User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"সেনথেটিক কফি" বইটা আমার পড়ার ইচ্ছে হয়েছিলো বইয়ের নামের জন্য। কফি আমার অনেক প্রিয়, সেইজন্যই হয়তো বইয়ে নামটা কফি দিয়ে হওয়াতে আমার বিশেষ আকর্ষণে ছিলো । বইটা আমি লেখকের কাছ থেকেই প্রতিযোগিতার উপহার হিসেবে পেয়েছি। বেশি দেরি না করেই বইটা নিয়ে বসে পরি এবং গল্পগুলোর মাঝে ডুব দিয়ে ফেলি। বইটি মূলত একটি গল্প সংকলন সাতটি গল্পে রয়েছে জাদুবাস্তবতার প্রভাব প্রতিটি গল্পেই রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। সিনথেটিক কফি বইয়ের প্রতিটি গল্পই বেশ ইউনিক লেগেছে। "সিনথেটিক কফি "বইয়ের প্রথম গল্পটা সেনথেটিক কফি বইয়ের নামেই নাম করণ করা, গল্পটা বেশ সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছিলো পড়তে বেশ ভালোও লাগছিলো কিন্তু হঠাৎ করেই লেখক গল্পের ইতি টেনে ফেলেছেন দেখে তেমন তৃপ্তি পাইনি পড়ে। মনে হয়েছে গল্পের ভাব বুঝার আগেই শেষ হয়ে গেলো। তবে গল্পটা বেশ ইউনিক ছিলো ভালো লেগেছে। বইয়ের দ্বিতীয় গল্পটা নীলকমল, গল্পটা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। লেখকের লেখনশৈলী, গল্প বলার ধারা এবং সুন্দর ভাবে সমাপ্তি দেওয়া সব কিছু মিলিয়ে নীলকমল গল্পটা খুব সুন্দর ছিলো। পুরোনো সুপ্ত প্রেম, বাস্তববে তা ফিরে আসা বা স্বপ্ন সবকিছু মিলিয়ে চমকের পর চমক। গল্পে বাস্তবতার থেকে কল্পনাজগৎ এর প্রভাব বেশি ছিলো। ইরা গল্পটা একাকীত্ব এবং হতাশা থেকে সৃষ্টি হওয়া মানুষের কল্পনার জগৎ নিয়ে লেখা একটা গল্প। যেখানে মানুষ নিজের ভালো থাকার জন্য আলাদা একটা জগৎ নিজের মনের মতো করে তৈরি করে সেখানে বসবাস করে। ইরা গল্পটাও ভালো ছিলো৷ শব্দ সৌরভ গল্পটাও ইরা গল্পের মতোই কাল্পনিক জগৎ নিয়ে লেখা। মানুষ নিজের ভালো রাখার জন্য অনেক কিছু কল্পনা করে অনেক কিছু নিয়ে ভাবে, যা বাস্তবে সম্ভব নয় । তার পরেও আমরা অনেক কিছু ভাবতে ভালোবাসি। ক্যাফে গল্পটাও তেমন নিজের অজান্তেই নিজেকে স্পেশাল ফিল করানল তরুণীর গল্প তার মন ভাঙার গল্প। পরিশেষে বলা যায় "সিনথেটিক কফি" বইটা বেশ ভালো লেগেছে। উপভোগ করেছি প্রতিটি গল্প। বই : সিনথেটিক কফি লেখক :Mohammad Anowar Hossain প্রকাশনী: আনোয়ার স্টোরিজ রেটিং : ৩.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
পরাবাস্তব আর জাদুবস্তবতার সংমিশ্রণে ৭ টি ছোটগল্পের সমাহার সিনথেটিক কফি বইটি। সাতটি গল্প সাত রকমের আমেজ দেয়। নিঃসঙ্গতা, রহস্য, কৌতুহলে সাতটি গল্প পাঠককে মাতিয়ে রাখবে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে "নীলকমল" গল্পটা বেশি ভালো লেগেছে। লেখকের লেখনশৈলী প্রশংসা করতে হয়, তার শব্দচয়ন, বাক্যগঠন আমার ভালো লেগেছে। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ আজকে যে বইটা নিয়ে একটু লিখবো তার নাম "সিনথেটিক কফি"। কফি তো কফিই। কফি আবার সিনথেটিক হয় নাকি? হ্যা, এই বইতে লেখক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এই সিনথেটিক কফির কথাই বলেছেন। এছাড়া কয়েকটা গল্পের মাধ্যমে আরো বিভিন্ন মানুষের কথা বলেছেন যারা কফি পছন্দ করে, ক্যাফেতে সময় কাটায় এবং তাদের জীবনে এই কফি ও ক্যাফে থেকেই কিছু পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এই বইটা উৎসর্গও করা হয়েছে এমন কিছু মানুষদের যাদের কল্পনার সাথে কাল্পনিক জগতের বসবাস। প্রথমেই লেখক একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে এই গল্পসংকলনটি শুধুমাত্র পাপ্তমনস্ক পাঠকদের জন্য। এখানে মোট ৭ টা গল্প রয়েছে। আমি প্রথমে এই গল্পগুলোর প্লট ছোট করে বলবো এবং তারপর আমার পাঠ প্রতিক্রিয়াও ছোট করে জানাবো। ⭕ "সিনথেটিক কফি" এখানে কথক ভীষণ একাকী মানুষ। সে প্রায়ই একটা ক্যাফেতে গিয়ে কফি খায়। একদিন ক্যাফের ম্যানেজার তাকে এসে জানায় নতুন একধরনের কফি তারা আবিষ্কার করেছে যেটা মূলত কেমিকেল দিয়ে বানানো কিন্তু স্বাদ, গন্ধ সব কফির মতই। তো কথক কৌতুহল বশত এই কফি পান করে এবং এক অবাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। ⭕ "নীলকমল" দীর্ঘদিন বিদেশে কাটিয়ে সম্প্রতি দেশে ছুটি কাটাতে আসে আরিফ নামের এক যুবক। তার এক বন্ধু রেজা তার নিজের রিসোর্ট নীলকমলে নিয়ে যায় আরিফকে। সেখানে এসকোর্ট হিসেবে দেখতে পায় তার প্রথম প্রেম নীলাকে। সে নীলাকে কাছে পেতে চায় কিন্তু ঘটনাক্রমে আটকে যায় স্বপ্নজালের মধ্যে। ⭕ "ইরা" ইরা নামের এক গ্রাফিক ডিজাইনার বনানীতে একটা ফ্ল্যাট নিয়ে একা থাকে। তার পাশের ফ্ল্যাট থেকে প্রতিরাতে গীটারের সুর আর কবিতা শুনতে পায়। একসময় এই সুর আর কবিতা তার কাছে নেশার মত মনে হয় যা শোনা ছাড়া ইরার ঘুম আসে না। কৌতুহল বশত একরাতে সে সেই ফ্ল্যাটে যায় সেই ছেলের সাথে দেখা করতে যে প্রতিরাতে গীটার বাজায়। পরদিন সকালে উঠে সে নিজেকে তার নিজের বিছানায় আবিষ্কার করে এবং অবাক হয়ে যায় যে তার তো এখানে থাকার কথা না। ⭕ "শব্দ সৌরভ" একটা শব্দ বা একটা প্রশংসা বাক্য কিভাবে একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে সেটা এই গল্পে দেখানো হয়েছে। লেখক একদিন তার এক সাবেক কলিগের সাথে এক স্পা সেন্টারে যায় ম্যাসাজ নিতে এবং ম্যাসাজ শেষ করার পরে ম্যাসুস মেয়েটা তাকে এমন এক কথা বলে যাতে তার জীবন পালটে যায়। সে নিজের যত্ন নিতে শুরু করে, নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করে, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। কিন্তু আবার সেই একই মেয়েকে খুজতে গিয়ে তার এই আত্মবিশ্বাস এক ধাক্কায় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ⭕ "বানর” শফিক সাহেব একদিন তার পরকিয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে তার ফ্ল্যাটে যেতে উদ্যত হয় যার সাথে তার পরিচয় হয় কাটাবনের মাছের দোকানে। বিল্ডিংয়ের লিফটে ওঠার সাথে সাথে শফিক সাহেবের পাশাপাশি এক বানরও লিফটে ওঠে। লিফট চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে যায় এবং লিফট বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে শফিক সাহেবের আবার ক্ল্যাস্ট্রোফোবিয়া আছে। তো যাই হোক, পরদিন সকালে খবরের কাগজে দেখা যায় লিফটে একজন খু*ন হয়েছে। আসলে কে খু*ন হয়েছে, শফিক সাহেব নাকি বানর?? কেনই বা খু*ন হয়েছে? জানতে হলে পড়তে হবে গল্পটি। ⭕ " কবিতা ও কুহক" এখানে লেখক চল্লিশোর্ধ্ব একজন ব্যক্তি যে তার চোখের সমস্যার জন্য চশমা কিনতে যায়। নতুন চশমা পড়ার পর থেকে সে তার সামনে একটা অসম্ভব রূপবতী মেয়েকে দেখতে পায়। মেয়েটা কি সত্যিই তার সামনে আছে নাকি এটা সাইকোলজিকাল কোনো সমস্যা নাকি চশমাই পরাবাস্তব জগতের? আবার অন্যদিকে একজন কবি তার চশমা হারিয়ে পাগল প্রায় কারণ চশমার অভাবে সে কবিতা লিখতে পারছে না। লেখকের সাথে কবির কি সম্পর্ক? এখানে চশমার কাজটাই বা কি? আর মেয়েটাই বা কোথা থেকে এলো? ⭕ "শেষ গল্পের ক্যাফে” একটা মেয়ে নতুন একটা কফিশপে যাওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই একটা করে চিরকুট পায়। দুই এক লাইনের চিরকুট থেকে একসময় তা বিশাল এক চিঠি হয়ে যায়। কিন্তু কে দিচ্ছে তাকে এই চিঠি? কেনই বা দিচ্ছে? এদিকে ক্যাফের কেউ জানে না কোথা থেকে আসছে এই চিঠি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া হালকা স্পয়লার থাকতে পারে। এখানের সাতটা গল্পের প্রতিটাই কম বেশি ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বানর আর নীলকমল গল্পটা। একটা থ্রিল ভাব ছিল শুরু থেকেই। আর বাকি গল্পগুলোতে মনে হয়েছে খুব সাধারণ ভাবে গল্পগুলো এগিয়েছে, কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে লেখক পরাবাস্তবতার বিষয় এনেছেন। বেশিরভাগ গল্পেই লেখক বা নায়ক নি:সংগ মানুষ ছিল। একটা বিষন্নতায় ডুবে ছিল। সেটা থেকেই তাদের জন্য হয়তো পরাবাস্তবব বা কল্পনার জগতে ডুবে যাওয়া সহজ ছিল। কিছু গল্পে মনে হয়েছে অযথাই লেখক টেনে বড় করেছেন, আরেকটু ছোট হলে বেশ ভালো হতো। আবার কিছু গল্পে মনে হয়েছে আরেকটু বেশি হলে বোধহয় ভালো লাগতো, কিংবা এরপরে কি হয়েছে সেটা জানতে ইচ্ছা করে অনেক। তবে একটা ব্যাপার আমার কাছে একটু নেগেটিভ লেগেছে সেটা হচ্ছে প্রায় সব গল্পেই নায়িকারা অসম্ভব রূপবতী ছিল যাদের দেখে লেখক বা নায়ক মাদকতায় ডুবে যেতো, তার নেশার মত কাজ করতো এবং নারীদেহের সামান্য কিছু রগরগে বর্ণনাও ছিল। যেটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে ভালো লাগে নি। হয়তো রোমান্টিক জনরা আমার পছন্দ নয় বলেই এমন লেগেছে। এছাড়া বলবো লেখকের লেখার ধরন অনেক সুন্দর। মনের অভিব্যক্তি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন তার লেখায়। বইয়ের প্রচ্ছদ, প্রোডাকশন কোয়ালিটি সবই বেশ ভালো। বই : "সিনথেটিক কফি" লেখক : মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রকাশক : আনোয়ার স্টোরিজ প্রথম প্রকাশকাল : জানুয়ারি ২০২৫