Our User Product Reviews

#রিভিউ রঙ্গনবেলার নালিশ লাবিবা ওয়াহিদ রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম ★কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্প টা সিলেটের শ্রীমঙ্গলের চমৎকার কিছু মানুষদের নিয়ে। চা ঝুমের সদস্যদের নিয়ে। তাদের ভালোবাসা, খুনসুটি, অভিমান, হাসি-কান্না নিয়ে। গল্পের মাঝে কয়েকটি জুটির ভালোবাসার কাহিনী রয়েছে। তবে গল্পের বিশেষ জুটি হচ্ছে শোভন-মায়ানুর। চা ঝুম বাড়িটা পুরোটা কাঠের তৈরি চমৎকার একটা বাড়ি। যেটা শ্রীমঙ্গলের বিশাল চা বাগানের মাঝে অবস্থিত। চা ঝুমের সদস্যরা হচ্ছে - মায়ানুর, কথা, অপ্সরা, তাহিন, অনিক, রাশিদা বেগম, মুহিদ সাহেব, শাকিল সাহেব, মরিয়ম বিবি। মায়ানুর হচ্ছে এই গল্পের প্রধান চরিত্র। মায়ানুর, তন্থা, রিমন তিন বন্ধু। রিমনের বড় ভাই শোভন। যে গল্পের প্রধান চরিত্র। শোভন যে রিমনের ভাই আর মায়ানুর যে রিমনের বন্ধু এটা শোভন আর মায়ানুর জানা সত্বেও কেউ কাউকে কখনো দেখেনি। শুধু রিমনের থেকে বর্ণনা শুনেছে মাত্র। মায়ানুরের নিকট রিমনের বর্ণনা অনুযায়ী শোভন একজন বখা'টে ও গু'ন্ডা টাইপের ছেলে। কিন্তু আসলেই কি তাই! মায়ানুর শোভনের অন্য রকম আচরণ, ব্যবহার দেখেছে। কিন্তু সে জানেনা সেই শোভন। সে তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়। হুট করে মানুষটার প্রেমে পড়ে যায়। তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে। একদিন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে শোভন মায়ানুরকে দেখে তার মায়ার পড়ে যায়। আর সেদিনই সে মায়ানুরকে প্রথম দেখে। আর জানে যে সেই মায়ানুর। মায়ানুরও জেনে যায় তার নাম যে সেই শোভন। জানার পর মায়ানুরের মনে দ্ব'ন্দ্ব কাজ করে। তার দেখা শোভন আর রিমনের বর্ণনার শোভন যে একদম আলাদা। সত্যি টা কি তাহলে! একদিন সেও দেখে নেয় শোভনকে মা'রপি'ট করতে তার এলাকার গজ ভাইয়ের সাথে। তো সে ধরেই নেয় শোভন আসলেই গু'ন্ডা। ভে'ঙে পড়ে সে। শোভনের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। কিন্তু শোভন! সে যে মায়ানুরকে ভালবেসে ফেলে। আচ্ছা শোভন কি পারবে মায়ানুরের ভুল ধারণা ভেঙে দিয়ে মায়ানুরকে নিজের মায়ায় বেধে রাখতে। চা ঝুমের সদস্যরা বাদে আরও কয়েকটি সদস্য রয়েছে। রেদোয়ান, গজ ভাই, মিনি, কিরণ, শিহাব সাহেব, রুবিনা বেগম, শোহিনী, রিজভী, জায়েদ, যামিনী, নীলাশা, সৈকত আরও অনেকে। প্রতিটি চরিত্রের কিছু কিছু গল্প রয়েছে। প্রিয় চরিত্রঃ শোভন, মায়ানুর আর কথা। কথা চরিত্র টাও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। মেয়েটা শক্ত প্রকৃতির। মা হীন জীবন পার করেছে মেয়েটা। অল্প বয়সেই বাস্তবতা শিখে গেছে। ~ ★পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গল্পটি রোমান্টিক জনরার। গল্প টা আমার ভীষণ মন কেড়েছে। ভীষণ চমৎকার একটা প্লটের গল্প ছিল। গল্পটি পড়তে পড়তে আমি সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে লেখিকা। গল্পটার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় টি হলো চিঠি আর ফুল বাগানের সামনে নালিশ করার বিষয় টা। বিভিন্ন ফুল গাছের কাছে নিজের অভিমান, রা'গ , দুঃখ নালিশ করা। আর ঠিক এই জায়গাটাতে এসে বইটির নাম যর্থাথতা পেয়েছে। বইটির প্রচ্ছদও মাশাআল্লাহ ভীষণ সুন্দর। চা বাগানের মাঝে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক যেন শোভনের মায়ানুর। ★রেটিংঃ ১০/১০