ে গিয়েছি। এর আগেও আমি সায়েন্স ফিকশন পড়েছিলাম। মনে হতো সায়েন্স ফিকশন মানে অবিশ্বাস্য সব গাঁজাখুরি গল্প, সময়ের সাথে যেসব কোনোভাবেই রিলেট করতে পারতাম না। মনে হতো লেখকের মনে এসেছে, তিনি লিখে দিয়েছেন, ব্যাস হয়ে গেলো সায়েন্স ফিকশন! কিন্তু এই বইটা পড়ার পর আমার সমস্ত ধারণা অমূলক প্রমাণিত হলো। এত্ত বেশি বর্তমান পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান বৈজ্ঞানিক উন্নতির সাথে এটাকে রিলেট করতে পারছি যে আমার মনে হচ্ছে লেখক এই বইতে সময়ের আগে গিয়ে যেমনটা ভেবেছেন এক্চুয়ালি ২০৫০-৬০ সালের দিকে এমনটাই ঘটবে, লেখক প্রতিটা বিষয় বর্তমান বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ভেবেছেন। মনে হচ্ছে এই গল্প আসলেই একসময় বাস্তব ঘটনায় গিয়ে পৌঁছাবে! বইয়ের চরিত্রগুলোর নামকরণ, ঘটনার বর্ণনা, বাক্যের বিন্যাস এতটা প্রাঞ্জল লেগেছে যে আমি আস্তে আস্তে পড়ছিলাম, যেন বইটা তাড়াতাড়ি শেষ না হয়। বইয়ের প্রধান চরিত্র পনের বছর বয়সী ওমর সুলাইমানকে আমার একজন চমৎকার সাহসী বীর মনে হচ্ছিলো। তার অগ্রযাত্রা, বিদ্রোহ আমি যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম! এই না হলে সায়েন্স ফিকশন! জাস্ট ওয়াও! বইতে কয়েকটা প্রিন্টিং মিস্টেক পেয়েছি, আশা করি লেখক এগুলোর দিকে নজর দিবেন। যারা আমার কাছে কোনো বইয়ের সাজেশন চায়বে তাদেরকে আমি এই বইটা মাস্ট পড়তে বলব! একনজরে- বই: ইনকিউবেটর জনরা: সায়েন্স ফিকশন লেখক: Tasruzzaman Babu সময় প্রকাশন ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Was this review helpful to you?
or
Please review
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বই: ইনকিউবেটর ধরণ: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক: তাসারুজ্জামান বাবু সময় প্রকাশন লেখক তাসারুজ্জামান বাবু'র ইনকিউবেটর সংগ্রহ করেছিলাম ২৬ ফেব্রুয়ারিতে, বইমেলা থেকে। বিরতি দিয়ে তিন দিনে শেষ করেছি বইটা। এর আগে লেখকের দুইটা সায়েন্স ফিকশন "বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স" এবং "প্রজেক্ট হাজার-আল-ফালাসিফাহ" পড়া হয়েছে। #গল্পের_প্লট: গল্পটির ব্যাপ্তিকাল ২০৪০ থেকে ২০৮০ সাল পর্যন্ত। এই অনতিদূর ভবিষ্যতে মাতৃগর্ভে শিশুর জন্ম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পুঁজিবাদ সমাজব্যবস্থায় শিশুর ভ্রূণের বিকাশ হয় ইনকিউবেটরে। এতে সন্তান জন্মদানে অক্ষম পিতা-মাতাও পেয়ে যাচ্ছে বংশের বাতি জ্বালানোর সুযোগ। আবার, শিশু জন্মদানের ক্ষেত্রে থাকছে না কোনো ঝুঁকি। জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে আগেই নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে সন্তানের বৈশিষ্ট্য তথা ভবিষ্যৎ! এরকম সময়ে এক নতুন বিবাহিত দম্পতি সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে এক সিদ্ধান্ত নেয়। তারা স্বাভাবিক নিয়মে অর্থাৎ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তাদের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাবে। কীভাবে তাদের সন্তান ঐ নিষ্ঠুর পৃথিবীতে টিকে থাকে? পুরো সিস্টেমর বিরুদ্ধে কীভাবে তাদের সন্তান (ওমর সোলাইমান) প্রতিরোধ গড়ে তোলে? এরকম ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই "ইনকিউবেটর" সায়েন্স ফিকশন। #সমালোচনা: গল্পে রোমারিও জুলিয়ান দম্পতির কেমিস্ট্রি দুই কথায় অসাধারণ এবং প্রাণবন্ত। লেখক তাসারুজ্জামান বাবু এই কাজটাতে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। এর আগে "প্রজেক্ট হাজার-আল-ফালাসিফাহ" সায়েন্স ফিকশনে গল্পের মূল চরিত্র দুজনের কেমিস্ট্রি মনে রাখার মতো। কিন্তু ইনকিউবেটর গল্পের শেষ বাকি অর্ধেক জুলিয়ান দম্পতির অনুপস্থিতি যেন গল্পের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বাকি অর্ধেক গল্প রসকষহীন হয়ে গেছে। চরিত্রদের সংমিশ্রণের ঘাটতি গল্পের প্রথম অর্ধেকের মতো আকর্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। শুধু এই একটা কারণে রেটিং কম দেব আমি! #রেটিং: ৭/১০ #শেষ_কথা: ইনকিউবেটর সায়েন্স ফিকশন মোট বারটি অংশে বিভক্ত। এই প্রত্যেকটি অংশ/দৃশ্যের যে চরিত্রগুলো রয়েছে, তাদের সংলাপ বা কথোপকথনকে অত্যন্ত সুনিপুণ ও জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। গল্পে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বর্ণনাও অনেক সুন্দর লেগেছে। প্রতিটি অংশের টাইমলাইন গল্পের ধারা বুঝতে সহায়ক হবে। গল্পের সমাপ্তি লজিক্যাল হয়েছে বলা যায়। সব মিলিয়ে ফিকশনটি অনেক উপভোগ্য। ভিন্ন প্রেক্ষাপটে লেখা এই সায়েন্স ফিকশন আপনার চিন্তাভাবনাকে অনুরণন করবে। আরও কিছু তথ্য: পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৬ প্রচ্ছদ লেখক নিজেই করেছেন প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০২৫