User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Torn books. Stupid service.
Was this review helpful to you?
or
valo boi. dhoirjo dhoree porteee hobee
Was this review helpful to you?
or
আখতারুজ্জামান নাম শুনলেই অন্যরকম একটা হাসি পায়। তার লেখা কিছুটা হাস্যরসাত্মক আবার কিছুটা গুরু গম্বীর। যেকোনো কিছুকে সুক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করা তার লেখার একটি বিশেষ গুণ। দোজখের ওম এটি একটি ছোটগল্প গ্রন্থ এতে সর্বমোট চারটে ছোটগল্প রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছে প্রথম ও শেষ গল্পটি। প্রথমটি হলো কীটনাশকের কীর্তি এর মূল চরিত্রে রয়েছে রমিজ। যে হচ্ছে গাঁইয়া বোকা একটা লোক যার কারণে শেষ পর্যন্ত মার খেয়ে অবস্থা খারাপ। শেষটা হলো দোজখের ওম কিছুটা হাস্যকর হলেও গুরুগম্ভীর। এতে মূল চরিত্রে ছিল কামাল উদ্দিন যিনি দুনিয়ায় থেকে দুকে দুকে দোজখের আগুনে পুড়ে মরছেন। সবমিলিয়ে বলা যায় খুব সুন্দর ও মানের একটা বই বা ছোটগল্প গ্রন্থ।
Was this review helpful to you?
or
মানুষের জীবন কতনা বৈচিত্র্যময়। কত ভাবেই না মানুষ দুনিয়াতে বেঁচে আছে।কেউবা সুখের রাজ্যে গা-ভাসিয়ে সানন্দে দিন কাটাচ্ছে।কেউবা কষ্টের রোষানলে পরে দুঃখের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। এই দুনিয়াতেই কেউবা জান্নাতের মত চির শান্তি উপভোগ করছে।কেউবা দুনিয়াতেই চির শাস্তির স্থান জাহান্নামের আগুনের মত পুড়ে পুড়ে মরছে।ঠিক এরকমই একটা গল্প আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত দোজখের ওম। গল্পের মূল চরিত্র কামালুদ্দিন যার শুধু ডান হাত ব্যতীত পুরা শরীরটাই প্যারালাইজড।পত্নীহারা কামালুদ্দিনের সংসারে ছেলে মেয়ে সবাই থাকলেও। সবাই বিয়ে করে যে যার মত সংসার গুছিয়ে নিয়েছে।অসুস্থ বাবাকে দেখার মত তালাকপাপ্ত কন্যা খোদেজা আর তার ছেলে আবু বকর ছাড়া কেউ নেই। কামালুদ্দীনের প্রাকৃতিক সকল কাজ_কর্ম বিছানেই সারতে হয়। দুঃখ ছাড়া কামালুদ্দিনের ভাগ্যে আর কিছুই জোটেনি । অবস দেহে বিছানায় শুয়ে ধুকে ধুকে মরবার স্বাদটাও যেন তার আর সইছে না ।। দুনিয়াতে বাঁচবার আশায় মানুষ সদা ব্যাকুল হলেও কামালুদ্দিন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে এটাই যেন তার শেষ নামাজ হয়।এত দোয়া করার পরো যখন মৃত্যু তার কাছে আসেনা।তখন আফসোস করে বলে, হে আল্লাহ আমি যদি এতটুকু সওয়াবের কাজও করে থাকি তাহলে আমি আমার সওয়াব প্রত্যাহার করে নিলাম, বিনিময়ে আমাকে মৃত্যু দাও। কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে কবরে শাস্তি দিও তাতেও আমি সইতে পারব কিন্তু দুনিয়াতে এই দোজখের ওম আর সহ্য হচ্ছে না। তাতেও মৃত্যু যেন তার কাছে আসেনা।তখন সে উপলব্দি করে একটা দোয়া কবুল হওয়ার মত সওয়াবও হয়ত সে করে নাই। সে জীবনের কী কী খারাপ কাজ আছে তার অনুসন্ধান করতে থাকে এবং পাপের কথা মনেপড়ে বারবার অনুতপ্তও হয়। কামালুদ্দিনের বাবা কত বড় পীর সাহেবের মুরিদ ছিলো পীরের দোয়ার বৃষ্টি পর্যন্ত হতো কিন্তু কামালুদ্দিনের এই দুঃখ কে দেখে। তারা বেঁচে থাকলে হয়ত তার চিকিৎসা হতো কিন্তু কেউতো আর বেঁচে নেই ।পাশে থাকবার মত কেউ নেই।সন্তানেরা মাঝে মাঝে আসে বাড়ি দখল করার জন্যে, সম্পত্তি ভাগাভাগির জন্যে অথচ অসুস্থ বৃদ্ধ পিতার খবর কেউ নেয়না। দুনিয়াটা মানুষের জন্য কতটা অসহনীয় হতে পারে! আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষ এই গল্পটা পড়লে খুব ভালো করে উপলব্দি করতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশে যতজন প্রতিথযশা লেখক ও সাহিত্যিক রয়েছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নিঃসন্দেহে তার মধ্যে অন্যতম। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগন্য ও প্রভাবশালী বলে বিবেচিত। এজন্য অনেকেই তাকে লেখকদের লেখক বলেও অভিহিত করেন। তিনি ছিলেন একজন স্বল্পপ্রজ লেখক। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তাঁর রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তাঁর রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ’র পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক। বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের যে অনন্য উদ্ভাস, তার অনেকটা জুড়েই রয়েছে নরনারীর মনোজগতের বর্ণাঢ্য আখ্যান। ব্যক্তি-হূদয়ের নিভৃত চাওয়া-পাওয়া, তার গোপন ক্ষরণ এবং স্বপ্নের বৈচিত্র্যময় প্রকাশে অনেকের গল্পই হয়ে উঠেছে মনোজগতের অনেকান্ত রূপ। কিন্তু আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্পে শেষ পর্যন্ত জেগে উঠেছে হূদয়ের সংবেদনাহীন এক ঊষর চড়া। দেহের প্রয়োজনের কথা যদিও বা কোথাও কোথাও উচ্চারিত হয়েছে, হূদয়ের পুষ্পিত আবেগের কথা কোথাও অনুরণিত হয়নি। জীবনের প্রতি গভীরভাবে আসক্ত কিন্তু প্রেমজ আবেগে ভরপুর এমন গল্পের জন্যই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশের তথা বাংলা ছোটগল্পের জগতে স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছেন। 'ওম' শব্দের অর্থ উষ্ণতা। এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির জীবনযাপন নিয়ে "দোজখের ওম" গল্পটি রচিত যে কিনা দুনিয়াতে দোজখের ওম পাচ্ছে বলে মনে করে। কামালউদ্দিন অনেকদিন যাবৎ শয্যাশায়ী। একে একে তার কয়েকজন সন্তান মারা যায়। তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমায়। কিন্তু প্রতিদিন সে তার স্ত্রীকে অলৌকিকভাবে দেখতে পায়। একসময় তার বড় ছেলে আকবর মারা যায়। কামালউদ্দিনের ধারণা জন্মায় তার স্ত্রী তার সন্তানদেরকে নিজের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে কেন নিয়ে যাচ্ছে না- এ নিয়ে তার যত চিন্তা। তার কী পাপ ছিল যার জন্য তাকে একে একে সবার মৃত্যু দেখতে হচ্ছে, অচল শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে? এ নিয়েই গল্প এগিয়ে চলে। সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ
Was this review helpful to you?
or
সত্যি কথা বলতে গেলে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘দোজখের ওম’ বইটি সম্পর্কে এত বেশি পরিমাণে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুনেছি যে বইটি পড়ার আগেই আমি লেখকের কাছে থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করেছিলাম। সেই হিসেবে আমি বইটি পড়ার পর কিছুটা আশাহতই হয়েছি বলা যায়। ‘দোজখের ওম’ বইটি একটি ছোটগল্পের সংকলন। এখানে লেখকের লেখা চারটি ছোটগল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো হল ‘কীটনাশকের কীর্তি’, ‘যুগলবন্দি’, ‘অপঘাত’, ‘দোজখের ওম’। বইটি প্রতীক প্রকাশনী সংস্থা থেকে ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী ঢালী আল মামুন। ‘কীটনাশকের কীর্তি’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রমিজ। সে একটা বাড়িতে চাকরের কাজ করে। হঠাৎ সে একদিন তার বাবার কাছে থেকে চিঠির মাধ্যমে খবর পায় তার বোন কীটনাশক খেয়ে মারা গেছে। এই খবরেও তাকে তেমন বিচলিত মনে হয় না। সে শুধু তার সাহেবের কাছে ছুটি নেয়ার কথা বলার চেষ্টা করে বাড়িতে যাবার জন্যে। কিন্তু বলার সুযোগ পায় না। এই গল্পের শেষের দিকে আমরা এক অন্য রমিজকে দেখতে পাই যে সম্মোহিতের মত গভীর রাতে সাহেবের মেয়ের ঘরে ঢুকে পড়ে। সাহেবের মেয়ের সাথে বার বার নিজের বোনকে মিলিয়ে ফেলতে থাকে, নিজের মনের ভিতরে এক পরাবাস্তব জগত সৃষ্টি করে সেখানে অবাধে বিচরণ করতে থাকে। এই হল, গল্পের মূল কাঠামো। এখন ইলিয়াসের লেখা বিশ্লেষণে আসি। ইলিয়াসের বর্ণনাভঙ্গি অনন্য। যারা প্রথমবার ইলিয়াসের লেখা পড়বেন তারা শুরুতে একটু হোঁচট খেতে পারেন। তবে একবার এই ভঙ্গির সাথে অভ্যস্ত হতে পারলে ইলিয়াসের লেখা আপনাকে চুম্বকের মত টানতে থাকবে। তার মত বর্ণনার ক্ষেত্রে এত ডিটেইলের ব্যবহার আমি আর অন্য কোন বাঙালি লেখকের লেখায় পাই নি। তবে সমস্যা হল, পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বর্ণনায় অতিরিক্ত ডিটেইল ব্যবহার করতে গিয়ে লেখক মাঝে মাঝেই গল্পের মূল বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলেছেন বা পাঠকের জন্যে গল্পের মূল বক্তব্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইলিয়াস অসাধারণ দক্ষতায় বাস্তবজগত আর কল্পজগতের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছেন। তবে গল্পের কাঠামো যতটা শক্তিশালী ছিল, ভাববস্তু ততটা ছিল না। এই বইয়ের দ্বিতীয় গল্প ‘যুগলবন্দি’-তেও আমরা দেখতে পাই কেন্দ্রীয় চরিত্র আসগরের তার মুনিবের কাছে একটা কথা বলার জন্যে নিজের ভিতরে যে দ্বন্দ্ব তার শৈল্পিক চিত্র। কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে একই সংকলনের পর পর দুটি গল্পের কেন্দ্রীয় প্রবণতা একই ধরনের হওয়াটা একটা বড় ধরনের অসঙ্গতি মনে হয়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মানের লেখকের কাছে থেকে তো এটা অবশ্যই কাম্য নয়। সব মিলিয়েও বলতে হয় ‘দোজখের ওম’ একটি অসাধারণ এবং সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে অবশ্যপাঠ্য বই।