User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এত কম গল্প,আর খুব ছোট ছোট, খুবই বাজে ,এইসব জিনিস মানুষ বইয়ে লেখে
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বই: আমার না বলা কথা লেখক: ফারুক আহমেদ প্রচ্ছদশিল্পী: আইয়ুব আল আমিন প্রকাশনী: কিংবদন্তী পাবলিকেশন প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা ২০২৫ ▫️বইয়ের উৎসর্গ: ভালোবাসার মানুষ ডা. সরকার আহমেদ শামীম-কে ▫️লেখক পরিচিতি: ফারুক আহমেদ। জন্ম:মানিকগঞ্জ জেলার হাজীনগর গ্রামে। পরবর্তীতে বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পিতা আফসার উদ্দিন মোল্লা এবং মাতা রাজিয়া খানমের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। ভূগোলে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকেই তিনি মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তাঁর অভিনীত মঞ্চ নাটকের মধ্যে- সংবাদ কার্টুন, কীর্তনখোলা, কেরামত মঙ্গল, হাতহদাই, বনপাংশুল, চাকা, যৈবতী কন্যার মন, প্রাচ্য ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য। তিনি প্রায় বিশ বছর হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন। ফারুক আহমেদ অভিনীত হুমায়ূন আহমেদের নাটকসমূহের মধ্যে- বৃক্ষমানব, পক্ষীরাজ, অচিনবৃক্ষ, তারা তিনজন, তুরুপের তাস, অদেখা ভূবন, উড়ে যায় বকপক্ষী, আজ রবিবার উল্লেখযোগ্য। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লিলুয়া বাতাস উপন্যাসটি ফারুক আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন। ▫️সূচীপত্র : বইটিতে মোট ১৬ টি গল্প রয়েছে। বাবা ছাগল সমাচার শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রের শুটিং দুর্ঘটনা ছোটোবেলার ঘটনা অভ্যাস নুহাশপল্লীর ভূত হাজার বছরের জোছনা যৌতুক হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কুতুবপুর যাত্রা আমার ভাতিজা কাজান খান বিজয়ের স্মৃতি ফরীদি ভাইকে প্রথম দেখা ক্ষুদে ভক্তের কথা শেষ সাক্ষাৎকার আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা একক প্রেম, দ্বৈত প্রেম ▫️কয়েকটি গল্পের সারসংক্ষেপ : (স্পয়লার এলার্ট) ▫️১. বাবা এই গল্পে লেখক তার বাবার সাথে কাটানো মিষ্টি মধুর কিছু স্মৃতির কথা বলেছেন। ▫️২. অভ্যাস আমরা যা ঢাকা শহরে বসবাস করি তারা ঢাকা শহরের যানজট সাথে খুব ভালো সম্পর্ক। যানজট ছাড়া তো ঢাকা শহর কল্পনাও করা যায় না। লেখকও ঠিক তেমনি তার একদিনের কথা বলেছেন যেখানে রোজার ইদের দ্বিতীয় দিন তার জরুরি কাজে বের হয়ে দেখেন রাস্তা ফাঁকা তাতেই তার বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠে। ▫️৩. নুহাশপল্লীর ভূত হুমায়ূন আহমেদ ভৌতিক অলৌকিক অতিলৌকিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসতেন। তিনি নিজে ভূতে বিশ্বাস না করলেও নুহাশপল্লীতে যখন নতুন কেউ আসতেন তখন সে ভূতে বিশ্বাস করুন আর না করুন ভূতের গল্প শুনিয়ে তাকে ভয় পাওয়াতেন। ▫️৪. হাজার বছরের জোছনা লেখক এর বয়স তখন সাত-আট বাবা মায়ের সাথে বেড়াতে গিয়ে একটা ভরা পূর্ণিমার রাতে নৌকা ভ্রমনে গিয়ে সেই ছোট বয়সে জোছনার রূপ আর স্নিগ্ধতা দেখে মুগ্ধ হয়ে ছিলেন। বিলের পানিতে শত শত লাল শাপলা ফুল আর আকাশ ভরা লক্ষ লক্ষ তারা জোছনার আলোতে খই এর মতো ফুটে আছে। লেখক সে রাতের সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। ▫️৫. বিজয়ের স্মৃতি ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী যখন আত্মসমর্পণ করে তখন লেখক গ্রামে। ঢাকায় চলছে বিজয়োল্লাস। রেডিয়োতে বার বার আত্মসমর্পণের খবর প্রচার হচ্ছে। তারপরও গ্রামের মানুষ চুপচাপ। কেউ কোনো আনন্দ করার সাহস পাচ্ছে না। বিকাল বেলা লেখকের সামনের গ্রামে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিচ্ছে। লেখক আর তার ভাতিজা বুলবুল বাড়ির সামনের সরিষা ক্ষেতের আইল ধরে দৌঁড়ে সেই নেতার বাড়িতে গেলেন লেখক। লেখক দেখেন শ'খানেক মুক্তিযোদ্ধা। সকলের হাতে রাইফেল। তারা আকাশের দিকে রাইফেল তাক করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস করছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা বাঁশের মাথায় বাংলাদেশের বিশাল পতাকা বেঁধে বাড়ির উঠানে টাঙিয়ে দিল। বাতাসে পতপত করে উড়তে লাগল পতাকা। দেশ এখন স্বাধীন। সারা দেশ মেতে উঠলো উল্লাসে। ▫️ভালো লাগার বিষয় : লেখকের গল্প বলার ধরন খুব সাবলীল। পাঠক কে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন। আকৃষ্ট করতে পেরেছেন তাঁর গল্প দিয়ে। এক বসাতে শেষ করার মতো একটি বই। এই বই পড়ে নিঃসন্দেহে পাঠক আশাহত হবেন না। ▫️মন্দ লাগার বিষয়: খুব দ্রুত বইটি পড়া শেষ হয়ে গেলো। আরও কিছু সময় যদি পড়তে পারতাম! যদি আরও কিছু সময় সে গল্পের ঘোরে থাকতে পারতাম! ▫️ব্যক্তিগত অভিমত : লেখক এতো সুন্দর সাবলীলভাবে প্রতিটি গল্প উপস্থাপন করেছেন তাতে যে কেউ'ই গল্পের সাথে মিশে যেতে বাধ্য। বইটি পড়ে মনে হলো লেখক তার লেখনী দিয়ে পাঠক'কে আকৃষ্ট করতে পারেন। খুব খুব ভালো লেগেছেন বইটি। চাইলে আপনিও পড়তে পারেন " আমার না বলা কথা"। ▫️ব্যক্তিগত রেটিং - ৪/৫ ▫️রিভিউদাতা- লিমা সুলতানা
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ বই: আমার না বলা কথা লেখক: ফারুক আহমেদ প্রচ্ছদশিল্পী: আইয়ুব আল আমিন প্রকাশনী: কিংবদন্তী পাবলিকেশন প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা ২০২৫ ▪️উৎসর্গ: লেখক তাঁর বইটি ভালোবাসার মানুষ ডা. সরকার আহমেদ শামীম-কে উৎসর্গ করেছেন। ▪️লেখক পরিচিতি: ফারুক আহমেদ। জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার হাজীনগর গ্রামে, পরে বেড়ে ওঠা ঢাকায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন এবং পরবর্তীতে দুই দশকের বেশি সময় হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত নাটকের তালিকায় রয়েছে বৃক্ষমানব, পক্ষীরাজ, অচিনবৃক্ষ, তারা তিনজন, উড়ে যায় বকপক্ষী, আজ রবিবার প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর "লিলুয়া বাতাস" উপন্যাসটি ফারুক আহমেদকে উৎসর্গ করেছিলেন, যা লেখকের জীবনের এক বিশেষ প্রাপ্তি। ▪️সূচিপত্র: বইটিতে মোট ১৬টি গল্প রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বাবা ছাগল সমাচার নুহাশপল্লীর ভূত হাজার বছরের জোছনা হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কুতুবপুর যাত্রা বিজয়ের স্মৃতি শেষ সাক্ষাৎকার একক প্রেম, দ্বৈত প্রেম দুইটি গল্পের সংক্ষিপ্ত আলোচনা: ▪️ বাবা – লেখকের শৈশব ও বাবার সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো নিয়ে একটি আবেগময় গল্প।লেখকের বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি কখনো শব্দ করে হাসতেন না। সব সময় এক রহস্যময় হাসি হাসতেন। তাই স্কুলের ছাত্ররা 'মোনালিসা' স্যার বলে ডাকতো। মুক্তিযোদ্ধাদের দেখাদেখি ক্লাসের সবাই লম্বা চুল রাখা শুরু করলো। লেখকও তাই করলেন। লেখকের বাবা দেখে তিন টাকা দিয়ে বললেন চুল কেটে আসার জন্য, না হলে ক্লাসে নাপিত ডেকে সবার সামনে চুল কেটে দিবো বললেন। এরকম কিছু ঘটনার বিবৃতি দিয়েছেন লেখক এই গল্পে। ▪️ছাগল সমাচার – লেখকের বয়স যখন নয় কি দশ, তখন একবার লেখক স্কুল ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্কুল শিক্ষক বাবার এগারো টাকা আর লেখকের জমানো পাঁচ টাকা দিয়ে ছোট একটা ছাগল ছানা কিনে গ্রামে রেখে গেলেন। এক ভরা বর্ষায় লেখক আবার গ্রামের বাড়িতে রওয়ানা দিলেন। লেখকের খুব ইচ্ছে হলো ওনার কেনা ছাগল বাচ্চাটি দেখার। পরে জানতে পারলেন ছাগল ছানাটি লেখক ঢাকা ফেরার কিছুদিন পর মা*রা গেছে। লেখকের চোখে পানি ছলছল করছিলো। তাকিয়ে দেখলেন লেখকের বাবার চোখও ভেজা। ▪️নুহাশপল্লীর ভূত – হুমায়ূন আহমেদের ভয় পেতে ভালো না লাগলেও, নতুন অতিথিদের ভূতের গল্প শোনানো ছিল তাঁর অভ্যাস। একটা মেয়ে এলো নুহাশপল্লীতে অভিনয় করতে। সে বলল, ভূতে বিশ্বাস করে না। হুমায়ূন আহমেদ মেয়েটির সাথে ভূত বিষয়ে বিভিন্ন আলাপ করলেন, যাতে মেয়েটির মনের ভিতর ভূতের ভয় ঢুকে। মেয়েটিকে একদিন পুকুর পাড়ে নিয়ে গেলেন ভূত দেখাতে। আগে থেকে বলে রাখা একজন গাছে উঠে গাছের ডাল ঝাঁকাতে লাগলো। ভয়ে নেয়েটি চুপসে গেলো। শুধু মজা করার জন্য হুমায়ূন আহমেদ এটা করতেন। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন এই গল্পে। পাঠকের অনুভূতি: ▪️যা ভালো লেগেছে: ✔ লেখকের গল্প বলার ধরন অনবদ্য। ✔ প্রতিটি গল্প সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা, যা পাঠককে গল্পের গভীরে টেনে নেয়। ▪️ যা খারাপ লেগেছে: ✔ প্রত্যেকটি গল্প কেমন একঘেয়েমি মনে হয়েছে। ▪️ব্যক্তিগত মতামত: "আমার না বলা কথা" বইটি শুধুমাত্র গল্প নয়, বরং লেখকের জীবনের স্মৃতিচারণ, অভিজ্ঞতা আর আবেগের সমষ্টি। ফারুক আহমেদ যেভাবে তাঁর গল্পগুলো বলেছেন, তাতে পাঠক নিজেকে গল্পের অংশ মনে করবেন। যারা হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর সৃষ্ট জগৎকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য। রেটিং: ⭐⭐⭐⭐ (৪/৫) রিভিউদাতা: এম. এ. রানা