User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের এক অমর গাঁথা। বিশ্ব সাহিত্য দরবারে সিনা টান করে দাঁড়াতে পারার যোগ্য এই বইখানি।
Was this review helpful to you?
or
Jara romantic kahini porte chai tader jonno ata best
Was this review helpful to you?
or
" গড়াই নদীর তীরে, কুটির খানি লতাপাতা ফুল মায়া রয়েছে ঘিরে বাতাসে হেলিয়া, আলোতে খেলিয়া সন্ধ্যা সকালে ফুটি, উঠোনের কোনে বুনো ফুল গুলি হেসে হয় কুটি কুটি " ছোট বেলায় চতুর্থ শ্রেণী তে থাকতে কবিতাটি পড়েছিলাম। আমার মত সবাই ই হয়তো কবিতাটি পড়েছে। কিন্তু কয়জন জানে, যে কুটিরের বর্ণনা কবি দিয়েছেন,তা সোজন দুলিরই বাড়ির ছবি? এই কাব্য গ্রন্থের শেষে এসে সত্যিই কষ্ট পেয়েছি। আর অভিভূত হয়েছে কবির লেখনী তে। গ্রাম বাংলার সহজ সরল জীবন,আর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের কি অসম্ভব সুন্দর ছবি কবি এই বইতে একেছেন,তা না পড়লে বোঝা সম্ভব নয়।
Was this review helpful to you?
or
বই এর নাম - সোজন বাদিয়ার ঘাট, লেখক - জসীম উদ্দীন, ক্যাটাগরি - কাব্যোপন্যাস, প্রকাশনী -পলাশ প্রকাশনী সোজন বাদিয়ার ঘাট রচিত হয় ১৯৩৩ সালে।এটি একটি কাব্যোপন্যাস। সোজন বাদিয়ার ঘাট সর্বাদিক বিদেশী ভাষায় অনূদিত একটি বই। #কাহিনী_সংক্ষেপ : শিমুলতলী গাঁয়ে নমু এবং মুসলমান দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস। গলায় গলায় তাদের ভাব। একে অপরের উৎসবে মেতে ওঠে তারা। পূজোর গান বাজনা,কিংবা আজানের ধ্বনি কোনকিছুই তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়না।একবার মহরমে সাউদ পাড়ার মুসলমানরা নমুদের সামনে পেয়ে তাদের মেরে আহত করেছিল। তারা রামনগরে নায়েব মশাই এর কাছে নালিশ করতে গেলে তিনি সব মুসলমান এমন কী শিমুলতলীর মুসলমানদের উপর আক্রমন করতে উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু ভালবাসার বন্ধনের কাছে দুটি সম্প্রদায় হার মেনে নেয়। কেউ কাউকে আক্রমন করেনা। নমুদের সেরা গদাই মোড়লের মেয়ে দুলালী আদর করে দুলী ডাকা হয় তার সাথে ছমু মুসলমানের সন্তান সোজনের বন্ধুত্ব অনেক গভীর। একে অপরের প্রতি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ তারা।সোজনকে ছাড়া দুলীর সময় অতিবাহিত হতে চায়না। সোজনকে সে এতোটাই ভালবাসে যে তাকে সিঁদুর কৌটে ভরে নিজ আচলের নিচে লুকিয়ে রাখতে চাইতো। সোজনের অসুস্থতায় তার দেবতার নিকট সাতটি মহিষ মানত করে এসেছিল। সোজনকে ছাড়া তার কোন কাজ এগুতে চাইতোনা। সোজনও দুলীকে অনেক ভালবাসতো। দুলীকে করা সব শপথ পালন করেছে সে। তার খুব শখ যখন সে বড় হবে, অনেক টাকা পয়সা জমিয়ে দুলীর জন্য সিঁদুর, ময়ূর পাখা, শঙ্খের চুড়ি, মধুমালা শাড়ি নিয়ে আসবে। বনে কোন গাছের নিচে বসে, গাছপালা, ফুল ফল পাখিদের সাথে খেলা করে কেটে যেত তাদের সুন্দর সময়। অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাদের এই প্রকৃতিকে ঘিরে। আম্র শাখার মুকুল হলে গাছটিকে বউ সাজিয়ে কদম গাছের সাথে বিয়ে দিত। আবার মেঘলার দিনে যখন কদম ফুল ফুটতো তখন তাকে বউ সাজিয়ে আম গাছের সাথে বিয়ে দিতো । কখনো বা বউ কথা কও পাখির মত ডাক দিয়ে পাখিটিকে রাগিয়ে তুলতো। এমনি করে একদিন দুলী মায়ের চোখে ধরা পড়ে যায়। এরপরেও সে সোজনকে নিয়ে স্বপ্ন বুনতে ভুলেনা। একটা সময় দুলীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের আসর থেকে দুলী পালিয়ে এসে সোজনকে বলে তাকে নিয়ে দূরে কোথাও যেতে। সোজন প্রথমে রাজী না হলেও দুলীর ভালবাসার প্রকাশের কাছে হার মেনে তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে রাজী হয়। গড়াই নদীর তীরে পাখির নীড়ের মত করে ছোট একখানা নীড় বাঁধে সোজন দুলী ☺ সোজন কাঠ কেটে দূর হাঁটে বিক্রি করে আর দুলী তার স্বপ্নজাল দিয়ে নিজের মত করে সাজিয়ে তোলে তার এই ছোট আবাস। সারাদিন শিকা বুননে সে ফুটিয়ে তোলে তার মনের ভাব। শিমুলতলীতে সোজনের সাথে কাটিয়ে দেওয়া মুহূর্তগুলোকে।ভালবাসার প্রত্যেকটি প্রতিচ্ছবিকে তার হাতের নিপুন ছোঁয়ায় সে ফুটিয়ে তোলে একেকটি শিকা রচনায়। এভাবেই কাটতে থাকে সোজন দুলীর সংসার। এখানেই শেষ নয় বাকিটা গোপনীয়। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। #আমার_উপলব্ধি : নক্সী কাঁথার মাঠ পড়ে জসীম উদ্দীন এর আরো লেখা পড়তে ইচ্ছে করছিল। সোজন বাদিয়ার ঘাট পড়ার ইচ্ছেটা হয়েছিল বেশি। পড়ার পর মুগ্ধ হয়েছি। সুখপাঠ্য ছিল। এতো সুন্দর উপমা,এতো সুন্দর প্রেমের বহিঃপ্রকাশ সত্যিই মুগ্ধ করেছে।প্রত্যেকটি পার্টে রয়েছে মুর্শিদা গান, জারিনাচের গান, ছেলে ভুলানো ছড়া সহ ইত্যাদির ছোঁয়া। দুলীর ভালবাসা, সোজনের প্রতি তার মায়া, সোজনকে ঘিরে তার স্বপ্ন, সোজনের প্রতি তার ভক্তি হৃদয় ছুঁয়েছে।মনে হচ্ছিল দুলীর ছেলে মানুষীগুলো আমার মত। কাব্যের শেষ অংশে গিয়ে দুঃখ পেয়েছি অনেক। চোখে ভেসে উঠছিল চরিত্রগুলো।ইচ্ছে করছিল শেষটা নিজের মত করে রচনা করি..
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা ... কাহিনী সংক্ষেপঃ শিমুলতলীর গ্রাম। হিন্দু-মুসলমানের মিলেমিশে বসবাস। গ্রামের হিন্দু বালিকা দুলীর সাথে মুসলমানের ছেলে সোজনের আবাল্য বন্ধুত্ব। হঠাৎ গ্রামে জ্বলে ওঠে সাম্প্রদায়িকতার আগুন। সংখ্যালঘু হবার কারণে প্রাণ ভয়ে গ্রাম ছাড়ে মুসলমানেরা। বুকে করে নিয়ে যায় প্রতিশোধের চাপা আগুন। এদিকে নিজেদের আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে অনুতপ্ত হয় হিন্দুরা। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মুসলমানেরা গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে বহুদূর। চলে গেছে দুলীর সোজনও। যার বিরহে দুলীর সবকিছু শূন্য হয়ে যায়। তারপর হঠাৎ দুলীর বিয়ের দিন সোজনের সাথে তার সাক্ষাৎ। সোজন জানে দুলীকে নিয়ে ঘর বাঁধার বহু বিপদ। তবু দুলীর কাকুতি মিনতির কাছে হার মানে সে। পালিয়ে যায় দুলীকে নিয়ে অনেক দূরে। কিছুদিন সুখে ঘরও করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়না। দুলীর বাবার বাড়ির লোকজন মামলা করে সোজনের নামে। জোর করে নাকি দুলীকে তুলে এনেছে সে। হাকিমের রায়ে সাত বছরের জেল হয় সোজনের। আর এদিকে দুলীকে আবার দ্বিতীয়বার বিয়ে দেয় তার পরিবার। জেল থেকে ফিরে সে খবর পেয়ে সোজন যাযাবর বেদের জীবন বেছে নেয়। তারপর একদিন ঘুরতে ঘুরতে আসে দুলীর শ্বশুড়বাড়ির গ্রামে। দেখা হয় দুলীর সাথে। কিন্তু দুলী তখন স্বামী সোহাগী। একদিকে স্বামীর বিশ্বাসের মূল্য, অন্যদিকে সোজনের ভালোবাসার টান---দুই মূল্যবোধের টানাপোড়েনে পড়ে যায় অভাগি। আর এই টানাপোড়েনের শেষটা হয় বড্ড করুণ, বড্ড মর্মান্তিক! ... পাঠ পরবর্তী অনুভূতিঃ কাহিনীটা এখন হয়ত খুব সাধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু এই সাধারণ কাহিনীটাই অসাধারণ রূপ লাভ করেছে পল্লিকবির অসাধারণ কাব্যশৈলীর গুণে। এতবড় কাব্যগ্রন্থের কোথাও কোন ছন্দপতন নাই। হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার কুৎসিত দিকগুলো কবি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বিবেকে গিয়ে সরাসরি আঘাত করে। সোজন-দুলীর বাল্যকালের বন্ধুত্ব, দাম্পত্য জীবন, এবং চিরবিরহ... সব ঘটনাগুলো কবি এত চমৎকার এবং প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন যা হৃদয়ে রীতিমতো হাহাকার সৃষ্টি করে! দুলী চরিত্রটা সম্পর্কে কিছু কথাঃ বইটা পড়ার পর প্রথমে দুলী চরিত্রটার উপর বেশ রাগ হচ্ছিলো। তার ছেলেমানুষি জেদ, ভবিষ্যত সম্পর্কে অপরিণামদর্শিতা, সোজনের জেল হবার পরে তার অন্যত্র সুখে সংসার করা--- এসব কারণে দুলীকে আমার প্রতারক মনে হচ্ছিলো। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম দুলী যেটা করেছে সেটা প্রতারণা না, বরং বাস্তবতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া। আমাদের সমাজে তখনকার দিনে মানিয়ে নেয়াটাই ছিলো মেয়েদের একমাত্র কর্তব্য। কিই বা করতো বেচারি ওর পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে? যতটুকু সম্ভব ছিলো ও করেছিলো। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির চাপ ওকে বদলাতে বাধ্য করে। তাই শেষ পর্যন্ত দুলীর জন্য পুষে রাখা রাগটা অদ্ভুত এক করুণাবোধে বদলে গেল! ... ভালোলাগা কিছু লাইনঃ "মুসলমানের যেথায় বসতি সেথা মসজিদ আপনি হবে/ মানুষ মারিলে মসজিদে বসে আল্লার নাম কাহারা লবে?" "আঁচল খানিরে টানিয়া টানিয়া বড় যদি করা যেত, সুজনেরে সে যে লুকায়ে রাখিত কেউ নাহি খুঁজে পেত।" "মন সে ত নহে কুমড়ার ফালি, যাহারে তাহারে কাটিয়া বিলান যায়/ তোমারে যা দিছি, অপরে তা যবে জোর করে চাবে কি হবে উপায় হায়!" "তোমরা পুরুষ কি করে বুঝিবে একেরে পরাণ দিয়া, নারীর জীবন কি করে বা কাটে আরেরে বক্ষে নিয়া।" "ওগো মাঝি ভাই! কোনদিন যদি সন্ধান পাও তারি, ফিরিবার পথে সেই ঘাট হতে আনিও তীর্থবারি। সরু সে জলের রেখাপথ ধরি মাঝি দূর পথে যায়, সন্ধ্যিতারার দীপ নিভে যায় পশ্চিম নীলিমায়।" ... আহা! মরণের আগে একবার যদি দেখা পাওয়া যেত সোজন বাদিয়ার ঘাটখানির.............. ... বইয়ের নামঃ সোজন বাদিয়ার ঘাট ধরণঃ কাহিনীকাব্য কবিঃ জসীম উদদীন প্রকাশনঃ পলাশ প্রকাশনী মূল্যঃ ১৬০ টাকা (মলাট মূল্য) রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বিয়ের কনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক দেখেছি অনেক! পল্লিকবি জসীম উদদীন তাঁর কাব্যোপন্যাসে বিয়ের কনে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য রাখলেন ঠিকই কিন্তু তা অন্য সকল গল্প, নাটক, দৃশ্য থেকে সম্পূর্ণ আলাদা! ছোট বেলার বন্ধুর সাথে যে সারা জীবন এক টিনের চালের নিচে থাকতে হবে, এমন কি কোনো নিয়ম আছে? অনেকের জন্য নিয়ম নয় বরং রীতিমতো না থাকলে প্রাণ যায় যায় অবস্থা! সেই অবস্থাকে ঘিরেই পাঠকের যত উৎসাহ!মুসলিম ঘরের ছেলে সোজন আর নমুর ঘরের দুলী কে নিয়েই লেখকের পথ চলা শুরু। একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতেই পারে না! দুলীকে যদি পিছন থেকে সোজন ডাক দেয় সেই ডাক শুনে তার এমন আনন্দ লাগে মনে হয় যেন পাকা আম কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়েও বেশী কিছু! একদিন সকালে মায়ের বারন সত্তেও দুলী খেলতে গেল সোজনের সাথে! খেলতে গিয়ে দীঘির পারে মায়ের হাতে মার খাওয়ার পরও সোজনের কথা ভুলে না দুলী! সোজনের অসুখ করেছে দেখে সে যেই অবিস্মরণীয় কান্ড করে বসল তা করে না অনেক রাজ্যের রানীও! কোনো এক সংঘাতে মুসলিমরা শিমুল তলী গ্রাম ছেড়ে চলে গেল দূর অজানায়। বিচ্ছেদ হয়ে গেল সোজন আর দুলীর! দেহ বিচ্ছেদ হলেও মন যেন সেই বনের গাছের ডালে বসা 'বউ কথা কও পাখীর' গান শুনছে একত্রে! বিয়ের পালা আসল দুলীর। সোজনকে খবর দিয়ে এনে দুলী হারিয়ে যেতে চাইল দূর অজানায়। সোজন চেষ্টা করল অবুঝ দুলীকে বোঝাতে! কিন্তু সে নাচোরবান্দিনী! চন্দ্র, তারা, গাছের শক্ত ডাল আর ছোট বেলার চারা লাগানো কিশোর বয়সী গাছকে সাক্ষী রেখে সোজনের হাত ধরে পালিয়ে গেল বিয়ের কনে, বালিকা দুলী! সবাই হাতে বল্লম, লাঠি নিয়ে ছুটল খুঁজতে! কিন্তু খুঁজে কি পেয়েছিল তাদেরকে? নাকি বনের গহীনে হারিয়ে গেল বালক বালিকা? খুঁজে পেলেও বা কি করেছিল তাদেরকে গ্রামের মানুষ? সকল উত্তর কবি জসীম উদদীন তাঁর মোহনীয় ছন্দে ছন্দে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন!মধুমতী নদীতে নৌকায় করে ভেসে বেড়ায় বেদের দল! তাদের নেই কোনো ঠিকানা! উপরে আকাশের বিশালতা আর নিচে পানির থৈ থৈ শব্দ! জলের কুমিরের সাথে রাত কাটিয়ে দিতে কোনো বাঁধা নেই সেই বেদের দলের! সেখানেই আছে গল্পের প্রধান দুই চরিত্রের যে কোন একজন! কিন্তু কে সে? এই বেদের দলের সাথে সে কিভাবে মিশল আর কিই বা কাজ তার তাদের সাথে থেকে? তার সঙ্গীই বা কোথায়? যাকে ছাড়া সে থাকতে পারে না এক রাত, তাকে ছাড়া এখন কিভাবে রাতের পর রাত নদীর জলের উপর কাটিয়ে দিচ্ছে? এইসব উত্তর খুঁজতে কবির কোমল কলমের ডগার মিষ্টি গন্ধে আমার মতো হারিয়ে যেতে পারেন আপনিও!বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যোপন্যাস 'সোজন বাদিয়ার ঘাট' কবির যখন মাত্র ত্রিশ (30) বছর বয়স ঠিক তখনি রচনা করে ফেললেন এক অমর কাব্যোপন্যাস! যা পড়ে পুলকিত হয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি প্রতিটি ছন্দে মেতেছিলাম আমি। প্রতিটি দৃশ্যের কি সহজ সরল, সাবলীর, মোহনীয় ছন্দের উপস্থাপনা! প্রেমময় দৃশ্য গুলো যেন কবি রাত জেগে নদীর পারের ঠান্ডা হাওয়ায় বসে বসে রচনা করেছেন। কত বৈচিত্র্যময় এক পুলকিত ঘটনার দৃশ্য ছন্দে ছন্দে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন কবি জসীম উদদীন। সেজন্যই 'সোজন বাদিয়ার ঘাট' সর্বাধিক বিদেশী ভাষায় অনূদিত বাংলা বই! চেকোশ্লাবিয়ার ভাষা বিদ এই কাব্যোপন্যাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। "UNESCO" থেকে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে "সোজন বাদিয়ার ঘাট" 1933 সাল থেকে 2002 পর্যন্ত মোট 16 বার এই অমর রচনার বইটি সংস্করণ করা হয়েছে! এটা থেকেই এই কাব্যোপন্যাসের জনপ্রিয়তা অনুমান করা যায়।এমন দুর্লভ একটি বই রকমারিতে দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি! তাই দেরী না করে বাঙলা সাহিত্যের প্রতিটি মানুষের প্রতি এই শ্রেষ্ঠ কাব্যোপন্যাসটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল! প্রতিটি ছন্দে শিহরিত, পুলকিত হবার এক অন্যরকম অনুভূতি পাবে পাঠক।
Was this review helpful to you?
or
নাম : সোজন বাদিয়ার ঘাট লেখক : পল্লী কবি জসিম উদদীন প্রকাশন : পলাশ প্রকাশনী ধরন : কবিতা পৃষ্ঠা : ১৬০ কাহিনী : সোজন আর দুলি। গ্রামের চঞ্চল,চপল দুই কিশোর কিশোরী। হঠাৎই তারা প্রেমে পড়ে একে অপরের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সাম্প্রদায়িকতা। সোজন মুসলমান, দুলি হিন্দু। অবশেষে একদিন তারা ঘর ছাড়ে। গোপনে পালিয়ে যায় গ্রাম ছেড়ে দূর দুরান্তে। সেখানে গিয়ে এক বনের ধারে গড়াই নদীর তীর ঘেষে বাঁধে তাদের স্বপ্নের ঘর। সুখ যেখানে হাতের মুঠোয় ধরা দেয় তাদের। সোজন বনে কাঠ কাটে,বাজারে বিক্রি করে। আর দুলি ঘরের কাজ সেরে অপেক্ষা করে সোজনের জন্য। ফাঁকে ফাঁকে রঙিন সিঁকে বোনে। কিন্তু এত সুখ বোধহয় স্থায়ী ছিলনা তাদের কপালে।তাই হুট করে একদিন হারিয়ে গেল সোজন....তারপর? পাঠ প্রতিক্রিয়া : এখনকার দিনে আধুনিক কবিতা মানেই গদ্য কবিতা। কিন্তু গদ্য কবিতা আমাকে সেভাবে টানে না। আমার ভাল লাগে ছান্দসিক কবিতা গুলো। আর তখনই পল্লীকবি জসীম উদদীনের ' সোজন বাদিয়ার ঘাট পড়ি। বইটি পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি,,শুধুই মুগ্ধ হয়েছি। এই ইট কাঠ পাথরের শহর ছেড়ে আমারও চলে যেতে ইচ্ছে হয়েছে সেই গ্রামে। ভেজা ঘাসে,মেঠো পথে হাঁটতে ইচ্ছে হয়েছে। যতই পড়েছি,ততই চোখের সামনে ভেসে উঠেছে গ্রামীন দুইজন কিশোর কিশোরীর ছবি। ছোট বেলায় চতুর্থ শ্রেণী তে থাকতে একটি কবিতা পড়েছিলাম, " গড়াই নদীর তীরে, কুটির খানি লতাপাতা ফুল মায়া রয়েছে ঘিরে বাতাসে হেলিয়া, আলোতে খেলিয়া সন্ধ্যা সকালে ফুটি, উঠোনের কোনে বুনো ফুল গুলি হেসে হয় কুটি কুটি " আমার মত সবাই ই এই কবিতা পড়েছে। কিন্তু কয়জন জানে, যে কুটিরের বর্ণনা কবি দিয়েছেন,তা সোজন দুলিরই বাড়ির ছবি? এই কাব্য গ্রন্থের শেষে এসে সত্যিই কষ্ট পেয়েছি। আর অভিভূত হয়েছে কবির লেখনী তে। আমরা ইদানীং আধুনিক বই,উপন্যাস আর গদ্য কবিতা ছাড়া কিছুই পড়ি না। কিন্তু গ্রাম বাংলার সহজ সরল জীবন,আর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের কি অসম্ভব সুন্দর ছবি কবি এই বইতে একেছেন,তা না পড়লে বোঝা সম্ভব নয় :) রকমারি লিংক