Our User Product Reviews

এইটা কিভাবে নিউরো থ্রিলার হয় বেপারটা বোঝা গেল না। পুরো বইটিতে বিভিন্ন লেখক এবং গুনিযনদের এই পরিমান কোটেশন/কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে যে বিরক্তির শেষ সীমা পার হয়ে গেছে। আমার ধারণা খুব সম্ভব "ইম্পোস্টার সিনড্রোম" - জাস্ট এইটার সংগার উপর বেইজ করে আগা মাথা হীন একটি গল্প রেডি করা হয়েছে । এইটার সাথে অগুণতি অপ্রয়োজনীয় সস্তা কোটেশনের জগাখিচুড়ি রান্না করে বই ছাপানো হয়েছে। নিউরো তো দুরের কথা, সাধারণ মানের একটা থ্রিলার ও এই বই নয়।

প্যাসিভ পুরুষ আমার পড়া অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি বই। একটানা পড়ে শেষ করেছিলাম। লেখককে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানাচ্ছি।

প্যাসিভ পুরুষ বইটা আসল অসাধারণ আমি ফুল কমপ্লিট করতে পারি নাই বাট আমি ৮০পেজের মতো কমপ্লিট করছি বইটা খুবই ভালো আমার কাছে খুব ভালো লাগছে বইটা পড়ে

দুর্দান্ত লেগেছে। প্রকৌশলী সাইফুল হত্যার রহস্যের গোলকধাঁধা। পেশাজীবনের ব্যস্ততা, সাফল্যের পিছে ছুটতে গিয়ে নিজের জীবনসঙ্গী বা পরিবারকে জেনে না উঠা,বুঝতে না পারা। কাছে থেকেও যেন শত ক্রোশের দুরত্ব, ক্রমাগত বেড়ে উঠা সন্দেহের গল্পগুলো। কিছুটা কাঠখোট্টা স্বভাবের অন্তর্মুখী মানুষ সাইফুলের অনুপস্থিতি যেন দুমড়েমুচড়ে দেয় কলির জীবন। সাইফুলের প্রতি অনুভূত হয় নিখাদ ভালোবাসা,তবে তাঁকে হারিয়ে ফেলার পর! এ থ্রিলারের মূল চরিত্র প্রকৌশলী সাইফুল, ডাক্তার আনার কলি,তাঁদের সন্তান কানন ও মামুন রায়হান। কলির বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বামী সাইফুল হত্যার। অভিযোগের তীর স্বল্পদিনের পরিচয়ে কলির সাথে বন্ধুত্ব হওয়া বয়সে ছোট রানিংমেট মামুন রায়হানের বিরুদ্ধেও। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? তা তদন্তে উঠে আসে জীবনের না বলা গল্পগুলো, সাংসারিক জীবনের নির্মম বাস্তবতা,প্যাসিভ পুরুষের অপ্রকাশিত কষ্টগুলো। শুরুটা সরলভাবে হলেও ধীরে ধীরে গল্প মোড় নেয় বেশ গভীরে।পাঠক আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠে লেখকের প্রাঞ্জল শব্দবুনন, আর নিরবচ্ছিন্ন গল্প নির্মাণ কৌশলে। কেবল সামাজিক বাস্তবতাগুলোই নিউরো থ্রিলারে উঠিয়ে নিয়ে আসাই নয়,বরং পাঠক হিসবেও লেখকের পরিচয় তুলে ধরাটা অনন্য। গল্পের বাঁকেবাঁকে প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে এনেছেন বাংলা ও ভিন্ন ভাষার বিখ্যাত লেখকদের বিখ্যাত লেখার চুম্বকাংশ। বন্ধুতালিকায় থাকা বইপড়ুয়া বন্ধুগণ পড়তে পারেন "প্যাসিভ পুরুষ''