User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাষট্টি বছর বয়সে শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর সিংহআসনে আরোহণ করেন। ততদিনে এদেশে ব্রিটিশ রা ঢুকে পড়েছে এবং শাসন ক্ষমতা মোটা মুটি ভাবেই কুক্ষিগত করেছে। বাহাদুর শাহ জাফর যখন মোঘল সিংহআসনে আরোহণ করেন তখন মোঘলরা তখন ব্রিটিশের পেনসনভোগী এবং সম্রাটের সমস্ত ক্ষমতা ও ক্রত্রিত শুধুমাত্র দিল্লির লালকিল্লার মাঝে সীমাবদ্ধ ১৮৫৭ সালের ১১ মে মিরাট থেকে একদল দেশীয় সৈন্য দিল্লিতে চলে আসে এবং সেখাণকার ইংরেজদের হত্যা করে এবং শাসনক্ষমতায় বসায় বাহাদুর শাহ জাফর কে। পরবর্তী পাঁচটি মাস দিল্লিকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী সৈন্য রা তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রিচালিত করে।তারা তাদের তৎপরতা চালায়। কিন্তু কার্যত তারা অবরুদ্ধ ছিলো দিল্লিতে ব্রিটিশদের দ্বারা। ব্রিটিশ বাহিনি সর্বাত্মক ভাবে চেস্টা করে দিল্লি উদ্ধার করে। কিন্তু দিল্লি পূর্ণদখল করার পর ব্রিটিশ কতৃপক্ষ মোঘল রাজ পরিবারের বহু রাজকুমার ও রাজন্য বর্গ কে হত্যা করে। বাহাদুর শাহ কে সপরিবারে আটক করে এবং একটি বিশেষ কমিশনের মুখোমুখি করে বিচারের জন্য। বিচার শুরু হয় ১৮৫৮ সালের ২৭ জানুয়ারী। একুশ দিন ধরে চলে বিচার কাজ। কোনো বিরতিহীন ভাবে।প্রধান প্রধান অভিযোগ ছিল বিদ্রোহে উস্কানি প্রদান, ব্রিটিশ সরকারকে উৎখাতকে ষড়যন্ত্র এ লিপ্ত ।যুদ্ধে যোগদান, এবং ৪৯ ইউরোপীয় কে হত্যায় লাল কেল্লায় পরোক্ষ ভুমিকা পালন করা। এসব অভিযোগ প্রমান করার জন্যে কন তদন্ত হ্যনি। কিন্তু চিঠী পত্র অ কয়েকজন সাক্ষী যে সাক্ষ্য আদালতে প্রদান করেছিলেন শে সবের পরিপ্রেক্ষিতে বাহাদুর শাহ জাফর কে দোষী সাবস্থ্য করা হয়।এবং আদালত ১৮৫৮ সালে ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করে। রায়ে তার সাজার বিষয় উল্লেখ ছিল না। যা ঠিক করে ব্রিটিশ ক্রতিপক্ষ। তার সাজা হয় নির্বাসন ।জীবনের অবশিস্ট সময়ের জন্যে তাকে রেঙ্গুনে নির্বাসন করা হয়। দি ট্রায়াল অফ বাহাদুর শাহ জাফর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এদেশের সিপাহি জনতার প্রথম সংগঠিত বিদ্রোহের প্রামান্য দলিল।