User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good book, thanks to rokomary to deliver it timely.
Was this review helpful to you?
or
বই : সোনার মেডেল (অদ্ভুতুড়ে সিরিজ) লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। মূল্য : ১৮০ টাকা (রকমারি) প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স। #কাহিনী_সংক্ষেপ যুবাবয়সে অলিম্পিকে লাইট হেভিওয়েট বক্সিং এর চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছিল বাবু মিত্তির। সোনার মেডেল প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে রিং এ উঠতেই পারেননি বাবু মিত্তির। তাও কিনা পেটের পীড়ার জন্য! সোনার মেডেলের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল। আর পেটের পীড়ার সেই রহস্য আজো বার করতে পারেননি বাবু মিত্তির। অলিম্পিক থেকে কলকাতায় ফেরার পরে এক বন্ধুর আহবানে পাড়ি জমায় আফ্রিকায়। তখন মাথায় তার দেশ ভ্রমণের নেশা । কিন্তু সেখানে গিয়ে জড়িয়ে যায় ডেল্টা নামক এক ক্রাইম অর্গানাইজেশনের সাথে। অস্থির প্রকৃতির বাবু মিত্তির এই জীবনেও বেশি দিন স্থির থাকতে পারেননি। তাই বছর দুই এক পরে, এক ফাঁকে পালিয়ে আসে ডেল্টা ছেড়ে সোজা কলকাতায়। এসে বিয়ে থা করে সংসারী হন। আর গড়ে তোলেন বিশাল সম্পদ। কিন্তু উগ্র মেজাজ আর কড়া স্বভাবের জন্য একমাত্র ছেলে রকির সাথেও বনিবনা ভালো ছিল না তার। ছেলে ছিল শান্ত স্বভাবের, বাবা চাইত তার মত বক্সার হোক ছেলে। তাই মা মারা যাওয়া পরে ষোলো বছর বয়সে ছেলে বাড়ি থেকে পালায়। বাবু মিত্তির তার অঢেল সম্পদ নিয়ে একা হয়ে যান। বাড়ির দুই এক জন চাকরবাকর, বন্ধু কালীপ্রসাদ আর উকিল ছাড়া কারো সাথেই যোগাযোগ নেই বাবু মিত্তিরের। যদিও বাড়িতে কিছু ছেলে ছোকরা আসে বক্সিং অনুশীলনের জন্য। এইভাবেই আধা জীবন যখন শেষ প্রায় ; হঠাৎ একদিন এক চিঠি আসে বাবু মিত্তিরের কাছে! তারপর? বদলে যেতে থাকে সব! একদিকে তার অঢেল সম্পদের উত্তরাধিকারী নিখোঁজ।অন্যদিকে নিজের জীবন নিয়ে সংশয়! তার সাথে জড়িতদেরও রেহাই নেই! এমন কি পোষা কুকুরটাও রেহাই পায়নি। এখন কি করবে বাবু মিত্তির? উকিল বন্ধুর কাছে যায় পরামর্শের জন্য। উকিল বন্ধু তার কাছে পলাশ নামের এক যুবকে পাঠায় বডিগার্ড হিসেবে। যদিও পলাশকে ছেলেটা বেশ বুদ্ধিমান আর সাহসী। তবুও পলাশকে পাশে পেয়েও স্বস্তি নেই বাবু মিত্তিরের মনে। কারণ সে জানে ডেল্টা কি জিনিস! আর এমনই সংকটময় মুহূর্তে ছেলে রকির চিঠি পায় বাবু মিত্তির! এখন কি কিরবে ডেল্টা তা বাবু মিত্তির খুব ভালো করেই জানেন! যেখানে ডেল্টা বাবু মিত্তিরের পোষা কুকুর কে ছাড় দেয়নি সেখানে তার ছেলেকে ছেড়ে দেবে? প্রশ্নই আসে না! রকিকে কিভাবে বাঁচাবে বাবু মিত্তির? নিজেই বা বাঁচবেন কি ভাবে? আর কি নিয়েই ডেল্টার এত্ত আক্রোশ বাবু মিত্তিরের উপর? সামন্য কাজই তো ছেড়ে এসেছিলেন বাবু মিত্তির! নাকি এর পেছনেও লুকিয়ে আছে কোনো রহস্য? রয়েছে কি অন্য কোনো কাহিনী? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের সোনার মেডেল বইখানি। কোলকাতার লেখকের লেখা আমার খুব একটা ভালো লাগেনা। তাই পড়া হয় কম। কিন্তু এই গল্পটা পড়েই আমি বুড়োটার প্রেমে পড়ে গেছি। এত ভালোমতোই পড়েছি যে অদ্ভুতুড়ে সিরিজের দুইটা সমগ্র সংগ্রহ করেছি। ইনশাআল্লাহ বাকি দুইটাও হয়ত শীঘ্রই করতে পারবো। গল্প তো নয় যেনো একটা একটা এটম বোমা। আর বাকি লেখা গুলাও ধীরেধীরে পড়ার আগ্রহ পাচ্ছি। তো পাঠক কি বুঝলেন? বাকিটা রেটিং দেখেই বুঝে নিয়েন। বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আমার অনেক পছন্দের একজন লেখক। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি তিনি বাংলা সাহিত্যের সেরা ৫জন লেখকের একজন। কিন্তু তবু, সেরা লেখকেরাও তো মাঝেমধ্য দুর্বল লেখা উপহার দেন। ঠিক এমনটাই ঘটেছে বলে আমি মনে করি 'সোনার মেডেল' বইটির সাথে। শীর্ষেন্দুর লেখা নেহাতই কম পড়িনি। তাঁর যত লেখা পড়েছি, তার মধ্যে 'সোনার মেডেল' আমার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে। প্রকৃতপক্ষে এটাই হয়ত তার একমাত্র বই যেটা পড়ে আমার কাছে বাজে লেগেছে। তার অদ্ভুতুড়ে সিরিজের সাথে পরিচয় থাকা সত্ত্বেও ভীষণ হতাশ হয়েছি। কারণ যে প্লটের ওপর ভিত্তি করে লেখক এই বইটি লিখেছেন তা ঠিক অদ্ভুতুড়ে সিরিজের একটি গল্প হওয়ার মত না। এই বইয়ের যে প্রাথমিক প্লট ও ইনিশিয়াল বিগিনিং ছিল, তাতে বেশ ভালোরকম সম্ভাবনা ছিল সুলেখকের সুলেখনীর মাধ্যমে একটি অসাধারণ থ্রিলার কাহিনীর জন্ম নেয়ার। কিন্তু তা তো হয়ই নি বরং শেষ অব্দি সেটা থেকে একটা যাচ্ছেতাই লেখার সৃষ্টি হয়েছে। একটা সম্ভাবনাময় প্লটের এমন করুণ অপমৃত্যু হতে দেখলে হতাশ হতেই হয়। বাবু মিত্তির নামের একজন সাবেক বক্সারের কথা বলা হয়েছে যে অলিম্পিকে প্রায় জিতেই গেছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সে প্রতিযোগিতার মাঝপথে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শেষ অব্দি তার প্রতিপক্ষ ওয়াক ওভারের মাধ্যমে জয় পেয়ে পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তিতে সেই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় রাউলের হাত ধরেই সে প্রবেশ করে অন্ধকার জগতে। তাদের দুজনের যৌথ এক অপারেশনে রাউলের মৃত্যু ঘটলে বাবু মিত্তির পালিয়ে আসে দেশে। এরপর দেশে সে বিয়ে থা করে এবং এক পর্যায়ে তার স্ত্রী মারা গেলে ছেলে বাড়ি থেকে পালায়। তার কয়েক বছর পর হঠাৎই সাংকেতিক ভাষায় সতর্কবানী পায় বাবু মিত্তির ডেল্টা নামের দলটির কাছ থেকে, যে দলে সে কাজ করত। তারা এসেছে বাবু মিত্তিরের ওপর প্রতিশোধ নিতে বাবু মিত্তির মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যায় তার আসন্ন মৃত্যুর জন্য। কিন্তু তাকে না মেরে ডেল্টা প্রথমে মারতে থাকে তার আপনজনদের। এমন সময় তার বাড়ি পালানো ছেলে রকি ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত কি বাবু মিত্তির নিজে বাঁচবে ও বাঁচাতে পারবে তার ফিরে পাওয়া ছেলেকে? এই প্রাথমিক প্লট থেকে নিঃসন্দেহে দারুণ একটি রোমাঞ্চকর কাহিনীর জন্ম নেয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ করেই লেখক কালীপ্রসাদ নামের এক চরিত্র নিয়ে আসেন এবং তার সাথে বিভিন্ন ভৌতিক ও অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে থাকেন যা পরবর্তি সময়ে কাহিনীতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। বইয়ের প্রচ্ছদে একটা বাঘের ছবি আছে, সেই বাঘটাই ক্লাইম্যাক্সে হাস্যকরভাবে মেইন পার্ট প্লে করে। যে গল্পে টানটান উত্তেজনা আর চমক থাকার কথা ছিল, আকস্মিকভাবে সেখানে অবাস্তব ব্যাপার স্যাপার এনে গোটা কাহিনীতে জল ঢেলে দেয়া কোনোমতেই যুক্তিসঙ্গত নয়। অসাধারণ একটা শুরুর পর নিছকই ছেলেমানুষি সমাপ্তি আমার কাছে বড্ড বিরক্তিকর ঠেকেছে। শেষ পর্যন্ত এই বইয়ের নাম 'সোনার মেডেল' রাখা হলে কি হয়েছে, কাহিনীর সাথে বাস্তব বিচারে তার কোন প্রাসঙ্গিকতাই থাকেনি। ভূত-প্রেত বা এই জাতীয় কোন শিরোনাম দিয়ে বাচ্চাদের বইটির প্রতি আকৃষ্ট করাটাই বরং বুদ্ধিমানের কাজ হত।