User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি অসাধারণ এবং খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
সত্যি কি দারুণ ছিলো। হারিয়েই গিয়েছিলাম প্রকৃতির মাঝে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া রোমান্টিক গল্পের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় একটি বই "একটু উষ্ণতার জন্য"এতো মজার যা বলে বোঝানো যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
তীব্র শীতের মধ্যে পড়ার জন্য জম্পেশ একটা বই। অসাধারণ এক রোমান্টিক প্রেমের উপন্যাস। 'যে পুরুষ চিরকাল কোন এক নরম হাতের উষ্ণতা খুজে ফিরেছে অথচ যে কারণেই হোক সে নির্ভরতা পাওয়া হয়নি এ উপন্যাস তাদের জন্য..'। নাম থেকে এডাল্ট মনে হলেও অতটা সিরিয়াস কিছু নেই। যেটুকু আছে কাহিনির প্রয়োজনে। শুরুর দিকে যে চিঠিটা আছে তার থেকে একটা প্রিয় লাইনঃ 'যা দিতে পারি সেটুকু দেওয়ার আনন্দ থেকে আমাকে বঞ্চিত করে, যা দিতে পারিনা তা না দেওয়ার বেদনাকে আরো তীব্র করবেন না।'
Was this review helpful to you?
or
এই তীব্র শীতের মধ্যে পড়ার জন্য জম্পেশ একটা বই। অসাধারণ এক রোমান্টিক প্রেমের উপন্যাস। 'যে পুরুষ চিরকাল কোন এক নরম হাতের উষ্ণতা খুজে ফিরেছে অথচ যে কারণেই হোক সে নির্ভরতা পাওয়া হয়নি এ উপন্যাস তাদের জন্য..'। ভালো সময় পার করেছি বইটির সাথে।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের সাথে পাঠিকার প্রেম। লেখক আবার কলকাতা হাইকোর্টের বেশ নামকরা উকিলও। পাঠিকা সুন্দরী,শিক্ষিতা, প্রতিষ্ঠিত। এই পর্যন্ত কোনো খটকা নেই। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, লেখক যদি হয় বিবাহিত? তার ওপর উপরি পাওনা- একটা ছেলে? উপন্যাসের নায়ক একাধারে লেখক এবং আইনজীবী সুকুমার বোস যে দারুণ দেখতে তেমন নয়, তবে এলেম আছে বলতে হবে। একসঙ্গে ঘরে বাইরে দুখানা মহিলাকে সামলাচ্ছেন। কিন্তু নায়ক অতোটাও খারাপ হতে পারে বুঝি? না একদমই না।পাঠিকা বাঘের অন্য বাঘিনীর খবর জেনেই এ সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। আর সুকুমার বাবু ওকালতির ব্যস্ততার মাঝে দাম্পত্য কলহের সাথে যুঝতে যুঝতে ক্লান্ত হয়ে ছুটি খুঁজে নিয়েছিল ছুটি নামক জনৈক পাঠিকার হৃদয়ে। সুকুমার বাবু বিয়েটা করেছিলেন প্রেম করেই,নিজের পছন্দে। কিন্তু হায়! সে প্রেম ফিঁকে হতে থাকলো বিয়ের পর। স্ত্রী রমার সাথে অশান্তি, যন্ত্রণা, অপমান, অভিনয় এসবের মধ্যে দিয়ে ঠেলে গুতিয়ে কোনোমতে এগোচ্ছিল সম্পর্ক। বুঝি ছেলে রুণের মুখের দিকে তাকিয়েই তারা সমাজের চোখে স্বামী-স্ত্রীর দুর্দান্ত অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় ছুটির আবির্ভাব। স্বামীর অবৈধ প্রেমকে কেন্দ্র করে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে ক্রমশঃ। চাকরিজীবী, আত্মনির্ভরশীল, সুন্দরী, অহংকারী রমাও কিন্তু ধোয়া তুলসী পাতা নয়। স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে তারও রয়েছে অবৈধ সম্পর্ক। কিন্তু স্বামীকে একই কাজ করতে দিতে এই মহিলা নারাজ। সুকুমার বোস চরিত্রটা খুবই কনফিউজিং। কোনো দৃঢ়তা নেই। নেই সিদ্ধান্তে অটল থাকার মনোবল। নায়ক যেন দু নৌকোয় পা দিয়ে চলছেন। কখনো স্ত্রী রমার প্রতি ভালোবাসা আর মায়া জেগে উঠেছে আবার কখনো দুঃসময়ের সঙ্গী ছুটির জন্য জেগেছে সহানুভুতি এবং প্রেম। নায়কের মনখানা যেন গ্রামবাংলার কোমলমতি মায়েদের মতোন, পলিমাটির মতোন। তবে তিনি যে দায়িত্ববান তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সন্তানের প্রতি, স্ত্রীর প্রতি কিংবা প্রেমিকার প্রতি দায়িত্ব পালনে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। এসব টানাপোড়েনে সুকুমার বাবু বাঁধিয়ে বসেন যক্ষ্মা রোগ। আর এজন্যই ম্যাকলাস্কিগঞ্জে হাওয়া পরিবর্তনে আসেন তিনি। লেখকের নিজ বয়ানে ম্যাকলাস্কিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব বর্ণনা আর মানসিক বির্পযস্ত যক্ষ্মা রোগীর জীবনাচরণের ফিরিস্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় উপন্যাস। কিন্তু এই জটিল সমস্যার শেষ কোথায়? সবুজে ঘেরা ম্যাকলাস্কিগঞ্জকে কল্পনার রঙে রাঙিয়ে তুলছিলাম, শুনতে পাচ্ছিলাম পাখির কলরব। লেখকের কটেজের বাগানে বসে লেখকের সাথে চা খেতে খেতে যেন শুনছিলাম লেখকের জীবনের গল্প। কাস্মীরকে ভূস্বর্গ বলা হয়ে থাকে আমার কাছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জকে মনে হচ্ছিল ভূস্বর্গ। এমন একটা ভালো লাগা কাজ করছিল যে বেশি বেশি এগোতে পারছিলুম না। মনে হচ্ছিল তাড়াতাড়ি পড়লেই তো শেষ হয়ে যাবে। তাই আড়াইশো পৃষ্ঠার উপন্যাস যা দুইদিনে শেষ করা সম্ভব, পড়েছি মাসখানেক ধরে। ম্যাকলাস্কিগঞ্জে লেখকের সাথে পরিচয় হওয়া কিছু মানুষের ছোটখাট গল্পের মাধ্যমে লেখক বিশ্লেষণ করেছেন মানব চরিত্র। বুদ্ধদেব বাবু আমার প্রিয় লেখকদের একজন। ওঁর লেখার যে দিকটা আমাকে বিশেষভাবে টানে তা হচ্ছে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর সাথে প্রকৃতির নিবিড়তাকে ফুটিয়ে তোলা এবং দারুণ দারুণ খাবারের সাধারণ অথচ নিখুঁত বর্ণনা। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভোজনরসিক পাঠকদের বোধ হয় এজন্যই বুদ্ধদেব বাবু পছন্দের লেখক, অন্তত আমার তাই মনে হয়। যদিও ‘একটু উষ্ণতার জন্য’ খুব সাদামাটা গল্প, কিন্তু লেখকের বণর্নাশৈলী একে অসাধারণত্ব দান করেছে। এক কথায়, ভালো লাগার একটা আবেশ থেকে গেছে। যে কেউ ভালো সময় কাটানোর সঙ্গী করতে পারেন বইটিকে। আশা করি হতাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
আগে কেনো পড়লাম নাহ?" কথা দিচ্ছি, আমার মতো আপনিও মুগ্ধ হবেন।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটা মানুষ সুখের বড় কাঙাল। সবাই তার ভালবাসার মানুষটাকে হতে চায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আর যখন সেই সুখের দেখা মিলে না, সুখ এসে ধরা দিতে গিয়েও দেয় না তখনই মানুষ মুক্তি চায়, ছুটি চায় এই নির্মম পৃথিবী থেকে। গল্পের প্রধান চরিত্র বা নায়ক যাই বলা হোক তিনি হলেন সুকুমার বোস। পেশায় একজন উকিল। সমাজের একজন বেশ নামকরা উকিল। উকালতির পাশাপাশি তিনি একজন লেখকও। সংসার জীবনে স্ত্রী রমা আর এক ছেলে রুণ। তাদেরকে নিয়েই তার সুখী জীবন হওয়ার কথা ছিলো; কিন্তু দূঃখের বিষয়, তা আর হয়ে উঠে নি। রমা এবং সুকুমার বোসের প্রেমের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর তাদের সম্পর্কের দারুণ অবনতি ঘটে। সুকুমার বোস ব্যস্ত হয়ে পড়েন তার ক্যারিয়ার নিয়ে। রমার সাথে বাড়তে থাকে তার দূরত্ব। যতো দিনে নিজের ভুল বুঝতে পারেন ততদিনে রমাও নিজেকে বদলে নিয়েছে। দূজনের ভুল বুঝাবুঝির কোন অবসান ঘটানো সম্ভব না। এই প্রতিকূলতার মাঝেই আগমন "ছুটি"র। সুকুমার বোসের এক অনুরাগিণী পাঠিকা। ঠিক যেমনভাবে রমাকে চাইতেন তেমনভাবে রমাকে না পেলেও পেয়েছেন ছুটিকে। ধূ-ধূ তৃষ্ণাতুর জীবনে স্নিগ্ধ হিম শীতল ভালবাসার প্রতিশ্রুতি হয়ে ধরা দিলো ছুটি। কিন্তু পারলো কি সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে? সরল একজন সুখী মানুষ হওয়াই যার প্রবল ইচ্ছা সেই সুকুমার বোস কি পারলেন সুখী মানুষ হতে? জীবন তো কোন সরল অঙ্ক না যার হিসাব খুব সহজে মিলে যাবে! এই তীব্র গভীর প্রেমের শেষ পর্যায়ে লেখক বুদ্ধদেব গুহ আবিষ্কার করেন এক তীব্র সত্য কে..!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃএকটু উঞ্চতার জন্য লেখকঃবুদ্ধদেব গুহ প্রকাশনীঃআনন্দ পাবলিশার্স মূল্যঃ৪৫০টাকা আমি বাংলা সাহিত্যে আমার জীবনের অন্যতম সেরা পঠন হিসেবে গ্রহণ করেছি "একটু উঞ্চতার জন্য" উপন্যাসটিকে। আমি জানি না কত লোক এটি পছন্দ করেছে বা কিছুই পছন্দ করেছে, তবে আমি এটি পড়ার সময় আমি আক্ষরিকভাবে অনুভব করেছি, কাঁদছি, হেসেছি, ভয় পেয়েছি, হতবাক হয়েছি।গল্পটি মূল চরিত্রের চারপাশে ঘোরাফেরা করে যিনি একজন আইনজীবী এবং একজন লেখক এবং তাঁর উপর নির্ভরশীল নয় এমন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মহিলাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।প্রেমের বিবাহের পরিবর্তে তারা একে অপরের সাথে সামঞ্জস্য করতে পারেনি এবং একাধিক কারণে প্রেমটি ম্লান হতে শুরু করে। এই সময়, অন্য মহিলা 'চুটি' তার লেখার প্রান্তের কারণে নায়ক 'সুকুমার বসুর' প্রেমে পড়েছিলেন। গল্পটি বিকশিত হয়েছিল যে কীভাবে সুকুমার তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়, এতোটুকু কারও কাছে ভালবাসার পরিবর্তে একাকী হয়ে থাকে। তিনি যে জিনিসগুলির আগে মূল্যবান হতে পারতেন সেটিকে কীভাবে মূল্য দিতে পারেন না। তিনি কীভাবে ভুল বোঝাবুঝির পাইলস তৈরি করেছিলেন, যার ফলে তিনি তাঁর সমস্ত কিছু আলগা করে দিয়েছিলেন।বুদ্ধদেব গুহ এটিকে এত উপাদেয়তার সাথে লিখেছিলেন, আমি দীর্ঘকাল এই পড়ার দীর্ঘ প্রভাব এড়াতে পারব না।যারা কোথাও না কোথাও হেতু হয়েছে, সবকিছু শরীর আর টাকা সর্বস্ব বলে জেনে এসেছে- তাদের কাছে এটি উপভোগ্য না হবারই কথা। সূক্ষ অনুভুতি, পুরুষের ভেতরে চলা টানা পোড়ন, ভালোবাসা, নারীর দিকের আবাহন আর সাথে গঞ্জের প্রকৃতি আর মানুষেরা - সব মিলিয়ে অন্য একটা জগতে যেতে চাইলে, একটু অন্যরকম উষ্ণতার খোঁজ হিসেবে চমৎকার এক পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
"মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুঁটি, আজ আমাদের ছুটিও ভাই, আজ আমাদের ছুটি।" অনেকে কল কারখানার ধোয়ার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ছুটি চায়। আবার কেউ বা আতড়ের কারখানার মিষ্টি গন্ধ থেকেও ছুটি চায়! রাজ প্রাসাদে থেকেও অনেকে শান্তি খুঁজে বেড়ায়! দিন মজুর হয়েও অনেকে শান্তিতে আছে! শান্তি না পেয়ে এই পৃথিবীতে থাকার ইচ্ছাটা শেষ হয়ে যাওয়া অনেক মানুষ ছুটি চায় নিজ থেকেই! ছুটি কি পায়? নাকি ছুটি চাওয়াতেই অধিক তীব্র যন্ত্রণা? লেখকের পুরো আয়োজন 'ছুটি'কে নিয়েই! আজ আপনাদের বলব, ছুটি চাওয়া এক লেখকের গল্প।মিঃ সুকুমার বোস। আমরা উনাকে 'সুকু' বলেই জানব। আগে ছিল উকিল। যার ডায়লগ শুনে ঢোক গিলতে হত বিপক্ষ দলের উকিল পর্যন্ত! সেই কলকাতার বিখ্যাত উকিল সুকু আজ বন পাহাড়ের পাদদেশে নির্জনতায় দিন কাটাচ্ছে! কেন? কারণ, তার এমন এক রোগ হয়েছে, যা সহ্য করতে না পেরে পৃথিবী থেকে 'ছুটি' চায় সে! তার কাছেই হঠাৎ এক চিঠি আসল। চিঠি মারফত জানতে পারল যে, 'ছুটি' আসছে। একটি মেয়ের নাম ছুটি। মেয়েটি লেখক বোসের অনেক বড় ভক্ত। লেখক পাগল পাঠিকা যাকে বলে সেই হচ্ছে 'ছুটি'। সুকুর স্ত্রী রমা। ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়েই পরিচয় রমার সাথে। প্রেম করে বিয়ে করে ফেললেন সুকু। কিন্তু কিছুকাল পর রমা আর সুকু কিছুতেই একে অপরের বুঝে উঠতে পারছে না! যখনি তাদের সংসারে চলছে ঘোর অশান্তি ঠিক তখনি আসল এই 'ছুটি'। এখন বন পাহাড়ের পাদদেশে সুকুর নির্জন বাড়িতে আসল ছুটি। এসেই সেবা করা শুরু করল সুকুর। যেন এই জনমে সুকু ছাড়া আর কাউকেই সে চিনে না! কি এক অপূর্ব প্রেম! ভালো লাগার মানুষ পাশে পেয়ে সুকু আস্তে আস্তে ভালো হয়ে উঠছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে 'রমা'। সুকুর স্ত্রী রমা' যদি তাকে ডিভোর্স না দেয় তাহলে সে কিভাবে ছুটিকে চির জীবনের জন্য আপন করে নিবে?সুকুর বাড়ির পাশেই লাবু নামক এক কিশোর থাকে, পরিবার নিয়ে। লাবুর সাথে সখ্যতা গড়ে উঠল সুকুর। লাবুর সাথে ঘুরতে গিয়ে সুকু যেই রাজ্য দেখল তা সে কোনো দিন শুনেনি আর পড়েও নি রূপকথার কোনো বইয়ে! কি এক অপূর্ব রাজ্যের রাজা লাবু! পাশেই আছে মিস্টার বোয়েলসের বাড়ি। ভদ্রলোক একা থাকে প্রায় ত্রিশ বছর। কিন্তু এখনো বেঁচে আছেন জীবনকে ভালোবাসেন বলেই! মিস্টার বোয়েলসের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ঘটা ঘটনা পড়ে যে কোনো পাঠকের চোখ ছলছল করে উঠবে অজান্তেই! আর স্টেশনের টিকেট কাটা কর্মচারী শৈলেন আর নয়নতারা নামক এক বরিশালী মেয়ের যে অভূতপূর্ব প্রেমের কাহিনী গল্পে ফুটে উঠেছে তা আজকালকার ছেলেমেয়েরা যারা ভালোবাসা নিয়ে খেলা করে তাদের জন্য শিক্ষা শিক্ষার এক সুবর্ণ সুযোগ! চাইলেই কেহ শৈলেন হতে পারে না! কিন্তু শৈলেন কি এমন করেছে? যা আজও পাঠকের নিকট দৃষ্টান্ত হয়ে আছে! আর কিশোর লাবু যেভাবে গল্প থেকে হঠাৎ বিদায় নিল তার রাজ্য ফেলে, সেটা কোনো পাঠক ঘুর্নাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেন নি! এভাবেই কি সবাই পালিয়ে যায়? পালিয়ে গেলেই কি ছুটি?সুকুর স্ত্রী রমা হঠাৎ কি বুজে যেন সুকুর নির্জন বাড়িতে এসে উপস্থিত! বলা নেই কওয়া নেই! এটা কি ঝড়ের পূর্বাভাস? নাকি মিলনের আগ্রহ? ছুটি আর সুকুর দেওয়া চিঠি পড়ে পাঠক যখন বুঝতে পারবেন যে, সুকু আর ছুটির প্রেমের অপরিমিত গভীরতা ঠিক তখনি টনক নড়ে উঠবে পাঠকের! লেখক বোধহয় পাঠকের শেষ পর্যন্ত পড়ার উৎসাহ দিতেই এই কান্ড ঘটালেন। অবিবাহিত কোমল মনের অপূর্ব সুন্দরী ছুটির এখন কি হবে? রমা যদি এখন সুকুর সাথে মিলিত হয় তাহলে ছুটি কার কাছে যাবে? নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে ছুটি যেই ভালোবাসা বুনল শীতের সোয়েটারের মতো সেই সোয়েটার কি বোনার আগেই ছিড়ে যাবে? নাকি রমা কে ফেলে প্রেমের সাগরে ডুবে যাওয়া ছুটিকে টেনে তীরে তুলতে এগিয়ে আসবে সুকু? অসম্ভব রকমের এক ঘোরের মধ্যে পাঠক! যেন টি-টুয়েন্টির সুপার ওভার চলছে! কি হবে সামনে? সকল পাঠক তাকিয়ে লেখকের কলম চলার ধীর গতিতে!পুরো গল্পতে ছিল টানটান উত্তেজনা! জোৎস্না রাতের চাঁদের আলোয় কবরস্থান থেকে ভেসে আসা আওয়াজের মতো কম্পিত বইয়ের পাতা! লাবুর অভূতপূর্ব রাজ্য হয়তো কোনো পাঠক দেখেনি কখনো, ঠিক আমারই মতো! মিস্টার বোয়েলসের কুকুরের ঘেউ ঘেউ করে ডেকে উঠার সাথে যেই করুন স্বর! সেই স্বর শুনে হয়তো শুকিয়ে যাবে চোখের জল! পাহাড়ের মাঝে আকাবাকা রাস্তায় যেন হেটে চলছি আমি। পুরোটা গল্পে আমি যেন লেখক সুকুর কলম! বারবার হারিয়ে গিয়েছি হলুদ ফুল দিয়ে সাজানো ক্ষেতের মধ্যখানে, সুকু আর ছুটির সাথে! শৈলেনের মতো আমারও ইচ্ছা জেগেছে, নয়নতারার মতো কাউকে কিছু দেখাবার! আর রমা? রমার প্রতিটি আগমনে চমকের সাথে, দোলতে দোলতেই গল্পের শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছি। গল্পের প্রতিটি পাতা পাঠ করে আমারও মন চেয়েছে সুকুর মতো নির্জনতায় হারিয়ে প্রকৃতিকে একান্ত আপন করে পাওয়ার! আমার মতো আপনিও হাটতে পারবেন, লেখক সুকু আর কিশোর লাবুর পাহাড়ী আকাবাকা রাস্তায়! অনেকে হতে চাইবেন, লাবুর অবিস্মরণীয় রাজ্যের প্রজা। আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই চমৎকার বইটি পড়ার জন্য। পড়ার পর হয়তো আপনি একরাশ সুখের সঙ্গে উচ্চারণ করবেন নিজের অজান্তেই যে, "ইশশশ! আগে কেনো পড়লাম নাহ?" কথা দিচ্ছি, আমার মতো আপনিও মুগ্ধ হবেন।