User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পরে মিশ্র অনুভূতি হয়েছে| এইরকম তথ্য বহুল একটা বই সুযোগ থাকার সত্ত্বেও এতদিন পরে পড়লাম বলে দুঃখ হচ্ছে|লেখক তার লেখায় বেশ কিছু রেফরেন্স ব্যবহার করেছেন যা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্দক| তবে লেখক ফার্স্ট পারসন এক্সপেরিয়েন্স থেকে উক্ত সময় কে আরো বিশদ ভাবে বিশ্লষন করলে খুশি হতাম|
Was this review helpful to you?
or
মুজিব হত্যা থেকে জিয়া হত্যা পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহ এত গুছিয়ে লিখা যে আমার কাছে এখন এই কষ্টকর ইতিহাসটি অনেকটাই পরিষ্কার।
Was this review helpful to you?
or
ভাল
Was this review helpful to you?
or
Good Book
Was this review helpful to you?
or
ভালো...বিশেষ করে ৭৫-৮১এর কাছের সাক্ষীর কিছু কথা খুব ভালো_
Was this review helpful to you?
or
গুড
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ভালোই লিখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
So so
Was this review helpful to you?
or
average
Was this review helpful to you?
or
ভালো লিখেছেন
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ তথ্যবহুল একটি বই। আমি বইটি পড়তে গিয়ে শুধু মনে প্রাণে এটুকুই বিশ্বাস করেছি যা কিছু পড়ছি তা পক্ষপাতদুষ্ট হতেই পারে। তবে এটাও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছি যে সব ঘটনার মাঝেও কোথাও কোথাও দারুন সত্য অকপটে বের হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে বইটি দারুন সহায়ক।
Was this review helpful to you?
or
বইটি এক কথায় অসামান্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারিরিভিউপ্রতিযোগ বই- বাংলাদেশ:রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১ লেখক-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত ব্রিগেডিয়াট জেনারেল এম. সাখাওয়াত। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী দুই বছর তিনি পাকিস্তানের বন্দিশিবিরে ছিলেন। ১৯৭৩ সালে দেশে এসে ঢাকায় ব্রিগেড স্টাফ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। "বাংলাদেশ :রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১" মূলত মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সালের রাজনৈতিক যে উত্তাল সময় তার বর্ণনা। ১৯৭১ সালের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের কিছু কাল পরে কিছু ক্ষমতা লোভী সামরিক বাহিনীর সৈন্য দেশে বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি করে। আর এই অবস্থার সৃষ্টি হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে। তাকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল নিয়ে রুটি কাড়াকাড়ির মতো একটা অবস্থা শুরু হয় সেনানিবাসে। কেন না জাতির জনক হত্যার পর দেশ সঠিক নেতৃত্বের অভাব বোধ করছিলো। আর এই ক্ষমতা আর পদবী দখলকে কেন্দ্র করে ৭৫ থেকে ৮১ পর্যন্ত ঘটে যায় ছোট বড় ২১ টি অভ্যূত্থান! প্রতি টি ঘটনায় এ দেশর বহু কৃর্তীমান সেনা সদস্য প্রাণ হারান। ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও এক সামরিক অভ্যূত্থানে প্রান হারান। এর কিছু সময় পর এই অভ্যূত্থানে যুক্ত থাকা জেনারেল এম এ মঞ্জুকেও সৈনিকদের হাতে প্রাণ দিতে হয়। লেখক এ সকল অধিকাংশ ঘটনাবলি খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। আর সে সকল অভিজ্ঞতা তিনি বইয়েতে বর্ণনা করেছেন। বইয়ে বর্ণনার বিষয়বস্তু গুলো হলঃ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে সশস্রবাহিনীর মাঝে প্রতিক্রিয়া, হত্যাকারীদের বিদেশে পলায়ন এবং কিভাবে দেশ বাংলাদেশ মিশনে চাকরী পায়। এছাড়া জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন কিনা, খালেদ মোশারফ ভারতের অনুচর ছিলেন কিনা, কর্ণেল তাহেরকে কেন ফাঁসি দেওয়া হলো, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঠিক কতোগুলো সামরিক অভ্যূত্থান হয়েছে, তাতে কতজন বা কারা কারা যুক্ত ছিলো, সে সব অভ্যূত্থানে কতজন প্রাণ হারিয়েছিলো, মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর এবং মেজর জেনারেল শওকত আলীর মাঝে ঠান্ডা লড়াই, জিয়াউর রহমান হত্যা, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর মঞ্জু কেন পালাতে পারেন নি এসবের বিবরণ সহ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখলের পিছনে যে সসকল কাহিনী রয়েছে তার বর্ণনা। মোট কথা পুরো সময়ের অনেক তথ্যবহুল ঘটনা এই বইয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সাথে এসব কাহিনীর মধ্যে দিয়ে সশস্রবাহিনী কিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে, তাদের কিভাবে রাজনীতি হতে দূরে রাখা যেত এ ব্যপারে রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের কি করার প্রয়োজন ছিলো এই সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়েছে। বলা যায়, ৭৫ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত রাজনীতির ক্ষমতা দখল নিয়ে সামরিক বাহিনীতে যে সকল ঘটনবলী ঘটছে তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য তথ্য বহুল একটি বই। পুরো বই থেকে আমি যা পেলাম তা হলো, লেখক মুজিব হত্যার প্রথম থেকে বর্ণনা করেন নি তাই নির্দিষ্ট কারন পাওয়া যায় নি, তবে এসম্পর্কে অনুসন্ধান করে ভালো জেনেছি। মুজিব হত্যার পর সামরিক বাহিনীর মাঝে যে অবস্থা প্রকাশ পায় লেখক তা ভালোভাবেই প্রকাশ করেন। এরপর খুনীদের পালিয়ে যাওয়া এবং তারা কি করে দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের হয়ে চাকরি পেয়েছে! তারা অবশ্য কাজ করার আগে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। জিয়া বরাবর দায় ঘাড়ে নেবার মানুষ নন। মুজিব হত্যায় তার কোন সায় ছিলো না আবার নিষেদও ছিলো না। খালেদ মোশারফের বিষয়টা ঠিক কি থেকে কি হয়ে গেলো! তাহের সম্পর্কে আমার যা ধারনা ছিলো, তার এভাবে নিশ্চিন্ন হওয়া বেশ অবাক করা। তবে শোনা কথা বলি তা হলো, তাহের নিজের দরকারে জিয়াকে সাহায্য করেছে, জিয়ার দরকারে তাহের বলি হয়েছে। এর পরের আশ্চর্যকথা হলো এত এত সৈনিকের একত্রে যুক্ত হওয়া এসব অভ্যূত্থানে! কেন জানি! মেজর জেনারেল আর মঞ্জুকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই, আবার জিয়াকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে না পারার কারন হিসেবে লেখক যা বলেছেন তা হলেও বোধহয় রক্ষা হতো কিনা সন্দেহ। আর সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে হটানোর সমাধান গুলো হয়ত কার্যকর করা যেতো। যাই হোক শাসন করার লোভ ছিলো তাদের খুব। কি বলব! কি বলার থাকে এত কিছুর পর। এত রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার পতকা এনে দিয়েছিলেন যে জাতির পিতা। তাকে হারাতে হলো, এমন কিছু মানুষ দিয়ে তাদেরকে মানুষ বলতে দ্বিধা লাগে। ক্ষমতার এতো লোভ এভাবে লোভী শেয়ালের মতো খুটে খুটে নিলো সব। কাকে দোষী বলব, কার দোষ কাকে দিবো বুঝতে পারি না। আমার সোনার বাংলা কি না হতে পারতো! বঙ্গবন্ধু আর তার চার নেতা হারানোর মধ্য দিয়ে দেশ যে কি হারাল তা কখনোই পূরণ করতে পারবে না। এ এক বিশাল শুন্যতা! এই বইয়ের উপলব্ধি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই। পাবো না কখনই। শুধু এটুকু বলতে পারি বইটি যতই বিতর্কিত হোক না কেন, অন্তত কিছু কঠিন সত্য জানার জন্য এই পাঠ করা উচিৎ।
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
একজন পাকিস্তান ফেরত অমুক্তিযোদ্ধা অফিসারের দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন (৭১ পরবর্তী ঘটনাবলী) সম্পর্কে জানতে বইটি পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ বাংলাদেশ: রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১ লেখকঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব:) স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে পর পর বেশ কিছু হৃদয়বিদারক ও রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। এ ঘটনার পর দেশ চরম নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। যাঁরা ওই শূন্যতা পূরণ করতে পারতেন, তাঁদের জেলে পাঠানো হয়। নির্মম নিষ্ঠুর সেই দিনে জাতির পিতার ডাকে কেউ সাড়া দেননি, কেউ এগিয়ে আসেন নি! ওই দিন বঙ্গবন্ধুর জীবন রক্ষার প্রচেষ্টায় দুজন জীবন দিয়েছিলেন শুধু দু-জন! বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গভবনে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভা থাকলেও দেশ পরিচালিত হচ্ছিল ছয়জন মেজরের ইচ্ছায়। পরে কয়েকজন অটো প্রমোশনও নেন। সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তাঁর দর্শন ছিল ওয়েট অ্যান্ড সি। এমনকি ওই সময় বহু সিনিয়র অফিসার মেজরদের কৃপা পেতে বহুবিধ কসরত করেছেন। এদিকে সেনাবাহিনীতে একজন ব্যক্তি ১৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকেই মেজরদের সরাসরি বিরোধী হয়ে ওঠেন!! ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতার কলকাঠি থাকে সেনানিবাসে। এই ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় ছোট বড় ২১টি সামরিক অভ্যুত্থান। প্রতিটি ঘটনায় দেশের বহু কৃর্তীমান সেনা সদস্য প্রাণ হারান। ১৯৮১ সনের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সামরিক অভ্যূত্থানে প্রাণ হারায়। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এ অভ্যুত্থানের নায়ক মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুরকেও হত্যা করা হয়। এ অভ্যুত্থানগুলো অধিকাংশ ঘটার সময় লেখক ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন এনডিসি, পিএসসি (অবঃ) ঘটনাবলী অতি কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। সেই কাছ থেকে দেখা এমনি সব অভিজ্ঞতা তিনি বইটিতে সবিস্তারে লিখেছেন। বইটিতে আছে- * বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সশস্ত্রবাহিনীর অভ্যন্তরের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? * বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা কিভাবে বিদেশে পালিয়ে যায় এবং বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ মিশনে কিভাবে চাকুরী পায়? * জিয়াউর রহমান কি ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল? * খালেদা মোশারফ কি ভারতের অনুচর ছিলেন? * কর্নেল (অবঃ) তাহেরকে কেন ফাঁসী দেয়া হয়? * জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে কতটি সামরিক অভ্যূত্থান হয়? এতে কারা জড়িত ছিলেন এবং কতজন প্রাণ হারান? * মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর এবং মেজর জেনারেল শওকত আলীর ঠান্ডা লড়াই। * জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেও মঞ্জুর কেন নিজের জীবন বাঁচাতে পারলেন না? * হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখলের নেপথ্যে অনেক তথ্যবহুল ঘটনা এই বইটি হুবহু বর্ণনা রয়েছে। এছাড়া, কিভাবে সশস্ত্রবাহিনী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে এবং সশস্ত্রবাহিনীর রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ রোধে রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের কি করণীয় ছিল, সামরিক বাহিনীকে কিভাবে ক্ষমতা দখল থেকে বিরত রাখা যায়, তার একটি সমাধানের পথও রয়েছে এই বইটিতে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আসলে পাঠ প্রতিক্রিয়া বলতে গিয়ে লেখকে একটা কথা মনে পড়ে। কারণ আমার অনুভূতি উনার সেই লেখার সাথে হুবহু মিলে যায়। এসব লেখা নিয়ে তিনি একবার বলেছিলেন- "আমি জানি, আমার লেখায় অনেকে নারাজ হবেন। যেমন অনেকে আমার বই পড়ে হয়েছেন। কটূক্তিও করেছেন। তাতে ইতিহাস বদলাবে না। হয়তো বা আমার বিশ্লেষণ ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি অনেক বিষয় কাছ থেকে দেখেছি বলে লিখেছি। কাউকেই ছোট করার উদ্দেশ্যে নয়। যেসব ব্যক্তির কথা বলেছি, সবাই এ দেশের মহানায়ক ও নায়ক। আমার অনুরোধ, নিজেকে জাহির করার জন্য নয়, ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করলে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর চার সহযোগীকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশ যে নেতৃত্বশূন্য হয়েছিল, তার জের এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। তেমনি ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জিয়াউর রহমান যদি সেনাবাহিনীকে শৃঙ্খলার মধ্যে না আনতেন, তবে দেশ, দেশের শাসনকাঠামো যে আরও সংকটময় হতো, তা-ও অস্বীকার করার উপায় নেই।" তাই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আমাদের সবচে যে সংকটময় মূহুর্ত সেই মুহুর্তগুলোর কাছাকাছি যেতে, সেই বারুদের গন্ধ, সেই অস্থিতিশীল সময়ে ঘুরে আসতে হাতে নিতে পারেন বইটি (সংগ্রহীত)
Was this review helpful to you?
or
Time moto boita pelam tnx rokomari.sei rokom boi.
Was this review helpful to you?
or
আমার জন্মের অনেক আগেকার কথা। যুদ্ধের প্রায় দুই যুগ পরের সন্তান আমরা । শুনে শুনে কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা, কিছু গোজামিল, কিছু ধারণা জন্মেছে মনের মধ্যে। বাংলা মায়ের জন্য আমাদের পুর্বপুরুষেরা অনেক কষ্ট করেছেন , অনেক ভালোবাসা বিলিয়েছেন। সেই ভালোবাসার মধ্যেই আমরা বড় হচ্ছি। কিছু মিথ্যে আর গোজামিল সেই ভালোবাসায় মিশিয়েছে কিছু খাদ। তাই শুধু হাতড়ে বেড়াচ্ছি সত্যের চিরস্থায়ী সত্যকে আঁকড়ে ধরার জন্য। স্বাধীনতা , স্বাধীনতা উত্তর সময় গুলো নিয়ে খুব আগ্রহ থাকায় বইটির প্রতি খুব টান অনুভব করি । যথার্থতা পেয়েছি তা বলা যায় না, আবার কিছু পাইনি তাও বলা যায় না। অনেক খানিই পেয়েছি বলে মনে হয়। লেখক মুলত এই সময়কার পটভুমিতে নিজের কর্মযজ্ঞ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। ভেতরের অবস্থান সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য এই বইতে নেই । তবে যেটা খুব স্পষ্ট সেটা হচ্ছে- সেই সময়কার পারিপার্শ্বিক অবস্থান সম্পর্কে ভালো বর্ননা দিয়েছেন। সেখান থেকে খুব ভালো কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে যা আমার জানা ছিল না। সূচীপত্রের পয়েন্টগুলো নিয়ে নিজের কিছু মন্তব্য তুলে ধরছি - *বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সশস্ত্রবাহিনীর অভ্যন্তরের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে সেনাবাহিনীর যে সম্পৃক্ততা সেটার শুরুর কথাগুলো থাকলে ভালো হত। হত্যার সময়েও লেখকের কোন উপস্থিতি ছিল না । লেখক, বঙ্গবন্ধু হত্যা হওয়ায় পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানকার পরস্থিতি খুব সাধারণ ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। *বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা কিভাবে বিদেশে পালিয়ে যায় এবং বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে কিভাবে চাকুরী পায়?- সহজ কথা। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সুযোগ সন্ধানীরা নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন । পদন্নোতির ক্ষেত্রে অবশ্যই তা যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া ভালো। তা না হলে খালেদ মোশারফের মত ভুল সিদ্ধান্ত খুব সহজেই বিশাল ক্ষতি করতে পারে। যা ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও চার নেতা হত্যাকারীদেরে ক্ষেত্রে, যারা সুযোগ নিয়েছেন সেই ভুল সিদ্ধান্তের। *জিয়াউর রহমান কি ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন? *খালেদা -মোশারফ কি ভারতের অনুচর ছিলেন?- দুটো জায়গায় খুব চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন লেখক। লেখকের মতে জিয়াউর রহমান ছিলেন সময়ের সাথে তাল মেলানো মানুষ। কখন কি করতে হবে তা সময়ই বলে দেবে এই মর্মের। বঙ্গবন্ধু হত্যায় উনি হা ও বলেন নি আবার না ও বলেন নি। খালেদ মোশারফ ভারতের অনুচর ছিলেন না এটাই লেখক বুঝিয়েছেন। সেনাবাহিনীতে সেই সময় পোশাক আসতো ভারত থেকে। কাকতালীয়ভাবে সেই সময়ই খালেদ মোশারফের কাছে ভারত থেকে কাপড় নিয়ে আসেন ভারতের এক কর্মকর্তা। যা খুবই প্রভাব ফেলেছিল। সেই সাথে খালেদ মোশারফের মা এবং ভাই এর আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত হওয়ার কারনও। *কর্নেল (অবঃ) তাহেরকে কেন ফাঁসী দেয়া হয়?- সিপাহী বিদ্রোহ ক্ষমতা দখলের আরেক দল ছিল , যা হওয়াই স্বাভাবিক । যার কারনে বিপক্ষ দল তা গ্রহণ করতে পারেনি , এর ফলশ্রুতিতেই তাহেরের হত্যা। কিন্তু তাহেরের মত এমন চতুর একজন সেনা সদস্য কেন এতো সহজভাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলো তাই আমি বুঝতে পারিনি । *জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে কতটি সামরিক অভ্যূত্থান হয়? এতে কারা জড়িত ছিলেন এবং কতজন প্রাণ হারান?- অভ্যুত্থানের সংখ্যা , মৃতের অস্তিত্ব কোনটাই আমাকে ভাবায় নি। কিন্তু এতো গুলো সেনা সদস্য কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই কিভাবে এতোগুলো অভ্যুত্থানে জড়িত হতে পারে তাই ভেবে পাইনি । *মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর এবং মেজর জেনারেল শওকত আলীর ঠান্ডা লড়াই।- উত্তরসুরীদের পুনরাবৃত্তি । ক্ষমতা দখল ছিল খুব সহজ ব্যাপার এরকম ধারণা তৈরি হয়েছিলো। যার প্রেক্ষিতেই নির্বোধদের কাদা ছোড়াছুড়ি । তবে কূটনৈতিক তথ্য খুব কম পাওয়া গিয়েছে এই বইটিতে , যার কারনে ক্ষুধা পুরো মেটেনি। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেও মঞ্জুর কেন নিজের জীবন বাঁচাতে পারলেন না? এবং- পটভূমিতে নিজের অবস্থান সম্পর্কে কোন প্রকার সঠিক ধারণা না রেখে পরিস্থিতি নিজের আয়ত্ত্বে রাখার চেষ্টাই ছিল এর মূল কারণ। সেই সাথে জিয়াউর রহমানের প্রতি সাধারণ সিপাহী ও জনগনের প্রচুর ভালোলাগা ছিল । মঞ্জুর স্থান নির্ধারনে ভুল করেছেন যার দরুন পর্যাপ্ত সাহায্য তিনি পান নি । লেখকের মতে, অভ্যুত্থান চট্টগ্রামে না হয়ে ঢাকায় হলে তার জন্য ভালো হত। তবে আমার মনে হয় ঢাকায় হলেও মঞ্জুর কোন উপায়েই তার এই অভ্যুথান সফল করতে পারতেন না । *হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখলের নেপথ্যে অনেক তথ্যবহুল ঘটনা এই বইটিতে হুবহু বর্ণনা রয়েছে।- সময়ের সদ্ব্যবহার করেছেন এরশাদ এর বেশি কিছু মনে হয় নি আমার কাছে। নিজে রাষ্ট্রপতি হন নি। বুঝিয়েছেন উনি সৎ সৈনিক , কোন লোভ নেই। কথাটা সত্যি- আদর্শের কোনো লোভ উনার ছিল না । শাসক হওয়ার তীব্র ইচ্ছে শোষিত করেছে আমাদের মনকে । আমাদের শোষিত মন মাথা নিচু করে বুক ফুলিয়েছে চোরের মত।