User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কাকাবাবু মানেই adventure। এই গল্পটা তার ব্যতিক্রম হয় কিভাবে!! পড়া শুরু করেছিলাম অনেক আগ্রহ আর উত্তেজনা নিয়ে। শেষ অবধি সেটা টিকে ছিলো। কারণ, এটাই কাকাবাবুর গল্প।
Was this review helpful to you?
or
অনেকেই অনে্ক গোয়েন্দা বই পড়েছি । আর সবার কাছেই ফেলুদা; তিন গোয়েন্দা; মিসির আলীর মতো চরিত্র অনেক পরিচিত।কিন্তু কাকাবাবুও যে কোনো দিকে এদের থেকে কম নয় তা এই বই না পড়লে বুঝা সম্ভব না।একজন মনের বল আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির জোরে যে যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারে তা এই বই না পড়লে বুঝা যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
শেষ করেই তবে রিভিউ দিতে আসলাম।কাকাবাবুকে নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলবো না।শুধুমাত্র বইয়ের গুণগত মান গুলোর একটা রিভিউ দিলাম! বইঃকাকাবাু ও সিন্দুক রহস্য। লেখকঃসুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। প্রকাশকঃআনন্দ প্রকাশনী,ভারত। মূল্যঃ ২২৫টাকা! বইয়ের পৃষ্ঠার মানঃ১০/১০ বইয়ের বাইন্ডিংঃ১০/১০ রকমারি বরাবরের মত সবসময়ই অরিজিনাল কপি নিয়ে কাজ করে তাই বইয়ের মূল্য নিয়ে হা হুতাশ করার কিছুই নেই!ভারত থেকে বইগুলো এনে আমাদের হাতে পৌছে দিতেই বইয়ের মূল্য বেড়ে যায়।তাছাড়া বইয়ের মূল্য মুদ্রিত মূল্য থেকে বেশি হওয়ার কারণ কলকাতার টাকা এবং বাংলাদেশের টাকার মূল্যমান এক না!বইটির বাইন্ডিং সত্যিই উন্নত মানের,পৃষ্ঠাগুলোও দারুণ,তাছাড়া ছাপানোর জন্য উৎকৃষ্ট মানের কালি ব্যবহার করা হয়েছে তাই ঘষা লাগলেও উঠে যায় না সহজে!কলাকাতার বইগুলোতে অন্যরকম একটা গন্ধ থাকে যা বইপোকার জন্য একটা দিনকে ভালো করার খোরাক!যাই হোক বইপ্রেমী হিসেবে বইয়ের মূল্য এ নজর না দিয়ে এমন একটি বই কিনে ফেলতেই পারেন
Was this review helpful to you?
or
কাকাবাবু আর সন্তুর আরও একটা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী 'কাকাবাবু ও সিন্দুক-রহস্য'। বোনাস হিসেবে আছে জোজোও। আর 'কাকাবাবু ও সন্তু' সিরিজের ভক্ত মাত্রই জানেন, জোজো থাকা মানে কাহিনীর পরতে পরতে হিউমারের উপস্থিতি। এই বইতেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। জোজো তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় গুলপট্টি মারার ছলে হাসাতে থাকবে সকলকে। সাথে সন্তুর বুদ্ধিমত্তা ও রসবোধের পরিচয়ও পাওয়া যাবে যথারীতি। সর্বোপরি কাকাবাবুর সেই চিরচেনা বিচক্ষণতা, অনুসন্ধিৎসা আর সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে থাকার চিত্র তো আছেই। ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষে সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। এরপরই ইতিহাসের অন্যতম বর্ণিল চরিত্র নানাসাহেব লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। তার খোঁজ আর কেউ পায়নি। তিনি কি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তা আজও রহস্য। কাকাবাবু অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন নানাসাহেবের আসলে কি হয়েছিল। সেই অনুসন্ধানেরই এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন যে, সম্ভবত ১৮৫৮ সালে নানাসাহেব মুঙ্গেরের রাজ পরিবারে কিছুদিনের জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সন্তু আর জোজোকে নিয়ে কাকাবাবু হাজির হন মুঙ্গেরের সেই রাজ পরিবারে। কি কারণে কাকাবাবু মুঙ্গেরে গেছেন তা তিনি চেয়েছিলেন গোপন রাখতে। কিন্তু কিভাবে যেন চারিদিকে চাউর হয়ে যায়, কাকাবাবু বোধ হয় সিন্দুক-রহস্যের সমাধান করতে মুঙ্গেরে এসেছেন। এই গুজবের যথেষ্ট ভিত্তিও ছিল। কেননা কাকাবাবু ও সন্তুদের মুঙ্গেরে যাবার মাত্র কদিন আগেই রাজবাড়ির কাছের এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি সিন্দুক আর সাতটি মড়ার খুলি। কাকাবাবু যাতে এই রহস্যের কিনারা না করতে পারেন এবং রাজপ্রাসাদে পৌঁছুতে না পারেন, সেজন্য শুরু থেকেই কে বা কারা কাকাবাবুর ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগল। তারপরও কাকাবাবু আর সন্তুরা সমর্থ হল কোনরকমে রাজবাড়িতে পৌঁছাতে। কিন্তু সে রাতেই চুরি গেল সেই সিন্দুক। কাকাবাবু চান নাই সিন্দুক চুরির রহস্য নিয়ে মাথা ঘামাতে। কিন্তু এক পর্যায়ে জানতে পারলেন, সিন্দুক রহস্যের সাথে নানাসাহেবের মুঙ্গেরে আসার যোগসাজশ আছে। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। কুচক্রীদের আক্রমনে কাকাবাবু, সন্তু আর জোজোর প্রাণ তখন ওষ্ঠাগত। শেষ পর্যন্ত কি এ যাত্রায় রক্ষা পাবে তারা? কাকাবাবুর মুঙ্গের আসার উদ্দেশ্য কি সার্থক হবে? সিন্দুক চোরদেরও কি প্রাপ্য শাস্তি দেয়া যাবে? সবমিলিয়ে যথারীতি টানটান উত্তেজনা, টেনশন, রোমাঞ্চ আর তার ফাঁকে ফাঁকে নির্মল বিনোদনের দেখা মিলবে 'কাকাবাবু ও সিন্দুক-রহস্য' বইয়ে। এই সিরিজের ভক্ত আছেন যারা, তারা তো বটেই পাশাপাশি সুনীলের সব বয়সী পাঠকেরাই দারুণ মজা পাবেন বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
খিচিং- একটা জায়গার নাম। নামটা বড়ই অদ্ভূত। এই খিচিং ছিলো একসময় ময়ূরভঞ্জ রাজাদের রাজধানী। সেই আমলের রাজবাড়ি এখনো বিদ্যমান খিচিংয়ে। কিন্তু রাজবাড়ির অবস্থা খুব খারাপ। আগের সেই জৌলুস এখন আর খুজেঁ পাওয়া যায় না। কাকাবাবু, সন্তু আর জোজোরা সেই খিচিংয়ে এসেছে কিরণচন্দ্রভঞ্জদেও এর নিমন্ত্রণে। ভঞ্জদেওদের বাড়িটা এককালে মস্ত বড় প্রাসাদ ছিলো তা কাকাবাবু সন্তু কিংবা জোজোকে না বললেও তারা বুঝতে পেরেছে। কিরণচন্দ্ররা রাজ পরিবারের লোক হলেও বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা খুব উন্নত না। সে যাই হোক, কাকাবাবুর মূলতঃ খিচিংয়ে আসার কারণ হলো, ইতিহাসের কিছু তথ্যেরর যাচাই-বাছাই করা। আমরা সবাই জানি, ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষের সিপাহী বিদ্রোহের কথা। সিপাহী বিদ্রোহের প্রধান নেতা মঙ্গল পান্ডেকে প্রথমেই মেরে ফেলা হয়, ঝাসিঁর রানি লসমিবাই আত্মহত্যা করেন, দিল্লির বাহাদুর শাহকে নির্বাসন দেয়া হয় আর বিঠুরের নানসাহেব- তাঁর যে কি হয় কেউ তা জানে না। কাকাবাবু সেই তথ্যই খুজেঁ বেড়াচ্ছেন। অনুসন্ধানের একটা পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, নানসাহেব খিচিংয়ের রাজপরিবারে এসে কিছুদিন ছিলেন। তারই সত্যতা যাচাই করতেই কাকাবাবুর খিচিং আগমন। কাকাবাবু তার আগমনের কারণ গোপন রাখতে চান বরাবরের মতোই। কিন্তু পারেন না। কাকাবাবু ঝামেলা এড়াতে চাইলেও ঝামেলা তার পিছু ছাড়ে না। খিচিং পৌছাতেঁই কে বা কারা গুজব রটিয়ে দিয়েছে, কাকাবাবু সিন্দুকের রহস্য উদঘাটন করতে এসেছেন। এমনকি কাকাবাবুদের ক্ষতি করতেও উঠে-পড়ে লেগে গেলো তারা। অথচ কাকাবাবু জানেনই না কিসের সিন্দুক, কার সিন্দুক। কাকাবাবুরা খিচিং যাওয়ার আগেরদিনই এই রাজবাড়ির কাছের এক পুকুর থেকে এক বিরাট বড় সিন্দুক পাওয়া গিয়েছে। সবার ধারণা, কাকাবাবু সিন্দুক রহস্যের কাজেই খিচিং গিয়েছেন। তবে কাকাবাবুর সিন্দুক নিয়ে আগ্রহ না থাকলেও রহস্যের সমাধান তো আর কাকাবাবুকে ছাড়া হবেনা। সেই সিন্দুক রহস্যের কাহিনী নিয়েই লেখা "কাকাবাবু ও সিন্দুক রহস্য" বইটি।