User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#সুপ্ত_অনুরাগে "তুমি আমার জীবনের খোলা জানালা। যেই জানালার কবাট মেলে আমার বদ্ধ হৃদয় স্বস্তির ছোঁয়া পেয়েছে। অন্ধকারে হাতরে চলা অর্বাচীন অনুভূতিগুলো আলোর সন্ধান পেয়েছে। দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে সকল জড়তা। খোলা জানালায় হাত বাড়িয়ে প্রথম প্রেমের ঝুম বৃষ্টিকে ছোঁয়ার আনন্দ উপহার দেওয়ার জন্য তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা নয়, হৃদয় সমর্পণ করলাম।" ✍️ নিঃশব্দ অনুভবে ডুবে থাকা হৃদয়ের গল্প যখন শব্দে মেলে ধরা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে এক নিখাদ প্রেমের প্রতিচ্ছবি। ‘সুপ্ত অনুরাগে’ এমনই এক উপন্যাস—যেখানে ভালোবাসা শুধুই আবেগ নয়, দায়িত্ব, আত্মত্যাগ আর সম্পর্কের নানান রঙে আঁকা এক জীবন্ত ক্যানভাস। প্রভা আফরিনের পরিণত কলমে গড়ে ওঠা এই কাহিনি পাঠকের মনে এক আবেশ তৈরি করে, যা শেষের পরেও দীর্ঘসময় জাগিয়ে রাখে অনুভব। ✍️ কাহিনি সংক্ষেপ : সুপ্ত অনুরাগে উপন্যাসটি মূলত দু’টি ভিন্ন পরিবার, তাদের জীবনদর্শন এবং দুইজন প্রধান চরিত্র সুপ্ত ও অপরাজিতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত এক প্রেম-সংবেদনশীল গল্প। গল্পে দেখা যায়, অতীতের কিছু জটিলতা আর বর্তমানের কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্বে বাঁধা পড়ে আছে সুপ্ত ও অপরাজিতার সম্পর্ক। সুপ্ত - এক আবেগপ্রবণ, চঞ্চল ও বাকপটু তরুণ, যার ভালোবাসার প্রকাশে আন্তরিকতা রয়েছে। অপরদিকে অপরাজিতা - দ্বিধায় জর্জরিত, দায়িত্বনিষ্ঠ এক আধুনিক নারী, যার মনে ভালোবাসা আছে, তবে তা খোলামেলাভাবে প্রকাশের আগেই বিবেকের ঘেরাটোপে আটকে যায়। উপন্যাসের কাহিনি শুধু প্রেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি তুলে ধরে বাবা-ছেলের নিখাদ সম্পর্ক, একাকীত্ব, স্বার্থপরতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আত্মত্যাগ এবং ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে ওঠা ভালোবাসার সংজ্ঞা। ? পাঠ প্রতিক্রিয়া : "সুপ্ত অনুরাগে" বইটি এক বসায় শেষ করে ফেলার মতো। লেখার ভাষা এতটাই মধুর ও সাবলীল যে পাঠকের মনে দীর্ঘ সময় দাগ কাটে। লেখক প্রভা আফরিন তার তৃতীয় উপন্যাসেই প্রমাণ করেছেন, তিনি কেবল গল্পকার নন, অনুভূতির ভাষ্যকারও বটে। সবচেয়ে অনবদ্য দিক হলো, দুটি পরিবার ও দু’ধরনের বাবার ভালোবাসা তুলে ধরার দারুণ দক্ষতা। একটি পরিবারে বন্ধুর মতো বাবা, আরেকটিতে রূঢ় বাস্তবতা। সেইসাথে প্রেম, প্রতিজ্ঞা, মানসিক টানাপোড়েন, পারিবারিক বন্ধন আর দায়িত্বশীলতার যে মেলবন্ধন হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিছু কিছু জায়গা ছিল আবেগপ্রবণ, চোখ ভিজিয়ে দেয়ার মতো। আবার কিছু অংশে হাস্যরসের এমন উপস্থিতি, যা পাঠককে স্বস্তি দেয়। কাজু মামার সংলাপগুলে আর সুপ্ত, রফিক সাহেবের খুনসুটি দারুণ উপভোগ করেছি। ? চরিত্র বিশ্লেষণ : সুপ্ত: মিষ্টি ভাষার পুরুষ চরিত্র। তার প্রেম গভীর, আন্তরিক আর যত্নময়। উপন্যাসজুড়ে তার উপস্থিতি পাঠকের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। অপরাজিতা: নামের মতোই সে কোমল, অথচ জটিল। একদিকে আবেগ, অন্যদিকে কর্তব্য – এই দ্বন্দ্বের ভেতরেই তার চরিত্রের সৌন্দর্য। রফিক ইমাম: বয়সী এক মায়াবী চরিত্র। বাবা হলেও সন্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু। বইয়ের অন্যতম সেরা চরিত্রগুলোর একটি। আমার ভীষণ পছন্দের এই চরিত্রটি। কিবরিয়া হামিদ ওরফে কাজু মামা: পুরো গল্পের প্রাণ। তাঁর রসবোধ, সংলাপ আর চরিত্রের স্বভাব পাঠকের মুখে হাসি ফোটায়। স্বপ্নের দেয়া তার নাদু নামটাও দারুণ লেগেছে। বৈশাখী, ফারিহা, তন্ময়, বেলী, অলকানন্দা, স্বপ্ন, শিমুল: প্রতিটি চরিত্র আলাদা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে কাহিনিতে। কেউ এসেছে ভালোবাসা নিয়ে, কেউ স্বার্থ, কেউবা নিজের ভাঙা শৈশব বয়ে নিয়ে। আনিস সাহেব: নৈতিকতা, আদর্শ আর দায়িত্ববোধের এক প্রতীক। এই চরিত্রটি আপাতত দৃষ্টিতে ভিলেন ভিলেন মনে হলেও, আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজে বাবারা বোধহয় এমনই হয়। তাই এই চরিত্রটি বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। ✍️ শেষ করার আগে একটা কথাই বলি— এই উপন্যাস একরাশ ভালোবাসা, কিছু না-পাওয়া, কিছু নিঃস্বতা, কিছু প্রশ্ন আর অনেক উত্তর নিয়ে আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এক সফরে, পুষ্প নিকেতন থেকে তেপান্তর পর্যন্ত। "জলে যে বড্ড ভয়।সাঁতার না জেনে যদি প্রাণ খোয়াতে হয়!" "যদি রাখো বিশ্বাস, প্রমত্ত জলে হবো তোমার ভ্রমণভেলা,যতক্ষণ আছে শ্বাস।আর যদি থাকে সংশয়,জেনো সুপ্ত বড়ো দুর্ভাগা প্রেমিক,করতে পারেনি মন জয়।" "সংশয়ের কথা ভাবী কেমন করে?মন যে কবেই লুট হয়েছে, জলদস্যুর ফাঁদে পড়ে।" "তবে এসো, রাত ফুরাবার আগে। মনতরঙ্গে ভাসব দুজন সুপ্ত অনুরাগে।"
Was this review helpful to you?
or
এই চমৎকার মেয়েটার আরেকটা চমৎকার লেখা বই পড়ে ফেললাম। বইটা এত্ত সুন্দর! সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না,ভালোবাসা-দুষ্টুমির প্যাকেজ একেবারে। প্রতিটি চরিত্রের এত সুন্দর বিশ্লেষণ করেছে প্রভা! চরিত্রগুলোর অতীতের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিণত হওয়াটা অনেক দারুণ ছিল। বিশেষ করে প্রভার একটা জিনিসে আমি সবসময় মুগ্ধ হই সেটা হচ্ছে ওর লেখা বাবা-সন্তানের ইক্যুয়েশন। এত আদুরে লাগে,এত মায়া মায়া লাগে পড়তে। এখানেও সুপ্ত আর ওর বাবার সম্পর্কটা আমার কাছে অন্যরকম প্রিয় হয়ে উঠেছে। লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, দোয়া ও ভালোবাসা রইল। এরকম আরও অসাধারণ বই লিখে পাঠকদের মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিক।
Was this review helpful to you?
or
?