User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
সাম্প্রতিক সময়ে ফেলুদার গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র সমূহের মধে 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' অন্যতম। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই কাহিনীটির জনপ্রিয়তা ফেলুদার অন্য অনেক কাহিনী অপেক্ষা অধিক। তবে তাই বলে 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' যে ফেলুদা সিরিজের অন্যতম সেরা কাহিনী এমন দাবি আমি করছি না। এটাকে সেই অর্থে একটা উপন্যাসও বলা চলে না, এর সীমিত পরিসরের কারণে। তাই উপন্যাসের বদলে এটিকে একটি 'বড় গোয়েন্দা গল্প' বলাটাই বোধ হয় সমীচীন। এই গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, লালমোহনবাবু মিষ্টি নিয়ে সময়ের আগেই হাজির হয়েছে তোপসেদের বাড়ি যা তার স্বভাবের সাথে একদমই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাহলে লালমোহনবাবুর এই নিয়মভঙ্গের কারণ কি? কারণ হল একটি সুখবর। তার লেখা বই 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' হতে বোম্বাইয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে, তাও আবার পরিচালনা করছে গড়পাড়েরই এক বাঙালি পুলক ঘোষাল। শুটিং দেখতে লালমোহনবাবু আমন্ত্রন জানালেন ফেলুদা আর তোপসেকে। এর ফাঁকে এ-ও জানালেন যে সান্যাল নামের এক ভদ্রলোক তার বাড়ি গিয়েছিল ছবির জন্য অফার করতে। লালমোহনবাবু তাকে কথা দিয়েছেন নিজের পরবর্তি উপন্যাসটি দেবার। যাইহোক, বোম্বাই যাবার দিন দিন দেখা গেল, লালমোহনবাবুর হাতে একটি ব্রাউন পেপারে মোড়ানো বই যা তিনি পেয়েছেন সেই সান্যালের কাছে। এখন তার দায়িত্ব বইটি বোম্বাই গিয়ে এক লোকের হাতে পৌঁছে দেওয়া। লালমোহনবাবু সেটাই করলেন। কিন্তু যেই লোকের হাতে বইটা দিলেন, তার আচরণ সন্দেহজনক ঠেকল ফেলুদার কাছে। তাই ট্যাক্সি নিয়ে সেই লোককে ফলো করতে লাগল তারা। সেই লোকের পিছু পিছু তোপসেরা পৌঁছে গেল শিবাজি ক্যাসলে, যেই বাড়িতে থাকেন 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' ছবির প্রযোজক! ফেলুদা তার যা জানার তা জেনে নিল। পরে খবর পাওয়া গেল শিবাজি ক্যাসলের লিফটেই খুন হয়েছে কোন এক লোক। লিফটে আবার একটা কাগজ পাওয়া গেছে যেখানে লালমোহনবাবুর নাম লেখা। পুলিশের চোখে সন্দেহভাজন হলেন লালমোহনবাবু। ওদিকে ফেলুদা বুঝে গেছে, লালমোহনবাবুর হাত দিয়ে সান্যাল নামের লোকটি কোন এক চোরাই মাল পাচারের চেষ্টা করেছিল যার সাথে ভারতের এক উল্লেখযোগ্য ইতিহাস অতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এখন দেখার বিষয়, ফেলুদা কি লালমোহনবাবুকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে? চোরাই মাল পাচারের এই রহস্যের সমাধান করতে পারবে? সান্যাল নামে কে লালমোহনবাবুকে ফাঁসাতে চেয়েছিল তার হদিস করতে পারবে? এই নিয়েই বেশ জমজমাট কাহিনী 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে'র। এই গল্পের মাধ্যমে প্রথমবার লেখক সত্যজিৎ রায় ফেলুদাকে নিয়ে এসেছিলেন বোম্বাইয়ে। তৎকালীন বোম্বাইয়ের প্রেক্ষাপটে রচিত এই গল্পে একই সাথে বোম্বাইয়ের সিনেমার জগত এবং অপরাধ জগত, দুই-ই তুলে ধরেছেন তিনি। তাই ফেলুদাভক্ত সহ যেকোন গোয়েন্দা গল্প প্রেমীদের জন্যই 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' হতে পারে দারুণ উপভোগ্য একটি রহস্য কাহিনী।