User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
"গয়নার বাক্স" আমার পড়া শীর্ষেন্দুর প্রথম বই। রহস্যের উপন্যাস শুনেছিলাম কিন্তু রহস্য খুঁজি নি, সেজন্যেই বোধ হয় উপভোগ করেছি। অনেকের কাছে খাপছাড়া মনে হলেও আমি কিছু সূক্ষ্ম বার্তা পেয়েছি, জানিনা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কি সেটিই বোঝাতে চেয়েছিলেন কিনা। বিধবা নারীর শেষ সম্বল দশ ভরি গয়না বাড়ির লক্ষ্মীমন্ত বউয়ের কাছে সুরক্ষিত রেখে মহাকালে যাত্রা করেন পিসিমা। বউ গয়না ঠিক মত সামলে রেখেছে কিনা তা লক্ষ রাখার জন্য যেনো ইহজীবন পুরোপুরি ছাড়তেও পারেন নি তিনি, এতই প্রিয় সে গয়না। সেই বউয়ের কোলে যখন ঘর আলো করা কন্যা সন্তানের আগমন হয় তখন মনে হয় যেন পিসিমারই পুনর্জন্ম হয়েছে। অনেকেই এখানে প্রথম প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের রুপবদলটি তুলে ধরেন। সেটি ভুলে গিয়ে আমি যদি চিন্তা করি দুটি প্রজন্ম কিংবা দুটি জীবন, রসময়ীর জীবন আর বসনের জীবন। একই বাড়িতে দুটি ভিন্ন সময়ে জন্ম নেওয়া দুটি প্রাণ, কিন্তু কি ভীষন তফাৎ তাদের চিন্তাভাবনায়, পাওয়া না-পাওয়ায়। বসন জীবনে সেসব কিছুই পেয়েছে যা পিসিমার জীবনে কল্পনার অতীত ছিল। সেজন্যই বোধ হয় বসনের জীবনকে দেখার দৃষ্টি সম্পূর্ন ভিন্ন। যে একাকিত্ব রসময়ীর জীবনে ছিল দুঃখের কারণ, তা বসনের কাছে অমূল্য সম্পদ। আর এই গয়না? তা বসনের চোখে বিশ্রী পুরনো দিনের জিনিস। রসময়ী বিধবা বালিকা হয়ে বড় হয়েছে, সঙ্গীর ভালোবাসা সে কোনোদিন পায় নি। আর বসনের জীবনে সেরকম চাওয়াই নেই, কখনো কোনো পুরুষের প্রতি তার ভালো লাগা কাজ করেনি। একা থাকতেই তার পরম সুখ। বসন এর তিনতলার ঘরে যে হু হ্ন বয়ে যাওয়া, সে যেনো রসময়ীর একলা থাকার বেদনা, রসময়ীর যন্ত্রণা। কেননা সে বসনের মধ্যেই পুনর্জন্ম পেয়েছেন, যে বসন সম্পূর্ন ভিন্ন মানুষ হয়ে উঠেছে। একাকীত্ব যে সে উপভোগ করে, যে একাকিত্ব রসময়ীর দুঃখের কারণ। বইটিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল চরিত্র সোমলতা, নিজের বুদ্ধি আর ধৈর্য দিয়ে সে অনেক সাহসিকতার পরিচয় দেয়। পিসিমার মনের জ্বালা যন্ত্রণা যে বিষবানের মত ছুড়ে মারতো, তা দিয়ে সেসময়ের বাল্যবিধবাদের জীবনের কষ্ট ধারণা করা যায়। গল্পের শেষে বসনের প্রাণের গভীরে যে পুরুষের স্থান, যায় জন্য সে নিজের অজান্তেই জায়গা তৈরি করে রেখেছে মনে, সেই পুরুষের পায়ের আওয়াজে ঘরের হ্ন হ্ন করা যন্ত্রণা থেমে যায়। পিসিমা যেন শেষ পর্যন্ত পেলেন যা তিনি আগের জনমে হারিয়েছিলেন।
Was this review helpful to you?
or
***বই রিভিউ*** ***বইয়ের নাম---গয়নার বাক্স*** ***লেখক---শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়*** ''গয়নার বাক্স'' শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত এমন একটি প্রতীকী উপন্যাস যা একই সাথে রোমাঞ্চকর আবার অদ্ভুত রকমের ভুতুড়ে, একটি ক্ষয়িষ্ণু পরিবারকে নতুনভাবে গড়ে তোলার গল্প,একটি নারীর সততার প্রতীক ,একটি তরুণীর অদ্ভুত জীবন দর্শন। গরীব ঘরের মেয়ে সোমলতা। আঠারো বছর বয়সেই তার বিয়ে হয় এটি পড়তি বনেদি পরিবারে। তবে এখন আর তেমন ধন-সম্পদ অবশিষ্ট নেই এই পরিবারের।বাপ দাদার আমলের জমি আর সোনার গয়না বেঁচে কতো বছরই বা নিজেদের ঠাঁট বজায় রাখা সম্ভব হয়??? শ্বশুরবাড়িতে তার একটি বিধবা পিসি শাশুড়ি আছেন;রসময়ী-যিনি সোমলতাকে মোটেই সহ্য করতে পারেন না।সোমলতার এই পিসিমার বিয়ে হয় মাত্র সাত বছর বয়সে।স্বামী কি বস্তু তা বুঝে ওঠার আগেই মাত্র ১২ বছর বয়সে বিধবা হন তিনি। জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে না পারা নিঃসঙ্গ এই মহিলাটির এক মাত্র অহংকার একটি বাক্স.... গয়নার বাক্স!!! একদিন মারা যান রসময়ী। বিচিত্র এক উপায়ে তিনি তার গয়নাসহ বাক্সটি গচ্ছিত রাখেন সোমলতার কাছে। তারপর......... কি হয় শেষে?সোমলতা কি পেরেছিল সেই গয়নার বাক্সটিকে তার যোগ্য উত্তরসূরির হাতে পৌঁছে দিতে? নাকি লোভ-লালসায়, ভুতুড়ে কুমন্ত্রণায় সে পা বাড়িয়েছিল মানব জীবনের অন্ধকার কোনো গুহায়? আচ্ছা, বসন কে?কেউ কি পারবে বসন নামের এই পরিপূর্ণ তরুণীর একাকীত্ব দূর করতে?? প্রেম ভালোবাসা সম্পর্কে তার বিতৃষ্ণা জড়িত ভাবনাকে ভিন্ন রূপ দিতে??? ***ব্যক্তিগত মতামত*** উপন্যাসটি ভয়ঙ্কর নয় তবুও ভুতুড়ে।ভালো লাগলো,বেশ ভালো। ***ব্যক্তিগত রেটিং ৪ পয়েন্ট। ***প্রিয় উক্তি*** ১.প্রেম কি ফুরিয়ে যায়? ক্লান্ত হয়? শেষ হয় ?প্রেম ভয় পায়? ২.যত পারো পয়সা বাঁচাও... যত পারো পয়সা বাঁচাও!!
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিলো
Was this review helpful to you?
or
পড়তি বনেদি পরিবারে বিয়ে হয়েছিল সোমলতার । খোলাটাই আছে, সার নেই। একটু বড়-বড় কথা বলা এবং সুযোগ পেলেই দেশের বাড়ির জমিদারির গল্প বলা এদের একটা প্রিয় অভ্যাস। যাকে বলে, বারফট্টই। সোমলতার স্বামীটি বি. এ. পাশ । তবু তবলা বাজানো ছাড়া কিছু করেন না । সোমলতাদের যৌথ পরিবারের । এ-বাড়িতেই তিনতলায় তিনটে ঘর নিয়ে থাকেন এক দজ্জাল পিসিশাশুড়ি । বালবিধবা এই শাশুড়িই সংসারের সর্বময় কত্রী ।এই পিসিশাশুড়ি মৃত্যুকালে সোমলতাকে ডেকে তার একশো ভরি সোনার গয়নার বাক্স সোমলতার হাতে গচ্ছিত করে গেলেন। পিসশাশুড়ি এরপরেও বারবার দেখা দিয়েছেন সোমলতার কাছে ভূতের বেশে। তাই বলে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি কোনোক্রমেই ভুতুড়ে কাহিনী নয় । প্ৰায় রূপকের ব্যঞ্জনা নিয়েই যে এসেছে এই গয়নার বাক্সের ঘটনাটা, তা ধরা পড়ে দারুণ কৌতুহলকর ও গভীর তাৎপর্যময় এই উপন্যাসের একেবারে শেষ পঙক্তিতে পৌছে গিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
একবার চিন্তা করেন তো, আপনার নিজের একশো ভরি গহনা আছে অথচ বিধবা বলে সেসব শরীরে জড়াতে পারছেন না! তার উপর আপনার সেসব গহনার উপর বাড়ির লোকের লোভাতুর চোখ! সেক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? জমিদার বাড়ির মেয়ে রসময়ী। মাত্র সাত বছর বয়সে বিয়ে হয়ে বারোতেই বিধবা হয়। সেসময় তার ঠিকানা হয় নিজের ভাইয়ের বাড়িতে। বাড়ির তিনতলার বিশাল ঘর নিয়ে তার বাস। বাড়িতে কেউ তেমন পাত্তা না দিলেও তার গহনার জন্যে অনেকটা বাধ্য হয়েই তার সাথে ভালো ব্যবহার করে সবাই। রসময়ীর ভাইয়ের ছেলের বিয়ে হয় সোমলতা নামের এক সুন্দর মেয়ের সাথে। সে বউ একদিন দুপুরে একা একা ঘুরতে ঘুরতে তার পিসিমার ঘরে গিয়ে দেখে পিসিমা বসে আছেন, তবে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নয়। কাছে গিয়ে বুঝতে বাকী রইলো না যে পিসিমা আর নেই! তারপর? সে কী কাণ্ড! মৃত পিসিমা কথা বলে উঠলো। লতা (সবাই লতা বলে ডাকতো) আশ্চর্য হবে কী হবে না এর জন্য পিসিমা সুযোগ দিলো না। তাকে শাড়ি থেকে চাবি খুলে নিয়ে গহনার বাক্স লুকিয়ে ফেলতে বললো। লতা ভয় পেয়েছে কী পায়নি তবে যন্ত্রের মতো বাক্স লুকিয়ে ফেললো নিজের ঘরে। কিন্তু লুকিয়ে ফেললেই তো আর হয় না! দৌড়ে যাওয়ার সময় তার জা দেখে ফেলে! সে এক লঙ্কা কাণ্ড! তারপর জায়ের মৌখিক অত্যাচারে পিসিমা তাকে মুখ বন্ধ করে দেন। জা ভেবেই বসে লতা মনে হয় মন্ত্র টন্ত্র জানে!
Was this review helpful to you?
or
ভাল করে বুঝতে পারেনি
Was this review helpful to you?
or
সোমলতার স্বামীর নাম চকোর মিত্রচৌধুরী। উনাদের বংশের কেউই কখনো চাকুরী করেন নি।পূর্ববঙ্গে জমিদারী ছিল ওদের।তবে এখন জমিদারী নেই তবে জমিদারী ভাবটা রয়েই গেছে।এখন সংসার চলছে জমি আর গহনা বিক্রির টাকায়। কিন্তু আর কত দিন এভাবে চলবে।তাই সোমলতা তার স্বামীকে চাকুরী কিংবা ব্যবসার কথা বলে।তবে ফচু বা চকোর মিত্র খুব একটা গুরুত্ব দেয়না বিষয়টাকে। সোমলতা তার পিসিশ্বাশুড়ি কে প্রচন্ড ভয় পায়।উনার ভয়েই সে সব সময় ছাদে যায় না।কারণ ছাদে যেতে হলে পিসিশ্বাশুড়ির ঘর পার হয়েই যেতে হয়।তবে সেইদিন এতই খারাপ লাগছিল যে পিসিশ্বাশুড়ির ভয়কে উপেক্ষা করেই সে সিড়ি টিপেটিপে ছাদে যাচ্ছিল।হঠাৎই সে উঁকি মারে পিসির ঘরে।দেখতে পায় স্থির হয়ে বসে আছে এবং তার চোখ খোলা কিন্তু পলকহীন। একসময় সোমলতা আবিষ্কার করে পিসি আর বেঁচে নেই।হন্তদন্ত হয়ে যখন সে খবরটা সবাইকে দিতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই মৃত পিসি কথা বলে উঠে।এই মৃত পিসিই সোমলতাকে তার গয়নার বাক্স দিয়ে যায় ও নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখতে বলে। একশ ভরি সোনা ছিল বাক্সটাতে। এই গয়নার বাক্সই কি পাল্টে দিবে সোমলতা ও সোমলতার শ্বশুর বাড়ীর জীবনযাত্রা নাকি অন্য কিছু........ আর বলব না বইটা পড়ে জেনে নিয়েন। কেমন লেগেছে :- এই বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে বসন।এই গল্পে বসনকে কেন আনা হয়েছে আর তার ভূমিকাটাইবা কি এই কাহিনীতে আমি বুঝিনি।শীর্ষেন্দুর প্রায় উপন্যাসেই রহস্য এবং ভৌতিক বিষয়টা থাকে।এই বইটাতে ভৌতিকতা কিছুটা থাকলেও,আমি রহস্য খুঁজে পাইনি।শুরুটা বেশ লেগেছিল মনে হচ্ছিল বেশ রহস্যময় হবে কিন্তু গল্পের মাঝটা এবং শেষটা বেশ হতাশই করেছে।যাইহোক, আমার খারাপ লাগলেই যে সবার খারাপ লাগবে এমনতো নয়।পড়ে দেখেন হয়তবা ভালোলাগতেও পারে আপনার......... বি.দ্র. : অর্পণা সেন এই উপন্যাস অবলম্বনে একটা সিনেমাও বানিয়েছেন।সিনেমাটার নামও " গয়নার বাক্স"।
Was this review helpful to you?
or
গরিব ঘরের মেয়ে সোমলতা। কপাল গুণে বিয়ে হয়েছিল জমিদার বাড়িতে। বংশীয় গৌরব আর বড় বড় কথার বারফট্টাই ছাড়া অবশ্য কিছু অবশিষ্ট ছিল না তাদের। বিয়ে হয়ে ও বাড়িতে আসার পর পরই সোমলতা বুঝতে পেরে গেছিল গয়না আর জমিজমা বেচেই চলছে এ সংসারের চাকা। স্বামী চকোর মিত্র দেখতে শুনতে বেশ রাজপুত্তুরটি! তবে কাজেকম্মে এ বংশের আর ছেলেদের মতই আমড়া কাঠের ঢেকি বই বিশেষ কিছু নয়। স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী, জ্যাঠাশ্বশুর, ভাসুর, জা এবং এক পিসিমাকে নিয়ে শুরু হল তার সংসার। শ্বাশুড়ী নরম স্বভাবের মানুষ। তবে হাড় জ্বালানোর জন্য দজ্জাল জা আর তারও চে' বেশি দজ্জাল পিসিমাই ছিলেন যথেষ্ট। একঘেয়ে নিরানন্দ জীবনে হঠাৎ এল ছন্দপতন। পিসিমা মারা গেলেন। আর মৃত্যুকালে সোমলতার কাছে আমানত রেখে গেলেন একশ ভরি গয়নাসমেত একটি বাক্স। তারপর এই গয়নার বাক্স নিয়েই ঘটতে লাগল অদ্ভুত সব ঘটনা! পাঠ প্রতিক্রিয়া: দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আয়তনে বইটাকে এইটুকুনি একটা বই বলা চলে। কিন্তু আমি ভাবিই নি মাত্র ৮৭ পৃষ্ঠার এইটুুকুনি একটা বইয়ের প্রথম থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত এত্ত সাসপেন্সে ভরপুর থাকতে পারে! প্রতিটি লাইন শেষেই মনে হয়েছে এরপর না জানি কি হবে! শত অভাব-অভিযোগ-প্রলোভনের সামনে পরেও সোমলতা তার স্থির বুদ্ধি ও ধৈর্য্য দিয়ে জীবনের প্রকৃত গয়নার বাক্স অর্জন করতে পেরেছিল। পিসিমার গয়নার বাক্স মূলত একটি রুপক হিসেবে বাস্তব জীবনের সুখের চাবিকাঠির সন্ধান দেবে পাঠককে। যারা পড়েন নি তাদের জন্য বলা, পরিচ্ছেদগুলো প্রথম দ্বিতীয় নয় বরং সোমলতা, বসন, সোমলতা.. এভাবে সাজানো হয়েছে। পড়তে গিয়ে হোচট খাবেন না যেন। যথাসময়ে পূর্বের কাহিনীর জোড়া পেয়ে যাবেন। তবে বসনের পরিচয় কিন্তু আমি দেব না। পড়লেই টের পাবেন। আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ, কিউট পরিধি এবং চমকপ্রদ কাহিনী সব মিলে একটি চমৎকার বই পড়ার স্বাদ পেয়েছি। যারা পড়েন নি, এরপরও না পড়লে সত্যিই কিছু মিস করবেন।
Was this review helpful to you?
or
গরীব ঘরের মেয়ে সোমলতা। কপাল জোরে বিয়ে হলো তার বনেদী এক বাড়িতে। সোমলতার শ্বশুর বাড়িতে আছে শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, জা আর এক বাল্যবিধবা পিসি। শাশুড়ি বেশ নরম মনের মানুষ। কিন্তু জায়ের মনে মনে খুব বিষ। কোন এক কারণে সোমলতাকে সহ্য হয় না তার। আর পিসি? তার মেজাজও বড্ড খটমটে। ও হ্যাঁ এই বাড়িতে আরো অনেক লোকের বাস। অবশ্য সবারই আলাদা আলাদা ঘর। একসময় এই বাড়ি ছিলো জমিদার বাড়ি। অনেক সহায়-সম্পত্তির মালিক ছিলো তারা। কিন্তু কথায় আছে না, "বসে খেলে রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যায়"। সোমলতার শ্বশুর বাড়ির ঠিক তাইই হয়েছে। জমিদার বাড়ির মানুষ তাই কোন কাজ করায় অভ্যস্ত না। এমনকি সোমলতার স্বামী বি,এ পাশ করেও শুধু তবলা বাজানো ছাড়া আর কিছু পারে না। এইভাবে চলার কারণে এখন আর কিচ্ছু নেই তাদের। অবশ্য নেই বললে ভুল হবে। পিসির কাছে আছে একশ ভরি সোনা। তবে পিসি তা যখের ধনের মতো আগলে আছেন। বাড়ির সবার নজর ওই গয়নার উপর। পিসি মরবে আর কবে তা ভাগ করবে। আর গয়না বেচেঁ সংসার চালাবে তারা। একসময় পিসি মরলো কিন্তু ছাড়লো না ওই গয়না। ভূত হয়েই আগলে রাখলো গয়নাগুলো। গল্প কি এখানেই তবে শেষ? না গল্প আরও বাকি। এতটুক পরার পর যদি মনে হয় এটা কোন ভৌতিক উপন্যাস তবে তা ভুল হবে। বইয়ের বাকি অংশ জানার জন্য না হয় বইটাই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
গয়নার বাক্স যখন প্রথম পড়ি তখন অন্যরকম ভালো লেগেছিল। টান টান উত্তেজনা। ভূতুরে কান্ড কিন্তু ভুতের গল্প নয় মোটেই। আরো দশ বছর আগে পড়েছি তাই হাস্যরসের পর্বটা বুঝতে বেশ সময় লেগেছে। অপর্ণা সেনকে অনেক ধন্যবাদ উপন্যাসটিকে সিনেমায় অপরিবর্তিত উপস্থাপনের জন্য। তবে আগে বইটি পড়ে নেবেন, বেশি ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইয়ের নাম : গয়নার বাক্স লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ঘরাণা : উপন্যাস প্রধান দুইটি চরিত্র : সোমলতা ও সোমলতার মেয়ে বসন। সোমলতার স্বামীর নাম চকোর মিত্রচৌধুরী। উনাদের বংশের কেউই কখনো চাকুরী করেন নি।পূর্ববঙ্গে জমিদারী ছিল ওদের।তবে এখন জমিদারী নেই তবে জমিদারী ভাবটা রয়েই গেছে।এখন সংসার চলছে জমি আর গহনা বিক্রির টাকায়। কিন্তু আর কত দিন এভাবে চলবে।তাই সোমলতা তার স্বামীকে চাকুরী কিংবা ব্যবসার কথা বলে।তবে ফচু বা চকোর মিত্র খুব একটা গুরুত্ব দেয়না বিষয়টাকে। সোমলতা তার পিসিশ্বাশুড়ি কে প্রচন্ড ভয় পায়।উনার ভয়েই সে সব সময় ছাদে যায় না।কারণ ছাদে যেতে হলে পিসিশ্বাশুড়ির ঘর পার হয়েই যেতে হয়।তবে সেইদিন এতই খারাপ লাগছিল যে পিসিশ্বাশুড়ির ভয়কে উপেক্ষা করেই সে সিড়ি টিপেটিপে ছাদে যাচ্ছিল।হঠাৎই সে উঁকি মারে পিসির ঘরে।দেখতে পায় স্থির হয়ে বসে আছে এবং তার চোখ খোলা কিন্তু পলকহীন। একসময় সোমলতা আবিষ্কার করে পিসি আর বেঁচে নেই।হন্তদন্ত হয়ে যখন সে খবরটা সবাইকে দিতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই মৃত পিসি কথা বলে উঠে।এই মৃত পিসিই সোমলতাকে তার গয়নার বাক্স দিয়ে যায় ও নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখতে বলে। একশ ভরি সোনা ছিল বাক্সটাতে। এই গয়নার বাক্সই কি পাল্টে দিবে সোমলতা ও সোমলতার শ্বশুর বাড়ীর জীবনযাত্রা নাকি অন্য কিছু........ আর বলব না বইটা পড়ে জেনে নিয়েন। কেমন লেগেছে :- এই বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে বসন।এই গল্পে বসনকে কেন আনা হয়েছে আর তার ভূমিকাটাইবা কি এই কাহিনীতে আমি বুঝিনি।শীর্ষেন্দুর প্রায় উপন্যাসেই রহস্য এবং ভৌতিক বিষয়টা থাকে।এই বইটাতে ভৌতিকতা কিছুটা থাকলেও,আমি রহস্য খুঁজে পাইনি।শুরুটা বেশ লেগেছিল মনে হচ্ছিল বেশ রহস্যময় হবে কিন্তু গল্পের মাঝটা এবং শেষটা বেশ হতাশই করেছে।যাইহোক, আমার খারাপ লাগলেই যে সবার খারাপ লাগবে এমনতো নয়।পড়ে দেখেন হয়তবা ভালোলাগতেও পারে আপনার......... বি.দ্র. : অর্পণা সেন এই উপন্যাস অবলম্বনে একটা সিনেমাও বানিয়েছেন।সিনেমাটার নামও " গয়নার বাক্স"।