
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
kisu pagr pore dekhlam na kinei but amar kache khub interest laglo boi ta in shaa Allah nibo taka holei kee jodi can boi ta niben ki na tahole bolbo nite paren amar kache valo laglo kisu page porei but amar kothay je nite hobe seta kintu na apnar valo nao lagte pare only amar motamot dilam
Was this review helpful to you?
or
বই:চিনি লেখিকা:সাইয়্যারা খান প্রকাশকাল:৪ ফেব্রিয়ারি ২০২৫ পুরান ঢাকার ঐতিহ্য আর চট্টগ্রামের সংস্কৃতির মিশেলে সাজানো এই গল্প। যেখানে শুধু কাহিনি না, বরং ঐতিহ্যের ইতিহাসও উঠে এসেছে। "চিনি" নামটা যেন বইয়ের প্রতিটি অক্ষরে জীবন্ত। হাসি, কান্না, অভিযোগ, দুষ্ট-মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটিতে ভরা। নেই কোনো অশালীন শব্দ, না আছে বিরক্তিকর কিছু। গল্পের শুরুতেই একটা কৌতূহল জাগে— রোদের অতীতে কী ঘটেছিল? কেন তার মা তাকে এতো কষ্ট দিলো? আদ্রিয়ান কেন ভুলভাল গল্প বলে বিয়ে করলো? দিশা কেন বাসা থেকে পালিয়ে গেলো? সবকিছু যেন ধোঁয়াটে। আর ইশাকে নিয়ে একটা প্রশ্ন বারবার মাথায় আসে— আদ্রিয়ানের জীবনের প্রথম নারী যদি রোদ, তাহলে মিশান-মিশি তাকে বাবা বলে কেন? চরিত্র বিশ্লেষণ: রাদ ? দিশা: গম্ভীর রাদকে ভালোবাসে তার কাজিন দিশা। একটু বোকাসোকা, সরল। রাদ ভাই যেন কিছুই প্রকাশ করতে চায় না।বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না! শেষমেশ দিশা তার রাদ ভাইকে বিয়েই করল। আরিয়ান ? সাবা: আদ্রিয়ানের বড় ভাই আর ভাবী। বড় ভাই, ছোট ভাইয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করে। সাবা একজন আদর্শ স্ত্রী। আরিয়ান স্ত্রীর প্রতি অসম্ভব ভালোবাসায় ভরা। সাবার মিষ্টি আচরণ মন ছুঁয়ে যায়। ইয়াজ ? জারবা: দুই ভাইয়ের আদরের ছোট বোন জারবা। অনেক সরল, আর তাই ডাক্তার ইয়াজের প্রেমে পড়ে গেলেও বুঝতেই পারে না। ইয়াজও ওকে বোঝাতে চায়, কিন্তু সময় নেয়। কাজিন গ্রুপ: তাদের মতো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ কাজিন গ্রুপ থাকলে আর কিছু লাগে না। দুঃখ-সুখের সঙ্গী, ঠিক ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়ায়। সবার জীবনেই এমন একটা দল দরকার। রাতুল: সে ভালোবাসতো, কিন্তু তার ভালোবাসার উপায় ছিল ভুল। ভালোবাসা জিততে হলে ভেতরটা সাদা হতে হয়, সেটা রাতুল বোঝেনি। মিশান☺️ মিশি: রোদ আর আদ্রিয়ানের ছেলে-মেয়ে। মায়ের একেবারে আদরের। মা যা বলবে, ওরা তাই করবে। রোদকে চোখের আড়াল করলে ওদের চোখে পানি আসে। আদ্র: রোদ আর আদ্রিয়ানের ছোট্ট সোনা। ভাইয়ের জান। সবচেয়ে আদরের। রোদের মা: মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে। একটুও বিশ্বাস করে না।তার একটা রোগ আছে—মন ভুলানো।কিন্তু সে মেয়ের দোষ গুলো ছাড়া কিছুই মনে রাখে না। এবার আসি মূল চরিত্রে— রোদ ❤️ আদ্রিয়ান: এই দুইজনের প্রেমে বারবার মুগ্ধ হতে হয়। দূর থেকে ভালোবাসা, চোখের তৃষ্ণা মেটানো, নিঃশব্দে সাপোর্ট। ছোট ছোট ঝগড়ায় ভালোবাসার গভীরতা বোঝা যায়। রোদ হয়তো মানুষের চোখে কলঙ্কিত, কিন্তু আদ্রিয়ানের চোখে সে পবিত্র। আদ্রিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে অসম্ভব কেয়ারফুল। সবটুকু বলে দিলে মজা থাকবে না। তাদের গল্পটা নিজে পড়লে সেই অনুভূতি আসবে। গল্পের কিছু লাইন যা মনে গেঁথে গেছে: “এই ব্যাটা আমাকে বিয়া করল ক্যান? আল্লাহ গো, আমি রাস্তাই অক্কা পাইলাম গো! আমি চট্টগ্রাম যামু না গো! ও আমার আল্লাহ রে এএএএ! এই চাটগাঁইয়া জামাই আমার কপালে ক্যান দিলা রে!” “চিড়া মুড়ি দই, আমাদের ভাবি কই?” এই কদম গন্ধে মাতোয়ারা ধরনি, শ্রাবণের জলে আমি। ভেজা পল্লব আজ খুলে রেখেছি চোখের, হাতছানি দিয়ে ডাকছি তোমায়। চোখেতে নামে বর্ষার বৃষ্টি, হাত বাড়িয়ে ডেকেছি আমি, দিয়েছো কখনো দৃষ্টি? পদ্ম বিলে জেগে ওঠা পদ্ম তুমি তারাহীনা আকাশে জ্বলজ্বল করা চাঁদ তুমি রুদ্ধ আবদ্ধ ক্ষণে এক টুকরো প্রশান্তি তুমি আমার মন অন্দরের এক অতৃপ্ত বন্দনা তুমি শরতের সকালে দুষ্টু মিষ্টি রোদ তুমি। "ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন"।




