User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Very interesting storyline but presented in a simple way ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা কিশোর বই। আমি বুড়ো হওয়ার পরও বেশ কয় একবার পড়েছি। এছাড়া আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম সেরা এখনও।
Was this review helpful to you?
or
just amazing
Was this review helpful to you?
or
বইঃ পটাশগড়ের জঙ্গলে লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রকাশনাঃ আনন্দ পাবলিশার্স (কলকাতা) এই বইটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুরে সিরিজের বই। এটি কিশোর সাহিত্য বই হলেও সব বয়সী পাঠকরা পড়ে মজা পাবে কারন শীর্ষেন্দুর লেখার মধ্যে একটা ভাল লাগা আছে। তার অদ্ভুতুরে সিরিজ যারা পড়েছেন তারা জানেন শীর্ষেন্দু এই সিরিজে মজার মজার সব উপন্যাস লিখেছেন, তার অদ্ভুতুরে সিরিজে ভুত,বাঘ,সিংহ,রাজা,মহারাজা,গোপন কুঠুরি, পাতালঘর, জঙ্গল ইত্যাদির বর্ননা প্রায় সব বইতেই পাওয়া যায় তার এই সিরিজটি যখনি পড়ি মনে হয় নিজে এডভেঞ্চার করে আসি, আসলে শীর্ষেন্দু বাবুর লেখার সাথে তুলনা হয় না। কাহিনি সংক্ষেপঃ ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের নামকারা অঙ্ক মাস্টারমশাই জয়পতাকাবাবু।সেবার ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের সাথে কালীতলা স্কুলের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়, জয়পতাকাবাবু সেখানে খেলা দেখতে আসে তার সাথে ম্যাজিস্ট্রেট স্কুলের হেডস্যারসহ অন্যন্য শিক্ষকও উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এই খেলায় স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাএ বিচ্ছু ছেলে ভুতুকে না নেওয়ায় ভুতু শহরের সাঙ্ঘাতিক পাগলা ষাঁড় কালুকে কাঠালের লোভ দেখিয়ে এনে মাঠে ছেড়ে দেয় তা দেখে সবাই এদিকওদিক ছুটে বেড়ায়। ঠিক তখনি জয়পতাকাবাবু কালুকে কন্ট্রোলে আনার জন্যে মাঠে নামে কিন্তু বেশিক্ষণ কালুর সাথে লড়তে পারে না সে কালুর পিঠে চাপলে তাকে নিয়ে কালু শহরের উত্তরদিকের সবচেয়ে ভয়ংকর রহস্যময় জঙ্গল পটাশগড়ে চলে যায় এবং তাকে ফেলে চলে আসে। এরপর থেকেই জয়পতাকার সাথে রহস্যময় ঘটনা ঘটতে থাকে এবং একপর্যায়ে একটা ধ্বংসস্তুপ কেল্লায় পৌছায় এবং তাকে বাতাশের সাথে অদৃশ্য একটা কন্ঠ সাদরে ডিনারের নিমন্ত্রণ করে সে সম্মোহিত হয়ে যায়। কেল্লার চারদিকে চোরাবালি যেখানে ঢোকা যায় কিন্তু বের হওয়া যায় না। এদিকে জয়পতাকা বাবু না ফেরায় তাকে নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তা করে এবং তাকে উদ্ধারের জন্যে তার দাদু জয়ধ্বনিবাবু ও তার বন্ধু এবং মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ব্যোমকেস খুজতে যায়। অন্যদিকে দুষ্টু ছেলে ভুতু তার ভুল বুঝতে পেরে সেও জয়পতাকাকে খুজতে একা একা পটাশগড়ের জঙ্গলে যায় তারপর থেকে তাদের সাথেও শুরু হয় নানা রহস্যময় ঘটনা। কি আছে সে জঙ্গলে? যার কারনে সবাই এতো ভয় পায়? ঘটে এতো রহস্যময় ঘটনা? যে দূর্গে ঢোকা যায় কিন্তু চোরাবালির কারনে বের হওয়া যায় না সেখান থেকে কি জয়পতাকাকে তারা উদ্ধার করতে পারবে? নাকি তারা নিজেরাই অজান্তে বিপদে পরে যাবে? এটা জানতে হলে বইটি পড়ুন। ব্যক্তিগতভাবে বইটি ভাল লেগেছে ছোট বই পড়া শুরু করেছি কখন শেষ হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। আপনি এই অদ্ভুতুরে জগতে ঢুকতে চাইলে বইটি পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : পটাশগড়ের জংগলে লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) মূল্য : ১৮০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপ : ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুল বনাম কালীতলা স্কুল ফুটবল ম্যাচ। শহরের সেরা দুই দলের খেলা। মাঠে তিল ধারণের জায়গা নেই। স্বয়ং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত পুরষ্কার বিতরণীর জন্য। কিন্তু আফসোসের বিষয় ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ভুতুর দলে জায়গা হয়নি। শহরের সবচাইতে বিচ্ছু ছেলে এই ভুতু। বাবা মা কেও বেঁচে নেই। বিধবা পিসির কাছেই মানুষ। ফুটবলে দলে জায়গা না হওয়ায় ভুতুর ভীষণ জেদ। ফুটবল ম্যাচ পণ্ড করতেই হবে ভুতুর যে করেই হোক। সেই মোতাবেক ভুতু ঘটালো আরেক কাণ্ড। মাঠে খেলা চলছে আর ওদিকে ভুতু মাঠে ছেড়ে দিল এলাকার সবচাইতে জেদি ষাঁড় কালুকে। মাঠে ঢুকেই কালু শুরু করল মহাতাণ্ডব। সবাই ভয়ে মাঠ ছেড়ে পগারপার। ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক জয়পতাকা বাবু ঘটালো আরেক কাণ্ড। পুরো স্প্যানিশ মাটাডোড়দের মত রুখে দাঁড়ালো কালুর সামনে। এক পর্যায়ে কালুর গুঁতো খেয়ে জয়পতাকা বাবুর স্থান হলো কালুর পিঠে। কালু তখন মহাবিরক্ত হয়ে এক ছুট লাগালো। ছুটতে ছুটতে সোজা পটাশগড়ের জংগলে। ওদিকে কালু ফিরে এলেও জয়পতাকা বাবু নিখোঁজ। ভয়ংকর রহস্যময় জায়গা এই পটাশগড়ের জংগল। শহরের লোকজন ওদিকটায় ভয়েই কখনো পা মাড়ায় না। পটাশগড়ের জংগলের মাঝে জয়পতাকা বাবু হঠাৎ দেখতে পেল এক সুবিশাল দালান। পুরোপুরি খালি এই দালানের ভেতরে ঘটতে লাগে নানান অদ্ভুতুরে ঘটনা। জয়পতাকা বাবু যখন দালানের ভেতরে নানান অদ্ভুতুরে ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে তখনি ভুতুর মনে জাগে অপরাধবোধ। তাঁর কারণে জয়পতাকা বাবু নিখোঁজ। ভুতুও পটাশগড়ের জংগলের উদ্দ্যেশে রওনা হলো, জয়পতাকা বাবুকে খুঁজে আনতে। ভুতু কি পারবে জয়পতাকা বাবুকে সেই রহস্যময় ভুতুরে দালান থেকে উদ্ধার করে আনতে? জানতে হলে আজই পড়ে ফেলতে হবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর অসাধারণ থ্রিলার বইটি। পাঠ আলোচনা : উপমহাদেশের অন্যতম শীর্ষ ঔপন্যাসিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এতে কোন সন্দেহই নেই। উপন্যাসের রহস্যময় দালানটি সাধারণ মানুষের কাছে অদৃশ্য। কিন্তু জয়পতাকা বাবু আর ভুতু কী করে তবে দেখতে পেল দালানটিকে? অদৃশ্য কোন সে ব্যাক্তি যে কীনা চালনা করছে দালানের সব অদ্ভুতুরে কাজগুলো? বইটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। কিশোর উপন্যাস হলেও সব বয়সের পাঠকরাই এই বইটি পড়তে পারবে। গল্পটা এমন মজার গল্প যে, যে কেউই এক বসায় পুরো বইটি শেষ না করে উঠতে চাইবে না। বইটি শেষ করার পর মনে হবে ইশ আমিও যদি একবার ঘুরে আসতে পারতাম পটাশগড়ের জংগলের সেই রহস্যময় দালান থেকে।
Was this review helpful to you?
or
ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের সাথে কালীতলা স্কুলের ফুটবল ম্যাচ। নামকরা দুই টিমের খেলা। মাঠে কাতারে কাতারে লোক জড়ো হয়েছে খেলা দেখতে। স্বয়ং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত পুরষ্কার বিতরণীর জন্য। সুতরাং বুঝায় যায় এই খেলার গুরুত্ব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এই ফুটবল টিমে ভুতুর জায়গা হয় নি। ভুতু হলো এই শহরের সবচেয়ে বিচ্ছু ছেলে। বাবা-মা নেই। বিধবা পিসির কাছে মানুষ হচ্ছে। ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্র। পড়ালেখায় ভালো না তবে খেলাধূলার মাধ্যমে প্রায়ই পুরষ্কার জুটে। এবার ফুটবল টিমে জায়গা না হওয়ার কারণ হলো, ইংরেজি ক্লাসে হেডস্যারের টেবিলের নিচে কাকড়া বিছা রেখেছিলো ভুতু। তাই স্যার রেগেমেগে অপরাধের শাস্তি হিসেবে টিমে জায়গা দিলো না ভুতুকে। আর ভুতুর হলো এতে প্রচন্ড রাগ। ফুটবল খেলা ভেস্তে দেয়ার জন্য খেলার দিন মাঠে ছেড়ে দিলো কালুকে। কালু এই এলাকার সবচেয়ে প্রকান্ড, রাগী ষাঁড়। সবাই তাকে মান্যগণ্য করে চলে। মাঠে ঢুকে প্রচন্ড তান্ডবলীলা চালাতে শুরু করলো কালু। তান্ডব সামলাতে এগিয়ে এলো জয়পতাকাবাবু। লালসালু দিয়ে কালুর সাথে যুদ্ধ শুরু হলো জয়পতাকা বাবুর। জয়পতাকা বাবু হলেন ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক। যাই হোক, কালুর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন সময় হটাৎ করে মাঠের সবাই দেখলো কালুর পিঠের উপর জয়পতাকা বাবু। আর কালু পাগলের মতো ছুটছে। ছুটতে ছুটতে কালু বেরিয়ে গেলো মাঠ থেকে। জয়পতাকা বাবুকে পিঠের উপর নিয়ে ছুটতে ছুটতে পৌছঁলো পটাশগড়ের জঙ্গলে। যে জঙ্গলে কেউ যায় না। দিনের বেলাতেই যে জঙ্গলকে ভূতুড়ে মনে হয়। সেই জঙ্গলে জয়পতাকা বাবুকে নিয়ে ফেললো কালু। পরের দিন সকালে কালুকে আবার দেখা গেলো বাজারে। কিন্তু খবর নেই জয়পতাকা বাবুর। এ কি কান্ড...? কালু নিয়ে কোথায় ফেললো..? শহরের সবাই দেখেছে কালুকে জঙ্গলের দিকে যেতে! কালু সেখান থেকে ফিরলো আর জয়পতাকা বাবু উধাও..?