User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই: সোনার কেল্লা লেখক: সত্যজিৎ রায় পুজোর ছুটি চলছিল। এক রবিবারে সুধীর ধর নামে এক ভদ্রলোক ফেলুদার কাছে এসে তার ছেলের ব্যাপারে বলেন। কিছুদিন আগে তার ছেলে মানে মুকুল ধরের খবর পত্রিকায় বেরিয়েছিল। মুকুলের নাকি আগের জন্মের কথা মনে পড়ে গেছে। আর এরকম হলে তাদেরকে জাতিস্মর বলে। মুকুল প্রায়ই বলে 'সোনার কেল্লার' কথা। তার হাতে একটা দাগ আছে যেটা নাকি ময়ুরের ঠোকরে হয়েছে। মুকুলের মতই দেখতে পাড়ার আরেকটা ছেলেকে কারা যেন ধরে নিয়ে যাওয়ায় তার বাবা মানে সুধীর ধর চিন্তিত হয়ে ফেলুদার কাছে আসেন যাতে তিনি ব্যাপারটা একটু দেখেন। ড. হাজরা মুকুলকে নিয়ে রাজস্থানে যাবার পরদিনই পাড়ার ছেলেটিকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাই সুধীর ধর চান তিনি যাতে যোধপুর গিয়ে একটু দেখেন যদি কোনো গণ্ডগোল হয়। যাবার সময় লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ুর সাথে ফেলুদা আর তোপসের দেখা হয়। জটায়ু রহস্য রোমাঞ্চ লেখক। ততদিনে প্রায় ২৫ টি লেখা বের হয়েছে। ওদিকে ড. হাজরা আর মুকুল যেখানে আছেন সেখানেই ফেলুদা আর তোপসে ওঠেন। সবাই একই সাথে সোনার কেল্লা খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। সেখানে গিয়ে ড. হাজরা আর মুকুল একটা কেল্লার পাশে ঘুরতে গেলে তাদেরকে পাওয়া না গেলে সবাই মিলে খুজতে শুরু করে। ড. হাজরাকে পাওয়া যায় হাত বাধা অবস্থায়। পরদিন সকালে ড. হাজরা আর মুকুল সকাল সকাল বের হয়ে পড়েন কাউকে না জানিয়ে। কিন্তু কেন?
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
এই “সোনার কেল্লা” কেই লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে জটায়ুর আবির্ভাব।সত্যজিৎ রায় যে দুটো ফেলুদার উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন তার প্রথমটিই এই “সোনার কেল্লা”।এই বইটি সব ফেলু মিত্তির ভক্তদের মনে বিশেষ স্থান নিয়ে আছে। শৈশবের ভালোবাসা বেসেছিলাম ফেলুদা-তোপসে আর জটায়ু কে আজও বাড়ছে সেই ভালোবাসা।কোনো বিকেল বেলায় সোনার কেল্লার জগতে হারাতে ইচ্ছা করে বারবার....
Was this review helpful to you?
or
awesome book.
Was this review helpful to you?
or
সোনার কেল্লা আমার কাছে সবসময় যে কারনে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাবে সেটা হলো এই গল্পের মাধ্যমেই আবর্ভাব ঘটে জটায়ুর। ফেলুদা সিরিজের প্রথম দিকের উপন্যাস এটি। এর আগে মাত্র ফেলুদার ৪/ ৫টি উপন্যাস বেরিয়েছিলো। কিন্তু তখনো কাহিনীতে বিখ্যাৎ লেখক লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ুর আগমন ঘটেনি। জাতিস্মর দাবি করা এক ছেলের গল্প নিয়েই কাহিনীর সূত্রপাত। তার নাম মুকুল । সারাদিন সে সোনার কথা বলে, সোনার কেল্লায় যেতে চায়। সোনার কেল্লার ভেতর গুপ্তধনের উপস্থিতির কথাও জানিয়েছে সে। এই খবর শুনে ডক্টর হাজরা নামে এক প্যারাসাইকোলজিস্ট মুকুলকে নিয়ে তিনদিন আগে রওনা দিয়েছেন যোধপুরে। মুকুলের বাবা ভয় পাচ্ছে যোধপুরে গিয়ে যদি মুকুলের ওপর এবার হামলা চালায় কিডন্যাপাররা? এজন্য মুকুলের নিরাপত্তার স্বার্থে ফেলুদাকে যোধপুরে যেতে অনুরোধ করতে এসেছেন উনি। কেসটি নিল ফেলুদা। তোপসেকে নিয়ে চলল রাজস্থানের উদ্দেশ্যে। ট্রেনেই দেখা হল জটায়ুর সাথে। এছাড়াও যোধপুরের গেস্ট হাউজে গিয়ে দেখা মিল মিস্টার বোস নামে এক লোকের। এছাড়া ডক্টর হাজরা আর মুকুলকে তো পাওয়া গেলই। ইতোমধ্যে দেখা মিলেছে রাজস্থানী স্থানীয় পোশাক পরা আরেক সন্দেহজনক চরিত্রেরও। এরপর একে একে ঘটতে লাগল অনেক ঘটনা। ফেলুদা কোলকাতা ফিরে যাওয়ার হুমকি বার্তা পেল। মুকুলকে নিয়ে ফেলুদাকে কিছু না জানিয়েই সটকে পড়লেন ডক্টর হাজরা। এরপর তোপসে আর জটায়ুকে নিয়ে শুরু হল ফেলুদার অ্যাডভেঞ্চার। পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হল তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি মুকুলকে পাওয়া যাবে? এক নিঃশ্বাসে পড়ে আজকেই শেষ করে ফেলুন না। আর এই বইটির গল্প নিয়ে সিনেমাও তৈরি করেছিলেন সত্যজিত। সে আরেক কাহিনী। পরে কোন একদিন না হয় আলোচনা করা যাবে।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে সিনেমাটা দেখা হয়েগিয়েছিল। কারণ তখন কোলকাতার বই পেতে অনেক কাঠখর পোড়াতে হতো। পড়ার পর মনে হলো কি আশ্চর্য মানুষ এই মানিকদা! হুবুহু যেন বই থেকে উঠে এসেছে। উনি মারাত্মক রকম পারফেকশনিস্ট ছিলেন তাই লেখাতেও এত বেশি খুটিনাটি রাখতেন পড়তে পড়তে মনে হত যেন আমিও ফেলুদার তোপসে হয়ে গেছি। এই গল্পটি প্রথম বের হয় ১৯৭১ সালে আর ১৯৭৪ ই সিনেমা তৈরী করে ফেলেন রায় বাবু, ভাবতেই পারিনা আমার জন্মেরও বহু আগেই সিনেমা হয়ে গিয়েছিল। আমি জাতিশ্সরের অনেক গল্প সিনেমা দেখেছি কিন্তু এটির গল্প একটু ভিন্ন। মুকুল ১০/১১ বছরের বাচ্চা ছেলেটা যখন রাতের পর রাত অদ্ভুত অচেনা জায়গার ছবি একে চলে বাধ্য হয়ে তার বাবা মানুষের কাছে ছুটোছুটি শুরু করে রোগ সরানোর জন্য কারণ মুকুলের দাবী সে কোলকাতার ছেলেই নয়। খবর একান ওকান হয়ে চলে আসে সাংবাদিক। মুকুটের ইন্টারভিউ নিয়ে ছবিসহ কাগজে চলে আসে। তার পরই পাড়ার মুকুলের এক বন্ধু অপহরণ হয় এবং পরের দিন সকালে আবার তাকে পাওয়াও যায় অজ্ঞান অবস্থায়। এতে মুকুলের বাবা বাধ্য হন গোয়েন্দা ফেলু মিত্তিরের সাহায্য নিতে। এই গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই গল্পেই ফেলুদার সাথে লালমোহন বাবুর পরিচয়। লালমোহন গাঙ্গুলি যিনি একজন রহস্য রোমাঞ্চ লেখক। ছোটখাটো মানুষ কিন্তু সাহসের অভাব নেই তাই ইনি ফেলুদার বাকি সব গল্পে থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের মত থেকে যান। রাজস্থানে যারা যাননি তারা এই গল্পের মাধ্যমে রাজস্থানের রঙিন এবং দুধর্ষ জীবন দেখতে পাবেন। মূলত এক বাটপার মধ্য রাস্তা থেকে মুকুলকে অপহরণ করে নেয় প্যারাসাইকোলজিস্ট ডঃ হাজরার কাছ থেকে। এর মাঝেই ফেলুদা পৌছে যায় চিত্রে। তারপরই শুরু হয় ক্রিমিনাল আর ফেলুদার টান টান উত্তেজনার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মারপিট, পাহাড় থেকে গড়িয়ে ফেলা, গোলাগুলি, কাকরাবিছে, ট্রেন, উটের পিঠে চড়ে মরুভূমিতে এডভেঞ্চার কি নেই। না পড়ে থাকলে এখনই পড়ে ফেলুন। সত্যাজিত রায়ের বইগুলি মূলত বই পড়ুয়াদের কালেকশনের বই।