User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভরপুর বিনোদন ?
Was this review helpful to you?
or
অবশেষে সাকিবের জীবনে শান্তি এলো। রহস্যময় শান্তি যেন সকল কাজের কাজী। তৃতীয় পর্বের অপেক্ষা।
Was this review helpful to you?
or
এইটা Khan family এর থেমেও বেস্ট। 3rd part opekkhay roilam ??
Was this review helpful to you?
or
Better than first part.
Was this review helpful to you?
or
খান ফ্যামিলি মানেই হাসি আনন্দের রোলার কোস্টার রাইড। এই সিরিজের প্রতিটা উপন্যাস চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
Pure Entertainment ?
Was this review helpful to you?
or
First one is good. Second one is better. Waiting for the best one.
Was this review helpful to you?
or
একটি ভালো বই সুন্দর সময়ের সঙ্গী। এই বইয়ের সঙ্গে সুন্দর সময় কেটেছে। খান ফ্যামিলির জয় হোক। সাকিবের পাগলামি আরও বাড়ুক।
Was this review helpful to you?
or
এটা প্রথম পর্বের চাইতেও ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম পর্বের চাইতেও এই পর্বটি পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। এমন অদ্ভুত পরিবার সত্যিই বিনোদন দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Remarkable in a word, simply unique type of creation. Very happy as a reader of this grandiose sequel book of Khan family. Cheers.?
Was this review helpful to you?
or
সিক্যুয়েল হলে এমন হওয়াই উচিত। প্রথম পর্ব ‘খান ফ্যামিলি’ উপন্যাসকে যদি ১০ এ ১০ দিই, তাহলে ‘খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক’ উপন্যাসকে ১০ এ ১০০ দিতেই হবে৷ গল্প, ঘটনা, সংলাপের দিক থেকে এটা পূর্বের উপন্যাসকে ছাপিয়ে গেছে। সমাপ্তিতে যা মনে হলো, তৃতীয় পর্বও আসবে। আশা করি দারুণ হবে সেটাও।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল, এবারকার পর্ব শুরু তার ঠিক মাস তিনেক পর৷ সাকিব এখন বিবাহিত। খান ফ্যামিলিতে ঘটনার ঘনঘটার কমতি নেই৷ তাদের কাণ্ডকীর্তি বরাবরের মতোনই হাস্যরসাত্মক। সমাজের অসঙ্গতি, কুকুর-বিড়াল তথা পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা, পরিবারের প্রতি অগাধ মায়া-মমতা এই উপন্যাসের অন্যতম রশদ৷ যা পড়ে আরাম, ভাবনাচিন্তার খোরাক তৈরি করে৷ আগের বইটি থেকে এবারকার বইটি অনেক বেশি পরিণত, মজার, শালীন এবং আশাজাগানিয়া। শেষ করার পর মনে হচ্ছে, তৃতীয় পর্বতে আরও অনেককিছু পেতে যাচ্ছি। দেখা যাক, খান ফ্যামিলিতে আরও কী কী ঘটে৷
Was this review helpful to you?
or
খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক Zamsedur Rahman Sajib জনরা: রম্য প্রচ্ছদ: রাকিব রাজ্জাক, উমর ফারুক আকাশ, আদিল পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৭ মলাট মূল্য: ৩৫০ টাকা প্রকাশকাল: বইমেলা ২০২৫ বেনজিন রিভিউ: আন্নি লিপা কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের শুরু হয় সাকিব- শান্তির বিয়ের তিন মাস পরের এক দিনে। উহু যে সে দিন নয়, শুভ বিবাহের দিন। বিয়েটা ছিল সাকিবের বন্ধু রিফাতের। আর বিয়ের অতিথিরা ছিলেন পাড়ার সমস্ত কুকুর-বিড়াল। অবাক হওয়ার কিছু নেই বিয়ের আয়োজন করেছেন শাকের আর সালমা খান তাই এটা স্বাভাবিক ভাবেই নিন। সাকিবের বন্ধু রিফাতের হানিমুনের কথা শুনে সাকিবের মনেও হানিমুনের লাড্ডু ফোটে। সাকিব শান্তিকে নিয়ে হানিমুনে যাবে এটা শুনে হিন্দি সিরিয়ালের ডাইনি শাশুড়িদের মতো শান্তির শাশুড়িরও জ্বলুনি শুরু হয়। আর স্ত্রীর জেদ মিটাতে শাকের খান ও তাদের সাথে চলেন। সাকিব-শান্তির হানিমুনে আরো সঙ্গী হয় সুমাইয়া, টোস্ট, বিস্কুট, মিল্কি ও পাউডার। পাঠ প্রতিক্রিয়া: ✿ অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই সজীব ভাইয়াকে। আর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। রিভিউটা আরো ভালো হতে পারত! ✿ বই পড়ছি সেই কবে রিভিউ দিলাম আজকে, মনে হচ্ছে অন্যায় হয়ে গেল! আমি যখন কোনো রিভিউ লিখি সেটা আগে খাতায় লিখি, এই বইটা যখন পড়া শেষ করি অর্ধেক লিখার পর বিরতি দেই ২-১ দিন। এর মাঝে কী যেন হইছে পেজ গুলো আর খুঁজে পাইনি। তাই অলসতা করে আর রিভিউ লেখাও হয়নি। আমার খুব ইচ্ছা ছিল বইটার দ্বিতীয় বা তৃতীয় রিভিউয়ার হয়ত আমি হবো, সে গুড়ে বালি! ✿ রম্য বইয়ের উৎসর্গ পত্র সর্বপ্রথমে পড়ে মন বিষাদে ছেয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ সব বাবাদের ভালো রাখুন! ✿ দ্বিতীয় বারের মতো হারিয়ে গিয়েছিলাম খান ফ্যামিলির অদ্ভুত জগতে। সালমা খানের রান্নার উৎসাহ কিন্তু একই আছে, এখন তো তিনি গোলাপ ফুলের চা বানাতে ব্যস্ত। শাকের খানের রসিকতার স্বভাব ও একই আছে। বদলায়নি সুমাইয়াও। শুধু সাকিবের জীবনে এসেছে শান্তি। এই বইয়ে লেখক বেশ কিছু নতুন চরিত্রের সাথে পরিচিত করিয়েছেন। আর সেই সব নতুন চরিত্রের প্রায় সবগুলোই লেখক তার পরিচিত মানুষের নাম ব্যাবহার করেছেন। এই যেমন, পিকুলিয়ার বিডি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক মাসুম আহমদ আদি মাসুম আহমেদ আদি (হি হি দারুন মানাইছে)। তন্ময়, ফারজানা তাজরি, সাকিব আহমদ, রিফাত। মানের প্রায় সকলেই চেনা-পরিচিত। এই বিষয়টা যখন প্রথম আবিষ্কার করি আমার হাসি দেখে কে! ✿ আমাদের বাবারা বলে থাকেন পরীক্ষায় ফেল করলে রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দেবে। সুমাইয়ার ক্ষেত্রে বুঝি তাই সত্যি হবে। ভাইয়ের হানিমুনে যেয়ে তারই এক ব্যাচমেটকে পছন্দ করে ফেলে। সেও ফেলটু, ফেলটু ফেলটুতে কাটাকাটি। তবে গত পার্টে যেভাবে টিচারের কথা উল্লেখ ছিল আমি ভেবেছিলাম সুমাইয়ার হয়ত টিচারের সাথেই কিছুমিছু হবে। ✿ এই পার্টে সালমা খানের সিরিয়ালের শাশুড়িদের মতো ন্যাকামি করাটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। শাকের খানও তার স্ত্রীর পক্ষে থেকে সাকিব আর শান্তির মাঝে দূরত্ব তৈরি করেছিল এই ব্যাপারগুলো লেখক হাস্যরসাত্মক ভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। সফল ও হয়েছেন বটে কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে নি। ✿ একটা ভালো লাগার ব্যাপার হলো লেখক চেষ্টা করেছেন রম্যের ফাঁকে ফাঁকে পাঠকদের খানিক জ্ঞানী করে তুলতে। এই প্রচেষ্টা সুন্দর। ✿ বইয়ে সবার শেষে যেটা দেখানো হয়েছে, অর্থাৎ সাকিব আহমেদের কাহিনীটা সেটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। ছেলেমানুষি লেগেছে। আরেকটা ব্যাপার অযৌক্তিক লেগেছে- ক্লাস সেভেনে পড়া সাকিব শান্তির মাথার হেয়ার ব্যান্ডের চাঁদকে সত্যিকারের চাঁদ ভেবেছিল। ক্লাস সেভেনে পড়া ছেলে এরকম ভুল করবে এটা মানা যায় না। সাকিবের বয়সটা আরেকটু কমিয়ে বললে ভালো হতো। ✿ খান ফ্যামিলি সিরিজের দুটো বই যদি আমি তুলনা করি তাহলে আমার কাছে প্রথমটাই বেশি ভালো লেগেছে। এই পার্ট আমাকে হতাশ করেনি, তবে ওই যে তুলনায় একটু কম আর কী! ✿ সবশেষে বলব খান ফ্যামিলির পাগলামি চলতে থাকুক। দাদি-নানিদের ঝগড়ায় পরবর্তী পার্ট তো মনে হচ্ছে জমে ক্ষীর হবে। বেনজিন- রসায়ন জমুক বইয়ের সাথে। বেনজিনের প্রোডাকশন এত্ত প্রিমিয়াম! জ্যাকেট থেকে শুরু করে একদম লাস্ট পেজ পর্যন্ত সবকিছুই সুন্দর। আর সবথেকে শান্তির বিষয় হলো বাসায় বানান ভুলের সংখ্যা ০.০০০১% যার কারণে শান্তিতে শান্তির কাহিনী পড়তে পেরেছি। পার্সোনাল রেটিং: ৩.৯/৫
Was this review helpful to you?
or
সাকিব ভাই চলে এসেছেন নিজের উদ্ভট পরিবার নিয়ে, যেখানে বোন ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার আগে মেকআপ করে এবং ভাবে, আদৌ মুখ ধুবেন কি না। মা সকল রকমের ফুল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চা বানিয়ে পেট খারাপ করার উপায় খুঁজে বেড়ান, আর বাবা নিজের নেশার জন্য হইচই করেন। এই পরিবারকে আগলে রাখতে গিয়ে স্ত্রী শান্তির অবস্থা মাঝে মাঝে বেশ নাজুক হয়ে পড়ে। প্রায় তিন বছরের মাথায়, জামসেদুর রহমান সজীব নিয়ে এসেছেন রম্য উপন্যাস খান ফ্যামিলি–এর সিক্যুয়েল খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক। খান ফ্যামিলি যদিও একটি হাস্যরসাত্মক উপন্যাস, তবু এতে অবলা প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার বার্তা রয়েছে, রয়েছে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর স্যাটায়ার। পারিবারিক বন্ধন আর খুনসুটির মাঝে হাসির ব্যাপারটা আনা কঠিন, কিন্তু এখানে তা মোটেও জোড়াতালি মনে হয়নি। রাতের বেলা পড়তাম না, কারণ বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে মা-বাবা যদি আমার হো হো করে হাসার শব্দ শুনে বসেন, তাহলে আমাকে পাগল ভেবে বসতে পারেন। তাই দিনের বেলা রোদের মধ্যে বসে প্রাণখুলে হেসেছি। এবার সাকিবদের সঙ্গে এসেছে আরও অনেক নতুন চরিত্র, যার মধ্যে ছিলাম আমি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন—রিফাত, মানে আমার নামে এক চরিত্র রয়েছে, যে সাকিবের ছোটবেলার বন্ধু। তার কোনো গুণ নেই, তবুও সে বেগুনের মতো ভাজা হয়ে বিয়ে করে সোজা হানিমুনে যেতে চায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে! আর বন্ধুবর সাকিব ভাবলেন, তিনিও তার শান্ত স্ত্রী শান্তি খন্দকারকে নিয়ে কক্সবাজারে হানিমুনে যাবেন। যেই ভাবা, সেই কাজ! কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিলেন, তারাও যাবেন সঙ্গে। ফলে পারিবারিক হানিমুনে গিয়ে কী সব ঘটনা ঘটে, তা নিয়েই এই অসাধারণ রম্য উপন্যাস। বইটি আপনাকে হাসাবে, প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে উদ্বুদ্ধ করবে, আর পরিবারে কীভাবে খুনসুটির মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়, তা শিখিয়ে দেবে। সিক্যুয়েল হিসেবে বইটি আগের বইকে ছাড়িয়ে গেছে। সাথে বেড়েছে পরিধিও। বিরতি নেওয়াটা লেখকের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ গতবার যে কিছুটা আড়ষ্টতা ছিল, তা এবার একেবারেই নেই। তবে কিছু কিছু স্থানে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কিছু মিম ও কৌতুক ব্যবহৃত হয়েছে, যা খুব একটা হাসির খোরাক জোগায়নি। গল্পের শেষে রয়েছে একটি মজার টুইস্ট, যা মজার লেগেছে অনেক। সব মিলিয়ে বইটি আমি দারুণ উপভোগ করেছি! আমাদের দেশে রম্য সাহিত্য খুব বেশি নেই, তার ওপর মানুষ হাসানো সত্যিই কঠিন কাজ। কিন্তু সজীব ভাই সেই কঠিন কাজটি অনায়াসে করে দেখিয়েছেন। আশা করি, তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও অনেক দারুণ রম্য উপন্যাস পাব। বই:খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক লেখক: জামসেদুর রহমান সজীব জনরা: রম্য পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬০ প্রকাশনী: বেনজিন
Was this review helpful to you?
or
বইঃ খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক জনরাঃ রম্য উপন্যাস লেখকঃ জামসেদুর রহমান সজীব প্রকাশনীঃ বেনজিন প্রকাশন পড়ে শেষ করলাম সদ্য প্রকাশিত, লেখক- Zamsedur Rahman Sajib ভাইয়ের লেখা "খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক" বইটি। প্রথমেই বলতে চাই বইটি আমার জন্য স্পেশাল।লেখক গেস্ট ক্যারেক্টার হিসেবে একটি চরিত্র হুবুহু আমার নামে রেখেছেন।একজন পাঠক হিসেবে একটা বইয়ের অংশ হতে পারাটা বিরাট আনন্দের বিষয়।? তাছাড়া আরও ভালোলাগার বিষয়;আমার এবং আপনাদের পরিচিত আরও দুজন মানুষের চরিত্রও স্থান পেয়েছে বইটিতে। লেখকের "খান ফ্যামিলি" বইটির পরবর্তী পর্ব এটি। বর্তমান সময়ে রম্য জনরা নিয়ে খুব কম কাজই আমরা দেখতে পাই।আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে স্ট্রেস রিলিফ বা সাময়িক আনন্দ,একটু প্রাণ খুলে হাসার জন্যও মাঝে মাঝে ভিন্ন স্বাদের বই পড়া দরকার।রম্য গল্প বা উপন্যাস শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য নয়, এর মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনবোধ এবং শিক্ষাও দেওয়া হয়। রম্য গল্পের মাধ্যমে লেখকরা হাস্যরসের আড়ালে গভীর জীবনদর্শন, সামাজিক সমস্যা, মানবিক সম্পর্ক এবং নৈতিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এই কাজটি মোটেও সহজ নয়;লেখক এখানে যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। বরারেই মতোই "খান ভিলা'র" কর্তা শাকের খান, সালমা খান, তাদের পুত্র -সাকিব,পুত্রবধু শান্তি, মেয়ে সুমাইয়া সহ শালা শিহাব খান সকলেরই চরিত্রই ছিলো প্রাণবন্ত। কুকুরপ্রেমী এই পরিবারে কুকুর,বিড়ালের উপস্থিতি নিয়ে এবং পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকে। তার উপর সালমা খানের অদ্ভূত অদ্ভূত সব রেসিপি, আদরের কন্যা সুমাইয়ার তিন বেলা নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে মেক-আপ নিয়ে পড়ে থাকা,সাকিব এবং শান্তির নতুন বিবাহিত জীবন সব মিলিয়ে গল্প দারুণভাবে এগিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত গল্পটা ভালোই উপভোগ করেছি। আশা করি পাঠকদেরও খারাপ লাগবেনা। প্রিয় উক্তিঃ "মানুষ যত পুরোনো হয়,ততই গাঢ় হয় জীবনবোধ ও ভালোবাসার বন্ধন।" পুনশ্চঃ রম্য উপন্যাস হলেও বইয়ের শুরুতেই উৎসর্গ পাতার লেখাটা পড়ে একরাশ খারাপ লাগা মনে এসে ভর করে। আমাদের প্রিয় জামসেদুর রহমান সজীব ভাইয়ের শ্রদ্ধেয় পিতা"মরহুম জাকির হোসেন বিশ্বাস" ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতবাসী করুন।? সৃষ্টিকর্তা সকলের বাবা-মা কে ভালো রাখুন,যত্নে রাখুন।?
Was this review helpful to you?
or
[রিভিউ টা লেখক কে উদ্দেশ্য করে লিখা ছিল] বই:-খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক লেখক :- জামসেদুর রহমান সজীব প্রথমেই বলে রাখি, আমি একদম ই রিভিউ লিখতে পারিনা কোনো কিছুর।কোনদিন লিখিওনি কোন বই এর রিভিউ। আজকেই প্রথম লিখার চেষ্টা করলাম। দ্বিতীয়ত, তুমি ভেবোনা আমি এতদিনে পড়লাম বই টা। আমি কিন্তু প্রথম দিনেই বইটা পড়ে ফেলেছি, এতদিন কলেজ আর একটু ব্যস্ত থাকার রিভিউ জানাতে পারিনি। পাঠকের কথা:-'খান ফ্যামিলি' একটা রম্য উপন্যাস। আমি 'খান ফ্যামিলি'র আগে কোনো রম্য উপন্যাস পড়িনি।'খান ফ্যামিলি' আমার প্রিয় একটা বই। 'খান ফ্যামিলি'র দ্বিতীয় পার্ট এর জন্য কয়েক কোটি বছর অপেক্ষা করা লেগেছে। অবশেষে তুমি আমাদের প্রতি সদয় হয়ে বই টা বের করলে। এবং এই পার্ট টা ফার্স্ট পার্ট কে টপকে আমার হৃদয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে।? একটা মানুষ এর মন খারাপ থাকলে অনায়াসে মন ভালো করার জন্য 'খান ফ্যামিলি 'ও 'খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক' সেরা। এছাড়াও মন ভালো থাকুক কিংবা খারাপ একটা মানুষ কে প্রাণোচ্ছল রাখার ক্ষমতা রাখে এই বই গুলো। কারো মন ভালো করার জন্য লেখকের মানে তোমার শরনাপন্ন হলেই চলেব।? পাঠ - প্রতিক্রিয়া :- এহেম এহেম!!একটা রম্য গল্পে মুহুর্তে মুহুর্তে এত টুইস্ট কিভাবে থাকে (হাস্যকর টুইস্ট) !! ধারণা করি এক কাহিনি হয়ে যায় আরেক কাহিনি। 'খান ফ্যামিলি'র মত 'খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক' ও এমন একটি উপন্যাস যেখানে পারিবারিক ভালোবাসা-দায়িত্ব,পারিবারিক খুনসুটি , প্রানীদের প্রতি ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা বরাবর এর মত আমার মন কেড়ে নিয়েছে। বই পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমার নিজের আপন কেউ বিপদে পড়েছে। ওহ হ্যাঁ! এত সুন্দর আর ইউনিক নাম পাও কিভাবে তুমি??মানে এত অদ্ভুত নাম ও হয়?। পাউডার নাম ভেবে ফার্স্ট এ সাদা ভেবেছিলাম পরে দেখি কালো বিড়াল(আমাকে আবার রেসিস্ট ভাইবোনা)?।এই বই পড়ে যত হাসছি আমি হিসাব নাই। এইজন্য ই তোমার লেখা এত প্রিয় আমার। ভালো কথা, শাকের সাহেব এত পাঞ্চলাইন কোথা থেকে শিখেছে? উনার থেকে আমারো শিষ্যত্ব গ্রহণ করা লাগবে। সিদ্দিক সাহেব কে কি জোস জোস কথা বললো। ভারত কে চান্সে বাঁশ দিয়ে দেয়ার বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে।?সাকিব দেখি বিয়ের পর পুরাই আদর্শ স্বামী হয়ে গেছে।'সাকিব ও শান্তি'র দুষ্ট মিষ্টি প্রেম ও অনেক ভালো লেগেছে। btw,বিয়ের ইতিবাচক -নেতিবাচক দিক, বিয়ে নিয়ে এতকিছু কিভাবে জানলা তুমি?।তুমি তো এখনো অবিবাহিত, কাহিনি তো সুবিধার না? একটু বদনাম করি, ?কুমিল্লা কে নিয়ে উলটা পালটা কেন লিখসো হেহ!!কত্ত সাহস, তুমি জানো কুমিল্লা যে সবচেয়ে ভালো জেলা (মানুষ গুলা ভালো না হইলেও) ?। আর 'সাকিব' এর বিয়ে পাঠকদের কে দাওয়াত না দিয়ে কেন দিলা??কত আশায় ছিলাম আমাদের দাওয়াত দিবা পরে বিয়ে হবে।কিপটা লোক, খরচের ভয়ে আগে আগে না জানায়ে বিয়ে দিয়ে দিসো?। দিনশেষে সাকিবের বাচ্চাদের নিয়ে যা বলছিলাম, আমি সবসময় ই বলি "কুকুর হলেও ওরা মানুষ " আমি তোমার সকল পাঠক দের মত এত গুছিয়ে লিখতে পারিনা কিছু তাই ইনবক্সেই দিলাম রিভিউ। অনেক কিছু লিখার ইচ্ছা ছিল এখন মাথায় আসছেনা। যাই হোক, এখন আমি অপেক্ষা করছি তৃতীয় পার্ট এর। আশা করি হাজার বছর অপেক্ষা করা লাগবেনা। ইতি:- জেবা মাসুমা মাহি
Was this review helpful to you?
or
আইসা গেছি আমি। এইবার হইবে নতুন গল্প। মাইক টেস্টিং ওয়ান টু থ্রি। এইবার দয়া করে মা*রধোর করবেন না এলাকাবাসী! "গলি গলি ঘুরি, মাইকে দেই ঘোষণা, আসেন একটা গল্প বলি। একটি বিশেষ ঘোষণা! একটি বিশেষ ঘোষণা!" প্রিয় এলাকাবাসী, প্রিয় এলাকাবাসী আমারে কী আপনাদের মনে আছে? আগেরবার আমার মাইক ভে*ঙে আমার মাথা ফা*টিয়ে দিয়েছিল এলাকার বদ পুলাপাইন। এইবার কিন্তু এমন করতে পারবেন না। আমি আসছি আপনেগো বিনোদন দিতে। আর এইবারের গল্প ভালো লাগবে আপনাদের বুঝলেন। লেখক লেখায় ইমপুভ করছে অনেক। তাইলে শুরু করি কী বলেন এলাকাবাসী? হ্যালো! হ্যালো! মাইক টেস্টিং ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর শিউলির বাপ গরু চো র! ইয়ে মানে মিসটেক মিসটেক! প্রিয় এলাকাবাসী আইজকা যে গল্পডা মাইকে বলমু আপনাদের সেটা সেই "খান ফ্যামিলি" তাদের গল্প। আআআআআআ! পাঁচ তলা থেকে ফুলের টবটা কে ছুঁড়ে মারলো! আরে মিয়া আগে শুনবেন তো গল্পটা। তারপর নাহয় মাইরেন। ওই রিকশা মামা চালু দেন। হ্যাঁ তো প্রিয় এলাকাবাসী সেই যে কুত্তা বাড়ি থুক্কু খান বাড়ি তারা আবার ফিরত এসেছে। এইবার এসেছে শান্তিসহ। আরে এই শান্তি সেই শান্তি না। বড় ছেলের বউ শান্তি খন্দকার। মনে আছে এদের বিয়ের হিসটোরি? সেই যে কুত্তা নিয়ে ঝামেলা। সাকিবকে ধরে নিয়ে গেল জে লে। শান্তি মেয়েটাও পারে বটে, থা নার মধ্যে বিয়ে করে বসে আছে। তো চলেন বাকিডা শুরু করি। ওই চা ওয়ালা মামা একটা চা দেন বেশি দুধ দিয়ে। চা খেয়ে শুরু করি। "বিয়ে করলে ছেলে পর হয়ে যায় মায়ের দুঃখ বোঝে না।" হ্যালো! হ্যালো মাইক টেস্টিং এলাকাবাসী এই ডায়লগ চেনা চেনা লাগছে? না চিনলেও সমস্যা নেই আমি আছি তো চেনাতে। নাহ এই ডায়লগ দিয়ে ওনাকে চেনাতে পারবো না। বরং আসেন গোলাপ ফুলের চা, গাঁদা ফুলের পাকোড়া খাই। ওই কে পানি মারলো রে! আরে চেতেন কেন বিখ্যাত রন্ধনশিল্পীদের যিনি ধরেন ব্লেন্ডারে মিশিয়ে জুস করে খেয়ে নিতে পারেন সেই বিখ্যাত সালমা খানের কথা বলছি। খান ফ্যামিলির গৃহকত্রী সালমা খান বিয়ে দিয়ে ছেলের বউ এনেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করে চলেছেন। এবং বরাবরের মতো এবারও সেগুলো খেতে হয় বাসার সবাইকে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্মী বউমা শান্তি খুব সাপোর্ট দেয়। মেয়েটা অবলীলায় শাশুড়ির বানানো ওইসব কুখাদ্য নিজেরটা তো খায় সাথে সাকিবের ভাগের অংশও খেয়ে নেয়। সালমা খান সোশাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ। অবশ্য স্বামী শাকের খানকে নিয়ম করে রোজ বউয়ের রিলস দেখে লাভ, কেয়ার রিয়াক্ট দিতে হয়। "আমায় নিয়ে কানাকানি রটে কথা রকমারি লোকে বলে বলেরে আমি মেকআপ সুন্দরী মেকআপ সুন্দরী মেকআপ সুন্দরী মেকআপ সুন্দরী আমি নাকি মেকআপ সুন্দরী মেকআপ সুন্দরী" আরে চাচা মিয়া আপনি আবার আসছেন নাচতে! ধুরো মাইকের সামনে থেকে সরেন। প্রিয় এলাকাবাসী! এইবার বলি সুন্দরীর কথা। আপনারা ভাত না খেয়ে যেমন বাঁচতে পারেন না ঠিক সেরকমই খান ফ্যামিলির একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া মেকআপ না করে বাঁচতে পারবে না। তার জীবনের একটাই কথা খাওদাও মেকআপ করো। পড়ালেখা ওইসব আবার কী জিনিস! অবশ্য এসএসসিতে ফেলের বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলা মেয়েটিকে সালমা খান হুমকি দিয়েছেন এইবার পাশ না করলে সোজা রিকশাওয়ালা ধরে বিয়ে। মেকআপের জন্য সুমাইয়ার পছন্দের জায়গা সাকিবের রুমের বাথরুম। ওখানের আয়না নাকি বেশ আলাদা। সাজ ভালো হয়। তিন চার ঘন্টা বাথরুম দখল করে আরামসে মেকআপ করে সে। অবশ্য ইদানিং প্রাক্তন স্যারকে খুব মনে পড়ে। স্যারের প্রেমিকা ম রে গেছে তো এবার একটা সুযোগ তো নেয়াই যায়। বেচারি দুঃখ ভুলতে মেকআপের ডোজ বাড়িয়ে দেয় কী না কে জানে! "খাও খাও বুঁদ হয়ে ডুবে যাও, দ্যাখো চোখে চোখে সর্ষে ফুল। কি? সর্ষে ফুল। করুক মাথা ঝিমঝিম।" আআআআআ! আমার মাথাডা ফাইট্টা গেল রে! দুষ্টু পুলাপাইন যা ভাগ এহান দে! ইসস কী বড় ইটের টুকরা মারছে দেখছেন নি! যাই হোক কী জানি বলছিলাম ওহ্! তিনি পান খান নন, তিনি সুপারি খান নন তিনি ওয়ান অ্যান্ড ওনলি গাঁ*জা খান থুক্কু শাকের খান। আগে তার পোটলা সাপ্লাই দিতো ছেলে সাকিব এবার প্রমোশন পেয়ে বউমা শান্তি নিয়ে আসে এসব! অবশ্য এই সালমা খানের অকর্মন্য স্বামী একটা বিষয়ে খুব সতর্ক থাকেন বউ যাতে রেগে না যায়। তাহলে ওই অখাদ্য খেয়ে আয়ু কমাতে হবে। এখনো বউয়ের আপন ভাই শালার সাথে মিলে ব্যবসার প্লান করে চলেছেন। অবশ্য এবার ব্যবসায় কিছুটা থিতু হয়েছেন। কাপড়ের দোকান দিয়েছেন নিউমার্কেট আর ভাতের হোটেল নীলক্ষেত। খান ফ্যামিলির এই কর্তা ব্যক্তিটি আর যাই হোক জীবনে নে*শাপানি বোধহয় আর ছাড়তে পারবেন না। কসম তো কম কাটেননি বউয়ের কাছে। "মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম.., ছিলাম নদীর চরে, যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে" প্রিয় এলাকাবাসী! হ্যালো! হ্যালো! মাইক চলছে না কেন! ওই রিকশাওয়ালা মামা দাঁড়াও পুলাইপাইন মাইকের তার কেটে দিছে! (আধা ঘন্টা পর) হ্যালো! হ্যালো! মাইক টেস্টিং এলাকাবাসী এইবার কপোত কপোতীর পালা। সদ্য বিবাহিত শান্তি ও সাকিব। চার মাস বিয়ের বয়স আর সাকিব যেন একটু একটু করে শান্তিকে আরো ভালো করে চিনেছে। এই মেয়ের আছে নানান ধরনের প্রতিভা। সালমা খানের অখাদ্য খাবার সাইডে রেখে বাকিরা লুকিয়ে শান্তির রান্না দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়। শান্তি আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে নাকি কোর্টে প্রাকটিস করেছে। সাকিবকে ছাড়িয়ে এনেছে নিজের বাবার সাথে মিলে। আবার এই মেয়ে রান্নায় নাকি জাতীয় পর্যায়ে সার্টিফিকেটধারী। সাকিব বউয়ের প্রতিভায় মুগ্ধ প্রতিবার। মাঝে মাঝে তার মনে হয় এই মেয়ের অসাধ্য নেই কোনো কাজ। শান্তি বউ হিসেবে খুবই লক্ষ্মী। স্বামীকে ভীষণ ভালোবাসে। আগেও বাসতো তবে তখন তো আর স্বামী পরিচয় ছিলো না। শান্তির ভালোবাসা বোধহয় আস্তে আস্তে সাকিবকে বউপাগলা বানাচ্ছে। ~ কাহিনী আরো আছে ~ প্রিয় এলাকাবাসী! প্রিয় এলাকাবাসী! আসসালামুয়ালাইকুম। এতক্ষণ যা বললাম এর বাইরেও কাহিনী আছে বিশাল। খান ফ্যামিলির সাথে যোগ হয়েছে নতুন নতুন চরিত্র। আছে সাকিবের বন্ধু রিফাত। তার গুন ছাড়া বেগুন একমাত্র বউ নূপুর। যারা ঠাঁই নিয়েছে সাকিবদের বিল্ডিংয়েই। রিফাতের বিয়ে ঘটা করে সাকিবের পরিবারই দিয়েছে। রিফাত বেচারা বিয়ে করে বউ নিয়ে হানিমুনে যেতে চায় সাভার স্মৃতিসৌধে নতুন স্মৃতি বানাতে। টাকা চাইলো ওই সাকিবের কাছে। তখন সাকিবের মনে পড়লো এই রে! ও আর শান্তি তো হানিমুনে যায়নি। রিফাতকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলে নিজের হানিমুনের প্লান করছে সাকিব। ওদিকে শান্তির সাথে দেখা তার ছোটবেলার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তাজরীর। আর মজার ব্যাপার হলো দুই বান্ধবীর জামাইয়ের নাম একই। তাজরী তার জামাইকে নিয়ে সদ্য খুলেছে তাজকিব ফ্যাশন হাউস। শান্তি বান্ধবীর দোকান থেকে কেনাকাটা করে র্যাফেল ড্র তে পেয়ে গেল কক্সবাজারে যাবার সুযোগ। তো কেমন হবে শেষমেশ সাকিব আর শান্তির কক্সবাজারে হানিমুন? খান ফ্যামিলির সদস্যদের মতিগতি তো ঠিক নেই কখন কী হয়। তবে এই পরিবারের একটা বিষয় এখনো বিদ্যমান, এরা পোষা প্রাণীদের খুব ভালোবাসে নিজেদের সন্তানতুল্য ওরা সবসময়। প্রিয় এলাকাবাসী! প্রিয় এলাকাবাসী মাইক টেস্টিং ওয়ান টু থ্রি আআআআআআ আবার! না না এইডা তো দেখি আমার নিজের বউ। আরে আরে মাইক নিয়ে টানাটানি করো না উফফ! না না তোমারে এখন কক্সবাজারে হানিমুনে কীভাবে নিবো! বোঝার চেষ্টা করো বউ! আআআআআ প্রিয় এলাকাবাসী! আমি আপাতত বউয়ের হাতে কিঞ্চিৎ আ*হত। আবার ফিরে আসবো নতুন করে গল্প নিয়ে। •~ পাঠ প্রতিক্রিয়া ~• জীবনে এত এত টেনশন, হতাশা কিংবা ব্যর্থতার মাঝেও হাজারো মানুষ যদি জীবনযাপন করতে পারে তো সামান্য কিছু সময় ব্যয় করে মুখে হাসিও রাখা উচিত। আমি মনে করি বই মানে আনন্দের সঙ্গী। সেখানে শিক্ষনীয় বিষয় থাকলে এক্সট্রা বোনাস, না থাকলেও ক্ষতি নেই। আনন্দের জন্য পড়া যেতেই পারে। রম্য জনরায় আপনি সব বইয়ে শিক্ষনীয় বিষয় না খুঁজে "আবোল তাবোল ", "হযবরল" বইগুলোর মতো আনন্দ করে পড়ুন না! কিন্তু আমি পাঠক হিসেবে "খান ফ্যামিলি" এবং"খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক" বইদুটোকে নাম্বার দেই তাহলে অবশ্যই আমার কাছে এগিয়ে থাকবে দ্বিতীয় বইটি। এবং আমার মনে হয় লেখক আসলে বিরতি নিয়ে একদম ধামাকা এন্ট্রি নিলেন। লেখায় ইম্প্রুভমেন্ট অনেকটাই বেড়েছে। আগেরবার গল্পটায় কিন্তু আড়ষ্টতা রয়ে গেছে যেন একটা দৃশ্য শেষ হবার আগেই আরেক দৃশ্য। এবার লেখক গল্পটা ডালপালা ছড়িয়ে যেন পরিনত বৃক্ষে রূপ দিয়েছেন। আগেরবার বইয়ের অতিরিক্ত স্লাং টাইপের শব্দ যেমন কম তেমনি কমেডি টাইমিং ভালো। বুঝেশুনে হাসির উপাদান দিয়েছেন। ভাষাগত দিক অনেকটাই সামলে নিয়েছেন। সাকিব শান্তির বিয়ের পর খান ফ্যামিলি আদতে কেমন আছে, কিংবা সাকিব শান্তির মিষ্টি খুনসুটি। সবকিছুর সুন্দর তাল মেলাতে চেষ্টা করেছেন লেখক। লেখা খুবই সাবলীল এবং দ্রুত পড়া যাবে একটানা। পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হয়ে যায়! লেখক কমেডি, ইমোশন, সাসপেন্স সবকিছু মিলিয়ে দারুন একটা সমন্বয় ঘটাতে চেয়েছেন যেন। তবে শেষের দিকে বর্ণনায় কিছু কিছু জায়গায় একটু খেই হারিয়ে গেছে। মনে হচ্ছিল বাক্যটা ঘুরিয়ে আরেকটু অন্যভাবে দেয়া যেত। ওইটুকু আর কী বুঝে নিয়েছি নিজের মতো। দুই এক জায়গায় কথ্য রূপ চলে এসেছে আর দুই একটা ছাপার ভুল। এইগুলো কোনো মারাত্মক ত্রুটি অবশ্যই নয়। আমার কাছে বই মানে আনন্দের সঙ্গী। পয়সা উসুল পারফর্মেন্স আরো একবার গোটা ফ্যামিলির। ভালো লেগেছে, সময়টা আনন্দে কেটেছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি প্রান খুলে হেসেছি। পরিশেষে একটাই কথা বলে শেষ করি ভালো বই পড়ুন, লেখকদের উৎসাহ দিন আরো ভালো লিখতে। "খান ফ্যামিলি" চালিয়ে যাক তাদের পাগলামি। আমরা আরো কয়েকটা সিক্যুয়াল পাই এই সিরিজের সেই প্রত্যাশা রাখলাম। ? বইয়ের নাম: "খান ফ্যামিলি ইজ ব্যাক" ? লেখক: জামশেদুর রহমান সজীব ? প্রকাশনা: বেনজিন ? ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৩/৫