User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
◾বই রিভিউ ◾ ❝“গহন সন্ধ্যাবেলা”-য় ক্যাফের “টেবিল নম্বর ৬”-এ বসে একজন “চিত্রকর” ক্যানভাসে আঁকছিলেন “এক শঙ্কিত সরোবর”, যেখানে প্রতিফলিত হচ্ছে “শিকড়”-এর মতো গেঁথে থাকা “সেই সব অন্ধকার” দিন। “আশফি” সেই চিত্রকর্মের নাম দিলেন - “অবিচ্ছেদ্য আমরা”, গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললেন, “স্বদেশ আমার মা”।❞ উল্লেখিত অংশটুকু আমার অপরিপক্ক কিছু লেখা। তবে উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে থাকা শব্দগুচ্ছগুলো লেখক নুসরাত তাজরী রচিত গল্পসংকলন “আহত পাখির ডানা”-তে সংযুক্ত নয়টি ছোটোগল্পের শিরোনাম। এই বইয়ের প্রতিটি গল্পই নিজস্ব এক স্বতন্ত্র আবহ সৃষ্টি করেছে, যেখানে প্রেম, সম্পর্ক, দেশপ্রেম, প্রতারণা, মানবিকতা ও সময়ের নির্মম পরিহাস একসঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। ▪ গল্পকথন ও পাঠপ্রতিক্রিয়া▪️ বইয়ের প্রথম গল্প “চিত্রকর”-এর সূচনা হয় এক চিত্র প্রদর্শনীতে, যেখানে চিত্রকর শুভ্র চৌধুরী প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। কিন্তু এই সাফল্যের মধ্যেও তার রূঢ় আচরণ সহপাঠী অরুণাকে বিস্মিত করে। শুভ্রর এই পরিবর্তনের পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? অন্যদিকে, তাদের আরেক বন্ধু প্রাপ্তি নিখোঁজ বেশ কিছুদিন ধরে। তার অন্তর্ধানের আড়ালে কোন গোপন সত্য লুকিয়ে রয়েছে? বইয়ের প্রিয় গল্পগুলোর মধ্যে এই গল্পটি অন্যতম। গল্পটি ভালোবাসার এক ভয়ংকর রূপ চিত্রিত করে, যা পাঠক মনে আক্ষেপ ও কষ্টের অনুভূতি সৃষ্টি করে। উপসংহারে এসে মনে হয়, শেষটা হয়তো ভিন্নও হতে পারত। বইয়ের দ্বিতীয় ও বৃহত্তম গল্প “গহন সন্ধ্যাবেলা”। আসিফের প্রথম স্ত্রী কন্যা মহুয়াকে জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর তার জীবনে দ্বিতীয় স্ত্রী রূপে আসে আরশি, যার অতীতজুড়ে রয়েছে মহিম নামের এক রহস্যময় চরিত্র। আরশি কি কখনো আসিফ ও মহুয়াকে মেনে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারবে, না-কি সম্পর্কের ঘূর্ণিপাকে সবাই হারিয়ে যাবে? সম্পর্কের এক জটিল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে। অন্ধ ভালোবাসার চমৎকার এক উদাহরণ এই গল্পটি। ভালোবাসার সীমাহীন শক্তি ও তার ধ্বংসাত্মক দিক দুটোই গল্পে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। “টেবিল নাম্বার ৬” গল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে প্রফেসর হাবিব একের পর এক রহস্যময় ঘটনার সম্মুখীন হন। কিন্তু এসব ঘটনার পেছনে আসল সত্য কী? কিছু কিছু ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা হয়, তাদের কারণ সবসময় অজানাই থেকে যায়। গল্পটি সেইসব অজানা সত্যেরই বহিঃপ্রকাশ এবং অসততার ফলাফলকে গভীরভাবে তুলে ধরে। “শিকড়” গল্পটি কিছুদিনের জন্য পায়েলের তার শিকড়ের সন্ধানে যাওয়ার গল্প অর্থাৎ তার বাবার জন্মস্থান কুড়িগ্রামের রৌমারীর চরাঞ্চলে তার ভ্রমণের খণ্ডিত চিত্র। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের উত্তরবঙ্গের চর এলাকার প্রকৃতি ও স্থানীয় খাদ্যের বর্ণনা মুগ্ধ করেছে। তবে বিভিন্ন বর্ণনা অনুসারে বোঝা যাচ্ছে পায়েল হয়তো অনেক বছর পরে ঐ এলাকায় গিয়েছে। সেই কারণে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পায়েলের ভ্রমণসঙ্গী তার মা কেন হলেন না সেই বিষয়ে কিছু যৌক্তিক কারণ উল্লেখ থাকলে গল্পটি আরও পরিপূর্ণ হতো বলে আমার মনে হয়। বইয়ের পরবর্তী গল্প “সেই সব অন্ধকার” এর সূচনা হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক স্কুলের গানের শিক্ষক এরশাদুন্নবী এর মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে। তার আগের রাতেই নাহারদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। নাহারের স্কুলের শিক্ষক কি তখন পাকিস্তানিদের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন? না-কি তার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনো কারণ দায়ী? এই গল্পটি নারীর প্রতি যুগ যুগ ধরে চলা নিপীড়নের নির্মম বাস্তবতাকে তুলে ধরে। হায়েনাদের লোলুপ দৃষ্টি সবসময়ই মেয়েদের উপর নিবদ্ধ থাকে। এই বিষয়টি এই গল্পের মূল উপজীব্য হিসেবে ধরা দিয়েছে। এর সমাপ্তি চমৎকার লেগেছে। “স্বদেশ আমার মা” গল্পটির সূচনা ঘটে আনিকা ও জাওয়াদের ফোনালাপের মধ্য দিয়ে। নিজের একটি গুরুতর সমস্যার কথা আনিকাকে জানানোর উদ্দেশ্যই জাওয়াদের ফোন। কিন্তু কী সেই সমস্যা? আর তাদের সম্পর্কই বা কী? দেশপ্রেমই এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু। সেই সাথে উঠে এসেছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের গল্প ও তাদেরকে সহযোগিতার গল্প এবং একজোড়া মানব-মানবীর জীবনের কিছু মুহূর্ত। “শঙ্কিত সরোবর” গল্পে রওশন তার ভালোবাসার মানুষ দিশার ফোন রেকর্ড তল্লাশি করে জানতে পারে যে, দিশা তাকে ধোঁকা দিয়ে আরও দু'জনের সাথে প্রেম করে। এখন রওশনের কী সিদ্ধান্ত নিবে? তাদের সম্পর্কের পরিণতিই বা কী হবে? এই গল্পটি এক গভীর আফসোসের প্রতিচ্ছবি। পড়া শেষ হওয়ার পর বারবার মনে হয়েছে, এমন না হলেও তো হতো! তবে, একদম শেষ মুহূর্তের চমক ছিল চমকপ্রদ। “আশফি” গল্পে বুশরার সাথে মাত্র দু’মাসের পরিচয়েই এতিম আশফিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও কোথাও যেন একটি কিন্তু রয়ে যায়। সেই কিন্তুটি কী? এই গল্পটিও আমার পছন্দের গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভালোবাসার এই গল্পটি পাঠকের হৃদয়কে নাড়া দেবে, তবে শেষটা কিছুটা বিষাদময়। “অবিচ্ছেদ্য আমরা” গল্পে অর্ণব ও দিভার প্রেমের অবিচ্ছেদ্য বাঁধন একসময় ছিন্ন হয়ে যায়, যখন অর্ণব জানতে পারে দিভার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু বছর পরে তাদের আবার দেখা হয়। তাদের পুরোনো অনুভূতি কি আবার নতুন করে জেগে উঠবে, না-কি ভাগ্য তাদের আলাদা পথেই এগিয়ে দিবে? ভালোবাসা-বিচ্ছেদ, সুখ-দুঃখ মিলিয়ে চমৎকার একটি গল্প। সুন্দর পরিসমাপ্তি। সাহিত্য পাঠককে বাস্তবতা ও কল্পনার সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। “আহত পাখির ডানা” তেমনই এক গল্পসংকলন, যেখানে নয়টি গল্প পাঠককে কখনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করায়, কখনো রহস্য ও ভালোবাসার আবেগে ভাসিয়ে নেয়। গ্রামীণ জীবনের সরলতা, শহুরে ব্যস্ততা, ইতিহাসের বাস্তবতা সবই এই বইয়ের গল্পগুলোতে স্বতন্ত্রভাবে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি গল্প একেকটি অনুভূতির জানালা খুলে দেয়। গল্পগুলো জীবন ও সম্পর্কের বিভিন্ন অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যারা সমকালীন গল্প ভালোবাসেন এবং যারা গল্পের মাধ্যমে জীবনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য “আহত পাখির ডানা” একটি সুখপাঠ্য গল্প সংকলন। ❝নিজেকে কখনো ফের খুব হারালে মনে মনে ডেকো তারে চোখের জলে ঠিকই সাড়া পাবে খুব অবেলায় আসবে ফিরে সে সন্ধ্যা বেলায়, নিঝুম গহন এক সন্ধ্যা বেলায়!❞ ▪️বই পরিচিতি▪️ বইয়ের নাম : আহত পাখির ডানা লেখক : নুসরাত তাজরী প্রকাশনী : চলন্তিকা প্রচ্ছদ : ফারিয়া তাবাসসুম
Was this review helpful to you?
or
আহত পাখির ডানা লেখক নিজের হাতে এই ভালোবাসা আমায় দিয়েছে। এই ভালোবাসা উপেক্ষা করার সাধ্য তো নেই..…চেয়েও মাঝে মাঝে ভালোবাসা পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি আপুকে খুব অল্প কয়েকদিন সামনে থেকে দেখেছি, এরপর যা জানা হয়েছে, অনলাইনেই.... এরপরও কোথায় যেন এক অন্যরকম সম্পর্ক যে রয়ে গেছে, তা আমি দাবি করতেই পারি। এই বইয়ের প্রথম গল্প চিত্রকর। লেখক নিজে যেমন একজন আঁকিয়ে ঠিক তার গল্পের চরিত্রে ফুটে আছে সেই রং তুলির খেলা....আর রহস্য। রংয়ের মিশ্রনেই ডুবে আছে একতরফা ভালোবাসা আর না পাওয়া ভালোবাসার আকুলতায় সারাজীবন সেই ভালোবাসাকে নিজের করে নিজের কাছে রাখা.…শুভ্র চরিত্রটা যে শুভ্রতার প্রতীক নয় বরং টকটকে রক্ত রঙের গা শিহরিত ভালোলাগার আবেগ, সেটাই পরিস্ফুটিত হয় এ গল্পে। আর জবা চিত্রটি যেমন প্রকৃতি আর নারীর মিশ্রণ ঠিক তেমন চিত্রের প্রজাপতির ডানাগুলো হারিয়ে যাওয়া প্রাপ্তি!! গহন সন্ধ্যাবেলা... আচ্ছা, ভালোবাসা কেমন?এর কি রং,বর্ণ,গন্ধ আছে?? এ প্রশ্নটা আমি নিজেকে করি....কেন করি জানি না।তবে যাপিত জীবনে বোধহয় এই শব্দটার দারুণ উপলব্ধি রয়েছে। আরশি নামের তরুণীটি ভালোবাসা খুঁজতে গিয়ে আস্ত এক মানুষ পেয়েছে। ঠকেছে ঠিকই, কিন্তু যে মানুষটাকে দিনশেষে সে পেয়েছে, পরশপাথরের সাথে তুলনা বোধ হয় করাই যায়। আর আসিফের জীবনে মোহনা যে ভালোবাসার বীজ বপন করে দিয়েছে তার ছায়া এতটাই বিস্তৃত যে, অনায়াসে অন্যকে সেই ভালোবাসায় বিমোহিত করাই যায়। টেবিল নাম্বার ৬.… সাধারণ চিত্রের মধ্যে সাবলীল এবং অসাধারণ রহস্য এত সহজে যে ঢোকানো যায়,লেখকের এই লেখনী পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি.... হারিয়ে যাওয়া গাড়ি ও ড্রাইভার থেকেই যে রহস্যের ডালপালা ছড়াবে তা ভাবিনি।অপরাধ ছোট বা বড় যাই হোক না কেন তা সর্বদা ঘৃণ্য। প্রকৃতি প্রতিশোধ পরায়ণ, আর মানুষের যেহেতু প্রকৃতিতে বসবাস তাই স্বভাবতই এই চেতনা মানুষের মাঝে বিদ্যমান।যখন চোখের সামনে অন্যায়গুলোর দীর্ঘদিন কোনো বিচার হয় না তখন মানুষের মাঝের প্রতিশোধের নেশাটা একেকজনের কাছে একেকরকম.... শিকড়... ক্লাস এইট থেকে হোস্টেলে থাকার সুবাদে আমি জানি এই শিকড়ের শক্তি কতখানি। আমার একটা সময় নিজের বলে একটা ঘর ছিল।রাস্তার পাশে, দক্ষিণের এক জানালা ছিল। যার ভেতর দিয়ে চাঁদের আলোটা ঠিক আমার বিছানায় পড়ত।জানালার দিকে মুখ করে শুয়ে থাকলে পুরো আলোটা শরীর স্পর্শ করত। জ্যোৎস্না বিলাশ বা চাঁদের আলোয় স্নান ব্যাপারটা তখনই আমি বুঝেছিলাম.... কতটা পার্থিব সেই অনুভূতি!! এই গল্পটিতে পায়েল যখন তার বাবার শিকড়ের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছিল ঠিক তখন আমিও আমার সেই শিকড়ের পুরনো ঘরে চাঁদের আলোকে খুঁজে ফিরছিলাম!! সেই সব অন্ধকার... মেয়ে শরীরে জন্ম নিয়ে বুঝি অন্ধকার কি জিনিস....মেয়েরা যত না অন্ধকারে ভয় পায় তার থেকে বেশি ভয় পায় আরেক লিঙ্গের শরীরকে। এই অন্ধকারের কোনো সংজ্ঞা নেই,বৈশিষ্ট্য নেই..... কেউ যদি আমাদের দেশ দখলের চেষ্টা করে তবে আমরা তা জীবন দিয়ে ঠেকাই।কেননা দেশ তো মায়ের মত।ঐ লোকগুলোকে আমরা তখন সবচেয়ে নিকৃষ্ট দাবি করি।কেননা তারা আমাদের মায়ের বুকে হাত দিয়েছে। কিন্তু যারা মেয়েদের শরীরটাকে শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে তারা ঐ দেশ দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকা মানুষগুলোর চেয়ে কতটা ঘৃণার!! এই প্রশ্নটাই সবার কাছে রেখেছেন লেখক তার এই গল্পে। স্বদেশ আমার মা... দেশপ্রেমে বিভোর আনিকা, তুচ্ছ করেছে রং তুলির আঁচড়ের সমস্ত স্বপ্ন।যা একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি মেয়ে চায়। সুন্দর একজন পুরুষ মানুষ, সাথে কিছু বিত্ত, বৈভব আর সামাজিক স্বীকৃতি। কিন্তু স্বাধীন আনিকা বেছে নিয়েছে একান্তই তাকে।নিজেকে পাওয়া হলেই বোধ হয় সব পাওয়া হয়।দিনশেষে মিলে যায় মনের মানুষ, যদি সৃষ্টিকর্তা ভাগ্যে রাখেন। শঙ্কিত সরোবর... প্রেম বোধ কি আসলেই মানুষের মধ্যে পজেসিভ ফিলিংস তৈরি করে???পজেসিভ মানুষ কি সত্যিই কাউকে ভালোবাসতে পারে?? তবে ভালোবাসায় অপরাধবোধ অনুভূতিটা বোধ হয় মারাত্মক, যদি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটা না থাকে।ভালোবাসায় সব কিছুর অধিকার থাকলে এই ঘৃণা বা বিবেক দংশনের চাপটা যে সাধারণ নয় তা এই গল্পে স্পষ্ট। তবে এখানে রওশনকে আদৌ প্রেমিক বা ভালোবাসার মানুষ কতটা বলা যায় সে নিয়ে সন্দিহান থাকাটা যুক্তিযুক্ত। আশফি... সংসার জীবন নিয়ে এক সময়ে যে উচ্ছ্বাস ছিল,বয়সের ভীড়ে তা আতঙ্ক ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। আবেগের বয়সে সব ভালো লাগলেও বিবেকের বয়সে কত কিছুই না ভাবায়।সংসার খেলাটা খেলে যে দুটো মানুষ, তারা যদি নিখুঁত খেলোয়াড় বা অভিনেতা না হয় তবে দীর্ঘদিন এই খেলাটা বোধ হয় খেলা যায় না। এখানে দুজন মানুষের সমান সমান তাড়না লাগে। সংসারের পাগলামিটা অপরপক্ষের মানুষ কতটা সহ্য করবে, সেই চিন্তায় বিভোর হওয়া এই আমিকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়,কেন বিয়ে করতে চাও!! আমি নির্দ্বিধায় বলব,পার্মানেন্ট পাগলামি করার জন্য বিয়ে করতে চাই।যেমন এখন যদি আমি বলি,আমার এই ভরা সমাবেশে খুব জোরে চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে,তাহলে অপর মানুষটা এই কথা শুনে যেন বলে,ইচ্ছে করছে তো চিল্লাও,আমি আছি।। এমন কিছু কতটা বাস্তবে হয় জানি না,তবে জীবনের শেষ অবদি সবকিছু নিয়ে চুপচাপ সাথে থাকতেই হয়তো চেয়েছিল আশফি!!! অবিচ্ছেদ্য আমরা... বিভা আর অর্ণব মিলে মিশে একটা অন্য আলো খুঁজছে,যে আলোয় দুটো আত্মার স্বরূপ দেখা যায়....তাদের কোনো ছেদ নেই। এ এক নির্ভরতার গল্প।যে নির্ভরতা দূরে গিয়েও বার বার ফিরে এসেছে... শুধু আসেই নি,মিলেমিশে একাকার ও হয়েছে। জীবন কি এমন!!!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের প্রতিটা গল্পই বাস্তবতা এবং নিজের অনুভূতিকে ছুঁইয়ে দেয়।সাবলীল শব্দচয়নেই প্রকাশ পায় তৃপ্তি....
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ কোনো বিচ্ছেদ, যন্ত্রণা, রোগ, শোক, মৃত্যু, ভয় কিংবা দুর্যোগ জীবনকে থামাতে পারে না। এই জীবন যেন এক শিখা অনিবার্ণ, জ্ব*লছে তো জ্ব*লছেই; কোনো থামাথামি নেই। (গল্প: শিকড়) বই: আহত পাখির ডানা লেখক: নুসরাত তাজরী প্রকাশনী: চলন্তিকা প্রচ্ছদশিল্পী: ফারিহা তাবাসসুম জনরা: গল্পগ্রন্থ রিভিউতে: ফাহারিয়া লিজা "আহত পাখির ডানা" বইটিতে একই সাথে ফুটে উঠেছে দেশপ্রেম, স্মৃতিচারণ, নাড়ির টান, প্রেম, ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, রহস্য, গা ছমছমে কিছু অনুভূতিসহ মুক্তিযুদ্ধের কাহিনীও। বইটিতে মোট ৯ টি গল্পের সুন্দর এক সমম্বয় তৈরী করেছেন গল্পকার। গল্পে গল্পে বলেছেন মানবজীবনে ঘটে যাওয়া নানা কাহিনী। বইয়ের নামকরণ থেকে শুরু করে গল্পের নামকরণ দুইটাই চমৎকার। বইয়ের সাদামাটা মিশেলে রয়েছে কয়েকটা অসাধারণ গল্প। বইয়ের গল্পগুলো মোটামুটি ভালোই লেগেছে। কিছু কিছু গল্প আহামরি না হলেও মনে গেঁথে যাওয়ার মতো। ★কিছু গল্প সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: চিত্রকর: এই বইয়ের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং এবং আমার পছন্দের গল্প। গল্পের শুভ্র চমৎকার আর্ট করে। তার করা প্রতিটি ছবিই জীবন্ত মনে হয়। আচ্ছা এইসব ছবির মাঝে কি কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে?? গল্পের শেষের টুইস্ট আপনাকে চমকে দিবে! টেবিল নাম্বার ৬: প্রফেসর হাবিবের সাথে সকাল থেকে ঘটে চলেছে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা। এর মাঝেই পরিচয় হয় মুনমুনের সাথে। কে এই মুনমুন? তার কি সত্যিই অস্তিত্ব আছে?? এরপরই আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো মোড় নেয় নতুন একটা ঘটনায়। কথায় আছে না, 'পাপ বাপকেও ছাড়ে না!' গল্পটা ভীষণ সুন্দর। এর আগেও গল্পটা একটা গল্পসংকলনে পড়েছিলাম। এই গল্পটা পড়তে একঘেয়েমি লাগে না। গহন সন্ধ্যাবেলা: গল্প পড়ার শুরুতে ভেবেছিলাম এটা একটা রহস্যময় গল্প হবে! আরশি আর আসিফের নতুন সংসার। অন্য দশটা দম্পতির মতো তাদের সংসার নয়। আরশি ভালোবাসে অন্য একজনকে। আসিফ একসময় জেনে যায় মহিমের কথা। তারপর কি হয়েছিল?? জানতে ইচ্ছে হয় এইসব চমৎকার গল্প? তাহলে পড়তে হবে "আহত পাখির ডানা" গল্পগ্রন্থটি। ভালোবাসা এক পবিত্র অনুভূতি। ভালোবাসায় মিশে থাকে মাতৃভূমি, জন্মস্থানসহ আমাদের আপনজনেরা। ভালোবাসার জোয়ার বয়ে যায় প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা দম্পতিদের মাঝেও। ভালোবাসার মানুষ হাজার দোষ করলেও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায়! ভালোবাসার নানা সংজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই বইটিতে। গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সমাজের কিছু অসঙ্গতিও।