User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ #কুহুবাস লেখিকাঃ তামান্না স্মৃতি রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম ~ ★কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্প টার শুরু হয় একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। যেটা আনিকা নামের মেয়ে পড়ছিল। বিজ্ঞাপন টা খুবই অদ্ভুত প্রকৃতির। সেটা আনিকাকে খুব আকর্ষণ করে। বিজ্ঞাপন টা দেশের নামকরা একজন গবেষক আজমীর ফয়সালের দেয়া। বিজ্ঞাপন টা দেখে আনিকা তার সাথে দেখা করতে যায়। যায় আরও অনেকে। আচ্ছা কি ছিল সেই বিজ্ঞাপনটিতে? আজমীর ফয়সালের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা গবেষণার কাজে কয়েকজন লোক লাগবে। আনিকা জানার পর স্বীকার হয় না কাজটা করতে। কারণ সে গর্ভবতী আর তার স্বামী আসিফকে না জানিয়ে এই অদ্ভুত কাজে সে লিপ্ত হতে চাই না। কিন্তু অদ্ভুত একটা কারণে এই কাজে আজমীর ফয়সালের আনিকাকেই চাই কিন্তু কেন? আরও অনেকেই তো আছে! অন্য দিকে বান্দরবান একালার নির্দিষ্ট একটি রাস্তা থেকে বারবার মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। যার কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি নিখোঁজ লোকেরা যে গাড়ি বা বাসে ছিল সেগুলো অবধি খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ কোনো ব্যক্তির মৃতদেহ পর্যন্তও পাওয়া যায়নি। গাড়ি সহ লোকগুলো সব উধাও। এই কেসটার তদন্ত করছে ইনস্পেকটর রায়হান কবির। গত ছয়মাস যাবত সে এই কেসটার তদন্ত করেও কোনো জট খুলতে পারেনি। রায়হান কবিরের সাথে সাথেও নামকরা একজন সাংবাদিক নাবিলা সেও এই জটিল কেসটা নিয়ে কাজ করছে। সেও জানতে চাই এই হারিয়ে যাওয়ার রহস্য। এই কেসটা সম্পর্কে নাবিলা রায়হান কবিরের কাছে জিজ্ঞেসাবাদ করতে এসে আলাপ হয় দুজনের। অতঃপর দুজনের যোগাযোগ বাড়ে কেসটা নিয়ে। আস্তে আস্তে দুজনের মনে প্রণয়ের জায়গা নেয়। আজমীর ফয়সালের মেয়ে রুপকথা দুই বছর আগে বান্দরবনের সেই জায়গাতে যেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ অবধি তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কেসটাকে নিয়ে তিনি অনেক স্টাডি করার পর অদ্ভুত একটা রহস্য বের করে। তিনি নিখোঁজ লোকেদের নিয়ে একটা অংকের সমাধান করেন। সেটা আদৌও সত্যি কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। ঠিক একই অংকের সমাধান রায়হান কবিরও বের করেন। নিখোঁজ লোকেদের মাঝে একজন করে গর্ভবতী মহিলা থাকে আর কাকতালীয় ভাবে সমস্ত নিখোঁজ লোকের জন্মদিন ২১শে জুলাই। এর কারণ কি হতে পারে? এটা কি সত্যি কাকতালীয় নাকি এর পেছনে অদ্ভুত কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে! কে বা কারা করছে এই কাজ গুলো? কোনো দুষ্ট চক্রের হাত আছে কি এতে? উদ্দেশ্য কি তাদের! নাকি এখানে অন্য কোনো গ্রহ বা জগতের হাত রয়েছে! নাহলে এত লোক গাড়ি সহ এভাবে উধাও হয় কিভাবে! আজমীর ফয়সাল, রায়হান আর নাবিলা কি পারবে এই জটিল রহস্যের সমাধান বের করতে? নিখোঁজ সব ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে? নাকি নিজেরাই ফেঁসে যাবে অদ্ভুত রহস্যের জালে? ~ ★পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এটা একটি থ্রিলার এবং ফ্যান্টাসি জনরার গল্প। গল্প টার মাঝে রয়েছে অনেক অনেক জটিল রহস্য যা আপনাকে বইটি না শেষ হওয়া অবধি শান্তি দেবে না। বইটার যত পৃষ্ঠা উল্টিয়েছি তত বইটা পড়ার আগ্রহ আরও বেড়েছে। বইটি পড়ে আমি কখনো ভীষণ অবাক হয়ছি, কখনো গা ছমছমে ভাব অনুভব করেছি তো কখনো বেদনাদায়ক অনুভূতিও পেয়েছি। বইটি পড়তে পড়তে আপনি জটিল রহস্যের মাঝে আটকে যাবেন। এমনকি আপনি অন্য জগতেও চলে যেতে পারেন। কিভাবে! সেটা বইটা পড়েই জানতে পারবেন। বইটি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এমন অদ্ভুত ধরনের লেখা আমি আগে কখনো পড়িনি। বইটি শেষ অবধি পড়ে ভেবেছি লেখিকা কিভাবে এমন জটিল প্লটের গল্প কল্পনা করেছিলেন!
Was this review helpful to you?
or
#কুহুবাস "রহস্যময় কোন অস্তিত্ব আমাদের এই পৃথিবীর মত একের অধিক কোন পৃথিবী তৈরি করার চেষ্টা করছে সবার অলক্ষ্যে। হয়তো তারা চাচ্ছে না পৃথিবীতে বসবাস করা মানুষগুলো সম্পূর্ণ অচেনা আর নতুন এই পৃথিবীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানুক। কিংবা রহস্যময় সেই অস্তিত্ব এখনো এত শক্তিশালী নয় যে তারা জানিয়ে কাজগুলো করবে। " ★ নতুন এক জগতের দ্বার খুলে যাচ্ছে অজানার হাত ধরে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা এক রহস্যময় শক্তি গড়ে তুলছে আরেক পৃথিবী, যার খোঁজ পায়নি এখনও এই পৃথিবীর কেউই। তামান্না স্মৃতির ফ্যান্টাসি থ্রিলার "কুহুবাস" আপনাকে নিয়ে যাবে সেই অচেনা জগতে। ? কাহিনি সংক্ষেপ: "কুহুবাস" উপন্যাসের শুরু হয় একের পর এক মানুষের নিখোঁজ হওয়ার রহস্যময় ঘটনায়। পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর রায়হান কবির এই কেসগুলো নিয়ে মাসের পর মাস তদন্ত করেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না। আশ্চর্য ব্যাপার হলো - নিখোঁজদের কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায় না, নেই কোনো নির্দিষ্ট অপরাধী বা ঘটনাস্থল। অন্যদিকে, গবেষক আজমীর ফয়সাল এক ধরনের জটিল অংককে সহজভাবে সমাধান করার প্রবল বিশ্বাস নিয়ে যুক্ত হন এই রহস্যের জালে। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হয় নাবিলা, রায়হান, আনিকা, আসিফ, শিহাব, সুমনসহ আরও কয়েকজন সাধারণ মানুষ যারা হয়ে ওঠে এক অতিপ্রাকৃত শক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন হাতের পুতুল। উপন্যাসে ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে এক অন্যরকম ভুবনের ছায়া। যা বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখাকে একেবারে অস্পষ্ট করে তোলে। এই ভুবন সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে না, কিন্তু যারা জানবে, তারা হয়তো আর আগের অবস্থায় ফিরতে পারবে না। ✍️ পাঠ প্রতিক্রিয়া: "কুহুবাস" একটি ফ্যান্টাসি এবং থ্রিলারের এক দুর্দান্ত মিশেল, যা পাঠকের মনে একাধিক প্রশ্নের উদ্রেক ঘটায়। লেখনীর বুনন এমনভাবে সাজানো যে, প্রতিটি পৃষ্ঠা উল্টানোর সময় মনে হয় - এবার বুঝি সবকিছু পরিষ্কার হবে, কিন্তু পরক্ষণেই দেখা যায় আরও গভীর রহস্য এসে জেঁকে বসেছে। সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, উপন্যাসে বিভিন্ন জনরার উপস্থিতি। কখনো মনে হবে ফ্যান্টাসির জগতে ভেসে বেড়াচ্ছেন, আবার কখনো সামাজিক বাস্তবতায় ফিরে এসেছেন। লেখকের কল্পনাশক্তি, বাক্যবিন্যাস ও চরিত্র নির্মাণ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পাদিত। বিশেষভাবে আজমীর ফয়সাল চরিত্রটি পাঠককে দারুণভাবে টানে। তার বিশ্বাস, যুক্তি ও অনুসন্ধানমূলক প্রবণতা উপন্যাসের রহস্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্যক্তিগতভাবে, রিভিউকার হিসেবে বলতে পারি, বইটি হাতে নেয়ার পর আর নামাতে ইচ্ছা করেনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি অধ্যায়ই চমকপ্রদ ও বুদ্ধিদীপ্ত। বিশেষ করে শেষাংশে রহস্যের পর্দা উন্মোচনের মুহূর্তগুলো ছিল নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়ার মতো। ? নামকরণ এবং প্রচ্ছদের সার্থকতা: “কুহুবাস” এই নামটিই রহস্যময়তার ইঙ্গিত বহন করে। কুহু শব্দটির মধ্যেই রয়েছে মায়াময়তা, অস্পষ্টতা ও কুয়াশাচ্ছন্নতা। আর ‘বাস’ মানে বসবাস। অর্থাৎ, কুহুতে আবৃত এক অদৃশ্য ভুবনের বসবাস। এই নাম শুধু উপন্যাসের মূল থিমকেই ধারণ করে না, বরং কাহিনির গভীরতাকেও প্রতিনিধিত্ব করে। যেখানে বাস্তবতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক অদ্ভুত জগত, যে জগতে আমরা থেকেও নেই, আর না থেকেও আছি। এবার আসি প্রচ্ছদে, ব্যক্তিগতভাবে প্রচ্ছদটি আমার ভীষণ পছন্দের। আর সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হলো,আশ্চর্যজনকভবে কাহিনির সাথে প্রচ্ছদটি এত দারুণ সাদৃশ্য হয়েছে তা কেবল বইটি পড়লেই বুঝা যাবে। আমরা সবাই যেন এই প্রচ্ছদের মতই অদৃশ্য কোন শক্তির হাতের পুতুল। ✍️ অন্ত্যমিল ও ভাষাশৈলী: লেখিকা তামান্না স্মৃতির ভাষা সরল, কিন্তু তীক্ষ্ণ। তার বাক্যগুলো সহজবোধ্য হলেও পাঠককে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে। উপন্যাসে একাধিক চরিত্র, দৃশ্য ও সময় ব্যবহৃত হলেও কোথাও কোনো এলোমেলো ভাব তৈরি হয়নি। বইটির শেষে এসে পাঠক যেমন প্রশ্নগুলোর উত্তর পায়, তেমনি কিছু প্রশ্ন রেখে দেওয়া হয় যার উত্তর নিজের মতো করে ভাবার সুযোগ রাখে। লেখায় অনুভব করা যায় সূক্ষ্ম অন্ত্যমিল, যা কেবল কাব্যিক নয়, বরং কাহিনির রসায়নের সঙ্গেও মিশে যায়। ? “কুহুবাস” এমন একটি উপন্যাস যা শুধু পড়ার জন্য নয়, অনুভব করার জন্য। বইটি এক কথায়, একটি জটিল অংকের সহজ সমাধান। ফ্যান্টাসি প্রিয় পাঠকদের জন্য এটি সুখপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ #কুহুবাস পড়ে শেষ করলাম লেখক তামান্না স্মৃতির থ্রিলার উপন্যাস কুহুবাস। লেখিকার বই আমার নিয়মিত পড়া হয়। তার অন্যান্য বইয়ের মত কুহুবাস বইটি একটানে শেষ করেছি। বইটা শেষ করার পর কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, এমনটাও কী হয়! এভাবে কী কারো পক্ষে ভাবা সম্ভব! বইটা নিয়ে বেশি কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলব কুহুবাস শেষ করার পর আপনি চমকে যাবেন। একজন পাঠক হিসেবে মনে হয়েছে, থ্রিলার বই আসলে এরকম হওয়া উচিৎ। কুহুবাস পড়ার পর লেখকের বইয়ের প্রতি আগ্রহ আরো বহুগুণে বেড়ে গেল। শুভকামনা রইল লেখকের জন্য। বইয়ের নাম: কুহুবাস জনরা: ফ্যান্টাসি থ্রিলার প্রচ্ছদ: ফারিহা তাবাসসুম প্রকাশনী: চলন্তিকা