User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
" এত দিনের চঞ্চল আলোর প্রেম ছাপিয়ে ভালোবাসার এক চঞ্চল আলোর স্পর্শআবেশ অবশ, বিবর করে দিল আমার এতদিনের অনাঘ্রাত বোধকে। প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে এক নতুন অস্তিত্বের হাতকড়া আমায় বেঁধে ফেলল অদৃশ্য সুতোর এক ঘন বুননে। যেন জলের ওপর চাঁদের ছায়া। জল জানে না চাঁদ কে! তবুও গ্রহান্তর ধেয়ে আসা জোছনাকে সে অকম্পণভাবে বুকে ধরে। " ? শিরিন শবনমের জলজোছনা একটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসিকা, যেখানে লেখক নিঃসঙ্গতা, প্রেম ও আত্ম-অন্বেষণের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো বুনেছেন এক অপূর্ব গদ্যকাব্যে। ফেসবুকের এক রহস্যময় বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই গল্প কেবল সম্পর্কের নয়, বরং মানব-অস্তিত্বের গভীর অনুসন্ধানও। "একবার যদি কেউ পায় ভালোবাসা ঠিকানা মনের গভীরে ডুবে, হৃদয়ের অতল তলে - সেখানে শুধু নিস্তব্ধতা ; জমাট বাঁধা নিস্তব্ধতা ভাষাহীন বোধ শুধু তোলে অনুচ্চ কলরব। " ? জলজোছনার গল্প : জলজোছনা কোনো সাধারণ গল্প নয়, এটি এক উপলব্ধিকথন, যেখানে চরিত্রগুলোর আভ্যন্তরীণ সংকট, অনুভূতি এবং অস্তিত্বের প্রশ্নধারা তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র পিয়তি, যে নিজেকে এবং নিজ জীবনের অর্থ খুঁজতে চায়। পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় পিয়তির আত্মঅনুসন্ধান, নিঃসঙ্গতা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। গল্পের বুনন এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, এটি কখনো অস্তিত্ববাদী দর্শনের দিকে মোড় নেয়, কখনো সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতার প্রশ্ন তোলে। উপন্যাসের ভাষা কাব্যিক, সংলাপগুলোর মধ্যে রয়েছে গভীর জীবনবোধের ছোঁয়া। লেখকের কাব্যময় ভাষা ও বিমূর্ত চিত্রকল্প উপন্যাসটিকে এক অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে, যা পাঠককে ভাবনায় নিমগ্ন করে রাখবে দীর্ঘ সময়। "আমি নতজানু হই নিজের হৃদয়ের চাওয়ার কাছে। জগৎ জীবন রইল তার নিজের মতই কোলাহলপূর্ণ। শুধু আমার নিজের মাঝে অস্তিত্বময় এক অপরূপ জলজোছনা।" ? জলজোছনার অনুভূতি : জলজোছনা এক ধরনের অনুভূতির নদী, যা পাঠককে চিন্তার গভীরে নিয়ে যায়। এটি শুধুমাত্র চরিত্রের নয়, বরং পাঠকের আত্মজিজ্ঞাসারও প্রতিচ্ছবি। বইটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, এটি আমাদের চেনা বাস্তবতারই অন্য এক ব্যাখ্যা, যেখানে প্রতিটি শব্দে আছে গভীর দর্শন। উপন্যাসিকাটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো এর ভাষা ও বর্ণনা শৈলী। লেখক শিরিন শবনম শব্দের মাধ্যমে এমন এক আবহ সৃষ্টি করেছেন, যা পাঠককে ভাবিয়ে তোলে, আবেগে আন্দোলিত করে। সংলাপগুলো কখনো সরল, কখনো জটিল, কিন্তু সবসময়ই অর্থবহ। তবে উপন্যাসের ধীরগতির বর্ণনা এবং গভীর আত্মজিজ্ঞাসামূলক প্রশ্নধারা কিছু পাঠকের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। যারা সহজ ও সরল গল্প পড়তে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পের মাঝে ছোটো ছোটো অর্থপূর্ন কবিতাগুলো। ভীষণ সুন্দর করে লেখক শব্দের সুরে নিক্কণ ধ্বনি তুলে কবিতাগুলো রচনা করে গেছেন একে একে। "তুমি জানো না বিরহের কত রং প্রেমের কত রং বেদনার কত রং তুমি শুধু সার্বজনীন এক নাম _ নিঃসঙ্গতা। " ✍️ আরও আছে, চমৎকার সব গদ্য কবিতা... "দুরন্ত আবেগ অনিবার্য প্রয়োজন পাল্টে যায় সবকিছু বদলে যায় অতি ধীরগতি লয়ে মসৃণ গতিপথে নিঃশব্দ পদচারণায় _ কে কবে পারে তার খবর রাখতে আগেভাগে? " ? শেষ কথা: জলজোছনা শুধুমাত্র একটি কাহিনি নয়, এটি এক ধরনের অনুভূতি ও উপলব্ধির জগৎ। এটি শুধু দুজন ব্যক্তির আলাপ, পরিচয় কাছে আসা যা মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনায় ঘটনার ঘনঘটা ছাড়াই দুটি হৃদয়ের আদল, অনুরাগ, বিরাগের ভার্চুয়াল সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ এক চিত্র। যারা গভীর জীবনবোধ ও অস্তিত্ববাদী দর্শনে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য। এটি এমন একটি উপন্যাস, যা পাঠকের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম। যারা কবিতা পছন্দ করেন তারাও বইটি উপভোগ করবেন আশা করি। "প্রেমের শবদেহে নিষ্ঠুর নির্দয় এক এপিটাফ হলো লেখা_ এ জীবন কেবলই এক মায়ার খেলা।"
Was this review helpful to you?
or
সমকালীন জনরার নভেল "জলজোছনা" পিয়তির মনোলগে বর্ণিত মনোভ্রমণের এক উপলব্ধিকথন। প্রতিটি মানুষের থাকে এক নিজস্ব ভূবন। সেখানে থাকে নিজের মতো সুখ দুঃখ, রৌদ্র মেঘের নিজস্ব এক জগৎ। জলজোছনা সেই জগতের এক উপলব্ধিকাহন। আধুনিক আঙ্গিকে লেখা নিজেকে খোঁজার গভীর বোধ পাঠকের হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করে পিয়তির সাথে নিয়ে যায় এক মায়ালোক ভ্রমনে। এই বোধ ভালোবাসা বোধ। প্রেম বোধ। আত্মিক সম্পর্কের এক গল্প জলজোছনা। শব্দ, বাক্যবিন্যাসে নতুনত্বের স্বাদে ভরা জলজোছনা পাঠককে ভাবায়। নিজের আত্মার গভীরে ডুব দিয়ে নিজেকে খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করে। দৃষ্টি নন্দন প্রচ্ছদ নভেলার বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জলজোছনা বোদ্ধা পাঠকদের পাঠানান্দ দিবে নিঃসন্দেহে। লেখকের সমৃদ্ধি কামনা করি।
Was this review helpful to you?
or
সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখা দারুণ একটা বই। পড়তে বেশ ভালোই লেগেছে। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
শিরিন শবনম আপু বর্তমান সময়ের বেশ পাঠকপ্রিয় একজন লেখক। আপুর লেখা খুবই ঝরঝরে ও বাস্তবসম্মত, কোনো নাটকীয়তা নেই লেখায়। বরাবরই আপু সুন্দর এবং সাবলীলভাবে গল্পের শুরু থেকে শেষটুকু টেনে নিয়ে যান। ❝জলজোছনা❞ বইটিও ইতিমধ্যেই পড়া শেষ করেছি। বইটি অসাধারণ হয়েছে। বইয়ের প্রডাকশন কোয়ালিটি, বাইন্ডিং ও প্লট সব দারুণ হয়েছে। অসাধারণ এই বইটি আমি এক বসায় পড়ে শেষ করেছি। দুর্দান্ত লেখনশৈলী দিয়ে লেখক এই বইটিও পাঠকের জন্য নিয়ে এসেছেন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে চলন্তিকা প্রকাশনী থেকে বইমেলা ২০২৫ এ। বইটি রকমারি থেকে খুব সহজেই আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন ঘরে বসেই। লেখকের আরোও অনেক বই আসুক এবং জলজোছনা বইটি পাঠকপ্রিয় হোক। ❤️
Was this review helpful to you?
or
শিরিন শবনম আপুর লেখা দারুণ। সহজ - সাবলীল ভাষায় আপু তার লেখাগুলোকে বইয়ের পাতায় চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন। জলজোছনা বইটা ভালো লেগেছে। বইটার প্রচ্ছদ এবং প্রোডাকশন দারুণ হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
শবনম শিরিন আপুর লেখা অসাধারণ। খুবই ভালো লেগেছে ?
Was this review helpful to you?
or
বই : জলজোছনা লেখক: শিরিন শবনম প্রকাশনী: চলন্তিকা পাঠ প্রতিক্রিয়া : সুলেখক শিরিন শবনমের ‘জলজোছনা’ একটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। মানুষের মনোজগৎ যে কী এক বিস্ময়কর বস্তু-এটা বই পড়ে অনুভব করতে পারবেন।অনেক চমৎকার একটা বই । উপন্যাসের বর্ননার ভাষার চমৎকারিত্বে থমকে গিয়ে একটু সময়ের জন্য নিজের মনোজগতে হারিয়ে যেতে হবে পাঠককে। বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ সবার মাঝখানে থেকেও যেন একা।ভার্চুয়াল জগতে কখনো বা কাউকে হঠাৎ মনে হতেই পারে নিজের কল্পনার প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবির সাথে একটা মনস্তাত্ত্বিক লেনদেন একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায। লেখক তার লেখার মাধ্যমে পাঠককে আকৃষ্ট করতে বাধ্য করেছে। এক কথাই অসাধারণ একটা উপন্যাস। লেখকের জন্য রইলো আমার অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাস : জলজোছনা লেখক: শিরিন শবনম প্রকাশনী: চলন্তিকা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখায়: সৈয়দা কানিজ ফাতেমা সুলেখক শিরিন শবনমের ‘জলজোছনা’ একটি মনস্তাত্ত্বিক এবং গভীর ভাবাবেগপূর্ণ উপন্যাস। মানুষের মনোজগৎ যে কী এক বিস্ময়কর বস্তু, সৃষ্টির এক অপার রহস্য-এটা যারা অনুভব করেন,তারাই বুঝবেন বইটি পড়ার মজাটা কোথায়। এটা এক নিঃশ্বাসে, এক বসায় পড়ে ফেলার মতো বই নয়। লেখার পরতে পরতে পাঠককে একটা গভীর বোধে আচ্ছন্ন করে রাখার ব্যাপার আছে বইটিতে। পাঠককে থামতে হবে। ভাবতে হবে। উপন্যাসের বর্ননার ভাষার চমৎকারিত্বে থমকে গিয়ে একটু সময়ের জন্য নিজের মনোজগতে হারিয়ে যেতে হবে পাঠককে। স্পর্শহীন,জাগতিক চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বেও যে এক রকমের গভীর ভালোবাসা আছে এবং এই ভালোবাসায় যে কী অপার্থিব সুখ! এটা অনুভব করিয়েই ছাড়বে এই ‘ জলজোছনা’। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ সবার মাঝখানে থেকেও যেন একা।আবার এই প্রযুক্তিরই কল্যানে অনেক দূরের মানুষের সংস্পর্শও অনেকটাই সহজ।ভার্চুয়াল জগতে কখনো বা কাউকে হঠাৎ মনে হতেই পারে নিজের কল্পনার প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবির সাথে একটা মনস্তাত্ত্বিক লেনদেন একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। লেখক এক জায়গায় বলেছেন, “এটা এমনি এক সম্পর্ক - না কাছের, না দূরের। না আছে অধিকার, না অধিকারহীনতা। না গুরুত্বপূর্ণ, না গুরুত্বহীন।না বাঁধন, না মুক্ত। না আপন, না পর।এমন এক অদ্ভুত সম্পর্ক, যার কেনো নামকরণ নেই। স্বরূপ নেই। বলার মতো কিছু নেই। স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করার উপায় নেই। এটা এমনি”। এটা মানুষের মনোজগতের ভেতরে সৃষ্টি হওয়া এক অনির্বচনীয় আত্মিক সম্পর্ক - যার জাগতিক অস্তিত্ব নেই, অথচ জগতের পুরোটা জুড়েই আছে। উপন্যাসের চরিত্র পিয়তির অন্তর্জগত জুড়ে যে নিষ্কলুষ প্রেম তারই কাব্যিক বর্ণনা পুরো ‘ জলজোছনায়’। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি মানুষের মধ্যেই মন তৈরি করেছেন। সেখানে দিয়েছেন প্রেম,ভালোবাসা, স্নেহ মমতার বোধ। এই বোধ ধরে বেঁধে রাখার জিনিস নয়। জন্ম নিতে পারে অজান্তেই কারো প্রতি। তারপরও, এই বোধের কাছে নিজেকে একেবারে হারিয়ে না ফেলে, জাগতিক সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে নিজের সাথে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব, তারই এক অসাধারণ উপস্থাপন এই উপন্যাসে। লেখক শিরিন শবনম, অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে, ভাষা প্রয়োগের নিপুণতায় কাব্যিকভাবে সৃষ্টি করেছেন জলজোছনা। যে কোনো বোদ্ধা পাঠকের মনকে আলোড়িত করবেই। লেখকের জন্য রইলো আমার অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
“জলজোছনা" নভেলাটি একটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও অনুভূতিপ্রবণ ভ্রমণের গল্প, যে গল্পে লিখিয়ে তার হৃদয়ের নিঃসঙ্গতা, আকাঙ্ক্ষা, প্রেম এবং আত্ম-অন্বেষণের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো বুনেছেন এক অপূর্ব গদ্য কাব্যে। গল্পের বর্ণনা এক ধরণের অন্তর্দৃষ্টি জাগায়, যে অন্তর্দৃষ্টির গভীরতায় পাঠক নিজেকেও এক সময় হারিয়ে ফেলে। প্রথম পুরুষে বর্ণিত এই নভেলার গল্পটার পুরোটাই এক মনস্তাত্বিক জার্নি। লিখিয়ে তার এই জার্নি মাত্র দুটি চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রায়ণ করেন- একটি ন্যারেটর, অন্যজন তার ফেসবুক বন্ধু। পুরো নভেলায় মাত্র দু’বার ন্যারেটরের নাম উচ্চারিত হয় এবং সেই সূত্রে পাঠকরা জানতে পারে তার অর্থাৎ নভেলার ন্যারেটর বা মূখ্য চরিত্রের নাম পিয়তি। পিয়তির ফেসবুক বন্ধুর নাম কোথাও পাওয়া যায় না। গল্প বলার এই শৈলী অভিনবও বটে। সংক্ষেপে, "জলজোছনা" কেবল একটি গল্প নয়, এটি একটি অনুভূতি। এটি প্রেম, নিঃসঙ্গতা, এবং জীবনের শূন্যতার একটি গভীর প্রতিচ্ছবি। গল্পটি পাঠকের হৃদয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায় এবং তাকে নিজের জীবনের গভীরতায় ডুব দিতে বাধ্য করে। উপন্যাসটি একটি. অনবদ্য সৃষ্টি, যা বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিতে পারে। ব্যাতিক্রমধর্মী এই মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস বোদ্ধা পাঠকদের এক ভিন্ন মাত্রার পাঠানান্দ দেবে এটা শতভাগ নিশ্চিত! "