User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জাযাকাল্লাহু খায়রান جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
ভাষাগত মাধুর্যতা নেই
Was this review helpful to you?
or
ইসলামের জ্ঞান মহিরুহ ইবনে খালদুন।
Was this review helpful to you?
or
IMPRESSIVE TO UNDERSTANDING LIFE.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। জ্ঞানের কত যে শাখা প্রশাখা!
Was this review helpful to you?
or
আল মুকাদ্দিমা ঐতিহাসিক ইবনে খালদুন রচিত এমন একটি কালজয়ী গ্রন্থ,যেটি সকল ঐতিহাসিক,সামাজিক, দর্শন,বা ইতিহাসের দর্শন, আইন,প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সংস্কৃতি,জীবন,সেসময়ের নানা সাম্রাজ্য,তৎকালীন জ্ঞাত পৃথিবীর ভুগোলের বিস্তারিত বিবরণ সহ বহু বিষয়ে পাঠককে জানাতে সাহায্য করবে। মুলত এটা ইতিহাসের বই হিসেবে বর্নিত হলেও এটা প্রথাগত ইতিহাসের বই নয়,এটা একটা এমন গ্রন্থ যেটা অতীত ও ভবিষ্যতে ইতিহাস রচনা ও ইতিহাস সমন্ধে আলোচনা ও লিখা তথা ইতিহাস তত্ত্ব বা ইতিহাস বিজ্ঞানের বই।মানে কোনো ইতিহাস বর্নিত হলে প্রাচীন কালের, সেটা সঠিক বর্ননা বা ভুল এরকম তুলনামুলক ইতিহাস তত্ত্বের গ্রন্থ।একজন ইতিহাসের ছাত্র ও ইতিহাস প্রেমী হিসেবে আমি সবাইকে এই বইটি পড়তে অনুরোধ করবো, যাতে করে ইতিহাসেরও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারে,ও ইতিহাস পড়া ও অধ্যায়নে যাতে প্রত্যেকের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
Was this review helpful to you?
or
আমার খুব প্রিয় বই
Was this review helpful to you?
or
বঈটা পড়লে বুঝা যায় এটা কতটা বিখ্যাত বই। ইবনে খালদুন এই বইয়ে যাযাবর জীবন থেকে সম্রাজ্য, সভ্যতা, শিল্পবিত্যাদি ফুটিয়ে তুলেছেন। ইতিহাস পাঠ করার সময় অনেক ভুল ত্রুটি যাচাই করার জন্য তিনি কিছু পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন যা থেকে সত্য বের হয়ে আসবে।
Was this review helpful to you?
or
ইবনে খালদুন একজন মহাপুরুষ। একজন প্রজ্ঞাবান মনীষী ও শেকড়সন্ধানী ঐতিহাসিক হিসেবে দুনিয়াজোড়া তাঁর খ্যাতি । ইতিহাসের দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের জনক। এ ছাড়া ভূগোল, সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও তিনি পথিকৃতের মর্যাদায় ভূষিত। তাঁর পুরো নাম আবদুর রহমান ওয়ালীউদ্দিন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে খালদুন। ১৩৩২ খ্রি. ২৭ মে (৭৩২ হিজরীর রমজান মাসের প্রথম দিনে) তিউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ব পূর্বপুরুষরা দক্ষিণ আরব থেকে সেভিলে হিজরত করেছিলেন। ইবনে খালদুনের পূর্বকার কয়েক পুরুষ সেভিলে দীর্ঘকাল রাজকীয় উচ্চপদে আসীন ছিলেন। পিতা একজন প্রখ্যাত আলেম ছিলেন, তাঁর কাছেই পড়াশোনায় হাতেখড়ি। তবে সময়ের সাথে সাথে তিনি অন্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানেও পড়াশোনা করেন। অনেক বিষয় অধ্যয়ন করলেও অত্যন্ত প্রতিভাধর খালদুন দর্শনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েন। মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি ফেজের হাবশি সুলতান আবু ইসহাক ইব্রাহিমের খাস নবিশ হন। ফলে অল্প বয়সেই তিনি দরবারি সম্মান, খেতাব এবং অর্থবিত্তের মালিক হন। আর সেইসাথে লাভ করেন অতি ঘনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জনের সুযোগ। তবে তিনি নানা কারণে এক স্থানে বেশিদিন থাকেন নি বা থাকতে পারেন নি। বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন রাজ্যে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। অবিরাম সফরে ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞানের প্রত্যক্ষ জ্ঞানলাভের বিরল সুযোগ লাভ করেন। তিনি ছোট-বড় অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থ লিখে গেছেন। তবে সবচে' বেশি খ্যাতি পেয়েছেন 'মুকাদ্দামার' জন্য। এটাই তার শ্রেষ্ঠ অবদান। ইসলামের তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ সেবক। রক্ষণশীলতা ও প্রতিক্রিয়াশীতার বিপরীতে একজন বাস্তববাদী ও যুক্তিশীল পণ্ডিত বলে এশিয়া ছাড়িয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সুদূর ইউরোপের বোদ্ধা মহলে। ইউরোপের বুদ্ধিজীবীরা যখন সমাজ-রাষ্ট্রের বিবর্তন স্রেফ ঈশ্বরের লীলাখেলা মনে করতো, তখন ইবনে খালদুন জোর দিয়ে বলেছিলেন, রাষ্ট্র ও সভ্যতার ক্রমপরিণতি কোনো আধিভৌতিক শক্তির অধীন নয়। তা হলো সমাজের বাস্তব ক্রমগতির ফল। তাঁর একটি অনন্য কীর্তি এই যে, তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে রাজনীতিতে এবং রাষ্ট্রের সংগঠিত সমাজের সার্বিক জীবনধারায় অর্থনীতির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। ইবনে খালদুন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম দার্শনিক। ম্যাকিয়াভেলী, বোঁদে, ভিকো, কোঁতে ও কোরনোটের পূর্বসুরী। একদিকে মুসলিম এবং সেইসাথে পাশ্চাত্যের অধিবাসী না হওয়ায় তাঁকে এখনকার পৃথিবীতে আর উপযুক্ত মূল্যায়ন করা হয় না। ইবনে খালদুন শেষ জীবন কাটিয়েছেন মিশরে। তৈমুর লং-এর আক্রমণের ভয়ে যখন সমগ্র মিশর কাঁপছিল, ঠিক তখন তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কূটনৈতিক দক্ষতায় তৈমুরের আক্রমণ থেকে সিরিয়া, মিশরসহ সমগ্র পশ্চিম অংশকে রক্ষা করেন। তাঁর কথায় মুগ্ধ হয়ে তৈমুর তাঁকে তার উজিরে আযমের পদে নিযুক্ত করার প্রস্তাব দিলেন। তবে ইবনে খালদুন তা কৌশলে প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁর এই অবদানের জন্য মিশরীয় সুলতান তাঁকে সমগ্র দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। এ পদে থাকাকালেই ১৪০৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মার্চ, ৮০৮ হিজরীর ২৫ রমযান ৭৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন। আজও এ মুসলিম মনীষী আমাদের মনের আকাশে ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছেন! source: amarblog.com/bolabahullo