User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সত্যজিৎ রায়ের ১০১টি গল্প নিয়ে এই বইটি সাজানো হয়েছে। বইটিতে রয়েছে তার লেখা অসম্ভব সুন্দর কিছু গল্প যেগুলো খুব সহজ ও সাবলীল ভাবে লেখা হলেও যে এই গল্পসমগ্র পুরোটা পড়বে তার ভিতর থেকে যাবে এর অদ্ভুত রকমের মুগ্ধ হওয়ার রেশ। তারিণীখুড়োর দুঃসাহসিক গল্পগুলো ছাড়াও বইটি তে রয়েছে পুরষ্কার, প্রফেসর হিজিবিজবিজ,খগম, ভুতো, সুজন হরবোলা, বর্ণান্ধ, টেরোড্যাকটিলের ডিম, সেপ্টোপাসের খিদে, দুই ম্যাজিশিয়ান, নীল আতঙ্ক ইত্যাদি ভীষন রকমের মজাদার সব গল্প। সাথে রয়েছে তার নিজের করা কিছু অনুবাদ গল্প। আর্থার কোনান ডয়েল, রে ব্রাডবেরি, আর্থার সি ক্লার্ক এর অসাধারন কিছু গল্পের অনুবাদ। আরো আছে সত্যজিৎ রায়ের অনুবাদ করা মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প। কল্পনা, সাহিত্যের নিপুণ শৈলী এবং নিজস্ব সৃজনশীল চিন্তা দিয়ে মনোমুগ্ধকর ভাবে গল্প লিখেছেন তিনি। যদি কেউ নিজের অবসর সময়কে নানান রঙের গল্পে রঞ্জিত করতে চান, তাহলে বলবো অবশ্যই এই গল্পসমগ্র টি পড়তে পারেন। আশাকরি ১০০ তে ১০১ ভাগই ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
টু জেনারেশন জেড (যারা ফেলুদা টেলুদা কখনো দেখেননাই বা বই পড়েননাই), নেটফ্লিক্স অথবা টরেন্টের কল্যানে Ray দেখে অনেকেই তো সত্যজিৎ রায়ের গল্প সম্পর্কে মোটামুটি একটা আইডিয়া পেয়ে গেছেন, না? তাও দেখেন নি? আচ্ছা হৃত্তিক রোশান এর 'কোয়ি মিল গ্যায়া' তো দেখেছেন এটলিস্ট? হ্যাঁ। 'কোয়ি মিল গ্যায়া' বানানো হয়েছিলো হলিউডের মুভি 'ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল' থেকে ইনস্পায়ার্ড হয়ে, আর ওই ই.টি এর মূল গল্প টার লেখক আমাদের সত্যজিৎ রায়। এই সত্যজিৎ রায়ের'ই পুরা লাইফে লেখা সবগুলো স্ট্যান্ড এলোন গল্প/উপন্যাস/অনুবাদ নিয়ে (ফেলুদা আর প্রফেসর শঙ্কুর গুলো বাদে) ৭৬৯ পৃষ্টার এই বই 'গল্প ১০১'। সত্যজিৎ রায়ের প্রত্যেকটা গল্পের কাহিনি'ই একটা থেকে আরেকটা স্বাদে পুরো আলাদা। হয়তো একটা গল্পে দেখলেন লোকজন একটা বাগানের অচেনা ফল খেয়ে সবাই রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে, পরের গল্পেই দেখবেন ট্রেনের কামরায় এক লোক কোন এক বিদেশি সাহেবের ভুতের সাথে সফর করছে। এই গল্পে দেখবেন কেউ জঙ্গল থেকে ভুল করে মাংসাশী ও হিংস্র প্রাগৈতিহাসিক পাখি এনে পোষ মানাচ্ছে তো ওই গল্পে দেখবেন চাকরিতে কখনও ভুল না করা 'জীবন্ত কম্পিউটার' নামধারী লোক রাঁচি ঘুরতে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বেমালুম ভুলে গেছেন! আরেকটা গল্পে আছে তার পিতা আরেক কিংবদন্তী সুকুমার রায়ের তৈরি করে যাওয়া হাসজারু,হাতিমি,বকচ্ছপ, হিজবিজবিজ এর মতো আইকনিক ক্যারেক্টার গুলোর প্রতি দারুণ একটা ট্রিবিউট'ও। মোদ্দাকথা রায় সাহেবের মতো অমন ভার্সেটাইল গল্পকার কন্মিকালে দেখিনি। সব গল্পে কিছু প্যাটার্ন অবশ্য লক্ষ করেছি যেমন মোটামুটি সব ক্যারেক্টার'ই বিপত্নীক, গল্পে প্রায় সবাই কোথাও না কোথাও ঘুরতে গেছেন বা যাচ্ছেন, আর সব গুলো প্রধান ক্যারেক্টরই সৃজনশীল কিছু না কিছু করেন। কেউ লেখক, কেউ বা চিত্রকর, কেউ কেউ জাদু দেখায় তো আর কেউ গায়ক। দু' একটা গল্পে তো ভেন্ট্রিলোকুইস্ট এর'ও দেখা পেলাম! এ ছাড়া বাদবাকি পুরো কাহিনি ভিন্ন। শুধু গল্প'ই না, গল্পের সাথে মিল রেখে পাতায় পাতায় রায় সাহেবের আঁকা ইলাস্ট্রেশন গুলো দেখেও মন ভরে যাবে। আপনি হোন বারো বছরের বালক বা বিরাশি বছরের বুড়ো, এই গল্পগুলো যে কোন এইজ পিরিয়ডেই উপভোগ করতে পারবেন। সবগুলোর দেয়া তো আর সম্ভব না, কিন্তু যেসব গল্প পড়ে বেশি ভালো লেগেছে; হেসেছি,ভেবেছি, চমকে গেছি ওগুলো এক-দুই লাইনে টিনি-টাইনি রিভিও দেয়ার চেষ্টা করছি। স্পয়লার খেয়ে গেলে আমাকে মারবেন না। । (বইয়ের ভেতর গল্পের সিরিয়াল অনুযায়ী) * পুরষ্কার :- একজন আন্ডাররেটেড চিত্রকর একটুখানি স্বীকৃতির আশায় তার লাইফের সেরা এফোর্ট টুকু দিয়ে ছবি এঁকে সবচে' বড় প্রদর্শনীতে ডাকযোগে পাঠানোর পর ঘরে এসে দেখলেন আসল ছবি তার ঘরে পড়ে আছে। তিনি ভুল করে অন্য কাগজ পাঠিয়ে দিয়েছেন! * বঙ্কুবাবুর বন্ধু :- একজন সাধাসিধে রাগহীন সবার দ্বারা বুলি হওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বঙ্কুবাবু একদিন সন্ধ্যায় একা একা বাড়ি ফেরার সময় বাঁশঝাড়ে একটা গোলাপী রঙ এর একটা এলিয়েনের মুখোমুখি হন, যে ঘটনা তার আচরণ পরিবর্তন করে দেয়। * সেপ্টোপাসের খিদে :- অর্কিডের শখ ওয়ালা কান্তিবাবু তার শিকারী বন্ধুকে বললেন যেন একটা বন্ধুক নিয়ে তার বাড়িতে আসে; এমন কিছু একটা মারতে হতে পারে যেটাকে মারলেও কোনধরনের দণ্ডনীয় অপরাধের দায়ে পড়তে হবে না। (কাছাকাছি প্লটের একটা গল্প মোহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা "বিজ্ঞানী সফদার আলীর মহা মহা আবিষ্কার" এ পড়েছিলাম" * সদানন্দের খুদে জগৎ :- সদানন্দ নামের এক বালক হঠাৎ করে টের পেল সে পিঁপড়েদের ভাষা বুঝতে পারছে। (এই গল্পের বাচনভঙ্গি পুরো বইয়ের ভেতর শ্রেষ্ঠ) * রতনবাবু আর সেই লোকটা :- হুটহাট ঘুরতে পছন্দ করা রতনবাবু সিনি নামক এক জায়গায় এসে আবিষ্কার করলেন এখানে হুবহু দেখতে তার'ই মতো আরেক লোক ঘুরতে এসেছেন; যার সাথে রতনবাবুর আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ, লাইফের চড়াই-উতরাই এর'ও আশ্চর্যজনক মিল! প্রথম প্রথম মজা লাগলেও রতনবাবু ক্রমশই ব্যাপারটায় বিরক্ত হয়ে এমন এক কান্ড করে বসলেন.......! * ফ্রিৎস :- একত্রিশ বছর পর ছোটবেলার স্মৃতিমাখা এলাকায় এসে জয়ন্ত রাতে ঘুমানোর পর টের পেল কিছু একটা তার বুকের উপর দিয়ে হেঁটে গেলো। সকালে উঠে যেটার পায়ের ছাপ দেখে কোন পুতুলের পায়ের ছাপ বলে মনে হয়, ঠিক যেরকম পুতুল নিয়ে জয়ন্ত একত্রিশ বছর আগে খেলা করতো! (সব গুলো হরর গল্পে খেয়াল করলাম সত্যজিৎ রায় মূল হরর এলিমেন্টের চেয়ে ওইরকম পরিবেশ টা জমাতে পারতেন ভালো, তন্মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য) * খগম :- ইমলিবাবা নামের এক সাধুর দর্শনে গিয়ে মাথায় শয়তানি বুদ্ধি খেলায় তার পোষা বিষাক্ত কেউটে কে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলেন ধূর্জটিবাবু। তা দেখে ইমলিবাবা যে অভিশাপ দিলেন তার মানে টা আগেভাগে জানতে পারলে ধূর্জটিবাবু এই কাজ করার কথা ভুলেও মাথায় আনতেন না। (সত্যজিৎ রায়ের সবচে' পপুলার গল্পগুলোর একটা। এটা পড়ার আগে বা পরে ইউটিউব থেকে সানডে সাসপেন্স এর 'খগম' এপিসোড টা শুনে নিবেন। ওটা বেশ উপভোগ্য ) * লোড শেডিং :- অন্ধকারে ঘরে ঢুকার পর ফণীবাবু টের পেলেন এটা তার নিজের ঘর নয়। এবং খানিক বাদে আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলেন খাটের নিচে আরও কিছু একটা আছে। * মৃগাঙ্কবাবুর ঘটনা :- মাঝামাঝি বয়সে গিয়ে একদিন মৃগাঙ্কবাবু জানতে পারলেন বাঁদর থেকে মানুষের উদ্ভব হয়েছে। এরপর থেকে তার আচরণ ক্রমশ'ই বাঁদরের মতো হয়ে যেতে শুরু করলো! এছাড়াও আর্থার কনান ডয়েল, মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা সহ আরো বেশকিছু টপক্লাস অনুবাদ তো আছেই। এক কথায় বইটা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট "এস্কেপ ফ্রম রিয়েলিটি" এন্ড অফ ডিস্কাশন। টা টা ?
Was this review helpful to you?
or
এই বইটার গল্প যে কত মজার আর থ্রিলিং, তা না পড়লে বুঝা যাবে না!
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কনটেস্ট বইয়ের নাম:গল্প ১০১ লেখক :সত্যজিৎ রায় প্রকাশক :আনন্দ পাবলিশার্স মুদ্রিত মূল্য :১১৩৮ ব্যক্তিগত রেটিং : ১০/১০ পৃষ্ঠাসংখ্যা:৭৬৬ নাম শুনেই আর পৃষ্ঠা সংখ্যা দেখেই বোঝা যায় বইটা মোটেও ছোট নয়, তা ১০১ টা গল্প? হে ভাই ততগুলোই আসলে ১০১ গল্পের সারসংক্ষেপ লেখা আর মনে রাখা তো সম্ভব না তবে আমার পছন্দের কিছু গল্পের ছোট বর্ননার উপর এই রিভিউটা দিলাম.... রোমাঞ্চ,ঠাট্টা,গুপ্ত কাহিনি,হাসি,কান্না,জাদু,সাইফাই এছাড়াও নানান কিত্তি, কি নেই বইটিতে! আমার ভাষায় বলতে গেলে বইটা পুরো "আফলাতুন"। মূলত প্রতিটি গল্পই মাস্টার ক্লাস তবে এই বইয়ের সবার ও আমার পরিচিত-অপরিচিত প্রিয় কিছু গল্প দিয়েই শুরু করছি- যেমন বইটার প্রথম গল্পটাই ধরুন,নাম "পুরস্কার" - বয়স চব্বিশের একজন রোগা-পটকা মানুষ,চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যায় বেশ আলসে!তা যাই হোক মানুষটা শিল্পী। আরাম কেদারায় বসে লোকটি পেপারের একটি খবর পড়ছিল একদিন সেখানে "সোসাইটি অফ ফাইন আর্টস" এর একটি খবর ছিলো, চিএ প্রদর্শনীর।খবর দেখ চটপটে হয় তিনি দশ দিন কঠোর পরিশ্রম করে একটি চমৎকার চিএ আঁকলেন নাম দিলেন "দ্যা সমন্যামবুলিস্ট।"শেষ দিবসে ডাকে পাঠিয়ে বেশ শান্তি পেলেন, বাড়ি গিয়ে আরাম করলেন দুদিন, তারপর তার চিন্তা এলো স্টুডিওটা বেশ নোংরা হয়ে আছে তা পরিস্কারের কিন্তু আলসেমির প্রভাবে তাও করলেন না কিন্তু রাতে দু দন্ড গেছিলেন দেখতে বাতি জালিয়ে দেখেন "দ্যা সমন্যামবুলিস্ট "পড়ে রয়েছে মেঝেতে। আকাশ ভেঙে পড়লো তার মাথায় তাহলে তিনি পাঠালেন কি? খুব দুঃখ পেলেন এবং বিষণ্নতায় ভুগতে থাকলেন। তার আলসেমির জন্য যে এমন হয়েছে তা তার বুঝতে একদমই দেরি হল না। পরদিন ব্রেকফাস্ট করার সময় সোসাইটি অফ ফাইন আর্টস থেকে একটি চিঠি এলো সেটি খুলে তার মাথা আরেকবার আকাশ ভেঙে পড়লো তাদের কথা অনুযায়ী মহাশয় আপনার চিত্রকর্ম এবারের প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। ব্যাপারটা সমাধান করার জন্য সে চিত্র প্রদর্শনী টাউন হলে গেল প্রতিচিত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে তার চোখ পুরো লালচে ও ব্যাথা করতে শুরু করে দিয়েছিল পরে তিনি দেখলেন তার চিত্রকর্ম একটি দেওয়ালে সুন্দরভাবে টাঙানো রয়েছে এবং তিনি প্রথম পুরস্কার ও পেয়েছেন চিত্রটি দেখে তার ভীষণ অবাক লাগলো এরকম চিত্র তিনি কখনো আঁকেনি তবে এই চিত্রটা এলো কোথা থেকে? কিছুক্ষন ভাবলেনন পরে মনে এলো "দ্যা সমন্যামবুলিস্ট " আঁকার সময় যে রং গুলো মিশ্রিত করেছিলেন সেই রংগুলোর নিয়ে সে একটি সাদা কাগজে আঁকিবুকি করেছিলেন সেই আঁকিবুকি চিত্রটি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। [এটা গল্পের সর্ম্পূন ধারনা দিলাম বাকি গুলো কিন্তু মাঝ পথে ছেড়ে দেবো বাকিটা পড়ে নিবেন] প্রোফেসর হিজিবিজি্বিজ্ -বাবার তৈরি ক্যারেক্টার সাথে শুধু প্রোফেসর লাগানোর কাজটা শেষ করছেন তিনি।এখানে লেখক এক ঘটনার কথা বললেছেন, এমন ঘটনা যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না যেমন এই ধরেন ভূত।যাকে নিয়ে লিখেছেন তার নাম নেই, নাম জানতে চাইলে তাকে এক বিস্তার লেকচার খেতে হয়,তার মতে নাম এককালে ছিলো কিন্তু এখন নেই,দরকার পড়ে না তাই বাদ দিয়ে দিয়েছে,কেউ আসে না আর কারো তাই ডাকার প্রয়োজনো হয় না,পরিশেষে তার নাম ঠিক করলেন প্রোফেসর হিজিবিজি্বিজ্।লেখক এবার গোড়ার ঘটনায় যায়, ঘটনাটা ঘটে গোপালপুরে(উরিষ্যার গঞ্জম ডিসট্রিক্টে বহরমপুর স্টেশন থেকে দশ মাইল দূরে সমুদ্রের ধারে একটি ছোট শহর এটি), তিন বছর আফিস থেকে ছুটি না নিয়ে এই নাদেখা অথচ নাম শোনা জায়গাটা ঠিক করেন লেখক... তার পর কি হলো পড়ে নিবেন মজাটা আর নষ্ট করলাম না। অসমঞ্জবাবুর কুকুর -বন্ধুর বাড়ি ছুটি কাটাতে গিয়ে অসমঞ্জবাবুর অনেকদিনের এক শখ মিটলো,তা যাইহোক পোস্ট অফিসের রেজিট্রি বিভাগে কাজ করেন তিনি, জিবন ভালোই কাটেতার যেমনি হোক একা মানুষ।বন্ধু বাণ্ধব ও আত্ত্বীয় মানুষো তেমন নেই অনেক সময় মনে হয়েছে তার একটা কুকুর থাকলে বেশ হয়।খানদানি কুকুর তার না হলেও চলবে এমনি একটা সাধারন কুকুর। যেটা তাকে সঙ্গ দেবে,লেজ নেরে বুদ্ধী ও আল্লাদ প্রকাশ করবে।তিনি কুকুরকে ইংরেজিতে আদেশ করবেন এটাও তার একটা বড় শখ,স্টেন্ড আপ,সিট ডাউন ইত্যাদি,.... তা যাক এক ভুটানি মানুষের কাছে এক বাদামী কুকুর ছানা সাড়ে সাত টাকায় কিনলেন অসমঞ্জবাবু... এর পর আসল টুইস্ট কি তা পড়ে নেবেন তারিনিখুড়ো ও ঐন্দ্রজালিক -এখানে তারিনিখুড়োর প্রায় সব গল্পগুলোই রয়েছে যেমন তারিনিখুড়ো ও বেতাল,খেলোয়ার তারিনিখুড়ো, টলিউডে তারিনিখুড়ো, জুটি,মহারাজা তারিনিখুড়ো, গনৎকার তারিনিখুড়ো, গল্পবলিয়ে তারিনিখুড়ো।যারা এই চরিএটিকে এখন যানেন না তাদের জন্য এই বইটি আদর্শ হতে পারে।আমি এই ব্যপারে কিছু বল্লে অনেক রোমাঞ্চ নষ্ট হয়ে যাবে,ধরে নেই এটা একটা ভালো মুভির স্পয়লার দেবার মতো। গনেশ মুৎসু্দ্দির পোর্ট্রেট -সুখময়সেনের বয়স পঁচিশ পোর্ট্রেটে তার ভালো দক্ষতা, তাই তার প্রসংসাও চলে বটে সেইব্যপারে।তবে প্রতিটি শিল্পীই তো আলাদা ধাযের মানুষ,তাতে সুখময় বাবুও পিছিয়ে নেই,তিনি তাই ভিন্ন কিছু কাজ করতে গেলেন শিলং শহরে।বেশ কিছু নামিদামি মানুষের পোর্ট্রেট আঁকলে কিছুতেই তার মন পোশালো না,পরে তার সাথে দেখা হলো গনেশ মুৎসুদ্দি নামের এক মানুষের। লোকটির কন্ঠস্বর ভালো, নাক,চোখ, মুখের চাহনি বুদ্ধীদিপ্ত। তাদের কথাবার্তা চলার সময় মৎসুদ্দি বাবু সুখময় বাবুকে এক পোট্রর্ট আঁকতে বল্লেন... তবে ব্যপারটা সাধারন না মৎসুদ্দি বাবুর পঁচিশ বছর পরের চেহার পোর্ট্রট... তার পর কি হলো বাকিটা পড়ে নিবেন ঈশ্বরের 'ণ লক্ষ কোটি নাম -আমার পড়া ইংরেজি বইয়ের সবচেয়ে ভালো বাংলা অনুবাদের এটি একটি "সাইন্সফিকশন গল্প",লেখক আর্থার সি ক্লার্ক এর বইয়ের বাংলা অনুবাদ এটি।এছাড়া এটি পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সাইফাই হিসেবে গল্পটি সমাদৃত। ড: ওয়াগনার বিষ্মের সাথে নেপালের লামাদের বলছিলেন,তিনি যতদূর যানেন এর আগে তীব্বতি গুম্ফা থেকে কোন অটোমেটিক সিকুয়েন্স কম্পিউটারের ওর্ডার আসে নি, কি কাজের জন্য যন্ত্র টা চাইছেন তা একটু তারা বলবেন কি? তাদের কথা বেশ ভাড়ি গলার,প্রধান লামা বল্লেন নিশ্চই বলবেন তিনি,বলল্লেন আপনাদের মার্ক-৪ কম্পিউটার সব রকম গননার কাজ করতে পারে যদি না এক সঙ্গে ১০ টা সংখ্যার প্রয়োজন হয়। তবে তাদের কাজের জন্য আবার তারা সংখ্যার কথা ভাবছে না ভাবছে অক্ষরের কথা,যন্ত্রের সার্কিট অদলবদল করে সংখ্যার বদলে অক্ষর ছাপাতে পারলেই তাদের কাজ হয়ে যায়।তখনো কথাটি ড: ওগনারের কাছে পরিষ্কার হলো না তাই লামা বল্লেন তারা ঈশ্বরের সকল নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করছে তাতে ঈশ্বরের যতরকম নাম সবগুলোই থাকবে এবং বল্লেন তাদের বিশ্বাস ঈশ্বরের কোন নাম লিখতে নটির বেশি অক্ষরের প্রয়োজন হয় না.....বাকিটা পড়েই জেনে নেবেন।এটি আমার পড়া সবচেয়ে মজাদার সায়েন্স ফিকসন। মূলত বইটি একের পর এক আর্দশ গল্প ও কাহিনি দিয়ে পরিপূর্ণ। এতোবড় বই পেপার কপি নিয়ে পড়াই ভালো।তবে নিচে রকমারি লিংক ও পিডিএফ লিংক রইলো।ধন্যবাদ সবাইকে হ্যাপিরিডিং.... রকমারি লিংক-https://www.rokomari.com/book/42865/galpa-101 পিডিএফ লিংক -https://scirexbooks.blogspot.com/2017/12/satyajit-ray.html?m=1
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে সত্যজিত রায়ের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই । এই বইয়ে প্রত্যেকটা গল্পের প্লট এবং সিকোয়েন্স সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । প্রতিটা গল্পই যে ভাল,তা বলব না । সেটা সম্ভবও না । কিন্তু অধিকাংশ গল্পের শেষেই মুখ থেকে অস্ফুটে বেরিয়ে আসে...'অসাধারণ !'
Was this review helpful to you?
or
যে এই বই না পড়বে,সে তার কৈশর জীবন থেকে অন্যরকম রস হারাবে...
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে সত্যজিত রায়ের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই । এই বইয়ে প্রত্যেকটা গল্পের প্লট এবং সিকোয়েন্স সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । প্রতিটা গল্পই যে ভাল,তা বলব না । সেটা সম্ভবও না । কিন্তু অধিকাংশ গল্পের শেষেই মুখ থেকে অস্ফুটে বেরিয়ে আসে...'অসাধারণ !'
Was this review helpful to you?
or
আচ্ছা ফ্রিৎস নামক পুতুলটার কথা কারো মনে আছে? যার কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল! বা মানুষখেকো সেই সেপ্টোপাস! বঙ্কুবাবুর বন্ধুটি! টাইমট্রাভেলার! বেচারা শিবু আর তার শিক্ষক, ভ্যাম্পায়ার,প্রোফেসর হিজিবিজবিজ, ব্রাউন সাহেবের বন্ধু সাইমন, কিংবা ফটিকচাঁদ, পিন্টুর দাদু বা পিকু ও তার ডায়রির কথা? সেই যাদুকরের নাম কি মনে আছে? অসাধারন এই সব রঙিন, গা-ছমছমে, অদ্ভুত গল্পগুলোর সৃষ্টিকর্তার নাম 'সত্যজিৎ রায়'। এরপর তো আর কিছু বলার প্রয়োজন পড়েনা! এই রায় বাবুকে চিনেনা এমন পাঠক এপার ওপারের কোনো বাংলাতেই নেই। বিশ্ববরেণ্য হয়েছেন চলচ্চিত্রের দ্বারা। কিন্তু গল্প লিখেছেন তারও আগে। বিস্ময় ভরা গুরুগম্ভীর তত্ত্ব ছাড়া একেকটি ছোটগল্প।জানালা খুলে দিয়ে বিশাল আকাশটা দেখা আর তার গল্প পড়া একই কথা। বরং খালি চোখে দেখা রাতের আকাশে তারাদের থেকেও আরো দুরে আমাদের নিয়ে যায় তাঁর গল্প গুলো। নিজের শিল্পীস্বভাব ও অনন্য গদ্যশৈলীর কারনে প্রত্যেকটি গল্পই হয়ে উঠেছে শিশু কিশোর বয়স্ক সবার কাছে লোভনীয় সম্পদ । গল্প ১০১ এ ফেলুদা ও প্রফেসর শঙ্কু ছাড়া তাঁর লেখা অন্য সব গল্পই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সংকলনটিতে। বইপ্রেমীদের কাছে এখন পর্যন্ত গুপ্তধন স্বরূপ সম্পদ হিসেবে গণ্য একটি বই। রেটিং এর সর্বোচ্চ মঞ্চ-ও 'গল্প ১০১' এর জন্য মলীন দেখায়। সকল পাঠকের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য ।
Was this review helpful to you?
or
TWIST bole ekta shobdo ache...Jeta Satyajit-er cheye valo r keu bojhen kina amar jana nai......... OSHADHARONNNNNNNNNNNNNNNNNNNNNN GuRu.............