User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রতন, পশ্চিম বাংলার একজন উঠতি বক্সার। বিশ্বজয় তার স্বপ্ন। সেই ধারবাহিকতায়ই আজ সে খড়গপুরের বক্সিং-এর আসরে ফাইনালে লড়ছে। অন্যদিনকার মত আজ তার প্রতিপক্ষও হেলাফেলার কেউ নয় ... আজ তার প্রতিপক্ষ ভারতবর্ষের সেরা বক্সার 'সুব্বা'। যে কিনা ভারত থেকে প্রত্যেক বছরই অলিম্পিকে খেলতে যাচ্ছে। রতন বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করছে, সে যেখানেই খেলতে যাক না কেন - দুটো লোক তার পিছনে থাকবেই। এরা সবসময়ই রিঙের বাইরে বসে শুধুমাত্র রতনের খেলা দেখে। যখন রতনের খেলার পাট চুকে যায়, তখনই লোক দুটো হাওয়া!! রতন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা, লোকদুটি কি তার উপর নজর রেখে চলেছে? তা কেন হবে? সে তো সামান্য খেলোয়ার বৈ কিছু নয়!! রতনের বাবা, বাঞ্চারাম ভারতবর্ষের একজন বিজ্ঞানী। একসময়ে তার খুব নামডাক ছিল। 'হিটঅ্যামপ্লিকিশন' নামে একটি বস্তু আবিস্কার করতে গিয়ে গত দশ এগারো বছর আগে একবার রহস্যজনকভাবে আঘাত পেয়ে হঠাৎ তার মাথায় গন্ডগোল দেখা দেয়। তারপর থেকে বলতে গেলে পুরোপুরি তার স্মৃতিহানি ঘটে। এখন তার আর কিছুই মনে নেই ... সারাদিন তার একটাই কাজ। দিদির কাছে (রতনের পিসি) রসগোল্লার আবদার করা। একেবারে এইটুকুন বাচ্চা বনে গেছেন বুড়ো বয়সে ... ওদিকে কারা যেন এখনো বাঞ্চারামের বাড়ির আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে। দশ এগারো বছর আগে কিভাবে বাঞ্চারাম মাথায় আঘাত পেলেন? বাড়ির আশেপাশে ঘুরাঘুরিই বা করে কারা?? রতনের সন্দেহ করা লোক দুটিই বা কে?? চারপাশে শুধু রহস্য আর রহস্য ... অদ্ভুত সুন্দর একটি বই। আমার ধারণা ছিল এই সিরিজের প্রত্যেকটা বই-ই সম্ভবত "মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি" বইটার মতো শুধুমাত্র হাসির খোরাক হবে। কিন্তু না, এটা একেবারেই অন্যরকম। মারাত্মক থ্রিল!! রহস্য!! আর সবচেয়ে বড় কথা, গল্পের শুরু থেকেই স্প্রিড হেভি ... কখন যে বইটা শেষ হয়ে গেল, সত্যি বুঝাতেই পারলাম না!!
Was this review helpful to you?
or
সেই কলেজে থাকতে পড়েছি আর ভেবেছিলাম মেয়ে হয়েও বক্সর হব। সত্যিকারের লায়লা আলী হতে পারিনি কিন্তু জীবন যুদ্ধে কোথাও হার মানিনি। কিছু গল্গ থাকে ছোটবেলায় পড়া যেগুলো ভীষণ ভাবে মনে দাগ কাটে, আমার জীবনে সম্ভবত এটাই সেই গল্প।
Was this review helpful to you?
or
"এই পৃথিবীতে তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই, যার জীবনে একটা আনন্দের ঘটনা ঘটলেও সে আনন্দের ভাগীদার হওয়ার কেউ নেই।" পড়ছিলাম, ২য় বারের মতো শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর উপন্যাস #বক্সার_রতন সারা দুনিয়ায় এখন এটা এনার্জি ক্রাইসিস চলছে। মাটির নীচের খনিগুলির কয়লা ফুরিয়ে আসছে, শেষ হয়ে আসছে পেট্রোলিয়াম, পারমাণবিক শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম ভান্ডারও অফুরন্ত না। বাঞ্ছারাম বাবু হিট অ্যামপ্লিফিকেশন নামে এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন এই এনার্জি ক্রাইসিস দূর করার জন্য। মাত্র একটা মোমবাতির আগুনের তাপ থেকে কলকাতার মতো মস্ত একটা শহরের যাবতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারতো। কিন্তু হঠাৎ বাঞ্ছারাম বাবু পাগল হয়ে গেলেন। পালিয়ে গেল তার সহকারী রাব্বি। অনেকেই ধারণা করে হিট অ্যামপ্লিফিকেশন ফর্মুলা চুরি করে পালিয়ে যায় রাব্বি আর বাঞ্চারাম বাবুকে পাগল হয়ে যাওয়ার ঔষধ দেয়া হয়। বক্সার রতন বক্সিং রিংএ দাড়িয়ে লক্ষ করে দুইজন লোক বসে আছে। আরো অনেক বক্সিং ম্যাচে তাদের বসে থাকতে দেখেছে সে। শুধু মাত্র তার নিজের ম্যাচেয় তাদের দেখা যায়। এই লোক দুজন কারা? এই দিকে কিছু দিন পর বাড়ি এসে রতন জানতে পারলো তার বাবা বাঞ্ছারাম বাবু বাড়ি নেই। পাগল হওয়ার পর গত ১০ বছর বাড়ির বাইরে পা রাখেন নি তারা বাবা। পুলিশের ধারণা পাগল মানুষ হয়তো মনের খেয়ালে বের হয়ে গেছে আবার ফিরে আসবে। পাগলে কী না করে। কিন্তু রতনের ভয় হচ্ছে কিডনাপ নয় তো? হিট অ্যামপ্লিফিকেশন ফর্মুলা কি পরিনতি হলো? গল্পটি বেশি বড় না মাত্র ৯৬ পৃষ্ঠা। সেই তুলনায় রিভিউ বেশ বড় হয়ে গেছে। অদ্ভুতুড়ে সিরিজ গুলোর মতো এটা না। আসলে এটা অদ্ভুতুড়ে সিরিজ না। এটাকে কিশোর কাহিনী সিরিজ হিসাবে ধরা হয়েছে। গল্পের নামে যেহেতু আছে সেহেতু কিছু মারামারি পাওয়া যাবে বইতে। আর একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। না বুঝলে বলি এটা কল্পবিজ্ঞান গল্প। তাই জারা সাইন্স ফিকশন পড়তে ভালো বাসে তাদের ভালো লাগতে পারে। আবার নাও লাগতে পারে। তবে আমার ভালো লেগেছে। শীর্ষেন্দু এই পর্যন্ত পড়া সব গল্পই ভালো লেগেছে আমার। এই বইটি প্রথম যেদিন পড়ি বক্সার মুহাম্মদ আলী সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম।যেই হোক রেটিং পাঁচ এ পাঁচই দিব। 
Was this review helpful to you?
or
ভারতের তরুন বক্সার রতন কিছুদিন থেকে লক্ষ করছে দুইজন বিদেশি লোক তার প্রতিটা ফাইট দেখছে। জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুব্বার সাথে লড়াইয়ের আগে রতনের মাথায় দুঃশ্চিন্তা দুই বিদেশিকে নিয়ে। সুব্বাকে হারিয়ে জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাতে রহস্যময় দুই বিদেশি রতনের সাথে দেখা করে। তারা নিজেদের পরিচয় দেয় জন ও রোনো নামে। রতনের কাছে তারা কি চায়!! সেটা জানতে হলে একটু পিছনে তাকাতে হবে। রতনের বাবা বাঞ্ছারাম একজন বিজ্ঞানী। বর্তমানে পৃথিবীর জালানী শক্তি দিনদিন কমে আসছে। এই সমস্যা দুর করার জন্য বাঞ্ছারাম একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যেটা দিয়ে শব্দ এমপ্লিফায়ার করার মত তাপ এমপ্লিফায়ার করা যাবে। অর্থাৎ অল্প তাপকে এমপ্লিফাই করে প্রচুর তাপ উৎপাদন করা যাবে। যা পৃথিবীর শক্তির ঘাটতি দুর করতে সাহায্য করবে। কিন্তু এই যন্ত্র আবিষ্কারের পরপরই বাঞ্ছারাম একটা দুর্ঘটনায় মস্তিষ্ক বিকৃতির স্বীকার হয়। পাগল হয়ে যায় বাঞ্ছারাম। কোথায় আছে বাঞ্ছারামের সেই যন্ত্র আবিষ্কারের ফর্মুলা? কেউ জানে না। বাঞ্ছারাম পাগল হওয়ার ১২ বছর পর জন ও রোনো এসেছে রতনের কাছে। তারা রতনকে আমেরিকা নিয়ে যেতে চায়। ভাল বক্সার বানাতে চায়। রতনের বাবাকেও চিকিৎসা করাতে চায়। বাঞ্ছারামের ফর্মুলার প্রতি তাদের আগ্রহ। কিন্তু রতন তো জানে না ফর্মুলা কোথায়। বাঞ্ছারাম তার যন্ত্রের কাজ শেষ করেছিলেন কিনা সেটাইতো কেউ নিশ্চিত না। তাছাড়া জন ও রোনো যে যে ভাল না খারাপ সেটা কিভাবে বুঝবে রতন? এরই মধ্যে রতন বাড়ি ফেরার আগে গুম হয়ে যায় পাগল বাঞ্ছারাম। কে গুম করলো বাঞ্ছারামকে? জন আর রোনো এর সাথে জড়িত নয় তো! নাকি অন্যকেউ?? এইসব জানতে হলে পড়তে হবে "বক্সার রতন" পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অদ্ভুতুরে সিরিজের এটা আমার পড়া দ্বিতীয় গল্প। চমৎকার লেগেছে। এক চুমুকে শেষ করেছি বলা যায়। এটাকে এক হিসেবে থ্রিলারও বলা যায়। রতনের বক্সিং উপভোগ করছি। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা যতই পড়ছি ততই তার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি। চমৎকার সাবলিল ভাষায় লেখা। তবে অদ্ভুতুরে সিরিজের দুটো গল্প পড়ার পরে মনে হচ্ছে এই সিরিজ শেষ না করলে শান্তি পাবো না।
Was this review helpful to you?
or
পশ্চিম বাংলার উদীয়মান বক্সার রতন। রিংয়ে তাকে হারানো খুব মুশকিল। যেনো বাংলার মহম্মদ আলি!!! রতনের তিন কুলে বাবা আর এক পিসি ছাড়া কেউ নেই।রতনের বাবা একসময় খুব নামকরা বিজ্ঞানী ছিলেন। কিন্তু বাবা পাগল হওয়ার পর সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। সংসারের হাল তাই রতনকেই ধরতে হয়।বেচারা তাই মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও খুব বেশি পড়াশোনা করতে পারে নি। বক্সিং করে বেশ ভালোই চলছিলো তার জীবনকাল। কিন্তু এর মধ্যে তার সাথে দেখা হয় জন আর রোলোর।তারা তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধি। গরিব দেশগুলোর উন্নয়নই তাদের একমাত্র ব্রত। এই জন আর রোলো রতনকে বলে তার বাবার সেরা গবেষণার কথা। হিট এমপ্লিফিকেশন!যা তাপ বিবর্ধন করতে সক্ষম। এই হিট এমপ্লিফিকেশন তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এই আবিষ্কার কবজা করার জন্য ঘুরছে ধনী রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু সমস্যা হলো রতনের বাবা পাগল হওয়ার পর পূর্বের কিছুই মনে করতে পারছেন না।তাই সেই গবেষণার কাগজ পত্র আর পাওয়া যায় নি। কিন্তু রতন পরে নিজ বুদ্ধিতে এই কাগজপত্র তাদের বাগান থেকে উদ্ধার করে।কিন্তু তার আগেই তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায় ধনী রাষ্ট্র গুলোর প্রতিনিধি হিংস্র "ডগলাস"। এই ডগলাস গবেষণার কাগজ পত্র না পেলে তার বাবাকে ছাড়বে না।এমনকি খুনও করতে পারে!!! রতন এখন কি করবে?বক্সিং যুদ্ধে রতন অদম্য হলেও এই লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ যে অনেক শক্তিশালী। সে কি উদ্ধার করতে পারবে তার বাবাকে??? কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে জন আর রোলো।তার পর শুরু হয় দারুণ এক এডভেঞ্চার.....................!!!