User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#১৯_২০_প্রেমকুঞ্জ #পাঠ_অনুভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ ১৯/২০ প্রেমকুঞ্জ •লেখকঃ রুজহানা সিফাত •ধরনঃ সামাজিক, রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ ছাপাখানা প্রকাশনী •প্রচ্ছদঃ ফাইজা ইসলাম •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮ •প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২৫ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦অনুভূতিঃ সাধারণত নব্বই দশকের গল্পগুলোতে আমি কোথাও একটা আকর্ষণ খুঁজে পাই যেন । বোধহয় নিজেও কিছুটা এই দশকের বলেই বোধহয় একটা টান খুঁজে পাই । কোথাও একটা যেন স্মৃতিচারণ করার মতো করে এই দশকের বিভিন্ন বিশেষত্ব থাকা মুহূর্তগুলোকে বারবার আঁকড়ে ধরে খুঁজে বেড়াই । যে রাতগুলো ভীষণ উদাসীন এবং নিঃসঙ্গতা বজায় রাখা নীরবতা নিয়ে আসে সে রাতগুলো যেন কোথাও একটা স্মৃতিগুলোকে সব মাথায় নিয়ে এসে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসে পড়ে । ♦পাঠ অনুভূতিঃ •নব্বই দশকের পটভূমিতে তৈরি এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট বলে এই উপন্যাসটির প্রতিও কোথাও একটা আমার আগ্রহ তৈরি হলো যেন । কোথাও এক ধরনের ভালো লাগা । তীব্র আকর্ষণ যেন । তাই এই উপন্যাসের পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট বেশ ভালো লাগলো । তবে এই উপন্যাসের জীবনধারা এবং দৃশ্যপটের গতিপ্রবাহ এত দ্রুত চলে গিয়েছে যেন হঠাৎ করে অনেকগুলো ঘটনা স্মৃতিচারণ করার মতো করে চলে গেল । এরকম ক্ষেত্রে সাধারণত অনুভূতিগুলোকে মনে জায়গা দেয়ার জন্য যে সময় তা পাওয়া খুব একটা হয়ে উঠে না । কোথাও একটা প্রাণহীন মনে হওয়ার ভয় হয় যেন । এই উপন্যাসের ভাবাবেগ বেশ ভালো, প্রেক্ষাপট এবং পটভূমিও বেশ ভালো । তবে কাহিনীর গতি প্রবাহ আরেকটু সময় নিয়ে করা যেতে পারতো । কোথাও যেন শুধু উপন্যাসটা জীবনের ন্যায় বয়ে গিয়েছে । তবে নব্বই দশকের কিছু কিছু মুহূর্ত কিছু কিছু বিশেষত্ব যেন স্মৃতিচারণ করার মতো করে ভেসে আসে । এই ধরনের আবহগুলো গল্পে কোথাও একটা ভারসাম্য আনে । মনে এক ধরনের ভালো লাগা দেয় । এছাড়াও উপন্যাসে কিছু কবিতার মতো অংশ এবং চিঠির ব্যবহার করা হয়েছে । যা গল্পের প্রয়োজনে ভালো লাগা দেয় খুব । •সাধারণত কিসের আবেগ এবং অনুভূতির জন্য কিনা জানি না । তবে আমার সবসময়ই গলি, রাস্তা, ঘর, ঘুণ ধরা আসবাবপত্র, নোনা ধরা দেয়াল এগুলো সংবলিত জীবনের গল্পগুলো কোথাও একটা মনের কোনায় যেন আঁকড়ে ধরে বসে । নব্বই দশকের চিরচেনা জীবনের গল্পে পারিবারিক মূল্যবোধ, যৌথ পরিবারের অনুভব, পারিবারিক বিভিন্ন টানাপোড়েন এবং বন্ধনের সংযোগ কিংবা মতের অমিল এবং ঘুণ ধরা সম্পর্কের খেলাপ সব যেন জীবনের গল্পের মতো করে ভেসে আসে । কোথাও একটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুত হয় । •চরিত্র গঠন এবং উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল । সাধারণত উত্তম পুরুষ দিয়ে বর্ণনা হওয়া উপন্যাসটির কথনে সব চরিত্রদেরই অনুভব এবং অনুভূতিগুলো যেন বেরিয়ে আসে । রঞ্জুর ভালোবাসা, পারিবারিক অনুভূতি এবং তার মূল্যবোধ বেরিয়ে আসে । কোথাও একটা যেন প্রকৃতি জীবনের গল্পে শূন্যস্থান রাখে না । সবকিছু ফিরিয়ে দিতে চায় ঠিকঠাক । রঞ্জুর দাদীর একাকীত্ব, পাশের মানুষটির সাথে মানসিক দূরত্ব যেন প্রকৃতি একসময় অন্যরকম ভাবে ফিরিয়ে দেয় তার দাদাজান এর জীবনে । ছোট চাচাকে অধিক ভালোবাসা রঞ্জু তার সুখই চায় । নব্বই দশক কিংবা ওরকম সময়েও ছোট চাচার পাগলামোর অদ্ভুত শখগুলো কোথাও একটা ভালো লাগা দেয় । কোথাও যেন ওই সময়ে দাঁড়িয়ে বড় চাচীর পদক্ষেপটাকে ভীষণ সঠিক এবং সম্মানের বলে মনে হয় । এছাড়াও দিবা চরিত্রটির ভালোবাসা, সুমনার অদ্ভুত মানসিক জোর এবং দুরন্ত ফরহাদ ভাই কোথাও যেন তাদের গঠন এবং উপস্থিতি দিয়ে গল্পে কিছুটা মায়া জুড়ে দেয় । তবে কিছুটা সময় আরেকটু বিশদে প্রকৃতি থেকে এক অদ্ভুত আবেগে পরকিয়ার কিছুটা শাস্তি দেখতে পেলে বেশ লাগতো । পরকিয়া থাকা মুহূর্তগুলোতে পরকিয়া করা মানুষের মানসিক ভাবে নিজেকে ছোট মনে করা, শাস্তি পাওয়ার ভয় টের পাওয়া এগুলো প্রকৃতির মাধ্যমে দেখতে পেলে কোথাও যেন আরেকটু ভালোলাগা বাড়তো বলে মনে হয় । জীবন ঘেঁষে থাকা এই গল্পগুলোতে পরকিয়াকে না হয় একটু শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখানো যেতে পারতো । ♦প্রকাশনীঃ অদ্ভুত সুন্দর দেখতে হওয়া প্রচ্ছদটিতে যে আলগোছে ১৯/২০ প্রেমকুঞ্জ নাম থাকা সাদা বাড়িটিতে আঁকড়ে ধরে রাখা ময়লা সাদা রঙে কালো রঙের বোর্ডে লেখা এই টান এবং বাগানবিলাস ফুলের ঝাড় কোথাও যেন ভীষণ স্মৃতিচারণ করতে দেয় । এই অদ্ভুত সুন্দর দেখতে হওয়া প্রচ্ছদটিকে তাই বেশ লাগে । প্রচ্ছদটি দেখলেই যেন ধরে রাখতে ইচ্ছে করে । এছাড়া বই বাঁধাই কিংবা পৃষ্ঠা বাঁধাই যেন বেশ দারুণ ভাবে কাজ করে যেন । বানান ত্রুটি কিংবা অন্যান্য ত্রুটি সেভাবে না থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় ‘ই’ এর জায়গায় ‘য়’ হয়েছে । আবার কিছু জায়গায় বিপরীত বিষয়টিও হয়েছে । ♦রেটিংঃ ৪.১/৫