User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****987

      22 May 2025 12:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালোবাসা হয়, ঘৃ*ণা হয় কিন্তু মন্দবাসা আবার কী? উত্তরের খোঁজে হারিয়ে গিয়েছিলাম 'কিছু মন্দবাসার গল্প' নামক উপন্যাসিকার পাতায়। "নব্বই দশক" নব্বই দশক মানেই আমার কাছে মিষ্টি মধুর কিছু কল্পনা, আবেগ, বাস্তব হয়েও আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে। বড়দের মুখে তাদের ছোটবেলার গল্প শুনে নব্বই দশকটাকে দারুণভাবে উপলব্ধি করা যায়, ভালোবাসা যায় সাথে একটু আ*ফসোস ও হয়, অমন সুন্দর সোনালী সময় আমি কেন পেলাম না। মন্দবাসার গল্প আমার এই আফসোসটা খানিক মিটিয়ে দিয়েছে তার গল্প দিয়ে। তিথি আর আনন্দ সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দুজন মানুষ যার কারণেই তাদের কখনো সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেনি উল্টে পরিচয় লগ্ন থেকেই সৃষ্ট হওয়া রে*ষারে*ষির সম্পর্কটাকেই তারা দীর্ঘ সময় বয়ে চলেছে, একে অপরকে ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া তো বিলাসিতা তারচেয়ে বরং কে কীভাবে কাকে বাঁ*শ দিবে সেই চিন্তাতেই মশগুল ছিলো। তবে তাদের মাঝে অদ্ভুত এক বোঝাপড়া ছিলো, সম্মান ছিলো, পিছনে লেগে থাকলেও কেউ কখনো কারো খা*রাপ চায় নি যার কারণে তাদের গল্পটা পুরোপুরি ভালোবাসা বা ঘৃ*ণার না হয়ে মন্দবাসা হয়ে গেছে। দিনাজপুরের মফস্বলে বেড়ে উঠা ডানপি*টে তিথি আর ভদ্র সভ্য আনন্দের গল্পটা পড়তে গিয়ে উপলব্ধি করলাম নামটা মন্দবাসা হলেও এর সাথে জড়িয়ে থাকা গল্পগুলো ভীষণ ভালোবাসার। ◾চরিত্র◾ ▪️আনিকা তাবাসসুম তিথি- দু*ষ্ট-মিষ্টি, আদুরে একটা চরিত্র। তিথি খুব রূপবতী নয় সাধারণ একটা মেয়ে। তার এই সাধারণ রূপটাই আমার ভালোলেগেছে। গুণের দিক দিয়ে তিথি অষ্টরম্ভ আর পড়ালেখার সাথে তো তার যোজন যোজন দূরত্ব। তবে রূপ গুণ না থাকা তিথির একটা স্বচ্ছ সুন্দর মন আছে, পড়ালেখার সাথে দূরত্ব বজায় রাখা তিথির ডায়েরি লেখার হাত মনোমুগ্ধকর। সবকিছু ছাপিয়ে তিথির ঝ*গড়ুটে রূপাটাই আমার বেশি প্রিয়। আমি এই তিথিকে ভীষণ মিস করেছি যখন সে জীবন যু*দ্ধে জয়ী হওয়ার ল*ড়াইয়ে অন্য এক তিথি হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত তিথি আমায় মুগ্ধ করেছে, চমকে দিয়েছে, বুঝিয়ে দিয়েছে জীবন সবসময় সরলরেখায় চলে না, জীবনের নতুন মোড়ের সাথে আমাদের মানিয়ে চলতে হয়। ▪️আনন্দ আজহার - তিথির নিরানন্দ নিরামিষ। শান্ত-শিষ্ট পড়াকু আনন্দ যখন তিথির সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝ*গড়া করতো সেই অংশগুলো ছিলো দারুণ উপভোগ্য আনন্দের নামের মতোই আনন্দদায়ক। তার ঝ*গড়ার পার্টনার থেকে আগলে রাখার দায়িত্ব নেওয়ার জার্নিটা অন্যরকম সুন্দর ছিলো। ▪️তাহসিন তালুকদার- তিথির বাবা। মেয়েকে রাজকন্যার মতো সবসময় আহ্লাদে রাখতেন। তিথির যত আবদার সব ছিলো তার বাবার কাছে। তালুকদার সাহেব ও মেয়ের আবদার পূরণে কার্পণ্য করেননি। ▪️সেলিনা ইয়াসমিন- তিথির মা। তাকে আমার কখনো ভালো লেগেছে কখনো প্রচন্ড রা*গ উঠেছে। কখনো মনে হয়েছে মেয়ের ভালোর জন্য মেয়ের শা*সন করছেন কখনো মনে হয়েছে তিনি শা*সন আর শো*ষণের পার্থক্যই জানেন না। তিথির জন্য তার চিন্তা অমূলক নয় কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা আর বাইরের লোকের সামনে ওরকম শা*সন খানিক বি*রক্তিকর ই বটে। আমি সেলিনা ইয়াসমিন কে দোষ দিবো না। আমাদের সমাজে মেয়েদের রূপ গুণ থাকা আবশ্যক। এগুলো নেই মানেই মেয়ের ভবিষ্যৎ অ*ন্ধকার, বাবা মায়ের বোঝা, সমাজের চোখে অবহেলিত। এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গুলোই একজন মায়ের আচরণকে প্রভাবিত করে করে ফেলে। তার মাঝে তিথি ছিলো ডানপিটে, সেলিনা ইয়াসমিনের আচরণ তাই বি*রক্তিকর লাগলেও অহেতুক লাগে নি। তিনি তো মেয়ের ভালোই চেয়েছেন, সে তার জীবনবোধ থেকে যতটুকু বুঝেছেন সেভাবেই ভালো চেয়েছেন। ▪️হেলেনা বেগম- তিথির দাদি। বিয়ে, সংসার আর বাচ্চাপালন তার চিন্তা চেতনা এখানেই আটকে আছে। ওই যে সমাজ তাকে মেয়েদের জীবন সম্পর্ক যতটুকু শিক্ষা দিয়েছে তার চিন্তা ধারা তার মাঝেই সীমাবদ্ধ। ▪️আসমা-আজহার- সবচেয়ে ভালোলাগার ছিলো এই দম্পতি। নব্বই দশকের হলেও তাদের চিন্তাধারা ছিলো বেশ উন্নত আর মানসম্মত। তাদের মতো বাবা মা রূপি শুভাকাঙ্ক্ষী পাওয়া ভাগ্যেই ব্যাপার। সোহেল- একটু সোহেল ভাইকে নিয়ে না বললেই নয়। তার ভুল বানানে পরিপূর্ণ চিঠিগুলো গল্পটার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই হাস্যকর ব্যাপারটা গল্পটাকে আরো উপভোগ্য করে তুলেছে। দুই তালার চৌধুরী বাড়ি আর বাড়ির সামনের সেই জলপাই গাছ এগুলো ছাড়া মন্দবাসা কল্পনা করা যায় নাকি! এগুলো যেন গল্পটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। ◾লেখনশৈলী◾ আমার প্রিয় লেখিকাদের তালিকা করতে দিলে নির্দ্বিধায় আফিফা পারভীন নামটা প্রথমেই থাকবে। এই যে নামটা আমার প্রিয় তার ফুল ক্রেডিট তার অসাধারণ লেখনশৈলী। সে খুব সুন্দর ভাবে তার কল্পনা কিংবা দর্শন গুলো বইয়ের পাতায় বন্দি করে তার পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তার মনোমুগ্ধকর শব্দচয়নের মাধ্যমে। তার লেখনী পড়লে অজান্তেই মন ভালো হয়ে যায় আমার। "কিছু মন্দবাসার গল্প" নামের মতোই ভীষণ সুন্দর একটা গল্প। আফিফা পারভীনের লেখা উপন্যাসিকা গুলোর মাঝে এই গল্পটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, সুখপাঠ্য। একটু বেশি প্রিয় বলেই হয়তো অনুভূতি গুলো খানিক অগোছালো। ▪️উপন্যাসিকা- কিছু মন্দবাসার গল্প ▪️লেখক- আফিফা পারভীন ▪️প্রকাশনী- ছাপাখানা

      By Tara

      03 May 2025 10:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ।।। কিছু মন্দবাসার গল্প।।। একবিংশ শতাব্দীর দেয়াল ভেদ করে ঘুরে এলাম নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে। দিনাজপুরে বেড়ে উঠা একটি গল্প। যেখানে ভালোবাসার বিপরীতে দেখানো হয়েছে মন্দবাসা। দিনশেষে আমি মন্দবাসাকেই টেনে নিব–কারণ একটা সম্পর্কে ভালোবাসার থেকেও জরুরি হলো সম্মান। সেই সম্মানটুকু যেখানে থাকবে সেটা মন্দ হলেও চলবে। গল্পের শুরু ১৯৯০ সালে, পুরনো আবহাওয়াটা বেশ ভালোমতোই জমে উঠেছিল। মফস্বলে বেড়ে উঠা এক তরুনীর জীবন। প্রচ্ছদ দেখলে অনেকটা আন্দাজ নিতে পারবেন। পুরনো কাঠের ফ্রেমের জানালা, চিঠি পত্র, ঘুড়ি, ল্যান্ডফোন। সবকিছুকে এতো সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করা হয়েছে যে এক মূহুর্তের জন্য হারিয়ে গিয়েছি সেখানে। মনে হয়েছে টাইম মেশিনে করে ঘুরে বেড়াচ্ছি নব্বই দশকের মাঝপথে। মাঝে মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছি তিথির মাধ্যমে। তিথির পারতপক্ষে কোনো গুণ নেই। না দেখতে অপরুপ না কর্মে গুনী। কিন্তু একটা মায়া আছে। তিথির মতো আমিও। আমাদের দুজনে আরেকটা মিল আমরা দুজন খুব বই পড়ি। নির্মল জীবনে তিথি হঠাৎ দেখা পায় আনন্দ আজহারের। একটা অচেনা লোক হঠাৎ করে হয়ে উঠে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ তাদের মাঝে নেই কোনো ভালোবাসা। তারপরেও একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যা দরকার সবটাই তারা ঢেলেছিল ঢালাও ভাবে। দুজনের মধ্যে মানসিক সংযোগ ছিল দৃঢ়, গায়ের রঙকে সাইডে রেখে তাদের মধ্যে ছিল বোঝাপড়ার এক সরল অংক। ছিল সম্মান। ভালোবাসলে যে তা মুখে বলতে হয় কে তা বলে? ভালোবাসাটা আপেক্ষিক ও হতে পারে। তখন সেটাকে দেখা যায় না। সেটার নাম হয় 'মন্দবাসা।' যেই মন্দবাসা নিয়ে টিকে থাকা যায় আমরণ। বাসতে জানলে মন্দবাসাও সুন্দর, ভীষণ সুন্দর। আর আপুর লেখনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বরাবরের মতোই সরস। বর্ণনা গুলো চোখে ভাসার মতো। পার্সোনালি আমার কাছে এটা বাকি উপন্যাসিকাগুলো থেকেও বেশি ভালো লেগেছে। একটা স্নিগ্ধ রেশ রয়ে গেছে শেষ অব্দি। উপন্যাসিকা: কিছু মন্দবাসার গল্প লেখক: আফিফা পারভীন প্রকাশনী: ছাপাখানা

      By Sakib

      07 Apr 2025 05:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #কিছু_মন্দবাসার_গল্প #পাঠ_অনুভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ কিছু মন্দবাসার গল্প •লেখকঃ আফিফা পারভীন •ধরনঃ সামাজিক, রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ ছাপাখানা প্রকাশনী •প্রচ্ছদঃ ফাইজা ইসলাম •মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৭৫ •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮ •প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২৫ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব একনাগাড়ে কোনো গল্পের বই পরপর দুইদিন যে পড়া হবে, এই অভ্যাসটা যে আমার থাকবে আমি তা ভাবতেই পারিনি । বোধহয় উদাসীন রাত, নিঃসঙ্গ আঁধার আর একাকী সময়ে হঠাৎ করে কোনো বই পড়তে ইচ্ছে করলো । এরজন্যই কিনা জানি না, কোন বই পড়বো তা ভাবতেও বেশ খানিকটা সময় যেন কেটে গেল । সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে অবশেষে বইটা বের করেছি । কোথাও একটা যেন ভালোলাগার ইচ্ছে তৈরি হলো । ♦নামকরণঃ এই পৃথিবীতে অদ্ভুত কিছু শব্দ আছে । যেগুলো যখন ব্যবহার হয়, কোথাও একটা যেন আগ্রহ তৈরি হয় । অথচ আগ্রহ তৈরি না হলেই যেন পারতো । অপ্রেম । মন্দবাসা । এই পৃথিবীতে সংযুক্ত হয়ে থাকা শব্দ হোক, কিংবা অনুভবে আসক্তির মতো বিপরীত শব্দ হয়ে থাকা হোক এই ধরনের শব্দগুলো যতটা না অর্থের হিসেবে কেমন যেন, কিন্তু অনুভূতির দিক থেকে যেন বেশ আগ্রহী করে তুলতে চায় । পৃথিবীতে ভালোবেসে ফেলা তো বড্ড সহজ । হয়তোবা ধীরে ধীরে সব বিশেষণের খেয়ালে রাগ, অভিমান, দুষ্টুমি, এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলো মন্দবাসা হয়ে মিষ্টি সম্পর্কের আড়ালে সুখ হয়ে ধরা দেয় । এই গল্প সেরকমই দূরে থেকে কাছে আসার গল্প । ‘কিছু মন্দবাসার গল্প’ মন্দ এবং ভালোবাসা থেকে শুধু বাসাকে একত্র করে মন্দবাসা নামক এক অনুভূতির আখ্যান । মন্দবাসা নামক বিশেষণের বিভিন্ন খাতে পাশে থেকে জীবনের কিছু মিষ্টি শব্দের যেন এক আখ্যান । ♦ফ্ল্যাপে লেখাঃ গল্পের শুরু ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে । প্রচন্ড শীতে জুবুথুবু হয়ে থাকা উত্তরবঙ্গের এক মফস্বল শহরের মধ্যবিত্ত দুটো পরিবারের জীবনের স্মৃতিমেদুর সময়ের কথা শব্দের বুননে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । প্রতিটি বাক্যে, দৃশ্যে ও সংলাপে সেই শান্তধীর সময়ের মফস্বলি বৃত্তান্ত খুব সচেতনতার সাথে তুলে আনা হয়েছে । সব গল্প ভালোবাসার হয় না, কিছু গল্প মন্দবাসার হয় । এই গল্পের প্রধান দুটো চরিত্র আনন্দ ও তিথির গল্পটাও মন্দবাসার । যে মন্দবাসায় সব মন্দ থাকার পরেও মায়া, দায়িত্ব, পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা, ভালো রাখার চেষ্টা ও ভালোবাসবার সার্বক্ষণিক আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেই মন্দবাসা যাপিত দিনের ও গভীর জীবনবোধের কথা বলে । আনন্দ ও তিথির 'কিছু মন্দবাসার গল্প' এমনই একটি জীবনালেখ্য । ♦প্রচ্ছদঃ এই প্রচ্ছদটা দেখলেই স্মৃতিচারণ করতে ইচ্ছে করে খুব । ছোটবেলার চাহনিতে যেভাবে জীবন ফুটে উঠতো । সেরকম কিছুই যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে । টেলিফোন, চিঠি, ডায়েরি, খোলা জানালা এগুলো যেন অবিসংবাদিত এক জীবনের আখ্যান হয়ে ধরা দেয় । কোথাও একটা স্মৃতিচারণ করতে বলে যেন । অদ্ভুত ভাবে প্রচ্ছদটা তাই দেখতে সুন্দর লাগে । ♦পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই উপন্যাসের পটভূমিটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে । কোথাও একটা যেন উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং আবহ এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছি খুব । কোথাও একটা উপন্যাসে বয়ে যাওয়া বাতাসের ধাঁচ, জীবনধারায় বয়ে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ ভীষণ ভাবে যেন নব্বই দশকের কথা মনে করিয়ে দেয় । দারুণ ভাবে কোথাও একটা খাপ খাওয়াতে গিয়ে টের পেতে হয়, কোথাও একটা মিষ্টি বন্ধন যেন পুরোটা জুড়ে সংযোগ স্থাপন করে ছিল । এরকম পটভূমির প্রেক্ষাপটে তাই যে সামাজিক পরিবেশ তৈরি হয়, ঘটনার ঘনঘটায় জীবনের টানাপোড়েন বয়ে যায় তা কোথাও যেন পড়তে গিয়ে মনে হয় যেন অদৃশ্যে ওখানেই রয়ে গিয়েছি আমি । এরকম ভাবেই নব্বই দশকের প্রেক্ষাপটে উপন্যাসে বিভিন্ন ঘটনা এসেছে । দৃশ্যপট এসেছে । কাহিনীতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে । মন্দবাসা ভালোবাসা না হয়েও কোথাও যেন এক অদ্ভুত রেশ তুলে ধরার চেষ্টা করে যায় যেন । প্রকৃতির মিশেল, বাংলার মাটির কাছাকাছি থাকার সম্পর্ক নামক গন্ধ এবং নির্ভেজাল নিখাদ এই উপন্যাসটিকে তাই মনে রেখে দিয়ে যায় । ♦চরিত্র গঠন এবং বিশ্লেষণঃ খুবই ছোট একটা উপন্যাস, তাছাড়া জীবনের ছোট বৃত্তের পরিপূর্ণতার জন্যেই কম সংখ্যক চরিত্র নিয়ে তৈরি হওয়া উপন্যাসটিতে যতগুলো চরিত্র আছে তা বেশ দারুণ ভাবেই গঠন করা হয়েছে । উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং জীবনধারার কথা খেয়াল রেখে সেভাবেই উপস্থাপন করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । যা আবহ তৈরিতে বেশ ভালো লাগা দেয় । উপন্যাসে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে । চরিত্রগুলো যেন নব্বই দশকের মানুষের মধ্যেকার সম্পর্কের রসায়ন, নিখাদ বন্ধুত্ব, জীবনবোধ এগুলোর সাথে একই ধাঁচে বয়ে গিয়েছে । তবে প্রেক্ষাপটের শেষ দৃশ্যপটে অনুভূতি প্রকাশ বর্ণনা করার মুহূর্তটি আরো একটু সময় নিয়ে করা যেতে পারতো বলে মনে হয়েছে । এই উপন্যাসে আছে, দুষ্টু মিষ্টি স্বভাবের পরিবার মাতিয়ে রাখা মেয়ে তিথি । যার জীবনবোধের টানাপোড়েনে উপন্যাস বয়ে যায় নিজস্ব স্বকীয়তায় । এছাড়াও আছে গম্ভীর, একটু চুপচাপ স্বভাবের ‘আনন্দ’ । যে নিজের পরিবারের মানুষকে নিজের নামের মতোই আনন্দ দিতে চায় । এছাড়াও উপন্যাসে আছে, সংসার সামলে জীবন বয়ে নিয়ে গিয়ে পরিবারকে ভীষণ যত্ন করা সেলিনা । যে মেয়ের জীবনকে গুছিয়ে দিতে চাওয়ার জন্য কখনও কঠোর হয় । এছাড়াও আছে বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের, বুদ্ধি বিবেচনা করে জীবনে এগিয়ে যাওয়া তাহসিন তালুকদার । উপন্যাসে আছে প্রতিটি সম্পর্ককে সম্মান করা আজহার উদ্দিন এবং আসমা । এছাড়াও আছে সম্পর্ককে সময় না দিয়ে যত্ন না করা সোহেল । এরকমই কতগুলো চরিত্র নিয়ে জীবনের গল্প বয়ে যায় । সেই গল্পগুলো কোথাও যেন ভালোবাসার, আবার কোথাও মন্দবাসার । আবার কোথাও যেন মন্দবাসার হয়েও ভালোবাসাকে খুঁজে নেওয়ার । ♦সংলাপঃ নব্বই দশকের জীবনের প্রেক্ষাপটে তৈরি হওয়া উপন্যাসে ভারসাম্য আনতে যেভাবে শব্দচয়ন করতে হয়, বাক্যালাপ করতে হয় তাই যেন চেষ্টা করা হয়েছে । বেশ কয়েকটা চিঠিতে প্রেক্ষাপটে দৃশ্যপটের ছোঁয়া রেখে যেভাবে হাস্যরসের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা দারুণ ছিল । সাধারণত এই ধরনের উপন্যাসে মুহূর্ত এবং প্রেক্ষাপট এর দিকে নজর দেয়া জরুরি । কারণ তার উপরে নির্ভর করেই গল্প বয়ে যায় । এখানেও তা দারুণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে । ♦লেখক প্রসঙ্গেঃ ‘কিছু মন্দবাসার গল্প’ লেখক আফিফা পারভীন এর অন্যতম একটি উপন্যাস । যে উপন্যাসের সবথেকে প্রিয় এবং বিশেষ হয়ে ধরা দেয়, নব্বই দশকের জীবনের বিভিন্ন ধাঁচের সাথে গল্পকে মানিয়ে নেয়া । লেখক যেন তারই চেষ্টা করেছেন । উপন্যাসে উপস্থাপন করার জন্য বর্ণনামূলক এবং সংলাপ ভিত্তিক দুই ধরনেরই চেষ্টা লেখক অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন । এছাড়াও অনুভূতি প্রকাশে এবং কাহিনী উপস্থাপন করার প্রয়াসে যেভাবে পুরো উপন্যাস সাজানো হয় তা লেখক বেশ দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেন । লেখক আফিফা পারভীন এর লেখার জন্য শুভকামনা রইলো । ♦প্রকাশনীঃ প্রকাশনী হিসেবে ছাপাখানা প্রকাশনী এর সাথে পাঠক হিসেবে পরিচয় বেশ কয়েক বছরের । যেভাবে বই বাঁধাই থেকে শুরু করে পৃষ্ঠা বাঁধাই, প্রচ্ছদটিকে সাজিয়ে তোলার কাজ হয় তা বেশ অসাধারণ লাগে । এই প্রচ্ছদটি যেন বেশ দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । তবে কিছু কিছু সময়ে মনে হয় বইয়ের উপরে একটা আলগা অতিরিক্ত প্রচ্ছদ লাগালে তা কখনও দারুণ কাজ করে । বইয়ের মধ্যে যেভাবে ঘন ঘন শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করে একটা চিরায়ত আবহের সৃষ্টি করা হয়েছে তাও বেশ ছিল । এছাড়া বইতে তেমন বানান ত্রুটি নেই । ♦রেটিংঃ ৪.৪/৫ একেকটা জীবনের গল্প পড়া শেষে যখন আমি পড়া বইগুলোর সাথে একটা সবে পড়া শেষ হওয়া বই রাখতে যাই, তখন কেমন একটা যেন অনুভব হয় । মনে হয় যেন কোথাও একটা এত এত চরিত্রের জীবনের গল্প মনে ধারণ করছি তা মনের মাঝে ধরে রাখার জন্য প্রবলভাবে অনুভূতি কাজ করে । এভাবেই মনের অলিগলিতে কতশত চরিত্রগুলো যেন ঘুরে বেড়ায় ।

      By 880****811

      26 Feb 2025 10:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পাঠ প্রতিক্রিয়া 'কিছু মন্দবাসার গল্প' লেখক: আফিফা পারভীন প্রচ্ছদ: ফাইজা ইসলাম ছাপাখানা প্রকাশন প্রকাশকাল:বইমেলা, ২০২৫। একটি ভালো বইকে বলা হয় বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বইয়ের সাথে পার্থিব কোনো ধন-সম্পদের তুলনা হয় না। আমি বিশ্বাস করি, একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনো নিঃশেষ হয় না, তা চিরকাল অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে। 'কিছু মন্দবাসার গল্প' বইটি থেকে আমি যতটুকু জ্ঞান আহরণ করতে পেরেছি, আশা করি আমৃত্যু আমার মধ্যে এই জ্ঞানের শিখা উজ্জীবিত থাকবে। 'কিছু মন্দবাসার গল্প' অতি সাধারণ একটি উপন্যাসিকা। কখনো কখনো গল্পে বড়ো মোড় বা নাটকীয়তা না থাকলেও, তার সৌন্দর্য থাকে তার সরলতায়। অতি সাধারণ প্লটের গল্পগুলো অনেক সময় গভীর মনোভাব আর জীবনের আসল রূপ তুলে ধরে, যা জটিল ও কৌশলগত কাহিনির চেয়ে বেশি হৃদয়স্পর্শী হয়ে থাকে। আমি নব্বই দশকের গল্প পড়ে বেড়ে উঠা একজন মানুষ। নব্বই দশকের প্রজন্ম নিয়ে অনেক কথা, অনেক গল্প এখনও চায়ের আড্ডায় প্রজন্ম প্রতিনিধিদের নস্টালজিক করে তুলতে সক্ষম। তবে নব্বই দশকের প্রজন্মকে সংজ্ঞায়িত করার কোনো সুনির্দিষ্ট রেখা আলোচনায় আছে বলে মনে হয় না আমার। নব্বই দশকের প্রজন্ম বলতে আমরা আসলে কী বুঝি? নব্বই কিংবা আশির দশকে বেড়ে ওঠা প্রজন্মকে? সাধারণভাবে বলা যায়, বর্তমান সময়ে যাদের বয়স ত্রিশের কোঠায়, তারা কোনো না কোনোভাবে নব্বই দশকের সাথে জড়িত। এটা আসলে কোনো প্রজন্ম যুদ্ধ নয়। এটা শব্দ ও বাক্যের আদলে ফেলে আসা দিনের জলজ্যান্ত এক প্রতিচ্ছবি। যা 'কিছু মন্দবাসার গল্পে' লেখক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। বর্তমান আধুনিক প্রজন্মের সাথে মন্দবাসার সবচেয়ে বড়ো পার্থক্য হচ্ছে আমাদের বেড়ে ওঠার মাঝে। যদিও যোগাযোগ, গবেষণা প্রলুব্ধ নয়, তবুও ৯০ দশকের প্রজন্মই সম্ভবত প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা সর্বশেষ প্রজন্ম। সোঁদা মাটির কাছাকাছি ও শৈশবে কাটানো দুরন্ত সেই সময়গুলো কোনো ফ্রেমে আবদ্ধ করা হয়নি ঠিকই, কিন্তু কিছু বইয়ের পাতায় সেই মুহূর্তগুলো এখনও অম্লান। একাডেমিক পড়া বাদ দিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথে তিন গোয়েন্দা বা মাসুদ রানা সিরিজ পড়াটা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বইটা পড়ে কিছু স্মৃতি বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকছিল আমাকে। গল্পের শুরুটা ছিল তিথি নামক এক উড়নচণ্ডী মেয়েকে নিয়ে, যার একমাত্র নেশা গল্প, উপন্যাসের বই পড়া। বইয়ের ভাঁজে সুখ খুঁজে চলা একজন মেয়ের আত্মজীবনী বললেও ভুল হবে না অবশ্য। বইপড়া, দাপিয়ে বেড়ানো, কথায় কথায় তর্কে জড়ানো মেয়েটিকেও একটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সংসার নামক দায়বদ্ধতার শেকলে আবদ্ধ হতে হয়। এটাই একজন মেয়ের শেষ আশ্রয়স্থল। লেখক তিথির জীবনের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে সমাজের কিছু গোঁড়ামি ও মেয়ে জাতির প্রতি খামখেয়ালিপনা মনোভাবকেও তুলে ধরেছেন। উপন্যাসিকার কাহিনি বিন্যাসের ফাঁকে ফাঁকে দৃশ্যমান ছিল কিছু বর্বর মন মানসিকতা মানুষের, যারা নামে মানুষ অথচ কার্যকলাপে পশুর ন্যায়। একজন ব্যক্তির বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কটাক্ষ করা লোকদের মানুষ নয়, পশু বলে অবিহিত করেই সুখ পাই আমি। তিথির মাঝে কখনো কখনো নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। আপু হয়তো বইটা লেখার আগে প্রত্যেক পাঠকের গতিবিধি বেশ সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। নতুবা এরকম নিখুঁতভাবে একটি চরিত্রের রূপ দেওয়াটা চারটেখানি কথা নয়। দুই মেরুর দু'জন মানুষের কাছে আসার গল্পটি আমাকে একটুও হতাশ করেনি। জীবন যেমন কখনো নিখুঁত সুখের হয় না, তেমনি নিখাদ দুঃখেরও হয় না। মাঝের এই ধূসর প্রেক্ষাপটই "কিছু মন্দবাসার গল্প"। এটি শুধু কয়েকটি চরিত্রের নয়, বরং প্রত্যেক পাঠক হৃদয়ের একান্ত চেনা অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। আনন্দ, সোহেল, সেলিনা ইয়াসমিন, হেলেনা বেগম, সীমা, মিলি, আসমা, ওসমান মিয়া সহ প্রতিটি চরিত্রের চিত্রায়ন ছিল অনবদ্য। একজন শিল্পী যেমন রংতুলির সাহায্যে একটি ক্যানভাসকে জীবন্ত রূপ দেন, অনুরূপভাবে একজন লেখকও তাঁর নিজস্ব ভাষা শৈলী, শব্দচয়নের কাঠামোতে একটি সাধারণ প্লটের গল্পকেও অসাধারণ করে তুলেন। এছাড়াও 'কিছু মন্দবাসার গল্প' থেকে আমি একটি নতুন শব্দগুচ্ছ এবং আরেকটি নতুন শব্দ শিখতে পেরেছি। সেগুলো হচ্ছে, চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় এবং মৌরসীপাট্রা। আপুর লেখনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই তবে এবার উনার প্রুফ রিডারকে নিয়ে কিছু বলতে চাই। যোগ্য লেখকের যোগ্য প্রুফ রিডার। বানান, বাক্য, ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্য খেয়াল করলেই বুঝা যায়, তিনি প্রুফ রিডিং-এ ঠিক কতটা দক্ষ। সবশেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা না বললেই নয়। বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় অর্থাৎ লেখক পরিচিতির উপরের অংশে পাঠকের তোলা ছবির স্থান দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। লেখকদের প্রতি পাঠকদের উন্মাদনা চিরকালই রয়েছে, এবং বিভিন্নভাবে তারা তাদের প্রিয় লেখকদের খুশি করতে চায়, যাদের লেখনীতে তারা গভীরভাবে প্রভাবিত। তবে, আপনি সেই বিরল লেখক, যিনি নিয়মের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে পাঠকদের প্রতি উন্মাদনার এক অনন্য প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এই চমৎকার এবং একান্তভাবে নতুন আইডিয়ার জন্য পাঠকমহল সর্বদাই আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। একই সাথে, আপনি আমাদের যে সম্মান দিয়েছেন, আমরাও যেন আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মানটুকু ফিরিয়ে দিতে পারি, সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

      By Israt Sharmin Trina

      21 Feb 2025 08:39 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সময়ের দামে কেনা পূর্ণ বয়সে এসে এতোকাল ধরে গোপন করে রাখা অগোছালো মনটাকে আজ যেন কোন যত্নবান হাতের আজলায় জড়ো হতে দেখলাম। স্মৃতিরা আজ বড্ড বেদুইন জমে থাকা ধুলো গুলোকে যেন হন্নে হয়ে সরাচ্ছিলাম বার বার। আবেগে ভাসলাম, আপ্লূত হলাম, শীতের দুপুরে অলীক ডানা খুঁজতে থাকা এই আমিটা যেন রোদ্দুরের সামিয়ানার দেখা পেলাম। আর বর্ণময় দুঃখগুলো আমার কাঁপছে যেন নতুন জরি সুতোর এক মিহি গাঁথুনির ছোঁয়ায় বাঁধা পরার খেয়ালে। কারিগর আর কেউ না প্রিয় লেখিকা আফীফা পারভীন। আপু এভাবে কাঁদিয়ে দিলেন? আপনার কাছে কি দুঃখ ভুলোবার রূপোর কাঠি আছে?? ◾বিঃদ্রঃ এটা খুব দুঃখের কোন উপন্যাসিকা না। তবে হৃদয় নিংড়ে নেওয়া কিছু আবেগে মনটা হু হু করে কেঁদে উঠেছিল পড়ার সময় তাই....

      By sad****com

      13 Feb 2025 10:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই : কিছু মন্দবাসার গল্প লেখিকা :আফিফা পারভিন গল্পটা মুলত নব্বই দশকের একটি চঞ্চল চড়ুই পাখির মতো মেয়ে তিথি ও ভদ্র নম্র সুশীল সুদর্শন যুবক আনন্দ এদের ভালোবাসা! না ঠিক ভালোবাসা নয় মন্দবাসার গল্প। উত্তরবঙ্গের ছোট্ট মফস্বল শহর দিনাজপুর। দিনাজপুর আমার নিজের এবং আমার জন্ম বেড়ে ওঠা সবকিছুই এই শহরে এর বাইরের দুনিয়াটা আমি খুব কম দেখেছি। তাই এই গল্পটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। বিশেষ করে তিথি, তিথির মধ্যে আমি নিজেকে অনুভব করতে পারছিলাম। বই পড়ুয়া চঞ্চল, উড়নচণ্ডী,হাস্যজ্বল, বেখেয়ালি, সুন্দর এবং উন্নত চিন্তা ধারার মেয়েটি আমাকে এতো মুগ্ধ করেছে। পড়তে পড়তে আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম। আনন্দ চরিত্রটা এক কথায় অসাধারণ। মেধাবী, বই পড়ুয়া শান্ত ধীর চরিত্রের এক তরুণ । তিথির সম্পুর্ন বিপরীতে তার অবস্থান। চালচলন কাজকর্ম সবকিছু মার্জিত আনন্দ চরিত্রটা এক কথায় প্রচন্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টির মতো। আনন্দ ও তিথির পারিবারিক বন্ধন, নব্বই দশকের টেলিযোগাযোগ আর চিঠি আদান-প্রদান, কিশোরী বয়সে বন্ধু-বান্ধব এর প্ররোচনায় ভুল পথে পা বাড়ানো, জীবন এর অনেক উত্থান পতন, টানাপোড়েন সব মিলিয়ে গল্পটা আসলেই অদ্ভুত সুন্দর। আপুর সহজ সহজ সাবলিল লেখার ধরন এক অন্যরকম মাধুর্য এনে দেয়।প্রত্যেকটা শব্দ যেন একেকটা অনুভূতি! একবার পড়া শুরু করলে থামা যায় না "গল্পটা পড়ার পর অনেকক্ষণ এর চরিত্রগুলোর কথা ভাবছিলাম। যেন আমি নিজেই গল্পের একটা অংশ হয়ে গেছি। এই বইটা সত্যিই অসাধারণ! গল্পটা এমনভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে যে মনে হচ্ছে, চরিত্রগুলো আমার খুব চেনা কেউ!"

      By drd****com

      06 Feb 2025 07:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দিলরুবা রহমান রুবা। কিছু মন্দবাসার গল্প -- আফিফা পারভীন আপুর লেখা। নব্বই দশকের গল্প। যখন আমি সবে ইন্টার্নি করছি। আপুর অন্যান্য বইয়ের তুলনায় পাতলা সাধারণ একটা বই। বইটি পড়ে আমি অসম্ভব নষ্টালজিক হয়ে যাই। নিজের সেই সুন্দর ,উচ্ছল মুহূর্তে চলে যাই শুধুমাত্র আপুর লেখনীর গুনে। গল্পের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চিকিৎসক। যখন আমাদের চিঠিই ভরসা ছিল। ল্যান্ড ফোনে লাইন পাওয়া কষ্টকর। অদ্ভুত সুন্দরভাবে আপু বইটি লিখেছেন। আমাদের মতো সিনিয়র সিটিজেনদের মনকে নারা দিয়ে যায় । এখনকার মোবাইল ইন্টারনেটের যুগের ছেলে মেয়েরা সেইভাবে নব্বই দশকের অনুভূতি সহজে বুঝতে পারবে। লেখক আপু যে কিভাবে বুঝতে পারলেন,শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত মেধার গুনে। এমন মনকাড়া বইয়ের জন্য আপুকে অনেক অনেক ভালোবাসা। আমি রিভিউ দিতে পারি না। আমি শুধুমাত্র একটা নগন্য পাঠক যে চেষ্টা করেছে নিজের মনের অনুভূতির প্রকাশ করা। ভালো থাকবেন আপু ,শুভেচ্ছা নিবেন।

      By Tuly Das

      06 Feb 2025 08:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটি বই। নিজের কাটানো টিনএইজ সময়টাকে মনে করিয়ে দিলেন আপু।

      By DIDARUL ALAM SHUVO

      05 Feb 2025 01:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #অনুভূতি কথন বই : কিছু মন্দবাসার গল্প লেখিকা : আফিফা পারভীন। বই পড়ার আনন্দ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন গল্পের চরিত্ররা আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে যায়।আনন্দ ও তিথির "কিছু মন্দবাসার গল্প" এমনই একটি উপন্যাসিকা, যা শুধুমাত্র প্রেমের নয়, বরং সম্পর্কের গভীরতা, সময়ের নির্মমতা এবং জীবনসংগ্রামের এক বাস্তবচিত্র তুলে ধরে। গল্পের কাহিনি শুরু হয় ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে, উত্তরবঙ্গের একটি মফস্বল শহরে। প্রচণ্ড শীতে জমে থাকা পরিবেশের মধ্যে দুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনধারা, তাদের সুখ-দুঃখ, সংগ্রাম এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের প্রতিটি বাক্য যেন সেই সময়ের সমাজ-বাস্তবতার সাক্ষী, যেখানে দুঃখ, সম্পর্কের জটিলতা এবং মানবিক অনুভূতিগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে ফুটে উঠেছে। গল্পের কাহিনীতে নব্বইয়ের দশকের বাস্তবতা তুলে ধরা হলেও, পড়তে গিয়ে মনে হলো সমাজব্যবস্থায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপোড়েন, মেয়েদের গায়ের রঙ দেখে বিচার করার প্রবণতা, কিংবা গায়ের রঙ দেখে টিটকারি করার সংস্কৃতি—সবকিছু আজও বিদ্যমান। একজন কোমল স্বভাবের মেয়ে কীভাবে বাস্তবতার ধাক্কায় ধীরে ধীরে কঠোর হয়ে ওঠে, সেটি লেখিকা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসিকাটিতে বিয়ে নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে, তা পাঠককে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। সাধারণত বিয়ে সমাজে একটি প্রচলিত রীতি হিসেবে দেখা হয়, যেখানে দায়িত্ব, আনুষ্ঠানিকতা ও পারিবারিক সম্মতির গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু উপন্যাসিকাটিতে বিয়েকে শুধুমাত্র একটি প্রথাগত সম্পর্ক নয়, বরং দুই ব্যক্তির মানসিক সংযোগ, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এক গভীর বন্ধন হিসেবে উপস্থাপন করেছে। মেয়েরা সাধারণত বিয়ে নিয়ে সুন্দর কিছু স্বপ্ন দেখে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে। উপন্যাসিকাটি পড়তে পড়তে আমার মাথায় প্রশ্ন জেগেছে—আমার হবু স্ত্রীও কি আমাকে নিয়ে কল্পনা করে? নিশ্চয়ই কিছু ভাবনা গেঁথে রেখেছে মনে! একটু মজা করলাম, আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সব মিলিয়ে, উপন্যাসিকাটি পড়ার পর মনে এক প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠেছে। বাস্তবতার নির্মমতা থাকলেও, গল্পের পরতে পরতে ছিল ভাবনার খোরাক, ছিল অনুভূতির গভীরতা।

      By 880****260

      05 Feb 2025 10:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনুভূতি কথন বইঃকিছু মন্দবাসার গল্প লেখকঃআফিফা পারভীন কিছু মন্দবাসার গল্প বইটির প্রচ্ছদ দেখলেই কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন সময়কাল। এখানে বিশেষ ভাবে আছে ডায়েরি, যেটা আমার অন্যরকম ভালোলাগার। তবে এভাবে শুদ্ধ ভাষায় আমরা ডায়েরি বলতে পারিনি।আমরা বলতাম (ডাইরি)। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক আফিফা পারভীন আপুর লেখা কিছু মন্দবাসার গল্পের বইটা পড়লাম। এই বইটি আমি এখন পর্যন্ত কয়েকবার পড়লাম।যতবার পড়ছি ততবার আমার মনে হচ্ছে নিজেকে জানছি। বইটিতে যে সময়কাল আমি সেই সময়ের একজন বাসিন্দা। এখানে লুতুপুতু ভালবাসা -বাসি নেই আছে শুধু মন্দবাসা। এই বইয়ের একটি পৃষ্ঠা পড়তে শুরু করবেন আপনি নিজ উদ্যেগে,তারপর লেখকের লেখনশৈলী আপনাকে নিয়ে যাবে শেষ পৃষ্ঠায়। কিছু মন্দবাসায় আপনি পাবেন তিথি নামক একটি মজবুত চরিত্র। এই তিথি চরিত্রর মাধ্যমে আমরা পাবো অসংখ্য মেসেজ। যেমন বাবা মায়ের বা পরিবারের অন্য সদস্যদের শাসন সোহা। যেটা বর্তমান সময়ে আমরা অনেক মা বাবা ভাবতেই পারিনা।বাবার আদর মায়ের শাসন এই গুলো না থাকলে শৈশব কৈশোরে বিগড়ে যেতে একটি মূহুর্ত। একটি সন্তানের সর্বশ্রেষ্ঠ ভরসার স্থান পরিবার সেই পরিবার যদি পাশে না থাকে এরচেয়ে অভাগা আর নেই। উপন্যাসের আর একটি চরিত্র আনন্দ। আনন্দ একটি শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। এরকম শিক্ষায় অনেকেই শিক্ষিত থাকে। কিন্তু পুঁথিগত শিক্ষার থেকেও আনন্দ স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। কথার দারা মানুষের চলার পথ কিভাবে বাতলে দেয়া যায় এটা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে কিছু মন্দবাসার গল্প। এতো এতো সুন্দর বইটি পড়ুন। আমার বিশ্বাস লেখিকার শব্দ যাদুতে আপনি মোহনিবিষ্ট হবেনই হবেন। বইটা না নিলে এখনই অর্ডার করুন। যেকোন বুকশপে পাবেন। আবারও বলছি পড়ে দেখুন কিছু মন্দবাসার গল্প।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #কিছু_মন্দবাসার_গল্প #পাঠ_অনুভূতি গল্পটা মূলত ৯০ দশকের এক মধ‍্যবিত্ত রক্ষনশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা বইপ্রেমী কন‍্যা তিথিকে নিয়ে।আবার গল্পটা নিরানন্দ নিরামিষ আর জলপাই চোরেরও.....?? যারা ৯০ দশক পার করে এসেছে তারা এই তিথিকে ভালবাসতে বাধ‍্য হবে বইটা পড়তে গিয়ে,এটা আমি নিশ্চিত।প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর বইটা আমাকে এক ধাক্কায় আমার শৈশবে নিয়ে গিয়েছিল।ছোটবেলায় প্রচুর কমিকস বই পড়েছি।চাচা চৌধুরী,বিল্লু,পিংকী,রমন,ফ‍্যান্টম এই কমিকস চরিত্র গুলো মাথার ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছিল।আরেকটু বড় হওয়ার পর তিন গোয়েন্দার কত ভলিউম যে পাঠ‍্যবইয়ের চিপায় রেখে পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই।ধরা পড়ে আম্মুর হাতে কেলানিও খেয়েছি।একা কোথাও যাওয়ার অনুমতি ছিল না তখন।এমনকি বান্ধবীদের বাসায়ও না।এটা কোরোনা,ওটা কোরোনা কত যে বাধ‍্যবাধকতা ছিল তিথির মতো...!!!ইশ্...বইটা পড়তে গিয়ে এগুলো বারবার চোখের সামনে ভাসছিল।এখন বুঝি তখন কেন একটা মধ‍্যবিত্ত পরিবারের মায়েরা এত কড়া শাসনে রাখতেন মেয়েদের। এই বইটায় লেখিকা আপু যেভাবে ৯০ দশক সময়কার একটা মফস্বল এলাকার পারিপাশ্বির্ক চিত্র,মধ‍্যবিত্ত পরিবারের মনমানুষিকতা,পরিবার থেকে লুকিয়ে প্রেম করা,জেদ করে বা প্রতিজ্ঞা করে নিজেকে পরিবর্তন করা,যাই লিখি না কেন সবকিছুই এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যে,৯০ দশক রিলেটেড যারা আছেন তারা সবাই নিজেদের শৈশব ও কৈশোরের সাথে মিল পাবেন।আমি বইটার প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত আমার নিজের শৈশব,কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে করতে পড়েছি।এক কথায় বইটা আমার কাছে,আমার শৈশব,কৈশোরের আর্কাইভ। আফিফা আপু আপনি বরাবরই ভাল লিখেন। এই বইটা আপনি কিভাবে এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন বলেন তো??আমাকে তো একেবারে শৈশবের স্মৃতি থেকে ঘুরিয়ে আনলো বইটা।আমার যখনই ছোটবেলার কথা মনে পড়বে তখনই এই বইটা পড়তে বসবো। আমি এখানে বইটা নিয়ে কোনোকিছুই লিখিনি আপু।সব আমার নিজের কথাই লিখেছি।কি করবো আপু??বইটা পড়তে গিয়ে তিথির জায়গায় নিজেকেই বসিয়ে রেখেছি।রাগ করবেন না আপু। ভালবাসা অবিরাম আপু...❤❤

      By 880****702

      04 Feb 2025 01:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যি বলতে আমি তিথিতে ডুবে গেছি।। আমার নিজের কিছু পুরোনো মুহূর্ত মনে পড়ে গেল।। সময় এবং জীবন কারো জন্য বসে থাকে না।। বইয়ের কথা আর কি বলবো।।। যেটা পড়ে ব্যক্তি জীবনের বাস্তব কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায় অথবা নিজের জীবনের সাথে কিছুটা হলেও মিলে যায় সেই বই নিয়ে আলাদা করে রিভিউ দেওয়ার মতো কোন শব্দ আমার শব্দ কোষে নেই। আমি নিজেও এইচ এস সি র সময়ে কোন কাজই জানতাম না।। রান্না তো দুরে থাক।। কিন্তু লেখা পড়ার জন্য যখন মায়ের আঁচল ছাড়া হলাম তখন নিজের প্রয়োজনেই সবটা শিখতে হয়েছে।। এখন স্বামী, সংসার সাথে দুটো বাচ্চা সামলাচ্ছি।। যদি ও প্রতিনিয়ত শিখছি।। বিবাহিত জীবনের এতটা বছর পার করেও শিখছি অনেক কিছু। আমার পরিবার ও যথেষ্ট রক্ষণশীল ছিলো আমাকে নিয়ে।। এর মধ্যেই ভালোবাসা নামক বিষয়টির সাথে পরিচিত হয়েছি এবং এই ভালোবাসার মানুষটার সাথে যেন আল্লাহ শেষ পর্যন্ত নেন। মায়ের কথা যদি বলি তো সেলিনা বেগম মায়েদের বাস্তব প্রতিরূপ।। সংসার এবং শাসনের বেড়াজালে মায়েদের ভালোবাসাগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যায়।। আর মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই বাবার রাজকন্যা।।। সংসার সমাজের অনেক খুটিনাটি বিষয়গুলোও এসেছে উপন্যাস আকারে।। যেগুলো আমাদের সমাজের কিছু মারাত্মক ব্যাধি।। সবশেষে লেখিকা আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মাস্টারপিস উপহার দেয়ার জন্য।। জীবনে প্রথম কোন লেখা সম্পর্কে লিখলাম। যদিও লেখার আড়ালে নিজেকে কিছুটা শেয়ার করলাম।। ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।। মন্দবাসার আড়ালে ভালোবাসা অবিরাম ????

      By Sumaiya Akter Mim

      04 Feb 2025 09:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #অনুভূতিকথন এই গল্পটা আসলেই মন্দবাসার। ভালোবাসার দেখাই তো পেলাম না! কিন্তু তারপরও এই গল্প পড়ার সময়টা ভীষণ উপভোগ্য, পড়া শেষ করে চোখ বন্ধ করে থাকাটা ভীষণ আরামের। কিছু সুখ হয় না কেমন কান্নার দলা পাকিয়ে আনে? আমার ঠিক তেমন মনে হচ্ছে। আয়নায় প্রতিবিম্বস্বরুপ নিজেদের যাপিত জীবনটাই তো ছিল গল্পে। তবে এরকম নিরিখে তো দেখা হয় না, ভাবা হয় না। সেই ভাবনাগুলো, ঘটনাগুলো যখন বইয়ের পাতায় পড়া যায়, পড়ে যখন যাপিত জীবনে কাটানো মুহুর্তগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করা যায় বড্ড তৃপ্তিদায়ক লাগে। পার্থক্য এখানেই গল্পটা নব্বইয়ের কিন্তু আমি চব্বিশর। "কিছু মন্দবাসার গল্প" বইটি সোজা ভাষায় যাপিত জীবনেরই গল্প। ছোট গল্প, চরিত্রের ব্যাপারে কিছু বলবো না। মনে হচ্ছে অল্প বললেও বাকিদের পড়ার মজা নষ্ট হবে। তবে "তিথি" চরিত্রকে নিয়ে কিছু না বললে অন্যায় হবে। তিথি হয়তো এমন এক চরিত্র যা আমি নিজের মধ্যে ধারণ করতে চাইবো। She is just she. তিথিকে আমি কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করবো না। খুবই সাধারণ সে কিন্তু আমার খুব খুব পছন্দের তালিকায় সে শুরুতেই থাকবে নিঃসন্দেহে। আফিফা আপুকে সবসময় বই পড়া শেষে ধন্যবাদ জানাই, ভালোবাসা দিই। এই বইটার জন্যও দিবো তবে এবারেরটা বিশেষ। তোমাকে স্পেশালি খুব ধন্যবাদ আপু। আমার এই গল্পটা কি যে ভালো লেগেছে আমি বলতে পারবো না। কিছু বই হয় না? পড়া শেষে মনে হয় এমন কিছু পড়ার তাড়নাই তো ছিলো। "কিছু মন্দবাসার গল্প" আমার জন্য তেমই। ছিমছাম তবে মনে গেঁথে যাওয়া আর বয়েব বেড়ানোর মতো এক জীবনালেখ্য।

      By Sathi Islam

      05 Feb 2025 01:02 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পাঠ-অনুভূতি বইঃ কিছু মন্দবাসার গল্প লেখিকাঃ আফিফা পারভীন কিছু মন্দবাসার গল্প খুব ছোট্ট একটা বই কিন্তু অনেকটা ভালোলাগার। বইটা পড়া শুরু করার পর থেকে পাতার পর পাতা পড়ার তৃষ্ণা বাড়ায় এবং তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান করে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় কিছু মন্দবাসার গল্প শেষ করে সেই তৃপ্তিটাই পেলাম। ভালোলাগায় ও তৃপ্তিতে মন ভরে আছে। গল্পটা ভালোবাসার না, গল্পটা আসলে মন্দবাসারই একটা গল্প ছিল, যে মন্দবাসার গল্পটা আমার কাছে ভালোবাসার চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে। গল্পটা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে আছে। কিছু মন্দবাসার গল্প এতটা অনুভূতিপ্রবণ ছিল যা সবসময় আমার অনুভূতিতে মিশে থাকবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পের যে চরিত্রটা আমাকে সবচেয়ে ভালোলাগায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে সে হলো তিথী। সে খুব সাধারণ কিন্তু তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তাকে অনন্য করেছে, তাই তো খুব সাধারণ হয়েও সে সবচেয়ে বিশেষ হয়ে ধরা দিয়েছে। তারপর ভালোলেগেছে নিরানন্দ নিরামিষকে। বিনয়ের গুন মানুষকে সম্মানিত করে, আনন্দের মধ্যে এই গুন তো ছিলই আরো ছিল প্রকৃত পুরুষালি সকল গুন যা তার প্রতি ভালোলাগার পাশাপাশি সম্মানও প্রদর্শন করায়। গল্পটা মন্দবাসার হলেও আমার কাছে অনেক ভালোবাসার ও খুব স্পেশাল একটা গল্প হয়ে থাকবে সবসময়। বইটা ছোট হলেও বড় বই পড়ার পর যেমন তৃপ্তি পাওয়া যায়, এই বইটাও ঠিক তেমন। এমন ছোট ছোট আরো অনেক বই চাই লেখিকার কাছে। যা এক বসায় পড়ে ফেলা গেলেও যার রেশ থেকে যাবে অনন্ত সময়ের জন্য। ?

      By Mahbuba Dipa

      03 Feb 2025 08:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #পাঠ অনুভূতি কিছু মন্দ বাসার গল্প ? মাত্রই পড়ে শেষ করলাম। গল্পের সময়কাল ৯০ দশকের হওয়াতে, এই বইয়ের প্রতি আগ্রহ খুব বেশি ছিলো। গতকাল থেকে এই বইয়ে ডুবে ছিলাম। ? তিথিকে খুব ভালো লেগেছে আমার। আমাদের শৈশব/কৈশোর কালের অনেক কিছুর সাথে মিলে যায়, এই বইয়ের তিথির সাথে। তিথি যেনো, আমাদেরই প্রতিচ্ছবি। শ্যামলা গায়ের রং, পড়াশোনায় মনোযোগ কম, গৃহস্থালি কাজের থেকে গল্পের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি। ? তিথির মা/দাদীর মতো মানসিকতা এখন ও অনেকের মধ্যেই আছে। ? ভালো লেগেছে নিরানন্দ নিরামিষ ও তার বাবা - মাকে। ? খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। মধ্যবিত্ত পরিবারের তখনকার প্রতিচ্ছবি খুব সুন্দর ফুটে উঠেছে আপনার লেখনীতে। তখনকার দিনে প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক, সবাই মিলে টিভি দেখা, বিশেষ দিনে পাড়ার সবাই মিলে উদযাপন । ? আপনি তো জানেন খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কিছু লিখতে পারি না। তাই লিখি না। তবে এই বইটার কিছু কিছু অংশ একদম মন ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে তিথির বাবার অংশটুকু। স্পয়লার হয় যদি, তাই লিখলাম না। ? অনেক কিছু লিখে ফেললাম। ভূল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই, আশা করছি। ? আফিফা পারভীন আপু সবসময় ভালো থাকুন, ভালো লিখুন। আরো বেশি বেশি বই আসুক আপনার। শুভকামনা সবসময় ?

      By yeasmin nargis

      03 Feb 2025 07:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #কিছু_মন্দবাসার_গল্প #অনুভূতিকথন কোন এক শীতের রাতে আমি হাতে তুলে নিয়েছিলাম "কিছু মন্দবাসার গল্প"। বইটির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে ছিল আরেক শীতের কাহিনী, যেটি সেই নব্বইয়ের দশকের প্রেক্ষাপটে আবর্তিত। তখন যেমন প্রকৃতি ছিল শীতের কুয়াশার চাদরে মোড়া, ঠিক তেমনই ছিল সেই সময়ের চরিত্রগুলো আবেগ, অনুভূতি, মন্দবাসা আর জীবনপ্রবাহে আবৃত। আশ্চর্যের বিষয়, এই বইয়ের শীতল আবেশ আর আমার চারপাশের শীত যেন এক সুরে বাঁধা।লেখকের কলমে শীত যেন শুধুমাত্র একটি ঋতু নয়, বরং সম্পর্কের ভাঙন, আবেগের অস্থিরতা, এবং জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের রূপক। চারপাশে যখন ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে, জানালার কাচে জমছে কুয়াশা, আমি নিজেকে আবিষ্কার করি বইয়ের সেই শীতল কাহিনীর অংশ হিসেবে। এই শীত যেন আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই নব্বইয়ের দশকে, যেখানে সম্পর্ক ছিল জটিল, অনুভূতি ছিল অগোছালো, আর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কুয়াশার মতো অনিশ্চিত, ছিল বিভিন্ন কুপ্রথা ও কুসংস্কার । শীত মানুষকে একা করে দেয়, আবার একাকীত্বেই মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। যখন আমরা হারিয়ে যাই, তখনই আমরা আমাদের আসল চেহারা আবিষ্কার করি। মানুষ তার শূন্যতাকে পূরণ করার জন্য অন্য মানুষের কাছে যায়, আর সেই শূন্যতা পূরণেই জন্ম নেয় গল্প। মন্দবাসার অনুভূতিগুলো আমার নিজের জীবনের টুকরোগুলোর সঙ্গে মিশে যায় বিশেষ করে দাদী নাতিনের সম্পর্ক,মায়ের বাড়াবাড়ি শাসন,কোনো এক বান্ধবীর চিঠি সবাই মিলে পড়া ইত্যাদি ইত্যাদি সব। বিঃ দ্রঃ - লেখিকাকে নিয়ে বা তার লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বরাবরের মতই তিনি তার নিজ গুনে দীপ্তমান।

      By efa****com

      03 Feb 2025 07:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #পাঠপ্রতিক্রিয়া বই: কিছু মন্দবাসার গল্প লেখক: আফিফা পারভীন প্রকাশনী: ছাপাখানা। কিছু মন্দবাসার গল্পটা মফস্বল শহরের দুটো মধ্যবিত্ত সাধারণ পরিবারের গল্প। গল্পের প্রধান নারী চরিত্র তিথি গল্প-উপন্যাসের গতানুগতিক ধারার নায়িকাদের মতো সুন্দরী, গুণবতী, বিত্তশালী নয়। সে দেখতে সাধারণ, পড়াশোনায় সাধারণ, কাজকর্মেও সাধারণ। তিথিকে পড়ার সময় মনে হলো, এমন তিথিদের আমরা আশেপাশে কিংবা আয়নার সামনে দাঁড়ালেও হরহামেশাই দেখতে পাই। সেই সাধারণ তিথি আর প্রতিবেশি হবু ডক্টর আনন্দ এবং পারিপার্শ্বিকতা নিয়েই কিছু মন্দবাসার গল্পটা। আসলেই কী মন্দবাসা নাকি ভালোবাসার উল্টোপিঠই গল্পের বিষয়বস্তু? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। আমি শুধু বলব পড়তে গিয়ে আমার অনুভুতির কথা। ছোট্ট একটা বই। গল্পটাও খুবই কমন প্লটের। কিন্তু মুল আকর্ষণ এই বইয়ের বর্ণনাশৈলী আর সময়কাল। নব্বই দশক শুনলেই কেমন যেন আপন আপন গন্ধ লাগে। মায়া মায়া ভ্রম তৈরি হয়। স্মৃতিময় শৈশব কৈশোর চোখের সামনে ভিড় জমায়। এই বইটা যেন সেই সময়ের একটা চলচ্চিত্র। ছোট ছোট প্যারায় বড় বড় সেই স্মৃতির মোহময় বর্ণনা। আবেগ আর ভালোবাসায় মিলেমিশে মন্দবাসা। আফিফা আপু বরাবরই ঝকঝকে সুন্দর লিখেন, এই বইটা যেন তার সেই সৌন্দর্য বেড়ে যাওয়ার জলজ্যান্ত প্রমাণ। গল্পের ধারাবাহিকতায় উঠে আসা সেই বইপড়া যুগ, বই বিনিময়, একটু একটু জমানো টাকায় বই কেনা। পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই বড়দের কাছে বরাবরই আউট বই। এই একটা আউট বইয়ে সেই আউট বইয়ের কত অপকারিতার বর্ণনা অভিভাবকের ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে। আছে সেই সময়ের টিভি নাটক আর সিনেমা দেখার গল্প। আছে ম্যাকগাইভারের গল্প। বিশেষ ভাবে নব্বই দশকের বেড়ে উঠা প্রতিটি মানুষের জন্যই ম্যাকগাইভার মানেই স্মৃতির জ্বর, আবেগ আর ভালো লাগার মিশেলে দারুণ একটা সিরিজ। এছাড়াও প্রতিবেশিদের হৃদ্যতা আর আন্তরিকতার সম্পর্ক। পাড়ায় /মহল্লায় ছোট ছোট আনন্দ অনুষ্ঠানের সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের খুশিয়াল আমেজ। অকৃত্রিম মানবিকতা। মেয়েরা সংখ্যায় যতই হোক পুরুষ মানুষ সাথে না থাকলে একাই হয় - কী দুর্দান্ত উপস্থাপন। প্রতিটি বিষয় ছোট ছোট করেও বিশাল উপস্থাপন। আরও সেই চিঠি যুগের কিছু ভালোবাসার চিঠি এবং তা আদান-প্রদানের চমকপ্রদ বর্ণনা। এই অংশগুলো এত চমৎকার যে, পড়ার পর যখন তখন মনে পড়ে যায়। কী ভীষণ ভালো লাগায় বুঁদ হয়ে ছিলাম বইটা পড়তে গিয়ে। পড়া শেষেও সেই রেশ কাটছেই না যেন। কাহিনটা সিম্পল হলেও এর গতিময়তা কিন্তু অসাধারণ। জাস্ট ফ্লো ধরে তাল মিলিয়ে গেলেই দারুণ একটা গল্প। হয়ত ভালোবাসার কিংবা মন্দবাসার।। গল্পের প্রতিটি চরিত্র নিজ গন্ডিতে চমৎকার। বিশেষ ভাবে তিথি। চিন্তাধারা, মন ও মননে চমৎকার একটা মেয়ে। সদা হাস্যোজ্বল, প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর এক অপরাজিতা। অনেকের জন্যই হতে পারে প্রেরণার উৎস। আর আনন্দ আসলেই নিরানন্দ নিরামিষ। কিন্তু নিরানন্দ হলেও নিরামিষ কিন্তু খুবই স্বাস্থ্যকর ও উপকারি এবং মাঝেমাঝে মুখরোচকও। নিরামিষ ক্ষণে ক্ষণে তার উপকারিতা বুঝিয়ে দিয়েছে। আর কিছু বলতে গেলেই স্পয়লার হয়ে যাবে। অনুভুতির প্রকাশও অনেকটা এলোমেলো হচ্ছে। কারণ এখনো আমি আটকে আছি ভালোবাসাময় মন্দবাসার গল্পে। এমন ছোট প্যাকেট বড় ধামাকার বইয়ের জন্য লেখককে একরাশ ভালোবাসা আর শুভকামনা। এরকম দুয়েকটা বই পড়তে পারলে, পাঠকের স্বাদবদল হয় হয়, পড়ার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।

      By Atiqur Rahman

      01 Feb 2025 11:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #পাঠ_প্রতিক্রিয়া আশির শেষ আর নব্বইয়ের শুরুর সেই সহজ সরল দিনগুলি যেন উঠে এসেছে আফিফা পারভীনের নতুন উপন্যাস "কিছু মন্দবাসার গল্প" বইটিতে। চমৎকার একটি বই "কিছু মন্দবাসার গল্প"। দুরন্ত, চঞ্চল তিথির বয়ানে লেখা বইয়ে উঠে এসেছে উত্তরাঞ্চলের এক শান্ত শহর দিনাজপুরের দুই পরিবারের কথা। দুই পরিবারের গভীর সম্পর্ক দেখলে বোঝার উপায় নাই যে এদের মধ্যে কোন রক্তের সম্পর্ক নাই। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী তিথি, বাবা-মা আর দাদীর সাথে থাকে। তিথিদের বাসার একতলায় বাস করে মেডিকেলের ছাত্র আনন্দের বাবা-মা। দুই পরিবারের মধ্যে কত মিলমিশ, কিন্তু আনন্দ আর তিথির মধ্যে তার ছিটেফোঁটাও যেন নেই! প্রথম থেকেই দুইজন দুই দিকে। তিথি, মিলি, সীমা- তিন বান্ধবী। একসাথে কলেজে যায়, একসাথে কোচিংও করে। তিথির পড়তে ভালো লাগে না। ছাত্রী হিসাবে সাধারণ। দেখতেও সাধারণ। মা-দাদী উঠতে বসতে বকাবকি করে। আনন্দ ঢাকায় থাকে, মেডিকেলের ছাত্র। দেখতে সুন্দর, বাবা-মার বাধ্য ছেলে। সবাই তাকে পছন্দ করে। আর সোহেল, এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে। বয়সে তিথির বেশ বড়। সে তিথিকে পছন্দ করে। এদের মধ্যে সম্পর্ক কি? বন্ধুত্ব, না কি সম্পর্ক অন্যদিকে টার্ন নিবে? জানতে পড়ুন চমৎকার এই বইটি, "কিছু মন্দবাসার গল্প"। বইটিতে তিথিকে লেখা কিছু চমৎকার প্রেমপত্র আছে! পাঠকেরা তা পছন্দ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। বইটিতে চমৎকার করে উঠে এসেছে সেই সময়ের ছবি। বিশেষ করে ছোট, মফস্বল শহরের কথা। চাঁদা তুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা। দল বেঁধে সে অনুষ্ঠান দেখা। এছাড়া গল্পের বইয়ের প্রতি অভিভাবকদের অনীহা, মেয়েদের বই কিনতে বইয়ের দোকানে যাওয়া নিয়ে কথা শোনানো, অনেকটা জোর করেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া – এই বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। এবং দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই ২০২৫ সালে এসেও এই বিষয়গুলোর খুব একটা পরিবর্তন হয় নি! আফিফা পারভীনের লেখা সবসময়ই দারুণ, এই উপন্যাসটিও তার ব্যাতিক্রম নয়। লেখকের লেখার জাদুতে একবসায় শেষ হয়ে যায় এমন চমৎকার একটি উপন্যাস "কিছু মন্দবাসার গল্প"। বর্তমানের অস্থির সময়কে কিছুক্ষণের জন্য দূরে রাখতে "কিছু মন্দবাসার গল্প" বইটি দারুণ উপযোগী হবে বলেই আমি মনে করি। বইটির প্রচ্ছদ, প্রিন্টিং খুব সুন্দর। ছাপাখানার ভূতের উপদ্রব চোখে পড়েনি।

      By তিথি রহমান

      26 Jan 2025 09:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #পাঠ_অনুভূতি বই: কিছু মন্দবাসার গল্প লেখক: আফিফা পারভীন প্রকাশনী: ছাপাখানা মলাট মূল্য: ৩৭৫৳ অনুভূতিকথন: "কিছু মন্দবাসার গল্প" বইটা নব্বই দশকের পটভূমি নিয়ে লেখা খুব মিষ্টি একটা গল্প। লিখনশৈলী খুবই চমৎকার। পড়ার সময় একদম নষ্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের জীবনের, আশেপাশে মানুষদের গল্পই যেন তুলে ধরেছে বইতে। নব্বই দশক নিয়ে লেখা হলেও বর্তমান সময়ের সাথে অনেক মিল খুঝে পেয়েছি। বইয়ের প্রধান চরিত্র আনন্দ এবং তিথি। আনন্দ শান্ত- শিষ্ট, ভদ্র একজন তরুণ। যার আচরণে ও মার্জিত ব্যবহারে সবার পছন্দের একজন ব্যক্তি। আর তিথি হলো চঞ্চলা একজন কিশোরী। তিথি তার আচরণে বার বার সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে। তিথি চরিত্রটা ভীষণ মন কেড়েছে আমার। এছাড়াও সেলিনা, হেলেনা বেগম, আসমা, আজহারউদ্দীন, তালুককদার সাহেব সব চরিত্র নিয়ে সাজানো বইটি। মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনের গল্প, প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক সবকিছু সুন্দর করে তুলে ধরেছে। গায়ের রঙ একটু কালো বা শ্যামলা হলে তাদের যে সবাই কেমন নজরে দেখে, আর বিয়ের সময় কাড়ি কাড়ি যৌতুক দিতে হবে বলে মনে করে সেটা বইতে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। তিথির সাহসিকতা দেখে বার বার মুগ্ধ হয়েছি। বইয়ের সব চরিত্ররা যেন জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। সাহিত্যপ্রেমীদেন জন্য দারুণ একটা বই।

      By Priya Rahman

      21 Jan 2025 06:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #কিছু_মন্দবাসার_গল্প "আমার ও নিরানন্দ নিরামিষ এর মধ্যে ভালো কোন স্মৃতি নেই, সুন্দর কোন সময় নেই, সুখের কোন আলাপ নেই, ভালো লাগার মত কোন ব্যাপার নেই। আমাদের মধ্যে যা কিছু আছে তা সব মন্দলাগার আর মন্দবাসার অনুভূতি। আমাদের গল্পটা তাই মন্দবাসার। এই ডাইরিটাতে আমাদের সকল মন্দবাসার গল্প গুলো লিখে রাখি। এতে আর কারো কথা লিখি না, আর কারো সম্পর্কে কোন অনুভূতির প্রকাশ করি না। শুধু কিছু মন্দ ভাষার গল্প লিখি বলেই ডায়রীটার নাম দিয়েছি, কিছু মন্দ ভাষার গল্প। " ★ জনপ্রিয় লেখক আফিফা পারভীনের নতুন রোমান্টিক সামাজিক উপন্যাসিকা "কিছু মন্দবাসার গল্প" এক নব্বই দশকের আবেগময়, হৃদয়স্পর্শী গল্প। লেখক তাঁর সূক্ষ্ম লিখনশৈলী এবং জীবন্ত বর্ণনার মাধ্যমে পাঠকদের এক স্বপ্নিল সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ★ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আনন্দ এবং তিথি। আনন্দ এক শান্ত, শিষ্ট, ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণ, যার সুদর্শন ও মার্জিত আচরণ সহজেই হৃদয় কাড়ে। অন্যদিকে, তিথি এক সাহসী, চঞ্চল এবং ছেলেমানুষি স্বভাবের তরুণী। তার গড়পড়তা চেহারা এবং অস্থির স্বভাব সত্ত্বেও সে নিজের জীবনযুদ্ধে অবিচল। লেখক তিথির চরিত্রে এক অনন্য সাহসিকতার ছাপ দিয়েছেন, যা তাকে এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। গল্পটি প্রেমের চিরন্তন আবেগকে ধরে রেখেছে, যেখানে নব্বই দশকের চিঠির মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ, পারিবারিক বন্ধন, এবং প্রতিবেশী সম্পর্কের গভীরতা সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে। বিশেষ করে, লেখক চিঠির বিনিময়ে প্রেমের আভিজাত্যকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, যা পাঠকদের মধ্যে এক ধরনের নস্টালজিয়া জাগিয়ে তোলে। যদিও সোহেলের চিঠিগুলো পড়লে পাঠকের ভীমড়ি খাওয়ার যোগাড় হবে। ? কাহিনি সংক্ষেপে : গল্পের মূল উপজীব্য আনন্দ এবং তিথির সম্পর্কের ক্রমবিকাশ। একদিকে আনন্দের শান্ত ও গম্ভীর জীবনযাত্রা, অন্যদিকে তিথির দুরন্ত ও সাহসী মনোভাব তাদের জীবনের বাঁক বদলে দেয়। কাহিনিতে নব্বই দশকের আবেগময় মুহূর্তগুলো যেমন পারিবারিক উৎসব, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্ক, এবং ছোটো ছোটো ভুল বোঝাবুঝির ভিন্ন রূপ দেখা যায়। ? বিশেষ আকর্ষণ : ★লিখনশৈলী: লেখকের বর্ণনার গভীরতা এবং ভাষার সরলতা পাঠকদের মন ছুঁয়ে যায়। বরাবরের মতোই চমৎকার শুরু আর দারুণ সমাপ্তি। ★চরিত্রায়ণ: আনন্দ ও তিথির মতো বহুমাত্রিক চরিত্র পাঠকদের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করে। এছাড়াও সেলিনা, আসমা, হেলেনা বেগম, মিলি, সীমা, আজহারউদ্দীন সাহেব, ও তালুকদার সাহেব এই সকল চরিত্র যেন এক সুতোয় বাঁধা নব্বইয়ের সেই টান ফিরিয়ে আনে মনে। ★নব্বইয়ের আবহ: কাহিনির প্রতিটি পাতায় নব্বই দশকের সাদামাটা কিন্তু হৃদয়গ্রাহী পরিবেশ পাঠককে মুগ্ধ করবে। দলবেঁধে সিনেমা দেখতে যাওয়া, প্রতিবেশীদের একসাথে বাজারে যাওয়া। ভালোমন্দ খোঁজ খবর নেয়া এবং পাড়ার ছেলেমেয়েদের চোখে চোখে ইশারায় প্রেম সবকিছুই যেন কত নির্মল ও স্নিগ্ধ। ? পাঠকের জন্য বার্তা : "কিছু মন্দবাসার গল্প" একটি হৃদয়গ্রাহী উপন্যাস, যা শুধুমাত্র প্রেম নয়, বরং পারিবারিক বন্ধন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের গুরুত্বও তুলে ধরে। এটি একটি এমন উপন্যাস, যা নব্বই দশকের পাঠকদের মনে স্মৃতির জানালা খুলে দেবে এবং নতুন প্রজন্মকে ওই সময়ের অনুভূতি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে চমৎকার লেগেছে, অল্প বয়সের আবেগের ভুল ও তা শুধরানোর মতো সাহস তিথির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন পাঠকের জন্য। এটি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্যও শিক্ষনীয়। আফিফা পারভীনের এই উপন্যাসটি পাঠকদের জন্য এক অনবদ্য উপহার। এর সরল অথচ গভীর কাহিনি এবং জীবন্ত চরিত্রগুলো বারবার মনে গেঁথে যাবে। "কিছু মন্দবাসার গল্প" নিঃসন্দেহে রোমান্টিক সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি সুখপাঠ্য বই।

      By Ishita Rahman

      19 Jan 2025 03:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আপুর লেখা প্রতিটা বই এত্ত সুন্দর দেখেই কিনতে মন চায় ?‍♀️

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!