User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু। প্রিভিউ বইয়ের তথ্য : শিরোনাম : জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ লেখক : ফয়জুল্লাহ আমীন কিবরিয়া প্রকাশন : আয়ান প্রকাশন - Ayan Prokashan নিয়মিত রিভিউ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও প্রিভিউ বইয়ের ক্ষেত্রে রিভিউ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি না। কেননা স্ক্রিনে পড়তে আমার বরাবরই অনীহা। মনোযোগ হয় না,মাথা ব্যথা ও চোখেও সমস্যা করে। যেদিন এই প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয় ঐদিন থেকেই ভাবছিলাম এবার অংশগ্রহণ করবোই,ইন শা আল্লাহ্। তাই ঐদিনই শেয়ার, মেনশনসহ সব রুলস্ পূরণ করে ফেলি। কিন্তু যেহেতু আমার পিডিএফ পড়তে ভালো লাগেনা তাই আর দ্রুত শেষ করতে পারবো না বলে রিভিউটা দিতে এত লেইট হলো। বইগুলোর শিরোনাম ও প্রচ্ছদ দেখে আমার ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল এবার চেষ্টা করাই যায়। সেজন্যই অংশগ্রহণ করা। চারটি বইয়ের প্রচ্ছদ, শিরোনাম ও বিষয়বস্তুই সুন্দর। তবে যেকোনো একটি দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। এবং সেজন্য নির্বাচন করেছি "জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ" বইটি। এটা বাছাই করার কারণ - অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে অসংখ্য বই লিখা হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই বিষয়বস্তুগুলো অন্যান্য বইয়ে এসেছে। কিন্তু সমসাময়িক বিষয়ে আমার মনে হয় এখন সবচেয়ে বেশি কথা বলা জরুরি। কেননা যুবসমাজ বিগড়ে গেলে পুরো সিস্টেমই বিগড়ে যাবে। তাদেরকে আগে সঠিক পথে,সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে নিয়ে আসতে হবে। তরুণকে বিগড়ালে পুরো জাতিকেই যে হারানো যাবে সেটা সবাই জানে বলেই শত্রুদের লক্ষবস্তু হয় এই তরুণসমাজই। তারা টোপ ফেলে তরুণদেরকে দিয়েই। তাই মাদকদ্রব্য, নারী ও অশ্লীল কনটেন্ট স্থানান্তরের মাধ্যম সহজ করে দিচ্ছে। যেন সহজেই তা তরুণদের মাথা খেয়ে ফেলে এবং অধঃপতনে নিতে পারে গোটা দেশকে,জাতিকে ও মুসলিম সমাজকে। সেজন্যই তারা টার্গেট করেছে তরুণদের। এইসব বিষয় থেকে,অপসংস্কৃতির ভয়াল থাবা থেকে তরুণদের দৃষ্টি ফেরাতে এই বইগুলো জরুরি। কেননা জনে জনে তো সবকিছু বোঝানো যাবে না৷ কিন্তু ভালো মানের কোনো কনটেন্ট যদি তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যদি এটার মাধ্যমে তাদের মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি উন্নত করে দেন,ঘুমন্ত মস্তিষ্ককে জাগিয়ে দেন হয়তো ভালো কিছু ঘটতেও পারে। নষ্ট হওয়ার হাত থেকে, নফসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তিও তো অর্জিত হতে পারে। ইন শা আল্লাহ্। সেজন্যই আমার মনে হলো এই বইটা নিয়েই লিখা উচিত। আর আমি সবসময় নিজের মতো করে রিভিউ লিখি। গতানুগতিক নিয়মের বাহিরে। রিভিউ কোনো ধরাবাঁধা নিয়মে হওয়া উচিত নয়। কেননা একেকজনের রিভিউ একেকরকম হওয়া উচিত। কার কেমন লেগেছে সেটাই বিশ্লেষণ মুখ্য বিষয়। এই বইটি ততটা বড় নয়। সূচিপত্রে পেইজ সংখ্যা দেখেছি। মনে হয় ৮০-৯০ এর মধ্যে হয়ে যাবে। সূচিপত্রে যে টপিক গুলো আনা হয়েছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলে থাকেন যে বাংলাদেশের লেখকরা ইসলামিক বইকে ধর্মগ্রন্থ বানিয়ে ফেলেন। তবে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের কথা ছাড়া কীভাবে নসীহা দেওয়া যায় বা ঘটনার সাথে রিলেট করবে যে কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাদের? তার জন্য অবশ্যই আমাদের হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর নসীহা ও আল্লাহর কুরআনের বাণী উল্লেখ করা জরুরি। তবে হ্যাঁ, এটা পরিমিত অনুসারে। এই বইয়ের ক্ষেত্রেও যেগুলো এড করা হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করার দরকার ছিল। তবে পুরো বইয়ের ক্ষেত্রে জানা নেই। এই বইয়ে অনেকগুলো বিষয় আনা হয়েছে। যা সাধারণত অন্যান্য বইয়ে আনা হয় না। আনলেও অনেক বড় অর্থাৎ দীর্ঘায়িত করা হয়না। যেমন: লেখকের কথা,লেখক পরিচিতি, ভূমিকা আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। আমার মনে হয় এগুলো একটু সংক্ষিপ্ত রাখলেই ভালো হয়। এমনিই ইসলামিক বই পড়তে চায় না অনেকেই। সংখ্যাটা কম। এবং জেনারেল শিক্ষিতরা তো আরও পড়েননা। তাই সবার আগে তো মানুষকে পড়ায় মনোযোগী করতে হবে। একসাথে এত ডোজ দিলে আমাদের তরুণরা বোর হয়ে যাবেন। কেননা এখন হচ্ছে রীলসের যুগ। তারা এত ধৈর্য নিয়ে কখনোই এতকিছু পড়বে না। সেজন্য কম কথায় গভীর অর্থপূর্ণ কিছু লিখা উচিত। এখনকার মানুষ এটাই বেশি পছন্দ করে। তাই অনুরোধ থাকবে পরবর্তীতে যেন সবার কথা বিবেচনায় বিশেষ করে- যে বইগুলোতে পুরো জাতিকে ডাক দেওয়া হয় সেই বইগুলোতে মূল কথা টেনে আনা উচিত। ধীরে ধীরে দীর্ঘায়িত করা উচিত। শিরোনামে তরুণদের ডাক দেওয়া হলেও সবার জন্যই পড়া উচিত বলে আমার মনে হয়। বিশেষ করে মডারেট অভিভাবকদের। তারা তো মধ্যপন্থা অবলম্বন করেন। এইজন্য সন্তানরা আরো বেশি দোটানায় থাকেন। দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই একসাথে পাওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, "দুনিয়া মুমিনদের জন্য কারাগার ও কাফিরদের জন্য জান্নাত।" কাফির,ইহুদিদের চক্রান্ত থেকে নিজেদের বাঁচাতে হবে আখিরাতের জন্য। তারা এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় জান্নাত পেয়ে যাক। আমাদেরতো চিরন্তন জান্নাত পেতে হবে। তাই বেঁচে থাকতে হবে তাদের পাতানো ফাঁদ থেকে। এই বইয়ে রয়েছে কীভাবে আপনি তাদের ফাঁদে ফেঁসে গেছেন ও সেটা থেকে পরিত্রাণের পন্থা। রয়েছে পূর্বের যুবকদের অর্থাৎ নবী যুগে সাহাবিদের ত্যাগ,ইসলামের জন্য ভালোবাসা, সুন্নতকে বাঁচিয়ে রাখতে অসংখ্য ত্যাগ-তিতিক্ষা। এগুলোও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কীভাবে যুবসমাজকে ডুবিয়ে ফেলা হচ্ছে জেনা-ব্যভিচার,মাস্টার*বেশনের মতো কবিরা গুনাহতে সেটাতো আর আমাদের অজানা নয়। আমাদের তরুণদের বাঁচাতে হবে। তবে পদক্ষেপ নিতে হবে ধীরে ধীরে। তাদের শেলফে শেলফে রেখে দিতে হবে "জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ" বইয়ের মতো ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ বই। পরবর্তীতে যেন নিজ থেকেই তারা অন্য এরকম হাজারও বই শেলফে রাখতে উদ্বুদ্ধ হয়। আগে তাদের সেইরকমভাবেই তৈরি করতে হবে। যারা এই বইটি পড়তে চাইবেন বা যেকোনো বই সবার আগে সূচিপত্র ও ভূমিকা পড়ে নিবেন। তাহলে আপনার বইটি সম্পর্কে ৮০% ধারণা অলরেডি হয়ে যাবে। স্পয়লারবিহীন রিভিউও পড়তে পারেন। তাহলে যে ধারণা হবে সেটাই যথেষ্ট এটা বোঝার জন্য যে বইটা পড়া উচিত নাকি উচিত নয় এবং বইটার বিষয়বস্তু কী হতে পারে। তবে ইসলামিক বইয়ের ক্ষেত্রে এতকিছু না দেখলেও সমস্যা হওয়ার কথা না। কেননা ইসলামিক ক্যাটাগরির বই পড়ায় লাভ বিনে লস নেই। এটা কোনো রোমান্টিক উপন্যাস নয় যে বানিয়ে লিখা যা আপনার না পড়লেও চলতো। ইসলামিক বই বরং সবসময় পড়া উচিত। এতে মন-মানসিকতা, নিজের নফস্ সবসময় পরিশুদ্ধ রাখার একটা সুযোগ হয়। তাই আমি যেকোনো ইসলামিক বইয়ের ক্ষেত্রে ১০০% রিকমেন্ড করতে রাজি। কোনো 'না' নাই। অন্তত সময় নষ্ট হবে বা লস হওয়ার চান্স নেই। ১০০ পেইজ পড়ার পরও যদি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার একটা আদেশও মনে থাকে,নবীজি(স.) এর একটা নসীহা মানার মতোও মন-মানসিকতা তৈরি হয় এটাই তো এনাফ। তবে হ্যাঁ, হাদিস ও কুরআনের রেফারেন্স, বানান,শব্দচয়ন এগুলো ম্যাটার করে। এই প্রিভিউ-এ আপাতত কোনো বানান ভুল বা অবাঞ্ছিত শব্দচয়ন চোখে পড়েনি। আশা করি,পুরো বইয়েও কোনো সমস্যা থাকবে না। সবার জন্য দোয়া রইলো। আমার একটাই কথা ইসলামিক বইয়ের ক্ষেত্রে আমার সবসময় পজিটিভ রিকমেন্ডেশন থাকে। পড়ে কোনো লস তো নেই। দোয়া রইল লেখক ও প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট সবার জন্য যারা বইগুলো সবার সামনে এত কষ্ট করে নিয়ে এসেছেন। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ও হালাল কাজে বারাকাহ্ দান করুন। এবং আমাদেরকে সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন। ওয়া আন্ তুম ফা-জাযাকুমুল্লোহু খয়রন।
Was this review helpful to you?
or
একসময় যে মুসলিমরা অন্যের বিপদে অকাতরে ঝাঁপিয়ে পড়ত, যেখানেই অন্যায় অনাচার সেখানেই ছুটে যেত দ্বিধাহীন চিত্তে, পৃথিবীর পরাশক্তির তাগুতি আস্তানা ভেঙে দিতেও যারা কুণ্ঠাবোধ করত না; আজ তারাই অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। আজ তারা জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিবর্তে নিজেরাই অত্যাচারিত হচ্ছে সর্বত্র। আকাশ-বাতাস ভারী হচ্ছে মজলুমের আর্তচিৎকারে। শহিদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ভূমির প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি। মজলুম হয়েই শেষ নয়, ঘৃণিত,জঘন্য সকল অপরাধের দায়ভার মুসলিমদের কাঁধেই বহন করতে হচ্ছে। তাই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে দিনশেষে মুসলিমদেরই। অথচ মজলুম হচ্ছে মুসলমানরা, শহিদ হচ্ছে মুসলিমরা আর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসও বরণ করছে মুসলিমরাই। কারণ মুসলিমরা তাদের শৌর্য-বীর্য হারিয়েছে সেইদিন থেকে যে-দিন মুসলিম তরুণরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আদায়ে উদাসীন হয়েছে, যে-দিন থেকে তাদেরকে নৈতিকতা পদদলিত হচ্ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পদতলে, যে-দিন তরুণরা গোলামি বরণ করে প্রবৃত্তির দাসে পরিণত হয়েছে সেই দিন থেকে। সেই ইসলামের শুরু থেকে তরুণদের কাঁধেই ভর করে আজ ইসলাম এতো দূরে এসেছে। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকাংশ সাহাবী তরুণ ছিলেন যখন তাঁরা ইসলামের পতাকা তলে সমবেত হন। দুনিয়াবি কোনো আকাঙ্খা, লোভ তাদের লক্ষ্য থেকে টলাতে পারেনি। ব্যক্তিগত কামনা-বাসনা কখনোও তাদের দ্বীনের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। কারণ তাঁরা জানতেন এই ত্যাগই তাঁদের সম্পদ, তাঁদের গৌরব। তাই আল্লাহ তাঁদের প্রতিদানও দিলেন প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য সবজায়গায় বিজয়ীর মুকুট পরিধান করলেন আর ইসলামের পতাকাকে উড্ডয়ন করলেন সীমাহীন উচ্চতায়। কিন্তু আমরা সেই জৌলুশ হারিয়েছি। আর কখন আমরা জেগে উঠবো? যখন ইহুদি, খ্রিষ্টানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সালাহউদ্দিন আয়ুবী কিংবা সুলতান ফাতেহ মাহমুদরা ইসলামের বিজয় এনেছিল তখন তারুণ্যই ছিল তাদের শক্তি। পৃথিবীর সকল শক্তি এই তারুণ্যের সৎ সাহস আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য। আমাদের সোনালী আমাদেরকে তাই বলে। "জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ" বক্ষমান গ্রন্থটি আমাদের নিয়ে যাবে আমাদের সোনালী প্রজন্মের কাছে। আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিবে ইসলামের সমৃদ্ধির কথা। আমাদের আবারও জানান দিবে কীভাবে তারুণ্যের শক্তির কাছে কিসরা, কায়সাররা পদানত হয়েছিল, কীভাবে এক আরব থেকে পুরো বিশ্বে ইসলামের পতাকা নিয়ে তরুণরা ছুটে গিয়েছিল। এই গ্রন্থ আমাদেরকে লজ্জিত করবে নিজ ইতিহাস ভুলে থাকার জন্য, নিজ দায়িত্বে অবহেলা,খাম-খেয়ালিপনা করার জন্য, আর দুনিয়াবি ভোগ-বিলাস, কামনা-বাসনায় লিপ্ত থাকার জন্য। বইটির প্রয়োজনীয়তা: বুদ্ধি বৃত্তিক লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে হলে সমানে সমানে চলতে হয়। শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপ এবং নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে হয়। লেখক কলেবর বড় না করেই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন শত্রুদের সকল ফাঁদ আর বাতলে দিচ্ছেন সেই ফাঁদ ভাঙতে হলে আমাদের কি করতে হবে। শত্রুদেরকে চিনতে পারা এবং তাদের কাজের ধরন বুঝতে পারাও এক ধরনের বিজয় তবে পূর্ণ বিজয় হলো শত্রুর বিপরীতে যথাযথ জবাব দেয়া। যা বক্ষমান "জেগে ওঠো হে তরুণ সমাজ" গ্রন্থে লেখক অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। বইটি কাদের জন্য? যারা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে বসে আছি। দুনিয়াবি লোভে যাদের চোখ অন্ধ হয়ে আছে, কামনা-বাসনায় যাদের অন্তর লিপ্ত আছে তাদের জন্য। কোনে নির্দিষ্ট বয়সের জন্য এই বইয়ের প্রয়োজনীয়তা সীমাবদ্ধ নয়। অভিভাবক থেকে শুরু করে ছোট-বড় সকলকেই তাদের কর্তব্যের জানান দিবে বইটি। অভিভাবক জানান দিবে তার সন্তানকে কীভাবে গড়ে তুলবে আর কীসের পরামর্শ দিবে। আর তরুণদের জন্য তো গাইডলাইনই এই বই। বইটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা: বর্তমানে তরুণরা কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে তা স্পষ্ট। তরুণদের সেই ভ্রান্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে তাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম অধ্যায় সাজানো হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে ইসলামের সূচনা লগ্নে তরুণ সাহাবীদের ইসলামের প্রতি, সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, অবদান। তরুণ সাহাবীদের হাতেই আল্লাহ প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের বিজয়ের নিশান উড়িয়েছেন, সম্মানিত করেছেন ইহকালে ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পরকালের সাফল্যের। এছাড়াও একজন দাঈর কী কী গুণাবলি থাকা আবশ্যক সে বিষয়ে পরবর্তী অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন লেখক। ধীরে ধীরে আমাদের অধঃপতনের মূল বিষয়ে ঢুকে গেছেন। যারা আমাদের তরুন সমাজ নিয়ে, আমাদের দ্বীন নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই প্রস্তুতিও লেখক বইয়ে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও আমাদের ইসলামের সোনালি প্রজন্ম, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতি পদ্ধতি ও দাওয়াতের কার্যকর পন্থাগুলোও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বক্ষমান গ্রন্থে। সবশেষে দাওয়াত ও দাঈর ফজিলতের মধ্য দিয়ে ইতি টেনেছেন গুরুত্বপূর্ণ বইটির। বই পরিচিতি: বই: জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ সার্বিক তত্ত্বাবধানে: মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি সম্পদনা: মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি লেখক: ফয়জুল্লাহ আমিন কিবরিয়া ভাষা ও বানানরীতি: মোহাম্মদ আল-আমীন প্রকাশনায়: আয়ান প্রকাশন - Ayan Prokashan পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮০ বাইন্ডিং: হার্ডকভার
Was this review helpful to you?
or
প্রারম্ভিকা: ___________ তারুণ্যের শক্তি সম্পর্কে আমাদের জানাশোনার বোধহয় আর বাকি নেই। ২০২৪ এর জুলাই আর অগাস্টে আমরা দেখেছি তারুণ্যের জোয়ার। এযাবৎ গল্প-সাহিত্যে তরুণ সম্পর্কে যা জেনেছি তার স্পষ্ট প্রমাণ ছিলো ২৪ এর দিনগুলোতে। নবযৌবন প্রাপ্ত মানুষগুলোই তরুণ। তারা অদম্য, অপ্রতিরোধ্য। তাদেরকে যদি একটাবার সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া যায়, তাদের কর্মপন্থা জানিয়ে দেওয়া যায়— তবেই সাফল্য নিশ্চিত। পরিবর্তন তারা আনবেই। যুগে যুগে যত বিপ্লব ঘটেছে তার পেছনে অবদান তরুণদেরই। তরুণরা যদি সৎ হয়, আর থাকে তাদের ঈমানি চেতনা তাহলে তাদেরকে কেউই দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দেখেছি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা রাজপথে নামাজ পড়ছে, আল্লাহর কাছে কেঁদেকেটে দুয়া করছে। আমরা দেখেছি ইন্ডিয়ায় নবী মুহাম্মদ ﷺ কে নিয়ে অবমাননা করায় তারা রাস্তায় নেমেছে। কালিমার পতাকা হাতে নিয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছে। সুবহানাল্লাহ এই চিত্রগুলো আসলেই প্রমাণ করে তারুণ্য কী জিনিস! এই চিত্রগুলোই জানান নেয়, তরুণরাই আমাদের সেরা সম্পদ। দরকার একটু আদর আর দরদ দিয়ে তাদেরকে বুঝানো। . বই সম্পর্কে: ____________ আশা হারিয়ে যায় নি, তরুণদের ঈমানি চেতনা জীবিতই আছে। দরকার একটু দরদমাখা আহ্বান। আর এই আহ্বানই করা হচ্ছে বক্ষমান গ্রন্থে। “জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ” বইটিতে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের ডাকা হচ্ছে আলোর পথে, সত্যের পথে। তাদের আহ্বান করা হচ্ছে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। জানানো হচ্ছে খানাখন্দে ভরা রাস্তা থেকে সিরাতুল মুস্তাকিমে ফেরার উপায়। বইটিতে ১৬ টি অনুচ্ছেদ থাকবে। শিরোনাম দেখে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী মনে হয়েছে। বইটিকে মোটামুটি তিনভাগে ভাগ করি আমি। প্রথমেই রয়েছে বর্তমান যুগের তরুণদের দায়িত্ব সম্পর্কে। ইসলামের সূচনালগ্নে তরুণদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যারা দাঈ, তরুণদের যারা দাওয়াত দিবেন তাদের দায়িত্বগুলো সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এরপর উল্লিখিত হয়েছে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের নীলনকশাগুলো কে বা কারা প্রণয়ন করে। কেমন চক্রান্ত তারা করছে মুসলিম উম্মাহকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। এখানে আরও চারটি পাঠ থাকবে। ইসরাইল বিনাশ করো, মুসলিম বিশ্বে শান্তি আনো। ত্রিমুখী শক্তির ইন্দ্রজাল। ইসরাইলের ত্রাণকর্তা। খুব সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিষয়। যেহেতু শর্ট পিডিএফ ছিলো তাই টপিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ নেই। পরের পর্বে থাকবে তরুণদের দাওয়াহ দেওয়ার পদ্ধতি ও তাদের প্রতি নসীহত নিয়ে। তরুণদের প্রথমেই ইসলামের ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ে বিচরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দেখানো হয়েছে মুসলিমরা কত সাহসী ছিলো, কত সমৃদ্ধ ছিলো আমাদের অতীত। দাওয়াতের কার্যকর পদ্ধতিসমূহ, রাসূল ﷺ এর দাওয়াত পদ্ধতি, নিজের কাজ ও তাকদিরের প্রতি ঈমান রাখা, তরুণদের প্রতি শেষ নসিহত ও অসিয়ত রয়েছে। এছাড়াও দাওয়াতী কাজে টালবাহানাকারীদের প্রতি নসিহত রয়েছে। রয়েছে দাঈ ও দাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা। . শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি: ___________________________ পিডিএফ পড়ে মনে হয়েছে বইটি শুধু তরুণদের জন্যই নয় দাঈদের জন্যও উপকারী। বইটিতে তরুণদের ইসলামের পথে ডাকাই হয়নি বরং ইসলামের শত্রুদের সাথেও পরিচয় করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পাঁয়তারায় কারা সর্বাগ্রে। বইয়ের শব্দচয়ন ভালো লেগেছে। প্রয়োজনীয় রেফারেন্স সংযুক্ত করা হয়েছে। বইয়ের প্রচ্ছদটাও বেশ সুন্দর আর অর্থবহ হয়েছে। প্রচ্ছদটাই স্পষ্ট জানান দিচ্ছে, তরুণরা কখনো ভয়ে দমে যায় না। তবে বইয়ের নামের ব্যাপারে অন্য রকম ভাবা যেত বোধহয়। এটা কমন মনে হচ্ছে। এছাড়াও আয়ানের আরও একটি বই রয়েছে, ইয়া শাবাবিল উম্মাহ। . শেষ কথা: __________ তিরমিজি বর্ণিত এক হাদিসে উল্লেখ আছে রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মানুষকে ৫টি প্রশ্ন করা হবে। তার মধ্যে একটি হলো তার তারুণ্যকে সে কীভাবে তাড়িত করেছে, যৌবনকে কীভাবে ব্যয় করেছে’। বুঝাই যাচ্ছে জীবনের এই সময়টা নিজের আখিরাতকে গুছানোর জন্য কতটা জরুরি। একদিন এই সময়গুলোর জন্য আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করা লাগবে। তাই এখন তো আনন্দের সময়, এঞ্জয় করার বয়স— না বলে সময়টাকে উত্তমরূপে কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমাদের তরুণ প্রজন্ম অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে না যাক। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুক, শত্রুদের চিনে রাখুক। আল্লাহ তাদেরকে উম্মাহর জন্য কবুল করে নিক। এটাই চাওয়া। আশা করি বইটি তরুণদের জন্য উপকারী হবে। বিশেষ করে, যদি কেউ তার কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী, ছোট ভাই, ছাত্রকে বই হাদিয়া দিতে চায় এই বইটি দিতে পারে। এমনটাই মনে হচ্ছে আমার।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ ?প্রাককথন: -------------------- মানুষ যে কয়েকটি অধ্যায় অতিক্রম করে জীবন পাড়ি দেয়, তার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে তারুণ্য। • "আল্লাহ- তিনি দুর্বল (শিশু) অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তিদান (যৌবন) করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য।" ____[সুরা রুম : ৫৪] আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত;___ "সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। (সাত শ্রেনীর এক শ্রেণী হল) এমন যুবক, যে তার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদাতে কাটিয়েছে।" _____[বুখারি:১৪২৩২; মুসলিম ২৩৭৭] • মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় তারুণ্য। তরুণ বয়সে একজন মানুষ শৌর্য-বীর্য, সমর-শক্তিতে থাকে পরিপূর্ণ। তারুণ্যে রক্তে থাকে অবিরাম উষ্ণতা। • নিত্যনতুন সৃষ্টির নেশায় মত্ত থাকে এই বয়স। যেকোনো দেশ ও জাতির অগ্রগতির হাতিয়ার এই তারুণ্য। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামও তারুণ্যের জয়গান গেয়েছে। তরুণদের বিশেষ মর্যাদায় আসীন করেছে। তারুণ্যের সময়টাকে পবিত্র কোরআনে ‘শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। • ▪️আমাদের তরুণদের বাস্তবতায় বলতে হয়, কী অসহায়ত্ব। দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ তরুণ নিষ্ক্রিয়। সমাজের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অংশ এবং দেশের বড় শক্তি তরুণদের কাজে না লাগানোর চেয়ে বড় অসহায়ত্ব আর কী হতে পারে!(?) • তারুণ্যের এই অধঃপতন রোধে মননশীল চিন্তা-চেতনা তৈরিতে সহায়ক এমনসব বই পড়ার প্রতি তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা। পরিবর্তন আনা তরুণদের মননে ও মগজে। এরই একটি স্বপ্নময় প্রচেষ্টার বাস্তব চিত্র "আয়ান প্রকাশন'এর 'জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ' বইটি । ?বই অভ্যন্তর: ------------------------ বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিকে লেখক ১৬ টি শিরোনামে সজ্জিত করেছেন। প্রতিটি শিরোনামই আশাজাগানিয়া। আগ্রহী পাঠকের সুবিধার্থে নিম্নে কয়েকটি শিরোনাম উল্লেখ করছি; ▪️বর্তমান যুগে তরুণদের দায়িত্ব ▪️ইসলামের সূচনালগ্নে তরুণদের অবদান ▪️সব চক্রান্তের লক্ষ্য এক ▪️ত্রিমুখী শক্তির ইন্দ্রজাল ▪️ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ে বিচরণ ▪️দাওয়াতের কার্যকর পন্থাসমুহ ইত্যাদি বিভিন্ন চমকপ্রদ শিরোনামে বইটি সজ্জিত। যা দায়িত্বজ্ঞানহীন এ তারুণ্যের মস্তিষ্কে বীজ বপন করবে দায়িত্ববোধ ও সতেজতার। বৃহৎ অবদান রাখবে আগামীর তারুণ্যের পরিবর্তনে। ?শর্ট পিডিএফ ও পাঠ্যানুভূতি: ----------------------------------------------- শর্ট পিডিএফে বইয়ের খুব সামন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগই সূচিপত্র ও লেখকের ভুমিকা। তবুও খানিকটা পড়ার ও অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। • বইটির শব্দচয়ন ও ভাষা ঝরঝরে। যেকোন পাঠকই সানন্দে পড়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদী। বইয়ের সমৃদ্ধ সূচিতে দৃষ্টি বুলিয়ে মনে হয়েছে এই বইটি সবার জন্য একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। স্পেশালি লাইফ নিয়ে ফাস্ট্রেশনে ভুগতে থাকা তরুণদের জন্য। ?একটি সংশয়: ------------------------ উন্মুক্ত পিডিএফের ১১ তম পৃষ্ঠার শেষ হাদিসের 'هرمك' শব্দের 'ه' বর্ণে যের দিয়ে লেখা হয়েছে। খুব সম্ভব শব্দের 'ه' বর্ণটিতে যবর হবে। (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত) ?প্রচ্ছদ কথন: ---------------------- বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির প্রচ্ছদ খুবই অর্থবহ মনে হয়েছে। রক্তিম নামলিপি, ওপাশে রক্তিম মৃত্তিকা ভেদ করে দৃষ্টিগোচর হয় কাঁটাতার বেষ্টিত মুষ্টিবদ্ধ হাত। এর ওপাশে আবার রক্তিম সূর্যাস্তের আভাস, যা স্বপ্ন দেখায় নতুন একটি রাঙা প্রভাতের। এককথায়_ প্রচ্ছদ যেন পুরো বইটির বিষয়বস্তুকেই ধারণ করে আছে। এসবকিছুই বইটির অগ্রীম সৌন্দর্য এবং মহত্ত্বের জানান দেয়। ?শেষ কথন: -------------------- প্রায় ৮০ পৃষ্ঠার এ বইটি কলেবরে ছোট হলেও এর আবেদন অতলস্পর্শি। তারুণ্যের দুর্গম পথগুলো সফলভাবে পাড়ি দেওয়ার একটি ছোট্ট গাইডবুক ও বলা চলে। • কৈশোর ও যৌবনের দুর্গম পথগুলো সফলভাবে পাড়ি দেওয়ার শুভকামনা নিয়েই 'আয়ান প্রকাশনী'র অসাধারণ এই 'জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ' বইটি। প্রকাশনী ও বই সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন। ?এক পলকে বই: ______________________ ?বই: জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ ?লেখক: মুফতি ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমি ?সম্পাদক: হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি ?ভাষা ও বানানরীতি: মোহাম্মদ আল-আমীন ?পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৮০ ?কাভার: হার্ড কাভার
Was this review helpful to you?
or
বুক_প্রিভিউ বইঃ জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ লেখকঃ মুফতি ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমী (কিবরিয়া) জনরাঃ ইসলামিক ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ০৯/১০ পেইজ সংখ্যাঃ ৮০ পৃষ্ঠা প্রকাশনীঃ আয়ান প্রকাশন বইটির মূলকথা: "জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ" বইটি মুসলিম তরুণদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া তারুণ্য, উদ্দীপনা, এবং জীবনীশক্তি জাগ্রত করার এক অনন্য আহ্বান। লেখক তরুণ প্রজন্মের সমাজ পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং ইসলামের আলোকে তাদের আত্মশুদ্ধি, দীক্ষা, এবং দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। বইটি তরুণদের জীবন গঠন, তাদের সঠিক পথ নির্দেশনা এবং দাওয়াত ও তাবলিগের গুরুত্বকে কেন্দ্র করে রচিত। এই বইটি একটি জাগ্রতকারী গ্রন্থ, যা প্রতিটি তরুণ মুসলিমের জীবনে একটি নতুন পথের সন্ধান এনে দিতে পারে। পাঠ্যানুভূতিঃ বইটি অনুপ্রেরণামূলক এবং চিন্তা-উদ্রেককারী। এতে কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামের ইতিহাস থেকে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে যা একজন তরুণ পাঠকের মানসিকতা পরিবর্তনে সহায়ক। লেখক যে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই ইসলামের পুনরুত্থান সম্ভব তা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থাপন করেছেন। দাওয়াতের কার্যকর পন্থা, মুসলিমদের ঐতিহাসিক ভূমিকা, এবং তরুণদের করণীয় বিষয়গুলো পাঠকের মনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। কিছু অসংগতিঃ বইটিতে তরুণদের সমস্যার বিস্তারিত আলোচনা থাকলেও সমাধানের জন্য আরও কার্যকর পরিকল্পনা বা দৃষ্টান্ত তুলে ধরলে ভালো হতো। ব্যক্তিগত মতামতঃ এই বইটি বর্তমান মুসলিম তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। এটি তরুণদের হারানো চেতনা, উদ্যম এবং দায়িত্ববোধ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। তবে বইটির বক্তব্য যদি আরও সুসংগঠিত এবং নিরপেক্ষ হতো, তাহলে এটি আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেত। তবুও, একজন মুসলিম তরুণকে তার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে এবং দীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে এই বইয়ের ভূমিকা অসামান্য। ✍️Syeda Tania Akther.
Was this review helpful to you?
or
বুক_প্রিভিউ মানুষ যে কয়েকটি অধ্যায় অতিক্রম করে জীবন পাড়ি দেয়, তার মাঝে সর্ব-উৎকৃষ্ট সময় হলো তারুণ্যের প্রাণচাঞ্চল সময়। মানুষ তার জীবনের সর্বসুখ খুঁজে পায় এই সময়েই। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়তম-প্রিয়তমা ইত্যাদি মায়ার বাঁধান তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে সারাক্ষণ। শক্তি, বুদ্ধিমত্তা টইটম্বুর থাকে দেহ-মনজুড়ে। মোদ্দাকথা আত্মিক, মানসিক, শারীরিক সকল প্রকার নেয়ামতে হাবুডুবু খাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তারুণ্য। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতিত অন্য কারও ছায়া থাকবে না। (সাত শ্রেণির এক শ্রেণি হলো) এমন যুবক, যে তার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছে।’ (বুখারি-১৪২৩২; মুসলিম -২৩৭৭) ____ ___ ___ ⭕বইয়ের লেখক নিয়ে কিছু অভিমতঃ মুফতি ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমি (কিবরিয়া) ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রখর মেধার অধিকারী। অতি অল্প সময়ে তিনি মহাগ্রন্ত পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করেন।ছোটকাল থেকেই তার লেখালেখির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, যার ফলস্বরূপ আজ এই ‘জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ! ’ বইটি।এছাড়াও তার আরও অন্যান্য প্রকাশিত বই রয়েছে। ____ ___ ___ ⭕বইটির শিরোনাম ও সূচিপত্রঃ বইটির শিরোনাম ও সূচি পড়লে স্পষ্ট বুঝা যায় বিষয়বস্তু সম্পর্কে। 'তরুণ’। তরুণ হলো নতুন সম্ভাবনা ও শক্তির প্রতীক, যারা পৃথিবীকে পরিবর্তন করার শক্তি রাখে।নিম্নে সূচির সংক্ষেপিত সিরিয়াল ? ★ বর্তমান যুগে তরুণদের দায়িত্ব....... ★ ইসলামের প্রাথমিক যুগে তরুণদের অবদান....... ★ কমিউনিস্টরা যেভাবে এই তরুণ সমাজকে শেষ করে দিতে চায় সেই সম্পর্কে আলোচনা....... ★ ইসরাইলকে শক্তিশালী করার জন্য পাশ্চাত্যের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা....... ★ ইতিহাসের মহামানবরা দাওয়াতের পথে কত কষ্ট, নির্যাতন, জুলুম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন কিন্তু তারা কখনো দুর্বল হননি বরং তারা সবসময় মুজাহাদার অবস্থায় ছিলেন....... ★সর্বশেষ রাসূল সা.-এর দাওয়াতী পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা....... __ ____ ___ ⭕ শর্ট পিডিএফ থেকে বইটির প্রিভিউঃ বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে তরুণদের জন্য একটি গভীর বার্তা রয়েছে যা তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে এবং আত্মশুদ্ধির পথ দেখাবে। লেখক এখানে তরুণদের মধ্যকার ঈমান, আল্লাহ তায়ালার প্রতি নির্ভরশীলতা, দাওয়াতের কার্যকর পন্থা, সমাজে তাদের দায়িত্ব এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। এই বইটি প্রতিটি পড়লে প্রতিটি তরুণ তার নিজের জীবনকে আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার জন্য আল্লাহর পথে চলার শক্তি পাবে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনযাপন, সমাজের প্রতি দায়িত্ব, এবং একজন সফল মুসলিম তরুণ হিসেবে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, এসবই হলো এই বইটির মূল আলোচ্য বিষয়। ⭕বইটি কেন সকলে পড়া উচিতঃ বইটি মুসলিম তরুণদের বর্তমানে তাদের দায়িত্ব, কমিউনিস্ট দের পরিকল্পনা, কীভাবে মহামানবরা দাওয়াত দিতেন (তাদের দাওয়াতি পদ্ধতি) ইত্যাদি শেখায়। এই বই তাদেরকে ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ। বইটি মুসলিম তরুণদের জীবনের উদ্দেশ্য ও ইসলামী আদর্শ অনুসরণের জন্য প্রেরণা যোগায়, তাই এটি সকলের পড়া উচিত। __ ____ ___ ⭕ভালোলাগার কারণঃ বইয়ের নামকরণ দেখেই হৃদয় স্পর্শ হয়ে যায়। মন তখন বলে উঠলো এইতো সেই বই যার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। আবার বইটির কাভার নামকরণের সাথে অনেক সুন্দর মানিয়েছে। মাশাআল্লাহ। বইটি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ⭕পছন্দের লাইনঃ ★ হযরত উকবা বিন আমের রা. থেকে বর্ণিত, ‘আল্লাহ তায়ালা ওই যুবকদের ভালোবাসেন, যাদের মাঝে ছেলেমানুষি নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ -১৭৩৭১) __ ___ ___ ⭕সর্বশেষঃলেখক,প্রকাশনী ও সম্পাদক সকলের প্রতি দোয়া রইলো। আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক এবং দ্বীনি কলমি শক্তিতে বরকত দান করুক।অসাধারণ একটি বই।মাশাআল্লাহ। জীবনে একবার হলেও প্রত্যেকের বইটি পড়া উচিত বলে মনে করছি। একনজরে বইটিঃ বই- জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ সার্বিক তত্ত্বাবধানে- মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি সম্পাদনা- মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি লেখক- ফয়জুল্লাহ আমীন কিবরিয়া ভাষা ও বানানরীতি- মোহাম্মদ আল-আমীন পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৮০ বাইন্ডিং- হার্ডকাভার ✍️নাফিস নাওয়াল
Was this review helpful to you?
or
?️বুক প্রিভিউ ?️ "তরুণ" শব্দটি অনেক ছোট হলেও এর শাব্দিক অর্থ মোটেও ছোট নয় কারণ, তরুণ তো তাকেই বলা হয় যার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য, সজীবতা, জীবনীশক্তি ও উদ্দীপনা। তরুণ বয়স মানুষ জীবনের সব থেকে গুরত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই বয়সটি জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার কারণ এই বয়স মাথা নোয়াবার নয়। " ? বই- জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ লেখক- ফয়জুল্লাহ আমীন কিবরিয়া রেটিং : ৮.৫/১০ ?বইয়ের বিষয়বস্তু : ? আমরা মুসলিম তরুনরা যে ঘুমিয়ে আছি সেটা কি আমরা বুঝতে পারি? আমরা কি আসলেই ঘুমিয়ে আছি? না হলে লেখক কেন বলল জেগে উঠতে? চিন্তার বিষয় তাইনা? বইয়ের নাম হতেই কিছুটা বুঝতে পাচ্ছেন বইটা কি বিষয়ে। হ্যা এই বইটা আপনাকে জাগিয়ে তুলবে। বইটার শুরুতে সার্বিক তত্বাবধানে ও সম্পাদনায় যেই উস্তাদগন ছিলেন তাদের দোয়া ও অভিমত আপনাকে মুগ্ধ করবে। ✅ বইটাতে অনেক অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। যেমন: আমাদের মুসলিম যুবকদের ইহুদিরা(ইসরায়েল) প্ল্যান করে ঘুমিয়ে দিয়েছে,দিচ্ছে। আমরা মুসলিম যুবকরা এইতো কয়েক দশক আগে পৃথিবীর শাসন করেছি। বিশ্বজয় করেছি। আমাদের সেই তারুণ্যর শক্তি কিভাবে হারিয়ে গেলে? ইসলামে তরুনদের অবদান কতটুকু তাকি আমরা জানি? এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ভরপুর। ইনশাআল্লাহ এই বইটা আমাদের জেগে তুলবে। সকলেই যদি বইটা পড়ি উপকার পাবো ইনশাআল্লাহ। হযরত উকবা বিন আমের রা. থেকে বর্ণিত, 'আল্লাহ তায়ালা ওই যুবকদের ভালোবাসেন, যাদের মাঝে ছেলেমানুষি নেই। (মুসনাদে আহমাদ-১৭৩৭১) ?বইয়ের সূচিপত্র: বর্তমান যুগে তরুণদের দায়িত্ব। ইসলামের সূচনালগ্নে তরুণদের অবদান দাঈর অত্যাবশ্যক গুণাবলি মুসলিম তরুণদের জন্য নীল নকশা সব চক্রান্তের লক্ষ্য এক ইসরাইল বিনাশ করো; মুসলিমবিশ্বে শান্তি আনো ত্রিমুখী শক্তির ইন্দ্রজাল ইসরাইলের ত্রাণকর্তা খুব সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিষয় ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ে বিচরণ দাওয়াতের কার্যকর পন্থাসমূহ রাসূল সা.-এর দাওয়াতী পদ্ধতি কাজা ও তাকদীরের ওপর ঈমান দাওয়াতী কাজে টালবাহানাকারীদের প্রতি নসিহত তোমাদের প্রতি আমার শেষ অসিয়ত দাওয়াত এবং দাঈর ফযিলত ➡️লেখক পরিচিত : অসামান্য মেধার ঈর্ষণীয় প্রতিভার অধিকারী তরুণ প্রতিবাদী আলেম। ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধার অধিকারী, যার স্বাক্ষর রাখেন দারুল উলুম দেওবন্দে (ভারত) মাস্টার্স (দাওরায়ে হাদিসে) পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৩য় স্থান অধিকার করে। অতি অল্প সময়ে তিনি মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় সর্বোচ্চ শিক্ষা দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) কমপ্লিট করেন। পরে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে ভারতের দেওবন্দ সফর করেন। সেখানে দীর্ঘ তিন বছর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জ্ঞানার্জন করেন। দেশে ফিরে ইসলামের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বর্তমানে জামিয়াতুল মুহাজিরিন আল-ইসলামিয়া ঢাকায় নায়েবে মুহতামিম পদে নিয়োজিত আছেন। ছোটকাল থেকেই লেখকের লেখালিখির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, যার ফলস্বরূপ আজ এই 'জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ!' বইটি লেখা সম্ভব হয়েছে। লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বইয়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো 'প্রতিবাদী কণ্ঠ', 'কাশ্মীর আজও জান্নাত', 'নখ চুল দাড়ির মাসায়েল', 'কুরআন হাদিসের আলোকে খতমে নবুওয়াত', 'দাম্পত্যজীবনে কলহ কেন?' এ ছাড়াও লেখকের আরও কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায়। যেমন: 'আল্লাহর প্রেমে তৃষ্ণার্ত হৃদয়', 'জেলখানার চিরকুট', 'এসো দ্রুত এবারত পড়া শিখি', 'দৈনন্দিন জীবনে কুরআনের নির্দেশিকা' ইত্যাদি। আমরা তাঁর সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। মুফতি ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমি (কিবরিয়া) জন্ম: ০৮-০৮-১৯৯২ খ্রি. পিতা: শেখ আব্দুল খালেক রহ. পেশা: শিক্ষকতা বই- জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ সার্বিক তত্ত্বাবধানে- মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি সম্পাদনা- মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি লেখক- ফয়জুল্লাহ আমীন কিবরিয়া ভাষা ও বানানরীতি- মোহাম্মদ আল-আমীন পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৮০ বাইন্ডিং- হার্ডকাভার প্রিভিউ লেখক: সাহাবুদ্দিন সিকদার
Was this review helpful to you?
or
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় তারুণ্য।তারুণ্য হল জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায়। এই সময়ই একজন মানুষ তার সর্বোচ্চ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবন গড়তে এবং সমাজে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ের তরুণরা হতাশা, বিভ্রান্তি, এবং ভোগবাদী চিন্তায় নিমজ্জিত। "জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ" বইটি সেই তরুণদের জন্য, যারা নিজেদের হারানো পথ খুঁজে পেতে চান এবং জীবনকে দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চান। ? বইয়ের বিষয়বস্তুঃ বইটি তারুণ্যের শক্তি, গৌরবময় অতীত, এবং ইসলামি দৃষ্টিকোণে জীবনের গুরুত্বকে তুলে ধরে। অতীতের সেই মহান মুসলিম তরুণদের কথা বলা হয়েছে, যারা ইসলামের দাওয়াত নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে বেড়িয়েছেন। বর্তমান সমাজের তরুণদের যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হয়—হতাশা, অনৈতিক জীবনযাপন, এবং দ্বীন থেকে দূরে সরে যাওয়া—সেগুলোর সমাধান এই বইয়ের পাতায় তুলে ধরা হয়েছে। লেখক খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন কিভাবে একজন মুসলিম তরুণ তারুণ্যের সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত উন্নয়ন, সমাজ সংস্কার এবং ইসলামের পথে ফিরে আসতে পারে। ? বইটি কার জন্য উপযুক্তঃ যারা তারুণ্যের সময়কে দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চান। যারা হতাশা থেকে মুক্তি পেতে চান এবং নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করতে চান। যারা ইসলামি চিন্তাধারায় নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে আগ্রহী। ? বইটি কেন পড়বেনঃ "জেগে উঠো হে মুসলিম তরুণ" শুধুমাত্র একটি বই নয়, এটি একটি অনুপ্রেরণার হাতিয়ার। বইটি তরুণদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে এবং তাদেরকে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে। লেখকের সহজ ও হৃদয়গ্রাহী ভাষা প্রত্যেক পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। এই মহৎ বইটি প্রকাশ করার জন্য আয়ান প্রকাশনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইসলামি জ্ঞান ও অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবদান অনন্য। আল্লাহ তাআলা তাদের এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং আরও এগিয়ে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। (আমিন) ?
Was this review helpful to you?
or
বই:জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ! পৃষ্ঠা:৮০ লেখক: ফয়জুল্লাহ আমিন কাসেমী সম্পাদনা: হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী বইপ্রেমীদের জন্য দারুন এক সুখবর আয়ান প্রকাশনী নিয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বই তরুণদের জন্য। মানুষ যে কয়েকটি অধ্যায় অতিক্রম করে জীবন পাড়ি দেয় তার মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট সময় হলো প্রাণচঞ্চল।এই সময় মানুষ তার সর্ব সুখ খুঁজে পায়। এ সময় বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন প্রিয়তম প্রিয়তমা ইত্যাদি মায়ার বাঁধনে তাকে আষ্টেপুষ্টে জড়িয়ে রাখে, সারাক্ষণ শক্তি বুদ্ধিমত্তা থাকে দেহ মন জুড়ে মোদ্দা কথা আত্মিক মানসিক শারীরিক সকল প্রকার নেয়ামতে হাবুডুবু খাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তরুণ্য। মুসলিম তরুণদের জন্য নীল নকশা! ইহুদি প্রোটোকরে (ইহুদি সম্প্রদায়ের বিজ্ঞ প্রধানদের সভায় গৃহীত প্রস্তাব সমূহ) এসেছে তা হলো:- আমাদের উচিত সর্বক্ষেত্রে মানুষের চারিত্রিক অধিপতন সামনে কাজ করা। নিঃসন্দেহে মানুষের আত্মিক কামনা বাসনাকে সূর্যের রশির মতো মানুষের সামনে পেশ করতে হবে। যাতে তরুণদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণও পবিত্রতা বাকি না থাকে। তাদের চিন্তা চেতনা শুধু আত্মিক চাহিদাই পূরণে সীমাবদ্ধ থাকে, এতে করে তরুণ প্রজন্ম নৈতিক অধঃপতনের শিকার হবে। জেগে ওঠো হে মুসলিম তরুণ বইটি তাদের জন্য যারা নিজেদের পথ হারিয়ে বসে আছে যারা জীবনকে দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে সফল ও নিজেকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চান। বইটি সবার জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত বইটি পড়লে আপনাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে বইটি মাশাল্লাহ খুব সুন্দর একবার পড়তেই হবে বইটি প্রকাশ করার জন্য আয়ান প্রকাশনীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আল্লাহ তাদের কাজে এভাবেই বারাকা দান করুন। এগিয়ে যান দোয়া রইল