User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইঃ অ্যালবিনো লেখকঃ বুদ্ধদেব গুহ প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স পৃষ্ঠাঃ ১০৪ মূল্যঃ ১৫.০০ (ভারতীয় টাকায়) রকমারি মূল্যঃ ১১০৳ লেখকের সাথে আমার প্রথম পরিচয় গুগুনোগুম্বারের দেশে উপন্যাস দিয়ে যা একি সাথে ঋজুদা সমগ্র ১ এর প্রথম উপন্যাস ছিলো। এখন পড়লাম অ্যালবিনো। একি সমগ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস এবং লেখকের পড়া আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। পর্যালোচনাঃ সেবার আফ্রিকার এডভেঞ্চার শেষ করে দেশে ফিরে সুস্থ হতে ঋজুদার কিছুদিন সময় লাগে। এই ফাঁকে রুদ্ররও ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। ভালোর ভালো ঋজুদার পা টা কাটা লাগেনি। তবে এখনো অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে হয়। আর রুদ্রও স্কলারশিপ পেয়ে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছুটিতে ঋজুদার বাড়ি আসে রুদ্র। এসে ঋজুদাকে না পেয়ে তার সেবক গদাধরদা কে খিচুড়ি পাকাতে বলে। রুদ্র হাতমুখ ধুতে ধুতে ঋজুদাও চলে আসে। অসুস্থ শরীর নিয়ে ঘরে বসে থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে যাবে মন, তাই হাওয়া বদলের জন্য ঋজুদা আর রুদ্র পারি জমায় বিহারের হাজারীবাগের কাছেই "মুলিমালোঁয়া" তে। জায়গাটা লালিটাওয়া আর গীমারিয়ার মাঝামাঝি পরেছে। সেখানে যাবার অনুরোধ করেছিলো মুলিমালোঁয়ার রাজা বিশেনদেও সিং। সেখানে গেলেই ঋজুদা-রুদ্র জানতে পারে বিশেনদেও বাবুর জমিদারিতে যে জঙ্গল আছে তাতে একটা "অ্যালবিনো" বাঘ এর সন্ধান। প্রতিনিয়ত সন্ধ্যায় যার ডাক শোনা যায় মালোঁয়ামহল থেকে। মালোঁয়ামহলে বিশেনদেও বাবুর সাথে তার বোন ভগ্নীপতি ভানুপ্রতাপ থাকে। আর থাকে অনেক পেয়াদা, বেয়ারা আর দেহরক্ষীরা। ঋজুদা আর রুদ্র সুন্দরমতোই থাকতে চাচ্ছিলো সেখানে। কোনো প্রকার রহস্যে পা দিয়ে নিজেদের বেড়ানোর মজা টা নষ্ট করতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু জমিদার বাড়ির পেছনটায় থাকা পুরনো ভাঙ্গা নাচঘর, রাতের আঁধারে মাটি কাপিয়ে ছুটে যাওয়া একটা সাদা ঘোড়া আর চোখে না দেখা সেই অ্যালবিনো বাঘ ঋজুদা-রুদ্রকে আর শান্তিতে থাকতে দিলোনা। ঋজুদা যখন রুদ্রকে নিয়ে জঙ্গল দেখতে বেরুতে চাইলো তখন ভানুপ্রতাপ বারবার করে মানা করে দিলো নাচঘরের দিকে যেন না যায়। সেখানে নাকি বিশেনদেও সিং এর বাবা মেয়েদের ধরে এনে নাচ করাতেন আর মজ মাস্তি করতেন এবং একবার এক নাচনে ওয়ালি কে মেরে ফেলেন সেখানে। তারই অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনো সেখানে থাকে। মালোঁয়ামহলে আরো একজন লোক আসে। বানারাসে ভানুপ্রতাপের বাবার যেই সম্পত্তি আছে ঘোড়া থেকে পরে মরে যাওয়ার পর থেকে তার বাবার সম্পত্তির অংশ দেখাশোনা করে বৃজনন্দন নামে এই বানারাসি লোকটি। ভানুপ্রতাপের বাবা ছিলো ঋজুদার পুরনো বন্ধু। তারা একসাথে পড়ালেখাও করেছে। বৃজনন্দন নামে লোকটি একবার এসে ঋজুদা-রুদ্রকে রাতে সাবধানে থাকতে উপদেশ দেয়। রাতে নাকি কেউ একজন ঘোড়সওয়ার করে মহলের চারদিকে ঘুরতে থাকে আর নাচঘর থেকে তানপুরা বাজিয়ে কোনো এক মেয়ে কণ্ঠে গান শোনা যায়। মালোঁয়ামহলে কদিন থাকার পর থেকেই ঋজুদার কেনো যেন মনে হচ্ছিলো যেমনটা দেখতে এবং বুঝছে তা আসলে তেমনটা দেখানো ও বোঝানো হচ্ছে। তাই নিজের অজান্তেই ঋজুদা আর রুদ্র নেমে যায় নতুন এক অভিযান এ। রহস্য ভরা মুলিমালোঁয়ার এই জঙ্গল আর মালোঁয়ামহল এর পেছনের নাচঘরকে ঘিরে যে রহস্যের প্যাঁচে আটকে গেছে ঋজুদা-রুদ্র তা থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবে তারা? আদৌ কি বের হওয়া সম্ভব হবে তাদের? জানতে হলে পড়তে হবে বুদ্ধদেব গুহর লেখা অ্যালবিনো উপন্যাসটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বুদ্ধদেব গুহ ধীরে ধীরে আমার একজন পছন্দের লেখক হয়ে উঠছেন। উনার লেখা যতই পড়ছি ততই ভালো লাগছে। ঋজুদা সমগ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস এটা। প্রথমটার মতোই সমান উত্তেজনার সাথে শেষ করেছি পড়ে। এখানে আপনি যা ভাববেন আর যা পড়বেন তার তালমিল নাও পেতে পারেন। তবে গল্পটা পড়ে শান্তি লাগবে বলতে পারি। অসম্ভব সুন্দর একটা উপন্যাস। পড়ে না থাকলে আপনিও পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে আশা করি। পড়তে থাকুন, ধন্যবাদ।