User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Funny and enjoyable at the same time just love this book
Was this review helpful to you?
or
দূর্দান্ত একটি বই পড়লাম। ভূত নিয়ে যে এমন মজা করা যায়- তা আগে কখনো কল্পনাই করিনাই। গল্পের চরিত্রগুলো বেশ মজার। একজন নরহরিবাবু। বাড়ি বিক্রি করবেন। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ যে পুরোনো বাড়িতে ভুত নেই। ভূত থাকলে বাড়ির দাম বেশি পাওয়া যায়। এরপর আছেন অঘোর বাবু। একজন বিজ্ঞানী। এমন একটি রাসায়নিক যৌগ আবিষ্কার করেছেন যা খেয়ে ঘুমালে ১৫০ বছর পরে ঘুম ভাঙবে। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন হিক নামের এক এলিয়েন। আরেকটি চরিত্র সনাতন বাবু। বিজ্ঞানী সাবেহ এই সনাতন বাবুকে ৫ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে দেড়শ বছর ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। ভাবা যায়? ১৫০ বছর! এত বছর পরে তাঁকে খুঁজে পায় সুবুদ্ধি সাহেব। তিনি এই গ্রামে নতুন এসে নরহরিবাবুর থেকে একটি বাড়ি কিনেছেন। কেনার আগে ভালো করে দেখে নিয়েছেন ভূতের বালাই আছে কিনা। ঘটনাচক্রে সুবিদ্ধিই ১৫০ বছর ঘুমিয়ে থাকা সনাতনকে জাগিয়ে তোলে। সবচেয়ে মজার চরিত্র গবিন্দ বিশ্বাস। ভূতের ভয় না থাকলেও তাঁকে সবাই ভয় পায়। গবিন্দ বাবু কিন্তু ডাকাত নয়, আবার গুন্ডাও নয়। তাঁর ব্যবসার কারনেই সবাই তাঁকে ভয় পায়। তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে সবাই চোখ বন্ধ করে হাটে। দুপুর ১২ টার মধ্যে যদি গবিন্দ বাবুর সাথে কারো দেখা হয় তবে তাঁর নিশ্চিত কোন বিপদ হবে। তাহলে ব্যবসাটা কি? সেটা হলো , ধরুন আমচাঙ্গার রাগ আছে জামচাঙ্গার ওপর। আমচাঙ্গা গিয়ে গোবিন্দ বাবুকে হায়ার করবে যাতে গোবিন্দ বাবু জামচাঙ্গার সাথে একটু দেখা করে আসে। গোবিন্দ বাবুর মুখ দেখলেই জামচাঙ্গার সর্বনাশ হয়ে যাবে। এই হলো তাঁর ব্যবসা। আরো কয়েকটি চরিত্র আছে। সেগুলো আপনারাই পড়ে খুঁজে বের করুন। সব বলে দিলে আপনি কি আবিষ্কার করবেন? সবগুলো চরিত্র মিলে দারুণ লেগেছে। ২০০৩ সালে বইটি অবল্বনে একই নামে একটি মুভি করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা কাহিনী।পড়তে লাগলে শেষ না করে ওঠা যাবেনা।
Was this review helpful to you?
or
অদ্ভুতুড়ে সিরিজের প্রায় সব বইয়েই বিজ্ঞান নিয়ে কিছু ব্যাপার থাকে। আবার কিছু বই আছে যেগুলোকে সরাসরি কল্পবিজ্ঞান হিসেবেও দিব্যি চালানো যায়। এটাও সেরকম একটা বই। বনি, ভূতুড়ে ঘড়ি, অষ্টপুরের বৃত্যান্ত, পটাশগড়ের জঙলের মত এটাতেও ধারাবাহিক রম্যরসের সাথে কল্পবিজ্ঞান আছে। মানে একইসাথে এটাকে অদ্ভুতুড়েও বলা যায় আবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও বলা যায়। বিজ্ঞানের যে বিষয়টা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে সেটাও খুব উপভোগ্য। বিরক্ত হওয়ার চান্স একদমই নেই।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরু প্রায় দেড়শ বছর আগে। সে সময় গ্রাম-বাংলায় দাপিয়ে রাজত্ব করছে রঘু ডাকাতের দল। কোম্পানির আমল - চারিদিকে নানা নৈরাজ্য - তারই মধ্যে নিশ্চিন্তিপুরে বসে একমনে বিজ্ঞান-সাধনায় মেতে আছেন অঘোর সেন। যোগাযোগ করে ফেলেছেন ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গেও। আর সেই সঙ্গে আবিষ্কার করে ফেলেছেন এমন এক যন্ত্র যার সুর শুনলে মানুষ দীর্ঘ বছরের ঘুমের জন্যে প্রস্তুত হয়ে যায়। এতই লম্বা সেই ঘুমের পাল্লা যে তা একেবারে দেড়শ বছর পর্যন্তও লোককে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে। এমন অবস্থায় নেপচা গ্রহ থেকে এসে ভিক বড় জ্বালাতন আরম্ভ করে এবং তার বাড়াবাড়িতে বিরক্ত হয়ে অঘোর তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর একসময় তাঁর মৃত্যু হয়। সবাই ভুলেও যায় তাঁর কথা। এরপর আমাদের ফিরে আসতে হবে একালে। বিজ্ঞানী ভূতনাথ নন্দীর হাতে আসে অঘোর সেনের ডায়েরি। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন অঘোরের আবিষ্কার করা যন্ত্রটির কথা। সাংবাদিক বৈঠকে সে বৃত্তান্ত প্রকাশ করতেই ভূতনাথের পেছনে পড়ে যায় অন্ধকার জগতের রানি বেগম ও তার দলবল। যেন তেন প্রকারেণ ‘অস্তরটা’ তাদের চাই। এর মধ্যে চলে আসে কিশোর কার্তিক এবং তার মামা সুবুদ্ধি। আসে অপয়া, গ্রামের নাটকের দল এবং দেড়শ বছরের ঘুম ভেঙ্গে উঠে পড়ে ভিক। আর শুরু করে দেয় গ্রাম জুড়ে তান্ডব।