User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Loved the book. Really appreciate the writer.
Was this review helpful to you?
or
"মল্লিকা—একটি নাম, যেখানে লুকিয়ে আছে ভালোবাসার সৌরভ, অনুভূতির গভীরতা আর জীবনের সুর। প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন হৃদয়ে ফুটে ওঠা একেকটি মালতী ফুল। #মল্লিকা #বাংলাসাহিত্য #ভালোবাসারগল্প #বাংলাগল্প #পাঠকেরজগৎ #বইপড়ুন #বইপ্রেমী"
Was this review helpful to you?
or
আদাব ম্যাম। আপনার "মল্লিকা " বইয়ের গল্পগুলো আসলেই আমার ভালো লেগেছে।তবে "অবন্তী " গল্পটা মন ছুয়ে নিয়েছে।অনেক ভালো লেগেছে পড়ে ?।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়লাম,বেশ ছিমছাম একটি বই। মেয়েলিজীবনের সুন্দর একটি উপাখ্যান। সবাই পড়ে দেখতে পারেন। Recommended
Was this review helpful to you?
or
মল্লিকা বইটি - হাতে পেয়ে গেলাম। বইটির বাইন্ডিং কোয়ালিটি অনেক ভালো, বইটি পড়ে অভিভূত হইলাম।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, বইটি ছোট হলেও গল্পের মধ্য অনেক কিছু তুলে ধরেছে লেখিকা। সত্যিই গল্পটা পড়ে অভিভূত হলাম। চাইলে আপনারাও নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
খুব বেশিই কি আমাদের চাওয়া? এক চিমটি ভালোবাসা কিংবা এক বিন্দু সুখ!! তাহলে জীবনের দর্পনে কেন তার বিভৎস ছায়া? সুখের মিছিলে শামিল হওয়ার তাড়নায় হয়ে যায় সুখের অসুখ। এক চিমটি ভালোবাসার আশায় কখন যেন ব্যারিকেড এসে হয় ভালোবাসার অবরোধ। এসব শুধু এক মল্লিকার কথা বলে না। বলে আমাদের সবার কথা। সুবোধ বালকের বেশে পথ চলতে চলতে কখন যেন মাহিনের মতো চামড়া থেকে বোধ খসে পড়ে। সেই বোধের বোঝা বয়ে নিয়ে নির্বোধ হয় মল্লিকারা। সরল পথে,সুন্দর ভাবনায় মহৎ কাজ করার মনোবাসনা মানুষের মাঝে আছে বলেই পৃথিবী আজো সুন্দর। কিন্তু সেই বৃহত্তর মহান কিছু যদি নিজের ব্যক্তিগত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সে অবেলায় কি অবন্তীরা মহৎ হতে পারে? নাকি জীবনজুড়ে লালিত ভাবনায় চিড় ধরে হঠাৎ? সত্য মিথ্যার ধূম্রজালে আটকে যাওয়া গ্রামের সাধারণ মেয়ে 'উল্কা' কি উতরে যেতে পেরেছিল? কার ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে তাকে? ভালোবাসতে বাসতে ও অনুভূতিটা কেমন ধরা যায় না। প্রত্যাশার অনুপস্থিতি সৌম্যদের মনের আকাশে মেঘ জমায় অথচ সংজ্ঞায়িত করার কোন অবকাশ নেই। এমন গুমোট আবহাওয়ায় প্রত্যাশারা কি তাদের মনে জায়গা দেয় নাকি ছুড়ে ফেলে অতীতের কোন কালো অধ্যায়ে? 'বাবা' দুই অক্ষরের একটা শব্দ। অথচ কত আবেগ,কত তৃপ্তি। এই গভীর অনুভূতির খোঁজে সারাজীবন হন্যে হয়ে ফিরছে মালিহা। জীবনের কি এতটুকু সক্ষমতা নেই এই পবিত্র অনুভূতির মূল্য দিতে? মনস্তাত্ত্বিক সকল বিষয় আর জীবনের চিরাচরিত অথচ তীব্র কিছু সত্যতার সাক্ষী হয়ে এসেছে প্রতিটা চরিত্র। গল্পগুলো যেন আমাদেরই কথা বলে। ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০ দেব। জীবন পড়তে ভালোবাসেন এরকম যে কাউকেই গল্পগুলো ভীষণভাবে আটকে রাখবে। 'মল্লিকা'র সাথে পাঠকের যাত্রা সুন্দর হোক। লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
পাঠ্য অনুভূতি ভালো ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
বই: মল্লিকা লেখক: নাজনীন মোসাব্বের ধরন: গল্পগ্রন্থ জনরা: সমকালীন প্রকাশনী: অনুজ প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪ পাঠ প্রতিক্রিয়া: বইটিতে মোট পাঁচটি ছোটগল্প আছে। গল্পগুলো যথাক্রমে, “মল্লিকা, অবন্তী, উল্কা, প্রত্যাশা, মালিহা।” বইটির পাঁচটি গল্পই মূলত নারীদের জীবনের সংগ্রাম, বিদ্রোহ, উত্থান-পতন, সম্পর্ক, প্রেম, বিচ্ছেদ প্রভৃতি নিয়ে লেখা। মল্লিকা: এই গল্পটি অনেকটাই বাস্তবতা থেকে উঠে আসা গল্প। গল্পের মল্লিকার মতো আমাদের সমাজের অনেক মেয়েই অপরিপক্ক বয়সে প্রেমের ফাঁদে পড়ে, মনের মানুষটিকে নিয়ে ঘর বাঁধতে গিয়ে কত যে ঝুটঝামেলায় পড়ে তা তো আমাদের সবারই জানা। ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.৫/৫ অবন্তী: এই গল্পটিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে যে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করা হয়েছে তা অনেক ভালো লেগেছে আমার। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৫/৫ উল্কা: এই গল্পটিতেও নারীদের জীবনের অন্য একটি সমস্যাপূর্ণ দিক উঠিয়ে এনেছেন লেখিকা। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ প্রত্যাশা: এই গল্পটির স্টোরি টেলিং বেশ ভালো লেগেছে। অনেকখানি পড়ার পর পাঠক গল্পটির গুরুত্বপূর্ণ দিকটি বুঝতে পারবে। প্রত্যাশা গল্পে প্রেম আর অপ্রেমের নিষ্ঠুর খেলা রয়েছে। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ মালিহা: এটি এই বইয়ের সবচেয়ে বড় গল্প। এই গল্পটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। নারী জীবনের সংগ্রামের পাশাপাশি, এতে ফুটে উঠেছে বাবা-মেয়ের মিষ্টি স্নেহের সম্পর্কের গল্প। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৫/৫ সর্বোপরি, বইটা পড়তে আমার বেশ ভালো লেগেছে। যারা ছোটগল্প পড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই বইটি আশা করি বেশ উপভোগ্য হবে।
Was this review helpful to you?
or
নাজনীন মোসাব্বের লেখিকা আপুর লেখা গল্প যতবার পড়তে শুরু করি , ততবারই এক একটি চরিত্রে , আমি নিজেকে ভাবতে শুরু করে দেই । এক একটি নারী চরিত্র যেন , এক একটি আলোর দীপ্ত শিখার মত প্রজ্বলিত। লেখিকার গভীর জীবনবোধ আমাদেরকে , জীবন নিয়ে ভাবতে শেখায়, নতুন করে। "মল্লিকা", নাজনীন আপুর সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বই। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে ৫ জন নারীর নামে ৫টি অসাধারণ গল্প আছে এই বইতে। মল্লিকা - একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্পের , ভীষণ অদ্ভুত রকমের সমাপ্তির গল্প । মানুষ পাল্টায় , সে সাথে পাল্টায় তাদের বুকের ভেতর জমানো ভালোবাসার ধরণ । গল্পের শেষটায় ভীষণ চমক অপেক্ষা করছিল । একদম প্রস্তুত ছিলাম না চমকটির জন্য। লেখিকা এখানেই তাঁর দক্ষতা দেখিয়েছেন। অবন্তী - মা হিসেবে মাঝে মাঝে, সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে। গল্পে অবন্তী চরিত্রটি কেবল কর্মক্ষেত্রেই উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা নয় , নিজের সন্তানের ক্ষেত্রেও উদারতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমাদের সবারই, অবন্তীর মত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন। উল্কা - কালো মুখের মিষ্টি হাসি লম্বা কালো কেশ ডাগর ডাগর হরিণ চোখে দেখতে লাগে বেশ । একটি মিষ্টি কালো কন্যা, উল্কার গল্প । মায়ের কথায় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই চমকে উঠেছিল উল্কা । গল্পের শেষটায় এসে উল্কার এই পরিনতি দেখে , সত্যিই বিষন্নতায় ছেয়ে গিয়েছিল মনটা । সহজ সরল মানুষগুলোই , হয়তবা জীবনে ঠকে যায় বেশি ...... প্রত্যাশা - ধোঁকা খাওয়াটা , ভীষণ মারাত্মক একটা ব্যাপার । বিশেষ করে, নারীর বেলায়। নারী একবার কোন পুরুষের কাছে ধোঁকা খেলে , সহজে আর কাউকে কাছে টানে না। আর তাই , সৌম্যের সাথে প্রত্যাশার বেশ আন্তরিক একটি সম্পর্ক তৈরি হলেও , সৌম্যের একটি মিথ্যের কারণে , প্রত্যাশা তাকে দূরে সরিয়ে দেয় । মালিহা - একটি সন্তানের কেবল মা ডাক নয় , বাবা ডাকের প্রতিও থাকে , আকন্ঠ তৃষ্ণা। মালিহা আজীবন তার বাবাকে কাছে পাওয়ার জন্য,আকুল হয়ে থাকতো । গল্পের শেষটায় মালিহা তার আজীবন তৃষিত সে বাবাকে কাছে পেতে সক্ষম হয় । সবশেষে একটাই কথা বলতে ইচ্ছে হলো , লেখিকার সূক্ষ্ম ও গভীর জীবনবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে । জীবনটা যে অনেক রঙের মিশেল দেওয়া একটি গল্পের মত , তা তিনি দেখিয়েছেন তাঁর লেখায়। আমি লেখিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : মল্লিকা লেখিকা : নাজনীন মোসাব্বের প্রকাশনী : অনুজ প্রকাশন পৃষ্ঠা: ৬৪ মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০ মল্লিকা বইটি অনেকগুলো ছোট গল্প নিয়ে লেখা। যেগুলো সবগুলোই কোনো না কোনো নারী চরিত্রের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা। প্রথম গল্প 'মল্লিকা' এর নামে বইটি নামকরণ করা হয়েছে। সবগুলো ছোটগল্পই বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। লেখার ধরণ সুন্দর সাজানো গোছানো ছিলো।একবারের জন্য বিরক্তিকর মনে হয়নি, লেখিকা সহজ-সরল ভাষায় সবকিছু উপস্থাপন করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
~ নতুন প্রচ্ছদে মল্লিকা ~ ~ গল্পগ্রন্থ - মল্লিকা ~ লেখক- নাজনীন মোসাব্বের ~ রিভিউয়ার- আসিফ মাহামুদ ~° মল্লিকা সেজেছে ছোট ছোট গল্পের রঙে। এই রঙ কখনও গিয়ে পৌঁছেছে শৈশবের রেডিও নাটকে। আবার, কখনও মিশেগেছে চলার পথে ছোট ছোট বাস্তবতার আলাপ আলপনায়। লেখিকার লেখনী’র ফোঁটায় ফোঁটায় জমেছে আগ্রহ উদ্দীপনা, টানে টানে টনক নড়েছে বেশকিছু মানবিক ও নৈতিক আলাপ গল্পে। “ মল্লিকা, মালিহা, অবন্তী, উল্কা ও প্রত্যাশা”দের নিয়ে চমৎকার এই গল্পগ্রন্থের মৌলিক রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করবো। ° বেড়ে উঠার আদর্শ ও বড়ো হওয়ার সাথে সাদৃশ্য করে সে বাকরুদ্ধ তরুণীকে ভালোবেসেছে। বাবা ও মায়ের আগ্রহে তারা আবদ্ধ হয়েছে বন্ধনে। ° জীবনের ঝরে যাওয়া অতীতে শুধু দুঃখ কষ্ট আর অশ্রু মিশে থাকে না। কখনও জমে থাকে সুখের রেশে ভবিষ্যতে ভালো থাকার শান্তি’র ঘটনা ও গান। ° জীবনের শেষ বিকেলে যদি যৌবনের মহাসঙ্গীতের গল্পগুলো বৃদ্ধ হতে না দেয়। শান্তি’র আঙিনায় বিছিয়ে রাখে প্রশান্তি’র শামিয়ানা। তবেই হইতো মল্লিকা সার্থক হবে মালিহাও মুক্তি পাবে দূর্দশা জড়িত জীবন থেকে। ~° কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাসের আড়ালে গল্পগ্রন্থের খুচরা আলাপ আমাকে এতো বেশী শীতল করবে এটা আমি মোটেই ভাবতে পারিনি। জীবনের নীতি নৈতিকতা ও মানবিকতার জীবন ঘনিষ্ঠ স্মৃতি নিয়ে প্রানবন্ত গ্রল্পগ্রন্থ ‘মল্লিকা’। খুচরা গল্পে নিজেকে জানতে বুঝতে শিখতে ও প্রফুল্ল থাকতে সংগ্রহে থাকতে পারে অনন্য গল্পগ্রন্থ - মল্লিকা।
Was this review helpful to you?
or
মল্লিকা লেখিকা: নাজনীন মোসাব্বের প্রকাশনা: অনুজ পড়ে শেষ করলাম নাজনীন মোসাব্বের রুচি আপুর "মল্লিকা" গল্প সংকলনটি। ৫ জন মেয়ের ৫টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। গল্পগুলো ও ভীষণ সুন্দর। জীবনের প্রতিচ্ছবি একেবারে। সমাজে বাঁচতে গিয়ে আমাদের যে হোচট খেতে হয়, তা বারবার মনে পড়েছে গল্পগুলো পড়ে। খুবই ইন্টারেস্টিং।
Was this review helpful to you?
or
রাশেদ কাঞ্চনের একমাত্র মেয়ে মল্লিকা, তার আরও একটি পুত্র সন্তান আছে। একান্নবর্তী পরিবারের খুব আদরের সন্তান মল্লিকা। ভালোবেসে বিয়ে করে মহিনের সাথে। বাবা মা বলেছিলো এখানে সংসার করতে পারবে কি না? সে বলেছিলো পারবে কিন্তু প্রথমে সংসার ভালো গেলেও আস্তে আস্তে টাকার জন্য অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি থামানোর জন্য মল্লিকাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে হয়, আবার সংসার ভালো চলে। এভাবে মল্লিকা আর পেরে ওঠে না, যার ফলে তার করুন অবস্থা হয় যা আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবে না। অবন্তীর বাবা দেখেশুনে মেয়ের বিয়ে দেন এমন এক ঘরে যেখানে সে তার পড়া শেষ করতে পারে। সুখের সংসারে তাদের এক পুত্র সন্তান আসে যার নাম বজ্র। বজ্রের স্কুলের পাশে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছিলো। ছেলের স্কুলের মাঝে এই সময়টুকু এখানে ব্যয় করতো, পরে তিনি নিজে একটা প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার সব সময় এই সময় সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের জন্য বিলিয়ে দেন। ভালো কাজের বিনিময়ে ভালো কিছু পাওয়া যায়। মীর বাড়িতে জন্ম নিলো এক কণ্যা সন্তান, যার জন্মের সাথে সাথে তার মা মা*রা যায়। এখন এ মেয়েকে কে বড় করবে? তাই মীর সাহেব নিজের মেয়ে উল্কাকে বোন কমলার হাতে তার মেয়েকে তুলে দেন। নিঃসন্তান বোন এক শর্তে তাকে লালন পালন করে এক বান্ধবীর ছেলের সাথে বিবাহ করিয়ে দেন। বিয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বুঝতে পারে তার অস্বাভাবিক কিছু হচ্ছে, তার চিন্তায় আসে তার জীবনটা এমন হলো কেন? অন্য রকমও তো হতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
'মল্লিকা' বইয়ের প্রথম গল্পের প্রধান চরিত্রের নামানুসারেই এর নামকরণ। প্রথম গল্পে খুব সুন্দর একটা বার্তা লেখিকা দিয়েছেন পাঠক সম্প্রদায়কে। বাবা মা আমাদের ভবিষ্যত দেখতে পান,শুনতে অদ্ভুত হলেও ইহা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণিত, যার দু-চার খানা প্রমান আপনি হয়তো নিজেও দেখেছেন বা শুনেছেন। গল্পে লেখিকা খুব সুন্দর ভাবে তার সহজ উদাহরণ দেখিয়েছেন। তবে তা দেখতে বা বুঝতে পারেনা রঙিন চশমাধারী ১৮/২০ বছরের সদ্য প্রেমে উতলা মল্লিকা। একে একে এই বইয়ে রয়েছে আরো ৪ টি গল্প,যেখানে বিশেষ ভাবে ভাবাবে 'মালিহা' গল্পের মালিহার তার ও তার বাপির মধ্যকার এক অনবদ্য সুন্দর সম্পর্ক। রক্তের সম্পর্কের বাইরে যে আত্মিক সম্পর্ক আছে তা বিশেষ ভাবে নাড়া দিয়েছে পাঠক হৃদয়কে।
Was this review helpful to you?
or
মল্লিকা: রাশেদ কাঞ্চনের একমাত্র মেয়ে মল্লিকা, তার আরও একটি পুত্র সন্তান আছে। একান্নবর্তী পরিবারের খুব আদরের সন্তান মল্লিকা। ভালোবেসে বাবা-মা অমতে বিয়ে করে মহিনের সাথে। বাবা মা বলেছিলো এখানে সংসার করতে পারবে কি না? সে বলেছিলো পারবে।প্রথম দিকে মল্লিকা সুখে শান্তিতে সংসার করে।কিন্তু পরবর্তীতে মহিনের স্বাদ আল্লাদ বাড়তেই থাকে। মহিন চাকরি করে ইনকাম করতো এিশ হাজার টাকা।এতে তার সংসার চলত না।অশান্তি শুরু হতে লাগল। অশান্তি থামানোর জন্য মল্লিকাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে হয়, আবার সংসার ভালো চলে। এভাবে মল্লিকা আর পেরে ওঠে না, যার ফলে তার করুন অবস্থা হয় যা আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবে না। অবন্তী : অবন্তীর বাবা দেখেশুনে মেয়ের বিয়ে দেন এমন এক ঘরে যেখানে সে তার পড়া শেষ করতে পারে। সুখের সংসারে তাদের এক পুত্র সন্তান আসে যার নাম বজ্র। বজ্রের স্কুলের পাশে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছিলো। ছেলের স্কুলের মাঝে এই সময়টুকু এখানে ব্যয় করতো, পরে তিনি নিজে একটা প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার সব সময় এই সময় সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের জন্য বিলিয়ে দেন। ভালো কাজের বিনিময়ে ভালো কিছু পাওয়া যায়। মল্লিকা হলো নাজনীন মোসাব্বের ম্যামের গল্পগুচ্ছ। এখানে পাঁচটি ছোট গল্প আছে, যা খুব ভালো গুছিয়ে সবার সামনে পেশ করা হয়েছে।বাস্তব জীবনে নারীদের প্রতি করুন দশা,অবহেলা,ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নাম:আলিফা
Was this review helpful to you?
or
বইটার প্রতিটা গল্পের সাথে নিজের জীবনের অনেক মিল পেয়েছি,,,যেনো মনে হয়েছে আমার জীবনের কাহিনী গুলোর খন্ড চিত্র ফুটে উঠেছে চোখের সামনে,,, প্রথম গল্পটার শেষটা পড়ে চোখে জল চলে এসেছে,, বাস্তবতা হয়তো এমনি হয়,,আর সেই না ঘটা বাস্তবতারই যেনো এক ঝলক দেখতে পেয়েছি "মল্লিকা" গল্পটাতে। "মালিহা" গল্পটার সাথে নিজের অনেকটাই মিল পেয়েছি,,হয়তো সবটুকু না,,তবে অনেকাংশই। বাকি গল্পগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি, যাতে শক্ত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি ?✨ অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম এতো চমৎকার একটা বই আমাদের Generation কে উপহার দেওয়ার জন্য ?
Was this review helpful to you?
or
বই : মল্লিকা লেখক : নাজনীন মোসাব্বের জনরা : গল্পগুচ্ছ প্রকাশনী : অনুজ মলাট মূল্য : ২৫০ টাকা পৃষ্ঠা : ৬৪ মল্লিকা : রাশেদ কাঞ্চনের একমাত্র মেয়ে মল্লিকা, তার আরও একটি পুত্র সন্তান আছে। একাবর্তী পরিবারের খুব আদরের সন্তান মল্লিকা। ভালোবেসে বিয়ে করে মহিনের সাথে। বাবা মা বলেছিলো এখানে সংসার করতে পারবে কি না? সে বলেছিলো পারবে কিন্তু প্রথমে সংসার ভালো গেলেও আস্তে আস্তে টাকার জন্য অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি থামানোর জন্য মল্লিকাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে হয়, আবার সংসার ভালো চলে। এভাবে মল্লিকা আর পেরে ওঠে না, যার ফলে তার করুন অবস্থা হয় যা আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবে না। অবন্তী : অবন্তীর বাবা দেখেশুনে মেয়ের বিয়ে দেন এমন এক ঘরে যেখানে সে তার পড়া শেষ করতে পারে। সুখের সংসারে তাদের এক পুত্র সন্তান আসে যার নাম বজ্র। বজ্রের স্কুলের পাশে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছিলো। ছেলের স্কুলের মাঝে এই সময়টুকু এখানে ব্যয় করতো, পরে তিনি নিজে একটা প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার সব সময় এই সময় সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের জন্য বিলিয়ে দেন। ভালো কাজের বিনিময়ে ভালো কিছু পাওয়া যায়। উল্কা : মীর বাড়িতে জন্ম নিলো এক কণ্যা সন্তান, যার জন্মের সাথে সাথে তার মা মা*রা যায়। এখন এ মেয়েকে কে বড় করবে? তাই মীর সাহেব নিজের মেয়ে উল্কাকে বোন কমলার হাতে তার মেয়েকে তুলে দেন। নিঃসন্তান বোন এক শর্তে তাকে লালন পালন করে এক বান্ধবীর ছেলের সাথে বিবাহ করিয়ে দেন। বিয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বুঝতে পারে তার অস্বাভাবিক কিছু হচ্ছে, তার চিন্তায় আসে তার জীবনটা এমন হলো কেন? অন্য রকমও তো হতে পারতো। এখানে আরও ২ টা ছোট গল্প আছে প্রত্যাশা ও মালিহা। এই দুইটা গল্প আপনাদের জন্য রেখে দিলাম, নইলে ছোট ছোট রিভিউ লিখলে আরও ছোট হয়ে যাবে। পাঠ প্রতিক্রিয়া : মল্লিকা হলো নাজনীন মোসাব্বের ম্যামের গল্পগুচ্ছ। এখানে পাঁচটি ছোট গল্প আছে, যা খুব ভালো গুছিয়ে সবার সামনে পেশ করা হয়েছে। গল্পগুলোতে সামাজে মেয়েদের অবহেলা, করুন দশা, ভালোবাসা সবই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে মল্লিকার মতো খারাপ কপালের গল্পও এসেছে যেমন আবার এসেছে ভালো কপালের অবন্তীর স্বপ্ন পূরণের গল্প। অনেকদিন পরে এমন একটা ছোট গল্প পড়লাম ভালোই লাগলো, তবে বইয়ের মেয়েদের জীবন কাহিনী বা বিপর্যের গল্পই মূলত তুলে ধরা হয়েছে। রেটিং : ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
বই: মল্লিকা (গল্পগ্রন্থ) লেখিকা: নাজনীন মোসাব্বের প্রথম প্রকাশ : জুলাই ২০২৪ (অনুজ প্রকাশন) মুদ্রিত মূল্য: ২৫০ টাকা নাজনীন মোসাব্বের এর একক গল্পগ্রন্থ “মল্লিকা”, পাঁচটি ভিন্ন স্বাদের নারীপ্রধান গল্প দিয়ে সাজানো। গল্পগুলোর প্রধান চরিত্রের নামেই গল্পের নামকরণ করা। এ বইয়ের প্রথম গল্প, মল্লিকা। পরিবারের একমাত্র সুন্দরী মেয়ে, যার লেখাপড়া মোটেও ভালো লাগেনা। পরিবারের সবার অমতে গিয়ে মল্লিকা ভালোবেসে বিয়ে করে সহপাঠী মহিন কে। আমার মনে হয় মহিনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান সমাজের “মেরুদন্ডহীন” পুরুষের চরিত্র এঁকেছেন লেখিকা, না হলে, নিজে বেশ মোটা অঙ্ক উপার্জন করেও, কোন যুক্তিতে ফ্রিজ কেনার কিস্তির টাকা শশুরের কাছে চাওয়া লাগে? এই গল্পের শেষটুকু পড়ে মনে মনে বলেছিলাম: বেশ হয়েছে ! দ্বিতীয় গল্প “অবন্তী” আমার সবচেয়ে প্রিয় এ বইতে। যেহেতু আমি নিজেও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী (আংশিক), আমি কিছুটা হলেও জানি একজন প্রতিবন্ধীর জীবনে কত রকম বাধা বিঘ্ন থাকতে পারে। অবন্তীর মতো নিঃস্বার্থ ভাবে যদি কয়েকজন ও ভাবতো, তবে বহু মানুষের জীবন হয়তো পাল্টে যেত। তৃতীয় গল্প “উল্কা। এই গল্পটি খানিকটা গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত। এক ধোঁকা খাওয়া নারীর ঘুরে দাঁড়াবার গল্প এটি। বাদশাহ চরিত্রটির প্রতি ভীষণ রাগ করেছিলাম গল্পটি পড়ে। চতুর্থ গল্পের প্রত্যাশা চরিত্রটির সাথে নিজের অনেকটা মিল পেলাম। প্রত্যাশা রা এক দিনে পুরুষবিদ্বেষী হয়ে ওঠেনা, সমাজ তাদেরকে বাধ্য করে। শেষে, মালিহা গল্পটিতে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। ডিভোর্সি মায়ের মেয়ে মালিহা, শেষ পর্যন্ত বাবার ভালোবাসা পেয়েছিলো কি? একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডুবে ছিলাম গল্পগুলোতে। লেখিকার ভাষা খুব একটা দুর্বোধ্য নয়। সাবলীল ভাষা আর অসাধারন এক জোড়া চোখের প্রচ্ছদ এর এই বইটি হতে পারে আপনার বইপ্রেমী শখের নারীর জন্য বেশ ভালো উপহার। ঈদ সালামী হিসেবে বন্ধু/আত্মীয়দের কাছ থেকে মল্লিকা বইটি চেয়ে নিন সবাই।
Was this review helpful to you?
or
নাজনীন মোসাব্বের এর লেখা তৃতীয় বই "মল্লিকা" নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি বই। এতে পাঁচটি ছোটগল্প রয়েছে সেইসাথে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো বই এটি। ছোটগল্প তিনি এত সুন্দর সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন যা পাঠককে বইটি পড়ার প্রতি অনায়াসেই আকৃষ্ট করে।
Was this review helpful to you?
or
বই পরিচিতি বইয়ের নাম : মল্লিকা লেখক : নাজনীন মোসাব্বের প্রকাশনী : অনুজ প্রকাশন পৃষ্ঠা : ৬৪ মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা বই সম্পর্কে : মল্লিকা বইটা মূলত একটা গল্প সংকলন। বইটিকে লেখিকা পাচঁটি গল্প দিয়ে সাজিয়েছে। পাঁচটি গল্পের পাঁচটি নারীর জীবনের নানা রকম কথা উঠে এসেছে। বইটিতে মল্লিকা,তারপর অবন্তী,উল্কা,প্রত্যাশা এবং মালিহাদের জীবনের নানা রকম ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মল্লিকা বইটি পড়লে আমারা জানতে পারব প্রতিনিয়ত আমাদের আশাপাশে কত কিছু ঘটে চলেছে, কিছু কিছু ঘটনা হয়তো আমাদের সাথেও হয়েছে কিংবা ভবিষ্যতে হতেও পারে কে বলবে? তাহলে চলেন সংক্ষেপে জেনে আসা যাক, মল্লিকা মালিহাদের জীবনের চড়াই উৎরাই পার করে বেঁচে থাকার কিছু গল্প। মল্লিকা গল্পের পাঠপ্রতিক্রিয়া: মল্লিকার জীবনের সাথে আমাদের চারপাশের অনেক মেয়ের জীবনের মিল আমরা চোখ মেলতেই দেখতে পাই। সহজ সরল ভালো ভদ্র একটা মেয়ে যে কিনা সারা জীবন বাবা মায়ের কথা মতো চলেছে এবং সব কিছু সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু শেষে ভালোবাসার জন্য বাবা-মায়ের অবাদ্ধ হয়ে বিয়ে করে নিজের পছন্দের মানুষকে। মল্লিকাও ভালোবেসে হাত ধরেছিল তাঁর প্রিয় মানুষের। কিন্তু সব ভালোবাসা শেষে ভালো থাকে না, এই রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। মল্লিকার জীবনে ভালোবাসার কমতি না থাকলেও তার স্বামীর লোভ, ভালো থাকার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা, আয়েসী জীবন - যাপন করার ইচ্ছা মল্লিকাকে প্রতিনিয়ত মা-বাবার কাছে ছোট করে তোলে। বার বার মা-বাবার কাছে ছোট হওয়া থেকে রেহাই পেতে মল্লিকা শেষে এক ভয়ংকর অন্ধকার জীবন বেছে নেয়। কী সেই জীবন? জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে মল্লিকা বইটি। আমার কাছে দারুণ লেগেছে, অনেক শিক্ষনীয় বিষয় ছিল গল্পটিতে। অবন্তী গল্পের পাঠ প্রতিক্রিয়া : অবন্তী গল্পটাও আমার বেশ ভালো লেগেছে। গল্পটিকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, একজন মেয়ে চাইলেই নিজের ইচ্ছের জোরে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। অবন্তী শাশুড়ীর আদরের লক্ষী বউ, সব কাজ সে শাশুড়ীর অনুমতি নিয়ে করে। এমনকি নিজের ছেলের সব দায়িত্ব শাশুড়ীর উপর থাকায় ছেলের ভালো-মন্দও শাশুড়ীর অনুমতি না নিয়ে করে না অবন্তী। ছেলের স্কুলের পাশে বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশুদের স্কুলের সন্ধান পায় অবন্তী এবং সেখানে চাকরি করতে চায় সে। কিন্তু শাশুড়ীর অনুমতি পায় না অবন্তী যার ফলে সে লুকিয়ে লুকিয়ে চাকরি করে যায়। এক সময় সে নিজে একটি স্পেশাল চাইন্ড কেয়ার করতে সক্ষম হয় স্বামী এবং সন্তানের সাপোর্ট পেয়ে। নিজের ইচ্ছের জোরে অবন্তী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেড়েছে। প্রত্যেক নারীর উচিত এমনিই ভাবে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া। অবন্তী গল্পটাও বেশ শিক্ষনীয়। মল্লিকা এবং অবন্তীর মতো উল্কা, প্রত্যাশা এবং মালিহা প্রতিটি গল্পই শিক্ষনীয় গল্প ছিল। নাজনীন মোসাব্বের আপুর লেখার হাত খুবই চমৎকার। মল্লিকা বইটা খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। নাজনীন আপুর লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে মল্লিকা বইয়ের মাধ্যমে। মল্লিকা বইটা না পড়লে এতো চমৎকার লেখা মিস করে যেতাম। বাকি বই গুলোও পড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ। মল্লিকা বইয়ের প্রতিটি গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে তাই তো একদিনেই বইটা পড়ে শেষ করেছি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। দ্রুত বইটা সংগ্রহ করে পড়ার অনুরোধ রইলো আশা করি হতাশ হবেন না পড়ে। রিভিউদাতা : তানিয়া ইসলাম জুথি ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং। রেটিং : ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
কিছুদিন আগে হাতে পাই “মল্লিকা” নামের একটি গল্পগ্ৰন্থ। বইটি আকারে খুব একটা বড় না হলেও দুইদিন সময় নিয়ে পড়ি, ব্যস্ততার কারণে। তাই পড়া শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে আসলাম। বইটির ফ্ল্যাপ পড়ে হয়তো বই সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা পাবেন না; আবার পেতেও পারেন! তাই আগে ফ্ল্যাপ দেখে নেয়া যাক- “সত্তর দশকের শেষের দিকে, আমার জীবনের মধুময় সময় অতিক্রম করেছি। এ সময়টাতে প্রচুর রেডিয়ো নাটক শুনতাম ও চোখে দেখা কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার 'মল্লিকা'কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে একটা মজার বিষয় শেয়ার করতে চাই, আমার মরহুম পিতা জনাব নুরুল মোনেম (তদানীন্তন অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব, বহিঃর্সম্পদ বিভাগ) ঐ সময়ে আমাকে বাসার একমাত্র ছোট্ট রেডিয়োটিকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে রেখে এ ঘর থেকে ও ঘর বেড়িয়ে বেড়িয়ে 'নাটক শোনা'কে বিস্ময় প্রকাশ করে 'রেডিয়ো পিকিং' বলে আখ্যায়িত করেছেন। বাবা আমার অবাকই হতেন, ঐ একমাত্র রেডিয়োটির ভাগীদার আমি-ই যেন! এখন মনে হয় নিঃসন্দেহে এই ডাকটি তাঁর আদরের ছিল। চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছোট্ট রেডিয়োতে শোনা বিভিন্ন দেশ-বিদেশের নাটকগুলো এখনো আমার মস্তিষ্কে স্মৃতির মনিকোঠরে চমকিত করে। এগুলোর সাথে আমার কল্পনার আয়না, চিন্তাশক্তি ও কিছু সত্য ঘটনা সংমিশ্রণ ঘটিয়ে 'মল্লিকা'কে আবিষ্কার করা হয়।” এই ছিল বইটির ফ্ল্যাপে। মল্লিকা, অবন্তী, উল্কা, প্রত্যাশা এবং মালিহা নামক পাঁচটি গল্প দিয়ে বইটি সাজানো। গল্পগুলোর প্লট ভালো ছিল। বর্তমান সময়ের নারীদের নিয়ে সমাজের নানা চিত্র ফুটে উঠেছে পুরো বই জুড়ে। নিজের দিক থেকে বলবো, বইটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। একেক গল্পে একেকরকম ঘটনা, শিক্ষা ইত্যাদি। তবে বইটি পড়ার সময় যেন প্রতি মূহুর্তে সম্পাদনার অভাববোধ করেছি। অনেক জায়গায় সংলাপের ক্ষেত্রে শুরুতে ঊর্ধকমা থাকলেও শেষে নেই; যার ফলে কথাটা কোথায় শেষ হয়েছে তা বুঝে ওঠা মুশকিল। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে যতিচিহ্নের ব্যবহারে সতর্ক হলে ভালো হতো; অন্তত মন ভরে পড়া যায় তখন। বাক্য গঠনের ক্ষেত্রেও অনেক সময় কেন জানি খাপছাড়া মনে হয়েছে। যেমন: “অবন্তীর খুব শখ তার বজ্র হাঁটি হাঁটি পা পা করে পেছনে ব্যাগ ঝুলিয়ে বজ্র শোনা স্কুলে যাবে।” অংশটুকু অবন্তী গল্পের ২২ নং পেজ থেকে তুলে দেওয়া; যেখানে বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করা দরকার ছিল, কিংবা বাক্যটাতে অতিরিক্ত শব্দব্যয় হয়ে গেছে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বাক্যে সম্পাদনার অভাব রয়েছে। যেমন: “বোন কমলাকে মেয়েটাকে তুলে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না মীর সাহেবের।” বাক্যটিতে ‘কে’ এর ব্যবহার শ্রুতিকটু লাগছে। এসব বিষয় অবশ্যই সম্পাদনার অন্তর্ভূক্ত। তাই আশা করছি আগামী মুদ্রণে ভালোভাবে সম্পাদনা কাজটা করা হবে। এইটুকু বিষয় বাদে বইয়ের প্লট, বাইন্ডিং এবং প্রোডাকশন কোয়ালিটি ভালো ছিল। প্রচ্ছদের প্রশংসাও করা উচিত। সব মিলিয়ে বলতে গেলে ভালো ছিল। আশা করবো যে নাজনীন ম্যাম আমার উল্লেখিত বিষয়গুলো মন্দভাবে না নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হিসেবে গ্ৰহণ করবেন। যদিও আমি জানি না আমার রিভিউতে ব্যবহৃত বাক্যে কোথাও নিজের অজান্তেই তাকে ছোট করেছি কিনা; এমন কিছু মনে হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ। || ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.২/৫ || বই পরিচিতি: —• বইয়ের নাম: মল্লিকা —• লেখিকা: নাজনীন মোসাব্বের —• জনরা: গল্পগুচ্ছ —• প্রকাশনী: অনুজ প্রকাশন —• পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪ টি
Was this review helpful to you?
or
নাজনীন মোসাব্বের একজন সমকালীন লেখক। তিনি একইসাথে গল্পকার ও কবি। পাঠক মহলে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন তার ঝরঝরে লেখার কারণে। "কে বলে বুড়ো" ও "অপরাহ্ণের চিঠি"-এর পরে এটা উনার তৃতীয় লেখা বই। আশাকরি গতবারের মতো এইবারও আবার এই বইয়ের পাঠকপ্রিয়তা পাবে। শুভ কামনা রইলো লেখিকা নাজনীন মোসাব্বের।