User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একবারেই 3rd ক্লাস বই। কেউ টাকা নষ্ট করতে না চাইলে কিনবেন please!
Was this review helpful to you?
or
worst writer, he is not even worth to write this book
Was this review helpful to you?
or
...........................
Was this review helpful to you?
or
'মুহম্মদ জাফর ইকবালঃ একজন আদর্শ মানুষ' বইটি মূলত সাক্ষাৎকারধর্মী। পুরো বইটি সাজানো হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের দেয়া সাক্ষাৎকার দিয়ে। সাক্ষাৎকারগুলো গ্রহণ করেছেন জব্বার হোসেন। জব্বার হোসেনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে স্যার যেসব উত্তর দিয়েছেন, সেগুলোকে একসাথে সাজালে এটি স্যারের আত্মজীবনী টাইপের একটা বই-ই হয়ে যায়। সেকারণেই হয়ত এই বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, 'ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে জানতে এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।' কিন্তু আমার মনে হয়, এই কথাটি নেহাতই বাড়াবাড়ি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে পুরোপুরি জানতে এই বইটি কখনোই অবশ্যপাঠ্য হতে পারে না এবং এই বইটি পড়ে কখনোই স্যারকে পূর্নাংগভাবে জানা যাবে বলেও আমার মনে হয় না। কেননা বইটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে, সাক্ষাৎকার গ্রহণের ক্ষেত্রে জব্বার হোসেন খুব একটা পারদর্শী নন। তিনি যেসব প্রশ্ন করেছেন স্যারকে, সেগুলো একদমই টিপিক্যাল। কোন নতুনত্ব নেই। গৎবাধা কিছু প্রশ্ন করে গেছেন। এবং তার জবাবে স্যার যেসব বলেছেন তাতে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। আসলে একজন লেখক, যিনি ইতোমধ্যে একাধিক আত্মজীবনীমূলক রচনা লিখে ফেলেছেন, তাঁর কাছ থেকে নতুন নতুন উত্তর আনাটা সহজ না। এজন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে। সেরকম কৌশলী আমার মনে হয়নি জব্বার হোসেনকে। তাই তাঁর সাদামাটা প্রশ্নের জবাবে স্যার যা বলেছেন সেগুলো আগেও অসংখ্যবার শুনে বা পড়ে ফেলেছি আমরা। নতুন করে সেগুলো শুনতে ভাল লাগা উচিৎ না। ভাল লাগেও নি। এই বইতে এমন নতুন কোন কথা উঠে আসেনি যার মাধ্যমে স্যারকে নতুন করে চেনা যাবে, স্যারের না জানা কিছু বিষয় জানানোর মাধ্যমে পাঠকের সামনে স্যারকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা যাবে। বলা বাহুল্য যে, একজন বিখ্যাত মানুষের কাছ থেকে নতুন নতুন কথা বের করে আনা বেশ কঠিন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী যদি সেই লোকটার অনেক কাছের কোন মানুষ হন বা তাঁর সাথে আন্তরিক সম্পর্ক থাকে, তাহলেই সাক্ষাৎকারগুলো অনেক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, নতুন নতুন ঘটনা ও তথ্য সন্নিবিষ্ট হতে থাকে। এমনটা দেখেছিলাম যখন হুমায়ুন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ইমদাদুল হক মিলন। এমনিতেই সাক্ষাৎকার গ্রহণে ইমদাদুল হক মিলনের কোন জুড়ি নেই, তার ওপর আবার হুমায়ুন আহমেদের সাথে তাঁর সম্পর্কটাও ছিল অনেক গভীর। সেজন্য সেই সাক্ষাৎকারটি ছিল খুবই ঘরোয়া, গল্পগুজব আর ঠাট্টার ছলে হুমায়ুন আহমেদের ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্য বের করে আনতে পেরেছিলেন ইমদাদুল হক মিলন। কিন্তু সেরকমটা হয়নি জব্বার হোসেনের নেয়া এই সাক্ষাৎকারে। প্রথমত, জব্বার হোসেন সাক্ষাৎ গ্রহণের মত কঠিন কাজে এখনো খুব বেশি অভিজ্ঞ নন এবং দ্বিতীয়ত, জাফর ইকবালের সাথে তাঁর সম্পর্কটাও হয়ত সম্পূর্ণ রকমের আন্তরিক নয়। সেজন্য বাইরে থেকে জাফর ইকবাল স্যারকে যেমনটা দেখা যায়, তার ওপর ভিত্তি করেই প্রশ্নগুলো সাজিয়েছেন জব্বার হোসেন আর তার উত্তরে জাফর ইকবাল স্যার বহুশ্রুত কথাগুলোই আবারো আউড়েছেন। সাক্ষাৎকারকে পাঠকের কাছে উপভোগ্য করে তুলতে গেলে আরেকটা জিনিস জরুরি, তা হল সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে কথার পিঠে কথা বলায় মুনশিয়ানা দেখাতে হবে। সেই জিনিসটিও অনুপস্থিত ছিল জব্বার হোসেনের প্রশ্ন করার ধরণে। একাধিকবার এই বইতে দেখা গেছে, স্যারকে করা কোন একটা প্রশ্নের জবাবে স্যার যে উত্তরগুলো দিয়েছেন তা অসম্পূর্ণ রয়েছে বা সেই উত্তরগুলো নতুন অনেক প্রশ্নের উত্থাপন করছে। কিন্তু সে দিকে হয়ত জব্বার হোসেন খেয়াল করেন নাই। তিনি তার স্ক্রিপ্ট অনুয়ায়ী হয়ত পরের প্রশ্নে চলে গেছেন যেজন্য অনেকগুলো টপিকের আলোচনা পূর্নাঙ্গতা লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বইটিতে খুব সম্ভবত আলোচনার কন্টিনিউটিও বজায় রাখা হয়নি। পাঠকের সুবিধার কারণেই হয়ত এমনভাবে বইটাকে সাজানো হয়েছে যাতে বিষয়ভত্তিক কথাবার্তা ঐ বিষয়ের ওপর তৈরি করা চ্যাপ্টারেই জায়গা দেয়া হয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু পাঠকের কাছে হয়ত সাক্ষাৎকারগুলো ভালোই লাগবে কিন্তু আমার মত অনেক পাঠক সাক্ষাৎকারের মূল ফ্লো ধরতে না পেরে হতাশও হবেন। এতক্ষণ কথা বলছিলাম এই বইটি আসলেই স্যারকে পুরোপুরি জানতে সাহায্য করবে কিনা তা নিয়ে। এখন অন্য বিষয়ে কথা বলি। অবশ্য অন্য কোন বিষয়ে কথা বলার বাকিও নেই। যারা স্যারের লেখা আত্মজৈবনিক রচনাগুলো পড়েছেন, তাদেরকে এই বইটি 'নতুন' কিছুই অফার করবে না। স্যার তাঁর ছেলেবেলার যে স্মৃতিচারণগুলো এই বইতে করেছেন, সেগুলো শুধু তাঁর লেখা বইতেই নয়, হুমায়ুন আহমেদ ও আহসান হাবীবের একাধিক লেখায়ও ইতিপূর্বে উঠে এসেছে। এরপর তরুণ বয়সের, মুক্তিযুদ্ধের, বাবাকে হারানোর এবং লেখক হয়ে ওঠার যে গল্প, সেগুলোর উল্লেখ আছে 'রঙিন চশমা' বইটিতে। এর বাইরে স্যারের সমকালীনতা নিয়ে সচেতনতা, দেশভাবনা, রাজনীতি ভাবনা প্রভৃতির সঙ্গেও অনেকেরই আগে থেকে পরিচিতি থাকার কথা, অন্তত যারা স্যারের কিশোর উপন্যাস বা কলামগুলোর নিয়মিত পাঠক। পরিশেষে একটা কথাই বলব, শুধু সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে একটি বই প্রকাশের ব্যাপারটি এদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারে নতুন না হলেও, বিরল তো বটেই। সেই কাজটি করার যে প্রয়াস জব্বার হোসেন দেখিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবিদার। তাঁর এই কাজটিকে 'ডিটেইল ওয়ার্ক' হয়ত বলা যাবে না, তবে পুরো বইটিকে নিছকই উড়িয়েও দেয়া যাবে না। স্যারের লেখনী ও ব্যক্তিত্বের সাথে যারা খুব বেশি পরিচিত নয়, অন্তত তারা ঠিকই এই বই পড়ে স্যারের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
it is not recommended for young generation to read this book and not to consider Jafor as an ideal man.