User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"I shall be telling this with a sigh Somewhere ages and ages hence Two roads diverged in a wood, and I- I took the one Less travelled by, And that has made all the difference." গুগুনোগুম্বারের দেশে থেকে ফিরে অ্যালবিনো রহস্য উদঘাটন করতে মুলিমালোয়া। সেখানে গা ছমছমে অবস্থা ও বিভিন্ন চরাই উতরাই পেরিয়ে কলকাতা ফিরেই ঋজুদার কাছে খবর আসে ভুষুণ্ডার। আফ্রিকার এক জঙ্গলে ঘেরা পার্ক রুআহা। সেখানেই ঘাঁটি গেরে বসে আছে ভুষুণ্ডা ও তার উপর মহলের চোরাশিকারীর দল। এ যাত্রায় ঋজুদা আর রুদ্রর সঙ্গী হয় তিতির নামে ক্লাস টেনের এক মেয়ের। তিতিরকে সঙ্গে নিয়ে ভুষুণ্ডার খুলি উড়ানোর মিশনে যেতে ঘোর আপত্তি জানায় রুদ্র। তবে ঋজুদার ইচ্ছার কাছে হার মানতে হয় তাকেও। শেষমেশ তিনজনই পারি জমায় রহস্য ঘেরা ঘন জঙ্গলের দেশ আফ্রিকাতে। আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানাবেরি ওয়ানাকিরি নামে এক আগন্তুুকের হাতে পরে রুদ্র আর তিতির। সে যাত্রায় সোয়াসিলি ভাষা জানা তিতিরের কল্যাণে বেঁচে যায় দুজনে। সবকিছু ঠিকঠাক করে তিনজনের নাম বদল করে কাজে নেমে পরে তারা। এক রাতে হোটেল থেকে চেকঅাউট না করেই আলাদা আলাদা টেক্সি নিয়ে বেরিয়ে পরে তিনজন। কিছুদূর গিয়ে একসাথে হয়ে একটা গাড়ি নিয়ে তারা যায় মাকুউনিতে। সেখানে পৌঁছে একটা বড় তেতুল গাছের আড়ালে গাড়িটা রেখে তারা তিনজন একটা এক ইঞ্জিনের ছোট বিমান এর অপেক্ষা করতে থাকে। বিমান এলে দুইজন সাদা চামড়ার বিদেশী লোকের সাথে নাইরোবি সর্দার কে নেমে আসতে দেখা যায়। সেই দেখায় সর্দারের থুথুময় আশির্বাদ থেক রক্ষা পায়না তিতির। পরদিন একই জায়গা থেকে ওই বিমানে করেই তারা রওনা হয় ইরিঙ্গির উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌছে দুইটা আলাদা আলাদা জিপে করে রুআহা'র উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। তিতির যাত্রা করে ঋজুদার সাথে আর পেছনের গাড়িতে থাকে রুদ্র। রুআহা পার্কে পৌঁছে রাত হয়ে যাওয়ায় জঙ্গলে ক্যাম্প করে রাত কাটিয়ে সকালে রওয়ানা হয় কোনো এক পাহাড়ের গুহায় স্থায়ী ক্যাম্প বানানোর লক্ষে। যেখানে রাতে ক্যাম্প করেছিলো সেখান থেকে উচু তিনটি পাহাড় দেখা যাচ্ছিলো, সেগুলোর নামকরণ করে ঋজুদা। একটার নাম দেয়া হয় রুদ্রর নামে অপরটা তিতিরের নামে। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে উচু পাহাড়টার নাম দেয় তাদের মৃত বন্ধু টেডি মুহম্মদ এর নামে। স্থায়ী ক্যাম্পও করে ওই পাহাড়ের ই এক বড় গুহায়। তারপর? তারপর কি হয়েছে? তারা কি ভুষুণ্ডা কে খুঁজে পেয়েছিলো? টেডির মৃত্যুর প্রতিশোধ আর চোরাশিকারীদের ধরতে পেরেছিলো? জানতে হলে পড়তে হবে বুদ্ধদেব গুহর লেখা উপন্যাস "রুআহা"। প্রতিক্রিয়াঃ প্রতিক্রিয়া বলে বা লিখে প্রকাশ করতে পারছিনা। বুঝতেই পারছেন অনেক বেশি ভালো লাগছে ঋজুদা সমগ্রের প্রতিটা উপন্যাস। রুআহা উপন্যাস টা সমগ্রের তৃতীয় উপন্যাস। এবং বরাবরের মতো পড়া শেষ করে মনে হলো ঈশ্ আরো একটু পড়তে পারতাম যদি!অসম্ভব ভালো লাগলো। বুদ্ধদেব গুহর লেখা যে এতোটা ভালোলাগবে তা আদি ভাই এর কাঙ্গপোকপি বইটার রিভিউ পড়ে ভাবিনি। তবে মনে হচ্ছে লেখকের সব বই ই পড়তে হবে। নাহলে মনের খিদে মিটবে না। যদি পড়ে না থাকেন তাহলে এখনই পড়ে ফেলুন। অনেক ভালো লাগবে। পড়তে থাকুন, ধন্যবাদ।