User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"A great civilization is not conquered from without until it has destroyed itself from within." ~ Will Durant. ? তিতাস একটি নদীর নাম ✍️ লেখক: অদ্বৈত মল্লবর্মণ। ?️ জনরা: চিরায়ত সাহিত্য ⭐ ব্যাক্তিগত রেটিং: ৯/১০ ▪️মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই একত্রিত বা দলগত ভাবে বসবাস করে। এই একত্রিত বসবাসের ফলে সেখানে সভ্যতার জন্ম হয়। একটি সমাজ বা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নত রূপ, সংস্কৃতি, জ্ঞান, প্রযুক্তি, সামাজিক ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক কাঠামো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুসংগঠিত রূপকে সভ্যতা বলে। প্রাচীন কাল থেকেই এই সভ্যতার মধ্যে রয়েছে উত্থান ও পতনের খেলা। সভ্যতার উত্থান দলগত ভাবে হলেও এর পতন ঠিকই হয়ে থাকে বিভেদ ও বিচ্ছেদের সমন্বয়ে। ▪️'তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা সৎ সাহিত্য। এই উপন্যাসের গল্প একটি নদীকে কেন্দ্র করে। এই নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা সভ্যতা ও এই সভ্যতার মানুষদের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাতই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়। শুনতে নিতান্ত একটা কাহিনি মনে হলেও এর পরতে পরতে আছে গভীর দর্শণ, যা পাঠককে একদিকে যেমন পুলকিত করবে, তেমননি অপরদিকে করবে ব্যথিত। ▪️লেখকের ভাষ্যমতে, তিতাস একটি নদীর নাম। এ নামের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ তার তীরের লোকেরা জানে না। জানিবার চেষ্টা কোনদিন করে নাই, প্রয়োজন বোধও করে নাই। নদীর কতো ভালো নাম থাকে - মধুমতী, ব্রম্মপুত্র, পদ্মা, সরস্বতী, যমুনা। আর এর নাম তিতাস। সে কথার মানে কোনোদিন অভিধানে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। কিন্তু নদী এ নামে যতো প্রিয়, ভালো একটা নাম থাকিলে তত প্রিয় হইতোই যে, তার প্রমাণ কোথায়! ভালো নাম আসলে কি? কয়েকটা অক্ষরের সমষ্টি বৈ ত নয়। কাজললতা মেয়েটিকে বৈদুর্যমালিনী নাম দিলে আর যাই হোক, এর খেলার সাথীরা খুশি হইবে না। তিতাসের সঙ্গে নিত্য যাদের দেখাশোনা, কোনো রাজার বিধান যদি এর নাম চম্পকবতী কি অলকানন্দা রাখিয়া দিয়া যায়, তারা ঘরোয়া আলাপে তাকে সেই নামে ডাকিবে না, ডাকিবে তিতাস নামে। ▪️ ছোট থেকেই বিভিন্ন ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু এই প্রথম পড়লাম যে সভ্যতার উত্থান ও পতন কি ভাবে হয়। শুধু তাই নয়, সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কারের দিকগুলো এখানে স্বাভাবিক ভাবে ফুটে উঠলেও এগুলোর মর্ম অসাধারণ। লেখকের অতিকথন অভ্যাস হলেও, সত্যকথন তার অলংকার। অনেক ভারী-ভারী শব্দ ও অতি বিস্তৃত আলোচনা। তবুও পড়ে কখনো বিরক্ত লাগবে না। ▪️উক্ত উপন্যাসটি সম্পূর্ণ সাধুরীতি বা চলিতরীতিতে লিপিবদ্ধ হয় নি। দুটি রীতিরই মিশ্রণ রয়েছে। প্রচুর তৎসম, তদ্ভব ও আঞ্চলিক শব্দ এ উপন্যাসকে নতুন আঙ্গিক দান করেছে। উপন্যাসটি চারটে খন্ডে বিভক্ত। প্রতিটি খন্ডে আবার দুটি পর্ব রয়েছে। যেমন:- ১ম খন্ড: তিতাস একটি নদীর নাম, প্রবাস খন্ড। ২য় খন্ড: নয়া বসত, জন্ম - মৃত্যূ - বিবাহ। ৩য় খন্ড: রামধনু, রাঙা নাও। ৪য় খন্ড: দুরঙা প্রজাপতি, ভাসমান। ▪️'তিতাস একটি নদীর নাম' - এ উপন্যাসটি অদ্বৈত মল্লবর্মণের এক অমর কীর্তি হিসেবে বিধৃত। অনুকূল ও প্রতিকূল সংঘাতে বেঁচে থাকা মৎস্যজীবি মানুষের কাহিনি এখানে বর্ণিত হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি হলো গভীর দর্শণের সংমিশ্রণে এক সভ্যতার বাস্তব নিদর্শন।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
*বইঃ-তিতাস একটি নদীর নাম *লেখকঃ-অদ্বৈত মল্লবর্মণ *ধরণঃ-চিরায়ত উপন্যাস *ভাষাঃ-বাংলা *প্রকাশণীঃ-বুকম্যান *প্রথম প্রকাশঃ-নভেম্বর-১৯৯৮ *প্রচ্ছদঃ- *মোট পৃষ্ঠাঃ-১৯২ *মূল্যঃ-৬০ ৳ =জ্ঞানের দুনিয়ায় রয়েছে অসংখ্য জ্ঞানঅন্বেষী এবং অসংখ্য লেখক।স্বভাবত লেখকদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা নির্দিষ্ট একটি উপন্যাসের জন্য পাঠক সমাজে সমাদৃত হন।অল্পশয় লেখকই রয়েছে যাদের একইসাথে অনেকগুলো রচনা পাঠক সমাজে সমানভাবে গৃহীত হয়েছে।"তিতাস একটি নদীর নাম"এমন একটি উপন্যাস যার রচনা দ্বারা রচয়িতা খ্যাতি পেয়েছেন।পেয়েছেন পাঠক সমাজে পরিচিত আর জনপ্রিয়তা।"তিতাস একটি নদীর নাম" একটি বিখ্যাত উপন্যাস।উপন্যাসটি লিখিত হয়েছে একটা দরিদ্র মালো পরিবার কে কেন্দ্র করে।উপন্যাসের কাহিনীতে প্রবেশের পূর্বে লেখক সম্পর্কে কিছু কথা বলে নেওয়া শ্রেয়।অদ্বৈত মল্লবর্মণ জন্মেছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার অল্প দূরে থাকা একটি ছোট্ট গ্রামে।তার পরিবার ছিল দরিদ্র ও মালো।তার গ্রাম থেকে মাত্র পাঁচমাইল দূরে থাকা জেলেদের জীবন তিনি দেখেছিলেন খুব নিপুনতার সহকারে।সেই জেলে-নদী -মাছ-নৌকা নিয়েই কল্পিত কাহিনিকে পরবর্তীতে তিনি উপন্যাসে রুপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।এবং সেই সূত্রেই লিখেন "তিতাস একটি নদীর নাম" উপন্যাসটি ।বাংলা সাহিত্যে নদী-নৌকা-মাছ-জেলে -জাল নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য উপন্যাস।তবে তার মধ্যে যে উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছে বিশ্ববাসীর নিকট-তেমনই একটি উপন্যাস হলো "তিতাস একটি নদীর নাম"।লেখকের মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়া উপন্যাসটি সাহিত্য সমালোচকদের অন্তরআত্না কাপিয়ে দিয়েছিল!আমার কাছে মানিকের "পদ্মা নদীর মাঝি" র পরে "তিতাস একটি নদীর নাম" উপন্যাসটিই ধরা দিয়েছে অসাধারণ তাৎপর্যে।"পদ্মা নদীর মাঝি" অনুসারে যেমন পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নির্মান করা হয় তেমনি "তিতাস একটি নদীর নাম" উপন্যাসটি অনুসারেও চলচ্চিত্র নির্মান করা হয়।বাংলা ভাষার পর উপন্যাসটি অনুদিত হয় ইংরেজি,ফরাসি ও ওড়িয়া ভাষায়। . ক্ষুদ্র কলেবরের এই উপন্যাসটিতে দেখা যায় একান্তই লেখকের জীবন।উপন্যাসটি সর্বমোট চারখন্ড বা চারপর্ব আকারে রচিত হয়।প্রথম খন্ড হলো, 'তিতাস একটি নদীর নাম-প্রবাস খন্ড।'দ্বিতীয় খন্ড হলো 'নয়া বসত-জন্ম মৃত্যু বিবাহ'।তৃতীয় খন্ড হলো,'রামধনু-রাঙা নাও।'চতুর্থ এবং সর্বশেষ খন্ড হলো,'দুরঙা প্রজাপতি-ভাসমান'।উপন্যাসের শুরু হয়েছে ঠিক এভাবে;— "তিতাস একটি নদীর নাম।কূলজোড়া জল,বুকভরা ঢেউ,প্রাণভরা উচ্ছ্বাস।স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়। ভোরের হাওয়ায় তার তন্দ্রা ভাঙে,দিনের সূর্য তাকে তাতায়;রাতের চাঁদ তারারা তাকে নিয়ে ঘুম পাড়াইতে বসে,কিন্তু পারে না। মেঘনা-পদ্মার বিরাট বিভীষিকা তার মধ্যে নাই....." . উপন্যাসে লেখক ভাষা প্রয়োগ করেছেন তার নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে।গদ্যরীতি গড়ে তুলেছেন নির্দিষ্ট স্টাইলে।সম্ভবত তাই উপন্যাসটি স্বাতন্ত্র ও ব্যতিক্রমধর্মীতা লাভ করেছে।উপন্যাসের প্রথম খন্ডে দুইজন বালকের দেখা মিলে।সুবল আর কিশোর সেই দুইজনা।তারা একসময় বৃদ্ধ তিলক কে সঙ্গে করে প্রবাসে যায় আয়ের উদ্দেশ্য।ফিরে আসে চারজন হয়ে।অন্যজন হলো অনন্তর মা।যার সাথে কিশোরের প্রণয়-পরিনয় দুই হয়েছিল।অন্তত হলো কিশোরের সন্তান।বলছিলাম,তারা ফিরে এসেছিল চারজন হয়ে।সত্য কিন্তু তা না!কেননা,নদীতেই কিশোরদের নৌকা থেকে নববিবাহিতা বধু হারিয়ে যায়।এরপর তারা তিনজনই গ্রামে ফিরে আসে।কিশোর প্রিয়সখীর বিচ্ছেদে পাগল হয়ে যায়।ঠিক যেন "দেবদাস" উপন্যাসের দেবদাসের মতো!যাইহোক,বিধির লীলায় অনন্তর মা হারিয়ে গেলেও একসময় ছোট্ট অনন্ত কে নিয়ে তিতাস পেরিয়ে কিশোরের গ্রামে আসে।তখন কিশোর পাগল।এভাবেই উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে চলে।মনে হয় যেন তিতাসের জল বয়ে চলছে!উপন্যাসের অন্তিম অংশে দেখা যায়,মৃত্যু এসে মালোদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলে।অনন্তর পাগল বাবা মারা যায়।তার ঠিক চারদিন পর ধরাধামে অনন্তকে সম্পূর্ণরুপে এতিম করে তার মাও চলে যায়।অনন্ত কয়েকদিন মায়ের বন্ধু বাসন্তীর আশ্রয়ে থাকে।বাসন্তী টা কে?তা জানতে হলে উপন্যাস পড়া ছাড়া গত্যন্তর নেই!একসময় অনন্তকে বাসন্তীর আশ্রয় ছেড়ে চলে যেতে হয়।সে ত্রিপুরা যায়।পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়।এভাবেই কাহিনী গড়ায় উপন্যাসটির।উপন্যাসের বর্ণনাভঙ্গি পাঠককে নাড়া দিতে বাধ্য।ঔপন্যাসিকের ভাষায়,, "নদীর একটি দার্শনিক রুপ আছে।নদী বহিয়া চলে, কালও বহিয়া চলে।কালের বহার শেষ নেই।নদীরও বহার শেষ নেই।কতকাল ধরিয়া কাল নিরবচ্ছিন্নভাবে বহিয়াছে।তার বুকে কত ঘটনা ঘটিয়াছে।কত মানুষ মরিয়াছে....." . "তিতা একটি নদীর নাম" উপন্যাসটি প্রসঙ্গে লেখকের একটা মন্তব্য ছিল প্রকাশকের সাথে।সেটা না লিখে পারছি না।মৃত্যুর পূর্বে অদ্বৈত যখন প্রকাশক সুবোধ চৌধুরীর নিকট উপন্যাসের পাল্ডুলিপি জমা দেন তখন তিনি বলেন,,"মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন পদ্মানদীর মাঝি;আর কি তোমারই বই মানুষ নেবে?" প্রতিউত্তরে লেখক বলেছিলেন,,"সুবোধদা,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় artist,master artist,কিন্তু বাওনের পোলা—রোমান্টিক।আর আমিতো জাউলার পোলা।" শেষে তিতাস কে ঘিরে সুস্নাত জানার সেই কথাটি বলবো,,'তিতাস সমগ্র বিশ্বের নদীমাতৃক জেলে জীবনোপাখ্যানের মহাকাব্য।' সত্যিই তাই।পড়ার নিমন্ত্রণ রইলো।হ্যাপি রিডিং? রেটিংঃ-৫/৫ #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ #এপ্রিল-২০২০ ~ফখরুল ইসলাম
Was this review helpful to you?
or
অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১৯১৪-১৯৫০) বাংলা সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক। প্রাকৃত জনসম্পৃক্ত এবং বিরলপ্রজ এ লেখক স্বল্পায়ু হলেও তার কর্ম বাংলা উপন্যাসের ধারায় একটি নতুন দিকের সংযোজন করেছে। অদ্বৈত'র শৈশব ও কৈশোর কেটেছে জেলেপাড়ায়। সামাজিক শোষণ, অবিচার, স্তরবিন্যাস ও দারিদ্র্য শৈশব কৈশোরকে সংকুচিত করে রাখে। তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ আসতো জেলেপাড়া থেকে চাঁদা তুলে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হবার পর বোনের মৃত্যু ও সাংসারিক অচলাবস্থার কারণে তাকে কলকাতায় পাড়ি জমাতে হয়। মাসিক ত্রিপুরা, নবশক্তি, মোহাম্মদী, আজাদ, নবযুগ, কৃষক, যুগান্তর, সর্বশেষ বিখ্যাত দেশ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চম শ্রেণী থেকেই সাহিত্যচর্চার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগে যক্ষারোগে আক্রান্ত হন। বন্ধুরা চিকিৎসা করালেও ব্যক্তিগত অনিহা ও অতিরিক্ত পড়াশোনার কারণে ১৯৫১ সালের ১৬ এপ্রিল কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। উপন্যাসের কাহিনী খুবই সচরাচর। জেলেপাড়ায় মানুষের জন্ম হয়, আবার এক সময় হুট করে মারা যায়। জলের সাথে জেলের জীবন। নদী শুকিয়ে গেলে জেলেও শুকিয়ে যায়। তাদের জীবনে উৎসব আসে, বিয়ে আসে, মৃত্যু আসে। চক্রকারে চলতে থাকে। নদী তাদের বাঁচায়। যাদের জমি আছে তারা না হয় আকালে কোন রকমে বেঁচে থাকে। আর যাদের শুধু জল আছে, তাদের কি হয়? জল শুকালে? জেলেরা নতুন ঠিকানাটার আশায় পাড়ি জমায়। পড়ে রয় শূন্য ভিটা। ছোট বেলায় জেলে পাড়ার ভেতর দিয়ে বাজারে যেতাম। তখন জেলে পাড়ার বাহিরের দৃশ্যের দেখতাম, এখন তাহাদের ভিতরের কথা জানলাম।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ শিল্পী
Was this review helpful to you?
or
পদ্মা নদীর মাঝি বা হাজার বছর ধরে বইগুলোতে বাস্তবতার যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তিতাস একটি নদীর নাম বইটিও ঠিক তেমনি। যুগে যুগে মনে রাখার মত একটি গল্প। দরিদ্র মালোদের কঠিন বাস্তবতা, গ্রাম্যদের চরিত্র তাদের দু:খ আনন্দ এবং সেই সাথে কিছুটা ভালবাসার গল্পের আমেজ সব মিলিয়ে দারুন একটি বই পাঠকদের উপহার দিয়ে গেছেন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
তিতাশ একটি নদীর নাম পড়ে সবার মনে তিতাশের পাড়ের মালোদের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে এই স্বাভাবিক। সে ভালোবাসা নিয়ে আমি হেঁটে হেঁটে মালোপাড়া দেখছি। গল্পে আমি ছিলাম অদ্বৈত মল্লবর্মনের সাথে। আর এখন অদ্বৈত মল্লবর্মন আমার সাথে। আমাকে যেন বলছে, ঐ যে দেখ জায়গাটা! ওখানে জেলেরা নৌকা বাঁধতো। পানি না থাকায় জায়গাটা এখন খালি। পানি এলে তুমি আবার এশো। দেখবে, সারি সারি নৌকা। চাইলে আপনারাও ঘুড়ে আসতে পারেন তিতাস পাড়ে ।