User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো লাগে নি। অনেক চেষ্টা করে হাফ পড়েছি। শেষ করতে পারছি না।
Was this review helpful to you?
or
* বুক রিভিউ বইয়ের নাম : দা ভিঞ্চি ক্লাব লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে বইগুলো তার মধ্যে একটি ' দা ভিঞ্চি ক্লাব'। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনের অজানা রহস্য এবং তার বিখ্যাত চিত্রকর্ম ' মোনালিসা'র রহস্যময় ইতিহাসই এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু। মোনালিসা চিত্রকর্মটি সম্পর্কে বহুদিন ধরেই একটি প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরপাক খায় তা হল, এই চিত্রকর্মটি আসলে কার? আমি ব্যক্তিগতভাবে গুগলে সার্চ করে যে উত্তরটা পেয়েছি সেই উত্তরটাই আসলে বহুল প্রচলিত। কিন্তু বহুল প্রচলিত এই তথ্যটা কতটুকু সত্য? নাকি প্রকৃত সত্য অন্য কিছু? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে 'দা ভিঞ্চি ক্লাবে'। মোনালিসার এই সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে উঠে আসে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আরো কিছু বিখ্যাত চিত্রকর্মের রহস্য। বইটি পড়ার পুরোটা সময় কাহিনীর মধ্যে ডুবে ছিলাম। যাদের লিওনার্দো দা ভিঞ্চির রহস্যময় জীবন সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য আদর্শ একটি বই মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ' দা ভিঞ্চি ক্লাব'। ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০।
Was this review helpful to you?
or
Overall....Good...
Was this review helpful to you?
or
বইটির প্রধান চরিত্র ডক্টর জেড আদতে একজন সবজান্তা ব্যাক্তি বলে সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু প্যারিসের রোমে পৌঁছে তাকে প্রমান করতে হবে চিত্রকলার কিছু বিষয় _ যেমন সেই চিত্রকর্মটি আসল কিনা। কিন্তু তারপরেই ঘটতে থাকে রোমাঞ্চকর সব ঘটনা। আর্ট আট্রিবিউশন নিয়ে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর একটি অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
বই: দা ভিঞ্চি ক্লাব লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী জনরা: আর্ট মিস্ট্রি পৃষ্টা সংখ্যা: ৩৬৮ ?️ শুরুর কথা: ডক্টর জেড একজন রহস্যময় ব্যক্তিত্ব, তাঁর চরিত্র স্থির ও শান্ত, মুখে সবসময় প্রশান্তির অভিব্যক্তি চিরস্থায়ী লেগে থাকে। তাঁকে অনেকে সবজান্তা হিসেবে মানে, কেননা এমন কোনো বিষয় নেই, যা সম্পর্কে তিনি জ্ঞান রাখেন না। সমাজের অনেক উঁচু পর্যায়ের মানুষজন তাকে শ্রদ্ধা করে। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হলো পাঁচশো বছরের পুরোনো একটি পেইন্টিং এর তত্ত্ব তালাশ করার, ধারণা করা হচ্ছে যার সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির। সেই ভিঞ্চি, যাকে নিয়ে ডক্টর জেড এর অপার কৌতুহল। সেই অপার কৌতুহল তাকে টেনে নিয়ে গেলো ইতালির রোম শহরে, যেখানে তিনি আবিষ্কার করলেন এমন এক সত্য, যা পাঁচশো বছরের ইতিহাসকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। ?️ পাঠ প্রতিক্রিয়া: থ্রিলার সম্রাট হিসেবে খ্যাত মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর ব্যতিক্রমী উপন্যাস দা ভিঞ্চি ক্লাব। তথাকথিত থ্রিলার জনরার বাইরে এসে তিনি এক ভিন্ন ধর্মী চরিত্র ডক্টর জেডকে উপস্থাপন করেছেন। আর্ট অ্যাট্রিবিউশন এর মত বিষয় নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। এবং সত্যি কথা বলতে লেখক এ ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবে উতরে গেছেন। ডক্টর জেড সম্পর্কে প্রথম পড়েছিলাম বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই নেমেসিস এ। লেখকের প্রথম উপন্যাসে এক চরিত্রের সংলাপে ডক্টর জেড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পেয়েই আমার মনে তাঁর সম্পর্কে কৌতুহল জাগে। পরে যখন লেখকের পোস্ট থেকে জানতে পারি এ বছর বইমেলায় তিনি ডক্টর জেডকে নিয়েই উপন্যাস লিখছেন, এটিকে তখনই আমার উইশ লিস্ট এ রেখে দেই। বইটিকে রিভিউয়ের সুবিধার্থে ৩ টি অংশে ভাগ করেছি। কেননা বইয়ের ৩ টা অংশ পড়ে আমার অনুভূতি ৩ রকম লেগেছে। রিভিউটিকে যতটা সম্ভব স্পয়লার ফ্রি রাখার চেষ্টা করবো। ?️ প্রথম ভাগ: বইয়ের প্রথম অংশে লেখক ডক্টর জেড চরিত্রটিকে পরিচিত করেছেন। নানা বিষয় সম্পর্কে ডক্টর জেড বেশ ভালো ধারণা রাখেন। বিশেষ করে আর্ট সম্পর্কে তাঁর ধারণা ব্যাপক। অনেক কম মানুষ তাঁকে চেনে, কিন্তু যারা তাঁকে চেনে, তারা তাঁকে বেশ শ্রদ্ধা করে। সমাজের নানা শ্রেণির লোক তাঁর কাছে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চাইতে আসে। এরপর দেখা যায় বিশ্বের বাঘা বাঘা আর্ট ডিলার, আর্ট গবেষকের সাথে তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এক বিশিষ্ট আর্ট ডিলার তাঁকে অনুরোধ করে একটি বহু পুরোনো চিত্রকর্মের অ্যাট্রিবিউশন করার, ধারণা করা হচ্ছে, যেটি এঁকেছেন স্বয়ং লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। এর পাশাপাশি আর্ট বিশেষজ্ঞ লুই পাসকালকে দেখানো হয়, যার উপর দায়িত্ব পড়েছে তাঁর আবিষ্কৃত নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোনালিসার প্রকৃত রং উদ্ধার করার। লেখক এ অংশে যেসকল চরিত্র উপস্থাপন করছেন, তাঁরা সকলেই উপন্যাসের পরবর্তী অংশের জন্য অনেক সম্ভাবনা দেখিয়েছেন। ?️দ্বিতীয় ভাগ: উপন্যাসের মূল কাহিনী এখান থেকেই শুরু হয়, তাই কোনো স্পয়লার না দেওয়ার চেষ্টা করবো। এই অংশে মূলত ডক্টর জেড এর ইউরোপের ঘটনাপ্রবাহ দেখানো হয়। লেখক এখানে আর্ট অ্যাট্রিবিউশন এর বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক দিক সহজে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি লিওনার্দোর সমসাময়িক সময়, যে সময়টাকে আমরা রেনেসাঁ বলি, সে সময়ের আর্ট এর ইতিহাস ও ভিঞ্চির জীবনী তুলে ধরেছেন, যদিও এ ইতিহাসের উপস্থাপন আমার অতটা ভালো লাগেনি, মনে হয়েছে নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে লেখা গৎবাঁধা ইতিহাস পড়ছি। ডক্টর জেড শুধুমাত্র তাকে অ্যাট্রিবিউশন করতে দেওয়া চিত্রকর্ম নিয়েই কাজ করেননি, বরং লিওনার্দোর আঁকা অন্যান্য চিত্রকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন একজন প্রকৃত আর্ট ডিটেকটিভ এর মতই। আর এদিক থেকে লেখকের এ চরিত্রটি সার্থক। এ অংশ শেষ করতে আমার বেশ কয়েকদিন লেগেছে, কেননা এখানে বলার মত কোনো টুইস্ট ছিল না, সমান্তরাল গতিতে গল্প এগিয়ে গেছে। এছাড়া কিছু কিছু অংশে গল্পের গতি অনেক ধীর মনে হয়েছে। ?️ তৃতীয় ভাগ: ডক্টর জেড এর আর্ট অ্যাট্রিবিউশন সংক্রান্ত কাজ শেষ করার পর থেকে উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত অংশ এ ভাগে রেখেছি। ডক্টর জেড এ ভাগে এমন একটি সত্য উম্মোচন করেন, যা সত্যি হলে পৃথিবীর আর্ট সক্রান্ত ইতিহাস অনেকটাই বদলে যেতে পারে। এ অংশে লেখক ডক্টর জেড এর জীবনের ইতিহাসও তুলে ধরেছেন, যা অনেকটা মন খারাপ করার মত। গল্পের পটভূমি যেহেতু ২০২০ সাল, তাই অবধারিত ভাবেই কোভিড-১৯ ভাইরাস সক্রান্ত কথা চলে আসে। গল্পের উপসংহার তাই আমার কাছে মনে হয়েছে দীর্ঘশ্বাসময়। ?️ নেতিবাচক দিক: উপন্যাসের নানা জায়গায় বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিহাসভিত্তিক ও যে জায়গায় বিভিন্ন চিত্রকর্ম নিয়ে আলোচনা এসেছে, সেখানে ছবির ব্যবহার ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু জায়গায় অপ্রয়োজনে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, এবং মনে হয়েছে এসব ছবি গুগল থেকে সার্চ করে বের করে শুধু ছেপে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বানান ভুলের পরিমাণ ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসকে 'কোরোনা, কোরো না' ইত্যাদি লেখা হয়েছে, যা প্রচণ্ড দৃষ্টিকটু লেগেছে। উপন্যাসের কিছু জায়গায় লেখক ডক্টর জেড এর বয়ানে কোনো বিষয়ে শুধুমাত্র একঘেঁয়ে একপাক্ষিক আলোচনা করে গেছেন। ডক্টর জেড এর বিপরীতে যে চরিত্র ছিল, যেমন ওরিয়ানা, লুই পাসকাল তারা শুধুমাত্র শুনেই গেছে এবং সম্মতিতে মাথা নাড়িয়ে গেছে, যেন এ বিষয়ে তাদের জ্ঞান শূন্য। এ দিকটা দৃষ্টি কটু লেগেছে। উপন্যাসের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা অক্ষরে ইটালিয়ান ভাষার বিভিন্ন টুকরো সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রথম দিকে ভালো লাগেনি অর্থ না বোঝার কারণে। তবে একই সংলাপ বারবার ব্যবহার করায় পরবর্তী অংশে গিয়ে সংলাপগুলোর অর্থ বুঝা সম্ভব হয়েছে। ?️ শেষ কথা: লেখক নাজিম উদ্দিন এর বই মানেই থ্রিলার, এমন একটা ধারণা নিয়ে বইটি পড়া শুরু করায় যথার্থ থ্রিলার এর অনুপস্থিতি আমাকে হতাশ করেছিল। কিন্তু পরবর্তী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি সম্পর্কে চিন্তাশীল আলোচনা ও রেনেসাঁ আমলের বিভিন্ন ফ্যাক্ট আমাকে বইটি শেষ করার অনুপ্রেরণা দেয়। কেননা ভিঞ্চি লোকটিকে নিয়ে আগে থেকেই অনেকটা মনোমুগ্ধ ছিলাম। লোকটার রহস্যময় জীবনধারা, চিত্রকর্ম, তৎকালীন সমাজ থেকে কয়েকশো বছর এগিয়ে থাকা, সবটুকুই আমাকে কৌতূহলী করত। এছাড়া তার বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা নিয়ে নানা মিথ, রহস্য সব কিছুই অনেক ইন্টারেস্টিং লাগতো আমার কাছে। দা ভিঞ্চি ক্লাব পড়ার পর আমার সেই মনোমুগ্ধতা যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। লেখক বইটি লেখতে যত পড়াশোনা করেছেন, ইতিহাস জেনেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। লেখক গতানুগতিক থ্রিলার জনরার বাইরে এসে নতুন একটি বিষয় নিয়ে উপন্যাস লেখার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই। পরিশেষে বলব, যদি আপনি রোমাঞ্চকর থ্রিলার পড়ার উদ্দেশে বইটি হাতে নেন, আপনি হতাশ হবেন। কিন্তু ইউরোপের রেনেসাঁ, লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনী ইত্যাদি নিয়ে যদি আপনার আগ্রহ থাকে, বইটি অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ আশা করব লেখক তার গতানুগতিক থ্রিলার লেখার পাশাপাশি এমন ভিন্ন ধর্মী উপন্যাস আমাদের নিয়মিত উপহার দিবেন।