User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মালঞ্চ। এক নিভৃত গ্রাম। এখানেই জন্মেছিল দৃষ্টি। মিষ্টি, উজ্জ্বল, স্বপ্নময় এক মেয়ে। কিন্তু স্বপ্নভাঙার শব্দ বড় কর্কশ।এক ভয়ংকর রাতে, দৃষ্টি হারিয়ে গেল। তাকে ধর্ষণ করা হলো। হত্যা করা হলো। ইলা, নীলা, শীলা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। খবরটা শুনেই ওদের ভেতর কিছু একটা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। রাতের বাসে ছুটে গেল মালঞ্চ গ্রামে। কাঁচা কবরের পাশে দাঁড়ালো তিনজোড়া চোখ। তারা তাকিয়ে রইলো, যেন কিছু দেখার অপেক্ষায়। কিন্তু সেখানে শুধু শূন্যতা। নীলার মাথায় বসলো, একটি প্রজাপতি, চির-স্বাধীনতার এক অদম্য প্রতীক। যেন দৃষ্টির আত্মা প্রজাপতি হয়ে ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো। দৃষ্টি কি পুনরুত্থিত হলো? নাকি এটি নিছক এক কাকতালীয় ঘটনা? ওরা কথা বলতে গেল, শফিক সাহেবের কাছে, দৃষ্টির বাবা। হিস্টেরিয়া রুগীর মতো তিনি বুক চাপড়ে কাঁদছেন, ‘মা! তোমার তো পুরো জীবন পড়ে ছিল! মা, তুমি চলে গেলে?....... ইলা, নীলা এবং শীলা দৃষ্টির মা জয়গুণ বেগমের সাথে কথা বলতে একটি ঘরে ঢুকে। ঘরজুড়ে স্যাঁতসেঁতে ছত্রাকের গোমট গন্ধ। এটি আঁতুর ঘর, এক সূর্যাস্তের পরপরই, দৃষ্টি এ ঘরে জন্মেছিল। ভরা পূর্ণিমা ছিল সেদিন। ওঁ জন্মাল, আর আঁতুর ঘরের আশপাশে খকখকে জোছনায় ভরে গেল। জয়গুণ বেগম দৃষ্টির মা, এই ঘর ছাড়বেন না। এখানেই থাকবেন। প্রতীক্ষায়। পূর্নিমার এক রাতে দৃষ্টি ফিরে আসবে এই ঘরে। ছোট্ট হাতটি বাড়িয়ে বলবে, ‘মা, চলো। জয়গুণ বেগম ইলা, নীলা, শীলাকে জড়িয়ে ধরেন। বেদনাবিধ্বস্ত বুকের স্পন্দন ওদের বুকের সাথে মিশে যায়। হৃদয়ের গহীন সংলাপ হয়। এরপর ধপ করে জয়গুণ বেগম লুটিয়ে পড়েন........... রাতের বাসেই ফিরে আসে ইলা, নীলা, শীলা। কিন্তু এই গল্প এখানেই শেষ নয়। পরদিন ছুটে যায় ওরা, প্রিয় শিক্ষকের কাছে। প্রতিজ্ঞা করে খুনিকে খুঁজে বের করবেই। দৃষ্টির ন্যায়বিচার চাই। চাই প্রতিশোধ। কেননা, কিছু কিছু মৃত্যু শুধু শোকের গল্প নয়, প্রতিরোধেরও শুরু .....! তাদের সেই প্রতিরোধ এবং প্রত্যয়ী জীবনবোধ নিয়ে, এই গল্পটি, ‘ব্যাকস্টেজ ইন দা সিন্ড্রেলা স্টরী’