User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই:বিয়ে থা লেখিকা :ফাতেমা তুজ নৌশি। প্রকাশকাল:২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। কাহিনীটা অনেক ভালো লেগেছে। বেশি অবাস্তব জিনিস নেই না আছে কোনো ন্যাকামি।একটু আকটু রোমান্টিক আছে?।প্রথমে তো অপূর্বা কে নায়িকা ভাবছি?♀️।পরে দেখি কাহিনী তো উল্টো। আদিল -সোহা ভালোবাসা প্রকাশ না করে প্রমিক পুরুষের মনের ঝড় ওঠা।না ভালোবাসর বেশি অনূভূতির কথা না ভেবেও সোহা নামক মেয়েটি তার প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেলো। ওদের কাহিনী দিয়েই জেনো আমাদের সুপারস্টার (তানজিদ)আর তার দুষ্ট মিষ্টি(সামিহা) ভালোবাসার মানুষের আগমন।না বলেও একজনের প্রতি আরেকজনের ভালোবাসা অপ্রকাশিত।ধোঁয়াশার মতো তাদের ভালোবাসা আদান প্রদান।একজনের অবহেলা আরেকজনের চোখের ঘৃণা দিয়ে শুরু হয় প্রণয়। হুট করে তাদের কথা বলা যেনো বেড়ে যায়।কোথাও কোথাও হুটহাট ঘুরতে যাওয়া আবার কাছে চলে আসার পর ভুলবুঝা বুঝি হয়ে দূরে যাওয়া। তরিকুল -হাসনা তাদের কাহিনিতে যেনো সোশ্যাল মিডিয়ার এক বাস্তব চিএ ফুটে উঠেছে।কিছু সহজ সরল মানুষ হুট করে আভ্যিজাতের ছোয়া পেয়ে বদলে যায় তেমনি সংসারের প্রতি আসে অবহেলা।শেষ হয়ে যায় মধুর পারিবারিক সম্পর্ক। তণু-শিপন এক কিশোরী মেয়ে ভালোবেসে ফেলে তার বান্ধুবির ঘ্যারত্যাড়া ভাই কে। কয়েকদিন কথা বলে যেনো আরো বেশি দূর্বল হয়ে যায় তারা।কিন্তু শিপন হুট করে যে বলে ফেলে তার ভালোবাসার মানুষ আছে তা যেনো অবিশ্বাস্য কিশোরীর কাছে।শত চেষ্টার পরও শিপন আর নিজেকে আটকাতে পারে নি নিজের মন কে। আব্রাহাম -শ্রাবণী নায়িকা হয়েও নেই কোনো অহমিকা। ভালো লেগেছে তার চরিত্র টা।মাফিয়া আব্রহাম নিজের মন দিয়ে বসে এই নায়িকাকে।যার জীবন ছিলো বর্ণহীন হুট করে যেনো রঙিন করতে চায় তার জীবনকে।প্রেয়সীর সাথে কথা বলা দেখার করার নানা তালবাহানা খুঁজে। যাকে সবাই ভয় পায় সেখানে সে ভালোবাসার মানুষটার কাছে নারভাস হয়ে যায়।বিয়ে করতে চাওয়ায় যেনো তাদের সবকিছু মিলিয়ে যায়। কি থেকে কী হয়ে গেলো কেউ বুঝলো না। আব্রাহাম -তানজিদ দুজনের বন্ধুত্ব যেনো সবাইকে হার মানাবে।একজন সুপারস্টার আরেকজন মাফিয়া।তাও যেনো নিজেদের কথা না বলে বুঝে যায় তারা।কিন্তু একটা ভুলবুঝা বুঝিতে বন্ধু হয়ে শএু।কেউ কাউকে যেনো সহ্য করতে পারে না।কিন্তু লাস্টে অনেক ভালো লেগেছে। তানভির-আদনান পরিচালক হয়ে ভালো মানুষের আড়ালে এক খারাপ মুখোশ।তার চরিত্র টা এমন ছিলো মুখে মধু অন্তরে বিষ।তার কারনে বন্ধুত্বের মধ্যে বিষ জন্মায়। অবনতি -রৌদ্র-ঈশীতা-ইয়ামিন-ফরাবি ওদের চরিত্র টা অনেক ভালো লেগেছে। দুষ্ট মিষ্টি খুনসুটি। একে অপরকে সাহায্য করা।দুষ্টুমি করা। তানজিদ -সামিহা এবার নায়ক -নায়িকা।তাদের বিয়েটা এই নৌশিন আপু একটু ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে?।বিয়ে হলো কি না। আবার কেমনে হইলো।কিন্তু বেশে ভালো লেগেছে সামিহা ন্যাকামি করে নি। বাস্তব ভাবেই তাদের ভালোবাসার দেখানো হয়েছে। এওয়ার্ড নিতে গিয়ে তার সহধর্মিণী ও তার অনাগত সন্তানের কথা জানানো। ৫বছর পর তাদের জমজ বেবি দেখে আর খুশি লেগেছে। তাদের একসাথে কথা বলা।মামু ভাইগ্নার মেয়ে পটানো টা আরো বেশি হাসি পেয়েছে ??। অবশেষে তাদের আরেকটি বার বিয়ে থা হলো। বইয়ের কিছু পছন্দের লাইন: "পৃথিবীর সবথেকে বড়ো অ্যাওয়ার্ড জেতার থেকেও, প্রিয়তমার হৃদয় জেতা বেশি সুখের।" "দুঃখকে বুকে চেপে রাখতে নেই। মনটা পুরো খুলে রাখলে, দুঃখরা কেমন করে যেন পালিয়ে যায়। আর তখন সব কিছু সুন্দর লাগে।" মেয়ে, তুমি ছাড়তে চাইলেও, আমি ছাড়ব না তোমায়। তোমার অবস্থান সর্বদা আমারে বুকের মাঝে। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।