User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Nurun Nahar

      27 Mar 2025 11:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The book was very good, with full of adventure horror and twist. fantastic

      By jar****com

      12 Mar 2025 03:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি ভৌতিক উপন্যাস পরিনি তেমন একটা। কিন্তু @aqib ছোট্ট ভাইয়ার বই টি পরার খুব আগ্রহ জাগলো অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি কিছুটা ভৌতিক। তার মঝে অনেক টুইস্ট আছে।ভৌতিক,রহস্য, গোয়েন্দাগিরি, রোমাঞ্চকর সব কিছু একই সাথে বইয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি মূলত 'উদ্দীপ্ত' প্রকাশনীর পরিচালক প্রান্তিক রায়চৌধুরীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসের শুরুতেই জমিদারবাড়ির সুন্দর বর্ণনা করা হয়েছে সে গ্রামের এক নিষ্ঠুর অতীত সম্বন্ধে জানা যায় অতীতে এক জঘন্য তান্ত্রিক সে গ্রামের মানুষদের পুড়িয়ে দিত এবং তার কুসংস্কার কাজে ব্যবহার করত। প্রান্তিকের বাবা মা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছে। এরপর থেকেই ছোট থেকে রহস্য ও অভিযানের প্রেমিক সাহসী প্রান্তিকই জমিদারবাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকার। এক রাতে বাগানের পেছন থেকে এক শিশুর আর্তনাদ ভেসে আসে আর সে রাত থেকেই প্রান্তিকের সাথে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ভৌতিক ঘটনা।সহকর্মী ও ভালো বন্ধু তুষারের ভাগনিও হঠাৎ করে নিখোঁজ। লোভে পড়ে চিকু নামক এক পাগলের দেওয়া ভূল দিক নির্দেশনায় শরৎঘাটের নাম করে সে তার প্রান্তিকদাকে একটি পরিত্যক্ত শশ্মানঘাটে পাঠায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে এক কাঠুরে দল প্রান্তিককে উদ্ধার করে। কাছের বন্ধুকে এভাবে বিপদে ফেলে দেওয়ার জন্য তুষার অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়। এভাবে রহস্য অনেক গভীর হতে শুরু করে।তারা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বেচে থাকার লড়াই শুরু হয়। তারা দুজন কি বন থেকে বের হতে পেরেছিল ? সাদা কাপড়ের পিশাচী আসলে কী ছিল ? আর সেই পাগলটাই-বা কে যার কথায় প্রান্তিক বিভ্রান্ত হয়ে নিখোঁজ হলো ? সেই দুজন লোকই-বা কারা যারা তুষারের চোখের সামনে অদৃশ্য হলো ? নাকি সবকিছুর ব্যাখ্যা আরও জটিল

      By Rishtia

      05 Mar 2025 09:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই                 :- অন্ধকারের গোলকধাঁধায় লেখক           :- রফিকুজ্জামান আকিব প্রথম প্রকাশ  :- বইমেলা, ২০২৪ প্রচ্ছদ            :- সজল চৌধুরী প্রকাশনা        :- অন্যপ্রকাশ (Rating: 7 out of 10) লেখক তার অন্ধকারের গোলকধাঁধায় উপন্যাসটির মাধ্যমে একটি দারুণ ভৌতিক আবহ তৈরি করেছেন। গল্পের শুরু থেকেই পাঠককে একটি রহস্যময় এবং ভুতুড়ে পরিবেশে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। গল্পটি পড়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। গল্পতে যেভাবে ভৌতিক আবহাওয়া সৃষ্টি করা হয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ। উপন্যাসটির মূল চরিত্র প্রান্তিকের সাথে ঘন ঘন ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে যে ভয়াবহতা আনা হয়েছে এটা সত্যিই চমকপ্রদ। তাছাড়াও উপন্যাসের মধ্যে তান্ত্রিকের তন্ত্রমন্ত্রের যে বিষয় ছিল, সেটা আসলেই রাতের ঘুম হারাম করার মত ব্যাপার !! এই বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে এবং আমার কৌতূহল আরো বাড়িয়ে দিয়েছে!!!গল্পের একটি বিশেষ দিক হলো এর অপ্রত্যাশিত মোড়। লেখক এতটাই কৌশলীভাবে একটি টুইস্ট তৈরি করেছেন যে, পাঠক হিসেবে শেষ পর্যন্ত রহস্যের সমাধান আঁচ করা কঠিন হয়ে পড়ে। গল্পের মূল চরিত্র প্রান্তিকের সাথে কি হবে? সাহসী ও কৌতুহলী প্রান্তিক কি আসলেই সব রহস্যের সমাধান বের করতে পারবে নাকি সেই নৃশংস পিশাচীর হাতে তার মৃত্যু হবে?  এসব স্থানের মোড় গল্পটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং পুরো কাহিনীকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছে। এটি এমন একটি টুইস্ট, যা পাঠকদের মনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরপাক খাবে।গল্পের মধ্যে শিক্ষনীয় কিছু দিকও রয়েছে, যা আমাদের বাস্তব জীবনের কিছু গভীর সত্যকে তুলে ধরে। এটি পাঠককে শুধু ভয়ের জগতে নিয়ে যায় না, বরং চিন্তার খোরাকও জোগায়। গল্পটি শেষ করে পাঠক নিজেকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হবেন, “ আসলে কী ঘটেছিল? ” গল্পের মাধ্যমে লেখক মানুষের ভয় বিশ্বাস এবং প্রতারণার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যা আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে অনেকটাই মিলে যায়। গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অনেক সময় আমরা যা দেখি বা অনুভব করি তা সবসময় সত্যি নাও হতে পারে। বাস্তব জীবনে অনেক ঘটনা থাকে যা আমাদের উপলব্ধি থেকে বাইরে থাকে এবং এই গল্পে সেই জটিলতাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উপন্যাসটির কাহিনীতে লেখক তার তুখোড় মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন এবং আমি আশা করি তিনি এরকম অনেক চমকপ্রদ ও গভীর গল্প আমাদের উপহার দিতে সক্ষম হবেন যা পাঠকদের রাতের ঘুম হারাম করে দেবে!!! সামনের যাত্রায় লেখক এর আরো সাফল্য কামনা করছি এবং তার পরবর্তী রচনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!! শুভেচ্ছান্তে, রিশতিয়া। ৯ম শ্রেণি, বিএন স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা।

      By Md Faruk Ahamed

      02 Mar 2025 11:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটি থ্রিলার, যা পাঠককে প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই আকৃষ্ট করে। গল্পের বাঁধুনি এবং চরিত্রগুলোর গভীরতা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা একটানা পড়ে যেতে বাধ্য করে। লেখকের ভাষা অত্যন্ত সাবলীল এবং ঘটনাগুলোর বর্ণনা এতটাই বুদ্ধিমত্তার সাথে করা যে, আপনি নিজেকে যেন সেই পরিস্থিতির মধ্যে অনুভব করেন। বইটি রহস্য, উত্তেজনা, এবং অবিশ্বাস্য মোড়ে পূর্ণ। বিশেষত, সমাপ্তি একেবারে প্রত্যাশিত নয়, যা পাঠককে অবাক করে দিয়ে তাদের মনোযোগ ধরে রাখে শেষ পর্যন্ত। এটি নিঃসন্দেহে থ্রিলার প্রেমীদের জন্য একটি মাস্ট-রিড। এই বইটি শুধুমাত্র থ্রিলার নয়, এটি একটি মানসিক পরীক্ষা। গল্পটি যতটা উত্তেজনাপূর্ণ, ততটাই মনোজ্ঞ। যারা রহস্য এবং নাটকীয়তা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি এক অসাধারণ পছন্দ। সাথেই শুভকামনা জানাই প্রিয় লেখককে এগিয়ে যাও এই দোয়া করি ??

      By sej****com

      02 Mar 2025 06:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অন্ধকারের গোলকধাঁধায় বইটি খুবই ভালো একটি বই । যে কারোরই পরে অনেক ভালো লাগবে এটি। একটা ভৌতিক থ্রিলার বই, না পড়লে হয়তো বুঝা যাবে না । বইটির উপস্থাপনা খুবই ভালো , এরকম রহস্য ও এডভেঞ্চার, ভৌতিক , গোয়েন্দা টাইপ সবকিছু একসাথে প্রকাশ পেয়েছে বইটিতে । বইটি পড়ে খুবই ভাল লেগেছে আমার । শিশু কিশোরদের জন্য একটি পারফেক্ট বই এটি , খুবই রোমাঞ্চকর। কেমন একটা থ্রিল বানানো হইছে, যখন আমি পড়তেছিলাম এক এক পেজ পড়ি আর পরের পেজ এর জন্য আগ্রহ জাগে যে এর পরে কি হবে, এর পরে কি হবে ..... যা যা পরতেছিলম সব আমার চোখে ভাসতেছিল আর মনে হচ্ছিল পিচাশগুলো আমার আসে পাশে.... কিন্তু প্রথমের ঐযে রাজবাড়ীর এত বর্ণনা ঐটা অনেক বিরক্ত লাগছে ,কিন্তু পরে বুঝছি কেনো এতো বর্ণনা দেওয়া হইছিলো, ।আমি যখন পড়ছিলাম তখন আমার সাথে সাথে আমি আমার বড়মাকেও (বড় চাচী) পড়ে শুনিয়েছি। সেও এই উপন্যাসটি অনেক উপভোগ করেছে ।।। আমি বইয়ের পড়া তেমন মনে রাখতে পারি না , অথচ প্রায় এক মাস আগে পড়া বইটার কাহিনী আমার এখনো মনে আছে, মনে পড়লে চোখে ভাসে সেই ভৌতিক কাহিনীগুলো ।।।। আমি সাধারণত এমন ভৌতিক গল্প বা সিরিজ পরি না, দেখি না ।কিন্তু এই বইটি পড়ার সময় আমি পুরো কাল্পনিক জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম । মনে হচ্ছিল যেন ঐখানে আমি চলে গেছি । এতো অল্প বয়সে অধ্যাবসায় এর মাধ্যমে বইটির লেখক বইপ্রেমিকদেরকে একটি অসাধারন বই উপহার দিয়েছে । আশা করি এরকম বই আমরা সামনে আরো পাবো ।। শেষমেষ আবারো বলবো, বইটি অসাধারণ একটি বই, একই সাথে এতকিছু এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে ,যা বলার বাইরে ...। কি অপূর্ব লেখকের চেতনা ... ???

      By Shahruzzaman Saikat

      23 Feb 2025 10:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই উপন্যাসের লেখক রফিকুজ্জামান আকিব এর এই বইটি যখন আমি প্রথমে পড়া শুরু করেছি কখনোই আমার মনে হচ্ছিলো না অপরিনত বয়সের লেখকের লেখা। উপন্যাসের প্রোটাগনিস্ট সপ্নের মধ্যেও সপ্ন দেখছে, পরপর বিভৎস সপ্ন দেখছে এই আইডিয়াটা আমাকে ব্যাপক আকারে রোমাঞ্চিত করেছে।উপন্যাসের প্রোটাগনিস্ট ও এন্টাগোনিস্ট কে একটি গন্তব্যে ধাবিত করার বিষয়টি ছিল এক কথায় অসাধারণ। লেখক তার লেখনির এক পর্যায়ে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর আত্নাকে জাগিয়ে তুলেছেন। বিষটি আমার কাছে খুব এই মজার লেগেছে। নিসন্দেহে চুইস্টে ভরপূর এই উপন্যাস এর রহস্য পাঠোদ্ধার করতে হলে পাঠক কে অব্যশই অবশ্যই উপন্যাসের শেষ অংশ অব্দি পড়তেই হবে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      আকিব একদিন অনেক বড় হও। বড় হতে হতে আকাশ ছুঁয়ে ফেল তুমি। অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা রইল তোমার জন্য। ❤️

      By SUHIN

      20 Apr 2024 01:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই রিভিউ : -------------------- বই : অন্ধকারের গোলকধাঁধায় লেখক : রফিকুজ্জামান আকিব ধরণ : অতিপ্রাকৃত,রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা, ভৌতিক, প্যারা সাইকোলজিক্যাল, ক্রাইম থ্রিলার, সাসপেন্স থ্রিলার। প্রচ্ছদ : সজল চৌধুরী প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠা : ১৭৬ টি গায়ের মূল্য : ৫৫০৳ রেটিং: ৪.৭/৫ ✨ • রফিকুজ্জামান আকিবের প্রথম উপন্যাস হলো 'অন্ধকারের গোলকধাঁধায়'। আকিব খুলনা জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। এতো অল্প বয়সে তোমার লেখার ধরণ অসাধারণ। এমনই ভাবে আরও সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের উপহার দিবে এই আশায় রইলাম। আকিব, এই ভাইয়ের পক্ষ থেকে তোমার জন্য রইল দোয়া ও ভালোবাসা। গল্পের ভূমিকা ------------------- • উপন্যাসের শুরু হয় একটি সংক্ষিপ্ত কাহিনী দিয়ে, যা মূল গল্পের কিছু বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত দেয়। মূলত এই দুই পৃষ্ঠা পড়ার পর উপন্যাসটি পড়ার আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে আমার কাছে। মূল চরিত্র : ২৬ বছর বয়সী, প্রান্তিক রায় চৌধুরী, ডাকনাম (প্রান্ত)। গোয়েন্দাগিরি এবং অভিযান প্রেম যেন তার রক্তে মিশে আছে। বর্তমানে উদ্দীপ্ত প্রকাশনীর পরিচালক হিসেবে কর্মরত। পিতামাতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পোড়াগাঁয়ের জমিদার বাড়িতে বসবাস করেন, যার সীমানা প্রায় অর্ধেক গ্রাম নিয়ে বিস্তৃত। এই প্রাসাদোপম বাড়িটি ঘিরে রয়েছে অনেক কুসংস্কার ও গুজব তাছাড়া ও রয়েছে প্রসিদ্ধ ইতিহাস। যে গ্রামের মধ্যে এই বাড়ি অবস্থিত, সেই পোড়াগাঁয়ের ও রয়েছে এক ভয়ানক অতীত। এখানে বাস করত এক রক্তপিপাসু তান্ত্রিক, যে গ্রামের কিছু মানুষের জন্য মৃত্যু ও বাকিদের জন্য দুর্দশা বয়ে নিয়ে এসেছিল যা এই গ্রামের অস্তিত্ব এবং নামের সাথে জড়িয়ে গেছে। • গল্পের সারসংক্ষেপ : প্রান্তিক জমিদারবাড়িতে একাই বাস করেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল তার জীবনে কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন তার সাথে কিছু অদ্ভুত ভৌতিক ঘটনা ঘটতে শুরু করল কিন্তু প্রান্তিক ভূতপ্রেত বিশ্বাস করে না, তবুও এই ঘটনাগুলোর আসল কারণ সে বের করতে পারছিলেন না। কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারলেন যে তার সহকর্মী তুষারের ভাগ্নীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যখন প্রান্তিকের জীবনে একের পর এক বিচিত্র ঘটনা ঘটতে থাকল, তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে এগুলো কেবল কাকতালীয় হতে পারে না। দিনখানেক পর হঠাৎ এক রাতে প্রান্তিক নিজের বাড়ির সামনে এক ছদ্মবেশী লোককে দেখতে পেলেন, যার আচরণ ছিল খুবই সন্দেহজনক। এর পরের দিন তার সহকর্মী তুষার তাকে জানালেন যে সেও একই ছদ্মবেশী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে এবং সেই ছদ্দবেশী প্রান্তিককে শরৎ ঘাটে যেতে বলেছে। এটি প্রান্তিকের মনে কৌতূহল জাগিয়ে তুলল কারণ হতে পারে এই ব্যক্তিই তার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। এরপর প্রান্তিক তার বিচিত্র অভিযান শুরু করল, যা তাকে নানা বিপদের মুখোমুখি করবে এবং উন্মোচিত করবে কিছু গা ছমছমে সত্য। •প্রান্তিক যখন অভিযানে, তুষার তখন প্রান্তিকের খোঁজে তার বাড়িতে গেল। কিন্তু বাড়ির সদর দরজা খোলা দেখতে পায় সে, ঘরের ভিতরে যাওয়ার পর অবস্থা দেখেই অনুমান করে ফেলল যে চোর এসেছে। তার ভয় আরও তীব্র হয় যখন সে বুঝতে পারে যে চোররা এখনও ঘরের মধ্যে রয়েছে। তুষার বিচক্ষণতার সাথে তাদের কথোপকথন শোনে এবং আবিষ্কার করে যে তাদের মূল উদ্দেশ্য একটি মূল্যবান গুপ্তধনের নকশা চুরি করা। নকশা পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর, তারা তাদের গোপন আস্তানার দিকে যাত্রা শুরু করে। তুষারও জীবনের ঝুকি নিয়ে তাড়া দেয় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে সে ঘন জঙ্গলে দিশেহারা হয়ে পড়ে, রাত ঘনিয়ে আসলে পথভ্রষ্ট তুষার এমন কিছুর সম্মুখীন হয় যার কারণে সে জ্ঞান হারায় ..... • প্রান্তিক এবং তুষার দু'জনেই যেন হারিয়ে গেছে অদ্ভুত এক গোলকধাঁধায়। কি হবে তাদের সঙ্গে? প্রান্তিক কি পারবে তার সঙ্গে ঘটা ঘটনাগুলির সমাধান করতে ? আর প্রান্তিক এবং এই গুপ্তধনেরই বা কি সম্পর্ক? তুষার কি পারবে ওই বন থেকে বেঁচে ফিরতে আর তার ভাগ্নির নিখোঁজ হওয়ার পিছনেই বা কারা আছে? এই সব কিছুর সঙ্গে কি ওই অভিশপ্ত তান্ত্রিকের হাত আছে না কি অন্য কিছু? প্রশ্ন অনেক কিন্তু সমাধানও পেয়ে যাবেন যদি পড়েন 'অন্ধকারের গোলকধাঁধায়'। •আমার পাঠ - প্রতিক্রিয়া : 'অন্ধকারের গোলকধাঁধায়' উপন্যাসটি আমি ভিশন উপভোগ করেছি, গল্পটির মধ্যে একটা গা ছমছমে ব্যাপার আছে। লেখক অনেক সুন্দর করেই ভৌতিক এলিমেন্টগুলোকে কাজে লাগিয়েছেন। তা জমিদারবাড়ি এবং গল্পের বর্ণিত জায়গাগুলোর বর্ণনায়ই প্রকাশ পেয়েছে। আর বলতেই হয়, গল্পের মধ্যে থাকা রহস্যগুলো অত্যন্ত প্রশংসনীয় ছিল। উপন্যাসটির একটি বিশেষ দিক হল গল্পের মধ্যে থাকা স্থান এবং চরিত্রগুলোর অতীতকে লেখক ছোট ছোট গল্পের আকারে সাজিয়েছেন, যার ফলে মূল গল্পের প্রতি উৎকণ্ঠা এবং প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র এবং বাকি চরিত্রগুলোকে জটিলভাবে রচনা করা হয়েছে, তবে গল্পের কিছু জায়গায় তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো আবার মাঝে মাঝে অপ্রীতিকরও মনে হয়েছে। তবে এটিকে আমি কোনো ত্রুটি হিসেবে যোগ করব না, বরং এটি এক একজন পাঠকের কাছে এক এক রকম মনে হতে পারে। গল্পের গতি ছিল দুর্দান্ত, লেখক প্রতিটি পৃষ্ঠায় যথেষ্ট তথ্য দিয়েছেন, যার ফলে অপ্রাসঙ্গিক বা অতিরিক্ত লেখা খুব একটা চোখে পড়েনি। গল্পের চরম সীমায় পৌঁছানোর পর লেখক অনেকগুলো টুইস্ট উপহার দিয়েছেন, যা সম্পর্কে আগে থেকে অনুমান করা কঠিন ছিল এবং গল্পের সমাপ্তিও আমার কাছে বেশ সন্তোষজনক মনে হয়েছে। • শেষ কথা হিসেবে বলব যে, যদি আপনার ভয়ঙ্কর ও রহস্যময় গল্প পড়তে ভালো লাগে, তাহলে নিশ্চিন্তে এই বইটি পড়ে ফেলতে পারেন। • 尺乇ᐯ丨乇山 + 卩丨匚ㄒㄩ尺乇 : Suhin Bibliomane #bookreview #বুক_রিভিউ

      By Rafiquzzaman Aqib Shuvro

      18 Mar 2024 04:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারিকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমার প্রথম বইটি এখানে যুক্ত করার জন্য। “ অন্ধকারের গোলকধাঁধায় ” উপন্যাসটি নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। পাঠক “ অন্ধকারের গোলকধাঁধায় ” উপন্যাসে ভৌতিক, রহস্য, গোয়েন্দাগিরি, রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা, প্যারা সাইকোলজিক্যাল, অলৌকিক কাহিনি এবং ক্রাইম থ্রিলার— সবকিছুর মিশেলে একটি সুন্দর সাসপেন্স সমৃদ্ধ উপন্যাস উপভোগ করতে পারবেন। কেউ কেউ এটাকে জগাখিচুড়িও বলতে পারেন। আশা করি পাঠক এ উপন্যাসে ভালো কিছু পাবেন। সেজন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সবাইকে। • রফিকুজ্জামান আকিব। • ৮ম শ্রেণি, খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা।

      By 880****770

      08 Apr 2024 12:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      " রাত করিয়া আসে সে ডাক ছাড়িয়া হাঁকে, বের হয়ো না রে ক্ষীণালোকে অজ্ঞাত শত্রু থাকে। " ভৌতিক উপন্যাসের নাম শুনলেই অনেকের গা ছমছমে ভাব চলে আসে। কিন্তু এই ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারে যদি আরও কিছু মশলা যুক্ত হয় যেমন :গাঢ় রহস্য, গোয়েন্দাগিরি, দুর্দান্ত অভিযাত্রা এবং আরও একটু থ্রিলার তবে তো কথাই নেই। পাঠক সমাজ তার উপরে এমনিতেই আছড়ে পড়বে রফিকুজ্জামান আকিবের " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি এই দারুণ সব উপাদানের মিশেলে তৈরি। ★ লেখক পরিচিত : রফিকুজ্জামান আকিব ( শুভ্র) এর জন্ম ২০১০ সালের ১৯ মে খুলনা শহরে। বর্তমানে সে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের দুনিয়াতে তার বেশ আনাগোনা। দ্বিতীয় শ্রেণিতেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি ঘটে।এছাড়া তিনি নিয়মিত পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন গল্প কবিতা লিখছেন। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ★ কাহিনী সংক্ষেপ : "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি মূলত 'উদ্দীপ্ত' প্রকাশনীর দক্ষ পরিচালক প্রান্তিক রায়চৌধুরীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসের শুরুতেই পোড়াগায়ের অর্ধগ্রাম জুড়ে থাকা জমিদারবাড়ির সুন্দর বর্ণনা এবং সে গ্রামের এক নিষ্ঠুর অতীত সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। অতীতে এক জঘন্য তান্ত্রিক সে গ্রামের মানুষদের পুড়িয়ে নিজের অপশক্তি বৃদ্ধি করতো। তার সেই নিষ্ঠুরতার শিকার হয় প্রান্তিকের একজন পূর্বপুরুষ আশুতোষ রায়চৌধুরী। প্রান্তিকের বাবা মা কয়েক বছর আগে একটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকেই ছোট থেকে রহস্য ও অভিযানের প্রেমিক সাহসী প্রান্তিকই জমিদারবাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকার। এক রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরত আসার পর হঠাৎই বাগানের পেছন থেকে এক শিশুর আর্তনাদ ভেসে আসে আর সে রাত থেকেই প্রান্তিকের সাথে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ভৌতিক ঘটনা।সহকর্মী ও ভালো বন্ধু তুষারের ভাগনিও হঠাৎ করে নিখোঁজ। লোভে পড়ে চিকু নামক এক পাগলের দেওয়া ভূল দিক নির্দেশনায় শরৎঘাটের নাম করে সে তার প্রান্তিকদাকে একটি পরিত্যক্ত শশ্মানঘাটে পাঠায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে এক কাঠুরে দল প্রান্তিককে উদ্ধার করে। অন্যদিকে ভাগ্নি হারানোর শোকে ও কাছের বন্ধুকে এভাবে বিপদে ফেলে দেওয়ার জন্য তুষার অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়। নিখোজ হওয়ার পর প্রান্তিকের বাড়িতে সন্দেহপ্রবণ শামসু ও রাজা জমিদারবাড়ির গুপ্তধন হাতানোর উদ্দেশ্যে আসে।তখন তাদের পিছু নিতে গিয়ে গহীন জঙ্গলে ঢুকে দারুণ বিপাকে পড়তে হয় তুষারকে৷ তারপর থেকে রহস্য ক্রমশই গাঢ় হতে থাকে। এর মধ্যে প্রান্তিকের বাড়ির গুপ্ত জায়গা থেকে গুপ্তধনও চুরি হয়। শেষে সব রহস্যের জট খুলতে তুষার ও প্রান্তিক এক রাতে বেরিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এক নরখাদক তান্ত্রিকের তান্ডবে নানা রকম প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার পর তারা কি রহস্যের কোনো কিনারা করতে পেরেছিলো? আদৌও কি তুষারের ভাগ্নিকে উদ্ধার করা গিয়েছিলো? তুষারকে লোভ দেখানো সেই চিকু পাগলের পরিচয়ই বা কি? সেই তান্ত্রিকই ফেরত এসেছিলো পোড়াগায়ে আর তার জন্যই কি প্রান্তিকের সাথে অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলি ঘটেছে? ★ একজন পাঠক কেন এই উপন্যাসটি বেছে নেবে? " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি একটি অসম্ভব রোমাঞ্চকর ভৌতিক উপন্যাস। এর পাশাপাশি দারুন এক অভিযানেরও টের পাওয়া যায়। বইয়ের লাইনগুলি পড়ার সময় আপনি বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা লাইনে লেখক রোমাঞ্চ জাগিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আর এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি, বইটা শেষ করার পর আপনি একেবারেই খুব বাজে সময় কাটিয়েছেন এমনটা বলার সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও শেষে অপ্রত্যাশিত দারুণ কিছু টুইস্ট রেখেছেন লেখক তার পাঠকদের জন্য। ★ নিজস্ব মতামত : লেখক যখন মাত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে সে এই উপন্যাসটি লেখা আরম্ভ করেছিলো। বয়স আন্দাজে তার লেখা খুবই সাজানো গোছানো মনে হয়েছে আমার কাছে। তার শব্দচয়নও চমৎকার ছিলো। এছাড়াও বইয়ের প্রচ্ছদটি দেখার পর অন্ধকারের গোলকধাঁধার রহস্য উদঘাটন করতে আমার আরও আগ্রহ জন্মেছিলো। তবে কিছু বিষয় আমার চোখে লেগেছে সত্যিই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে এই ব্যাখ্যাগুলি বেশি হয়ে গেছে।যেমন: জমিদার বাড়ির বর্ণনার ক্ষেত্রে কিছু বর্ণনা না হলেও হয়তো জমিদার বাড়ির আভিজাত্য কিছু নষ্ট হতো না। মনে হয়েছে এখানে এই লাইনটা এভাবে না লিখলেও পারতো, এক কথায় শেষ করা যেতো। যাই হোক মাত্র তো শুরু হয়েছে এরপর আস্তে আস্তে লেখা আরও অনেক পরিণত হবে। তখন সে সর্বস্তরের পাঠকদের মন রাখতে পারবে। ভবিষ্যতে লেখকের কাছে আরও অসাধারণ কিছুর প্রত্যাশা রইলো। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" গিয়ে তার রহস্য উদঘাটন করা আমার জন্য খুবই উপভোগ্য ছিলো। " রাত করিয়া আসে সে ডাক ছাড়িয়া হাঁকে, বের হয়ো না রে ক্ষীণালোকে অজ্ঞাত শত্রু থাকে। " ভৌতিক উপন্যাসের নাম শুনলেই অনেকের গা ছমছমে ভাব চলে আসে। কিন্তু এই ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারে যদি আরও কিছু মশলা যুক্ত হয় যেমন :গাঢ় রহস্য, গোয়েন্দাগিরি, দুর্দান্ত অভিযাত্রা এবং আরও একটু থ্রিলার তবে তো কথাই নেই। পাঠক সমাজ তার উপরে এমনিতেই আছড়ে পড়বে রফিকুজ্জামান আকিবের " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি এই দারুণ সব উপাদানের মিশেলে তৈরি। ★ লেখক পরিচিত : রফিকুজ্জামান আকিব ( শুভ্র) এর জন্ম ২০১০ সালের ১৯ মে খুলনা শহরে। বর্তমানে সে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের দুনিয়াতে তার বেশ আনাগোনা। দ্বিতীয় শ্রেণিতেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি ঘটে।এছাড়া তিনি নিয়মিত পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন গল্প কবিতা লিখছেন। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ★ কাহিনী সংক্ষেপ : "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি মূলত 'উদ্দীপ্ত' প্রকাশনীর দক্ষ পরিচালক প্রান্তিক রায়চৌধুরীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসের শুরুতেই পোড়াগায়ের অর্ধগ্রাম জুড়ে থাকা জমিদারবাড়ির সুন্দর বর্ণনা এবং সে গ্রামের এক নিষ্ঠুর অতীত সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। অতীতে এক জঘন্য তান্ত্রিক সে গ্রামের মানুষদের পুড়িয়ে নিজের অপশক্তি বৃদ্ধি করতো। তার সেই নিষ্ঠুরতার শিকার হয় প্রান্তিকের একজন পূর্বপুরুষ আশুতোষ রায়চৌধুরী। প্রান্তিকের বাবা মা কয়েক বছর আগে একটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকেই ছোট থেকে রহস্য ও অভিযানের প্রেমিক সাহসী প্রান্তিকই জমিদারবাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকার। এক রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরত আসার পর হঠাৎই বাগানের পেছন থেকে এক শিশুর আর্তনাদ ভেসে আসে আর সে রাত থেকেই প্রান্তিকের সাথে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ভৌতিক ঘটনা।সহকর্মী ও ভালো বন্ধু তুষারের ভাগনিও হঠাৎ করে নিখোঁজ। লোভে পড়ে চিকু নামক এক পাগলের দেওয়া ভূল দিক নির্দেশনায় শরৎঘাটের নাম করে সে তার প্রান্তিকদাকে একটি পরিত্যক্ত শশ্মানঘাটে পাঠায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে এক কাঠুরে দল প্রান্তিককে উদ্ধার করে। অন্যদিকে ভাগ্নি হারানোর শোকে ও কাছের বন্ধুকে এভাবে বিপদে ফেলে দেওয়ার জন্য তুষার অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়। নিখোজ হওয়ার পর প্রান্তিকের বাড়িতে সন্দেহপ্রবণ শামসু ও রাজা জমিদারবাড়ির গুপ্তধন হাতানোর উদ্দেশ্যে আসে।তখন তাদের পিছু নিতে গিয়ে গহীন জঙ্গলে ঢুকে দারুণ বিপাকে পড়তে হয় তুষারকে৷ তারপর থেকে রহস্য ক্রমশই গাঢ় হতে থাকে। এর মধ্যে প্রান্তিকের বাড়ির গুপ্ত জায়গা থেকে গুপ্তধনও চুরি হয়। শেষে সব রহস্যের জট খুলতে তুষার ও প্রান্তিক এক রাতে বেরিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এক নরখাদক তান্ত্রিকের তান্ডবে নানা রকম প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার পর তারা কি রহস্যের কোনো কিনারা করতে পেরেছিলো? আদৌও কি তুষারের ভাগ্নিকে উদ্ধার করা গিয়েছিলো? তুষারকে লোভ দেখানো সেই চিকু পাগলের পরিচয়ই বা কি? সেই তান্ত্রিকই ফেরত এসেছিলো পোড়াগায়ে আর তার জন্যই কি প্রান্তিকের সাথে অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলি ঘটেছে? ★ একজন পাঠক কেন এই উপন্যাসটি বেছে নেবে? " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি একটি অসম্ভব রোমাঞ্চকর ভৌতিক উপন্যাস। এর পাশাপাশি দারুন এক অভিযানেরও টের পাওয়া যায়। বইয়ের লাইনগুলি পড়ার সময় আপনি বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা লাইনে লেখক রোমাঞ্চ জাগিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আর এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি, বইটা শেষ করার পর আপনি একেবারেই খুব বাজে সময় কাটিয়েছেন এমনটা বলার সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও শেষে অপ্রত্যাশিত দারুণ কিছু টুইস্ট রেখেছেন লেখক তার পাঠকদের জন্য। ★ নিজস্ব মতামত : লেখক যখন মাত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে সে এই উপন্যাসটি লেখা আরম্ভ করেছিলো। বয়স আন্দাজে তার লেখা খুবই সাজানো গোছানো মনে হয়েছে আমার কাছে। তার শব্দচয়নও চমৎকার ছিলো। এছাড়াও বইয়ের প্রচ্ছদটি দেখার পর অন্ধকারের গোলকধাঁধার রহস্য উদঘাটন করতে আমার আরও আগ্রহ জন্মেছিলো। তবে কিছু বিষয় আমার চোখে লেগেছে সত্যিই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে এই ব্যাখ্যাগুলি বেশি হয়ে গেছে।যেমন: জমিদার বাড়ির বর্ণনার ক্ষেত্রে কিছু বর্ণনা না হলেও হয়তো জমিদার বাড়ির আভিজাত্য কিছু নষ্ট হতো না। মনে হয়েছে এখানে এই লাইনটা এভাবে না লিখলেও পারতো, এক কথায় শেষ করা যেতো। যাই হোক মাত্র তো শুরু হয়েছে এরপর আস্তে আস্তে লেখা আরও অনেক পরিণত হবে। তখন সে সর্বস্তরের পাঠকদের মন রাখতে পারবে। ভবিষ্যতে লেখকের কাছে আরও অসাধারণ কিছুর প্রত্যাশা রইলো। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" গিয়ে তার রহস্য উদঘাটন করা আমার জন্য খুবই উপভোগ্য ছিলো। " রাত করিয়া আসে সে ডাক ছাড়িয়া হাঁকে, বের হয়ো না রে ক্ষীণালোকে অজ্ঞাত শত্রু থাকে। " ভৌতিক উপন্যাসের নাম শুনলেই অনেকের গা ছমছমে ভাব চলে আসে। কিন্তু এই ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারে যদি আরও কিছু মশলা যুক্ত হয় যেমন :গাঢ় রহস্য, গোয়েন্দাগিরি, দুর্দান্ত অভিযাত্রা এবং আরও একটু থ্রিলার তবে তো কথাই নেই। পাঠক সমাজ তার উপরে এমনিতেই আছড়ে পড়বে রফিকুজ্জামান আকিবের " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি এই দারুণ সব উপাদানের মিশেলে তৈরি। ★ লেখক পরিচিত : রফিকুজ্জামান আকিব ( শুভ্র) এর জন্ম ২০১০ সালের ১৯ মে খুলনা শহরে। বর্তমানে সে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের দুনিয়াতে তার বেশ আনাগোনা। দ্বিতীয় শ্রেণিতেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি ঘটে।এছাড়া তিনি নিয়মিত পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন গল্প কবিতা লিখছেন। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ★ কাহিনী সংক্ষেপ : "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি মূলত 'উদ্দীপ্ত' প্রকাশনীর দক্ষ পরিচালক প্রান্তিক রায়চৌধুরীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসের শুরুতেই পোড়াগায়ের অর্ধগ্রাম জুড়ে থাকা জমিদারবাড়ির সুন্দর বর্ণনা এবং সে গ্রামের এক নিষ্ঠুর অতীত সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। অতীতে এক জঘন্য তান্ত্রিক সে গ্রামের মানুষদের পুড়িয়ে নিজের অপশক্তি বৃদ্ধি করতো। তার সেই নিষ্ঠুরতার শিকার হয় প্রান্তিকের একজন পূর্বপুরুষ আশুতোষ রায়চৌধুরী। প্রান্তিকের বাবা মা কয়েক বছর আগে একটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকেই ছোট থেকে রহস্য ও অভিযানের প্রেমিক সাহসী প্রান্তিকই জমিদারবাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকার। এক রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরত আসার পর হঠাৎই বাগানের পেছন থেকে এক শিশুর আর্তনাদ ভেসে আসে আর সে রাত থেকেই প্রান্তিকের সাথে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ভৌতিক ঘটনা।সহকর্মী ও ভালো বন্ধু তুষারের ভাগনিও হঠাৎ করে নিখোঁজ। লোভে পড়ে চিকু নামক এক পাগলের দেওয়া ভূল দিক নির্দেশনায় শরৎঘাটের নাম করে সে তার প্রান্তিকদাকে একটি পরিত্যক্ত শশ্মানঘাটে পাঠায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে এক কাঠুরে দল প্রান্তিককে উদ্ধার করে। অন্যদিকে ভাগ্নি হারানোর শোকে ও কাছের বন্ধুকে এভাবে বিপদে ফেলে দেওয়ার জন্য তুষার অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়। নিখোজ হওয়ার পর প্রান্তিকের বাড়িতে সন্দেহপ্রবণ শামসু ও রাজা জমিদারবাড়ির গুপ্তধন হাতানোর উদ্দেশ্যে আসে।তখন তাদের পিছু নিতে গিয়ে গহীন জঙ্গলে ঢুকে দারুণ বিপাকে পড়তে হয় তুষারকে৷ তারপর থেকে রহস্য ক্রমশই গাঢ় হতে থাকে। এর মধ্যে প্রান্তিকের বাড়ির গুপ্ত জায়গা থেকে গুপ্তধনও চুরি হয়। শেষে সব রহস্যের জট খুলতে তুষার ও প্রান্তিক এক রাতে বেরিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এক নরখাদক তান্ত্রিকের তান্ডবে নানা রকম প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার পর তারা কি রহস্যের কোনো কিনারা করতে পেরেছিলো? আদৌও কি তুষারের ভাগ্নিকে উদ্ধার করা গিয়েছিলো? তুষারকে লোভ দেখানো সেই চিকু পাগলের পরিচয়ই বা কি? সেই তান্ত্রিকই ফেরত এসেছিলো পোড়াগায়ে আর তার জন্যই কি প্রান্তিকের সাথে অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলি ঘটেছে? ★ একজন পাঠক কেন এই উপন্যাসটি বেছে নেবে? " অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" উপন্যাসটি একটি অসম্ভব রোমাঞ্চকর ভৌতিক উপন্যাস। এর পাশাপাশি দারুন এক অভিযানেরও টের পাওয়া যায়। বইয়ের লাইনগুলি পড়ার সময় আপনি বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা লাইনে লেখক রোমাঞ্চ জাগিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আর এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি, বইটা শেষ করার পর আপনি একেবারেই খুব বাজে সময় কাটিয়েছেন এমনটা বলার সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও শেষে অপ্রত্যাশিত দারুণ কিছু টুইস্ট রেখেছেন লেখক তার পাঠকদের জন্য। ★ নিজস্ব মতামত : লেখক যখন মাত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে সে এই উপন্যাসটি লেখা আরম্ভ করেছিলো। বয়স আন্দাজে তার লেখা খুবই সাজানো গোছানো মনে হয়েছে আমার কাছে। তার শব্দচয়নও চমৎকার ছিলো। এছাড়াও বইয়ের প্রচ্ছদটি দেখার পর অন্ধকারের গোলকধাঁধার রহস্য উদঘাটন করতে আমার আরও আগ্রহ জন্মেছিলো। তবে কিছু বিষয় আমার চোখে লেগেছে সত্যিই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে এই ব্যাখ্যাগুলি বেশি হয়ে গেছে।যেমন: জমিদার বাড়ির বর্ণনার ক্ষেত্রে কিছু বর্ণনা না হলেও হয়তো জমিদার বাড়ির আভিজাত্য কিছু নষ্ট হতো না। মনে হয়েছে এখানে এই লাইনটা এভাবে না লিখলেও পারতো, এক কথায় শেষ করা যেতো। যাই হোক মাত্র তো শুরু হয়েছে এরপর আস্তে আস্তে লেখা আরও অনেক পরিণত হবে। তখন সে সর্বস্তরের পাঠকদের মন রাখতে পারবে। ভবিষ্যতে লেখকের কাছে আরও অসাধারণ কিছুর প্রত্যাশা রইলো। "অন্ধকারের গোলকধাঁধায়" গিয়ে তার রহস্য উদঘাটন করা আমার জন্য খুবই উপভোগ্য ছিলো।

      By 880****488

      21 Mar 2024 05:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বয়স অনুযায়ী লেখার ধরন অনেক প্রখর। এগিয়ে যাও। শুভ কামনা অশেষ।

      By 880****255

      18 Mar 2024 07:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার লেখা।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!