User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****069

      30 Sep 2024 06:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারি এর সার্ভিস খুবই ভালো,,অর্ডার করার তিন দিনের মধ্যে পণ্যটি হাতে পেয়েছি

      By haf****com

      02 Jul 2024 04:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বেশি ভালোবাসা পরিমাণ টাতে ঘাতের চাপ টাও বেশি, এই উপন্যাসের কাহিনি টা তেমনেই বাস্তব

      By Rakib Hasan

      01 Feb 2024 06:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আহা শরৎ বাবু এমন কঠিন শাস্তি??

      By 880****669

      19 Oct 2023 02:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      khub shundor akta boi sobai caile nite paren boiyer page gulo onek shundor.?

      By MD Siyam

      29 Jul 2023 06:46 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই কুয়ালিটি ভালো! দেবদাস বইয়ে একটি ভুল সিদ্ধান্ত কিভাবে একজন মানুষকে শেষ করে দেয় তাই দেওয়া আছে।প্রকৃত ভালোবাসা চিনতে না পারার ফলে জীবনের সকল আন্দকে হারিয়ে ফেলা এবং শেষে করুন মৃত্যুর শিকার দেবদাসের কথা বলা হয়েছে।আমি দোয়া করি পৃথিবীতে যেন দেবদাসের মত হতভাগা মানুষগুলো ভুল করার আগেই তার প্রকৃত ভালোবাসা পেতে পারেন!

      By md.Ruhul Quddus Liton

      26 Sep 2022 12:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দেবদাসের জন্য খুব কস্ট লাগে।

      By Mehedi Hasan

      04 Feb 2022 06:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ধন্যবাদ রকমারিকে

      By kaushik

      18 Nov 2021 12:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      wah

      By MD Suzon Islam

      04 Aug 2021 04:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দাম অনুযায়ী বই টা ভালো

      By Riyad Hossen

      06 Jul 2021 05:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice

      By Sk Monayem

      02 Sep 2020 12:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বাঙালির_চিরন্তন_আবেগের_কালজয়ী_উপাখ্যান দেবদাস শ্রীশরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিভাগঃ উপন্যাস রেটিংঃ৯/১০ কাহিনি সংক্ষিপ্ত ঃ দেবদাস জমিদার বাড়ির ছেলে এবং পার্বতী সচ্ছল গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে। দেবদাস ও পার্বতীদের বাড়ি পাশাপাশি এবং দুইজনই পিঠাপিঠি বয়সের। একসাথে পাড়ার পাঠশালায় পড়ে। শৈশবে কেটেছে তাদের দুরন্তপনায়,একসাথে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ানো, মাছ ধরতে যাওয়া। আবার পনেরোট মাছ ধরে তাদের যোগ্যতা মত ভাগ করে নেওয়া। এলাকার ছোট বাজারে ঘুরতে যাওয়া। এরা দুইজন একে অন্যের সর্বক্ষণের সঙ্গী। দেবদাস পার্বতী যদি দুষ্টমি করে বা কথা না শোনে তাহলে মার দিয়ে কান মলে দেয়। অভিমান করে কান্না করে পার্বতী চলে যায়, দেবদাস পেছন থেকে ডাক দেয় কিন্তু পার্বতী শোনে না। একদিন হয়ছে কি, দেবদাস আর পার্বতী মাছ মারতে যাবে। তাই বাশ বাগান থেকে একটা কঞ্চি কেটে নিয়ে হবে এজন্য দেবদাস একটা বাশগাছের কঞ্চি টেনে ধরতে রাখতে বলে কিন্তু খানিক পরে পার্বতীর হাত থেকে সরে চলে যায়। আর ওমনি ধপাস করে পড়ে যায় দেবদাস। বেশি উচু না হওয়ায় তেমন কিছু হয়নি। তারপর দেবদাস পার্বতী একটা ছোট দিয়ে পিঠে, মুখে আঘাত দেয়। পার্বতীর মুখে, পিঠ দাগ হয়ে যায়। পার্বতী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যায়। পার্বতীর দাদিমা জিজ্ঞেস করে তোকে কে মেরেছে, পার্বতী মিথ্যা বলে যে পন্ডিত মশায় মেরেছে। তারপর তার দাদিমা পার্বতী কে নিয়ে দেবদাসের বাবার কাছে যেয়ে নালিস করে,পন্ডিত মশায়ের এভাবে মারাটা ঠিক হয়নি। দেবদাস ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফেরে, মনে করে আজ তার পিঠ থাকবে না। কিন্তুু বাড়ি এসে দেখে অন্য ব্যাপার। তারপর দেবদাস পার্বতীদের বলে পারু তুই আমাকে অনেক বাচালি, তোকে আর মারব না রে। এরকম শৈশবে সম্পর্ক ছিল দেবদাস আর পার্বতীর। এরপর দেবদাস পড়ালেখার জন্য, তার বাবা তাকে কোলকাতায় পাঠবে। পার্বতী অনেক কাঁদল। কোলকাতা থেকে যখন দেবদাসের চিঠি আসত পার্বতী তাই বারবার পড়ত। পরের বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে দেবদাস বাড়ি আসে।এখন সে সাহেব হয়েছে, আগের সে দেবদাস নেই৷ হাতে সোনার ঘড়ি, বিলাতি শার্ট, জুতা। এবারের গ্রীষ্মের ছুটিটা দেখতে দেখতে চলে গেল। এবারের কোলকাতায় ফেরার সময় গতবারের মত অত আর কাঁদিনি। এভাবে কয়েক বছর পার হয়ে গেল। পার্বতী যেন সময়ের সাথে সাথে বালিকা থেকে কিশোরী হয়ে গেছে বাড়ির সবাই সেটা বুঝছে। এর মাঝে একদিন পার্বতীর দাদি দেবদাসের মাকে বলে যে দেবদাস আর পার্বতীর তো ভালোই সম্পর্ক। কিন্তু দেবদাসের পরিবার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে যে বাড়ির পাশে আর একটু নিচু জাতের এই পরিবারের সাথে সম্পর্ক করতে রাজি নয়। পার্বতীর পরিবার অন্য এক জায়গায় বিয়ে ঠিক করে, পাশের হাতিপোতা জমিদার ই পাত্র। এরমধ্যে দেবদাস বাড়ি আসলে পার্বতী রাতে গিয়ে দেবদাসের পায়ে পড়ে বলে,দেবদা আমাকে আশ্রয় দেয় তোমার পায়ে। দেবতা বলে পরিবারের বিরুদ্ধে সে কিভবে কি করবে। মনে অভিমান আর দুংখ নিয়ে পার্বতী শশুর বাড়ি চলে যায়। তার বরের বয়স চল্লিশ এর নিচে হবে বরং তার একটু বেশি। পার্বতীর শশুরালয়ে ভালোই চলছিল। কিন্তুু সময়ে অসময়ে পার্বতীর দেবদাসের কথা মনে পড়তে। শৈশবে কাটানো সেই দুরন্ত মুহুর্ত,মান অভিমান । একদিকে দেবদাসের পিতা মারা যায়। মা কাশিতে চলে যেতে চায়, কিন্তুু তার আগে ছেলেকে বিয়ে দিতে চায়। দেবদাস তাতে রাজি নয়। কারণ সে পার্বতীর মত আর কাউকে সে তার জীবনে খুঁজে পাবে না। সে তার বাবার রেখা যাওয়া নগত টাকা নিয়ে কোলকাতায় চলে যায়। আস্তে আস্তে সে যে যেন অন্য এক দেবদাস হয়ে যায়। এখন তার এই অবস্থার জন্য সে নিজেকেই দায়ী মনে করে। পার্বতী তো তার পায়ে এসে আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। সে তো কিছু না কিছু করতে পারত। সেই শোক দুংখে তার দিনযাপন চলেছ। সে মদ্যপান করা শুরু করে নিজেকে ভুলিয়ে রাখার , নিজেকে আর পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ে সে পতিতালয় এ যাওয়া শুরু করে। সেখানে এক রূপবতী তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। সম্পতির বাজে খরচ করে ফেলে সে প্রচুর। এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য তার শরীর আর পেরে ওঠে না দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সে বায়ু পরিবর্তন এর জন্য এলাহাবাদ যায়। ওখানে সুস্থ হলে বোম্বাই তে চলে যায়। ওখানে থেকে সে এবার বাড়িতে যেতে চায়। বোম্বে থেকে হাওড়ার টিকিট কাটে। গাড়ি পান্তুয়া স্টেশনে পৌঁছালে সে ওখান থেকে নেমে পড়ে। তার শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে। সে একটা গরুর গাড়ি ঠিক করে হাতিপোতায় যাবে ওখানে পার্বতীর শশুরবাড়ি। শেষ ইচ্ছে সে পার্বতীর সাথে দেখা করবে। পাণ্ডুর স্টেশন থেকে হাতিপোতার দূরত্ব আঠারো ক্রোশ দূরে। একদিন, রাত পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে হাতিপোতায় পৌছায়। বিশাল জমিদারি বাড়ির সামনে গাড়োয়ান গাড়ি থামাল। গোড়োয়ান দেবদাস কে ডাক দিল, কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া গেল না। গাড়োয়ান বাধানো অশ্বত্থতলায় খড় পাতিয়া শয্যা রচনা করিল। তারপর বহু কষ্টে দেবদাস কে সেখানে শয়ন করিয়া দিল। বাহিরে কেউ নেই জমিদার নাড়ি নিস্তব্ধ, নিদ্রিত। দেবদাস বহু কষ্টে পকেট হইতে এক শো টাকার নোট বাহির করিয়া গাড়োয়ান কে দিল। ভোর হইল। সকালবেলা জমিদারবাড়ি হইতে লোক বাহির হল,- এক আশ্চর্য দৃশ্য। গাছতলায় একজন লোক মরিতেছে, ভদ্র লোক গায়ে দামি শাল, পায়ে চকচকে জুতা, হাতে আংটি। একে একে অনেক লোক জমা হইল। জমিদার ভুবনবাবু অর্থাৎ পার্বতীর বর ডাক্তার আনতে বলে নিজে উপস্থিত হলেন। ডাক্তার এসে বলল শ্বাস উঠছে, এখনিই মরবে। সকলে বলল আহা! উপরে বসিয়া পার্বতী এ কাহিনি শুনিয়া বলল আহা! কেউ তাকে চিনতে পারল না শুধু পকেট একটা চিঠি তার বড় ভাই দ্বিজেদাস মুখুয্যে লিখেছেন। আর একটা হরিমতি লিখেচেন। একটা নীল রংয়ের আংটি। পার্বতী যখন এ কথা শুনিন। যে বুঝতে পারিল হরিমতি দেবদাসের মা আর দ্বিজদাস বড় দাদা।আর আংটি পৈতায় সময় জেঠামশাই দিয়েছিলেন দেবদাসকে। এরই মধ্যে দেবদাসের সংকার চাড়ালরা করে ফলেছে। কারণ কেউ বুজতেছিল না যে দেবদাস কোন বংশের।পাড়াগাঁয়ে কেউ স্পর্শ করতে চাইল না। তারপর শুষ্ক পুষ্করিণীর তটে অর্ধদগ্ধ করিয়া ফেলিয়া দিল।। শকুন আসিয়া বসিল, শৃগাল -কুকুর শবদেহ নিয়ে কলহ করতে প্রবৃত্ত হইল। একথা শোনার পর পার্বতী ছুটিয়া নামিয়া পড়িল। জমিদার চৌধুরী মহাশয় এটা দেখার পর তাকে ধরে আনতে বলল। তারপর দাসী-চাকর মিলিয়া ধরাধরি করে পার্বতীর মূর্ছিত দেহ বাড়ির মধ্যে আনল। পরদিন তাহার মূর্ছাভঙ্গ হল। একজন দাসীকে সে ডেকে জিজ্ঞাসা করল রাত্রিতে এসেছিলেন, না? সমস্ত রাত্রি! তারপর পার্বতী চুপ করিয়া রইল। পরিশেষে লেখকের নিবেদন "তোমরা যে কেহ এ কাহিনী পড়িবে, আমাদের মতো দুংখ পাইবে। তবু যদি দেবদাসের মত এমন হতভাগ্য, অসংযমী পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে, তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও। প্রার্থনা করিও আর যাই হোক তাহার যেন এমন করিয়া কাহারোও মৃত্যু না হয়।। মরণে ক্ষতি নাই,কিন্তুু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ, করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে যেন একটি করুণার্দ্র স্নেহময় দেখিতে দোখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় সে যেন কাহারো এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে। "

      By মু.ফখরুল ইসলাম

      14 Apr 2020 08:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ-দেবদাস লেখকঃ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয় ধরণঃ-উপন্যাস ভাষাঃ-বাংলা প্রকাশণীঃ-অবসর প্রথম অবসর প্রকাশঃ-জুন ২০০২ প্রচ্ছদঃ-ধ্রুব এষ মোট পৃষ্ঠাঃ-১০৪ মূল্যঃ-১০০.০০৳ =দেবদাস!বাঙালি প্রেমিক সমাজের সাথে আষ্টে- পিষ্টে লেগে থাকা এক অতি পরিচিত নাম।কখনো দাদি-কখনো পাড়ার উদাস প্রেমিক কিংবা কখনো প্রিয়জন চলে যাওয়া প্রেমিক কে দেখে উপহাস করা বন্ধুদের মুখে দেবদাস নামটি যে কত শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই।দেবদাস নামটির মাঝেই যেন লুকিয়ে রয়েছে পরিপূর্ণ এক প্রেমিক সত্তা।অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল শরৎ পড়বো।অবশেষে শুরু করলাম।তাও আবার দেবদাস দিয়ে।যাইহোক সংক্ষিপ্ত কাহিনী হলো—জমিদার পুত্র দেবদাস মুখার্জি’র সাথে পাশের বাড়িতে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে পার্বতী’র প্রেম এবং সর্বশেষ পার্বতী’র বিচ্ছেদে বিরহের অনলে দগ্ধ হয়ে দেবদাসের মৃত্যু।লেখক তার উপন্যাসটি সাজিয়েছেন মোট ষোলটি পরিচ্ছদে।উপন্যাসের কেন্দীয় চরিত্র হলো দেবদাস।আর বলা চলে প্রধান চরিত্র হলো পার্বতী।উপন্যাসের পাশ্বনায়িকা হলো চন্দ্রমুখী।পাশ্বচরিত্রের মধ্যে রয়েছে—দেবদাসের ভাই ধর্মদাস,তার বাব-মা,পার্বতীর মা,জমিদার ভুবন,দেবদাসের বন্ধু চূনী- প্রমুখ।দেবদাস আর পার্বতীদের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই তারা হয়ে উঠে একে অপরের খেলাধুলা ও পড়ালেখার সাথী।কিন্তু একটা সময় দেবদাসকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়।পরবর্তীতে কলকাতা বাস সেরে দেবদাস বাড়ি আসে প্রায় অনেকদিন পর।তখন দেবদাসের তো সাহেব বেশ!পার্বতীর মাও সেই সুযোগে দেবদাসের মাকে প্রস্তাব দিয়ে বসে তার আদরের পারুর জন্য।কিন্তু জমিদার গিন্নি জাত-পাতের আভিজাত্য দেখিয়ে কেনাবেচার ঘরের মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দেবে না বলে দেয়।উপন্যাসের এই পর্যায়ে লেখক দেখিয়েছেন—প্রেমের নেশায় পার্বতীর সংস্কার ভুলে যাওয়াকে।সে গভীর রাতে দেবদাসের ঘরে গিয়ে চোখের অশ্রুতে তার প্রেমের দাবি তোলে।কিন্তু দেবদাস তাকে ফিরিয়ে দিয়ে চলে যায় কলকাতায়।সেখানে গিয়েই সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং হৃদয়ের অন্দরে পার্বতীর জন্য প্রেম অনুভব করে।ফিরে এসে ক্ষমা চাইলেও পার্বতী সে সময় নিজের অহংবোধ বজায় রেখে বিপত্নীক জমিদার ভুবনকে বিয়ে করে চলে যায়।দেবদাস পুনরায় কলকাতার পথে যাত্রা করে।উপন্যাসের এই পর্যায়ে দেখা যায়—প্রেমের প্রকৃত রুপ।প্রেমের আগুনে দেবদাসের হৃদয় পুড়তে থাকে।পড়ালেখা ছেড়ে শরাবের নেশায় বুঁদ হওয়া আর পতিতালয়ে যাতায়াত শুরু করে দেয় সে।সেখানে চন্দ্রমুখী নামের এক মেয়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয় যে পরবর্তীতে দেবদাসের প্রেমে পড়ে।উপন্যাসের একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায়,দেবদাস প্রিয় পার্বতীকে একবার দেখার জন্য তার শ্বশুর বাড়ি যাত্রা করে।যদিও দেবদাস সেখানে পৌঁছায় কিন্তু দেবদাসের অন্তরের খায়েশ পূর্ণ হয় না।তার আগেই তাকে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটাতে হয়।মৃত্যুর তুহীন শীতল স্পর্শে স্পর্শিত হয়ে সে ভস্ম হয়ে যায়।পরিশেষে বলা চলে, . পার্বতীর বিচ্ছেদে;— দেবদাসের সমাপ্তি একমাত্র মৃত্যুতেই! . দেবদাস একটা বোহেমিয়ান উপন্যাস।উচ্চবিত্ত এক প্রেমিকের দগ্ধ হওয়া জীবনের নাম।শুধু প্রেমিক না সাহিত্যপ্রেমীদেরও পড়া চলে এমন একটি বই।কবিগুরু থেকেও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে যে তার লেখা বিবেচনা করার যোগ্যতা আমার হয়নি মনে করি।তবুও পাঠক হিসেবে তো বই পর্যালোচনা করার অধিকার রাখিই! হ্যাপি রিডিং!? রেটিংঃ-৫/৫ #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ #এপ্রিল-২০২০

      By Shakil Ahmed

      13 Oct 2019 04:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দেবদাস পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়নি এরকম লোক খুব কমই আছে। কোনো বই পড়ে এতটা খারাপ লাগেনি যতটা খারাপ লেগেছে দেবদাস পড়ার পর। সাহিত্যের নিগাঢ় সংমিশ্রণ কতটা বাস্তবিক হলে এমনটা সম্ভব। কিছুই বলার নাই। কালজয়ী এই উপন্যাস সম্পর্কে , সবাই জানেন।

      By Md. Saiful Islam Sohel

      30 Jul 2018 10:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাস ঃ জুলাই সপ্তাহ ঃ চতুর্থ পর্ব ঃ ২ বইয়ের নাম ঃ দেবদাস লেখক ঃ শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশনী ঃ বি.কে.পাবলিকেশন পৃষ্ঠা ঃ ৬৩ মূল্য ঃ ৩২ টাকা মাত্র। রিভিউ ঃ বাংলা সাহিত্য যাদের মাধ্যমে আজ বিশ্বব্যাপী এতো সমাদৃত ও পাঠক প্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের মন মননে, শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের মধ্যে এক অন্যতম নাম। যারা বাংলা সাহিত্য পড়েন, ভালবাসেন, সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেন, আমি না বললেও সবাই জানেন যে,বাংলা উপন্যাসের সমৃদ্ধ করণের পেছনে শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অবদান কতটুকু।শরৎ বাবুর লেখা গল্প,উপন্যাস মানেই সাহিত্যের পূর্ণ রসবোধযুক্ত স্বাদ, গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে যাওয়া। তার লেখা গল্প,উপন্যাসে কি নেই সেটা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার, বরং তার লেখা গল্প,উপন্যাস পড়া মানেই একটা পূর্ণ তৃপ্তির ঢেকুর তোলা ব্যাপার স্যাপার।শরৎ বাবুর লেখা উপন্যাস গুলোর মধ্যে সর্বজন স্বীকৃত, সর্বজন নন্দিত কালজয়ী উপন্যাস " দেবদাস " অন্যতম। এই অসাধারণ উপন্যাসটি আমি বহুবার পড়েছি। যতবার পড়েছি ততবার অসম্ভব এক অদ্ভুত ভাল লাগা অনুভূত হয়েছে মনে।যারা আজও এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়ার স্বাদ পাননি অন্তত একবার হলেও পড়ে দেখতে পারেন। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি ভাল লাগবেই।কেননা ব্যর্থ প্রেমের সার্থক উদাহরণ হলো " দেবদাস " উপন্যাস। " দেবদাস " উপন্যাসের মূল চরিত্রে দেবদাস এবং পার্বতী। তারা ছোট্ট কাল থেকেই একে অন্যের খেলার সাথী। খেলার ছলেই একে অন্যের প্রতি অবুঝ মনের ভাল লাগা থেকে ভালবাসার সৃষ্টি। দেবদাসের সংক্ষিপ্ত নাম দেব আর পার্বতীর সংক্ষিপ্ত নাম পারু। দেবদাস জমিদার পরিবারের সন্তান কিন্তু পার্বতী তাদের সম মর্যাদার নয় এই টানাপড়েন এর রেশ ধরেই উপন্যাসের বিন্যাস ঘটিয়েছেন শরৎ বাবু। পার্বতীর বাবা নীলকণ্ঠ চক্রবর্তী আর দেবদাসের বাবা মুখুয্য মহাশয় পরস্পর প্রতিবেশী কিন্তু জমিদার মুখুয্য মহাশয় নীলকণ্ঠ চক্রবর্তী বাবুকে তেমন একটা ভাল চোখে দেখতেন না।অন্যদিকে পার্বতীর পাল্লায় পড়ে দেবার লেখাপড়া চুলোয় যাচ্ছে। তাই মুখুয্য মহাশয় ছেলে দেবদাস কে কলকাতায় পাটিয়ে দেন লেখাপড়ার জন্য।উপন্যাসের এই পর্যায়ে এসেও শরৎবাবু মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে পাঠকদের জন্য রেখেছেন দারুণ চমক। দেবদাস কলকাতা যাবার পরে উপন্যাসের মোড় ঘুরে যায় ৯০ ডিগ্রী। এই চমক সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে হবে " দেবদাস " উপন্যাস। শুধু এখানেই চমকের শেষ নয় দেবদাসের কলকাতার জীবনপ্রণালী নিয়ে ও রয়েছে বেশ রোমাঞ্চকর কাহিনী। সেখানে গিয়ে চুনিলাল এবং চন্দ্রমুখী নিয়ে রয়েছে আরেক চমকপ্রদ কাহিনী। যা না জানলে মনে উচকুচ করবে সর্বদা যেকোনো পাঠক হ্নদয়ে। কে এই চন্দ্রমুখী কিভাবে এসেছিল দেবদাসের জীবনে আর কি হয়েছিল তার শেষ পরিণতি এইসব জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই পাঠ করতে হবে " দেবদাস " উপন্যাসটি। শরৎবাবু তার এই "দেবদাস " উপন্যাসের পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছেন জীবনের উত্থান, পতনের এক অবিস্মরণীয় কাহিনী। যা আমার মতো ক্ষুদ্র পাঠকের দ্বারা বর্ননা । রিভিউ লিখেছেনঃ আকতার হোসেন বাচ্চু

      By MD KAMRUDDIN

      07 Aug 2024 11:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পেপারের অবস্থা খুবই বাজে,

      By Dip Das

      16 Dec 2023 10:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটি বই। সাধু ভাষায় লিখিত হওয়ায় বুঝতে অনেকটা সমস্যা হয়েছে। তবে অসম্ভব কোনো ব্যাপার না। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার পছন্দের একজন লেখক। তার লেখা প্রত্যেকটা বই-ই অসাধারণ, “দেবদাস” ও ব্যতিক্রম নয়। বইটি পড়ে দেখুন ভালো লাগবে।

      By udo****com

      22 Sep 2023 10:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঠিক যেমনটি আশা করেছিলাম ঠিক তেমনটাই পেয়েছি। বইয়ের পেইজ কোয়ালিটি দাম অনুযায়ী অনেক ভালো ছিলো। খুব তারাতাড়ি পন্যটি হাতে পেয়েছি। ধন্যবাদ রকমারি !

      By mr.ECON

      04 Jul 2021 03:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Masterpiece ??

      By Wayesh Ahmed Mahim

      02 Jun 2021 01:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Alfee

      13 Jan 2021 11:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংগালীর আবেগ বোঝা যায় এতে

      By Sultan

      31 Oct 2019 10:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      দেবদাস-পার্বতী'র নাম শুনেনি এরকম মানুষ আছে! জমিদার নারায়ণ মুখুয্যের ছেলে 'দেবদাস'। পড়াশোনায় যার একদম মন নেই। সারাদিন ছিপ কেটে মাছ ধরা,তামাক খাওয়া আর চাঞ্চল্যে যার দিন কাটে।এজন্য উত্তম-মধ্যম ও খেতে হয়। দুষ্টুমি আর বেয়াড়াপনার ফলে একপর্যায়ে দেবদাস'র বিদ্যালয়ে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গেলো। জমিদার বাড়ির পাশের ব্রাহ্মণ পরিবারটি পার্বতীদের। দেবদাসের বাবা-মা সহ প্রায় সকলেই পার্বতীর মতো লক্ষ্মী মেয়েটিকে ভালোবাসে। এদিকে পার্বতী চঞ্চল দেবদাসকে বড্ড পছন্দ করে।দেবদাস তাকে বকা দেওয়া এমনকি ভীষণ মারধর করলেও দেবদা'র সাথে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে সে। যেদিন দেবদাসের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো পার্বতী ও বুদ্ধি করে বিদ্যালয়ে আর গেলো না। কিন্তু, বছরখানেক পরই পড়াশোনার জন্য দেবদাস কলকাতায় পাড়ি জমালো। পার্বতীর ছুটোছুটি ও বন্ধ হয়ে গেলো। প্রথম-প্রথম দু'জনের খুব চিঠি আদান-প্রদান হলেও ক'দিন পরই কলকাতার জীবনে বুঝি দেবদাস অভ্যস্ত হয়ে গেলো। চিঠি লেখা কমে গেলো।পার্বতী অপেক্ষা করে থাকে চিঠির, স্বয়ং দেবদাসের।কিন্তু ততদিনে দেবদাসের হাব-ভাব এমনকি রুচির ও বিশাল পরিবর্তন। ছেলে-মেয়ে প্রায় সমবয়সী হলেও মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে বাবা-মা বেশ তাড়াহুড়ো করেন। পার্বতীর ক্ষেত্রেও হলো তাই। বিয়ের তোড়জোড় শুরু হলো। পার্বতীর ঠাকুমা দেবদাস'র মা কে যেয়ে দেব-পারুর বিয়ের বিষয়ে কথা বললো। কারণ, সবাই তাদের ঘনিষ্ঠতার কথা কমবেশি জানে।কিন্তু কেনা-বেচা ছোট ঘর আর বাড়ির পাশে কুটুম্বিতা করতে দেবদাসের পরিবার রাজি হলো না। পারুর হাজার কাকুতি ও দেবদাসকে স্পর্শ করলো না। ফলে হাতিপোতার চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের জমিদারের সাথে পার্বতীর বিয়ে হয়ে গেলো। দেবদাস ততদিনে নিজের ভুল বুঝতে পারলেও তা ঢের দেরী হয়ে গেছে। পার্বতীকে হারিয়ে দেবদাস বুঝেছে কী হারিয়েছে সে! কিন্তু দেবদাস নিরূপায়। মনের বেদনা ভুলতে সে ছুটে যায় বেশ্যালয়ে। পরিচয় হয় চন্দ্রমুখীর সাথে। কিন্তু কিছুতেই সে পার্বতীকে ভুলতে পারে না...পারবে কি কখনো? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া বইয়ের চরিত্রের মানুষগুলোকে কেমন জীবন্ত মনে হলো।বইটা শেষ হতেই দেবদাস লোকটার জন্য বেশ মায়া লাগলো। মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেলো। আরো কম বয়সে পড়লে হয়তো বালিশের কভার ভিজিয়ে কান্নাও করতাম। তবে, কান্না না করলেও বইটার কাহিনী মনে গেঁথে গেছে পুরোপুরি। দেবদাস,পার্বতী,চন্দ্রমুখী সবগুলো মানুষের জন্য খারাপ লাগছে। মানে কী ভীষণ মন খারাপ করে দিয়েছে বইটা তা বলে বোঝাতে পারবো না। এটা দিয়েই শরৎচন্দ্র পড়ার হাতেখড়ি হলো। মন খারাপ দিয়েই হলো। তারপরও আচ্ছন্ন হয়েছি লেখকের লেখনশৈলীর ওপর। যে লেখকের লেখা পড়েই মন খারাপ হয় কেন জানি সেই লেখকের বই পড়তে ভালো লাগে। সেই হিসেবে শরৎচন্দ্রেকে পড়তে হবে।অবশ্যই পড়তে হবে

      By Anirban Maitra

      19 Nov 2019 08:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ? বইয়ের নাম: দেবদাস ? লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ? প্রকাশনা: অবসর প্রকাশনী ? ক্যাটাগরি: উপন্যাস ? মূল্য: ৯০৳ দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি প্রণয়ধর্মী বিয়োগাত্মক বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসে দেবদাস (সম্পুর্ন নাম দেবদাস মুখার্জি) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তৎকালীন ব্রাহ্মন জমিদার বংশের সন্তান, পার্বতী(পারু) এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে৷ছোটবেলা থেকেই সখ্যতা গড়ে উঠে দেবদাস ও পার্বতীর।নানা খুনসুটির মাঝেই পার্বতী তার দেবদা কে ভালোবেসে ফেলে ।তা নিতান্তই অজানা রয়ে যায় দেবদাসের কাছে।ক্রমেই বড় হয়ে ওঠে পার্বতী।অত্যন্ত রূপবতী পার্বতীর মা বাবা দেবদাসকেই পার্বতীর উপযুক্ত মনে করেন। কিন্তু বাধা হয়ে ওঠে দেবদাসের পরিবার।পার্বতী ধীরে ধীরে অনুভব করে তার দেব দা কে নিজের করতে বিয়েই একমাত্র পন্থা। এদিকে দেবদাসের কলকাতায় চলে যাওয়ার কথা উঠতে থাকে। তার দেব দা কে হারিয়ে ফেলার ভয়েই কিনা পার্বতী রাতের অন্ধকারে ছুটে যায় দেবদাসের বাড়িতে। দেবদাসের পা ধরে ভালোবাসার সমস্ত কথা জানিয়ে দেয়।দেবদাস তখন কিছুটা মায়াজালে পড়লেও কলকাতায় গিয়ে ভাবান্তর ঘটে দেবদাসের।তার পরিবার জানিয়ে দেয় পার্বতী ছোট ঘরের বিধায় এ বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে একসময় দেবদাস অনুভব করে পার্বতীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।কিন্তু অভিমানী পার্বতী দেবদাসকে বুঝিয়ে দেয়, মান সম্মানবোধ পার্বতীরও নিতান্তই কম নয়।বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয় সে। এরপর দেবদাস বললেও আর সে ফিরে যেতে চায় না ও কাপুরুষতার জন্য তাকে ধিক্কার জানায়। তবুও, সে দেবদাসকে বলে যে তার মৃত্যুর আগে যেন সে দেবদাসকে দেখতে পায়,দেবদাস ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তাতে।একসময় বড় জমিদারের সাথে বিয়ে হয় পার্বতীর। কলকাতায় গিয়ে দেবদাসের চুনীলালের সাথে বন্ধুত্ব হয় ও তার মাধ্যমে সে চন্দ্রমুখী নামে এক বাঈজীর সাথে পরিচিত হয়। সে দেবদাসের প্রেমে পড়ে, যদিও দেবদাস তাকে ঘৃণা করতে থাকে। হতাশাগ্ৰস্ত দেবদাস অত্যাধিক মদ্যপান শুরু করলে তার শরীর ক্রমশ ভে‌‌ঙে পড়ে। চন্দ্রমুখী তার দেখভাল করতে থাকে। দেবদাস তার মনে প্রতিনিয়ত পার্বতী ও চন্দ্রমুখীর তুলনা করতে থাকে ও চন্দ্রমুখীকে সে পারুর কথা বলে। দুঃখ ভুলতে দেবদাস ক্রমশ মদ্যপানের মাত্রা বাড়াতে থাকে ও তাতে তার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে। চন্দ্রমুখী বুঝতে পারে যে দেবদাসের ভিতরের আসল মানুষটির পতন ঘটেছে। লক্ষ্যশূন্য দেবদাস একসময় চন্দ্রমুখীর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়। শীঘ্র আসন্ন মৃত্যুর কথা অনুভব করতে পেরে দেবদাস, পারুকে দেওয়া তার পূর্বের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে পার্বতীর কাছে র‌ওনা হয় সে। পার্বতীর বাড়ির সামনে পৌঁছে, এক অন্ধকার শীতের রাতে দেবদাসের মৃত্যু হয়। দেবদাসের মৃত্যুর খবর শুনে পার্বতী সেখানে ছুটে যায়, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই, বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ির চৌকাঠ অতিক্রম করতে দেয়না। ১৯০১ সালে রচিত হলেও দেবদাস প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালের ৩০ জুন। প্রকাশের পরে পরেই ভারত উপমহাদেশের বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয় বইটি।শিল্পগুণে ও কাহিনি বিন্যাসে ‘দেবদাস’-এর চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’, ‘গৃহদাহ’, ‘শেষ প্রশ্ন’, ‘পল্লীসমাজ’ –এর মতো উপন্যাস। কিন্তু ‘দেবদাস’-এ ভালোবাসার যে করুণ, সরল, সর্বজয়ী ও আবেগী চিত্রায়ণ রয়েছে তার তুলনা অন্য কোনো লেখায় পাওয়া বোধ করি বিরল বলেই, যুগে যুগে শুধু বইয়ের কালো লিপিতে নয়, রূপালি পর্দায়ও দর্শক-হৃদয়কে জয় করেছে বাঙালির প্রেমের প্রতীক দেবদাস ও পার্বতী। চন্দ্রমুখী না পারু? পারু কি শুধুই ছোটবেলার সাথী না চিরদিনের ভালোবাসা? এই দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি মেলেনি দেবদাসের। মৃত্যুর আগে পারুর দরজায় এসে পৌঁছাতে পারলেও সমাজের নিগড় ভাঙা যায়নি, শেষ স্পর্শটুকু পাওয়া হয়নি প্রেমিকার। এই ট্র্যাজেডিই সম্ভবত দেবদাসকে অমর করেছে-দেবদাস হয়েছে কালোত্তীর্ণ--হয়ে উঠেছে বাঙলা সাহিত্যের সর্বকালের সেরা প্রণয় উপাখ্যান গুলোর একটি। পরিশেষে, "দেবদাস" পাঠকদের জন্যে --- "তোমরা যে কেহ এ কাহিনী পড়িবে, হয়তো আমাদেরই মতো দুঃখ পাইবে। তবু যদি কখোনো দেবদাসের মতো এমন হতভাগ্য, অসংযমী, পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে,তাহার জন্যে একটু প্রার্থনা করিও।প্রার্থনা করিও, আর যাহাই হোক, যেন তাহার মতো এমন করিয়া কারো মৃত্যু না ঘটে। মরছে ক্ষতি নাই,কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে--যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয় ।মরিবার সময় যেনো কাহারো এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে। " #হ্যাপি রিডিং ?

      By Shakhy Sohag

      17 Sep 2015 09:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দেবদাশ বইটি আমার কাছে মনে হয়ছে চিরিজিবী ।পড়ে তৃষ্ণা মেটেনি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে ।সবচেয়ে হৃদয় কেরেছে দেবদাশ ও পার্বতীর কর্মকান্ডে ।কোন এক প্রহরে দেবদাশ পার্বতীকে কঞ্চি দিয়ে পিঠে আঘাত করে ।পার্বতী ও দেবদাশ এক সঙ্গে মাছ ধরে ।দেবদাস বাবু লুকিয়ে হুকাই সুখটান দিতো ।বিশেষ করে এই বিষয় গুলো, আমি মনে করি সবার মনেই একটু হলেও ঠাঁই পাবেই পাবে ।আরো সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ওদের দুজনেরই একটা সংক্ষিপ্ত নাম আছে ,যা দেবা ও পারু ।তাদের এই নামটাই ধরে প্রায় সব সময় ই ডাকা হোত ।গল্পের মাঝের অংশও হৃদয় ছোঁয়া ,প্রদিপ জ্বালিয়ে দেবা ও পারুর গল্প করা ।লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা রসের রসের কথা বলা ।তারপরেও পরিবারের তাগিদে প্রাণের প্রিয় পারু নামের পার্বতীকে ছেরে কলকাতায় চলে আসেন দেবদাশ ।আর কলকাতেই দ্বিতীয় নারী হিসাবে দেখা পেলেন চন্দ্রমুখির ।এভাবেই কেটে যায় পারুর বিবাহ পর্যন্ত দেবদাশ বাবুর জীবন ।এই উপন্যাসের একটা দৃশ্য সকল পাঠকের মনেই দাগ কেটেছে তা হচ্ছে- পার্বতীর বাসর ঘরে তার দ্বিগুন বয়স এর ছেলে বলে- মা আর্সিবাদ করো ।

      By Sushanta Das

      26 Jun 2022 01:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তোমরা যে-কেহ এ কাহিনী পড়িবে, হয়ত আমাদেরই মতো দুঃখ পাইবে। তবু যদি কখনো দেবদাসের মতো এমন হতভাগ্য, অসংযমী পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে, তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও। প্রার্থনা করিও, আর যাহাই হোক, যেন তাহার মতো এমন করিয়া কাহারও মৃত্যু না ঘটে। মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে—যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।

      By Laxmi Majumdar

      21 Sep 2015 03:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দেবদাস শরৎচন্দ চট্রোপাধ্যায়ের একটা হৃদয় ক্ষরণ করা উপন্যাস। যাতে রয়েছে জ্বলন্ত ভালোবাসার প্রতিছবি স্বরূপ যুগোল প্রেমিক ও প্রেমিকা পারু ও দেব দা। যা এই যুগলের ছদ্ব নাম। জীবনের সব চাওয়া সত্যি হয়না আর বেশি ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানে আঘাতের পরিমাণটা ও বেশি। তাই এই উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে দেবদাসের চরিত্রে। আর মানুষ প্রিয় কিছু হারালে তাকে ভুলতে স্বস্তা বা দামী যে কোন জিনিসকে আকড়ে ধরতে পারে। যা পেয়েছি আমরা দেবদাস ও চন্দ্রমুখীর মাধ্যমে। আর সত্যিকারের ভালোবাসা সব সময় সত্যি থাকে। যা কোন সস্তা বা দামী দ্রব্যের দ্বারা নষ্ট হয়না। যা প্রমাণীত হয়েছে এই উপন্যাসের শেষ পর্বে দেবদাসের মৃত্যুর মাধ্যমে। সত্যিকারের ভালোবাসা সব সময় সত্যি ও অমর এই উপন্যাসই তার একমাত্র প্রমাণ। সুতরাং এর প্রতিটি মর্মান্তিকতা আমাদের জীবনের সাথে মিলিত। তাই ভালোবাসি, ভালোবাসবো দেবদাস ও পারুলের মত। আমার একটা কবিতা ৪টা লাইন আপনাদের জন্য।।।।।।।।।।। ভালোবাসার আগমন বেনামী ডাকটিকিটের মতন,,, নাম নাই ঠিকানা নেই তবু ভালোবাসি কেন এমন। সে চিঠিরই অচেনা ছবি,, চোখ ভেজায় মোর একাকি।

      By AR Symon Chowdhury

      16 Sep 2015 01:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসে দেবদাস তৎকালীন জমিদার বংশের সন্তান, পার্বতী সাধারণ বাড়ীর মেয়ে ৷ কিন্তু দুজনই দুজনার অন্তরঙ্গ বন্ধু, বিদ্যালয় পড়াশুনা থেকে পুকুড়ে মাছ ধরা প্রত্যেকটি কাজ তারা এক সঙ্গে করত ৷ পার্বতী কিছু ভূল করলে দেবদাস তাকে মারত , তবুও এদের সম্পর্ক বন্ধুর মতই ছিল ৷ লেখাপড়ার জন্যে তাকে পাঠিয়ে দাওয়া হয় শহরে ৷দেবদাস দশ বছর পর ফিরে এসে প্রথমে তার বাড়িতে না গিয়ে পার্বতীর সাথে দেখা করে কিন্তু এই দশটি বছর পার্বতী ব্যকুল ছিল দেবদাসের অপেক্ষায় ৷ একটা সময় পার্বতীর মা দেবদাসের সঙ্গে পারোর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দেবদাসের পরিবার তাঁদের বংশমর্যাদা ও আভিজাত্যের কথা ভেবে সে প্রস্তাব খারিজ করে দেয়।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পার্বতীর মা প্রতিজ্ঞা করে দেবদাসের থেকেও ভাল পরিবারে তিনি পারোর বিয়ে দেবেন। অতঃপর জমিদার ভুবন চৌধুরীর সঙ্গে পারোর বিয়ে হয়। ভুবন চৌধুরী ছিলেন বিপত্নীক ও তিন সন্তানের পিতা। দেবদাসের আশাভঙ্গ হওয়ায় সে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু চুনিবসঙ্গে পতিতালয়ে যাতায়াত শুরু করে।এই পতিতালয়ে চন নামে এক বাইজির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এদিকে পারো শ্বশুরবাড়ির সকলকে, এমনকি মৃতা সতীনের ছেলেমেয়েদেরও আপন করে নেয়। সুগৃহিণীর মতো বাড়ির সব দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। দেবদাস মদ খেতে শুরু করে। এদিকে দেবদাসের পিতৃবিয়োগ ঘটে। পারো দেবদাসকে দেখার বাসনায় দেবদাসের বাবার শ্রাদ্ধে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেখানেও দেবদাস মদ্যপান করে অসভ্যতা করে। এরপর প্রচুর মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে দেবদাস নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। কিন্তু দেবদাসের ভ্রাতৃবধূ তার বিরুদ্ধে চুরির গুরুতর অভিযোগ এনে তাকে ঘরছাড়া করে। দেবদাসের মাদকাসক্তির কথা পারোর কানে যায়। সে দুর্গাপূজার জন্য বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা সংগ্রহের অছিলায় চন্দ্রমুখীর "কোঠা"য় গিয়ে হাজির হয়। চন্দ্রমুখীর সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। পরে সে অনুভব করে, চন্দ্রমুখীও দেবদাসকে তার মতোই ভালবাসে। তখন পারো বাড়ির দুর্গাপূজায় নিমন্ত্রণ করে চন্দ্রমুখীকে। চন্দ্রমুখী পুজো দেখতে এলে, ভুবন চৌধুরীর জামাই চন্দ্রমুখীর পরিচয় সকলের সামনে ফাঁস করে দেয়। এতে দেবদাসের সঙ্গে পারোর সম্পর্কের কথাও জানাজানি হয়ে যায়। ভুবন পারোকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেন। এদিকে দেবদাসের অসুস্থতা মারাত্মক আকার নিলে, সে হাওয়া বদলে যায়। পথে চুনিবাবুর সঙ্গে ট্রেনে দেখা হয়ে গেলে, দুই বন্ধু প্রচুর মদ্যপান করে। দেবদাসের শরীর আরো খারাপ হয়। মৃত্যু আসন্ন জেনে সে পারোর শ্বশুরবাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। পারো বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু তার আগেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাড়ির বাইরে দেবদাসের মৃত্যু

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!