User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটির নাম দেখে, ভেতরের বিষয় নিয়ে নিজের মনমত একটি ধারণা করে বসলে আপনি ভুল করবেন । এই বিষয়ে এর পূর্বে কোন বই অনুবাদ হয়েছে কিনা আমার জানা নাই (আমার জানার সীমানা একেবারেই নগণ্য)। নিজের দেহ-মনের অলি-গলিতে যারা অপরিচিত-আগন্তুক না থাকতে চান, তারা ডুব দিতে পারেন হাকীমুল ইসলাম রহঃ এর ইলমের সাগরে। ইনশা-আল্লাহ, হতাশ হবেন না। আর, আব্দুল আলীম হুজুর অনুবাদক হিসেবে কেমন; মৃত্যুর বিছানায়, পরকাল বই দুটি যাদের পড়া আছে, তাদের কে আর বলে দেয়া লাগবে না।
Was this review helpful to you?
or
একটি মানুষ মূলত কিছু বস্তুর সমষ্টি। মাটি, আগুন, পানি ও বাতাস হচ্ছে সেসমস্ত ধাতুমুলের বাহ্যিক উপাদেয়। এগুলোরর প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্বকিছু বৈশিষ্ট্য। এরা সর্বদাই নিজেদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চাহিদামাফিক কর্ম অর্জণে ব্যতিব্যস্ত থাকে। উল্লেখিত এ চারটি বস্তু নিজস্ব চাহিদা পূর্ণ করতে কোনো সীমাজ্ঞান নেই। কারণ এরা জড়বস্তু। এরা অনন্তের পথে চাহিদাকে পূর্ণ করতে চায়। কিন্তু মানবের দেহে স্থান পাবার পর আল্লাহ তায়ালার নিকট এদের চাহিদার একটি সীমারেখা বরাদ্দ করে দেয়া হয়েছে, আর সেই সীমানা পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রূহ, তথা আত্মাকে। আল্লাহ তায়ালা উল্লেখিত কয়েকটি বস্তুর আধারে রূহকে ছেড়ে দিয়েছেন, এবং তাকে আদেশ করেছেন, এসমস্ত পদার্থের নিজস্ব চাহিদার নির্ধারিত পরিমাণের পরবর্তী চাহিদাকে কাটিয়ে তোমার নিজ চাহিদা ও প্রেরিত আদেশকে দেহের উপর প্রকাশ ঘটাতে হবে। তবেই তুমি সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। . আলোচ্যগ্রন্থে এ মৌলিক পদার্থগুলোর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন মানবের মধ্যে পাপের যতরকম ভাবনা-চিন্তা ও কর্মসম্পাদন হয়, তার প্রত্যেকটি মূলত এসমস্ত বস্তুর চাহিদার ফল। . মাটিঃ এই পদার্থটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সকলকিছুকে গোপন করে দেয়া, বস্তুকে আঁকড়িয়ে রাখা। এর থেকেই মানবের মধ্যে কৃপণতা, জমিয়ে রাখা, লোভ ইত্যাদি খারাপ গুণের উদয় ঘটে। আগুণঃ এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উপরের দিকে ওঠা। এর প্রভাবেই মানবের মনে অহংকার, রাগ নামক ব্যধির আক্রমন ঘটেছে। পানিঃ এটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংযমহীনতা। এটি যেখানে সুযোগ পায়, সেখানেই ছড়িয়ে পড়ে। হোক সেটি তার উপযুক্ত, অথবা অনুপযুক্ত! এর প্রভাবেই মানুষ সংযমহীনতা, অস্থিরতা ইত্যাদি দোষে দোষী হয়। বাতাসঃ এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ছড়িয়ে যাওয়া। প্রসিদ্ধি কামনা, রিয়া ইত্যাদি গুণগুলো এসেছে এই পদার্থটির বৈশিষ্ট্য থেকে। . তো এসমস্ত দোষগুলোর পেছনে প্রত্যক্ষভাবেই দায়ী হচ্ছে মানুষের মৌলিক পদার্থগুলো। মানব যখন সংযমের পথে অগ্রসর হয়, এসমস্ত বস্তু-চাহিদাকে দমিয়ে রেখে আত্মার কামনা-ইচ্ছা পূর্ণ করে, তখন তার আত্মা হয়ে ওঠে শক্তিশালী। স্থুল এ পৃথিবীর স্বাদ আস্বাদনকে তুচ্ছ মনে হয় আল্লাহ তায়ালার মারেফাতের কাছে। কেননা আত্মার সম্পর্ক স্বয়ং আল্লাহর সাথে। . এতে রয়েছে আরও একটি সুক্ষ আলোচনা। তিনি আলোচনা করে দেখান যে, শক্তিশালী বিষয় হচ্ছে সেটি, যার সম্পর্ক যতবেশি আল্লাহ তায়ালার সাথে। আর সেই সম্পর্ক স্থাপিত হয় সুক্ষদর্শিতার ভিত্তিতে। কেননা আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন সবচেয়ে সুক্ষ। আর বস্তু যত স্থুল হয়, তার প্রকৃত শক্তিও ততই কম হয়। এই সূত্রমতেই আত্মা হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী বস্তু। আত্মা যখন তার প্রকৃত সত্তার বিকাশ ঘটাতে পারে, তখন আত্মা ছাড়িয়ে যায় এই নশ্বর পৃথিবীকে। তুচ্ছ হয়ে দাঁড়ায় এর ভোগ-সম্ভোগ। কেননা এসকল গুণ ছিল মূলত দেহের চাহিদা। কিন্তু রূহ যখন দেহের প্রভাবকে কাটিয়ে উঠতে পারে, তখন তার মধ্যে জাগতিক লোভ স্থিমিত হয়ে পড়ে। যদিও পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ না দেহের সাথে বিচ্ছিন্নতা সাধন হয়।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ ভাল হয়নি। একদম ফালতু।