User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার সফর সঙ্গী সবসময় সিরাত থাকলেও চব্বিশের ডিসেম্বর মাস জুড়ে সঙ্গী হিসেবে ছিল ❝বাতেনিদের ইতিহাস❞ বইটি প্রকাশের পরপরই পড়ার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়। খুব আগ্রহ নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করলাম সকল ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টানদের আকিদা সম্পর্কে যত পড়ছিলাম ততই জানার আগ্রহ বাড়ছিল, সৃষ্টি হয় নানান কৌতূহল। বরাবরই শিয়া সম্প্রদায় নিয়ে জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। উপযুক্ত একটি বইয়ের অভাবও ছিল। ? গবেষণা মূলক,বিশ্লেষণধর্মী, তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাভাষায় অন্যতম সেরা একটি বই ❝বাতেনিদের ইতিহাস❞ । বইটি খুবই মজবুত দালিলিক প্রায় ১৫০টি গ্রন্থের সহায়তায় রচিত। সূত্র হিসেবে ১৪০টি গ্রন্থের নাম উল্লেখ আছে। এবং ৭টি অধ্যায়ে ২৬৮ ইতিহাস তুলে ধরেছেন লেখক। ?বইটি রচয়িতার ধরন: বাতেনিদের ততকালীন ইতিহাস, এদের সূচনা মতবাদ, আত্মপ্রকাশ, উৎপত্তি, রাজত্ব, ইসলামের মৌলিকত্ব বিনাশে গভীর ষড়যন্ত্র, মুসলমানদের বিভক্তি, ভয়ংকর কৌশল, মুসলমানের পরিচয়ের দাবি, ইসলামের কায়া পরিবর্তন ও মুসলমানদের নির্যাতনের লোমহর্ষক নিয়ে ইতিহাস। ?বই থেকে একটুখানি: ইসমাইলি ফিরকা জন্ম হয়েছিল ইসলামের শত্রুতায়। আহলে বাইতের বিশিষ্ট একজন ব্যক্তি ইসমাইল বিন জাফর সাদিক রাহিমাহুল্লাহ। তার সাথে সম্পর্ক দেখিয়ে যারা পরিচিত হয়েছে তারা মূলত মুসলিমই নয়। তারা ধরলো মুসলমানদের লেবাস। আশ্রয় নিলো শিয়াদের কোলে। এরপর ক্ষমতা পাওয়া মাত্রই ইসলাম ও মুসলমানদের উপর শুরু করে ষড়যন্ত্র। ▪️শিয়াদের বৃহত্তর উপদল ইসমাইলি ফিরকা । শিয়াদের সকল ফিরকার মধ্যে ইসমাইলি ফিরকাই সবচেয়ে বেশি কুফরিতে লিপ্ত। কতিপয় অগ্নিপূজক দ্বৈতবাদীর হাতে গঠিত হয় ইসমাইলি ফিরকা। যারা নবীজির আনীত শরিয়তকে 'জাহেরি শরিয়ত' বলে আখ্যা দেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামকে বিলুপ্ত করে দেওয়া। ▪️ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য অগ্নিপূজক ও ইহুদিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আদর্শে উজ্জীবিত হয় আবদুল্লাহ ইবনে সাবা নামক এক ইহুদি। ইসলামের চাদর পরে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সাবা ছিল মূলত মুনাফিক ও জিন্দিক। ইসলামকে বিকৃতির লক্ষ্যে মুসলমানের দুর্গে আক্রমণ করে। ▪️ইবনে সাবা ও তার অনুসারীরা আলি রা. কে মহব্বত করার নামে গোপনে তাদের বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন । তাদের উদ্দেশ্য মুসলমানদের মধ্যে বিভক্ত সৃষ্টি করা। ইসলামকে ধ্বংস করা। ▫️শিয়াদের আকিদা সম্পর্কে একটু ধারণা: বারোতম ইমাম মাহদি আল মুন্তাজার দাবিমতে বর্তমানে কুরআন ভুল কেয়ামতের পূর্বে মূল কুরআন আত্মপ্রকাশ হবে। বর্তমানে কুরআন ভুল যা মদখোর খলিফাদের আত্মতুষ্টির জন্য লেখা হয়েছে। সর্বপ্রথম আবু বকর ও উমর রা.-এর কবর খুঁড়ে তাদের শূলিতে চড়াবে। আয়েশা রা.-কে কবর থেকে উঠিয়ে বেত্রাঘাত করবে। কুরআন'কে সন্দেহে বিকৃতি করে এবং সাহাবিদের কাফের মনে করে। মা আয়েশা রা. - এর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর রিসালাতকে ভুল মনে করে।( আল-ইয়াজু বিল্লাহ ) এই কথা গুলো থেকে বুঝা যায় তাদের আকিদা কতটা জঘন্য। ইসলামের এবং মুসলমানদের কত বড় শত্রু এরা। . ✓ কীভাবে ইবনে সাবা মুসলমানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে মুসলমানদের দু-ভাগে বিভক্ত করেন। ✓ উসমান রা.-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে । ✓ মদিনায় এসে গোলযোগ করে উসমান রা.কে ৪০ দিন অবরুদ্ধ রেখে নির্মমভাবে শহিদ করে। ✓ কীভাবে সিফফিনের যুদ্ধ তৈরি হয়। ✓ কারবালার মর্মান্তিক ট্রাজেডির সহানুভূতি ও আবেগের কেন্দ্রবিন্দুকে কাজে লাগিয়ে ইবনে সাবা আকিদা গড়ে তুলে। ✓ কীভাবে শিয়াদের কিতাবে ৩ লাখ জাল হাদিস রয়েছে। উপরিউক্ত সকল উত্তর বিস্তারিত ভাবে রয়েছে ❝বাতেনিদের ইতিহাস❞ বইয়ে। ? একজন মুসলিম এবং পাঠক হিসেবে কেন বইটি পড়বেন ? বাতেনিদের সম্পর্কে আমাদের দেশে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ধারণা খুবই কম। আমরা অনেকেই তাদের জঘন্য আকিদা সম্পর্কে অবগত নই। অনেকেই মনে করি বাতেনি সাধারণ একটি দল বা সম্প্রদায় মাত্র । অথচ ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে ইসলাম ও মুসলমানদের আপনজনের বেশ ধরে ইসলামের পরিবর্তনের অপচেষ্টা লিপ্ত থাকার ঘটনা এবং নির্মমভাবে হ°ত্যা করেছিল মুসলমানদের। চরম শত্রুদের ইতিহাস বিস্তারিত জানতে পারবেন বাতেনিদের ইতিহাস বই থেকে । বইটি পড়লে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়ার ইচ্ছা জাগে .... অনেক কিছু জানার তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি হবে। পড়া শেষে মনে হবে আরো আগে পড়া উচিত ছিল। ইতিহাসের প্রতিটি কথা যেন আপনার ঈমানকে মজবুত করার জন্য স্পষ্ট ভাবে লিখেছেন। এদের সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে অবশ্যই বইটি পড়ুন। ☆ লেখকের মেহনতের সম্পর্কে একটু ধারণা : ২০২৮/১৯ সাল থেকেই লেখকের বাতেনি তথা শিয়াদের নিয়ে পথ চলা শুরু। দীর্ঘ তিন বছরের যাত্রার অসংখ্য রাত জাগার মেহনত। বহু কিতাবের সহায়তায় রচিত হয়। বাতেনিদের ইতিহাসশাস্ত্রে অধিকাংশ কিতাবই দুষ্প্রাপ্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের। এসব কিতাব বিরলপ্রায়। বিশেষত গ্রিক দর্শনের ছায়ায় সাজানো আকিদার জটিল গল্পচ্ছলে প্রাথমিক পাঠকদের বোধগম্য ভাষায় তুলে ধরেছেন। গভীর গবেষণালব্ধ কাজ, যা ধর্ম, ইতিহাস, এবং রাজনীতির সংমিশ্রণ নিয়ে তৈরি করেছেন। বইটি পাঠকদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করবে। ★আমার ব্যক্তিগত মতামত : প্রথমেই বলবো প্রকাশের সাথে সাথেই বইটি অধ্যয়নের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মূলত শিয়াদের নিয়ে ধারণা কম থাকায় বইটি পড়ার ইচ্ছে জাগে। প্রতিটি ইতিহাস যেন আমার চোখের সামনে স্বচ্ছ কাঁচের মতো তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে যুগে যুগে ইসলামের ক্ষতি করেছে এবং ইসলামকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। ▫️ এটি এমন একটি বই যার প্রতিটি ইতিহাস তুলে ধরার ইচ্ছে হয় প্রতিটি রহস্য উন্মোচন করতে ইচ্ছে জাগে। এদের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রীতিমতো আমি হতবাক হয়েছি। ★ মহান আল্লাহ এ কাজ গুলো দ্বীনের খেদমতের জন্য এবং নাজাতের উসিলা বানাক। এবং লেখক " মাহদি হাসান কাসেমি সাহেবকে কবুল করুন তার কলমের মর্যদা বৃদ্ধি করুন নেক হায়াত দান করুন !! বই পরিচিতি ▫️ সম্প্রদায়ে আদ্যোপান্ত নিয়ে বই : বাতেনিদের ইতিহাস লেখক : মাহদি হাসান কাসেমি সম্পদনা : আবদুর রশীদ তারাপাশী বানান : রাশেদ মুহাম্মদ প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক প্রকাশকাল : নভেম্বর ২০২৪ প্রকাশনা : ইত্তিহাদ পাবলিকেশন হার্ডকভার পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৩৬৪ রিভিউয়ার শেখ রেশমা ঝুমু