User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Very good story. Thanks to Rokomary.
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
"দ্বিচারিণী" শব্দের অর্থ, যে নারী এক মনে দুই পুরুষকে জায়গা দেয়। বইয়ের নাম দেখে এবং নামের অর্থেই বুঝতে পারা যায়, নিশ্চয় এই বইয়ের কাহিনী কেমন হতে পারে..! গল্পের এক হতদরিদ্র যুবকের নাম কুসুমকুমার। মাধ্যমিকে অঙ্কে ষাট পেয়েছে। বইয়ের অঙ্কের মতো জীবনের অঙ্কও ভালো বুঝে এই যুবক। তার মতে জীবনে সফলতার চাবিকাঠি অঙ্ক। অজপাড়া গাঁ থেকে কলকাতায় এসে বনেদিবাবু মধুসূদনের বাড়ি আশ্রয় পায় এই অঙ্কের জোরে। আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার পর এবার ছুটে জীবিকার সন্ধানে। শুরু করে কুলিগিরি। সে জীবনে সূর্যাস্ত ঘটে তিলজলায় আর সূর্যাস্ত শিবপুরে। এইভাবে দিন কাটে এই যুবকের। আছে এই গল্পে গ্রামের গরীব পুরোহিতের মেয়ে মধুরিমার কথা। দেখতে সুন্দরী। মাধ্যমিক পাশ। ক্যারাটে ক্লাসে দেখে মুগ্ধ হয়ে এম,এ, পাস সুজিত পচ্ছন্দ করে ফেলে মধুরিমাকে। শুধু পচ্ছন্দই না বিয়ের কথাবার্তা পর্যন্ত ঠিকঠাক। কিন্তু সুজিতকে নিয়ে কোন কল্পনা আসে না মধুরিমার। বুকে কাপঁন জাগে না। কোন অনুভূতি নেই সুজিতের জন্য। মধুরিমা বুঝে না কেন এমন হয় তার..! এমন সময় দেখা হয় কুসুমকুমারের সাথে। শুরু হয় তিনজনের টানাপোড়ন সম্পর্ক। এই টানাপোড়নের মাঝে একসময় দেখা যায় মধুসূদনের স্ত্রী নন্দরানীকেও। টাকা, পয়সা, গয়নাগাটি থাকা স্বত্তেও দুখী সেই মেয়েটির কিছু কথাও আছে এই গল্পে। কি হয় তবে শেষ পর্যন্ত..? মধুরিমা কাকে বেছে নিবে? এম,এ পাশ সুজিতকে নাকি কুসুমকুমারকে..? জীবনের বড় অদ্ভূত এক টানাপোড়নের গল্প নিয়ে "দ্বিচারিণী"....!
Was this review helpful to you?
or
# রকমারী_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা রিভিউ -৫ শীর্ষেন্দু নামটা পাঠকের সামনে আসলেই ভারী ভারী উপন্যাসের প্রতিচ্ছবি সকলের মনে প্রথমে ভেসে উঠে। তাঁর লিখা ' মানবজমিন', ' পারাপার', ' দূরবীন ' প্রভৃতি উপন্যাসগুলোর আলোচনা পাঠকের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায় সর্বদা। কিন্তু তাঁর লিখা ছোট ছোট উপন্যাসগুলো যে বড় বড় উপন্যাসগুলোর সাথেও টেক্কা দেওয়ার সমতুল্য বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বড় উপন্যাসগুলোর চেয়ে অনেক ঐন্দ্রজালিক তা নিয়ে আলোচনা কম হয়। তাঁর বিখ্যাত বড় বড় উপন্যাসগুলো মোটামুটি গলাধঃকরণ করার পড় এখন মনের নৌকা এনে ভিড়িয়েছি তাঁর লিখা ছোট উপন্যাসগুলোর দিকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পড়ে শেষ করলাম ' দ্বিচারিণী ' উপন্যাসটি। 'দ্বিচারিণী ' মানে হল ' যে নারীর দুই পুরুষের দিকে মন'। মোদ্দাকথায় সমাজের ভাষায় ব্যভিচারী। কিন্তু আধুনিক উন্নত সমাজে এসে বোধহয় এ নিয়ে আলোচনার বিস্তর দরকার রয়েছে। যতই নারী বা পুরুষ নিজেকে দ্বিচারি না বলুক সমাজের চাপে। আসলে মনে মনে সকলেই দ্বিচারি। আর এটাই বাস্তব সত্য। 'দ্বিচারিণী ' উপন্যাসে রয়েছে এক দুখী যুবক নাম কুসুমকুমার। যার একমাত্র সফলতা মাধ্যমিকে গণিতে ৬০ নম্বর। ভাগ্যের ফেরে শান্তিপুরের ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে, কলকাতার বনেদিবাবু মধুসূদন দত্তের বাড়িতে তার ছেলেকে পড়ানোর বিনিময়ে কুসুমকুমারের আশ্রয় জুটে। অন্যদিকে মধুরিমা, মধুসূদন দত্তের বাসায় নিত্য পূজা করা দরিদ্র পুরোহিতের সুন্দরি মেয়ে। পাড়ার ক্যারাটে ক্লাবে মধুরিমাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে ভাবী বউ হিসেবে নির্বাচন করে এম. টেক পাশ যুবক সুজিত। বিয়ের পর মধুরিমাকে সুজিতের কানাডায় নিয়ে যাওয়ার কথা। এদিকে সুজিতের মত ছেলে হাতে পেয়েও মধুরিমার বুকে কোন ঝড় উঠে না। বরং এক প্রেমহীনতার যন্ত্রনা তাকে অবশ করে রাখে সবসময়। এমনই এক মূর্হুতে তার সাথে দেখা হয় কুসুমকুমারের। এদের তিনজনের মানসিক নানা টানাপোড়েনের মাঝে ঢুকে পরে মধুসূদনের আপাতসুখী স্ত্রী কিন্তু গভীর বঞ্চনার শিকার নন্দরাণী আর একটি ১৫ ভরির সীতাহার। শেষ পর্যন্ত মধুরিমা কাকে গ্রহণ করবে? সুজিত নাকি কুসুমকুমারকে? নাকি উপন্যাসের শেষে লুকিয়ে রয়েছে সমাজের এক বাস্তব নির্মম সত্য। এতসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়ে ফেলুন টানটান উত্তেজনায় ভরা ৯২ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি। লেখক দুই এক জায়গায় চরিত্রের গঠনে অজ্ঞতার পরিচয় দিলেও কাহিনীর দুর্বার গতির কারণে উপন্যাসটি ভালোই উতরে গেছে। # বইয়ের_নাম : দ্বিচারিণী লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশকাল : ২০০০
Was this review helpful to you?
or
কুসুমকুমারের ডাক নাম টুলু। কলকাতার প্রত্যেকটা অলিগলি তার চেনা। নিজেকে গলিবাজ ভাবতে তার মন্দ লাগেনা। ছোটবেলা থেকেই অঙ্কে ভাল বলে ডাকনাম আছে। সেই অঙ্কের জোড়েই ৮০০ টাকা মাইনের একটা চাকরিও করে। মধুসূদন বাবুর ছেলেকে অঙ্ক পড়িয়ে তার বাড়িতে থাকার জায়গাও করে নিয়েছে। টুলুদেরও বাড়ি ছিল নদিয়ায়। সেই বাড়ির আশা এখন ছেড়ে দেয়াই ভালো। কিভাবে কি হলো সেটা নাহয় বইটি পড়েই জানবেন। আপাতত ধরে নিন ও ভাসমান একটা ছেলে। মধুরিমার বয়স সতেরো আঠারো। সবে মাধ্যমিক দিয়েছে। কলকাতা শহরেই থাকে। তাদের পাড়ায় নবকুমারি বলে একটা মেয়ে কিছুদিন আগে রেপ হল। এজন্যে পাড়ায় মিটিং টিটিং হচ্ছে। পাড়ার অতনুদা মেয়েদের আত্নরক্ষার জন্য কারাটে ক্লাসের ব্যবস্থা করলেন। মধুরিমা ও তার বান্ধবি গঙ্গা মিলে কারাটে ক্লাস করতে লাগল। দুদিন বাদেই ও বুঝতে পারল এসবে আসলে কোনও লাভ নেই। তাই কারাটে ক্লাস বাদ দিল। দুদিনের মাথায় তার নামে চিঠি এল, কারাটে ক্লাসে কেনো আসছেন না? আমি যে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। দেড় লাইনের চিঠি। নিচে নাম সই করা আছে সুজিত। ঘটনাক্রমে এই সুজিতের সঙ্গে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। ছেলে কানাডায় যাচ্ছে। মেয়েকেও বিয়ের পর নিয়ে যাবে। এরকম পাত্র পেয়ে ওর মা বাবাও খুশি। কিন্তু মধুরিমার মধ্যে সুজিতের বেপারে কোনও অনুভূতি নেই। অনেকটা এরকম যে, বিয়ে হচ্ছে বলেই হচ্ছে। অতনু দা ওদের মেডিটেশন শেখাচ্ছিল। ও একাগ্রচিত্তে মেডিটেশন করে সুজিতের প্রতি ভালবাসা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। হয়নি। সুজিতের প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে গিয়ে কিভাবে টুলুর প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়ে গেল সেটা মধুরিমা নিজেও জানেনা এখানে কথা হল টুলুর সাথে মধুরিমার পরিচয় কেমনে হলো? একই শহরে থাকে, পরিচয় হয়ে যেতে কতক্ষন? টুলু যে বাড়িতে লজিং থাকে সে বাড়িতে মধুরিমার বাবা পূজো করে। বিশ্বকর্মাপূজোর দিন ঠাকুরমশাই না আসাতে টুলু মধুরিমাদের বাড়ি যায়। বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়া মেয়ের সাথে কি টুলুর পরিণয় হবে? যদি হয়ও তাহলে ওদের পরিণয়ের পরিণাম কি? ব্যক্তিগত মতামতঃ উত্তমপুরুষে লেখা উপন্যাস। টুলু এবং মধুরিমার জবানিতে আলাদা আলাদা চ্যাপ্টার করে লেখা। শীর্ষেন্দুর অনেকগুলা বই এতদিন জমে ছিল আমার কাছে। ভেবেছিলাম উনি হয়তো ভালই লিখেন। এই বইটা পড়ে বুঝলাম আমার জমানো বৃথা যায়নি। এই বইটাই শীর্ষেন্দুর পড়া আমার প্রথম বই। সে হিসেবে শুরুটা ভালই ছিল। আপনাদেরও খারাপ লাগবেনা আশা করি।