User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
Such a fantastic book...! Everything felt so logical but so hard to believe, this feeling is amazing.
Was this review helpful to you?
or
সব সুস্থ মানুষ একই রকম, অসুস্থ মানুষেরা নিজেদের মত করে নানা ভাবে অসুস্থ। অবশ্য এভাবে একজন ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ হয়তো ভাববে না। ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস যিনি করেন তার কাছে পুরোপুরি সুস্থ মানুষ বেশ বৈচিত্রহীন প্রাণী, রোগ ব্যাধি থাকলেই তাকে নিয়ে ভাবা চলে। তবে যিনি ডাক্তার নন তার কাছে ব্যাপারটা উল্টো হওয়ার কথা। তার কাছে সব অসুস্থ মানুষ একই রকম, সুস্থরা নানা প্রকারের, নানা ধরনের। সুস্থ মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে তারা নানা কিছু বলবে, কেউ সামনের ছুটিতে পাহাড়ে কি সাগরে বেড়াতে যেতে চায়, কেউ চায় নতুন একটা থাকার জায়গা, কেউ পালাতে চায়, কেউ আরো ধনী হতে চায়, অর্থাৎ শেষ করা যাবে না তাদের উদ্দেশ্য লিস্ট করতে শুরু করলে। আর একজন অসুস্থ মানুষ এদিক দিয়ে একদমই সোজাসাপটা, সে চায় শুধু সুস্থ হতে!" ডা: আসিফের ডায়েরি থেকে নেয়া পাঁচটি 'অসচরাচর' কেস; বডি হরর অথবা মেডিকেল হরর বলা যায়। মেডিকেলে পড়া অবস্থায় সিজোফ্রেনিয়াক হিসেবে ডায়াগনোজড হওয়া আসিফকে অনেকক্ষেত্রে আনরিলায়েবল ন্যারেটর হিসেবে ভ্রম হতে পারে; তবুও ছায়ার মতো বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব জন্ম নেয় মনের ভেতর। গল্পে জোর করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে যুক্তি মেলানোর প্রয়াস নেই, নেই অযাচিত ভায়োলেন্স। জোর করে ভয় দেখানোর চেষ্টা নেই, তবুও আছে অস্বস্তিকর অনুভূতি; বইয়ের নামটা উচ্চারণ করতে গিয়ে জিহবায় যেমন বাঁধে অনেকটা তেমনই যেন। মেডিকেল টার্মগুলোকে যথেষ্ট সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে গল্পগুলোতে, কারও বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। সবগুলো গল্প ভালো লাগলেও আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে "হোস্ট"।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: অসচরাচর লেখক: মাশুদুল হক জনরা: মেডিক্যাল হরর/ বডি হরর প্রকাশনী: চিরকুট পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২ মূল রিভিউ: সমাজে যা কিছু সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না তাকে আমরা অসচরাচর বলে থাকি। এই অসচরাচরের কি কোনো মাত্রা আছে? আমাদের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার বাইরে যখন কিছু ঘটে আমাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? এমন কিছু অসচরাচর গল্প দিয়েই সাজানো হয়েছে এই বই। ডা. আসিফ আহমেদের জবানিতে এই গল্পগুলো পড়ে পাঠকমনে গভীর ছাপ পড়তে বাধ্য। গল্পক্রমে সব মিলিয়ে পাঁচটি অসচরাচর গল্প আছে। মোট পাঁচটি অন্যরকম রোগীকে নিয়ে লেখা গল্পগুলো যা নিচে ক্রমানুসারে উল্লেখ করছি— ১. হোস্ট: এ গল্পের রোগীর নাম আমিনুল। রোগী ডা. আসিফ সাহেবের পরিচিত। দুই বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে তার বাম হাত কবজি থেকে আলাদা হয়ে যায়। দুই বছর পর ডা. আসিফকে সে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে জানায় পরবর্তীতে জোড়া লাগানো হাতটি তার নয়। এমনকি সে সুস্থ হবার পর আসল হাতের মালিকের খোঁজ পায়। এক্সিডেন্টে আসল হাতের মালিক মারা যান। আর এই হাতের ব্যাপারে তার অন্য আরেকটা ধারণা আছে। সে মনে করে এই হাত তাকে মেরে ফেলবে। এরপরের ঘটনা জানার জন্য গল্পটি পড়তে হবে। ২. প্যারাসাইট: ডা. আসিফ সিলেটে থাকেন। সেখানেই তার মেডিকেল কলেজের এক ক্লাসমেটের সাথে দেখা। ক্লাসমেট বাবলি দুর্দান্ত ছাত্রী ছিলেন। এখন মেডিকেলের প্রফেসর। কিছু ব্যক্তিগত কারনে আসিফ সাহেব তার সাথে দেখা করতে চান না। কিন্তু ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যায়। পুরনো স্মৃতিচারণ করতে করতে ডা. বাবলি আসিফ সাহেবকে উনার এক রোগীর ব্যাপারে জানান। অ্যানেমিক পেশেন্ট যার গর্ভে দুটো সন্তান। কিন্তু যেখানে স্বাভাবিকভাবে তাদের থাকার কথা তারা সেখানে নেই। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য দেশেও পাঠানো যাবে না পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে। যে কারনে ডা. আসিফকে তার ক্লাসমেট সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন। কাহিনি শুরু হয় এখান থেকেই। বাকিটুকু পাঠকদের জন্য তোলা থাক। ৩. ফাঙ্গাল: ডা. আসিফ চেম্বার পরিবর্তন করে ছাতকে নিয়েছেন। নতুন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে এক কোম্পানির লোকের সাথে নতুনভাবে পরিচিত হলেন। নাম সারওয়ার। ভদ্রলোকের মেয়ের এক স্কিন ডিজিজ আছে। স্ত্রী ও কন্যা দূরে থাকেন। তারা ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পায়। এজন্য কন্যার স্কিন ডিজিজের ঔষধ নিতে আসলেন। ঘটনাক্রমে ছাতকের প্রতাপশালী এক পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যের মৃত্যু হয়। পারিবারিক কারনে তাকে কয়েকদিন হিমাগারে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল ঘটনার সূত্রপাত এখানেই। যদিও এ গল্পে অন্য গল্পগুলোর তুলনায় অস্বাভাবিকতা কম, তারপরও শেষের অংশটুকু পড়ে পাঠকমনে গভীর ছাপ পড়বে। ৪. ইয়ানোমামিয়ান: এ গল্পে ডা. আসিফ ঢাকায় এক ক্লিনিকে ডিউটিরত অবস্থায় এক মেয়ে ইমার্জেন্সি কেস নিয়ে তার কাছে যায়। মেয়েটির নাম লিলি। জমজ বোন পদ্মর সাথে ক্লিনিকে যেয়ে সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয়। একই এলাকায় থাকা হয় সেই সূত্রে পদ্মর সাথে ডাক্তার সাহেবের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ঘটনাক্রমে জানতে পারেন পদ্ম ও লিলি জমজ বোন হলেও মানসিক দিক থেকে লিলি অনেকটা পিছিয়ে আছে। কৈশোরে ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় দুই বোনের মাঝে একাডেমিক গ্যাপও চলে আসে। পদ্ম ও লিলির সাথে উনার এলাকায় প্রায়ই দেখা হয়। ধীরে ধীরে পদ্মর সাথে সখ্যতা বাড়ে। এরপর একদিন পদ্ম উধাও হয়ে যায়। আসিফ সাহেব একগাদা প্রশ্ন মনে চেপে পদ্মর ফেরার অপেক্ষায় দিন গুণে।এরপর আরো অনেক হতবাক করার মত কাহিনি ঘটে যা গল্পটি পড়লে বুঝতে পারবেন। ৫. আন্না: এ গল্পে ছোট্ট এক পাহাড়ি শহরতলীতে থাকেন ডাক্তার আসিফ। কাজ করেন হাসপাতালে রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার হিসেবে। ছোট জায়গা তবুও এর সৌন্দর্য অতুলনীয়। ছোট হাসপাতালে যতভাবে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করা যায় করছেন তিনি। এর মধ্যে হাসপাতালে এক রোগী অচেতন অবস্থায় ভর্তি হয়। কয়েকজন স্থানীয় খাসিয়ারা তাকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সী তরুণী। এক্সরে করে শরীরে পুরনো কিছু স্টিচের দাগ পাওয়া গেল। ফর্ম পূরণের জন্য নাম লাগবে। অথচ রোগীর পরিচিত কেউ নেই৷ উপায় না পেয়ে ডাক্তার আসিফ রোগীর নাম দিলেন আন্না। রোগীর পরিচয় জানার জন্য সংবাদ পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন দেয়া হলো। এই বিজ্ঞাপন দেয়ার পর থেকেই একে একে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে লাগল। ডক্টর আসিফ না জেনে কত বড় বিপদ নিজের দিকে টেনে এসেছেন নিজেও জানেন না। বাকিটা জানার জন্য পুরো গল্প পড়তে হবে। ব্যক্তিগত মতামত: চমৎকার কিছু ছোট গল্প দিয়ে সাজানো বইটি পাঠকরা চাইলেই এক বসায় পড়ে শেষ করে ফেলতে পারবেন৷ ভালো লাগা অনুযায়ি ক্রমান্বয়ে নাম সাজালে আমি ইয়ানোমামিয়ানকে প্রথমে রাখব। এরপর আন্না, প্যারাসাইট, হোস্ট, ফাঙ্গাল। তবে প্রতিটা গল্পেরই আলাদা সৌন্দর্য আছে। প্রতিটা গল্প পড়ে আপনার ভিন্ন অনুভুতি হবে। বডি হরর জনরায় তেমন কোনো বই আগে পড়া হয়নি। মাশুদুক হকের বই দেখেই কিনেছি। আর উনিও আমাকে হতাশ করেননি। সবমিলিয়ে বই পড়ার সময়টুকু দারুণ কেটেছে।
Was this review helpful to you?
or
❝??????? ?? ??? ????? ???? ?? ????, ? ???? ??????? ???????????. ???????? ??? ?? ???? ????? ???? ???????????, ?? ??? ??????? ?? ??? ???? ??? ?? ??? ??????? ?? ??? ????.❞ — ????? ??????, ??????? ?? ???????? রিডার্স ব্লকের মতো কিছুদিনের জন্য রিভিউ ব্লকে চলে গেছিলাম সম্ভবত কারণ বইটা অলমোস্ট চারদিন আগে পড়া শেষ কিন্তু কোনোভাবেই রিভিউ লেখা আর হচ্ছিল না। অবশেষে লিখতে বসেছি! ছোটগল্প বা অণুগল্পের প্রতি আগ্রহ কম আমার। অধিকাংশ সময়ই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে যে শুরুটা ভালো লাগলেও শেষটা কেমন জানি খাপছাড়া লাগে। কিন্তু এই বইয়ের চারটা গল্প আমার অনেক ভালো লেগেছে। সুতরাং বইয়ের একটা রিভিউ না দিলে অন্যায় হয়ে যায়। তুখোড় স্টুডেন্টদের প্রতি প্রায় সবার আলাদা একটা টান থাকে। আশা যেমন থাকে তেমনি থাকে স্বপ্নও। ডা. আসিফ আহমেদ এমনই একজন ব্যক্তি। ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষার আগ দিয়ে মারাত্মকভাবে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হন। জীবনের পরিকল্পিত হিসাবনিকাশে গন্ডগোল হলেও সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়নি। নতুন করে জীবন শুরু করেন সাথে নতুন একটা অভ্যাসও করেন, অ্যাটিপিক্যাল কেসগুলো লিখে রাখেন। তেমনি পাঁচটি ❝অ্যাটিপিক্যাল কেস❞ নিয়ে লেখা ❝অসচরাচর❞। হোস্ট (????): সিলেট শহরের কমলাকান্দিতে জীবনটা অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছেন ডা. আসিফ। প্রায় রাত পর্যন্তই রোগী দেখা চলে। তবে গভীর রাতে আসা রুগীরা একটু অদ্ভুত আচরণ করেন হয়তোবা নিজের রোগ বলতে সংকোচ করেন বা বলতে ভয় হয়! এমন একদিন রাত সাড়ে এগারোটায় আছেন এক রোগী, জানান আগেও দেখা হয়েছে। কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া এক্সিডেন্টে তার বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগানোর অপারেশনে আসিফ ছিলেন। রোগীর অদ্ভুত অভিযোগ আর আবদার শুনে হকচকিয়ে যান। জোড়া লাগানো হাতটা কিছুটা অন্যরকম কিন্তু দাবি করেন এটা অন্য কারো হাত আর সেটা যেন কেটে ফেলা হয়! ???? ????????? ????????? নিয়ে আগেই মোটামুটি একটা ধারণা ছিল। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল এমনই কোনো কেস হবে কিন্তু...!!! সমাপ্তি এককথায় "অসাধারণ"! আসিফের ওপর রাগও হচ্ছিল কীভাবে রোগীর অবস্থা দেখার পরও বেমালুম ভুলে গেলো! আমিনুলের চরিত্রটা বেশ রহস্যময়। কেন আসিফ ছাড়া আর কোনো ডাক্তারের কাছে যেতে চাচ্ছিল না? মেডিক্যালের ছোটখাটো টার্মগুলো সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে। প্যারাসাইট (????????): পুরোনো বন্ধু বা পরিচিতদের এড়িয়ে চলেন আসেফ যেন অতীত ক্ষতে নতুন করে কেউ খোঁচাতে না পারে। কিন্তু হুট করেই দেখা হয়ে যায় এককালের প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. বাবলির সাথে। সাথে অবশ্য খোঁজ পায় অদ্ভুত একটা কেসেও! লোকচক্ষুর আড়ালে কেন রাখা হয়েছে এক গর্ভবতী নারীকে? প্যারাসাইট, ফিটাস, একটোপিক প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টাসহ বেশ কিছু মেডিক্যাল টার্মের দিকগুলো দারুণভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শেষটা কী হবে মোটামুটি একটা ধারণা করলেও বাবলির সাডেন স্টেপ চমকে দিয়েছে! ফাঙ্গাস (??????): ছাতকে নতুনভাবে চেম্বারে বসেছেন আসিফ। প্রথমে রোগী কম হলেও ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুদিনের পরিচিত সারওয়ার সাহেব যখন সমস্যা নিয়ে আসেন, বেশ দ্বিধায় পড়ে যান। রোগীর বদলে শুধু ছবি দেখে চিকিৎসা! দাফনের সময় আলমগির সাহেবের মায়ের লাশ দেখে মনে সন্দেহ দানা বেঁধে ওঠে। আগেও দেখেছে এমন কিন্তু কোথায়? গল্পটা অদ্ভুত সুন্দর। যদি পড়ে থাকেন তো মনে হতে পারে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে কী এমন বলা সম্ভব? সুস্থ মানসিকতার কথা বাদ দিয়ে যদি শুধু অনুভূতির কথা বলি তো বলবো "পবিত্র সুন্দর"। ব্যক্তির কাজ না বরং ভালোবাসা বড় করে দেখানো হয়েছে। যেখানে কারো মৃত্যুতে কয়েকদিন শোক প্রকাশ করে মানুষ ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করে সেখানে প্রিয়জনের জন্য সম্পূর্ণ জীবন কে লিখে দিতে পারে? শেষ অংশে হিমঘরের বর্ণনা যেভাবে করা হয়েছে মনে হচ্ছিল ধবধবে সাদা ঠান্ডা বাতাস ও বরফে ঢাকা রুমটা দেখতে পারছি! ইয়ানোমামিয়ান (??????????): দুই জমজ বোন লিলি ও পদ্ম। পদ্ম মায়ের মতো লিলিকে আগলে রাখে। জমজ হওয়ার পরও লিলি পড়ে কলেজে আর পদ্ম ভার্সিটিতে। কারণ অতীতের একটা ঘটনা লিলির জীবন থেকে কয়েকবছর কেড়ে নিয়েছে! কী সেই রহস্য? ধীরে ধীরে পদ্মের সাথে আসিফের সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ একদিন সব যোগাযোগ বন্ধ করে উধাও হয়ে যায় পদ্ম! মাসের পর মাস তারা পদ্মকে খুঁজে চলেছে কিন্তু তার কিছু চিঠি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না! পদ্মের এই রহস্যময় অন্তর্ধানের কারণ কী? শুরুতে সাধারণত এক প্রণয়ের গল্প মনে হচ্ছিল। কিন্তু পদ্মের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে কাহিনি ইন্টারেস্টিং হতে থাকে। তবে সমাপ্তি অংশটাই গল্পের সেরা অংশ। নিখোঁজ রহস্যের সমাধান এইভাবে হবে কল্পনাও করতে পারি নাই। আন্না (????): পাহাড়ের খাদে অজ্ঞান অবস্থায় এক তরুণীকে পাওয়া গেছে। আসেফদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলে কিন্তু তরুণী কোনোভাবেই নিজের অতীত মনে করতে পারে না! আসেফ নিজেই অপরিচিতার নাম দেন, "আন্না"। আন্নার স্মৃতি ও পরিবারের খোঁজ করতে যেয়ে আসেফ পড়ে যায় বিপাকে! কারা যেন পিছু নিয়েছে! কিন্তু কেন? শুরুটা ভালো হলেও বাকি অংশ তেমন ভালো লাগেনি। আন্নার রহস্য অনুমেয়। আসলে বলতে গেলে কাহিনি প্রথমে ধীরে এগিয়ে শেষে হুট করে শেষ। আর এতো ক্ষমতাশীল দল হয়েও কেন দুজনের লোকেশন ট্যাক করতে পারেনি এটা আজব লেগেছে। সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের গল্প বলা যায় আরকি। ❝সব সুস্থ মানুষ একই রকম, অসুস্থ মানুষেরা নিজেদের মতো করে নানাভাবে অসুস্থ। অবশ্য এভাবে একজন ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ হয়তো ভাববে না।❞ ডা. আসিফের জবানিতে পাঁচ অদ্ভুত কেসের বর্ণনা পাঠক পাবেন। মেডিক্যাল টার্মের বর্ণনা লেখক যেমন দক্ষভাবে করেছেন তেমনি প্রকৃতির সৌন্দর্যও দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। দু'বসায় প্রথম দুটো গল্প শেষ করলেও শেষের তিন গল্প একবসায় শেষ করেছি। গল্পগুলো খুব একটা ভয়ের না তবে কেমন জানি অস্বস্তি দেয়। রাত প্রায় দুটায় যখন বইটা শেষ করে উঠি তখন কেমন জানি গা শিরশির করছিল! চিরকুটের প্রোডাকশন নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। বইয়ের জ্যাকেট কভারের সাথে আঠা দিয়ে না লাগানোর জন্য ধন্যবাদ চিরকুটকে। পড়ার সময় জ্যাকেট আলগা করে রেখে পড়তেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভেতরের ইলাস্ট্রেশনগুলো অনেক সুন্দর। বই: অসচরাচর লেখক: মাশুদুল হক জনরা: বডি হরর প্রচ্ছদ: আদিব রেজা রঙ্গন প্রকাশনী: চিরকুট প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২
Was this review helpful to you?
or
সহজ ভাষায় এত সুন্দর করে ভয়ানক গল্প।।।
Was this review helpful to you?
or
#Book_Insights 47 মেডিক্যাল হিস্ট্রি নিয়ে ৫ টি অস্বাভাবিক গল্পের এ বই। সচরাচর এমন ঘটনার দেখা পাওয়া যায় না বলেই হয়তো লেখক মাশদুল হক বইটির নাম রেখেছেন 'অসচরাচর'। ১. হোস্ট ডাক্তার আসিফের কাছে একজন পুরোনো রোগী আসলো। রোগীর দাবি, তার বাম হাতটা নিজের নয়। অদ্ভুত এক কাহিনী। আমিনুল নামক এ রোগী কেনোই বা এমন দাবি করছে, আর তার এ দাবির কারণসরুপ পরিণতিই বা কী, তা নিয়েই পুরো গল্প। একইসাথে কৌতূহলী এবং ভাবাবিষ্ট করতে বইয়ের সূচনা হিসেবে উপযোগী গল্প। ২. প্যারাসাইট পুরনো সহপাঠী বাবলির সাথে এক ঘটনাক্রমে দেখা হয়ে যায় ডাক্তার আসিফের। বাবলি তাকে একটা গর্ভবতী মেয়ের কেস স্টাডি করায় সাহায্য চায়। কমপ্লিকেটেড কেস, বাচ্চার বাবা নিরুদ্দেশ। ঘটনার উঠতি আরো রহস্য নিয়ে দারুণ একটা গল্প। গল্পটায় বাড়তি কোনো খাদ নেই দেখে ভালো লাগলো। ৩. ফাঙ্গাল "মানুষ মারা গেলে লাশের দাবি আর নিকটজনের থাকে না। পুরো সোসাইটি মৃতদেহের মালিক হয়ে যায়।" কৌতূহল জাগানোর মতো একটা গল্প। ডা. আসিফ ছাতকে স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং তার বন্ধুর চেম্বারে ডাক্তারির দায়িত্ব নিয়েছেন। সেখানে তার রোগী দেখার ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে এ গল্প। বাকি গল্পগুলো থেকে এটার বিল্ড আপ তুলনামূলক বেশি ভালো লেগেছে। ৪. ইয়ানোমামিয়ান দুই বোন, একজন ডাক্তার। এক দুর্ঘটনার চিকিৎসার মাধ্যমে পরিচয়। অতঃপর একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রেডিক্টেড টুইস্ট, কিন্তু সুন্দর প্রেজেন্টেশন। ৫. আন্না চমৎকার। বাবা-মা ছাড়া অন্য কেউ শিশুর নামকরণ করুক, এমনটা না চাওয়া সত্ত্বেও একবার রোগীর নামকরণ করতে হয়েছিলো ডা. আসিফকে। এটা তারই গল্প। এটা আন্নার গল্প। • সার্বিক অনুভূতি: লেখক মাশদুল হকের লেখা এর আগে পড়া হয়নি। তাই বই থেকে কতোটা আশা রাখবো, তা পরিকল্পিত ছিলো না। তবে সব মিলিয়ে বলতে হয়, যথেষ্টই উপভোগ করেছি। গল্পগুলো একটা বিশেষ জনরায় রাখা যায়, যাকে বলে 'বডি হরর'। এ জনরায় দেশীয় সাহিত্যে কাজ দেখা হয়নি এর আগে। লেখকের গল্প বলার দক্ষতা আছে। এখানে লেখক এগিয়েছেন মন্থর গতিতে, তবে খুব বেশি ব্যাখ্যাতীত বিষয়ে না জড়িয়ে। অর্থাৎ, লেখক 'সেফ জোনে' থেকে গল্পের জগতের যতোটা বিস্তার ঘটানো যায়, ঘটিয়েছেন। তবে আমি লেখককে বলবো, এগুলো নিয়ে আরো এক্সপ্লোর করতে, আরো বড় পরিসরে লিখতে। আশা করি, পরবর্তী বই 'অসচরাচর : পিচ্ছিল' বইয়ে সেটা দেখতে পাবো। • ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ • বই: অসচরাচর • লেখক: মাশদুল হক • প্রকাশনী: চিরকুট প্রকাশনী • ধরণ: গল্পগ্রন্থ (বডি হরর) • প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ • প্রচ্ছদ: আদিব রেজা রঙ্গন • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২ • মুদ্রিত মূল্য: ২৪০ টাকা (২য় মুদ্রণ) ~ ইয়াসির আল সাইফ
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের প্রচ্ছদ আর কাহিনী অনেক উন্নত মানের। বই এর সাথের বুকমার্কটাও অনেক ভালো ছিল।?
Was this review helpful to you?
or
বইটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা গল্পই ভালো ছিল। ইয়ানোমামিয়ান গল্পটা আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। শেষ মুহূর্তে একটা লাইন দিয়ে পুরো ঘটনার মোড় পাল্টে দিয়েছে। ফাঙ্গাল গল্পেও একদম শেষ লাইনটা আপনাকে একটা অসচরাচর অনুভূতি দিবে। Rating: 8/10. Spooky Reading ?.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অসচরাচর বইটি সংগ্রহ করেছি ও পড়েছি । ? অসাধারন লেগেছে। ? রোমাঞ্চ, ভৌতিক, মনস্তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর সংযুক্তি এক নতুন আবহ সৃষ্টি করেছে প্রতিটি গল্প। এক ডাক্তারের জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার জানতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ, লেখককে, এমন মৌলিক বই আমাদের উপহার দেয়ার জন্যে ?