User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সাম্প্রতিক সময়ের রাতের ঢাকা শহর একই সঙ্গে মোহময় এবং নির্মম—যেখানে অভিজাত এলাকার হোটেল, নাইট ক্লাব, বার ইত্যাদি হয়ে উঠেছে মধ্যবয়সী বিত্তবান পুরুষদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। আর সেই বাজারের চাহিদা পূরণ করে মফস্বলের অল্পবয়সী, স্মার্ট, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু নারী। মেদহীন এই উপন্যাসে রাতের নগরীর রহস্য উন্মোচিত হয় গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে। সীমান্ত টিভি’র সিইও এহতেশাম খান, আকাশ বাবুল ও নিস্তব্ধ কোলাহল—রাতের ঢাকার আমোদসন্ধানী বিত্তবান মধ্যবয়সী পুরুষ সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে। নোমান হয়তো প্রতিনিধিত্ব করে সেই পুরুষদের, যারা আবেগে জড়িয়ে পড়ে। র্যাপার রাকেশ ও তার পরিচিতজন ও ভক্তরা তুলে ধরে জেন-জি সমাজের একাংশকে। আর প্রিয়া—সে হলো রমণীয়, মোহনীয়, তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবতীদের প্রতিনিধি—যারা শুধু অর্থই চায় না, প্রয়োজনে পুরুষদের হাতের পুতুল বানিয়ে নাচাতেও ভালোবাসে। আর এই সব কিছুর মাঝে আছে ইন্সপেক্টর লাবনী ও তাঁর দক্ষ অলাতচক্র বাহিনী—যারা বুদ্ধিমত্তা ও এআই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সত্য উদঘাটনে তৎপর। সাবলীল গতি, সমসাময়িক থিম, চরিত্রের বাস্তবতা ও রহস্য—সব মিলিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে আটকে রাখতে সক্ষম একটি উপন্যাস। এক কথায়, মধ্যরাতের পরে এক বসায় পড়ে ফেলার মতো একটি ভিন্নধর্মী, সমকালীন, থ্রিলিং উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের তথ্য : শিরোনাম : মধ্যরাতের পরে লেখক : এশরার লতিফ ধরন : রহস্য উপন্যাস প্রকাশনী : Aajob Prokash - আজব প্রকাশ প্রচ্ছদ : এশরার লতিফ পৃষ্ঠা : ১৩৬ প্রকাশকাল : বইমেলা ২০২৫ আপনার কি দারুণ ও ভিন্নমাত্রার এন্ডিং ভালো লাগে? গতানুগতিক ধারার রহস্য উন্মোচনে বিরক্ত হয়ে গেছেন? এবার তাহলে একটু ভিন্ন স্বাদ নিন। বলছিলাম লেখক এশরার লতিফ - এর রহস্য উপন্যাস "মধ্যরাতের পরে" নিয়ে। উপন্যাসের শুরুটা অন্যসব ক্রাইম থ্রিলারের মতোই। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রতিটা ক্রাইম সিনে কমন কিছু চরিত্র থাকে। তবে এটা একটু বেশিই ভিন্ন। কেননা এখানে পুলিশের সরাসরি অবদানের চেয়ে ডিটেকটিভ অফিসারদের অবদান বেশি। আর তাদের একটা চক্রও আছে। যার নাম 'অলাতচক্র'। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো এই চক্রটার নাম সেই ডিটেকটিভ অফিসারদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে। আর লেখক বলেছেন 'অলাতচক্র' নামের একটি সিরিজও রয়েছে। তবে আমি আর কোনো বই পড়ার সুযোগ পাইনি। এটাই লেখক এশরার লতিফ -এর পড়া আমার প্রথম বই। বইটা পড়ার যাত্রা আমার অনেক আরামদায়ক আর উপভোগ্য ছিল। সেটার সবচেয়ে বড় কারণ- আমার সংগ্রহে ক্রাউন সাইজের আরও বই থাকলেও সেগুলো এখনও পড়া হয়নি। প্রথম এটাই পড়েছি। এত কম্ফোর্টেবল ছিল! আর পেইজের কোয়ালিটিও ছিল ভীষণ ভালো। প্রচ্ছদ দেখে মনে হচ্ছে না একটা মেয়ে কী শান্তিতে নিদ্রায় শায়িত? উপন্যাসটির ডিটেকটিভ চরিত্রের একজন ব্যক্তির অনুভূতিটাও এই দৃশ্য নিয়ে এমন ছিল। প্রচ্ছদ যেন কাহিনি সহজ করে দিলো। তবে ক্রিমিনাল বের করা কি আসলেও এতটা সহজ? বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায় ইন্টারনেট সবকিছু যত সহজ করেছে মানুষের ক্রাইম প্রসেসও উন্নত হয়েছে। আসলেই দেশ এগিয়ে গেছে (লেখকের বাক্য ব্যবহার করলাম)। উপন্যাসটি রচিত হয়েছে প্রচ্ছদে ফুটে উঠা মেয়েটিকে নিয়েই। মেয়েটি সাধারণ একটা রিপোর্টার ছিল। রিপোর্টারদের তো শত্রু থাকা স্বাভাবিক। সমাজের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মুখোশ যে উন্মোচন করে। তাদের বুঝি ভয় নেই? হ্যাঁ, মেয়েটা সেই আগুনেই ঝলসে ফেলেছে নিজেকে। তবে, মেয়েটি কি আসলেই এতটা সাধারণ, নিষ্পাপ ছিল? সে কি শুধুমাত্র এই পেশার জন্যই এত করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে? উপন্যাসটি পড়ার পর বোকাবনে যাবেন। এই মেয়েটির বান্ধবীর কাজটা উত্তম ছিল। যদিও আমি এই কাজ সমর্থন করিনা। আমার মনে হয়, মেয়েটির এমন ফিডব্যাক পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে সে যাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে তাদের প্রকাশ্যে এনে শাস্তির বিষয়টা উপন্যাসে উল্লেখ করলে আরও ভালো হতো। স্পয়লার দিবো না বলে স্পষ্ট করলাম না বিষয়টা। যাইহোক, আমার একটা দারুণ জার্নি ছিল। তবে হ্যাঁ, আমিও কিন্তু প্রধান অপরাধী কে আঁচ করতে পেরেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমার ধারণা মিলে গিয়েছিল। কিন্তু, এমন এন্ডিং আমি ভাবিনি। গতানুগতিক ধারার এন্ডিং ভেবেছিলাম। তাই এন্ডিং পড়ে একটু অন্যরকম লেগেছিল। একটা বিষয় স্পষ্ট করি। পৃষ্ঠা সংখ্যা দেখে বইটার দাম প্রথমে বেশি মনে হতে পারে। আমার কাছেও তাই মনে হয়েছিল। কিন্তু যখন প্রোডাকশন কোয়ালিটি, এবং লিখার কোয়ালিটি দেখলাম তখন যথার্থই মনে হয়েছে। প্রাইস শুধু পৃষ্ঠা অনুসারেই হয়না। তার জন্য লেখকের পরিশ্রমও জড়িত। কতটুকু চিন্তাভাবনা ও সময় দিয়ে একটা গল্পকে দাঁড় করাতে হয় সেটা শুধুমাত্র লেখ্ই অনুধাবন করতে পারেন! সেজন্য মূল্যটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে। আরও কিছু রিভিউ-এ উল্লেখ করা যেত। এই যেমন : ফ্ল্যাপ, সারাংশ, চরিত্রের বর্ণনা অথবা স্পয়লারসহ রিভিউ দিয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় এগুলো একজনের রিভিউ-এর অংশ হতে পারে না বা হওয়া ঠিক না। কেননা এগুলো ইচ্ছে করলেই রকমারি থেকে জেনে নেওয়া যায়। ভূমিকা, সারাংশ ইত্যাদি দেওয়ায়ই থাকে। রিভিউ হওয়া উচিত নিজস্ব শব্দচয়নে। প্রকৃতপক্ষেই একজনের কেমন লেগেছে, ভালো-মন্দ অথবা কোনো পরামর্শ এইসব ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত। সবার জন্য শুভকামনা রইল। বইটা সবার জন্যই উপযুক্ত মনে হয়েছে। কেননা এখানে কোনো ভায়োলেন্স নেই,অশ্লীলতার ছোঁয়া নেই আর না কোনো অপ্রয়োজনীয় শব্দচয়ন রয়েছে। তবে সবার যে ভালো লাগবে সেটার নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি না। কেননা সবার পছন্দ এক নয়। সেটা নির্ভর করে কাহিনির উপর, গল্পের থিম এর উপর। প্রচ্ছদও বুঝতে অসুবিধা হবে না কারোর। আর সম্পাদনাও ভালো হয়েছে। আমার কোনো বানান ভুল চোখে পড়েনি। তাই বললাম- যে কারোর জন্য উপযুক্ত। যেহেতু নেতিবাচক কিছুই নেই। হ্যাপি রিডিং। শুভকামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
এশরার লতিফের সাথে পরিচয় ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে উনার লেখা গল্পের মাধ্যমে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে উনার সব লেখা খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছি এবং রকমারি থেকে উনার প্রকাশিত বইগুলোও কিনে পড়েছি। এই ধারাবাহিকতা চলমান, তাই এবারো বইমেলা থেকে "মধ্যরাতের পরে" কিনে পড়ে ফেললাম। উনি এবং "অলাতচক্র" আমাদের হতাশ করেননি, তবে উনার ছোটগল্পগুলোতে যেমন যত্নের ছাপ বা চমক থাকে, উপন্যাসে এসে সেটার কিছুটা খামতি লক্ষ করি, যেন কিছুটা তাড়াহুড়া চোখে পড়ে। তারপরেও সুখপাঠ্য একটি উপন্যাসের জন্য ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
এশরার লতিফ। আমার নতুন পড়ছি এই লেখকের বই। তিনটে বই পড়লাম। উনার লেখনী তো লেখা নয় আসলে চুম্বক। প্রতিটি লাইনে পাঠককে আতকে রাখার বিরল প্রতিভা। মা শা আল্লাহ। অনেক অনেক দোয়া রইলো লেখকের প্রতি। মধ্যরাতের পরে বইটি আমার অসাধারণ ভালো লেগেছে। লেখক আমার এই লেখা আপনার চোখে পড়লে জানবেন আপনার একনিষ্ট ভক্ত হয়ে গেছি আমি। আপাতত তিনটা বই আপনার পড়লাম। বাকি বইগুলোও সংগ্রহে রাখার ইচ্ছে আছে আল্লাহ যদি চাহেন। ধন্যবাদ লেখক, বিরক্তিকর ২৪ ঘন্টার মধ্যে দু ঘন্টাকে অতুলনীয় করবার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আমি বরাবরই এশরার লতিফ ভাইয়ের অলাতচক্র সিরিজের ভীষণ ভক্ত। বইটির সিকুয়েন্স এবং বর্ণনা এত চমৎকার ছিল যে পড়ার সময় প্রতিটি মূহুর্তে মনে হচ্ছিল সবকিছু আমার চোখের সামনেই ঘটছে। নিঃসন্দেহে এই বইটি এশরার লতিফ ভাইয়ের অন্যতম লেখা হতে যাচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ #মধ্যরাতের_পরে . “মধ্যরাতের পরে” জনপ্রিয় লেখক এশরার লতিফের রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরনার উপন্যাস। এটি অলাতচক্র সিরিজের সর্বশেষ উপন্যাস। গল্পের শুরু হয় এক মৃতদেহ নিয়ে। ঠিক মধ্যরাতের পরে নগরবার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার প্রিয়ার নিথর দেহ পাওয়া যায় ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এটা কি খুন, অ্যাকসিডেন্ট নাকি আত্মহত্যা? এ মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনে ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর লাবনীর মাঠে নামে। ইন্সপেক্টর লাবনী ও তার অলাতচক্র টিমের ইনভেস্টিগেশনে বের হয়ে আসে একের পর এক গা শিউরে ওঠা সব তথ্য। রাতের ঢাকা মোহময়, কিন্তু নির্মম। দিনের ঢাকায় যে পুরুষটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, টক শোর হিরো, কবি, সাহিত্যিক, ধর্মবিক্রেতা, কিংবা গায়ক, রাতের ঢাকায় সে-ই হয়ে ওঠে মদখোর, জুয়াড়ি, নারীশিকারী কিংবা ড্রাগস সাপ্লাইয়ার। সামান্য এক স্টাফ রিপোর্টার প্রিয়ার আয়ের উৎস কি? হঠাৎ করে তার ইনকাম বাড়ল কেন? সে কি সত্যিই রঙ্গিলা ক্লাবে রুক্সি, হাই ক্লাস কলগার্ল ছিল? যার জন্য পুলিশ, বিজনেসম্যান, পলিটিকাল লিডার, সাংবাদিক, পাবলিশার, ইঞ্জিনিয়ার - সবাই পাগল। আবার এদিকে সীমান্ত টিভির সিইও এহতেশাম, র্যাপার রাকেশ, আকাশ বাবুল, নিস্তব্ধ কোলাহল – এই বিগ শট গুলোও কি প্রিয়ার মৃত্যুর সাথে জড়িত? মফস্বল থেকে উঠে আসা প্রিয়া কি আগুন নিয়ে খেলছিল আর সেজন্য ওর উপর প্রতিশোধের খড়গ নেমে আসে? নাকি স্রেফ অ্যালকোহল পয়জনিং প্রিয়ার মৃত্যুর কারণ? সব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে পড়তে হবে দুর্দান্ত এই বই “মধ্যরাতের পরে”। ১৩৬ পৃষ্ঠার ক্রাউন সাইজের বইটি একবসায় শেষ করেছি। চমৎকার এই বইটি পড়তে পাঠক এক মুহূর্তের জন্যও বোরড হবে না বলে আমার বিশ্বাস। . বইঃ মধ্যরাতের পরে লেখকঃ এশরার লতিফ প্রকাশকঃ আজব প্রকাশ প্রচ্ছদঃ লেখক প্রথম প্রকাশঃ একুশে বইমেলা ২০২৫ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৩৬
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ মধ্য রাতের পরে ( রহস্য উপন্যাস) প্রতিটি লেখকই লেখার থিম খোঁজে। কোথাও কোন ক্লু পেলেই সেটাকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সৃষ্টি করে নতুন কিছু! তেমনই ঘটেছে লেখকের বেলায়। আন্দোলনের কিছু দিন পর বাংলাদেশের ঢাকাতে মধ্যরাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মেয়ের মৃত দেহ পাওয়া যায়। আমার মনে হয়- লেখক সেই ক্লু থেকেই মধ্য রাতের পরে গল্পটি লিখেছেন। যাই হোক --- প্রিয় লেখক এশরার লতিফের "মধ্য রাতের পরে "এটি অলাতচক্র সিরিজের রহস্য - রোমাঞ্চ ঘরানার উপন্যাস। মধ্য রাতে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এটি কি মার্ডার কেস/ একটা সাসপেক্টেড মার্ডার কেস/ হত্যা নাকি অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ? গল্পটিতে দেখানো হয়েছে -- ঠিক মধ্যরাতে এক্সপ্রেসওয়েতে নগরবার্তার স্টাফ রিপোর্টার প্রিয়ার নিথর দেহ পরে আছে। এতো রাতে প্রিয়া কীভাবে এখানে আসলো! এখানে এনে কি কেউ মেরে ফেলেছে নাকি আগেই মেরে এখানে ফেলে রেখে গেছে! দেশে সবে মাত্র ছাত্র আন্দোলনের পর অভ্যুত্থান হয়েছে। এ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কিছুটা নাজুক। কেউ কি সেই সুযোগটা নিলো পুরোনো কোনো প্রতিশোধ? ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর লাবণি কি পারবে এই রহস্য উন্মোচন করতে? ডিটেক্টিভদের কাজই হচ্ছে অপরাধ কে করেছে সেটা বুদ্ধি খাঁটিয়ে খুঁজে বের করা। ডিটেক্টিভ লাবণি এই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য রীতিমতো ইঁদুর বেড়াল খেলেছেন সেটা মধ্য রাতের পরে পড়লেই বোঝা যায়। আমি যখন উপন্যাসটা পড়ছিলাম - চোখ বন্ধ করলেই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে স্টিট লাইটের নিচে মৃত প্রিয়াকে দেখতে পাচ্ছিলাম। রাতের ঢাকা অত্যন্ত মোহময় কিন্তু নির্মম। যা কল্পনাও করা যায় না তাই ঘটে। দিনের ঢাকায় যে পুরুষটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, টক শোর হিরো, কবি, সাহিত্যিক, ধর্মবিক্রেতা, কিংবা গায়ক, রাতের ঢাকায় সে-ই হয়ে ওঠে ম*দ*খোর, জু*য়াড়ি, কিংবা নারী শি*কারী। আবার বিংশ শতাব্দীর বর্তমানে দাড়িয়ে দেখতে পাই নারীরাও থেমে নেই। বিশেষ করে গ্রাম থেকে পড়তে বা চাকুরী করতে আসা নারীরা বিভিন্ন ধরনের ক্রাইমে জড়িয়ে দ্রুত বা অধিক অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে নেয়। মধ্য রাতের পরে গল্পটির মূল নায়িকা প্রিয়াও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আাসা মেয়ে। ঢাকা শহরে চাকুরী করতে এসে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সাথে এবং প্রেম নামক ছলচাতুরী খেলায়। প্রেমের যাদুকরি ট্রামে ফেলে, তার মনের মতো না চললে ব্লাক মেইল করে অর্থ আদায় করাই তার নেশা এবং পেশায় পরিণত হয়। তাই তো, প্রিয়া ওর কীর্তিকলাপ দিয়ে পুরো পুরুষত*ন্ত্রকে হাতের মুঠোয় রাখতে গিয়ে তারই জবাবে ওদের প্রতি*শো*ধের খ*ড়গ নেমে এসেছে প্রিয়ার উপর! গল্পটি অত্যন্ত চমকপ্রদ আকর্ষণীয়, শেষ না করা পর্যন্ত বইটি ছাড়তে ইচ্ছে করে না। অবশ্য লেখকের প্রতিটি রহস্য গল্পেই এমন চৌম্বকীয় আকর্ষণ থাকে। আমার মনে হয় -যারা "মধ্য রাতের পরে" বইটি পড়বেন প্রত্যেকেরই ভালো লাগবে আশা করি। বইঃ মধ্যরাতের পরে লেখকঃ এশরার লতিফ প্রকাশকঃ আজব প্রকাশ, স্টল ৩৯৮-৩৯৯ সংস্করণঃ ১ম প্রকাশিত, ২০২৫ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৩৬ ২৫% ডিস্কাউন্টে মূল্যঃ ২৬৩ টাকা ধরনঃ রহস্য উপন্যাস বুক রিভিউ -- মাহমুদা মৌ
Was this review helpful to you?
or
আমি যতো গুলো থ্রিলার উপন্যাস পরেছি সেগুলোর মধ্যে লেখক এশরার লতিফ ভাইয়ার বইগুলো সেরা ।অলাতচক্র , শম্পা কী চায় ,আকাশ তামাশা অন্যতম ।" মধ্যেরাতের পরে" নিয়ে যত গুলো লেখা পড়েছি আমি বলতে বাধ্য , এটা সেরা পাঠক প্রিয় উপন্যাস হতে চলেছে ।ভাইয়ার জন্য শুভকামনা । প্রি অর্ডার ডান ।হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় ।